#ভালোবাসি তাই
#শেষ পর্ব
#লেখিকা:রিদিকা আফরোজ রোজা
**আজকে শান দের বাড়ি খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে জারা আর শান এর রিং সিরিমনি সন্ধ্যা থেকে লোক আসতে শুরু করেছে। জারা আর শান সেইম কালার ড্রেস পরে জারার পরনে সাদা হাফ হাতা ভার্বি গাউন ডায়মন্ড জুয়েলারী আর শান সাদা জিন্স উপরে সাদা ব্লেজার নিছে আকাশি শার্ট পায়ে সাদা কেচ। শান আর জারা নামতে ক্যামেরা মেন ছবি তুলতে শুরু করে শান জারা কে নিয়ে পার্টির ভিতরে ডুকে। শান এর বাবা সবাই কে উদ্দেশ্য করে বলে আজকে আমার একমাএ ছেলে সুপারস্টার আবরার ইমতিয়াজ শান এর সাথে আমাদের মেয়ে জারার এক মাস বিবাহের সম্পন্ন হলো তাই সবাই কে যানাতে চাই পরের সপ্তাহের শুক্রবার আমার এক মাএ ছেলের বিয়ে। এনাউজ শেষ হতেই চার দিকে তালি বাজায় সবাই শান আর জারা দুই জন দুই জনের হাতে রিং পরিয়ে দেই। কাপাল ডান্স শেষ করে সবাই খাওয়া দাওয়া করে ইনজয় করে পার্টি রাত দশটায় পার্টি শেষ হয় সবাই যার যার বাসাই চলে যাই শান আর জারা ও উপরে চলে যাই ফ্রেশ হতে।
বিয়ের তিন দিন আগে থেকে সমস্ত বাসা ডেকোরেশন করছে ফুল দিয়ে বাগানে টেইজ করা হয়েছে হলুদ এর বিষন সুন্দর করে পুরো বাগান লাইটিং করা হচ্ছে। শানের বাবা বিয়ের কার্ড বিতরন করছে শান আর জারা ও তাদের বন্ধু প্লাস কলিং দের কার্ড দিচ্ছে…… রাতের বেলায় পার্লার এর লোক আনা হয় জারার জন্য কালকে হলুদ তাই নিজেকে তৈরি করছে নুতুন ভাবে আর ড্রেস ডিজাইনারা গর্জিয়েস লেহেংঙ্গা বের করছে সাথে জুয়েলারী আর পার্লার এর কিছু জন বেস্ট বঁধু সাজ কালেক্ট করছে জারার জন্য। শান বেচারা সারা দিন বউ কে পাইনি বার বার উঁকি ঝুঁকি মারছে শানের বন্ধুরা বলে শালা দুই দিন অপেক্ষা কর তোর বউ তোর কাছে আসবে এবার ইনজয় কর।
……………..আজকে জারার গায়ে হলুদ। হলুদ লেহেংঙ্গা সাথে কাঁচা ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে জারা কে ব্রাইডাল মেকাব শান ও হলুদ পাঞ্জাবী ফটো শুট করছে দুইজন। ফটো শুট করতে করতে রাত নয়টা বাজে এরপর শুরু হয় হলুদ সিরিমনি একে একে সবাই জারা আর শান কে হলুদ দেই। জারা আর শান সবার সাথে ডান্স করে অনুষ্ঠান শেষ হয় জারা তার বান্ধবীদের সাথে ঘুমাই আর শান বন্ধু দের সাথে।
আজকে জারা আর শানের বিয়ে
জারার সাথে মেচিং কয়েরি সেরোয়ানি আর ধুতি পরে শান। জারা লেহেংঙ্গার সাথে ব্রাইডাল মেকাব জাস্ট ওয়াও এমনিতে সুন্দরী তার উপর এই রকম সাজ শানের অবস্থা এখনি যাই যাই। জারা কে হাত ধরে সিরি থেকে নামিয়ে বিয়ের জায়গাতে যাই জারার হাত ধরে শান নিজের পাশের সোপাতে বসাই। কাজি বিয়ে শুরু করে তিন কোটি এক টাকা দেন মোহর আর একটা ভাংলো মোহরানা দিয়ে জারা কে বিয়ে করে শান। বিয়ে শেষ হতেই শান জারার হাতে ভাংলোর কাগজ পত্র আর ব্যংকে টাকা জমা করে দেই।
ফুলের বিছানাতে বসে আছে জারা ঠিক প্রথম দিনের মতো আজো সাজানো হয়েছে সেইম ভাবে বাসর ঘর। শান রুমে আসতেই জারা দৌরে গিয়ে জরিয়ে ধরে বলে আজকে দুই দিন ধরে একদম কাছে পাই নি তোমাকে আজ থেকে এক সপ্তাহ শুধু আমাকে সময় দিবে কোনো কাজ না। শান জারার মাথায় চুমু খেয়ে বলে ওকে জান তুমি যা চাও তাই হবে। জারা শান কে ছেরে দিয়ে বলে আজকে কিন্ত আমাকে গান শুনাতে হবে চলো বলেই শানের হাতে গিটার তুলে দিয়ে ব্যালকনির বেড এ চলে যাই দুইজন। জারা শান এর কাঁধে মাথা রেখে বসে আছে শান জারার কপালে চুমু দিয়ে মুচকি হেসে গান শুরু করে।
এ জীবনে যারে চেয়েছি আজ আমি তারে
পেয়েছি তুমি আমার সেই তুমি আমার তোমারে খুঁজে পেয়েছি।
তুমি চিলে না ছিলো না আশা তোমায় নিয়ে আশা বেঁধেছে বাসা ফুটালে আমার মুখে সুখের ভাষা ও, ও ,ও , ও হ ,হ ,হো এই জীবনে
জারে চেয়েছি আজ আমি তারে
পেয়েছি।
তুমি নয়নে নয়নে শুধু প্রানের প্রিয় তুমি রাঙ্গা বঁধু করেছো আমায় তুমি এই কোন জাদু। ও, হ, হো, ও, হ, হ, হো
এই জীবনে যারে চেয়েছি আজ আমি তারে পেয়েছি তুমি আমার সেই তুমি আমার সেই তুমি আমার তোমারে খুঁজে পেয়েছি…….
গান শেষ হতেই জারা বলে এতো সুন্দর গান করতে পারো আগে যানতাম না তোমার উচিত ছিলো নায়ক+ গায়ক হওয়া। শান বলে সমস্যা নেই বউ চাইলে গায়ক ও হতে সমস্যা নেই। শান এবার জারা কে বলে তুমি ফ্রেশ হয়ে চেন্স করো আমি ব্যালকনিতে আছি। শানের কথা মতো জারা ওয়াশ রুমে চলে যাই। ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে জারা একটা নাইটি পরে হাঁটুর উপরে একদম ফিন ফিনে পাতলা চুল গুলো হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে শুকিয়ে ঠোঁটে টক টকে লাল লিপস্টিক আয়নাতে এক বার নিজেকে দেকে জারা ব্যালকনিতে গিয়ে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে শান কে শান ও জারার দুই হাতের উপর হাত চেপে ধরে কিছু কোন। শান জারার দিকে ঘুরতেই জারা শানের গলা জরিয়ে ধরে কপালে চুমু খাই শান ও জারার কপালে চুমু খেয়ে মুচকি হাসে দুই জন….কিছু কন দুই জন দুইজনের দিকে তাকিয়ে থাকে শান জারার গালে হাত রেখে ঠোঁট আকরে ধরে জারা ও শান কে আকরে ধরে। চুমু অবস্থা তে শান জারা কে খুলে তুলে বিছানাতে নিয়ে শুয়ে দিয়ে আদ শুয়া হয়ে জারার উপরে শুয়ে পরে জারা দুই হাতে শানের গলা জরিয়ে ধরে শান জারার ঠোঁটে চুমু খেয়ে গলায় মুখ ডুবিয়ে দেই জারা চোখ বুঁজে আঁকরে ধরে শান কে আরেকটা রাত শাক্কী হয় তাঁদের ভালোবাসার। শান জারা কে বুকে জরিয়ে ধরে কিছু কন আদর করে । জারা উঠে শান এর ঠোঁটে চুমু খেয়ে বলে love you জান ……শান জারার নাকে চুমু দিয়ে বলে i love you too…..
পাঁচ বছর পর
পাল্টে গেছে অনেক কিছু শানের জনপ্রিয়তা আগের থেকে দ্বিগুণ শান বর্তমান এ প্রযোজনা করছে মুভির আর জারা এখন অভিনেত্রী সিনেমা জগতে এসেছে তিন বছর শানের হাত ধরে জারা প্রথম কাজ শানের প্রযোজনার ছবি দিয়ে শুরু এর পর থেকে জারা আর কোনো হিরোর সাথে কাজ করেনি শান কে চারা শান ও জারা কে অন্য হিরোরা সাথে কাজ করতে দেই না কারন শান আর জারার জুটি হিট বলে শান জারা কে পাঁচ বছর এর জন্য কিনে নিয়েছে শানের প্রযোজনার প্রতিষ্ঠান চারা অন্য কোথাও কাজে যেতে পারবে না অবশ্যই দুই জন এর মতে হয়েছে। সারা দিন এক সাথে শুট করে বাসাই ফিরে দুই জন তাদের মাজে ভালোবাসার কোনো কমতি নেই। জারা সিনেমাতে আসার আগে কনসিভ করে যেহেতু আগে প্লান ছিলো। জারা আর শানের একটা ছেলে হয়েছে চার বছরের নাম নিশান ভিষন দুষ্ট।
রাতের বেলায় জারা আর শান বসে গল্প করছে তখনি নিশান নামে শান ছেলে কে দেখে মুচকি হাঁসে কারন নিশান তার বাবার কপি শান যেটা পরবে নিশান ও সেটাই পরবে তাই এখন ও দুই বাবা ছেলে সেইম গেন্জী আর টাউজার পরে আছে। নিশান নেমে হাত দিয়ে চুল গুলো কে স্টাইল করে সামনে রাখা মূর্তিটাকে ঘুষি দিচ্ছে লাতি দিচ্ছে তার বাবা যেমন করে টিভি তে সেই রকম। শান আর জারা গিয়ে ছেলে কে তাঁদের মধ্যে বসিয়ে দেই। নিশানা বাবা মা কে উদ্দেশ্য করে বলে সে বাবার মতো হিরো হবে ডিসুম ডিসুম করবে আর তার পর একটা হিরোইন বিয়ে করবে। ছেলের কথা শুনে দুই জন হেসে নিশান এর গালে চুমু দিয়ে জরিয়ে ধরে।
এই রকম খুনসুটির আর ভালোবাসার
মাজে দিয়ে কেটে যাচ্ছে তাদের জীবন
সমাপ্ত ।