#ভালোবাসায়_তুমি_আমি
#পর্ব_০৫
#নির্মল_আহমেদ
‘কি হল পুষ্পা, তুই এমন করে আমার দিকে তাকিয়ে আছিস কেন?’
‘তাকিয়ে আছি কি সখে। ভাবছি তোকে কোনো পেত্নী ভর করল কিনা?কি বলছিস এসব? এখনি তো তোকে জিজ্ঞেস করলাম যে মদ খাবি কিনা! কিন্তু তুই তো বললি যে না খাব না খেলে বাবা একেবারে কেটে ফেলে দেবে! তা এখন খেতে চাইছিস ব্যাপারটা কি?’
‘কোন ব্যাপার নেই। আমার মন চেয়েছে আমি এখন মদ খাবো, তাই খাচ্ছি। তুই দিবি কিনা সেটা আগে বল?’
পুষ্পা বুঝতে পারছে না তিশার হঠাৎ কি হলো। কিন্তু তিশা যখন খেতে চাইছে, তখন দিলে খুব একটা ক্ষতি হবে না। কিন্তু কোনদিনও খাইনি। তাই একটু লিমিট ভাবে দিতে হবে। ভেবেই পুষ্পা মদ আনতে যেতে যেতে বলল,
‘আচ্ছা ওয়েট কর খানিক। আমি আনছি।’
বলেই কিছুক্ষণ পর আবার এক গ্লাস মদ তাতে অর্ধেকই পানি নিয়ে আসলো। তিশার একটু খারাপ লাগতে থাকলো হঠাৎ কি এমন হয়ে গেল যে মদ খাওয়ার মত একটা জঘন্য কাজও তার দ্বারা হতে যাচ্ছে। তিশা মদের গ্লাসের দিকে তাকিয়ে রয়েছে,কিরকম লাল লাল! মুখটা একটু বিকৃত করে সমস্ত মদ এক ঢোকে গিলে নিল সে। মদ গলা দিয়ে নামছে আর তার মনে হচ্ছে কেউ যেন আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তার গলায়। খেয়েই প্রাথমিকভাবে সে কয়েকটা কাশি দিল তা দেখে পুষ্পা চিন্তিত স্বরে বলল,
‘কি হলো তিশা? খেতে পারবি না আগে বললেই হতো। তাহলে দিতাম না। কেন যে জেদ ধরিস না! দাঁড়া লেবুর জল আনছি। নেশা ধরলেকেটে যাবে।’
তিশা মাথায় দু-তিনটা বাড়ি দিয়ে কাশতে কাশতে ই বলল,’না না লাগবে না। ঠিক আছে।’
পুষ্পা তিশাকে খানিক স্বাভাবিক দেখে বললো,’আচ্ছা ঠিক আছে তুই এখানে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকিস। আমি ঐদিকে যাচ্ছি।’
এদিকে,,,
‘এই সোহাব একটা সুযোগ আছে। আমি এখনই দেখে আসলাম তিশা মদ খেয়েছে অর্থাৎ আজ সে কন্ট্রোলে থাকবে না। এই সুযোগে তুই সেদিন যে তোকে থাপ্পর মেরেছিলো তার প্রতিশোধ নিতে পারবি।’
সোহাব খুশি হয়ে বলল,’কি সত্যি বলছিস? তিশা মদ খেয়েছে🤔ওয়াও এবার হবে আসল মজা। আমাকে থাপ্পড় মারা তাই না? এবার দেখাবো এই সোহাব কি জিনিস! রামেন যা তাড়াতাড়ি দোকান থেকে একটা সেক্সের ট্যাবলেট কিনে নিয়ে আয়।’
রামেন উদ্বিগ্ন নিয়ে বলল,’কি বস কি করতে চাইছো তিশার সাথে?’
সোহাব তার চিফ দাড়িতে স্পর্শ করতে করতে শয়তানি হাসি দিয়ে বলল, ‘সেটা তো কিছুক্ষণ পরেই দেখতে পারবি। তোকে যেটা বললাম সেটা আগে কর।’
‘জি বস এখনই যাচ্ছি!’
তোমার ফোনে কথা বলছিল তখনই কোন এক মেয়ে তার হাত ধরে টানতে টানতে বলল,’হে হ্যান্ডসাম! লেটস ডান্স উইথ মি!”
মেয়েটার এরূপ আচরণে অবাক হল। বলল,’সরি সরি ম্যাডাম। মাফ করবেন। আমি সব পারি না। অন্য কাউকে ট্রাই করুন।’
তনয় যেতে অস্বীকার করছিল তখনই তার বন্ধু অর্থাৎ পুষ্পার বড় ভাই বলল বলল,
‘আরে ভাই, এটা পার্টি! এখানে এসব হয়। ক’দিন পর তো তোর বিয়ে। এরপর তো এসব করার আর সুযোগ পাবি না। তাই একটু ব্যাচেলর মুফতি করে নে ভাই। ক্ষতি কি!’
এসব বলছিল পলক। তখন ঐ মেয়েটা তনয়কে টানতে টানতে ডান্সের জায়গায় নিয়ে গেল। আর তার অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাকে নাচাতে থাকলো। তিশার নেশাটা একটু ধরেছে। কেন জানি মদ তাকে আরও টানছিল একটা ওয়েটার ট্রে তে করে মদের গ্লাস নিয়ে যাচ্ছিল তা দেখে তিশার চটজলদি সেখান থেকে দু গ্লাস নিয়ে মেরে দিল। এরপর থেকে তিশা তার কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলে সবকিছু কেমন ঝাপসা ঝাপসাও দেখে। হঠাৎ দেখল তার হাসবেন্ড অর্থাৎ তনয় কোন মেয়ের সাথে ডান্স করছে। তা দেখে সে মনে মনে বলতে থাকে,’আরে এটা উনি না🤔 আমাকে বিয়ে করে আবার অন্য মেয়ের সাথে নাচানাচি হচ্ছে। দেখাচ্ছি মজা😠😡’
বলেই তিশা অনেকটা ঢুলতে ঢুলতে তমের কাছে গেল। তনয়ের কলাট ধরে টানতে টানতে সেখান থেকে নিয়ে আসলো। তনয় সেই মুহূর্তের মধ্যে কিছু বুঝতে পারল না কি হলো তার সাথে তারপর যখন দেখল তিশা তাকে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে। তখন সে একটু অবাক হল। তিশার থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বললো,’এই কি করছো কি তুমি? আমাকে এভাবে টানতে টানতে নিয়ে আসার মানেটা কি?’
তিশা আঙ্গুল নাড়িয়ে মাতালের মত বলতে থাকলো,’মানেটা কি মানে? আপনি খুব খারাপ! আপনি আমাকে বিয়ে করছেন অথচ কোন এক মেয়ের সাথে নাচছেন! এটা কি আমি সহ্য করবো নাকি! একদম সহ্য করব না। এই বলে দিলাম।’
তিশার এরকম আচরণ দেখে তবে বুঝতে বাকি রইলো না যে সে ড্রিংকস করেছে। সে দীর্ঘ শ্বাস ফেলে মাথা চুলকাতে চুলকাতে বল ল,’কিন্তু তোমার আমার যে বিয়ে হয়েছে সেটা তো আমরা দুজনে মধ্যে কেউ মানি না! তাহলে অসুবিধা কোথায়!’
‘অসুবিধা আছে। আমাদের যেহেতু বিয়ে হয়েছে তাই আমরা সামাজিক মতে স্বামী স্ত্রী আর একজন স্ত্রী স্বামীর অন্য মেয়ের সাথে ঘোরাফেরা একদমই সহ্য করতে পারে না। আমিও ঠিক সে রকম।’
তনয় অবাক চোখে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। কি বলছিস এসব! স্ত্রী মানে? তাহলে তিশাকে আমাকে মেনে নিয়েছে নাকি?’
‘কী হলো কী ভাবছেন। ওহ, আপনার নাচায় ডিস্টার্ব করলাম তার জন্য আপনি রাগ করেছেন। তো ঠিক আছে আমি আপনার সঙ্গে নাচবো। কিন্তু আপনার সঙ্গে অন্য কেউ না। সেটা কিন্তু আমি দেখতে পারবোনা।’
তনয় করুন দৃষ্টিতে তার দিকে তাকাল । কেন জানি খুবই অসহায় দেখাচ্ছে। তারপর কি যেন ভেবে আবার বলল,’আচ্ছা তুমি নেশার ঘরে আছো। তুমি এখানে কিছুক্ষণ দাঁড়াও। আমি দেখি কোথাও লেবুর জল পাওয়া যায় কিনা। আগে নেশা কাটিয়ে তোলো। তারপর দেখছি!’
‘তারপর দেখবেন মানে? আমার সাথে কি নাচ করবেন তারপর? বলুন না আমার সাথে নাচ করবেন!’
তনয় খানিকটা বিরক্ত স্বরে বলল,’আমি ওসব নাচ-ফাচ পারিনা তো।’
‘কি বললেন? পারেন না। একটু আগেই তো ওই আপুর সাথে কিরকম নাচ করছিলেন?’
‘আমি কোথায় নাচছিলাম। উনি তো আমাকে নাচাচ্ছিলেন। যাই হোক তুমি এখানে দাঁড়াও আমি এখনই আসছি বলেই তনয় সেখান থেকে চলে গেল।
‘কিছুক্ষণ পর রামেন সেক্সের ট্যাবলেট নিয়ে বস সোহাবের কাছে আসলো। এসেই রামেন ঘাম মুছতে মুছতে বলল,
‘বস অনেকগুলো দোকান খুলে তারপর আনতে পেরেছি। আমি পুরো ঘেমে শেষ হয়ে গেলাম। আজকে কিন্তু কামটা আপনাকে সারতেই হইব।’
রামেন ট্যাবলেটটা দু আঙ্গুল দিয়ে ধরে সেদিক তাকিয়ে শয়তানি সুরে বলল,
‘কাম হয়ে যাবে মনে। কাম তো প্রায় হয়েই গেছে। তুই শুধু একটা কাজ কর এই ট্যাবলেটটা কোন এক জুসের সাথে মিশিয়ে তিশাকে খাইয়ে দিয়ে আয়। বাকিটা আমি সামলাব।’
রামেন একটু ঘাবড়ে গেল এরকম ভঙ্গিমায় বলল,’ ব বস আমাকে করতে হবে এটা কাজ।’
”হুম তোকেই করতে হবে। করতে পারলে তোর এক মাসের মদ খাবার দায়িত্ব আমার।’
কথাটা শুনে রমেনের চোখ চিকচিক করে উঠল। খুশিতে গদগদ হয়ে সে বলল,
‘তাহলে আর কোন কেন আমি এখনই যাচ্ছি।’
কথাটা বলার সাথে সাথেই রামেন একটা ওয়েটারকে ঘুষ খাইয়া একটা জুসের গ্লাস ট্যাবলেটটা মিশিয়ে তিশার কাছে নিয়ে গেল। তৃষা ভারসাম্যহীন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে তোমার অপেক্ষায়। তখনই রামেন গিয়ে বলল,
‘ম্যাম! নেন জুস খান।’
তিশা ঝাপসা চোখে রামেনের দিকে তাকালো এবং বাচ্চাদের মত করে বলল,
‘না না আমি জুস খাবো না। আমার জন্য তো উনি লেবুর রস আনতে গেলেন। আমি এখন লেবুর রস খাবো। জুস খাবো না’
রামেন পড়ল মহা ফ্যাঁসাদে। এখন যদি তিশাকে জুস খাওয়াতে না পারে তাহলে পথের প্ল্যানটা তো পুরোই মাটিতে মিশে যাবে আর তার এক মাসের মদ খাওয়ার অফারটাও শেষ হবে। না যেভাবেই হোক তিশাকে তিশাকে জুসটা খাওয়াতেই হবে। ভেবে কি জানেন একটু বুদ্ধি নিয়ে বলল,
‘হ্যাঁ হ্যাঁ উনিতো পাঠালেন এগুলো এগুলো জুস নয়, লেবুর রস। আমাকে বললেন যেন এটা আপনাকে দেই।’
‘উনি পাঠিয়েছেন তাহলে তো আমি খাবোই।কই দাও দাও। তাড়াতাড়ি দাও।’
বলেই তিশা ট্রে থেকে জুসের গ্লাস তুলে নিয়ে ঢকঢক করে খেয়ে নিল।
রামেন একটা শয়তানী হাসি দিল। কিন্তু সে বুঝতে পারছে না, এই ‘উনি’ টা কে! যাই হোক বাবা। সে যাই হোক তার কাজ সে করেছে। এখন একমাস সে ফ্রী ফ্রী এক মাস মদ খেতে পারবে😁😁 সেটা ভেবেই যেন সে আনন্দে নাচতে চাইছে।
এদিকে,,,
তনয় পলক কে খুঁজছে। এখন একমাত্র সেই তাকে হেল্প করতে পারে। কারন সে ছাড়া এখানে সে কাউকে চেনে না। তাই যে করেই হোক পলককে আগে খুঁজে বের করতে হবে তারপর তার কাছে লেবুর জল চাইতে হবে। না হলে তিশার নেশা কাটানো যাবে না। আর নেশা কাটানোর না গেলে হয়তো আরো অনেক আবোল তাবোল বকতে থাকবে। এতো খোঁজাখুঁজি না করে তনয় পলকে একটা ফোন করলো। কিন্তু রিসিভ হলো না। সে ভাবলো এত হুড়োহুড়ি মাঝে হয়তো সে ফোনের রিংটোন শুনতে পাচ্ছে না তাই হয়তো ফোন রিসিভ করতে পারছি না। এসব ভাবছিলো, সে তখন সেখান দিয়ে পুষ্পা যাচ্ছিল। তনয় কে দেখে পুষ্পা থমকে দাঁড়াল কৌতুহলী নিয়ে জিজ্ঞেস করল,
‘আরে ভাইয়া আপনি সেই না যিনি আমাদের হোস্টেলে এসেছিলেন। আমাকে আর ছোঁয়া কে বলেছিলেন যে তিশার সাথে দেখা করাতে।’
পুষ্পার দিকে তাকাতেই তনয়ের ও মনে পড়ল, এই মেয়েটাতো তিশার বান্ধবী, সেদিন হোস্টেলে তাকে সাহায্য করেছিল। তোমার একটা মুচকি হাসি দিয়ে জবাব দিল,
‘হ্যাঁ আমিতো সেই। কিন্তু আপনি এখানে?’
‘বারে যার যার বার্থডেতে এসেছেন তাকে চিনতে পারছেন না? কি আজব!’
‘ও আপনি তাহলে পলকের বোন।ও সরি আসলে আমি পরিচিত হয়নি এখনো। তাই চিনতে পারিনি।’
‘ও!’বলে চলে যাচ্ছিল পুষ্পা তখন তনয়ের তিশার কথা মনে পড়ল পলকে যখন খুঁজে পাচ্ছে না তাহলে না হয় পুষ্পার কাছে সাহায্য চাওয়া যেতে পারে কারণ পুষ্পা তো তিশারই বান্ধবী।
‘আচ্ছা আপনি একটু লেবুর জল দিতে পারেন? আসলে খুব বেশি পরিমাণে মদ খেয়ে ফেলেছে। কন্ট্রোলে নেই। তাই বলছিলাম আরকি।’
‘ও আল্লাহ! মেয়েটা আরও মদ খেয়েছে। এই জন্য আমি তাকে মদ দিতে চাইনি। আচ্ছা ঠিক আছে আপনি দাঁড়ান আমি এখনই আনছি।’হঠাৎ কিছু একটা সন্দেহ হতেই পুষ্পা ভুরু বাঁকিয়ে জিজ্ঞেস করল,
‘এক মিনিট এক মিনিট। আচ্ছা আপনি তিশার কাজিন হন তাই না? রাঙ্গামাটিতে বাসা। কিন্তু সেখান থেকে ঢাকায় কিভাবে আসলেন সেটাই তো বুঝতেছিনা🤔’
‘কাজিন! কে কাজিন? আমিতো তিশার কোন চাচাতো বা ফুফাতো ভাইয়া নই।’
‘তাহলে তিশা যে সেদিন বলল।’
‘আচ্ছা ঠিক আছে ওসব পরে জানা যাবে এখন। কিন্তু এখন যেটা জরুরী সেটা হল তিশার নেশা কাটানো। তাই আপনি বরং আগে লেবু পানি আনুন আগে!’
‘হুম যাচ্ছি!’
পুষ্পা জেতে জেতে ভাবল,’তারমানে তিশা আমাদের মিথ্যা বলেছে। এই ছেলেটা ওর কোন কাজিন নয়। আর এদিকে ছেলেটাও তিশাকে চেনে! সেদিন রাতেও সে নিখোঁজ ছিল! তার মানে তো এদের দুজনের মধ্যে কিছু একটা গন্ডগোল আছে। না এটা আমায় জানতেই হবে’
এদিকে তনয় ভাবছে, ‘তিশা তাকে কাজিন বলেছে কিন্তু কেন বলেছে? তারপর হঠাৎ মনে পড়ল সেদিন সে পার্সটা যখন তিশাকে দিতে গিয়েছিল, তখন তো পুষ্পা দেখেছিল যে আমি গিয়েছিলাম আর তারা হয়তো তিশাকে জিজ্ঞাসা করেছে যে আমি কে? তখন হয়তো তিশা ব্যাপারটা গোপন করার জন্য আমাকে কাজিন বলেছে। কিন্তু আমিতো এখন ব্যাপারটা আরো গোলমেলে করে দিলাম। আমি বলে দিলাম যে আমি ওর কাজিন নই। এবার তাহলে তাহলে কি হবে!’
তিশা জুসটা খাওয়ার পর কেমন যেন আনকম্ফোর্টেবল ফিল করছে।মাথাটাও কেমন ঘুরছে আর সবচেয়ে বড় কথা হলো তাঁর উত্তেজক ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুরুষদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে। এরূপ সময় সোহাব সেখানে আসলো। সোহাবকে দেখে তিশা রাগ দেখাতে চাইলেও সেটা পারল না শুধু মৃদু কণ্ঠে বলল,
‘সোহাব আপনি এখানে? কি মতলব আপনা? সেদিনকার কথা মনে আছে তো?’
‘আরে তিশা। পুরনো কথা আমি মনে রাখি না। ওসব আমি ভুলে গেছি। এখন আমি খুব ভালো ছেলে আগের মত নই রে।’
‘আমি বিশ্বাস করিনা।’
‘বিশ্বাস কর। আমি পুরো বদলে গেছি আর সেদিন তোর সাথে যে রকম ব্যবহার করেছিলাম তার জন্য আমি খুবই লজ্জিত! তাইতো আজ ক্ষমা চাইতে এসেছি। আমাকে ক্ষমা করে দিবি না রে?’
তিশা নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারছে না। যে ছেলে এতদিন তার সর্বনাশ চেয়ে এসেছে। সে হঠাৎ পাল্টে গেল। এটা মানা যায় না। হঠাৎ তিশা আর নিজেকে সামলে রাখতে পারলো না। পড়ে যাচ্ছিল তখন এই সোহাব তাকে ধরল। কোন পুরুষের স্পর্শ পেতেই তিশা যেন সবকিছু ভুলে গেলে। তিশার দুর্বল হয়ে গেল সোহাবের প্রতি। সোহাগ একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলল,
‘আচ্ছা জান তোমাকে কি অন্য কোথাও নিয়ে যাবো।
চলবে…..