Sunday, October 5, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"বৃষ্টি ভেজা রাত(সিজন 2) পর্ব-০৩

বৃষ্টি ভেজা রাত(সিজন 2) পর্ব-০৩

#বৃষ্টি_ভেজা_রাত(সিজন 2)💖
#মেহেদী_হাসান_রিয়াদ💖

#পর্বঃ__৩

বৃষ্টি ঘুমিয়ে আছে। মুখের উপর কিছু চুল পরে আছে এলোমেলো হয়ে। ঘুমের ঘরে অনুভব করলো কেও মুখের উপর থেকে চুল গুলো আলতো করে সরিয়ে কপালে তার ঠোট যুগল ছুইয়ে দিলো। বৃষ্টির সমস্ত শরির জুরে একটা শীতল শিহরণ বয়ে গেলো।
লোকটা মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে তাকিয়ে আছে তার দিকে। মুখ ভর্তি ভালোবাসার পরশ একে দিলো সে। এবার নিজের ঠোটে অন্য ঠোটের ছোয়া পেতেই জমে পাথের হয়ে যায় সে। চক্ষু জোড়া বন্ধ হয়ে আছে তার। কারণ এই ছোয়া তার খুবই পরিচিত।
একটু পর অনুভব করলো পাশে কেও নেই। পিট পিট করে চার পাশটায় তাকালো সে। হালকা বাতাসে পর্দা গুলো নরছে। হারিয়ে গেলো তার সেই পরিচিত ছোয়াটা।
লাইট অন করে চার পাশটায় ভালো করে দেখে বৃষ্টি। রুমের দরজা বন্ধ, বারান্দায় গিয়ে দেখলো তাও কেও নেই। তাহলে কি এটা স্বপ্ন ছিলো?
কিছুক্ষন স্তব্দ হয়ে দাড়িয়ে রইলো বৃষ্টি। চোখের কোন দিয়ে পানি গড়িয়ে পরছে তার। একটু পরই হাটু গড়ে বসে কেদে উঠে সে।
“” আপনি এতোটা নিষ্ঠুর কেনো? স্বপ্নে এসেও আবার হারিয়ে গেলেন? আচ্ছা আপনি কি সত্যিই এসেছিলেন নাকি এটা আমার মনের ভুল স্বপ্ন?

দেখতে দেখতে কেটে গেলো কয়েকটা দিন। একটা অফিসে চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে আসলো বৃষ্টি। করো উপরে আর কয় দিন? এবার না হয় নিজের খরচ নিজেই বহন করবে সে। অবশ্য ইন্টার ভিউ দিতে অফিসের ঠিকানাটা তার বর্তমান আশ্রয় কেন্দ্রের মহিলাটাই দিয়েছে। এভাবে অন্যের অন্ন ধংস করতে আর ভালো লাগছেনা তার। তাই বৃষ্টির ডিসিশন ছোট খাটো হলেও একটা জব করবে সে। কোনো মতে নিজের খরচ চালিয়ে নিতে পারলেই হলো। ইন্টার ভিউ দিয়ে রিক্সা নিয়ে বাড়ি ফিরছে বৃষ্টি। কিন্তু অদ্ভুত বিষয় হলো ইন্টারভিউ না দিয়েই চাকরিটা হয়ে গেলো তার। শুধু তারা বৃষ্টির সাথে হালকা একটু কথা বলেই বললো,
– কনগ্রেচুলেশন আপনার চাকরি কনফার্ম। কবে থেকে জয়েন করছেন?
বৃষ্টি খুশিতে হকচকিয়ে বলে উঠে,
– থ্যাংক ইউ স্যার, আপনারা চাইলে কাল থেকেই জয়েন করবো।
– ওকে, নো প্রব্লেম। তাহলে কাল থেকেই শুরু। অল দ্যা বেস্ট।
– থ্যাংক ইউ স্যার।
– মোষ্ট ওয়েলকাম।

বৃষ্টির মাথায় একটা ভাবনা। এই অফিসের বস টাকে কেমন যেনো চেনা চেনা মনে হচ্ছে তার। কিন্তু মনে করতে পারছেনা ওনি আসলে কে।
ও মাই গট, রাতের সাথে একটা মিটিংএ দেখেছি তাকে। আচ্ছা লোকটা আমায় চিনে ফেলেনিতো আবার? না, তা আবার সম্ভব নাকি? সেই কবে দেখেছে তাকে। তাও ঠিক মতো কথাই হয়নি। চিনলে আজ নিশ্চই রাতের সম্পর্কে কিছু জিগ্গেস করতো অথবা তার মতো একজন বিজনেস ম্যান এর স্ত্রী হওয়ার সত্বেও এখানে সামান্ন কয়েক হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতে আসায় অবাক হতো। যাই হোক চিনেনি ভালোই হয়েছে।
রাতের কাছ থেকে দেখে দেখে মোটামুটি অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। তারপরও কোনো সমস্যা হলে এখানে তো লোক আছেই।

বাসায় ফিরে আগে ওই বাড়ির মহিলাটা মানে তার আন্টির মুখে একটা মিষ্টি ঢুকিয়ে দেয় বৃষ্টি। আজ তার আনন্দ আকাশ ছোয়া
এভাবেই চলতে থাকে সব। নতুন অফিস প্রথম প্রথম একটু নার্ভাস লাগলেও এখন সব মানিয়ে নিয়েছে বৃষ্টি।
প্রথম প্রথম সব ঠিকঠাক থাকলেও ইদানিং অফিসের বস তার সাথে অ-স্বাভাবিক আচরণ করে। হালকা ভুল হতেই শুধু ঝাড়ির উপর রাখে। দোষ না দেখলেও খুটিয়ে একটা দোষ বের করে ঝাড়ির উপর ঝাড়ি। এতো কিছু ও চুপচাপ সহ্য করে নেয় বৃষ্টি। কারণ চাকরিটা হারালে তাকে আবার অন্যের করুনার পাত্র হয়ে থাকতে হবে। মাস শেষে বেতনের টাকা গুলো হাতে নিয়ে মুখে হাসির রেখা টেনে একটা দির্ঘশ্বাস নেয় বৃষ্টি। এ রকম কতো টাকা এক সময় তার হাতে ছিলো। হাত ভর্তি টাকা থাকলেও ওসবে ইন্টারেষ্ট ছিলোনা বৃষ্টির। কারণ তার প্রয়োজনিয় জিনিস গুলো রাতকে বললে সে ই এনে দিতো। এর থেকেও বড় একটা অফিসের মালকিন ছিলো সে। আর আজ, এই সামান্য কিছু টাকার জন্য এতো ঝাড়ি খেয়েও এই অফিসের কর্মচারি হয়ে থাকতে হচ্ছে তাকে। সবই এই কোপাল। সার্থপর এক বোনের জন্য নিজের হাসি খুশি সব বিসর্জন দিলো সে।

এভাবেই কেটে গেলো কয়েকটি মাস। শীত কাল চলে এসেছে। আজ দু,দিন হলো খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে রাত্রি চৌধুরি। কারণ গতকাল রাতের রুমে ঢুকলেই রাতের ড্রয়ারে পরে থাকা প্রগন্যান্সি রিপোর্টগুলো পায় সে। সেই চার মাস আগের রিপোর্ট। বৃষ্টি যেদিন নিখোজ হয়েছে তার দুই দিন আগের।
ওয়াশ রুম থেকে বের হতেই মায়ের হাতে এই ফ্রেগন্যান্সি রিপোর্ট গুলো দেখে চমকে উঠে রাত। তাহলে মা আজ সব জেনে গেলো। রাত্রি চৌধুরি ধিরে পায়ে এগিয়ে যায় রাতের দিকে। রাগে ফোস ফোস করছে তার সারা শরির। নিজের সর্ব শক্তি দিয়ে সজোরে একটা চর বসিয়ে দেয় রাতের গালে।
– ছি রাত, ছোট বেলা থেকে তোকে বড় করার এই পরিনাম? তুই আমাদের সন্তান না? ছোট বেলা থেকে কি তোকে একটু পরিমান অবহেলা অযত্ন করেছি আমরা? বরং, সব সময় চিন্তা করতাম আমার ছেলেটা আমার মেয়েটার কোনো অযত্ন হচ্ছে কিনা? তুই কি করে পারলি স্ত্রী সহ তোর এই অনাগত সন্তানের কোনো খোজ খবর না নিতে? আজ কতোটা মাস হলো তারা নিখোজ। কিন্তু তোর মাঝে কোনো উত্তেজনা বা শুন্যতার ছাপ দেখছিনা আমি। কতো স্বপ্ন ছিলো নাতি নাতনির হাত ধরে ধরে খেলা দেখাবো তাদের। এই শেষ বয়সটা তাদের নিয়েই কাটিয়ে দিবো। এই দু,হাত তুলে কতো দোয়া করেছি যেতে এই সংসারে একটা দাদু ভাই এর জন্য। আর তুই এই খবরটাও আমার কানে একটিবারের জন্য পৌছালিনা?
– আমি চেয়েছি সব মিলিয়ে একেবারে তোমাকে সারফ্রাইজড করে দিবো।
– চুপ, কিসের সারফ্রাইজড? নিজের স্ত্রীর কোনো খোজ খবর নেই সে আসছে সারফ্রাইজ দিতে বাহ্।
– রাত এবার আহ্লাদি কন্ঠে বলে উঠে, হুম সময় আসলে ঠিকই দেখবে।
– বৃষ্টি এই বাড়িতে পা রাখা পর্যন্ত একটু খাবারও এই গলা দিয়ে নামবে না বলে দিলাম। কোথায় থেকে খুজে বের করবি ওটা তোর ব্যাপার। আমি শুধু বৌমাকে আমার সামনে দেখতে চাই ব্যাস।

ইদানিং আরশির মাঝে মাঝে মনে হয় কেও তার পিছু নিচ্ছে। পেছন ফিরলেই কাওকে দেখতে পায় না সে। কিছু দুর যেতেই আবার মনে হয় কেও পিছু নিয়েছে। আবার পেছন ফিরলে দেখে কেও নেই।
শুধু তাই নয় রাতে ঘুমানোর সময়ও মনে হয় বারান্দায় কারো ছায়া হাটাহাটি করছে। এই শীতেও ভায়ে কম্বলের নিচে গুর গুর করতে থাকে সে। কম্বলের নিচে মাথাটা ঢুকিয়ে থাকলে কিছুক্ষন পর মনে হয় কেও একজন তার পাশে এসে বসেছে।
ইদানিং দিনের বেলায় অনেক হরোর মুভি দেখে সে। বলতে গেলে এক প্রকার নেশা হয়ে গেছে। দিনের বেলায় নিশ্চিন্তে দেখে, আর রাত হলে যতো ভয়। এই ভয়ে রাতে ছাদে যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছি সে। কিন্তু এতো কিছুর পরও আরশির মনে হয়, এটা তার মনের ভুল না সত্যি সত্যি কেও তাকে ফলো করছে। এই ব্যাপারে কারো সাথে শেয়ারও করতে পারছেনা আরশি। কেও এটা শুনলে নিশ্চিৎ হাসিতে গড়াগড়ি খাবে। উপকারতো হবেই না বরং আরো হাসির বস্তুতে পরিনত হবে সে। আজ রিদ ভাইয়া থাকলে হয়তো তার সাথে শেয়ার করা যেতো। আমার অনেক প্রব্লম কাওকে না জানিয়ে নিজেই সল্ভ করে নিতো সে। সেই এক মাত্র মানুষ যে বাবা মায়ের পর আমায় নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে সাপোর্ট করে যেতো সব সময়। আমি সত্যিই খুব অন্যায় করে ফেলেছি তার সাথে। তার ভালোবাসাকে একটুও মুল্য দিলাম না আমি। সেই দিন কতো বাজে ব্যাবহার করেছি তার সাথে। আচ্ছা সে কি আমায় কখনো ক্ষমা করবে? ভালোবাসবে আগের মতো? আমি যে আপনার জন্য এখন পথ চেয়ে আছি রিদ ভাই কখন ফিরে আসবেন আপনি? যেই আমিকে দেখার জন্য রাতের বেলায়ও এটা ওটার বাহানা করে চলে আসতেন আমাদের বাসায়। সব চেয়ে বেশি সময় কাটাতেন এই বাড়িতেই। কিন্তু আজ এতোটা দিন পেরিয়ে গেলো। একটি বারও আমাকে দেখতে ইচ্ছে হলোনা আপনার? কেনো একটিবার ফোনে কথাও বললেন না আমার সাথে?

শীত কালিন শীতল হাওয়া এসে হাতছানি দিয়ে যাচ্ছে বৃষ্টির গায়ে। গায়ের চাদরটা আরো শক্ত করে জড়িয়ে বারান্দায় দাড়িয়ে কফির মগে চুমুক দিলো সে। শীতের রাত খুটখুতে অন্ধরার চার পাশ। ছোট একটা লাইটে হালকা আলোয় বারান্দায় দাড়িয়ে আছে সে। তখনই কেও পেছন থেকে জড়িয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয় বৃষ্টিকে। মুহির্তেই কফির মগটা হাত থেকে পরে যায় বৃষ্টির। কাচের মগ টা টুকরু টুকরু হয়ে গরম কফি গুলো পায়ে এসে লাগলো তার। তবুও সেদিকে কোনো ভ্রু-ক্ষেপ নেই। জমে শন্ত হয়ে আছে সে। লোকটা পেছন থেকে চুল গুলো সরিয়ে ঘারে আলতো করে চুমু একে দিলো তার।
কিন্তু আগের মতো এবারও উধাও হয়ে গেলো সে। বৃষ্টি প্রতিবারই ভাবে আরেকবার আসুক, এবার বের করেই ছারবো এটা কি আমার মনের ভুল নাকি রাত সত্যিই আমার কাছে আসে। কিন্তু আগে যাই হোক আজ এটা স্বপ্ন হতে পারেনা। রাত জদি সত্যিই আমার ঠিকানা জেনে থাকে তাহলে এমন লুকুচুরি খেলছে কেনো? না কিছুই মাথায় আসছেনা আমার। বৃষ্টি নিজের পেটের দিকে তাকিয়ে দেখে। মা হওয়ার আভাস মোটামুটি ভাবে তার মাঝে ফুটে উঠেছে। এই সন্তানকে কি পরিচয়ে বড় করবে সে?
,
,
ইদানিং বৃষ্টির একটা ছেলের সাথে ভালো বন্ধুত্ব হলো। তাও আবার ফেসবুকে। ছেলেটার আইডিতে কোনো ছবি পোষ্ট করেনি। আইডির নাম বৃষ্টি ভেজা রাত। সরল মনের বৃষ্টি মোটামুটি সব শেয়ার করে এই ছেলেটার সাথে। বলতে গেলে এখন ভালো বন্ধু তারা।

– সব বুঝলাম, কিন্তু হুট করে এই এ্যাবরশনের সিদ্ধান্তটা কেনো নিলেন। ওটা তো আপনারি সন্তান তাই না?
সাথে সাথেই ম্যাসেজ সিন হলো।
– পৃত্বি পরিচয় হিন আমার সন্তানকে কি করে বড় করবো আমি। আর এমন একটা সিচুয়েশনে মা হওয়ার জন্য মোটেও প্রস্তুত নই আমি।
– দেখুন আপনি আগে ঠান্ডা মাথায় ভাবুন। তার পর সিদ্ধান্ত নিন। সে অনুজায়ি কাজ করুন যে আপনি কি চান।
– আমি অনেক ভেবেছি। এই সন্তান আমার ভবিশ্যতের প্রতিটা পদক্ষেপেই বাধা হয়ে দাড়াবে। আর মা হওয়ার জন্য তো এখনো অনেক সময় পরে আছে।
– একজন মেয়ের কাছে মা ডাকটা শুনা কতোটা আনন্দ দায়ক?
– অনেক। কিন্তু পরে সন্তান হলে তাদের কাছ থেকেও আমি মা ডাক শুনতে পারবো। আগে ও রকম একটা সিচুয়েশন তৈরি হোক।
– এটা আপনার প্রথম সন্তান। আর কেও কেও এই একটা সন্তানের জন্য কতো কিছুই করে। আর আপনি পেয়েও নষ্ট করে ফেলতে চাইছেন? হয়তো এমনই তো হতে পারে যে আপনি, আপনি এ্যাবরশন করলেন। পরে আপনি আর কখনো মা হতে পারবেন না। তখন?
মেসেজ সিন হলো কিন্তু বৃষ্টি কোনো রিপ্লাই দিচ্ছেনা। ছেলেটার কথাটা মনের ভেতরে গিয়ে আঘাত করেছে তার। সত্যিই জদি পরে শুনতে পায় যে সে আর কখনো ‘মা’ হতে পারবেনা তাহলে? বৃষ্টি ছোট্ট করে রিপ্লাই দিলো,
– জানিনা।
– দেখেন আপনি এখনো ওই সিদ্ধান্তটা নিতে পারেন নি। আপনার মন যা চায়।
– এখন আমি কি করবো? কিছুই বুঝতে পারছিনা।
– আমার কিছু টিপস্ ট্রাই করে দেখেন। হয়তো সিদ্ধান্তটা বদলাতেও পারে।
– কেমন টিপস্?
– আপনি যখন ফ্রি থাকবেন তখন, একটা নিরিবিলি জায়গায় বসবেন। তার পর আপনার সাথে যে আছে তার সাথে গুন গুন করে কথা বলতে থাকবেন। আর চোখ বন্ধ করে তার উত্তর গুলো অনুভব করবেন। নির্জন জায়গায় বসে চোখ বন্ধ করে পেটে হাত রাখবেন। চোখ বন্ধ অবস্থায় অনুভব করবেন যে, আপনি আপনার সন্তানকে কোলে নিয়ে হাটছেন। মাঝে মাঝে চুমু খাচ্ছেন। তাকে রেখে তার পাশে সুয়ে আছেন। সে হাত পা গুলো নারছে। আপনার খুব ভালো লাগছে তখন। তখনও মন ভরে আদর করছেন তাকে। সে বার বার আপনার কোলে উঠতে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। আপনি আদর করে কোলে তুলে নিয়ে হাটছেন। সে আপনার গলা জড়িয়ে ধরে আপনার কোলেই ঘুমিয়ে পরলো।
তার পর আবার এটা ভাবুন। বাচ্চাটি হলো আপনি। আর আপনি হলেন আপনার মা। আপনার মা আপনাকে মেরে ফেলতে চাইছে। আপনি পেট থেকে বার বার চিৎকার দিয়ে বলছেন। প্লিজ আম্মু আমায় মেরো না। আমিও দেখতে চাই দুনিয়াটা কেমন। আমিও পেতে চাই বাবা মায়ের আদর। আমাকে এভাবে মেরে রাস্তার কুকুরদের খাবার বানিও না মা।
আপনি দুই ভাবেই চিন্তা করবেন। তার পর হয়তো আপনার সিদ্ধান্তটা বদলাতেও পারে। আর হ্যা, নিজের মাঝে একটা মা মা ফিলিংস আনুন। ভালোবেসে গুন গুন করে কথা বলতে থাকুন তার সাথে। তখন বুঝবেন আপনি আপনার সন্তানকে কতো ভালোবাসেন।
– আচ্ছা আপনি সত্যি করে বলুন তো, আপনি কে?
– আপনার খুব কাছের কেও। সময় হলে বুঝবেন।
– কাছের কেও মানে? সত্যি করে বলুন তো আপনার পরিচয়টা কি?
– এই যে আমরা বন্ধু।
হেসে দিলো বৃষ্টি। ছোট্ট করে বললো,
– আচ্ছা।

To be continue……….

~~ ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।💖💖

গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ