#প্রেম_প্রেম_পায়রা
#সূচনা_পর্ব
#গোলাপী_আক্তার_সোনালী
বাবার লা*শ দা*ফ*ন করে শেষ করতে না করতেই ঝুম বৃষ্টি।অবশ্য এই মুহুর্তে বৃষ্টিকে খুব আপন বলে মনে হলো নুহাশের।ছোট বেলায় বাবার সাথে কাটানো মুহুর্তগুলো বার বার মনে পরছে তার।এই তো সেদিনও ইলেকশনের দিন যখন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হলো তখন ও বৃষ্টি ছিলো।জেতার আনন্দে বাবা ছেলে মিলে সেকি আনন্দ করলো বৃষ্টিতে ভিজে।আজ শুধু সেই স্মৃতিই মনে পরছে বার বার।
“ভাই অনেক সময় তো হইলো বাসায় ফিরবেন না?
বিপুলের ডাকে পিছু ফিরে আরো একবার বাবার কবর দেখে নিলো নুহাশ।সোজা গাড়িতে গিয়ে বসলো।ড্রাইভার বিনা বাক্যেই গাড়ি স্টার্ট করলো।
নুহাশ চৌধুরি।নাম করা একজন এমপি।নতুন প্রজন্মের এক দুরন্ত, এবং পছন্দের নাম নুহাশ চৌধুরী। যার এক কথায় যুব সমাজের সবাই জীবন দিতে প্রস্তুত।
ঢাকা শহরের একটা কমন বিষয় জ্যাম। বিশেষ করে বৃষ্টির পর রাস্তার আশেপাশে কাদায় মাখামাখি অবস্থায় জ্যাম থাকলে ভালো মানুষেরও মেজাজ বিগরে যায়।নুহাশ চুপচাপ বসে আছে গাড়িতে। হুট করেই পেছন থেকে একটা রিক্সা এসে গাড়ির সাথে ধাক্কা লাগায় মেজাজ খারাপ হয় বিপুলের।গাড়ির পেছন থেকে দরজা খুলে বাইরে বেরয় সে।কোনো কথা না বলেই রিক্সায় থাকা বৃদ্ধার জামার কলার ধরে টেনে নিচে নামিয়ে যেইনা মারতে যাবে ঠিক সেই সময় বিপুলের গালে জোরে সোরে একটা থাপ্পর মারে রিক্সায় বসে থাকা একটা মেয়ে।বয়স আনুমানিক ৩০ এর কাছাকাছি। গাড়ির লুকিং গ্লাসে সবটাই দেখছিলো নুহাশ।
” ওই মাইয়া সাহস তো কম না আমার গায়ে হাত তুলেন।
“আর একবার ওনার গায়ে হাত তুলতে গেলে এর থেকে বেশি কিছুই হবে।লজ্জা করে না বাবার বয়সী লোকের গায়ে হাত তুলতে?
আবার এখানে দাঁড়িয়ে মাস্তানি হচ্ছে? কি হয়েছে গাড়ির।ভেঙ্গে তো যায়নি সামান্য লেগেছে মাত্র।
বিপুল কিছু বলতে যাবে সেই সময় লুকিং গ্লাসের দিকে চোখ পরলো।নুহাশ তাকে গাড়িতে উঠে আসতে বলছে।বিপুল রাগে গজ গজ করে উঠে বসলো।
” ভাই মাইয়াডা আমারে থাপ্পড় দিছে আর আপনি।
“আমি সবটাই দেখেছি বিপুল।
তারপর নুহাশ কোথাও একটা ফোন করলো।
” আমার গাড়ির পিছনে রিক্সায় একটা মেয়ে বসে আছে।ওর নাম,কোথায় থাকে,কি করে,পরিবারে কে কে আছে সব খবর আমার চাই।
“কাজ হয়ে যাবে স্যার।
” হুম গুড।সময় কাল অব্দি।
“মনে হয় না কাল পর্যন্ত আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে স্যার। আজকেই পেয়ে যাবেন।
জ্যাম ছাড়ার পর নুহাশের গাড়ি চলতে আরম্ভ করলো।
“ওই লোকটার সাথে এমন করলেন কেন আম্মা।ওরা অনেক ভয়ানক।
” তো কি করতাম চাচা বসে বসে আপনাকে মার খেতে দেখতাম?
“দুই একটা দিয়াই চইলা যাইতো।তাছাড়া দোষ তো আমারই।
” এটা একটা এক্সিডেন্ট চাচা।আর রাস্তায় এমন ঘটনা ঘটেই থাকে তাই বলে কি গায়ে হাত তুলবে।মাফ করবেন আমার এটা পছন্দ নয়।আর এভাবে ওদের প্রশ্রয় দিলে আরো মাথায় চরে বসবে।
বৃদ্ধা আর কথা বাড়ালো না।এটা বুঝে গেছে যে এই মেয়ে অন্যায় দেখলে চুপ থাকতে পারে না।তাই তিনি কোনো কথা না বলেই রিক্সা চালাতে মনোযোগী হলেন।
মেয়েটির নাম জান্নাতুল ছোয়া।সবাই ছোয়া বলেই ডাকে।পেশায় নাম করা উকিল।তার পেশা জীবনে আজ অব্দি কোনো কেসে সে হারেনি। তার বাবাও একজন উকিল ছিলেন।মুলত বাবার স্বপ্নকে এগিয়ে নিতেই সেও এই পেশাকেই বেছে নিয়েছে।
রিক্সা এসে থামলো একটা বড় বিল্ডিং এর নিচে।এখানে একটা এপার্টমেন্ট নিয়ে মা লুবনা বেগমকে নিয়ে থাকে ছোয়া।এটা তার বাবার রেখে যাওয়া। তার বাবা চাইতেন যখন ছুটিতে থাকবে তখন পরিবার নিয়ে এখানে এসে থাকবেন।কিন্তু এটাই যে তাদের মা মেয়ের শেষ আশ্রয়ের যায়গা হবে তা কেউ ভাবেনি।হঠাৎ একটা ঝরে সব উলোটপালোট হয়ে যায়।
রিক্সার ভাড়া মিটিয়ে ছোয়া দেখলো বেলকনিতে তার মা দাঁড়িয়ে আছে।এটা তার রোজকার কাজ।মেয়ে না ফেরা অব্দি তিনি এখানেই অপেক্ষা করেন আর বই পড়েন।
বাড়িতে ফিরে নুহাশ তার মাকে দেখলো ঘুমিয়ে আছে।মুলত তাকে ঘুমের ঔষুধ দেয়া হয়েছে।মায়ের পাশে বোন নুর।ভাইকে দেখে এগিয়ে গিয়ে জরিয়ে ধরলো।বোনকে পরম আদরে জরিয়ে নিলো নুহাশও।
“আম্মার এখন কি অবস্থা?
” ভালো নেই ভাইয়া।জ্ঞ্যান ফিরলেই পাগলামি করছে আর বাবাকে খুজছে।এমন কারা করলো ভাইয়া।কেন বাবাকে এভাবে খুন করলো?
আমার কিচ্ছু ভালো লাগছে না ভাইয়া।
“চিন্তা করিস না।আমি সব খুজে বের করবো।তারপর নিজ হাতে একে একে সবাইকে শাস্তি দিবো প্রমিজ। কিন্তু তার আগে তোদের ঠিক থাকতে হবে।আমি তো নানান কাজ এর জন্য ব্যস্ত থাকবো তাই আম্মাকে তোকেই দেখে রাখতে হবে। পারবি না?
” পারবো।
“গুড।আম্মা হয়তো আজ আর উঠবে না চল তোকে খাইয়ে দিই।
আজ সারাদিন কেউ খাবার খায়নি।নুহাশ নুরকে খাইয়ে দিলে নুরও ভাইয়ে খাইয়ে দিলো।তারপর নুর নিজের ঘরে গেলো।একটু শাওয়ার নেয়া দরকার।
রাত তখন ১২টা।নুহাশ তার বিশাল বেলকনিতে দাঁড়িয়ে সিগারেটের ধোঁয়া উড়াচ্ছিলো।এমন সময় সেই কাঙ্ক্ষিত নম্বর থেকে ফোন আসে।
” স্যার যার খবর নিতে বলেছিলেন তার নাম জান্নাতুল ছোয়া।সবাই ছোয়া নামেই চেনে।বাবা নেই মা আছে।আপনার বাড়ি থেকে ২০ মিনিটের রাস্তা তার এপার্টমেন্টের।পরিবার বলতে এটাই।শুনা যায় আজ থেকে প্রায় ১৮ বছর আগে কেউ বা কারা তার বাবাকে হত্যা করেছিলো।ওদের আত্নীয় স্বজন তেমন নেই।এক মামা আছে সিলেটে সে তার পরিবার নিয়ে থাকে।মেয়েটার বয়স ৩০ বছর।
” কি করে?
” উনি একজন নাম করা উকিল স্যার। তার বাবাও একজন উকিল ছিলেন।
“বলছো কি।ইন্টারেস্টিং বিষয়। আপাতত এতেই চলবে।আজ থেকে ওনার সব খবরাখবর আমার টাইম টু টাইম চাই।আর এটা তোমাকেই করতে হবে।
ছোয়া আজ থেকে তোমার ওপর আমার নজর সব সময়ই থাকবে।
সকালে ছোয়া অফিসে বসে ফাইল দেখছিলো।আজ তার একটা ক্লায়েন্টকে কোর্টে তোলার কথা মুলত সেই বিষয় সবকিছু খুটিয়ে দেখছিলো।এমন সময় ছোয়ার এসিস্ট্যান্ট মিলি এলো।
” ম্যাডাম খবর শুনেছেন?
“কিসের খবর?
” সেকি ম্যাডাম এতো বড় একজন নেতার বাবা মারা গেলো তাও আবার মার্ডার আর আপনি বলছেন কিসের খবর!
“এতো ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা বলো কেন মিলি?
সোজাসুজি বলো।তাছাড়া এই দেশে প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে কেউ না কেউ মারা যাচ্ছে।কেউ স্বাভাবিক ভাবে বা কেউ অন্যের হাতে।এটা নিয়ে এতো মাতামাতির কি আছে?
তা কোন নেতা শুনি?
” নুহাশ চৌধুরীর বাবা।তিনিও একসময় পলিটিক্স এর সাথে জড়িত ছিলেন।
“এটা তোমার সেই ক্রাশ না?
” আপনার মনে আছে? হ্যাঁ তারই বাবা।
“আমি যতটা জানি তার বাবাও একসময় কালো জগতের সাথে জড়িত ছিলেন।পরবর্তীতে পলিটিক্স এ যোগ দিয়েছেন।একজন গেছে তো অন্য একজন রেখে গেলো।
” এভাবে বলবেন না ম্যাডাম। তাছাড়া উনি ওনার বাবার মতো নন।যুবসমাজের প্রান বলতে পারেন আর হাজার মেয়ের ক্রাশ।
“তো এতই যখন মায়া তাহলে এক কাজ করো কাল থেকে আমার এসিস্ট্যান্ট না হয়ে তার হয়ে কাজ করো কেমন।তোমরা মেয়েরা এই ছেলের মধ্যে এমন কি দেখেছো বলতো।যেখানেই যাই এর নাম আছেই উফ।
ছোয়া আর দাঁড়ালো না।চলে গেলো উল্টো পথে। মিলি একটু মন খারাপ করলো।ছোয়া সবসময়ই এমন করে। নুহাশ নামটা যেন তার চিরকাকের শত্রুর নাম।এতো রেগে যাওয়ার কি আছে হুহ।
সকালে মায়ের ঘরে গেলো নুহাশ।মিসেস শায়লা এখনো ঘুমিয়ে।নুর সবে ঘুম থেকে উঠেছে।ভাইকে মায়ের ঘরের দিকে যেতে দেখে সেও গেলো পিছন পিছন।
” ভাইয়া।
“উঠে গেছিস।আম্মা এখনো ঘুমোচ্ছে।
” তুমি একবার ডক্টর আংকেলকে আসতে বলবে?
আমার বিষয় টা ভালো লাগছে না।কাল দুপুরে ঘুমের মেডিসিন দেয়া হয়েছিলো আর আজ সকাল এখনো কেন এতো ঘুমোচ্ছে মা?
“আচ্ছা আমি দেখছি।
” ভাইয়া তুমি কি আজ বের হবে?
“হ্যাঁ একটু কাজ ছিলো।কেন কিছু বলবি?
” আজ কোথাও যেওনা ভাইয়া প্লিজ।
বোনের করুন চোখে তাকিয়ে আর না করলো না নুহাশ।
“ঠিক আছে যাবো না।
★
দুদিন ধরে টানা বৃষ্টির পর আজ একটু রোদের দেখা মিলেছে।রাস্তার আনাচে কানাচে পানিতে টইটম্বুর অবস্থা।
আজ সকালেও শহরে একটি অজ্ঞাত লাশ পেয়েছে স্থানীয়রা।সেটা নিয়েই এখন সবার চর্চা চলছে।গত তিনদিন আগেও পছন্দের অবসরপ্রাপ্ত নেতার নির্মম খুনে এমনিতেই সবাই আতঙ্কের মধ্যে আছে।এতোকিছুর মধ্যেই পুলিশ এখনো খুনিকে খুজে পেতে সক্ষম হয়নি।
পর পর দুটো খুন তাও একই পদ্ধতিতে। সকালের খবরের কাগজ দেখে রীতিমত চমকে গেলো ছোয়া।
“আজকেও একটা লাশ পাওয়া গেছে মা।
” তুই পড়ার আগেই দেখেছি আমি।কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কি করছে।এভাবে তাদের নাকের ডগা থেকে একের পর এক খুন হচ্ছে আর তারা নাকি খুনিকেই ধরতে পারছে না।
“আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আর দোষ কি মা।খুনি এমন কোনো ক্লু রেখে যায়নি যা দিয়ে খুনি অব্দি যেতে পারবে।
” তাহলে তো বলতে হয় তোদের আইন কোনো কাজেরই না।এসব দেখলে তোর বাবার কথা মনে পরে যায়।তাছাড়া।
“হয়েছে বাদ দাও।এখন পুরনো কাসন্দি ঘাটতে হবে না।তুমি বরং আজ জমিয়ে খিচুড়ি রান্না করো সাথে গরুর গোস্ত।আজ ভালো খাওয়া দাওয়া হবে।আজ আমার খুব শান্তি লাগছে।
” তোকে আমি মাঝে মাঝে বুঝি না কেন বলতো।
মানুষ ভয়ে আতঙ্কে মরে যাচ্ছে আর তুই চিল মুডে আছিস।
“ওটা তুমি বুঝবে না মা।
আজ চৌধুরী বাড়িতে এলাকা সহ আশেপাশের এলাকা পর্যন্ত সমস্ত সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য ভোজনের আয়োজন করা হয়েছে।এটা চলবে আগামী তিনদিন পর্যন্ত। তারা আসবে নিজেদের ইচ্ছা মতো যার যেটা পছন্দ সে সেটাই খাবে।এটা নুহাশের বাবা আলহাজ্ব চৌধুরীর ইচ্ছা ছিলো।খুন হবার এক সপ্তাহ আগে তিনি নিজেই এই কথা জানিয়েছিল নুহাশকে।
নাহার বেগন(নুহাশের মা) আগের থেকে এখন একটু সুস্থ। এখন একটু স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছেন।ছেলে মেয়ের সামনে এভাবে থাকলে ওদেরও খারাপ লাগে সেটা তিনি বুঝেন।
নুহাশ ভোজনের সমস্ত আয়োজন দেখে কেবলই ঘরে ফিরলো।নাহার বেগমকে সোফায় দেখে সেদিকেই এগিয়ে গেলো।
” আম্মা?
“বলো আব্বা।কিছু বলবে?
“আপনার শরীর এখন কেমন আছে?
” আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আব্বা।তুমি কেমন আছো।
“আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আম্মা।নুর কোথায় দেখছি না তো।
” মাত্রই ঘরে গেলো।মেয়েটা কিছু খেলোও না।
“আপনিও তো কিছু খাননি আম্মা।আমি নুরকে ডেকে আনছি আজ একসাথে খাবো সবাই।
নুহাশ বসে বসে কাজ করছিলো।এমন সময় বিপুল এলো।
” ভাই আজও একটা বডি পাওয়া গেছে।স্যারকে যেভাবে মারা হয়েছিলো ঠিক একই ভাবে।
“সেকি আমাকে আগে কেন বলিসনি?
” আপনি ব্যস্ত ছিলেন বলে বলিনি।
“বডিটা এখন কোথায়?
” মর্গেই আছে।আসলে অফিসার আপনার সাথে দেখা করতে চায়।এই বিষয় নিয়ে কথা বলবে।উনি বাইরেই আছেন।
“আসতে বল।
অফিসারের বের করে দেয়া কিছু ছবি নুহাশ অনেক সময় নিয়েই দেখলো।কিন্তু তেমন কিছুই বুঝলো না।
” ছবিগুলো দেখে তো তেমন কিছুই বুঝা যাচ্ছে না অফিসার। বাবার ফেসটা তবুও বুঝা গেছে কিন্তু এর তো ফেসটাই বুঝা যাচ্ছে না।
“সেটাই তো প্রব্লেম স্যার।খুনিও কি চালাক ভাবুন মানে একটা ক্লুও রেখে যায়নি যেটা দ্বারা খুনি অব্দি পৌছেতে পারবো।সত্যি বলছি আমি আমার ১০ বছরের ক্যারিয়ারে এমন কেস দেখিনি।বডি কিছুটা পচেও গেছে।বুঝেনই তো টানা দুদিন বৃষ্টিতে ভিজেছে।
“আচ্ছা আশেপাশে কোনো সিসিটিভি ফুটেজ পাননি?
” এটাও চেষ্টা কিরেছি।কিন্তু আশ্চর্যের কথা হলো খুনের ঠিক দু’দিন আগেই ক্যামেরা গুলো কেউ বা কারা ভেঙ্গে দিয়েছে।
“আর এটা কেউ দেখেনি?
” না।খুনি যে সব বুঝেশুনে এবং সাবধানতা অবলম্বন করেছে তা বুঝাই যাচ্ছে।সে যাই হোক আপনার বাবার তদন্তের জন্য আমাদের আরো কিছু তথ্য প্রয়োজন স্যার। তবে এখন আমায় উঠতে হবে।প্রয়োজনে কল করলে অবশ্যই আমাদের সাথে কোওপারেট করবেন আশা করি।
“অবশ্যই করবো।আপনি নির্দিধায় ডাকতে পারেন।বাবার খুনিকে ধরার জন্য আমি সব কিছুই করবো।
” এবার বুঝতে পারছি এখানকার সবাই আপনাকে এতো ভালোবাসে কেন।আপনার এই নম্র ব্যাবহারের জন্য।
অফিসারের কথা শুনে মুচকি হাসলো নুহাশ যার অর্থ নুহাশ ছাড়া কেউ জানে না।
চলবে