প্রতারক part 3

0
1848

প্রতারক part 3
#Roja_islam

লনি এগিয়ে এসে যেই আমার হাত ধরতে যাবে। ওমনি সেই ছেলে টা লনির কলার চেপে ধরে পিছন থেকে তারপর পিছনে টেনে ফ্লোলে ছুঁড়ে ফেলে খুব জোরে লনি চিৎকার করে উঠে। ছেলেটা আস্তে আস্তে লনির কাছে যায়। ছেলেটার চেহারায় যেমন মুহূর্তে কোনো সিরিয়াল কিলার এর মতো ভয়ংকর আর হিংস্রতা ফুটে উঠেছে। এবার আমার লনির থেকে ছেলেটাকে ভয় করছে। ছেলেটা লনির কাছে গিয়ে এক পা ভেঙে হাটু গেড়ে বসে। বেশী কিছুনা কান টা কিভাবে ধরলো।আর লনির চিৎকার এ পুরো শহর যেমন কেঁপে উঠলো। তারপর দাঁড়িয়ে এলোপাথাড়ি লাথি দিতে শুধু করলো। প্রায় ১০ মিনিট লাথি দিয়েই যাচ্ছে এবার আর আমি চুপ থাকতে পারলাম না চিৎকার করতে লাগলাম।
— প্লিজ স্টপ। মরে যাবে ছেড়ে দিন ওকে!!
.
লনি অনেক আগেই জ্ঞান হারিয়েছে। আর ছেলেটা থার্ডক্লাস গুন্ডাদের মতো হিংস্র থেকে হিংস্র হয়ে মেরেই যাচ্ছে। আমি কি করবো ভেবে পাচ্ছিনা হাত পেছন থেকে বাধা পাও বাধা দাঁড়াতে ও পারছিনা তাই। বেড থেকে ইচ্ছে করে পড়ে গেলাম।
— আহহহহ!!
আমার চিৎকার কানে যেতেই সাথে সাথে সে আমার দিকে তাকালো রক্ত চোক্ষু নিয়ে ভয়ে আমি ব্যথা ভুলে গেলাম ঢোগ গিললাম বড়সড় কয়টা। ছেলেটা তেড়ে এলো আমার দিকে আমি হেছরিয়ে পিছন যাচ্ছি। সে খপ করে আমার দু বাহু চেপে ধরে গর্জিয়ে উঠলো।
— কষ্ট হচ্ছে মাড়ছি বলে লাভার কে?? বলো কষ্ট হচ্ছে থামাচ্ছো কেনো হোয়ায়?? ছে সামথিং ইডিয়ট। আমার জান যাচ্ছিলো আর…..!
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


এটুকু বলেই থামলো ছেলেটা। আমি ফ্যালফ্যাল করে তার দিকে তাকিয়ে আছি ভয় করছে আমার। রাগের চোটে ফসফস শব্দ বের হচ্ছে তার ভেতর থেকে। আমাকে ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে আঙুল এর সাহায্য সিল্কি চুল গুলা পিছনে ঠেলে ঠিক করে। কাকে জেনো ফোন দিলো। তারপর আমার পায়ের বাধন খুলে দিলো। কিন্তু হাত খুললো না। হাতে কুনুই টেনে বাইরে নিয়ে গেলো সাথে সাথে গার্ড টাইপ কিছু লোক রুমে ঢুকলো। হয় তো লনিকে হসপিটাল নিতে হবে। যা লাথি দিয়েছে জীবনের সব রাগ মনে হয় লনির উপর ঝেড়েছে। কিন্ত আমি ছেলেটাকে থার্ডক্লাস গুন্ডা ভেবেছিলাম। কিন্তু এতো ফার্স্ট ক্লাস গুন্ডা বের হলো। গার্ড ও আছে! ভাবতে অভাক!
.
টেনে হিচড়ে নিয়ে আমাকে গাড়ীতে ধাক্কা দিয়ে ফেললো। আমি ব্যথা পেলাম কিন্তু চুপ করে রইলাম। আমার কোনো ফিলিংস হচ্ছে না। শুধু ভাবছি কত বড় বিপদ থেকে বেঁচে ফিরেছি। মা নিশ্চয় টেনশন করছে আমার জন্য কিন্তু ফোন কোথায় আমার জানি না আর ছেলেটার কাছে কিছু চাইতে রুচিতে বাধলো। ছেলেটা গাড়ী তে বসে ড্রাইভ করছে আমার মনে হচ্ছে সে হ্যালিকপ্টর উড়াচ্ছে!! এভাবে কেউ ড্রাইভ করে। এক্টু পর দেখলাম এটা বাসার রাস্তা না!! ছেলেটা অন্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছে আমাকে!!
আর চুপ থাকতে পাড়লাম না।
— কই নিয়ে যাচ্ছেন আমাকে??
–……
— কথা বলছেন না কেনো??
–…….
— বুঝেছি লনির থেকে বাঁচিয়ে নিজেই কিডন্যাপ করছেন?? সব ছেলেই প্রতারক।
–……..
— স্টপ দ্যা কার!! আমি নামবো প্লিজ??
— আর একটা কথা বললে!! আমি তোমার ঠোঁট কামড়িয়ে খেয়ে ফেলবো!!
.
আমার নাক কান গরম হয়ে গেলো এই কথা শুনে। ছিঃ কি অসভ্য ছেলে না জানি কি করতে নিয়ে যাচ্ছে আমাকে হাত টাও খুলছে না লনির থেকে এই গুন্ডা কে আমমার ভয় করছে। খুব ভয়! বিষণ ভয়! আমি ভয়ে গুটিসুটি মেরে চুপ করে রইলাম। না জানি করে বসে। এক্টু পড় একটা বাড়ীর সামনে গাড়ী থামলো।সেই আগের মতো টেনে নিয়ে গেলো বাড়ীর ভেতরে। আমার কান্না পাচ্ছে প্রচুর। ছেলেটা আমায় একট রুমের ওয়াশরুমে নিয়ে টেনে নিয়ে গেলো। শাওয়ার এর নিচে দাড় করিয়ে শাওয়ার অন করে দিলো!!
— কি করছেন আপনি? ভিজে যাচ্ছি তো?
— একদম চুপ!! নো সাউন্ড!!
.
আমাকে ভিজিয়ে তাতেও তার শান্তি হলো না হাতে সাবান লাগিয়ে সে আমমার দিকে এগিয়ে এলো।
আমি চিৎকার করে বললাম।
— না প্লিজ আপনি আমায় ট্যাচ করবেন না। প্লিজ দূরে থাকুন!!
.
আমার কোনো কথার পাত্তা না দিয়ে আমার কাছে আসে আর হাতে গলায় মুখে সাবান ঘষতে লাগলো। আমি এবার চিৎকার করে কাঁদছি। সে ইচ্ছা মতো সাবান ঘষছে জেনো চুইংগাম লেগে আছে শরীলে আমার তাই সে তুলছে ঘষে ঘষে। আমার কান্নাও তার কানে যাচ্ছেনা। আমার খুন করতে মন চাইছে এই ছেলেকে। এক্টু পড় আচমকা সে আমার মুখ চেপে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে শক্ত করে। আমি চোখ বড়বড় করে তার দিকে তাকিয়ে আছি। সে হিসহিসিয়ে বললো।
— শুধু কাঁদতেই পারো?? বাচ্চাকাচ্চা রাও আজ কাল প্রতিবাদ করতে পাড়ে। আর তুমি ছিঃ অনার্স পড়ুয়া মেয়ে। আমি তোমার সাথে এতোকিছু করছি আর তুমি কই একটা থাপ্পড় লাগাবে। তা তো দূর একটা ধমক দিতে বা আমায় থামাতে পারছো না শেম অন ইউ!!
.
আমি বোবা বনে গেলাম!! আর কিছু বলা বা করার কি আমার আছে?? আমি বুঝতে পাড়লাম না। এটাও বুঝতে পারলাম না। সে কৌশলে আমার চিৎকার থামালো নাকি আমার ভালোর জন্য বললো কথা গুলো। এবার ছেলেটা আমার চোখ থেকে চোখ সরিয়ে মুখ থেকে হাত সরিয়ে আমার গালে হাত রাখলো। যেখানে লনি থাপ্পড় দিয়েছিলো। সেখানে হাত দিয়ে স্লাইড করছে। আমি কেঁপে উঠলে সে আবার বলে।
— হীর লাস্ট স্টেজে এসেও মানুষকে বাঁচার চেষ্টা করতে হয়। এতো সহজে হেরে গেলে চলে?? তুমি এক্টু ও ট্রায় করনি লনির থেকে বাঁচার। এতো দুর্বল কেনো তুমি হোয়ায়?? বি স্ট্রং অল দ্যা টাইম।
.
আর কিছু শোনার আগেই আমার সব অন্ধকার হয়ে এলো। আমি ছেলেটার বুকেই লুটিয়ে পড়লাম।শুধু নিজের নাম টাই কানে এলো।
— হীর………
.
.
— হিরা হিরা তুই এসেছিস!!
— হ্যাঁ মা!! কি হয়েছে এতো ট্যান্স কেনো লাগছে তোমায়?? হীর কই??
.
হীরের মা কেঁদেই যাচ্ছে।হিরা বাসায় খুজলো বোন কে। হীরকে ফোন দিলো বন্ধ। এবার হিরা রেগে বললো।
— মা বলবে তো কি হয়েছে?? হীর কই??
— হীর সকালে ভার্সিটি তে গেছে এখনো আসেনি কখনওই লেইট করে না এতো। আমার মেয়েটাকে এনেদে তুই।
— কি বলছ এসব?? আমাকে আগে জানাওনি কেনো??
.
হীর এর মা শুধু কাঁদছে। হিরা হীরের সব বন্ধ বান্ধবী দের ফোন দিচ্ছে হীরকে তারা ভার্সিটি তে দেখেছিলো আর কিছু জানে বলে রেখে দিচ্ছে। হিরা মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো মার পাশে। মাকে শান্ত করার চেষ্টা করছে। বন্ধুদের ফোন দিচ্ছে এর মধ্যে হঠাৎ ফোন এলো হিরার ফোনে অচেনা নাম্বার থেকে রিসিভ করে কানে দিতেই।
— হীর সিটি হসপিটাল আছে কাম হ্যায়ার!!
— হু আর ইউ?? হী….
— আমি কে সেটা ম্যাটার না। হসপিটাল চলে এসো!!তোমাদের প্রয়োজন হীরের।
.
হিরা আর কথা বাড়ালো না মা কে নিয়ে রৌনা হলো হসপিটাল এর উদ্দেশ্যে। হিরার প্রচন্ড টেনশন হচ্ছে কি হলো হীর এর।তার চোখ ভিজে যাচ্ছে বার বার। হীরের মাও কেঁদে কাহিল।
.
জ্ঞান ফিরতেই আমি অবাক। আমার চোখ কটর থেকে বেরিয়ে আসার উপক্রম আল্লাহ!!
.
.
চলবে?
[ট্রাস্ট মি ধৈর্য নিয়ে এক্টু পরুন। সব ক্লিয়ার করা হবে নিতু, শিহাবের শাস্তি ও হবে। ছেলেটাকে তার পরিচয় ও। আপনাদের তাড়াহুড়োর জন্য যদি সব কিছু এখনি লিখে ফেলি না সাজিয়ে ভালো হবে কি? আর এমনিতেও আমার গল্প বেশী বড় হয় না অনেকেই পড়েছেন আমার গল্প জানেন। তাই বলছি ট্রাস্ট মি নিরাশ করবো না গল্পের নামের সাথে মিল রেখে লিখছি লিখতে দিন।]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে