#গল্পঃভালোবাসায়_তুমি_আমি
#পর্ব২৬
#লেখিকাঃ রাদিয়াহ রাফা রুহি
নীলার মুখের মধ্যে আচমকা পানির জোরে ঝটকা লাগায় তার হুস ফিরলো। নীলা পিটপিট করে চোখ খুলে বুঝার চেষ্টা সে করছে সে কোথায়। মাথায় হাত দিয়ে আস্তে আস্তে উঠে বসলো সে। একটা ছিপছিপে অন্ধকার ঘরের মধ্যে নিজেকে দেখেই মনে পড়ে গেলো তার সাথে ঠিক কি হয়েছে। নীলা শুকনো ঢুক গিললো। গলাটা তেষ্টায় ফেটে যাচ্ছে। সামান্য ঢুক গিলতেও তার গলায় বাজছে।নীলা উঠে দাঁড়াতে চাইলেই সে ব্যার্থ হয়ে পরে গেলো তার হাত আর পা বাধা যে সে কিভাবে উঠবে।
কেউ কি আছো। কেন নিয়ে এসেছো আমাকে।হালকা চেচিয়ে কান্না জড়ানো কন্ঠে ডেকে উঠলো নীলা। আরে কেউ আছো হেল্প প্লিজ।
হঠাৎ ফিহার কথা মাথায় আসতেই সে পাগলের মতো শুরু করে দেই।শেষ যে টুকু দেখেছিলো ফিহার হাত টা ওর হাত ছিটকে যায় আর মেয়েটা পরে গেছিলো।
আমার মেয়ে আমার এঞ্জেল এর কিছু হয়নি তো। ও এখন কোথায়। আমার এঞ্জেলের কিছু করেনি তো এই লোক গুলো। আর শুভ্র সে নিশ্চয়ই পাগলের মতো করছে আমাকে না পেয়ে।নাকি উনাকেও তুলে নিয়ে এসেছে এই লোক। অজানা এক ভয় কাজ করছে।চোখ ফেটে কান্না আসছে। হাই আল্লাহ এটা আমার এরা কেন এরকম করছে কেই বা করছে এসব।
হঠাৎ তার কানে শুকনো পাতা মাড়ানোর খচখচ আওয়াজ আসতেই সে বুঝলো এটা কোনো জঙ্গলের মধ্যে কোনো একটা জায়গায়। সে একটু আশার আলো দেখতে পেলো। যদি কোনো ভালো লোক বা কাঠুরিয়া হয় তাকে সাহায্য করতে পারে।
তাই সে জোরে শব্দ করে আবার ডেকে উঠলো কেউ আছেন হেল্প করুন প্লিজ আমাকে কেউ এখানে আটকে রেখেছে। প্লিজ বাঁচান।কান্নার কারণে গলা দিয়ে আওয়াজ আসছে না ঠিক মতো।
হঠাৎ তার পাশে কারোর গঙ্গানোর শব্দ পেলো। মনে হচ্ছে কারোর মুখ বাধা।এখানে পড়ে আছে। আর গঙ্গানোটা যে কোনো মেয়ের সে তা ঠিকই বুঝতে পারলো।
কি হলো এতো চেচাচ্ছো কেন কেউ নেই এখানে যে তোমাকে এখান থেকে নিয়ে যাবে।এখানে যারা আছে তারা শুধুই আমার পাহারাদার। সো চেচিয়ে মাথা খাচ্ছো কেন।
আর সাথে সাথেই নীলা সামনে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকা একটা ছায়া মানব দেখতে পেলো। এই লোকটার কথা শুনে তো মনে হচ্ছে আগে কখনো এর সাথে আমার কথা হয়েছে আর কোনো দিন দেখা হয়েছে।
ক-ক-ককে আ-আ-প-পনি?আমাকে এখানে কেন তুলে এনেছেন।কি ক্ষতি করেছি আপনার। আপনার আমার সাথে কিসের শত্রুতা।সামনে আসুন ভিতুর মতো মুখ লুকিয়ে অন্ধকারে কেন দাঁড়িয়ে আছেন। নীলা রাগী ক্ষীপ্ত কন্ঠে বললো।
অফহো বড্ড তারা দেখি তোমার। আমাকে দেখার আগে তোমার পাশে থাকা মেয়েটিকে দেখো তো চিনতে পারো। দাঁড়াও তোমার সুবিধার জন্য আলো টা জ্বালিয়ে দিই আগে।
আলো জ্বলতেই নীলা ভয়ে ভয়ে তার পাশে থাকা মহিলার দিকে আস্তে আস্তে তাকালো।তাকাতেই সে কিছুটা ছিটকে দুরে স্বরে গেলো অস্ফুট ভাবে বলে উঠলো তুহিনা আপু। উঠো– উঠো— তুহিনা আপু– উঠো।
আপনি তুহিনা আপুকে কেন তুলে এনেছেন। কি চান আপনি। তারপর ঝট করেই সে সামনে থাকা পুরুষটির দিকে দেখলো।
তাকিয়েই তার ভ্রু দুটো আপনাআপনি কুচকে গেল,,, কপালে ভাজ পরলো।এই পুরুষ টাকে তো সে আগে কোনো দিন দেখেছে বলে তো মনে হচ্ছে না।কে এই পুরুষ।
কে আপনি?? আর তুহিনা আপুর সাথে আপনার কিসের শত্রুতা।আর আমি তো আপনাকে চিনিও তাহলে কেন তুলে এনেছেন আমাকে।
লোকটা আমার কাছে এগিয়ে এসে হাটু গেড়ে বসে পরলো। আর মুখ দিয়ে উদ্ভট আওয়াজে বেঙ্গো করলো।
অপস ! আহারে আমার তোমার সাথে কোনো শত্রুতা নেই কিন্তু তোমার এই তুহিনা আছে না এর সাথে আছে।আর তোমরা ছাড়াও এখানে আরো মোট নয় জন মেয়ে আছে। কাউকে বলো না যেনো হ্যাঁ। তুমি আমার বউ এর বেস্ট ফ্রেন্ডের বউ বলেই তোমাকে বললাম।
নীলা যেনো অবাকের চরম সীমানায় পোঁছে গেছে। কি বলছে এই লোকটা তুহিনা আপু এই লোকটার বউ। এটা কি করে হতে পারে। এই কদিনে তো সে একবারের জন্যও শুনে নি তুহিনা আপুর হাসবেন্ড আছে। আমি কি তাহলে তুহিনা আপুর মতো একটা ইনোসেন্ট মেয়েকে ভুল বুঝতাম।
আপনার বউই যদি হবে তাহলে উনাকে এইভাবে নির্রম ভাবে বেধে রেখেছেন কেন।আপনি মিথ্যা বলছেন।
এই টাই— এই কথাটায় আমি ওকে অনেক বার বুঝিয়েছি।তুমি পুলিশ তুমি তোমার মতো গোয়েন্দা গিড়ি করো গে আমার কাজে বাধা দিও না।কিন্তু শুনলো না কি করব বলো। আমার কাজে যে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাকে আমি সরিয়ে দিতে একবারও ভাবি না।তাই তো ছেলের অসুস্থতার কথা বলে মিথ্যা কল করে ওকে তোমাদের বাড়ি বের করে আনলাম আর সুযোগ বুঝে তোমাকে তুলে আনলাম।
নীলা যেনো এবারে আরও অবাকের সপ্তম পর্যায় পৌঁছে গেলো। আর বলে উঠলো পুলিশ। তুহিনা আপু পুলিশ।
হ্যাঁ হ্যাঁ পুলিশ। এর জন্যই আমি তোমাকে এতো দিন তুলতে পারিনি। এই তুহিনা তোমাকে বার বার প্রটেকশন দিয়েছে। আর সেটা তুমি বুঝতেও পারো নি।
হায় হায়রে আল্লাহ যে মানুষ টা আমাকে বাঁচানোর জন্য এতো কিছু করেছে আর আমি তাকে শুধু ভুলই ভেবেছি।কি করে পারলাম আমি এতো বড় একটা ভুল করতে।
আপনি এতো টা নির্দয় কি করে হলেন।আমার কথা না হয় বাদই দিলাম কিন্তু অন্তত নিজের
স্ত্রীকে তো ছাড় দিতেন।আর আপনার মতো একটা লোক কে তুহিনা আপু কি করে বিয়ে করলো।
ও কি আর আমার আসল ব্যাপার জানতো নাকি।আমি তো ভালো ভোলাভালা সেজে ওকে আমার প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করেছি।বিয়ে চার বছর পর ও জানতে পারে আমার বিষয়ে।এতো দিনে ও আমার কিচ্ছু করতে পারেনি বোকা মেয়ে সে কিনা পুলিশ হয়েছে। আমি ওকে অনেক বার বলেছি জান আমাদের বাচ্চা ছেলে ফুয়াদের জন্য হলেও তুমি আমার পিছনে লেগো না।না ও কি করলো আমার নামে ডিভোর্স ফাইল করল আমাকে ডিভোর্স দেবে। তাই তো বাধ্য হয়ে তুলে আনতে হলো।
ছিহ আপনি এতো টা নিচ তাই বলে নিজের স্ত্রীকে এইভাবে তুলে আনলেন নিজের বাচ্চার কথাটা ভাবলেন না কেমন বাবা আপনি। কিন্তু আপনার আমাকে তুলে লাভ টা কি।কি হবে আমাকে দিয়ে আর আপনি যে বললেন আরো নয় জন আছে তাদেরকেই বা কেন তুলেছেন।
এই রাহাত নিজেদের কাজ হাসিল করতে সব করতে পারে সব। আর তোমার এতো কথা জেনে কি কাজ।আমিই বা কেন বলছি তোমাকে এসব।
আর একবার যদি চেচিয়েছো তো তোমার গলাটায় কেটে দেবো। একবার ও ভাববো না এটা করতে।এর মধ্যে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরে গেছো আমি ঠিক কি।
এই বলে লোকটা সেখান থেকে চলে গেলো।
নীলা কেপে উঠলো ভয়ে।লোকটার ঝাঝালো কর্কশ কন্ঠ শুনে নীলা ভয়ে জোরোসরো হয়ে গেলো।
তখনি কারোর অস্পষ্ট কথা শুনে পাশে ফিরে তাকায়। তুহিনা বিড়বিড় করে বলছে প্লিজ রাহাত আমাকে ছেড়ে দাও প্লিজ।
নীলা তুহিনাকে ডাকলো তুহিনা আপু উঠো তুহিনা আপু প্লিজ তাকাও।তুহিনা আপু চোখ খোলো।
আস্তে আস্তে তুহিনার জ্ঞান ফেরে।অনেক কষ্টে সে
তাকালো। আশে পাশে তাকিয়ে দেখে বুঝার চেষ্টা করছে। সে কোথায় আছে।হঠাৎ তুহিনা একটি পরিচিত কন্ঠ পেয়ে পাশে তাকিয়েই চমকে যায়।৷ আর বলে উঠে নীলা তুমি এখানে।একি অবস্থা তোমার।তবে কি যেটার জন্য ভয় পাচ্ছিলাম সেটাই হলো।
নীলা কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠলো আগে তো নিজের কথা ভাবো আপু। এখনো তুমি আমার কথায় ভেবে যাচ্ছো।
স্যরি আমি তোমাকে বাচাতে পারলাম না নীলা। আমাকে ক্ষমা করে দাও।আমি আমার কথা রাখতে পারিনি। কাদতে কাদতে বললো তুহিনা।
চোখের কাজল গুলো লেপ্টে আছে তুহিনা আপুর। চুল গুলো এলোমেলো। মাটি লেগে আছে।তাকানো যাচ্ছে না তুহিনা আপুর দিকে।
আপু তুমি আমার জন্য যা করেছো তা তো আমার নিজের বোন হলেও করত না।আর তুমি কিনা আমার কাছে ক্ষমা চাইছো।
তুহিনা কিছুটা নড়ার চেষ্টা করছে। সোজা হয়ে উঠে দুজনেই দেয়ালের সাথে পিঠ লাগিয়ে বসে একে অপরের দিকে তাকিয়ে রইলো। দুজনের চোখ দিয়েই পানি গড়িয়ে পরলো। এই মুহুর্তে দুজনেই খুবই অসহায়।তাও কিছু একটা মনে পরতেই ছোট একটা আস্থা খুজে পেল তুহিনা।
★★★
ডক্টর বাইরে বেরিয়ে আসায় সবাই উঠে দাঁড়িয়ে পরল। শুভ্র আর মোল্লিকা এগিয়ে গিয়ে বললো ফিহা কেমন আছে ডক্টর এখন।
আমার নাতনি ঠিক আছে তো। ও ঠিক হয়ে যাবে তো। কাদতে কাদতে অস্থির হয়ে জিজ্ঞেস করলেন তিনি।
শুভ্র এগিয়ে গেলো ডক্টর ফিহার ব্লক কিভাবে হলো বলুন তো।
দেখুন আপনারা একটু শান্ত হয়ে শুনুন।আপাতত বাচ্চাটি ঠিক আছে। কিন্তু সমস্যা হলো মেয়েটিকে দেখে যা বুঝলাম ওর এর আগেও একবার হার্ট ব্লক এর জন্য সার্জারী করা হয়েছে।তাও সেটা বাচ্চাটির জন্মের পরই। আর আমার মনে হয় সেটা বাইরের কোনো ডক্টর করেছেন।
মোল্লিকা দু কদম পিছিয়ে গেলো।আর ভাবতে লাগলো না না আর কিচ্ছু লুকাবো না আমাকে শুভ্রকে সবটা বলতেই হবে।এখানে আমি শুধু নিজের ছেলের কথা ভেবে একটা ছোট্ট প্রানের সংশয়ে ফেলতে পারে না।কিন্তু আমি তো চেয়েছিলাম মেয়েটা তার বাবার আদর পাক।
প্রাপ্তি কিছু টা দৌঁড়ে এগিয়ে গিয়ে মোল্লিকাকে ধরলো।
আন্টি নিজেকে সামলান প্লিজ আপনি যদি এইভাবে ভেঙে পরেন তাহলে শুভ্র৷ ভাইয়ের কি হবে।
হিয়া ঠিকই বুঝতে পেরেছে তার মায়ের এভাবে ভেঙে পরার কারণ। এটা তো একদিন হওয়ারই ছিলো। সত্যিই টা আর কতদিন এইভাবে লুকিয়ে রাখা যায়।সে মুখ চেপে কান্না করছে।
কি বলছেন ডক্টর জন্মের পর মানে আমাকে একটু খুলে বলবেন প্লিজ কান্না করতে করতে শুভ্র বললো।
দেখুন আমি যা বুঝলাম মেয়েটিকে আগেও ঔষধ দেওয়া হয়েছে।আর হার্ট ব্লক এমন একটা জিনিস যা মায়ের গর্ভের থাকাকালীন শিশুর হয়ে থাকে।তারপর জন্ম হওয়ার পর বাচ্চাটির সার্জারী করে ফুটোটা বন্ধ করে দেওয়া হয়।কিন্তু বাচ্চা বেড়ে উঠার সাথে সাথে আবার সেই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।মানে আবার ব্লক হতে পারে।সেখানে থেকে বেশি গভীর হলে কিডনির সমস্যাও হতে পারে। আর একটু বড় বাচ্চাদের যেমন আপনার মেয়ের যেমন টা হয়েছে। বুক ধড়ফড় করা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ায় শরীর নীল হয়ে যাওয়া। আর এটা অতিরিক্ত ভয়ে বা কিংবা উত্তেজনাতেও হতে পারে।
সবটা শুনে শুভ্র হতভম্ব হয়ে যায়। কি বলছেন এসব আপনি। তাছাড়া আমি তো জানিই না ফিহার হার্টে ব্লক আছে। মা তুমি কি জানতে এই বিষয় টা। এই বলেই শুভ্র তার মায়ের দিকে দৃষ্টি দিলো।
মোল্লিকা কোনো কথায় বলছে না।তিনি যেন একদম স্তব্ধ হয়ে গেছেন।
দেখুন এতো চিন্তা করবেন না এখন এসব নিয়ে ভাবার বিষয় না। আপনার মেয়ে শুধু অজ্ঞান হয়ে গেছিলো যে ওর অপারেশন করতে হবে না।নাকের একটা আঘাত পেয়েছে আমরা ঔষধ দিয়ে দিয়েছি।
আর হার্টে যে ব্লক আছে সেটা কি ভাবে ঠিক হবে অপারেশন না করলে।
একটু বড় বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যেমন, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া,, বুক ধড়ফড় করা ,, বাতজ্বর এসব বিষয়ে
নিয়ে গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করতে হয়।
প্রধানত দুই ভাবে চিকিৎসা করা হয় সার্জারী করে আর না হলে বিনা অপারেশনে।এটা বড় বাচ্চাদের জন্য। সঠিক ঔষধ ডিভাইস বা বোতাম দিয়ে ছিদ্র বন্ধ করা,,চিকন ভাল্ব বেলুনের মাধ্যমে খুলে দেওয়া জরুরী ভিত্তিতে হার্টের অপরের চেম্বার দুটির মধ্যে ছিদ্র তৈরি করা ও সাময়িকা বা স্থায়ী ভাবে পেসমেকার প্রতিস্থাপন করা। এছাড়া সঠিক সময়ে শিশুকে সার্জারীর মাধ্যমে সম্পুর্ন সুস্থ করে তুলতে পারে।আর যেহেতু আপনার মেয়েকে ঔষধ দেওয়া হতো আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ওর সার্জারী করবো। আর আপনার মেয়ে একবারে সম্পুর্ন ভাবে সুস্থ হয়ে উঠবে।মুখে একটা হাসির রেখা ফুটিয়ে।
ডক্টরের কথা শুনে সবাই যেনো একটা সস্তির নিশ্বাস ছাড়লো।
ডক্টর শুভ্রর কাধে হাত দিয়ে শান্তনা দিয়ে বললেন এখন আর চিন্তে নেই মিস্টার চৌধুরী আমরা আপনার মেয়েকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দিবো।
থ্যাংক ইউ ডক্টর। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
থ্যাংক আমাকে নয় আল্লাহ কে দিন। তিনি সহায় না থাকলে এতো বড় একটা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। সাধারণত এই ধরনের রোগীদের মৃত্যুর ঝু্ঁকি থাকে। আসছি ইয়াং ম্যান। আল্লাহ কে ডাকুন।
এই বলে ডক্টর চলে গেলেন।
এতো কিছুর মধ্যে তারা সবাই নীলার কথা ভুলেই গেছে।হঠাৎ শুভ্রর নীলার কথা মাথায় আসতেই আবার কাকন কে ধরে বসে পরলো।নীলা এখন কোথায় কে জানে।ওকে যে বা যারা তুলে নিয়ে গেছে তাদের আমি ছাড়বো না।
নীলা ভাবি কে তুলতে পারে বলতো। তোর কি কাউকে।সন্দেহ হয়।
হিয়া আর প্রাপ্তি চোখের পানি মুছে শুভ্রর দিকে অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে একটা উত্তরের আশায়।
শুভ্র যেনো এবার চোখ মুখে ফুটিয়ে তুলে আমি জানি আর ওরা যদি হয় আমি ওদের জ্যান্ত পুতে ফেলবো আমার নীলার যদি কিছু হয় আমি ওদের কে ছাড়বো না।কিছুতেই না।
শুভ্র জানে শুনে মোল্লিকা মাথা তুলে তাকালো শুভ্রর দিকে।আর বাকি প্রাপ্তি কাকন হিয়া সবাই চোখ বড় বড় করে ফেলেছে।
চলবে—-