ভুলতে পারব না তোকে পর্ব-১২+১৩

0
931

#ভুলতে_পারব_না_তোকে❤
#Part:12
#Writer: Unknown Writer

সাগর যে আজ নিজের মধ্যে নেই তা নদী খুব বুঝতে পারছে। তাই নদী নিজের মুখটা পাশ ফিরিয়ে চোখ বন্ধ করে সাগরকে বলল
–আমি জানি না স্যার৷ আমি কিছু জানি না। আপনি কি এখন আমার সাথে জোরাজোরি করবেন?
সাগরের এবার ধ্যান ফিরল ও কি করছে এসব। সাগর দেখতে পেল নদীর হাত সাগর এতোটা জোরেই চেপে ধরেছে যে নদীর হাতটা লাল হয়ে গেছে। সাগর নদীকে ছেড়ে দিয়ে বিছানার একপাশে বসে কপালে হাত দিয়ে মনে মনে বলতে লাগল
–আমি এসব কি করছি নদীর সাথে! নদীর সাথে এমন করলে নদী আমাকে আরো ভুল বুঝবে। এটা কি করে হতে দেই আমি! আমি ধীরে ধীরে পাগল হয়ে যাচ্ছি। নদী আমাকে পাগল বানিয়ে তবেই ছাড়বে।
নদী এখনো একইভাবে বিছানায় শুয়ে আছে। সাগর নদীর দিকে তাকিয়ে দেখল নদী ঠিকমতো শুয়ে নেই। নদীর পেটের ওপরে জামা উঠে আছে। এমনকি নদীর গায়ে ওড়নাটাও নেই। সাগর বিছানার একপাশ থেকে নদীর ওড়নাটা হাতে নিয়ে নদীর মুখে ছুঁড়ে ফেলে বিছানা থেকে নেমে উঠে দাড়িয়ে চোখ বন্ধ করে নদীকে বলল
–নিজেকে তুই কি ভাবিস নদী? আমি চরিত্রহীন এটাই ভাবিস তুই? তোর শরীরে ওড়নাটাও নেই। তুই কি ভাবিস আমি তোর শরীর দেখে তোকে ভালোবেসেছি? অসভ্য মেয়ে একটা।
সাগর দেয়ালের একপাশে ঘেঁষে বসল। নদীর দিকে সাগর ফিরেও তাকাল না। নদী শুয়া থেকে উঠে বসে শরীরে ওড়না জড়িয়ে সাগরের দিকে তাকিয়ে দেখে সাগরের চোখে পানি। নদী বুঝতে পারল না সাগর কেন কাঁদছে। নদী বিছানা থেকে তাড়াতাড়ি উঠে সাগরের কাছে গিয়ে বসে সাগরকে বলল
–স্যার আমাকে আপনি ক্ষমা করে দিন। সব দোষ আমার। আমি বুঝতে পারি নি আপনি এভাবে আমার কথায় রাগ করবেন।
সাগর নদীর দিকে তাকিয়ে একটা শুকনো হাসি দিয়ে বলল
–নিজেকে অপরাধী বানাচ্ছিস নাকি আমাকে অপরাধী করছিস নদী?
সাগরের কথা নদী বুঝতে পারল না৷ নদী সাগরকে বলল
–মানে কি স্যার?
–তুই বুঝবি না।
সাগর অনেক্ষণ চুপ থেকে কি যেন ভাবতে লাগল। নদীর মাথায় আসছে না সাগর কি ভাবছে। হঠাৎই সাগর আবার নদীকে বলল
–তোকে আমায় ভালোবাসতে হবে না নদী৷ শুধু আমাকে তোকে একটু ভালোবাসতে দিস তাহলেই হবে।
–স্যার আপনি আপনার রুমে যাবেন না?
–না যাবো না। এটা আমার বাড়ি তাই আমি যেখানে মন চায় সেখানে থাকতে পারি। তাতে তোর কি?
নদী আর কিছু বলল না। চুপ করে থাকল। হঠাৎই সাগর নদীর মাথাটা নিজের বুকে চেপে ধরে বলল
–এবার ঘুমিয়ে পড়।
সাগরের এমন কান্ডে নদী অবাক হয়ে গেল। সাগরের বুকের ধুকপুকানির আওয়াজটা নদীর কানে বাজছে। নদী সাগরের বুক থেকে নিজের মাথাটা তুলতে চাইলে সাগর আবার চেপে ধরে নদীকে বলল
–কোথায় পালিয়ে যাচ্ছিস তুই নদী? বললাম তো ঘুমিয়ে পড়।
নদী অসহায় স্বরে সাগরকে বলল
–স্যার এভাবে আমি কি করে ঘুমাব? আমার তো এভাবে ঘুম আসবে না।
–অভ্যাস করে নিবি। দেয়ালে মাথা ঘেঁষে ঘুমিয়ে পড়তে পারিস আর আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে পারবি না। এটা আমাকে বুঝি বিস্বাস করতে হবে?
নদী সাগরের কথা শুনে অবাক হলো। নদীর হাত পা গুলো বরফের মতো ঠান্ডা হতে লাগল। নদীর বুকের ধুকপুকানিটাও বাড়তে লাগল। নদী মনে মনে বলল
–স্যার আমার অভ্যাস খারাপ করে ফেলছে। আমি চাইলেও স্যারের কাছ থেকে দূরে যেতে পারছি না। বড় ম্যাডামকে যে আমি কথা দিয়েছিলাম আমি স্যারের সাথে কথাও বলব না। কিন্তু এখন আমি স্যারের কত কাছে। না চাইতেও এ কোন অনুভূতি স্যার আমার মনে তৈরি করছেন! আমি যে চাইলেও এই অনুভূতি আমার মন থেকে সরাতে পারছি না।
নদী এসব ভাবতে ভাবতেই সাগরের বুকে ঘুমিয়ে পড়ল। সাগর নদীর দিকে তাকিয়ে দেখল নদী ঘুমিয়ে পড়েছে। নদীকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে একদম বাচ্চাদের মতো লাগছে। না চাইতেও সাগরের মুখে হাসি ফুটে উঠল। সাগর নদীকে জড়িয়ে ধরে মনে মনে বলল
–ভালোবাসার অনুভূতি কেমন হয় তা আমি আগে জানতাম না৷ কিন্তু আমার জীবনে নদী আসার পড়ে আমি বুঝতে পেরেছি ভালোবাসা কাকে বলে। ভালোবাসার মানুষের জন্য একটা মানুষ ঠিক কি কি করতে পারে তা আমি আজ উপলব্ধি করতে পারছি। কত মেয়েই তো আমাকে ভালোবাসত কিন্তু আমি তাদের এড়িয়ে যেতাম আর আজ নদীকে আমি ভালোবাসি কিন্তু নদী আমাকে এড়িয়ে যায়। আচ্ছা সত্যি কি ভালোবাসা সমানে সমানে হয়? ধনী গরীবের ভেদাভেদ দূর করে কি কোনো মানুষকে মন থেকে ভালোবাসা যায় না? সবাই হয়তো বলতে পারে যায় না৷ কিন্তু আমি বলতে পারি হ্যা ভালোবাসা যায়৷ আমার মনে নদীর জন্য ভালোবাসার সৃষ্টি হয়েছে আর তা চাইলেও আমি শেষ করতে পারব না। ভুলতে পারব না আমি নদীকে। কিছুতেই না। কিন্তু নদী কেন আমাকে মন থেকে মেনে নিতে পারছে না? আমি বড়লোকের ছেলে বলে নদীর মনে আমার জন্য এতোই ঘৃণা!
এসব ভাবতে ভাবতে সাগরও দেয়াল ঘেঁষে নদীকে জড়িয়ে ধরেই ঘুমিয়ে পড়ল।
.
.
.
ফজরের আজানের ধ্বনিতে সাগরের ঘুম ভাঙলো। সাগর নদীকে কোলে তুলে বিছানায় শুয়ে দিয়ে নিজের রুমে চলে গেল। কিন্তু নিজের রুমে উর্মিকে দেখেই সাগরের মেজাজটা আবারও খারাপ হয়ে যায়। সাগর হঠাৎ চিৎকার করে উর্মিকে ডাকতে লাগল
–এই মেয়ে উঠো সকাল হয়েছে। এখন আমার রুম থেকে বিদায় হও।
সাগরের এমন চিৎকার করে কথা বলায় উর্মি লাফ দিয়ে ঘুম থেকে উঠে দেখল সাগর রাগী দৃষ্টিতে উর্মির দিকে তাকিয়ে আছে। উর্মি একটা হাসি দিয়ে সাগরকে বলল
–সাগর ভাইয়া আমি তোমার রুমে আরেকটু থাকি?
সাগর রেগে চিৎকার করে উর্মিকে বলল
–একদম না৷ যাও আমার রুম থেকে বেরিয়ে যাও। যত ঝামেলা আমার রুমে এসেই জুটেছে।
উর্মি মন খারাপ করে সাগরের রুম থেকে চলে গেল। সাগর এবার একটা সস্থির নিশ্বাস ফেলে বলল
–যাক বাবা বাঁচা গেল। এই ঝামেলাটা এখন বিদায় হলো।
সাগর ফ্রেশ হয়ে নামাজ পড়ে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াল। সূর্যের লাল আলোটা কত সুন্দর লাগছে। হালকা মৃদু বাতাস বয়ে চলছে। সাগর মনে মনে বলল
–আজকাল প্রকৃতির থেকেও নদীকে বেশী ভালো লাগে আমার৷ সকাল সন্ধা নদীকেই বার বার আমার মনে পড়ে। নদী যে কবে আমার ভালোবাসাটা বুঝবে।
এটা ভেবেই সাগর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল।




#চলবে…..

#ভুলতে_পারব_না_তোকে❤
#part13
#Writer: Unknown Writer

রাত ২ টা বাজে। নদী বিছানায় ঘুমিয়ে আছে। এদিকে সাগর উর্মির মুখে আবারও স্প্রে করে নদীর রুমে গিয়ে দেখে নদী বিছানায় গায়ে চাদর জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে। এটা দেখে সাগর নদীকে আর ডাক দিল না। সাগর নদীর বিছানার পাশে মাটিতে বসে সেখানেই ঘুমাতে লাগল।
কিছুক্ষণ পর সাগর বুঝতে পারল নদীর রুমে প্রচুর মশা৷ সাগরের হাতে পায়ে মশা কামড়ে বেহাল অবস্থা করে ফেলেছে। সাগর মনে মনে বলল
–নদী এই ঘরে থাকে কি করে! উফ একে তো গরম তারওপর আবার এতোগুলো মশা৷ কি করে এতকিছু সহ্য করে নদী!
সাগর অনেকক্ষণ মাটিতে বসে মশার কামড় খাচ্ছে। সাগরের এবার রাগ হতে লাগল। তাই সাগর নদীর পাশে বিছানায় শুয়ে পড়ে। সাথে নদীর গায়ের চাদরটা টেনে নিজের শরীরেও জড়িয়ে নেয়। সাগর নদীর থেকে বেশ কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখেই বিছানায় শুয়েছে৷ কিন্তু নদী বিছানায় ঘুমের ঘোরে এদিক সেদিক নড়েচড়ে একসময় সাগরকে কোলবালিশ মনে করে জড়িয়ে ধরে৷ সাগর নদীর এমন কান্ডে কিছুটা অবাক হলেও একটা মুচকি হাসি দেয়। নদী সাগরকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। একসময় সাগর নদীকে জড়িয়ে ধরলে নদীর ঘুমটা ভেঙে যায়৷ নদী চোখ খুলে সাগরকে পাশে দেখে চিৎকার করতে নিলে সাগর নদীর মুখ চেপে ধরে।
–উম উম উম…
–একদম চুপ। এতো চিৎকার দেওয়ার কি আছে নদী?
–উম উম উম….
সাগর নদীর মুখ থেকে হাত সরিয়ে নিলে নদী শুয়া থেকে উঠে বসে নিজের গায়ে ওড়নাটা দিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় নদী সাগরকে বলল
–স্যার আ আ আপনি আবারো এখানে কেন?
–কেন তোর কি খুব বেশি সমস্যা হচ্ছে নদী?
–সমস্যা হবে না কেন স্যার? কালকে কোনোরকম আপনি বেঁচে গিয়েছিলেন কেউ জানতে পারে নি আপনি আমার রুমে ছিলেন। আর আজ আবারো আপনি আমার রুমে আসলেন। এটা যদি একবার বাড়ির কেউ জানতে পারে তাহলে কি হবে আপনি ভাবতে পারছেন স্যার?
–কি আর হবে! তোর আর আমার বিয়ে দিয়ে দিবে।
–স্যার আপনি কি আমার সাথে মজা করছেন?
–মজার কি আছে! যা সত্যি তাই তো বললাম৷
–স্যার আপনি একটা…
সাগর শুয়া থেকে উঠে বসে নদীর একদম কাছে এসে বলল
–আমি একটা কি নদী?
সাগরকে নিজের এতো কাছে দেখে নদী ঘাবড়ে গিয়ে বিছানা থেকে উঠে নিতে নিলে সাগর নদীর একহাত ধরে ফেলে৷ নদীর এবার আরো ভয় পেতে থাকে। নদী একটা শুকনো ঢুক গিলে সাগরের দিকে তাকালে দেখে সাগর নদীর হাত ধরে নদীর দিকে অদ্ভুত চাহনিতে তাকিয়ে আছে। নদী সাগরের এমন চাহনিতে পরিচিত যা নদীর মনকে এক অদ্ভুত অনুভূতি তৈরি করে৷ নদী চোখ বন্ধ করে মনে মনে বলল
–না না না আমি উনার ঐ চোখের ভাষা পড়তে চাই না। উনার চোখে এমন কিছু আছে যা আমি পড়তে চাই না। ঐ চোখের ভাষা পড়লেই আমার সর্বনাশ হয়ে যাবে।
–কি এমন ভাবছিস তুই নদী?
সাগরের কথায় নদী ভাবনার জগৎ থেকে বেরিয়ে বলল
–স্যার আমার হাতটা ছেড়ে দিন। আপনি বিছানায় ঘুমিয়ে পড়ুন আমি নিচে বিছানা পেতে ঘুমিয়ে পড়ছি।
–প্রতিদিন আমার সাথে রাত জেগে গল্প করবি নদী?
সাগরের এমন কথায় নদী চমকে যায়। নদী সাগরকে বলল
–স্যার আমার ঘুম পেয়েছে আমি ঘুমাব। আপনি তো আপনার রুমে যাবেন না৷ আবার বিছানায় না ঘুমালে আপনার ঘুম আসে না। তাই বলছি আমি নিচে ঘুমিয়ে পড়ি আপনি বিছানায় ঘুমিয়ে পড়ুন।
–তোর কি আমার কথাগুলো কানে গেল না নদী?
নদী সাগরের দিকে তাকিয়ে দেখল সাগর রাগী দৃষ্টিতে নদীর দিকে তাকিয়ে আছে।
এটা দেখে নদী ভয় পেয়ে সাগরকে বলল
–জ্বী স্যার আপনি যদি চান আমি সারারাত আপনার সাথে গল্প করব৷ কিন্তু এভাবে তাকাবেন না স্যার৷ আমার খুব ভয় লাগে।
নদীর কথা শুনে সাগর হাসতে লাগল৷ সাগরের মতো সাগরের হাসিটাও খুব সুন্দর৷ নদী না চাইতেও সাগরের হাসি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখতে লাগল। সাগর কোনোরকম হাসি থামিয়ে নদীকে বলল
–এভাবে তাকিও না প্রেমে পড়ে যাবে৷
নদী সাগরের কথায় লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেলল।
.
.
.
.
সাগর প্রতিদিন সবাইকে এড়িয়ে নদীর রুমে এসে নদীর সাথে গল্প করে। নদীও না চাওয়া সত্তেও সাগরের গল্প শুনে আর বোকার মতো হাসে।
কিন্তু একদিন হঠাৎই রাতে স্নেহার ঘুমটা ভেঙে যায়। স্নেহার খুব পানির পিপাসা পায়। স্নেহা পাশের টেবিলে দেখল পানির বোতলটাও খালি। তাই স্নেহা পানি আনতে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামল। যেহেতু রান্নাঘরটা নদীর রুমের সাথে তাই স্নেহা পানি নেওয়ার আগে নদীর রুমের দিকে চোখ গেলে স্নেহা দেখতে পেল সাগর নদীর রুমে। সাগর ও নদী দুজনেই দেয়াল ঘেঁষে মাটিতে বসে গল্প করছে। এটা দেখে স্নেহার রাগ হতে লাগল। স্নেহা মনে মনে বলল
–ফকিন্নির বাচ্চার এতো সাহস যে আমার ভাইয়ের সাথে এভাবে বসে বসে গল্প করছে। তারমানে ভাইয়া প্রতিদিন রাতে নদীর ঘরে এসে গল্প করে। দাঁড়াও আজ তোমাদের গল্প করা আমি বের করছি।
স্নেহা সিঁড়ি বেয়ে আবারও উপরে গিয়ে পানির বোতলটা নিজের রুমে রেখে সোজা নিজের মা রহিমা বেগমের রুমে যায়। স্নেহা রহিমা বেগমকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বলল
–মা আর কত ঘুমাবে। উঠো মা। দেখো তোমার ছেলে ঐ নদী হারামজাদির সাথে নষ্টামি করছে। মা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠো।
রহিমা বেগম স্নেহার ডাকে ঘুম থেকে উঠে বসে জিজ্ঞেস করল
–কি হয়েছে স্নেহা? তুই এতো রাতে এভাবে আমাকে ঘুম থেকে জাগালি কেন?
–কি হয়েছে তুমি জিজ্ঞেস করছো মা! তোমার ছেলের কীর্তি দেখে তো আমি অবাক।
–কেন সাগর আবার কি করল?
–ভাইয়া নদীর সাথে বসে বসে নষ্টামি করছে। ভাইয়া প্রতিদিন মাঝ রাতে নদীর ঘরে যায় মা!
স্নেহার কথা শুনে রহিমা বেগমের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। রহিমা বেগম রেগে আগুন হয়ে স্নেহাকে বলল
–কি বললি তুই স্নেহা! সাগর নিজের ঘরে না ঘুমিয়ে নদীর ঘরে ঘুমায়!
–হ্যা মা হ্যা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে