রাঙাবউ পর্ব -০৩

0
860

#রাঙাবউ
অলিন্দ্রিয়া রুহি
পর্ব-০৩

প্রকৃতিতে মন ভালো করে দেওয়া ঝলমলে আলো। তবুও আজ মুনীফের মন মেজাজ ভালো নেই। একজন গ্রিল মিস্ত্রিকে ডেকে এনে তার ঘরের জানালা গুলোয় গ্রিল লাগানোর কাজ করছে সে। অনেক অনেক আগে ঢাকাতেও বড় খোলামেলা ঘর পাওয়া যেতো। এখন তো চারিদিকে সব মুরগীর খোয়াড়! ছোট ছোট ঘরগুলোতেও কতলোক ঠাঁই করে নিতে পারে না! গ্রামে বেড়ে ওঠা মুনীফের বরাবরই খোলামেলা পরিবেশ ভালো লাগে। তারই রেশ ধরে, ঢাকায় বাড়ি বানানোর সময়ে মুনীফ নিজেদের বাড়ির জানালা গুলো গ্রিল ছাড়া বানিয়েছে। তবে মোটা এবং দামী থাঁই গ্লাস লাগাতে ভোলেনি। এমনকী ঘরের সঙ্গে লাগোয়া বারান্দায়ও হাফ ইট দেওয়া। পুরোটা ভরেনি। তবে এই খোলামেলা পরিবেশটাকেই আজ বেশ বিরক্ত লাগছে। যদি ছোট্ট মুরগীর খোপই বানাতো,মিঠি কী পারতো পালিয়ে যেতে? মনের ভেতর থেকে অজানা এক সত্তা জবাব দেয়, যে পালাতে চায়,তাকে কী আঁটকে রাখা যায় রে পাগল? মুনীফের বুক চিঁড়ে বেরিয়ে আসা দীর্ঘশ্বাস মিস্ত্রিকে পর্যন্ত অন্যমনস্ক করে দিলো। সিগারেটে পোড়া কালো ঠোঁট নাড়িয়ে তিনি বললেন,

-ভাইয়ের মনে হইতাছে মন খারাপ। মন খারাপ থাকলে গ্রিল লাগাইতেছেন কেন? এমনিতেই কত সুন্দর লাগতাছে। ঢাকার মধ্যে এরকম খোলামেলা বাড়ি তো আজকাইল চোক্ষেই পড়ে না। দেশের বাড়িডার কতা খুব মনে পড়ে ভাইজান।

বলতে বলতে মিস্ত্রি হতাশা মিশ্রিত শ্বাস ত্যাগ করে। মুনীফ বিরক্তমাখা গলায় জবাব দেয়,

-কথা না বাড়িয়ে দ্রুত কাজ করেন। আর যাওয়ার আগে বারান্দাটা দেখে যাবেন। বারান্দায়ও গ্রিল লাগাবো পুরোটা।

-আচ্ছা ভাইজান।

সিথি ঘরে উঁকি দেয়। গুমোট মুখে ডাকে,

-ভাইয়া।

মুনীফ তাকাল। সিথি হাত ইশারায় কাছে ডেকে নেয়। সিথি মন খারাপ গলায় বলল,

-আগেই সুন্দর লাগতো আমাদের বাড়িটা। যে দেখতো সেই পছন্দ করত। এখন কেন চারিদিকে গ্রিল দিয়ে জেলখানা বানাচ্ছো?

মুনীফ হঠাৎ থমকায়। আসলেই তো, মিঠি কে তার? কেউ না! হুট করে কথা পাকাপাকি, এরপর বিয়ে। মেয়েটার সাথে খুব বড়জোর ৩-৪ বার কথা হয়েছে। তাও খুব গুরুত্বপূর্ণ কোনো কথা নয়। সেই মেয়েটা তার কথা চিন্তা না করে,তার সম্মানের কথা না ভেবে ফাঁকি দিয়ে চলে গেছে। আর মুনীফ কীনা তার উপর জেদ করে নিজের এত বছরের পুরোনো ভালোলাগাটাকে পাল্টে ফেলতে চলেছে! মুনীফ তৎক্ষনাৎ ঘরে গেল। মিস্ত্রি সবেমাত্র অল্প একটু কাজ শেষ করেছে। মুনীফ তাকে মানা করে দিলো সেই মুহূর্তে। মিস্ত্রি হতবাক। গলা খাঁকারি দিয়ে মুনীফ বলল,

-যেমন আছে তেমনই থাকুক। আপনি যেটুকু লাগিয়েছেন, তাও খুলে ফেলেন। চিন্তা করবেন না,আপনার টাকা আপনি পাবেন।

মিস্ত্রি অবাক হলেও মনে মনে খুশি হলো। কিছু কিছু জিনিস,বস্তু,বাড়ি,জায়গা আছে- যা দেখলে অদ্ভুত একটা ভালোলাগা,একটা টান সৃষ্টি হয়। তারও হয়েছে এই বাড়িটার প্রতি। তাই এর রূপ পরিবর্তন করতে গিয়ে নিজেরও খুব একটা ভালো লাগছিল না। উপরন্তু মুনীফের মানা করায় সে আরও খুশি-ই হলো….

মুনীফ এসেছে বসার ঘরে। কেন যেন বড্ড অস্থির হয়ে উঠেছে আজ মনটা। এই অস্থিরতার পেছনের কারণ কী,তা সে নিজেও জানে না। তবে নিজেকে আর অশান্ত করতে চাইছে না বিধায় আজ অনেকদিন পর এসেছে একটু টিভি দেখতে। যদিও মুনীফের খুব একটা সময় হয় না টিভি দেখার, তার দেখার প্রতি সেরকম আগ্রহও নেই! টিভিঘরে সিথি বসা। মুনীফকে দেখে সে চমকে বলল,

-তুমি টিভি দেখবা?

রয়েসয়ে মুনীফের জবাব,

-তাতে এত অবাক হওয়ার কী আছে! বুঝলাম না। দে, রিমোট দে এদিকে…

সিথি এক বাক্যেই রিমোট এগিয়ে দিলো। মুনীফ চ্যানেল ঘুরায়। কতক্ষণ খবরের চ্যানেল,কতক্ষণ সিনেমার চ্যানেল,কতক্ষণ গানের চ্যানেল পাল্টে একটা বিদেশী ন্যাচারাল চ্যানেলের সামনে এসে থামলো। এমন একটা ভাব করছে,যেন খুবই মনোযোগ দিয়ে দেখছে সে। সিথি চুপচাপ ভাইয়ের কর্মকান্ড দেখল। তার হঠাৎ মনে পড়ে গেল একটি কথা।
সিথি ডাকলো,

-ভাইয়া।

-বল!

টিভি থেকে চোখ সরালো না মুনীফ। সিথি বলল,

-ভাইয়া, মা না আবার পাগলামি করছে।

-কী পাগলামি?

এবার মুনীফ তাকাল,তার চোখেমুখে জানার আগ্রহ।

-আম্মু আবার তোমার বিয়ে দিতে চায় তাও নাকী ২-৩ দিনের মধ্যে। যাতে করে মিঠি ভাবী আবার যদি কখনো আসেও, তুমি যাতে তাকে এক্সেপ্ট কর‍তে না পারো,তাই।

-হোয়াট!

মুনীফের চোখজোড়া বড় বড় হয়ে উঠল। চোখ খিঁচে সে বলল,

-মা কী পাগল! আমি তাকে হাজারবার বলেছিলাম, এখন এসব বিয়েটিয়ের ব্যাপার না তুলতে। আমি আমার ব্যবসা নিয়ে ভালোই তো আছি,আলহামদুলিল্লাহ। না সে নাচতে নাচতে গেছে মেয়ে দেখতে। নিজেই মেয়ে দেখছে,নিজেই বিয়ের দিনতারিখ ঠিক করছে,আমিও চুপচাপ সব মেনে নিলাম। এখন যখন মেয়েটা পালালো, তখন আবারও আমার বিয়ের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে! এবার একদম বেশি হয়ে যাচ্ছে।

মুনীফ উত্তেজিত হয়ে উঠে যেতে নিলে সিথি আঁটকে দিলো। মিনমিনিয়ে বলল,

-ভাইয়া, এখন মা’কে কিছু বলিস না প্লিজ। আমি আর বাবা বোঝাচ্ছি তো। দেখি কী হয়। তুই আপাতত শান্ত থাক। আসলে, পাড়ার অনেকেই মা’কে খোঁচা মেরে নানান কথা বলছে। মা সেগুলো সহ্য করতে না পেরে..

-কেউ কী একবেলার চাল এসে দিয়ে যায় বাসায়? তাহলে কে কী বলল, তা পাত্তা দিয়ে লাভ কী?

-সেটা তুই আমি বুঝলেও মা’কে বোঝাই কী করে। মা তো মা-ই। সে যা ভাবছে,সেটাই ঠিক! তুমি আপাতত মা’কে কিচ্ছুটি বলো না। বাবা’কে আমি জানিয়েছি। বাবাও বিরোধিতা করেছে৷ বাবা-ই মা’কে বোঝাবে। তুমি আমি চুপ থাকি,এটাই ভালো।

মুনীফ শান্ত হলো। সোফার উপর বসল আবারও। টিভির দিকে তাকিয়ে বাকীটা সময় মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করল, কিন্তু খুব একটা সফল হতে পারল না।

____

বাজার পেরিয়েছে অনেকক্ষণ আগে। একটা নিস্তব্ধতায় ভরা জঙ্গলের মাঝ দিয়ে হেঁটে চলেছে মিঠি, সঙ্গে চারজন যুবক। মিঠির বুকটা কেন যেন ভয়ে দুরুদুরু করছে। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় জানান দিচ্ছে,খুব খারাপ কিছু হতে চলেছে। কিন্তু কী যে হতে চলেছে,তা মিঠি ভেবে পাচ্ছে না। তবে একটি প্রশ্ন মনের দরজায় বারবার কড়া নাড়ছে। সজলকে বিশ্বাস করা কী ভুল হলো? তার কী উচিত ছিল চুপচাপ ঢাকায় চলে যাওয়ার? নাকী ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে সে নিজের জীবনে নিজেই বিপন্নতা ডেকে আনছে? ফাঁকা ঢোক গিলে মিঠি। সজলের তেমন কোনো আহ্লাদ চোখে পড়ছে না। সে চুপচাপ হেঁটে চলছে। মিঠির দিকে দ্বিতীয় বার চোখ তুলেও তাকাচ্ছে না। এমন তো হওয়ার কথা নয়! বরং মিঠির পাশে দাঁড়িয়ে তার হাতটা শক্ত করে চেঁপে ধরে তবে না হাঁটার কথা সজলের! সে-ই তো ভরসা জোগাবে মিঠিকে। তা না,সে হাঁটছে নিজের মতো,একটা গুমোট ভাব নিয়ে৷ অপরদিকে বাকী তিনটে ছেলে বারবার মিঠিকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে। তারপর কী যেন চাপা স্বরে বলে আর হাসাহাসি করে। দিশেহারা বোধ করছে মিঠি। সে অকস্মাৎ ডেকে উঠল সজলকে,

-এই সজল…

সজল ভ্রু কুঁচকে তার দিকে চাইলো। থমকে দাঁড়াল আরও তিন জোড়া পা…

-আমরা বাজার ছেড়ে আসছি। কাজী অফিস বাজার ছাড়া আর কোথায় পাওয়া যায়? আর এই জঙ্গল দিয়েই বা কোথায় যাচ্ছি?

সজলের বদলে বাদল এগিয়ে এসে জবাব দিলো,

-সামনে আরেকটা বাজার আছে,সেখানেই যাচ্ছি আমরা। আর বিয়ের আগে টাকাপয়সারও তো ব্যবস্থা করতে হবে আপু। আপনার কাছে আছে নাকী টাকাপয়সা?

মিঠির এত রাগ হলো! সে তৎক্ষনাৎ ধমকে উঠে,

-আপনি সবসময় আগ বাড়িয়ে জবাব দেন কেন? আমি সজলকে জিজ্ঞেস করেছি, আপনাকে না।

-একটু চুপ থাকো না তুমি!

সজলের মুখে বুলি ফোঁটে। মিঠির অংক মিলে যায়। সজলের কোনোপ্রকার ভালোবাসা নেই তার প্রতি। তবে এই মিথ্যে বিয়ের কথা কেন বলল? আর কোথায়-ই বা নিয়ে চলেছে তাকে? মিঠি বলল,

-আমি এই বিয়ে করব না। আমি…আমি বাসায় চলে যাবো। আমি একাই যেতে পারব, আপনাদের কারো আসতে হবে না সাথে। আর সজল.. তোমার আমার ভাগ্য একত্রে লেখা নেই। এটাই ভেবে নিলাম। ভালো থেকো…

দ্রুত কেটে পড়ার চেষ্টা করে মিঠি। তার গলা শুকিয়ে কাঠ,মুখটাও শুকিয়ে এইটুকুন হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে হৃদপিণ্ডটা গলার কাছে উঠে এসেছে। যেকোনো মুহূর্তে দম ফুরিয়ে যাবে যেন!

সজল হতভম্বের ন্যায় চেয়ে রইলো। রাগে ফেটে পড়া বাদল কিছুতেই মিঠিকে হারাতে ইচ্ছুক নয়। সে খপ করে মিঠির একটা হাত টেনে ধরে। মিঠি শিউরে উঠল। পেছন ফিরে বাদলকে হাত ধরতে দেখে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়,

-আপনি আমার হাত ধরছেন কেন!

-তুই এখানে আসছিস তোর ইচ্ছায়,যাবি আমাদের ইচ্ছায়…

মিঠির চোখ কপালে ওঠে। তবে কী তার মনে চলা সন্দেহই ঠিক! আখিজোড়া ঘোলা হতে শুরু করল। ছলছল চোখে সে তাকালো সজলের দিকে, সজল কাঠ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে দেখে কান্নারা ভেঙে পড়ল। মিঠি জোরাজুরি লাগিয়ে দেয়। মিনতির স্বরে বলল,

-প্লিজ, আমি আর কক্ষনো সজলের সামনে আসবো না। ওকে ডিস্টার্বও করব না। তবুও আমার সাথে এটা করবেন না প্লিজ!

বাদলের ঠোঁটে ক্রুর হাসি। মিঠির সাথে ধস্তাধস্তি করে পারছে না একা। সে ডাক দিলো অভিকে,তমালকে..

-দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া দেখোস কী? ধর এইটারে..

অভি,তমাল দু’জনেই এগিয়ে আসে। তিনটি নরপিশাচ হামলে পড়ে মিঠির শরীরের উপর। মেয়েদের শরীরে লুকোনো গোপন রত্ন গুলোই কোনো না কোনো সময় দুর্ভাগ্যের কারণ হয়ে দাঁড়ায়! মিঠিকে না দেখলে তা বোধকরি উপলব্ধি হতো না! মিঠি চিৎকার করার চেষ্টা করতেই একটা হাত তার মুখের উপর চেপে দেয় বাদল। মিঠি সুযোগ পায়। দাঁত দিয়ে শরীরের সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে। বাদল হাত সরিয়ে গুঙিয়ে উঠল। অভি,তমাল দু’জনেই একটু দূরে সরে দাঁড়াতেই মিঠি জান নিয়ে দৌড় দেয়। খুব বেশিদূর এগোতে পারে না। তার আগেই জানোয়ারের দল ঘিরে ধরল তাকে। মাটিতে ধপ করে বসে পড়ে কাঁদতে শুরু করে মেয়েটি। দু’হাত জোর করে মিনতি করে নিজের জীবন ভিক্ষা দেওয়ার জন্য। দূর থেকে সবটাই দেখছে সজল। কেন যেন মায়া হলো তার। চোখের সামনে নিজের ছোট বোনটির মুখ ভেসে ওঠে। নিজেকে দমাতে পারছে না কোনোমতেই। তড়িঘড়ি করে এসে বাদল,অভি আর তমালকে আঁটকালো সে। সজল বলল,

-বাদল থাম,তোর একটা ছোট বোন আছে। ভুলে যাস না কথাটা। আমরা খারাপ, কিন্তু এতটাও না যে একটা মেয়ের জীবন নিয়ে খেলব।

অভি বাঁকা ঠোঁটে বলে,

-পুরোনো প্রেম উথলায়ে উঠছে নাকি?

-পুরোনো প্রেম উথলাক আর যা মন চায় তাই হোক, একবার যখন ধরছি তখন আর ছাড়াছাড়ি নাই। তোর ভালো না লাগলে তুই যা এখান থেকে..

বলে সজলকে ঠেলে সরায় বাদল। সজল সরে না। পুনরায় তিন বন্ধুকে বোঝানোর চেষ্টা চালাতে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় একে অপরের মধ্যে। এরই ভেতর মিঠি উঠে দৌড় লাগালো। এটাই মোক্ষম সুযোগ। তাকে দৌড়াতে দেখে বাদল,অভি,তমাল সজলকে ছেড়ে মিঠির পেছনে দৌড়ে যায়। একবার পেছনে তাকাচ্ছে,আরেকবার প্রাণপণে দৌঁড়াচ্ছে মিঠি। আবার পেছন ফিরে তাকাচ্ছে,দৌঁড়াচ্ছে। মিনিট দুইয়ের মাথায় টাল সামলাতে না পেরে একটা বড় গাছের সঙ্গে বারি গিয়ে ওখানেই বেহুশ হয়ে পড়ে সে। উপস্তিত চারজনই থমকে গেল। মাথার এক অংশ দিয়ে গলগল করে বেরিয়ে আসা তাজা রক্ত তাদের চারজনের বুকেই হাতুড়ি পেটা করছে। তমাল ভয়ে ভয়ে এগিয়ে এসে মিঠির নাকের সামনে দু-আঙুল উঁচু করে ধরল। পরমুহূর্তেই ছিটকে উঠে বলল,

-মাইয়ার দেহি শ্বাস পড়তাছে না। মামা, মাইয়া তো শেষ…

-কিইহহহ!

সজল চমকে দৌঁড়ে আসে। মিঠির বুকের মধ্যে কান পেতে হৃদপিণ্ডের ধুকপুক শুনতে চাইলো, আশ্চর্য, কোনো উঠানামা নেই! তবে কী মিঠি….
সজল অবিশ্বাস্য চোখে বাদল,অভি আর তমালের দিকে চাইলো। একটু দূরেই বাদল দু’হাত মাথায় দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে