ভালোবাসবে তুমিও পর্ব-২০

0
1704

#ভালোবাসবে_তুমিও❤
#পর্ব__২০
#অদ্রিতা_জান্নাত

শ্রেয়া অন্যদিকে তাকিয়ে ঠোঁট কামড়ে নিজের কান্নাটাকে আটকে রাখার চেষ্টা করছে ৷ কিন্তু পারছে না ৷ অরূপের চোখ মুখ লাল হয়ে গিয়েছে ৷ আর কোনো কষ্টই ওদের সহ্য হচ্ছে না ৷ শ্রেয়ার মাথায় চাপ পরছে আবার ৷ মাথায় হাত দিয়ে মাটিতে বসে পরলো ৷ অরূপ শ্রেয়ার দিকে মুখ তুলে তাকাতেই শ্রেয়াকে এভাবে দেখে বলতে লাগলো,,,,,,,,

“শ্রেয়া তোমার কি হলো? এরকম করছো কেন তুমি?”

বেশকিছুক্ষন এভাবে মাথায় হাত দিয়ে বসে রইল শ্রেয়া ৷ বাহ্যিক ব্যাথাটা নিজে নিজেই চলে গেল ৷ কিন্তু মনের ব্যাথাটা কাটিয়ে উঠতে পারলো না ৷ আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়ালো ৷ অরূপ শ্রেয়াকে সাহায্য করলো ৷ শ্রেয়া অরূপের হাত সরিয়ে দিয়ে বলতে লাগলো,,,,,,,,,

“আপনি যান এখন ৷ কেউ দেখে ফেললে সমস্যা হবে ৷”

অরূপ অবাক হয়ে বললো,,,,,,,,

“তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছো?”

“একটু সময় দিন আমাকে ৷ আমি জানি না আমি কি করবো ৷ কিন্তু যেটাই করি না কেন সবার ভালোর জন্যই করবো ৷ তাতে কেউ কষ্ট পেলে আমার যে কিছুই করার নেই ৷”

“তাহলে তুমি তুহিনকে বিয়ে করবে?”

“এসব কথা তো পরেও বলা যেতে পারে ৷ আমার ভালো লাগছে না ৷ মাথা ব্যথা করছে ৷ আমাকে রুমে যেতে হবে ৷ আপনি চলে যান প্লিজ ৷”

বলেই শ্রেয়া আর না দাঁড়িয়ে বাড়ির ভিতরে চলে গেল ৷ অরূপ ওর যাওয়ার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে পিছনে ঘুরে চলে গেল ৷

___________________________

মাঝখানে কেটে গেল আরো দুইটা দিন ৷ শ্রেয়া আর অরূপের এই দুদিনে একবারো দেখা হয়নি ৷ শ্রেয়া তো রুম থেকে বেরই হয় নি ৷ এই দুইদিন নিজেকে রুমের মধ্যে বন্দি করে রেখেছিল ৷ কারো সাথে বেশি একটা কথাও বলে নি ৷ তুহিন হাসপাতালে গিয়েছে শ্রেয়ার রিপোর্ট আনতে ৷ ড্রয়িং রুমে সবাই গোল হয়ে বলে আছে ৷ আজকে তারা শ্রেয়া আর তুহিনের বিয়ের তারিখ ঠিক করবে ৷

কিছুক্ষনপর তুহিন বাড়িতে ফিরলো ৷ সবাই ওর দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালো ৷ কিন্তু ও কাউকে কিছু না বলে সোজা উপরে নিজের রুমে চলে গেল ৷ তুহিনকে কি রকম এলোমেলো লাগলো সবার কাছে ৷ সবাই একসাথে তুহিনের রুমের দিকে চলে গেল ৷ রুমের মধ্যে তুহিন হাত দিয়ে চোখ মুখ চেপে ধরে বসে আছে ৷ তখনি ওর রুমে সবাই এলো ৷ সবাই ওকে বিভিন্ন কথা জিজ্ঞেস করছে কিন্তু ও কিছু বলছে না ৷ পাথরের মতো চুপচাপ বসে আছে ৷ শ্রেয়ার মা মিনতির সুরে বলতে লাগলো,,,,,,

“কি এমন হয়েছে বাবা আমার মেয়েটার? তুমি বলছো না কেন? আমার অনেক ভয় করছে ৷ বলো প্লিজ ৷”

তুহিন এবারও কিছু বললো না ৷ শ্রেয়ার মায়ের চোখ যায় একটা ফাইলের দিকে যেটা হাতে নিয়ে তুহিন বাড়িতে ঢুকেছিল ৷ শ্রেয়ার মা ছুটে সেদিকে চলে গেলেন ৷ কাঁপাকাঁপা হাতে ফাইলের ভিতরের সব কাগজ পত্র দেখে আৎকে উঠলেন ৷ ধপ করে বিছানায় বসে পরলেন ৷ ফাইলটাও পরে গেল ওনার হাত থেকে ৷ সবাই অবাক হয়ে তাকালেন ওনার দিকে ৷ একে একে সবাই শ্রেয়ার রিপোর্ট দেখে গেল ৷ কারো যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না ৷

এদিকে রুমের মধ্যে শ্রেয়া শুয়ে আছে ৷ ওর পাশে বসে চৈতি ওর মাথা টিপে দিচ্ছে ৷ তবুও ওর যন্ত্রনা কমছে না ৷ আশেপাশের সব শব্দ ওকে আরো বিরক্ত করছে ৷ হালকা চেঁচিয়ে চৈতিকে বলে উঠলো,,,,,,,,,,,,,

“কাদের আওয়াজ আসছে বারবার? কারা কান্না করছে? সবাইকে চুপ করতে বলো প্লিজ ৷ আমার মাথাটা ফেটে যাচ্ছে ৷ যন্ত্রনা হচ্ছে প্রচুর ৷ ওদের সবাইকে কিছু বলো ৷ থামতে বলো ওদের ৷”

বলেই ও নিজের মাথাটা আবার চেপে ধরলো ৷ চৈতি রুমের দরজা জানালা সব বন্ধ করে দিয়ে শ্রেয়ার পাশে বসে ওর মাথায় যত্ন সহকারে আস্তে আস্তে টিপে দিতে লাগলো ৷




পরেরদিন ৷
তুহিন আমাকে নিয়ে গাড়িতে উঠে বসলেন ৷ সিটবেল্ট লাগিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিবেন তখনি ওনার মনে হলো উনি কিছু একটা ফেলে এসেছেন ৷ আমাকে বসতে বলে গাড়ি থেকে নেমে ভিতরে চলে গেলেন ৷ আমি আশেপাশে তাকাতেই হঠাৎ আমার চোখ পরলো গাড়ির ফ্রন্ট গ্লাস দিয়ে ব্যাক সিটের দিকে ৷ মাথা ঘুরিয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখি একটা ফাইল রাখা আছে ৷ হাত বাড়িয়ে সেটা হাতে নিলাম ৷ হাসপাতালের নাম দেখে কপাল কুচকে ফেললাম ৷ বাড়ির দরজার দিকে একবার তাকিয়ে আবার ফাইলটার দিকে তাকালাম ৷

ফাইলটা খুলে একের পর এক পেইজ উল্টে উল্টে দেখতে লাগলাম ৷ তখনি তুহিন এসে আমার পাশে এসে বসলেন ৷ আমার হাতে ফাইলটা দেখে রেগে হাত থেকে টেনে নিয়ে বলে উঠলেন,,,,,,,,,,,

“একটু শান্ত থাকতে পারো না? কেন সবকিছু ধরে ধরে দেখতে হবে?”

বলেই গাড়ি স্টার্ট দিলেন ৷ আমি হালকা হেসে বললাম,,,,,,,,,,,

“আমি কিন্তু সবটা দেখে নিয়েছি ৷”

তুহিন কিছু বললেন না ৷ তার চোখে মুখে রাগ স্পষ্ট ৷ আমি আবারো বলে উঠলাম,,,,,,,,,

“যা হয় ভালোর জন্যই হয় ৷ আমার না বেঁচে থাকার ইচ্ছাটাই মরে গেছে ৷”

তুহিন অবাক হয়ে তাকালেন আমার দিকে ৷ আমি জানালা দিয়ে বাহিরের দিকে তাকালাম ৷ উনি চোখ সরিয়ে ড্রাইভিংয়ে মনোযোগ দিলেন ৷ বেশকিছুক্ষন পর গাড়ি থামিয়ে আমাকে নিয়ে হাসপাতালের ভিতরে গেলেন ৷ ডাক্তার আমার চেকআপ করে বাইরে দাঁড়াতে বললেন ৷ আর তিনি নাকি তুহিনের সাথে আলাদা কথা বলবেন তাই তুহিনকে নিয়ে ভিতরে চলে গেলেন ৷ আমার এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে মোটেই ভালো লাগছে না ৷ তাই আমি নিচে নেমে বাহিরে চলে গেলাম ৷

আশেপাশে তাকাতে তাকাতে সামনের দিকে যেতে লাগলাম ৷ কোথায় যাচ্ছি জানি না ৷ কিন্তু যেতে ইচ্ছা করছে সব কিছু ছেড়ে দিয়ে ৷ হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ কারো সঙ্গে ধাক্কা খেলাম ৷ সামনে তাকিয়ে দেখি অরূপ দাঁড়িয়ে আছেন ৷ ওনাকে দেখে আমি পিছনে ঘুরে চলে যেতে নিলেই উনি আমার হাত ধরে ফেললেন ৷ কিন্তু আমি ওনার দিকে ঘুরলাম না ৷ অন্যদিকে তাকিয়ে রইলাম ৷ এই চোখের সাথে চোখ মেলাতে পারবো না আমি ৷ আমার অসুস্থতার খবর জানলে কি করবেন উনি? সে যাই করুক ৷ এখন আমার জীবনের সঙ্গে কারো জীবনই জড়ানো যাবে না ৷

অরূপ আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন ৷ আমি মুখ ঘুরিয়ে অন্যদিকে তাকালাম ৷ উনি শান্ত স্বরে বলে উঠলেন,,,,,,,,,,,

“গত দুই দিন ধরে এরকম করছো ৷ না যোগাযোগ করতে দিচ্ছো আর না যোগাযোগ করছো ৷ কেন এরকম করছো? এখন আবার কথাও বলতে চাচ্ছো না ৷ কি হয়েছে তোমার বলবে?”

“আমার কিছু হয় নি ৷ আপনি যান এখান থেকে ৷ ভালো লাগছে না আমার কিছু ৷”

অরূপ কিছুক্ষন শ্রেয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে আচমকা শ্রেয়ার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো কোথাও ৷ শ্রেয়া হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে বলে উঠলো,,,,,,,,,

“এরকম করছেন কেন? ছাড়ুন ৷ হাতে লাগছে আমার ৷”

অরূপ শুনলেন না ৷ হঠাৎ মাথায় হাত দিয়ে ব্যথায় ‘আহ’ করে উঠলাম ৷ উনি আমার হাত ছেড়ে দিয়ে আমার দিকে ঘুরে তাকালেন ৷ আমাকে মাথায় হাত দিয়ে ধরতে দেখে আমার কাছে এসে বলতে লাগলেন,,,,,,,,,

“এই তোমার মাথায় কি হয়েছে? দেখি ৷”

হাত দিয়ে অরূপকে দূরে সরিয়ে দিয়ে বলে উঠলাম,,,,,,,,,

“যা হবার হয়েছে ৷ আপনি চলে যান এখান থেকে ৷ চলে যান আপনি প্লিজ ৷”

অরূপ অবাক হয়ে বলে উঠলেন,,,,,,,,,

“তুমি কি এখনো রেগে আছো আমার উপর? দেখো আমি ভুল করেছি ৷ সেগুলো শুধরানোর তো একটা সুযোগ দাও ৷”

“তুহিনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে আমার ৷ চলে যান আপনি ৷”

অরূপ রেগে শ্রেয়াকে ঝাকিয়ে বলতে লাগলো,,,,,,,,

“কি ভাবো তুমি নিজেকে? এতোবার বলছি তাও শুনছো না? আরে আমাদের তো ডিভোর্সও হয় নি ৷ তুমি কেন বুঝতে পারছো না ৷ কেন বারবার আমাকে দূরে ঠেলে দিচ্ছো শ্রেয়া? একটা সুযোগ চাই আমি ৷”

শ্রেয়া অরূপের হাত ঝাটা মেরে সরিয়ে দিয়ে চেঁচিয়ে বলে উঠলো,,,,,,,,,,,

“ভালো লাগছে না আমার ৷ কেন বুঝতে পারছেন না? বিরক্ত লাগছে আমার ৷ আপনাকে এখন অসহ্য লাগছে৷”

অরূপ অবাক হয়ে শ্রেয়ার দিকে তাকিয়ে রইল ৷ কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে হঠাৎ পিছনে ঘুরে শ্রেয়াকে রেখেই চলে যেতে লাগলো ৷ শ্রেয়া অরূপের দিকে তাকিয়ে রইল ৷ ও যেতে চেয়েও যেতে পারছে না ৷ কোনো একটা অজানা কারন ওকে আটকে দিচ্ছে ৷ আস্তে আস্তে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে শ্রেয়া বলে উঠলো,,,,,,,,,,,,,

“আমার জীবনের কয়েকটা দিনের সাথে আপনাকে জড়াতে পারবো না আমি ৷ আমার জীবন তো শেষ পুরো ৷ সেই জীবন আপনার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আপনার জীবনটা নষ্ট করে দিতে পারবো না আর ৷ যতদিন বেঁচে আছি ততদিন আপনাকে নিজের চোখে দেখতে পারলেই হবে ৷ আর কিছুর দরকার নেই ৷”

বলেই হালকা হাসলো শ্রেয়া আর এক দৃষ্টিতে অরূপের দিকে চেয়ে রইলো ৷ তখনি আচমকা পাশ থেকে একটা গাড়ি এসে শ্রেয়াকে ধাক্কা মেরে দিলো ৷ রাস্তায় ছিটকে পরে গেল ও ৷ চারপাশের লোকজন দৌঁড়ে আসতে লাগলো ওর দিকে ৷ পুরো রাস্তা রক্তে মাখামাখি ৷ গাড়ির ড্রাইভার দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার এরকম অবস্থা দেখে গাড়ি রেখেই উল্টো দিকে ঘুরে দৌঁড়ে পালিয়ে গেল ৷

হঠাৎ কিছু ছিটকে পরার আওয়াজ পেয়ে অরূপ দাঁড়িয়ে গেল ৷ পিছনে ঘুরে তাকাতেই ওর চোখ শান্ত হয়ে এলো ৷ নিবার্ক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো শ্রেয়ার দিকে ৷ আশেপাশের মানুষের চেঁচামেচি শুনে অরূপ দৌড়ে শ্রেয়ার কাছে চলে গেল ৷ মাটিতে হাঁটু মুড়ে বসে শ্রেয়ার মাথাটা নিজের কোলে রাখলো ৷ শ্রেয়ার অল্প অল্প জ্ঞান আছে ৷ জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে ও ৷ ওর পেটের বাম সাইডের সামনের দিক থেকে রক্ত গড়িয়ে পরছে তো পরছেই ৷ অরূপ ওর হাত দিয়ে সেখানে চেপে ধরলো ৷ তবুও রক্তের বাঁধ থামছে না ৷ শ্রেয়ার মাথার থেকে আঘাত বেশি লেগেছে পেটে ৷ তাই রক্তও সেখান থেকে বেশি পরছে ৷

অরূপ শ্রেয়ার গালে ওর রক্তে ভেজা হাত দিয়ে শ্রেয়াকে ডাকতে ডাকতে বলে উঠলো,,,,,,,,,,

“এ এটা কি হ হলো? শ্রেয়া? ত তুমি ত তোমার এরকম কি করে হলো? শ্রেয়া কথা বলো প্লিজ ৷ আমার ভ ভয় করছে ৷”

শ্রেয়া জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে নিলো ৷ কথা বলার শক্তিটুকুও যেন ওর মধ্যে নেই ৷ অরূপের হাত খামচে ধরে জোরে জোরে হাপাতে লাগলো ৷ শ্রেয়ার চোখের কোন বেয়ে বেয়ে পানি পরতে লাগলো ৷ অরূপ ওর হাত দিয়ে শ্রেয়ার চোখের পানি মুছে দিলো ৷ ওকে নিজের বুকে জড়িয়ে নিয়ে বলতে লাগলো,,,,,,,,,,

“তোমার কিছু হবে না ৷ আমি হতে দিব না ৷ তুমি বললেই শুনবো না আমি ৷ তোমাকে আমার জন্য বাঁচতে হবে ৷ নাহলে আমি শেষ হয়ে যাবো যে ৷”

বলেই অরূপ আশেপাশের লোকজনের কাছে চিৎকার করে হেল্প চাইতে লাগলো ৷ কয়েকজন লোক দৌঁড়ে অন্যদিকে চলে গেল গাড়ির ব্যবস্থা করতে ৷


হাসপাতাল থেকে কাগজপত্র ঠিক করতে করতে বের হলো তুহিন ৷ শ্রেয়াকে ভিতরে খুঁজে না পেয়ে বাহিরে খুঁজতে এলো ৷ চারপাশে তাকাতে তাকাতে হঠাৎ থেমে গেল ৷ অরূপের বুকে শ্রেয়াকে এরকম রক্তাত্ত অবস্থায় দেখে আতকে উঠলো ও ৷ হাত থেকে সব কাগজ পত্র গুলো পরে গেল ৷ পলকহীন ভাবে শ্রেয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো তুহিন ৷ ধীর পায়ে সামনে এগিয়ে যেতে লাগলো ৷

শ্রেয়ার কাছে গিয়ে ধপ করে মাটিতে বসে পরলো ও ৷ অরূপকে একপলক দেখে আবার শ্রেয়ার দিকে তাকালো ৷ চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে ওর কিছু মূহুর্তের মধ্যেই ৷ কাঁপাকাঁপা হাতে শ্রেয়ার রক্তাত্ত হাতে হাত রাখলো তুহিন ৷ শ্রেয়া আবছা আবছা চোখে তুহিনের দিকে তাকালো ৷ জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে নিলো কিছু বলতে যেয়েও বলতে পারলো না ৷ গলা ধরে আসছে ওর ৷ দুজনকেই একবার দেখে চোখ বন্ধ করে নিলো ৷

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে