বাড়িওয়ালার ছেলে পর্ব-০১

0
1530

গল্প:বাড়িওয়ালার ছেলে
লেখিকা: ফাহিমা ফাইজা

“দোস্ত,তোর বয়’ফ্রেন্ড বিবাহিত! আমি আজই জানতে পারলাম।”
সারাদিন কলেজ আর পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম আর রাতে মেসেঞ্জারে এমন মেসেজ দেখার পর আমি যে খুব অবাক হয়েছি তা নয়; বরং ভেবেছিলাম হয়ত শারমিন মজা করে এসব লিখছে। তাই আমি কোনো রিপ্লাই না করে ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করি। আমার রিপ্লাই না পেয়ে শারমিন আমাকে ফোন করে।
কিরে,মেসেজের রিপ্লাই করলি না যে?
কি মেসেজ? ওহ আচ্ছা, ওইটা! দেখ সারাদিন অনেক কষ্ট হয়ে গেছে। প্লিজ এসব উদ্ভট কথা আমারে বলিস না।
উদ্ভট কথা? কিসের উদ্ভট কথা? তোর কি মনে হয় আমি মজা করছি?
হ্যা,তো কি? ইউসুফ কেন বিবাহিত হতে যাবে?
ও তোকে ঠ’কাচ্ছে আয়শা। আমি সত্যি বলছি, বিশ্বাস কর!
আমি শারমিনের কথায় পাত্তা দিলাম না। এমনিতেও ক্লান্ত তার উপর এসব কথা। তাই রাগ করে ফোন কেটে দিলাম। এরপর অবশ্য ও অনেকবার ফোন দিয়েছিল। কিন্তু আমি রিসিভ করিনি। কিছুক্ষণ পর আমার রুমমেট শায়লা চলে আসল। শায়লা আর আমি একই মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করি। ও টিউশনি শেষ করে আসল। আমাদের সাথে আরও দুইজন মেয়ে থাকে তবে ওরা মেডিকেলে পড়ে না;ঢাবিতে পড়ে। ওরা এখনো বাসায় আসেনি,প্রতিদিনই লেট করে।তাই আমি আর শায়লা ওদের জন্য অপেক্ষা করি না। কিন্তু আজ আমার ঘুম কেন জানো উড়ে গেছে। শায়লাকে ভাবছি কিছু বলব না। তবুও ওর সাথে সবই যখন শেয়ার করি তখন এটাও শেয়ার করাই যায়। শায়লাকে কথাটা বলার পর ও আমাকে একই কথা বলে যে শারমিন হয়ত মজাই করছে। আর তাছাড়া ইউসুফ আমাকে অনেক ভালো’বাসে। ও আমাকে ঠ’কাবে এটা আমার বিশ্বাস হয় না। শায়লার শান্তনায় কিছুটা মন হালকা হলো। এরপর ঘুমিয়ে পড়লাম।
রাত ২টার দিকে ইউসুফ আমাকে ফোন করে বলল কাল দেখা করতে।
আয়শা,কাল একটু দেখা করতে পারবে? জরুরি কথা আছে।
আচ্ছা,কোথায় আসতে হবে?
তোমাকে আসতে হবে না,আমি নিজেই আসব তোমার কলেজের সামনে।
আচ্ছা,ঠিকয়াছে।
এই প্রথম ইউসুফ এত কড়া ভাষায় কথা বলল আমার সাথে। আমার কেন যেন ভয় হতে লাগল,মনে হলো শারমিনের কথা আবার সত্যি হবে নাতো! মাথাটা কেমন যেন ঘুরতে শুরু করল। নিজেকে শান্ত্বনা দিতে থাকলাম।
রাতে আর তেমন ঘুম হলো না। কলেজ শেষে কথামত ইউসুফ আমার কলেজের সামনে হাজির হলো। মুখে সবসময় হাসি থাকলেও এবার তার মুখটা অন্যরকম। এমন মুখ তার কখনো দেখিনি আমি। আমি বললাম কি হয়েছে ইউসুফ? আরজেন্ট ডাকলে যে?
ইউসুফ কোনো কথা বলল না। আমি আরও কিছু জিজ্ঞেস করতে যাব কিন্তু তখনই একটা ফুটফুটে বছর পাচেক ছেলে ইউসুফ কে এসে জ’ড়িয়ে ধরে। ইউসুফ অনেক আদরের সাথে ওকে কোলে তুলে নিল। আমি তখনও কিছু বুঝে উঠতে পারিনি। কিন্তু আমি হতবাক হয়ে গেলাম তখন যখন ছেলেটা ইউসুফকে মিষ্টি করে বাবা বলে ডাকলো। আমার পার নিচ থেকে মাটি সরে গেল। মনে হলো এখনই মাথা ঘুরে পড়ে যাব। ইউসুফের কথায় আমায় হুশ ফিরল।
আয়শা,শোনো। এই যে ছেলেটাকে দেখছো এটা আমার ছেলে। আর আমি বিবাহিত। তোমার সাথে এতদিন আমি টাইম পাস করেছি শুধু। কিন্তু আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। আমি আমার স্ত্রীকে ঠকাতে পারব না। আই এম সরি, আয়শা। আর কখনো আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে না।
আমি শুধু এতক্ষণ ওর কথা শুনছিলাম। ওর কথা শেষ করতেই যখন চলে যেতে চাইলো তখন আমি ওকে থামতে বললাম। ও আমার কথা শুনে থেমে গেল। আমি একটু কাছে গিয়ে আস্তে করে বললাম
তুমি যা বলছো, এগুলা কি সত্যি?
হ্যা,একদম সত্যি।
তাহলে আমাকে ঠকালে কেন?
ইউসুফ কোনো কথা বলল না। মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকলো।
আমি আবারো একই কথা জিজ্ঞেস করলাম। ইউসুফ এবার বলল, আয়শা দেখ,আমি তো বললাম, আমি সরি!
এবার আমার মাথা একদম গরম হয়ে গেল। আমি অন্যান্য মেয়েদের মত না যে ওর পা জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করব। আমি ওর কলার ধরে বললাম,
ইউ বি’স্ট,ইউ কাও’য়ার্ড! কেন এমন করলি আমার সাথে? কেন? উত্তর দে! তুই বিবাহিত তবুও কেন আমার সাথে প্রে’ম করলি। আমি যদি জানতাম তুই বিবাহিত আবার একটা ছেলেও আছে আমি কোনদিনও তোর সাথে….
আমি আর কিছু বলতে পারলাম না। নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। আর ওর ছেলেটাও আমার চিৎ কার শুনে ভয় পেতে লাগলো। আমার মাথা ঘুরছিল মনে হলো এখনই পড়ে যাব। ইউসুফ আমাকে ধরতে যাচ্ছিলো কিন্তু আমি ওর হাত সরিয়ে দেই। ও আমাকে কি কি যেন বলছিল কিন্তু আমি কানে কিছুই শুনছিলাম না। মনে হচ্ছিল কানের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার বোলতা উড়ে যাচ্ছে, বুকের মধ্যে বি’ষা’ক্ত তী’র এসে বি’ধে যাচ্ছে। তখনই কে যেন গাড়ি থেকে নেমে আমাকে পিছন থেকে ধরে ফেলল। মুখের দিকে তাকিয়ে কে সেটা দেখারও শক্তি হল না আমার। ছেলেটা ইউসুফ কে বলল, আপনি এত বড় কা’পুরুষ আগে জানতাম না। ভাবতাম ওকে হয়ত অনেক বেশি ভালোবাসতেন। আপনি একসাথে দুইজনকে ঠকিয়েছেন।
কথা বলা শেষ করে ছেলেটা আমাকে ওর গাড়িতে উঠিয়ে দিল। আমার মাথায় তখনও কিছু ঢুকছিল না। তবে মনে হচ্ছিলো ছেলেটা আর কেউ না আমাদের বাড়িওয়ালার ছেলে আদনান। গাড়িটা অনেকক্ষণ ধরেই আমাদের কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। এ অবশ্য নতুন কিছু না। ছেলেটা প্রতিদিন আমার পিছন পিছন আসে। আমার বয়ফ্রেন্ড আছে জেনেও প্রতিদিন কলেজের সামনে দাড়িয়ে থাকবে, নয়ত আমরা যে বিল্ডিং এ থাকি তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকবে। ওরা যে বাড়িতে থাকে তা আমাদের বাসা থেকে বেশি দূরে নয়। ওর বাবার এরকম আরো ঢাকায় অনেক বাড়ি আছে। যেদিন থেকে ওদের বিল্ডিং এ এসেছি সেদিন থেকে যে পিছনে লেগেছে তারপর থেকে এমন কোনো দিন নেই যেদিন আমি তার চাঁদ মুখ খানা দেখিনি। ছেলেটা যেমন সুদর্শন তেমন বিত্তবানের ছেলে। কিন্তু প্রথমত আমি ইউসুফকে ভালোবাসি আর দ্বিতীয়ত ছেলেটা একদম ব’খে গেছে। মানে মা মারা যাওয়ার পর থেকে নাকি ছেলেটা এমন হয়ে গেছে। তার বাবা সবসময় তাকে নিয়ে অনেক চিন্তা করেন। কবে এই ছেলে মানুষ হবে, কবে তার কথা শুনবে এই আরকি। যতবারই আংকেলের সাথে দেখা হয় তিনি এরকম কথা বলেই থাকেন।
তো তারপর আমি মানসিকভাবে অনেক বিপর্যস্ত হয়ে পড়ি। গাড়িতে আসার সময় অনেক উল্টাপাল্টা কথা বলেছি। বাসায় এসেও একই কাজ। আমার জায়গায় অন্য কোনো মেয়ে থাকলে কান্না কা’টি করত। কিন্তু কথায় আছে না অল্প শোকে কাতর অধিক শোকে পাথর। আমার হয়েছে তাই, শায়লাকে হাসতে হাসতে বলেছি “জানিস, ইউসুফের না বউ আছে! শুধু তাই না ওর এত্ত বড় একটা ছেলে আছে! পাচ বছর তো হবেই।”
শায়লা আমার কথায় কোনো উত্তর দেয়নি। রাফা আর এশাও আমার অবস্থা দেখে শুধু হা করে দাঁড়িয়ে আছে। আসলে ওরা ভাবতে পারেনি যে ইউসুফ এমন টা করবে। যাই হোক রাফা আর এশা আমাকে নিয়ে ভিতরে চলে যায়। শায়লা কিছুক্ষণ আদনানের সাথে কথা বলে। হয়ত আমাকে নিয়েই কথা বলছিল। আদনান জোরে জোরে আমার দুর্নাম করছিল যাতে আমি শুনতে পাই। বলছিল,
“তোমার বান্ধবী একটা ছা’গল। মানুষ তো জেনে বুঝে রিলে’শ’ন করে তাই না? তা না উনি বিয়ে’দারি ছেলের সাথে প্রে’ম করে এখন ছ্যা’কা খেয়ে পাগল হয়ে গেছে। ”
শায়লা সামান্য হেসে বলল, “দেখেন, আসলে ও বুঝতে পারেনি।আর ইউসুফকে দেখলে তো বোঝা যায় না ওর এত বয়স বা ও বিবাহিত। ”
“আরে বিবাহিত হলে কি বয়স বেশি হয়ে যায় নাকি। ওই ছেলে তো কম বয়সে পালিয়ে বিয়ে করেছে।”
শায়লা ভ্রু কুচকে বলল,“ আপনি কিভাবে জানেন?”
আদনান বাকা হেসে বলল, আমার কাছে এখন এসব জেনে কি হবে? যা হওয়ার তা হয়ে গেছে।এখন তোমার বান্ধবীকে শান্তনা দাও। এছাড়া তো করার কিছু নেই।
“ তা ঠিকই বলেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ অনেক। আপনি না থাকলে তো ও একা আসতেই পারত না। আমি তো আজ কলেজে যাইনি জ্বর এসেছিল তাই।”
“ধন্যবাদ দেওয়ার কি আছে, আমি তো তোমার বান্ধবীকে অনেকবার সতর্ক করার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু তার যে ঢং বাপরে বাপ! আচ্ছা আমি তাহলে যাই এখন। ”
.
পরের দিন আর কলেজে যেতে ইচ্ছা হলো না। কিন্তু শায়লা বলল কারও জন্য জীবন থামিয়ে দিলে তো চলবে না। আর তাছাড়া আজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস আছে।
ওর কথায় অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কলেজে যাওয়ার জন্য তৈরি হলাম। রাস্তায় বের হতেই দেখি আদনান তার দলবল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের দেখে অবাক হওয়ার মত কিছু নেই। কারণ সে প্রতিদিনই এভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। আমাকে আদনান খেয়াল করেনি দেখে ওর এক বন্ধু বলে উঠল,“আরে মামা তোর পাখি আসছেরে!”
এই কথা শুনে অন্যান্য ছেলেরাও হেসে উঠল। আমি অবশ্য এসব শুনতে শুনতে অভস্ত্য হয়ে গেছি। কিন্তু কালকের ঘটনার জন্য আজকে মনটা একদম খারাপ ছিল সাথে মাথাও ভীষণ গরম ছিল। ওদের আচরণ দেখে এবার মেজাজ ১০০০ ডিগ্রিতে উঠে গেল! শায়লার মানা করা সত্ত্বেও আমি আদনানের গালে স’জো’রে চ’ড় বসিয়ে দিলাম। আমার এরুপ কান্ড দেখে ছেলেদের হাসি বন্ধ হয়ে গেল। আর আদনানের চোখ মুহুর্তেই লাল হয়ে গেল। তার চোখ দেখে এই প্রথম আমার এত ভয় করতে লাগল। কিন্তু সেটা চেহারায় প্রকাশ করলাম না। শায়লা আমাকে টেনে নিয়ে বলল, “আরে বোকা মেয়ে এটা কি করলি! ভাইয়া তো কাল তোকে কত হেল্প করেছে। আজ এমন করলি কেন? আর তাছাড়া উনি তো কিছু বলেননি। বলেছে তো ওই ছেলেটা।”
“তুই জানিস না,ওরা সবসময় এমন করে! এই যে আদনান সাহেব! বড়লোকের ছেলে দেখে আপনি যা খুশি তাই করবেন তাতো হবে না। ইউসুফের সাথে আমার ব্রে’ক আপ হয়েছে দেখে ভেবে নিয়েন না যে আপনার সাথে আমি রিলেশ’ন এ যাব। যত্তসব ব’খাটে পোলাপান! ”
কথাগুলোই বলেই আমি শায়লার হাত ধরে হাটা শুরু করলাম। রাগ আর ভয় দুটোই যখন মানুষের মধ্যে দেখা দেয় তখন মনে হয় তার গতি বেড়ে যায়। শায়লার কথা শুনেই বোঝা যাচ্ছিলো আমি খুব দ্রুত হাটছি। ভেবেছিলাম হয়ত আদনান আমাকে পালটা জবাব দিবে। কিন্তু সে গালে হাত দিয়ে ওভাবেই দাঁড়িয়ে থাকল। পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখলাম সে আমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
পুরো ক্লাসটাই ভয়ে ভয়ে কাটল। কলেজ শেষ করে আবার টিউশনি করাতে গেলাম। আমার মন খারাপ দেখে শায়লা সন্ধ্যায় আমাকে রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেল। আমি উপর দিয়ে শায়লার সাথে হাসাহাসি করলেও ভিতর থেকে পু’ড়ে যাচ্ছিলাম। বিরহের দ’হনে ছা’ই হয়ে যাচ্ছিলাম। এ দহন কেউ দেখে না,কেউ দেখবেও না। অবশেষে ছা’ই হয়ে যখন বাতাসের সাথে মিশে কোথাও হারিয়ে যাব,তখন হয়ত কেউ কেউ খুজবে কেউ কেউ খুজবে না। কিন্তু যারা প্রথমে খুজবে তারাও ক্লান্ত হওয়ার আগেই হাল ছেড়ে দিবে আর আমি চিরকালের মত এ পৃথিবী থেকে মুছে যাব। সত্যিই কি কেউ নেই আমার?
আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে আমি মেডিকেলে পড়ি আমার জীবন তো একদম সেটেল। লেখাপড়া শেষ হলেই ডাক্তার হয়ে যাব,তখন শুধু সুখ আর সুখ। কিন্তু বাস্তবতা তো আমরাই বুঝি। ঢাকা শহরে মেয়ে মানুষ হয়ে,টিকে থাকার লড়াইটা আমরাই বুঝি। শুধু মেয়েদেরই না জীবন আসলে প্রতিটা মানুষের জন্য কঠিম, হোক সেটা ঢাকা,হোক সেটা খুলনা, হোক সে মেডিকেলের ছাত্রী বা হোক সে যেকোনো কেউ। আমি এই কঠিন সত্যি তা মেনে নিয়েছিলাম এবং যত কষ্টই হোক না কেন আমি মানিয়ে নিয়েছিলাম। ইউসুফ আমাকে অনেক সাহায্য করত,আমার মানসিক শান্তি ছিল ও। ও এমন করবে কখনো ভাবিনি।
বাসায় রাত ৮ টার দিকে আসলাম। রাফা আর এশা তখনো আসেনি। মেয়েগুলা আজীবন রাত ১২ টার পরে আসবেই। এত রাত অব্দি কি করে আল্লাহ জানেন। শায়কা বলে ওরা নাকি নেশাও করে। আমি অবশ্য,সামনাসামনি দেখিনি। তো রাত ১ টার দিকে বাইরে থেকে দারোয়ান চাচা আর রাফাদের ঝগড়া শুনতে পারলাম। কি নিয়ে ঝগড়া হচ্ছে তা শুনতে পাইনি। সম্ভবত এত রাতে আসার কারণে দারোয়ান চাচা ওদেরকে ঢুকতে দিতে চাচ্ছে না। শায়লা ঘুমিয়ে থাকলেও আমি বাইরে গেলাম। দেখি আদনানও দাঁড়িয়ে আছে। আমি ওকে পাস কা’টিয়ে চলে যেতে চাইলেও ও আমার হাত ধরে বসে। ভ’য়ে আমার রূহ কে’পে গেল। তারপর…
চলবে…

চলবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে