প্রেম পড়শী পর্ব-২২ এবং শেষ পর্ব

0
680

#প্রেম_পড়শী
#পর্ব_২২
#লেখনীতে_নবনীতা_শেখ
[প্রাপ্তবয়স্ক ও মুক্তমনাদের জন্য উন্মুক্ত]

মাস তিনেক পর, শেফার পছন্দের দিনটিতে মোহ-রঙ্গনের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা করা হলো। এই তিনমাসে কিছুই বদলায়নি। মোহর তার বাবার প্রতি রাগটা একই আছে, নাফসিন-নুরশীন থেকে একই দূরত্ব স্থির আছে, নাজমাকে একইভাবে ঘৃণা করে! মোহ সবকিছু গোছগাছ করে রঙ্গনের বাড়িতে পাকাপোক্তভাবে শিফট হয়ে গেছে। ও-বাড়িতে এখন নাফসিন-নুরশীন, নাজমা থাকে; জয়তুননেসাও চলে এসে এখানে রয়ে গেছেন।

শেষ যেদিন নাজমার সাথে মোহর কথা হলো, মোহ সেদিন অকপটে বলে উঠেছিল,
-“আপনার স্বামীর অঢেল সম্পত্তি নেই। যথেষ্ট শিক্ষিত আপনি, স্বামীর ব্যবসার হাল ধরুন।”

নাজমা নিজেকে সেরূপ প্রস্তুত করে নিয়েছে। মেয়েটা ভুল বলেনি। প্রতিটা নারীকেই নিজেকে পরিচালনা করার মতো উপযুক্ত হতে হয়, কোনো পুরুষের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকা নারীরা কোনায় পড়ে গুমরে মরে। নাজমা শক্ত হয়েছে।

বিদায়ের আগেরদিন মোহ লাইব্রেরি রুমে গিয়েছিল। সেখানে মাহফুজ সাহেবের একটি ডায়েরি পায়। তার বাবা-মা উভয়ই ভীষণ সৌখিন মানুষ ছিলেন। এরকম বেশ ধরনের শখ আছে তাদের। মোহ সে ডায়েরিটা পড়ল না। ডায়েরির সঙ্গে যত রকমের লেখা ছিল মাহফুজ শিকদারের পক্ষ থেকে, সব আগুনে পুড়িয়ে ফেলল। মায়ায় মরে না গিয়ে, মায়া কাটাতে জানলে, জীবনের পথ মসৃণ হয়।

মোহর জীবনের পথ মসৃণ হচ্ছে। সে রঙ্গনকে পুরোপুরিভাবে নিজের করে পেয়েছে। রঙ্গন মোহর সব প্রয়োজনের খেয়াল রাখে। সব চাওয়া পূরণের দায়িত্ব নিয়ে রেখেছে। মোহ চোখের পলক ফেলার মুহূর্তেই তার প্রয়োজনীয় সবকিছু রঙ্গন টের পেয়ে যায়।

সকালে ঘুম থেকে উঠে মোহ রঙ্গনকে দেখতে পেল তার পেটের ওপর মাথা রেখে ঘুমোতে। মিহি হেসে রঙ্গনের এলোমেলো চুলগুলো গুছিয়ে দিতে লাগল। ঠিক সেই ক্ষণে রঙ্গন বলে উঠল,
-“সুপ্রভাত, ম্যাডাম!”

ঘুম জড়ানো আওয়াজ! মোহ হেসে উঠল শব্দ করে। পালটা জবাব দিলো,
-“শুভ সকাল। বালিশে ঘুমাও, পেটে লাগছে।”

রঙ্গন সরে এসে বালিশে শুয়ে পড়ল। একহাতে মোহকে জড়িয়ে নিল। মোহ এগিয়ে গিয়ে রঙ্গনের বুকে মাথা রাখল। জীবনটা খুব ছোটো! যখন যখন পারা যায়, তখন তখন সুখ কুড়িয়ে নেওয়া উচিত। কালকের আশায় বসে থাকার মতো বোকামি দ্বিতীয়টা হয় না। জীবনের শেষদিনটা যদি আজ হয়, তবে কাল-এর অপেক্ষায় কে থাকবে?
জীবনকে তাই প্রতি পদে সুযোগ দেওয়া উচিত। সেই সুযোগগুলোর সঠিক ব্যবহার যদি না জানা থাকে, তবেই দেওয়া উচিত। অন্যথা হিতে বিপরীত হয়ে যায়। হতে পারত সুখগুলো হয়ে যায় অসুখ। দু’দিনের জীবনে স্বেচ্ছায় কে অসুখে জড়ায়? যে জড়ায়, সে স্মার্ট নয়! সে নির্বোধ!

____
ভার্সিটির ক্যান্টিনে বসে মোহ চিপস খাচ্ছিল। এমন সময় এক ছেলে এসে হুট করেই তার পাশে বসে পড়ে। গম্ভীরমুখখানাকে হাহা-হিহি টাইপের বানিয়ে মোহকে জিজ্ঞেস করল,
-“কোন ইয়ার?”

মোহ ভ্রু কুঁচকে একবার তাকাল তার দিকে। বেশ অগোছালো একটা লোক। ইনফরমাল ওয়েতে পরা একটা কালো শার্ট, এলোমেলো চুল-দাড়ি! কেমন যেন অদ্ভুত! মোহ এক দেখায় এতটুকু দেখে চোখ ফিরিয়ে নিল। প্রশ্ন করেছে—কোন ইয়ার!
সময় নিল, টেবিল থেকে কোকাকোলার বোতলটা তুলে, তাতে চুমুক দিয়ে বলল,
-“ফার্স্ট ইয়ার।”

মোহ জানে, এখানেই স্টপ না। তার জানার গল্পটাতে বিস্তার ঘটিয়ে ছেলেটা বলে উঠল,
-“বাচ্চা মানুষ! কোন ডিপার্টমেন্ট?”

মোহ ডিপার্টমেন্টের নাম বলল। ছেলেটা জিজ্ঞেস করল,
-“নাম কী?”
-“মোহনা আফরিন।”

নাম বলার পর থামল। এবার পালটা প্রশ্ন করল,
-“আপনার?”

এবার যেন ছেলেটা ঘাবড়ে গেল। এটা তো কথা নয়! কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেগুলোও হকচকিয়ে গেল। এগিয়ে আসতে যাবে যখন, তখন বসে থাকা ছেলেটা হাতের ইশারায় থামতে বলল। তারপর নিজের নাম বলল,
-“স্যাইফ!”

মোহর হাসি পেল, অথচ হাসল না। জিজ্ঞেস করল,
-“পুরো নাম?”
-“মো. সাইফুল্লাহ হানিফুর রসিদ ইকবাল।”

মোহ তবুও হাসি আটকে রাখল। আবার জিজ্ঞেস করল,
-“কোন ইয়ার?”
-“ফাইনাল ইয়ার।”
-“কোন ডিপার্টমেন্ট?”
-“পলিটিকাল সাইন্স।”
-“তো মো. সাইফুল্লাহ হানিফুর রসিদ ইকবাল ভাই, আপনার বন্ধু-সাথীদের ডাকেন! সামনে তিনটা চেয়ার খালি আছে, ওপাশ থেকে আর দুইটা নিয়ে এড হতে বলেন।”

ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পাঁচজন বন্ধুদেরই মোহ খেয়াল করেছে! সাইফুল আশ্চর্য হলো! বন্ধুরা কথা শুনে নিজ দায়িত্বে এগিয়ে এলো। চেয়ার টেনে বসে পড়ল। সবার বসা হতেই, মোহ বলল,
-“ভাইয়ারা, ভালো আছেন?”

সবাই একে-অপরের দিকে তাকাল। সাইফুল বোকার মতো তাকিয়ে আছে। সে কদিন ধরে মোহকে দেখছিল, ভালো লাগার বিষয়টা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতেই, বন্ধুরা উপদেশ দিলো নাম-পরিচয় জেনে একটু ভয় দেখাতে। এভাবে নাকি সিনিয়রদের সাথে প্রেম হয়! এদিকে মেয়েটা ভয় তো দূর, পাত্তাও দিলো না! সাইফুল খুব হতাশ।

কেউ ভালো আছে কি না নেই, মোহকে জানাল না। মোহ নিজ দায়িত্বে আবার বলা শুরু করল,
-“আজ থেকে আপনাদের কোনো বন্ধুকে মেয়ে পটানোর ট্রিক্স সাজেস্ট করার আগে, জেনে নিতে বলবেন—মেয়ে বিবাহিত কি না, বাচ্চা-কাচ্চা কয়টা। কেমন?”

সবার চোখ কোটরগত! সাইফুলের আশ্চর্যের মাত্রা নিচের দিকে এলে, সে অত্যন্ত দুঃখী গলায় জিজ্ঞেস করল,
-“তুমি ম্যারিড?”

মোহ হেসে বলল,
-“তিন বছর হবে সামনে।”

সাইফুলের ফুলের মতো ভালোবাসাটার অকাল পতনে সকলের দুঃখ প্রকাশ করা উচিত হলেও, বন্ধুরা হাসতে লাগল; সেই সঙ্গে মজা ওড়াতে লাগল। একে তো প্রেমের শুরুর আগেই শেষ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা, তার ওপর বন্ধুদের খোঁচামার্কা কথা, সব মিলিয়ে সাইফুল পারে না মেঝেতে গড়াগড়ি খেয়ে কাঁদতে।

মোহর ফোনে একটা ম্যাসেজ এলো। ম্যাসেজটা দেখে সে বিল দিয়ে উঠে দাঁড়াল, টেবিলে গোল হয়ে বসে থাকা ৬ জন মানবের উদ্দেশ্যে বলল,
-“আসি, ভাইয়া! নেক্সট ডে আড্ডা হবে।”

মোহ চলে গেল কথাটা বলেই। ক্যাম্পাসের গেটের সামনে দাঁড়াতেই রঙ্গনের গাড়ি দেখতে পেল। মোহ সেদিকটায় এগিয়ে গেল। রঙ্গন ড্রাইভিং সিটে বসে আছে। মোহ পাশের সিটে বসে পড়ল।

রঙ্গন পানির বোতল এগিয়ে দিয়ে বলল,
-“দেরি করে ফেললাম? অনেক অপেক্ষা করালাম, তাই-না?”

মোহ পানিটা খেয়ে বলল,
-“সমস্যা নেই।”
-“দিনটা কেমন কাটল?”
-“এডভেঞ্চারাস!”

শব্দটা উচ্চারণ করেই মোহ হেসে দিলো। তারপর ঘটনা বর্ণনা করল। তাল মিলিয়ে রঙ্গন নিজেও হাসল। এরপর মোহকে অপরিকল্পিত যাত্রা শুরু করল। এটা নিত্যনৈমিত্তিক কাজ তার। অফিস থেকে বেরিয়ে মোহকে নিয়ে ড্রাইভে যায়, বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত।

আজ যখন বাড়ি ফিরল, তখন সময় ছিল গভীররাত। বারোটা ছুঁইছুঁই। রঙ্গন মোহকে ভেতরে যেতে বলে, পার্কিংয়ে চলে এলো। মোহ অন্ধকারে ফোনের ফ্ল্যাশ অন করল। স্ট্রিটলাইটের আলোতে যা দেখা যায়, ততটাই দেখা যাচ্ছে। অথচ বাড়ির ভেতরের সব অন্ধকার। এমনটা এর আগে হয়নি। অন্তত বাগানের লাইটটা জ্বালানো থাকে! আজ সেটাও নেভানো।
মোহ ধীরপায়ে ভেতরে প্রবেশ করল। অন্ধকারের মাত্রা ক্রমেই গাঢ় হয়ে যাচ্ছে। ঠিক এমন সময় কানের কাছে টিকটিক আওয়াজ আসছে; খুব জোড়াল! কিছুক্ষণ যেতেই কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেল। মোহ থমকে গিয়ে দু’পা পিছে চলে এলো। কোনো শক্তপোক্ত কিছু একটার সাথে তার পিঠ ঠেকে গেল। শক্ত-সামর্থ্য বুকটা যে তার সাধের পুরুষের, ব্যাপারটা ধরতে সেকেন্ডও লাগল না। মিলিসেকেন্ডের ভেতর তার দুবাহুতে রঙ্গনের হাত চলে এলো। মোহকে ব্যালেন্স রাখতে সহায়তা করার জন্য এগোনো হয়েছে সেই হাত।

৪..৩..২..১..
আর সমস্বরে চিৎকারের সাথে ভেসে এলো একটা আওয়াজ, “হ্যাপি বার্থডে, মোহনা!”

লাইট জ্বলে উঠল। পুরো বাড়ির বসার ঘরটা সাজানো হয়েছে চমকপ্রদভাবে। মোহ জানে, আজ তার জন্মদিন। প্রতিবছর তার মা-বাবা এই দিনটায় তার জন্য স্পেশ্যাল কিছু করে। আজ তারা দু’জন নেই দেখে, মোহ কোনোরূপ আগ্রহ দেখায়নি। তারপরও সব পাচ্ছে!

মোহকে রঙ্গন বাদে একে-একে সবাই এসে জন্মদিনের শুভ কামনা জানাচ্ছে। সামনে অনেক মানুষ। শফিক সাহেব, রুমা, রূশী, নাফসিন, রেনু, জয়তুননেসাসহ আরও অনেকে। মোহর কানে কারও কথা প্রবেশ করছে না। সে মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় সবার হৈ-হুল্লোড় দেখছে। আবছা চোখে ভেসে উঠছে শেফা। এই তো! এই তো শেফা এলো! পরনে হালকা রঙের সুতির শাড়ি, ঝুলোনো খোঁপা, কপালে ছোট্ট কালো টিপ, দু-হাতে দুটো বালা! সে এগিয়ে এসে মোহর সামনে দাঁড়ায়। দু’হাতে মোহর ছোট্ট মুখটা আঁজলা করে ধরে চুমু খায়, চমৎকার করে হেসে বলে ওঠে,
-“আমার সোনাই! অনেক বড়ো হও। মা তোমায় ভালোবাসে। মা তোমায় হারিয়ে ফেলা সুখের মতো ভালোবাসে, বুকভরা যন্ত্রণার মতো বুকের মাঝে আগলে রাখে।”

মোহর বুকটা কেঁপে উঠল। মোহর দুনিয়াটা কেঁপে উঠল। তার মা নেই! ‘মা নেই’—ছোট্ট দুটো শব্দ, অথচ কত ভারি! কত ব্যথা লুকোনো।
ড্রয়িং স্পেসের এক দেয়ালে বেশ বড়োসড়ো একটা আয়না আছে। মোহ সে আয়নায় দেখল। ছোটো থেকেই শুনেছে, সে নাকি তার মায়ের মতো দেখতে হয়েছে। মোহ নিজের মাঝে নিজের মাকে খুঁজল। খুব খুঁজেও যখন পেল না, তখন চোখ গেল তার পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা পুরুষটির দিকে। হালকা রঙের একটি শার্ট ইন করে পরা। বুকের কাছের দুটো বোতাম খোলা। ফুল স্লিভস কনুই অবধি ফোল্ড করা, বাঁ-হাতে ব্ল্যাক ওয়াচ। হাতদুটো পকেটে পুড়ে নেওয়া। চুলগুলো কপালের ঘামের সাথে লেপটে আছে।
কথায় আছে, মেয়েরা নিজের পুরুষের মাঝে নিজের বাবাকে দেখতে চায়। মোহ চায় না, তবুও কেন যেন চেষ্টা করল। অতঃপর খুঁজে পেল দুটি কথা।

ভালোবাসার বিপরীতে ততক্ষণই সমপরিমাণ ভালোবাসা পাওয়া যায়, যতক্ষণ বিপরীত পুরুষটার চোখে মুগ্ধতা স্থির থাকে। মোহ নিজেকে শতরূপে নিজের পুরুষের কাছে প্রকাশ করবে। প্রতিরূপে মুগ্ধতা বাড়া বই কমবে না। রঙ্গনের চোখ তার নারীতে স্থির থাকবে মৃত্যুর সেকেন্ড আগ অবধিও। মোহ এরূপভাবেই নিজেকে তার নিকট প্রকাশ্যে রাখবে।

আর দ্বিতীয়ত, পুরুষ মানুষ দু ধরনের। এক ধরনের পুরুষ মানুষ মাহফুজ শিকদারের মতো, অন্য ধরনের পুরুষটা ওয়াজিহ্ মেজবাহ রঙ্গনের মতো। স্বর্ণশেফা জীবদ্দশায় ঠকেছে। এখন দেখার পালা, মোহনা আফরিন কতদূর জেতে!

মোহ দ্বিতীয়বার ওই শীতল চাহনিতে তাকাল! নাহ! লোকটা তাকে হারতে দেবে না। ওই চোখের মাঝে আছে আকাশসমান ভালোবাসা। ওই চাহনিতে আছে আস্থা, বিশ্বস্ততা। মোহ মনে মনে ফরিয়াদ করে উঠল,
-“সবাই হারে না! প্রিয় পুরুষ, প্রমাণ করে দাও—সবাই হারে না।”

রঙ্গনের চোখ হাসল হঠাৎ করে, আশ্বস্ত করা হাসি সেটা! প্রশান্তিতে মোহর হৃদয় শীতল হয়ে উঠল। আশে-পাশে অনেকেই আছে। অথচ মোহ ব্যস্ত তার পুরুষকে দেখতে। রঙ্গন দু’কদম এগিয়ে ভারি ফিসফিসিয়ে বলল,
-“পড়শী! মনে আছে? আমি আগে তোমাকে পড়শী বলে ডাকতাম?”

মোহর মনে আছে। সে যখন অভিমানে গা ঢেকে রুমের ভেতরে চুপটি করে থাকত, রঙ্গন বারান্দায় এসে ডেকে উঠত,
-‘প্রিয় পড়শী! দেখা দিন!’

মোহ সেই ডাক উপেক্ষা করতে পারত না। সবটা মনে পড়ল ক্ষণিকেই। রঙ্গন একই ভঙ্গিমায় ফের ফিসফিসিয়ে উঠল,
-“আমাদের প্রেম পাশাপাশি দুটো বাড়িতে, পাশাপাশি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হয়নি কেবল। আমাদের প্রেম হয়েছিল পাশাঘেঁষে অবস্থিত দুটো মনের সন্ধিতে। মনে মন ছুঁলে প্রেম হয়। বুঝলে কিছু?”

মোহ বুঝে ওঠার আগেই ফের পুরো বাড়ি একবার অন্ধকার হয়ে উঠল। রঙ্গন আরও নিকটবর্তী হয়ে মোহকে জড়িয়ে নিয়ে ঘোর লাগানো আওয়াজে বলে উঠল,
-“প্রেম-পড়শী!”

অন্ধকারাচ্ছন্ন বাড়ি থেকে মোহর হাত ধরে বের হয়ে গেল রঙ্গন; উদ্দেশ্য ‘আস টাইম’। এরপর বাড়ির সবাই ওদের খুঁজবে, খুঁজতে খুঁজতে অস্থির হবে। মোহ আর রঙ্গনের খেয়াল সেদিকে নেই। তারা দুজন এখন একে-অপরে মত্ত হয়ে পুরো শহরের গায়ে প্রেম বিলাবে। সুখ সর্বাঙ্গে মেখে, প্রেম প্রেম খেলবে।

~সমাপ্ত~

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে