প্রতারক part 12
#Roja_islam
গাড়ী থেকে নেমে আমি চোখ মুখ কুঁচকে গুন্ডাটার দিকে তাকিয়ে আছি। কারণ রাহুল দাঁড়াতে বলেছে কিন্তু কিছু বলছে না। আমি চুপ করেই আছি ব্যথা করছে ঘাড়ে এতো জোরে কামড় দেয় কেউ!! ভাল্লুক নাম টা দেওয়া এই ছেলেকে একদম মিলে গেছে। ভাল্লুকের মতোই তো কামড় দিলো আস্ত গুন্ডা। আমি দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে বিরক্তি নিয়ে বললাম।
— আপনি কি কিছু বলবেন?? আমি যাই!
.
রাহুল ফোন টিপছিলো মাথা নুইয়ে। হীর এর কথায়।এক নজর তাকে দেখে বললো।
— ফুচকা খাবা???
.
কথাটা শুনেই জিভেজল চলে এলো। চট করে ঘাড়ের ব্যথা। মনে ব্যথা চলে গেলো। মনে লোভাতুর ভয়ংকর ভাবে ফুচকার বসবাস হানলো। মনে মনে খেয়েও নিলাম দুচারটা তারপর ঢোগ গিললাম একটা। আর নিজেকে সংযত করে বললাম।
— এই অফারে কি কেউ না করে গুন্ডা। আজ আপনাকে ফকির করে দিবো একদম।
.“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
রাহুল স্মিত হাসলো কিছু বললোনা। রাহুল শান্ত থাকলেও হীরের সাথে। হীর কি জানে হীরের পাশে ছেলেটা ভয়ংকর রেগে আছে। পাড়লে সব তছনছ করে দিতো রাহুল। রাহুল হঠাৎ হীর এর হাত ধরে নিয়ে হাটা দিলো। যেদিকে শিহাব চা খাচ্ছিলো। শিহাব দেখছে রাহুল হীর এদিকেই আসছে তাই সে চা হাতে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো।
.
রাহুল হীর কে টেনে ফুচকার দোকানে গেলো। বসার যায়গা আছে রাহুল এর এই অপরিষ্কার জায়গা দেখে যদি ও দৌড়ে পালাতে ইচ্ছে করছিলো। তাও বসলো মাঝেমাঝে অনিচ্ছাশর্তেও অনেক কাজ করতে হয়। হীর খুশীতে ফুচকা অর্ডার করলো দুই প্রেট। যদিও রাহুল এসব খাবেনা তাও হীর কে কিছু বললো না। হীর নিজের আনন্দে ফোন বের করে গেমস খেলছে। রাহুল হীরের দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে কেনো জানেনা রাহুল।
.
অদের দিকে শিহাব কিছু হাত দূর থেকে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে আছে। শিহাবের প্রচণ্ড জেলাসি কাজ করছে। সে রেগে হার মুঠি বদ্ধ করে দাঁতে দাঁত চেপে দাঁড়িয়ে আছে। এতো রাগ লাগলেও অদের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সাহস হচ্ছেনা। গিয়ে কি বলবে?? সে কে হীর এর?? উফফফ বলে কিড়মিড় করে শিহাব।
.
এদিকে হীর একমনে টেবিলে দিয়ে যাওয়া ফুচকার প্রেইট এর দিকে তাকিয়ে মুখ দিয়ে পড়ে খাবে চোখ দিয়েই খেয়ে শেষ করে ফেলছে। আর হীরের দিকে ছোট ছোট চোখ করে তাকিয়ে আছে রাহুল। তার ভাবনা করছে কি এই মেয়ে?? রাহুল আর কিছু না ভেবে হাতে একটা ফুচকা তোলে। তা দেখে হীর চোখ বড়বড় করে তাকায় রাহুলের দিকে। হীরের মোটেও পছন্দ হয় নি রাহুল তার আগে খাবে তাই রেগে বলে।
— ছিঃ ফুচকা খাওয়াতে এনেছেন আর আমার আগেই নিজে খেয়ে নিচ্ছেন……..!
.
হীর কথা শেষ করার আগেই রাহুল তার হাতের ফুচকা হীরের মুখে পুড়ে দেয়। হীর চোখ বড়বড় করে তাকায় রাহুলের দিকে। তারপর দুজনেই হেসে দেয়। হীর এবার নিজের হাতে ফুচকা নিয়ে খেতে থাকে। হীরের অজান্তেই রাহুলকে ও নিজ হাতেই খাইয়ে দেয়। রাহুল প্রথম হতভম্ব হয়ে যায় হীর তাকে খাইয়ে দিচ্ছে। পড়ে মুচকি হেসে খেয়ে নেয়। হীর গপাগপ খাচ্ছে। রাহুল ভাবে কি আছে এই ফুচকায় যে মেয়েরা হুমরি খেয়ে পড়ে খেতে?? তবে আজ হীরের হাতে খেয়ে এক্টু চ্যাস্ট পেয়েছে কেনো খায়। খারাপ না মজাই। তবে এই খাবার মেয়েদের জন্যই ঠিক আছে বলে মনে করে রাহুল। কারণ এতো আয়েশ করে কিছু খাওয়ার টাইম ছেলেদের নেই।
.
কিছুক্ষণ দুজনে বের হয় দোকান থেকে তারপর রাহুল বিল পে করতে যায় পাশে। হীর আশেপাশে তাকাতেই শিহাব কে দেখে থমকে যায়। আর অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে শিহাবের দিকে এর মধ্যে রাহুল এসে হঠাৎ হীর হাত নিজের হাতের ধরে লক করে নেয় হীর অবাক হয়ে হাতের দিকে তাকিয়ে তারপর মাথা উঠিয়ে রাহুল কে দেখে তাকিয়ে থাকে তার দিকে। রাহুল হীরকে চোখে চোখ রেখে ভরসা দেয় হীর বহু কষ্টে মুচকি হাসে। তারপর সামনে তাকায় আর রাহুল কে নিয়ে শিহাবের কাছে যায়।
.
শিহাব হীর আর ছেলেটাকে তার দিকে আসতে দেখে রেগে থাকার তার চোখ। কেমন হতভম্ব হয়ে যায়। সে ভাবেনি হীর তার কাছে আসবে।
.
হীর শিহাবের কাছে এসে বলে উঠে।
— আরে শিহাব কেমন আছো তোমার বৌ মানে নিতু কই তাকে তো দেখছিনা??
.
শিহাব ভাবেনি সপ্নেও হীর তাকে এখন এসব জিজ্ঞেস করবে। তাই আমতাআমতা করে বলে উঠে।
— আছে ভালো আছে।
.
হীর এভার রাহুলের দিকে তাকিয়ে একবার শিহাব কে উদ্দেশ্য করে বলে।
— আরে তোমার সাথে তো পরিচয় করিয়ে দেই নি। ও হচ্ছে আমার বয়ফ্রেন্ড রাহুল!! রাহুল চৌধুরী।
.
শিহাব যেমন হতভম্ব এর শীর্ষে। হীর এতো ইজিলি তাকে তার বয়ফ্রেন্ড এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। শিহাবের রীতিমতো সন্দেহ হচ্ছে এটা সেই হীর তো??
.
হীর এবার রাহুলের উদ্দেশ্য করে বললো
— রাহুল ও হচ্ছে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড এর হ্যাসবেন্ড শিহাব??
.
শিহাব চরম বিস্ফারিত হয়ে বললো।
— তোমার কিছুনা??
.
হীর এই কথায় খিলখিল করে হেসে বললো।
— ওহহ সরি নাম ধরে ডাকছি বলে এসব বলছো। আচ্ছা আজ থেকে দুলাভাই ডাকবো। আজকের জন্য সরি। আচ্ছা দুলাভাই আজ আচ্ছি ক্লাস আছে। রাহুল চলো।
.
রাহুল ঠোঁট চেপে হাসছে যেতে যেতে। যা শিহাবের চোখ এড়ায় নি রাগে শিহাব হাতে থাকা গ্লাস আছাড় মারে চিৎকার করে উঠে। মনে মনে বলে একবার ভাগে পাই তোকে হীর। খবর আছে!!
শয়তানি হাসি দিয়ে ভার্সিটি ঢুকে হীরের পিছন পিছন এক্টু পড়ে।
.
এদিকে রাহুলের সাথে আর চোখ মেলায় নি হীর সোজা ভার্সিটি ঢুকে গেছে হাত ছেড়ে। আর রাহুল কারে বসে বাঁকা হেসে
……..
.
চলবে?
[এডিট করিনি ভুল হলে সরি।]
Roja Islam