#মনের_গহীনে_শুধুই_তুমি
#পর্ব_29, (#something_special) নতুন পর্ব
#Mst_Meghla_Akter_Mim
সূর্য অস্ত গেছে বেশ কিছুক্ষণ আগে। আকাশে এখন চাঁদের রাজত্ব চলছে, সেই এখন এই বিশাল আকাশের একমাত্র রাজা। পৃথিবীতে আলো দিয়ে এক অপরূপ সৌন্দর্যে ভরে তুলেছে। আকাশে তারার মেলা আজ সাথে জোনাকি পোকা ঘুরে বেড়াচ্ছে। রোদের বাড়ির ছাদ দেখে কিছুতেই বুঝা যাচ্ছে না এখন রাত। পুরো ছাদ অপরূপ লাগছে। ছাদের পাশ দিয়ে জ্বলন্ত প্রদীপ ছাদ কে আরো সুন্দর করে তুলেছে। দোলনায় প্যাচালো ফুল গুলো আরো জ্বলজ্বল করছে। এই অপরূপ সৌন্দর্য নন্দিত ছাদে এক রমণী আকাশের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার পরনে সাদা রঙে শাড়ি এই আলোয় আরো আলোকিত লাগছে। এই ছাদের রানী যেনো সে। সে আর কেউ না মেঘ! আপন মনে ছাদের পাশে দাঁড়িয়ে আছে আর রোদ এর জন্য অপেক্ষা করছে। জোনাকি পোকার আলোয় মুগ্ধ মেঘ। একটা জোনাকি পোকায় স্পর্শ করে মেঘ বললো,.
“তোমাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার এই দিন টা কে আরো সুন্দর করে তোলার জন্য। প্রদীপ দিয়ে আলো এত সুন্দর লাগত না কিন্তু তোমাদের জন্য এই সাধারণ ছাদও অসাধারণ লাগছে।”
ধীর পায়ে হেঁটে দোলনায় গিয়ে বসলো। মুচকি হাসি দিয়ে ফুল গুলো স্পর্শ করলো। আকাশের দিকে তাকিয়ে বললো, “আজ কি আমার জন্য ই প্রকৃতি এত সুন্দর করে সেজেছে নাকি সত্যি প্রকৃতি সবসময় এত সুন্দর কিন্তু আমি খেয়াল করিনি?”
কিছুক্ষণ চুপ থেকে আবার নিজে নিজে বললো,” না প্রকৃতি আজ একটু বেশি ই সুন্দর। আর সুন্দর তো হবেই কারণ আজ যে রোদ্দুর জানবে আমি ই তার হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসা।”
দোলনা থেকে উঠে দু এক কদম করে হাঁটছে মেঘ আর বলছে,” ভালোবাসা কত সুন্দর! এই পৃথিবীতে ভালোবাসা সর্বত্র ছড়িয়ে আছে যেনো। ভালোবাসা আর ভালোবাসা তা ছাড়া পৃথিবীতে কোনো কিছুর ই মূল্য নেই।”
ছাদের দরজার দিকে বারবার তাকাচ্ছে কিন্তু রোদের দেখা নেই। মেঘের সময় যেনো যাচ্ছে না, অস্থির হয়ে পড়ছে রোদের জন্য। আজকের এই সাজ, শাড়ি আর এই পরিবেশ শুধুই তো রোদের জন্য। মেঘ চায় আজকেই রোদ কে তার পরিচয় জানাবে আর আজ রাত বারো টার পর রোদের জন্মদিন ভালোবাসার রঙে রঙিন করে দিবে। রোদের জন্মদিনে মেঘের পায়েল পরিচয় পাওয়া ই সবচেয়ে বড় উপহার হবে হয়তো। মেঘ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো শবে ছয় টা সাতান্ন বাজে। আবারো অপেক্ষা করতে থাকলো রোদের জন্য।
__________
সমস্ত কাজ শেষ করে রোদ বাড়িতে আসলো। ড্রয়িং রুমে মেঘ কে না দেখতে পেরে ঘরে চলে গেলো, ভাবলো হয়তো আবারো শরীর খারাপ করেছে। কিন্তু পুরো ঘর খুঁজেও মেঘ কে পেলো না। রোদ চিন্তিত হয়ে পড়লো, মেঘ কোথায় গেলো? মৌ ইসলাম তো নিচেই ছিল তাহলে মেঘ কই? ঘর থেকে বেরোতে নিতেই বেড সাইড টেবিলে চোখ পড়লো রোদের। টেবিলে একটা ধূসর রঙের চিরকুট। কি আছে এতে রোদের জানা নেই। চিরকুটের উপরে বড় বড় করে লেখা “চিন্তার কিছু নেই আমি ঠিক আছি”
রোদ বুঝলো এইটা মেঘের কাজ কিন্তু কোথায় ও? চিরকুটের ভাঁজ খুলল রোদ। লেখা আছে,
” ছাদে চলে আসুন তাড়াতাড়ি। বেডের উপরে আপনার জন্য রাখা একটা পাঞ্জাবী আছে! ওইটা পড়ে চলে আসুন। না পড়ে আসবেন না কিন্তু!”
রোদ চিরকুট হাতে রেখেই বেডের দিকে তাকিয়ে দেখলো একটা কালো রঙের পাঞ্জাবী। রোদ হাসল। চিরকুট রেখে পাঞ্জাবী হাতে নিয়ে মনে মনে বললো,
-“কি করতে চায় মেঘ? মেয়েটা বড্ড অদ্ভূত! যাইহোক যা বলেছে তাই করি।”
ওয়াশ রুমে গিয়ে পাঞ্জাবী টা পড়ে রোদ বেরিয়ে আসলো। আলমারি খুলে দেখলো সেই শাড়ি টা নেই! রোদ আবারো খুশি হল। বিড়বিড় করে বললো,
-“তাহলে এই ব্যাপার বিবি জান!”
একটা কি যেনো রোদ পকেটে নিয়ে ছাদের উদ্দেশ্যে পা বাড়াল। ছাদের দরজায় গিয়ে রোদ থমকে গেলো। রোদের চিরকুটে আর ভাবনার চেয়েও সুন্দর করে মেঘ অপেক্ষা করছে। আর মেঘ বারবার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে। বাহ মেঘ কে দারুণ লাগছে, রোদ যেনো চোখ সরাতে পারছে না।
জোনাকি পোকার ঝাঁক রোদের মুখের সামনে ঘুরছে। রোদ তার প্রেয়সীর দিকে পা বাড়াতে থাকে। সে পায়চারি করছে, রোদ ধীর পায়ে একটু এগিয়ে গিয়ে একটু কাঁশি দিলো যাতে মেঘ ঘুরে দাঁড়ায়। মেঘের মুখে হাসি ফুটে উঠলো। রোদের দিকে তাকিয়ে ভুবন ভোলানো হাসি দিলো কিন্তু কোনো কথা বললো না। রোদ কে একটু দেখলো তারপর খেয়াল করলো রোদ তাকিয়ে আছে তাই লজ্জায় চোখ নামিয়ে নিলো।
রোদ মেঘের একদম কাছে গিয়ে বললো, “এত আয়োজন কিসের জন্য?”
মেঘ মুখ তুলে বললো, “আপ্নার তো জানার কথা!”
-“আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না মেঘ। তবে তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে।”
মেঘ হাসল।মাথা নিচু করে বললো,” পাঞ্জাবী পছন্দ হয়েছে? আপনাকে অনেক সুন্দর লাগছে কিন্তু।”
-“হুম পাঞ্জাবী পছন্দ হয়েছে। কিন্তু এই শাড়ি টা চেনা চেনা লাগছে আমার।”
মেঘ হাসি মুখে বললো,” আরো অনেক কিছুই চেনা লাগবে এখন।”
রোদ কিছু না বুঝার ভান করে বললো,” মানে?”
মেঘ রোদের কথার উত্তর না দিয়ে হাত ধরে দোলনার পাশে নিয়ে গেলো। রোদ ছাদের দরজার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে। রোদের বেশ ভালো লাগছে কারণ সে জানে মেঘ তাঁকে কি বলতে চাইছে। মেয়েটার ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ আরো কত সুন্দর হতে পারে তা দেখার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। মেঘ রোদ কে দাঁড়িয়ে রেখে বললো,
–” একটু দাঁড়িয়ে থাকুন।”
–“কি করছো তুমি বুঝতে পারছি না কিছুই কিন্তু।”
মেঘ উত্তর না দিয়ে একটু হাসি দিয়ে ছাদের কোণের দিকে এগিয়ে গেলো। রোদ দেখলো ছাদের কোণে একটা টেবিলে কি যেনো ঢাকা সেখান থেকে মেঘ একটা কাগজ নিয়ে এসে আবারো রোদের সামনে দাঁড়ালো। রোদ মেঘের দিকে তাকিয়ে আছে আর মেঘ কাগজ টা রোদের হাতে দিয়ে বললো,
–” এইটা পরে দেখে নিবেন।”
রোদ কাগজ টা এদিক ওদিক করে বললো, “কি এইসব! বলবে ঠিক ভাবে?”
–“হুম সব বলার জন্য ই তো আজকের দিন। আজ আপ্নার হারিয়ে যাওয়া সবকিছু ফিরিয়ে দিবো আমি।”
রোদ এই কথা না বুঝার ভান করলো। মেঘ কথা বলা আবারো শুরু করবে তার আগে সে খুব লজ্জা পাচ্ছে কিভাবে কি বলবে বুঝে উঠতে পারছে না। রোদ ঠোঁট চেপে হেসে মেঘের লজ্জা মাখা মুখ দেখছে। এর মাঝে ছাদের দরজায় কারো ছায়া দেখতে পেলো। রোদের মুখ মুহূর্তেই বদলে গেলো। এ দিকে মেঘ বললো,
–“রোদ আমি আপ্নার…..”
বলে লজ্জা তে আর কিছু বলতে পারছে না। রোদ মেঘ কে ইশারা করে থামানোর চেষ্টা করছে যাতে আর কিছু না বলে। মেঘ তার আসল পরিচয় দিলে ছাদের দরজার পাশে যে লুকিয়ে আছে সে শুনবে আর সে নিশ্চিত মেঘের ক্ষতি করতে চাইবে। রোদের ইশারার দিকে নজর না দিয়েই মেঘ বললো,
–“আমি ই আপ্নার হারিয়ে যাওয়া পায়েল! আপনার জীবনের প্রথম ভালোবাসা!”
কথাটা শুনে রোদের ভালো লাগলেও সাথে ভয় বেড়ে গেলো। মেঘ হাস্যজ্জ্বল মুখ করে রোদের দিকে তাকালো কিন্তু রোদের চেহারায় খুশির কোনো ছাপ দেখতে পেলো না। রোদ খেয়াল করলো ছায়া টা আরো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। মেঘ রোদের হাত স্পর্শ করে বললো,
–“আপনি খুশি হোন নি? আমি ই আপনার….”
মেঘের কথা শেষ হওয়ার আগেই রোদ সজোরে মেঘের গালে থাপ্পড় বসিয়ে দিলো। থাপ্পড় টা দিতে রোদের বুকের মাঝে দুমরে মুচড়ে যাচ্ছিল কিন্তু মেঘের প্রাণ বিপদে ফেলার চেয়ে এই থাপ্পড় ই ভালো বোধহয়। মেঘের চোখ থেকে দু ফোঁটা পানি পড়ল। গালে হাত দিয়ে রোদের দিকে তাকালো।
মেঘ কষ্টে কথা বলতে পারছে না। চোখ ধাপসা হয়ে আসছে তবুও কান্না মাখা কণ্ঠে বললো, “রোদ আপনি আমায় মারলেন!”
রোদ মনে মনে মেঘের দিকে তাকিয়ে ভাবছে, “ক্ষমা করে দিও আমায়। তোমার ভালো র জন্য আজ তোমার গায়ে হাত তুলতে বাধ্য হলাম।”
কিন্তু রোদ মেঘ কে সোজা করে দাঁড়িয়ে দিয়ে বললো,”একটা থাপ্পড় কম হয়েছে তোমার জন্য। দরকার ছিল তোমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া! তোমার সাহস কিভাবে হয় আমার আলমারি থেকে শাড়ি নেয়ার হ্যাঁ? লোভ এত কেনো তোমার? আমার মত বড় লোক বাবার ছেলেকে ফাঁসিয়ে বিয়ে করেছিলে এইসবের জন্য ই তাইনা? তোমাদের মত থার্ড ক্লাস মেয়েরা এইসব ছাড়া কিছুই পারে না। এখন আমার পায়েল কে নিয়ে গেম শুরু করেছো। ইচ্ছা করছে তোমাকে মেরে ফেলতে। ”
মেঘ ধাক্কা খেলো খুব। ভেবেছিব যা তার পুরো উল্টা হল সবকিছু। থমথমে হয়ে গেলো মেঘ, শুধু করুন দৃষ্টিতে রোদের দিকে তাকিয়ে আছে ।চোখ থেকে পানি ঝরছে অঝরে! মেঘের এই চাহনি রোদ সহ্য করতে পারছে না। মেঘ কে একটু নাড়া দিলো রোদ তারপর আবার আক্রোশ ভরা কন্ঠে বললো,
— “কি হলো চুপ কেনো? সব গেম শেষ? কথা ফুরিয়ে গেছে?”
মেঘ এইবার জোরে কেঁদে ফেললো। কান্না মাখা কন্ঠে বললো, “আমি মিথ্যা বলছি না। একবার আমার কথা শুনুন। এতদিন একসাথে থেকেও কি বুঝতে পারেন নি আমি কেমন? আপনি কি আমায় ভালবাসেন না রোদ্দুর!”
মেঘের কথা তীরের মতো বিদ্ধ হল রোদের বুকে। মেয়েটার কষ্ট নিতে পারছে না রোদ। তবুও চোখ বন্ধ করে নিজেকে একটু সামলে নিয়ে চিৎকার করে বললো,
–” না আমি ভালোবাসি না তোমায় ।থার্ড ক্লাস মেয়ে কোথাকার?!আজ থেকে আমার সামনে আসার চেষ্টা করবে না। ”
মেঘ কিছু বলতে নিবে তখন ই নিচে থেকে আয়রার কণ্ঠ আসলো। আয়রা চিৎকার করে রোদ কে ডাকছে। রোদ মেঘের কোনো কথা না শুনে ছুটে নিচে যাওয়ার জন্য পা বাড়াল। রোদের চোখে পানি টলমল করছে। কয়েক সিড়ি নামার পর রোদ ইশা চৌধুরী কে দেখতে পেলো উনি সিড়ির পাশে দাঁড়িয়ে আছে। রোদের বুঝতে বাকি রইলো না ইশা চৌধুরী ই ছিল ছাদের দরজার আড়ালে। রোদ নিজেকে স্বাভাবিক করে বললো,
–“চাচী তুমি এখানে কি করছো?”
ইশা চৌধুরী ঘাবড়ে গেলো কিন্তু তা লুকানোর চেষ্টা করে বললো, “তোকে ই ডাকতে এসেছিলাম। নিচে চল সবাই ডাকছে।”
রোদ ভ্রু কুঁচকালো। বিরক্তি প্রকাশ না করে বললো,” চল যাচ্ছি।”
___________
রোদ চলে যাওয়ার পর মেঘ আর নিজেকে সামলে রাখতে পারলো না। মাটিতে বসে পড়লো, সাথে সাথে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো। মেঘ চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করলো। চিৎকার করে বলছে,
–“বিধাতা এইটা ই হওয়ার ছিল? উনি আমার কোনো কথা না শুনেই আমাকে এই ভাবে অপমান কেনো করলো। ভেবেছিলাম ভালোবাসা এইবার হয়তো পাবো কিন্তু যেটুকু ভালোবাসা পেয়েছিলাম তাও তো কেড়ে নিলে।”
কিছুক্ষণ বৃষ্টির ভেতরে কান্না করলো মেঘ। তার পর নিজেকে শক্ত করে উঠে দাঁড়িয়ে বললো,
–” না আমি ভেঙ্গে পড়ব না। এইবার রোদের পরীক্ষা। ”
ছাদ থেকে রুমে এসে ড্রেস চেঞ্জ করে নিলো। কিন্তু কিছুক্ষণ বৃষ্টি তে ভেজায় মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে, সাথে সাথে মাথা ঘুরছে। কিন্তু মেঘ সেদিকে নজর না দিয়ে ফোন স্ক্রিনে মৌ ইসলামের ছবির দিকে তাকিয়ে কাঁদো কাঁদো হয়ে বললো,
–” মা তোমাকেও আর বলা হবে না আমি ই তোমার মেয়ে। চলে যাবো আমি বহুদূরে। কোনোদিন জানতে দিবো না কাউকে আমি ই পায়েল।”
__________
ড্রয়িং রুমে পিন পিনে নীরবতা বিরাজ করছে। রোজা চৌধুরী আর মৌ ইসলাম একপাশে দাঁড়িয়ে আছে। নীল ইসলাম আর আদিল চৌধুরী চিন্তিত মুখে বসে আছে। প্রিন্স, ঈশান, আয়রা আর ইহানার মুখ ও শুকনো। সবার সামনে দাঁড়িয়ে আছে একটা অচেনা মেয়ে তার ঠিক পাশে অবুঝ চৌধুরী। রোদ ড্রয়িং রুমে এসে সবার দিয়ে একবার তাকিয়ে কিছুই বুঝলো না। আদিল চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে বললো,
–“কি হয়েছে আব্বু?”
আদিল চৌধুরী উঠে দাঁড়ালো কিন্তু কোনো উত্তর দিলো না। রোদ মৌ ইসলাম আর রোজা চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে খেয়াল করলো সামনে একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। রোদ ভ্রু কুঁচকে বললো,
–“কে এই মেয়ে?”
অবুঝ চৌধুরী মুখে হাসি টেনে রোদের কাছে এসে রোদ কে জড়িয়ে ধরলো ।রোদ বললো,
–” চাচ্চু কিছু বলছো না কেনো? জড়িয়ে ধরলে কেনো?”
অবুঝ চৌধুরী রোদ কে ছেড়ে মুখে হাসি টেনে বললো, “এই মেয়েটা ই পায়েল রোদ! মেয়েটা নিজের পরিচয় জেনেই তোর কাছে ছুটে এসেছে। ”
.
চলবে…..
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।