পুতুল ছেলেটি পর্ব-১৩

0
1016

#পুতুল_ছেলেটি
#Part_13
#Writer_NOVA

সাহিয়াদের ড্রয়িং রুমে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।তানজিল আনজুম নীলাভের দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে। নীলাভ মেঝের দিকে দৃষ্টি দিয়ে রেখেছে। আকিব তীক্ষ্ম নজরে তানজিল সাহেবের গতিবিধি লক্ষ্য করছে।আর সাহিয়া হাতের নখ খুটতে খুটতে সকলের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছে। নিশিতা রহমান ও সাজিয়া রান্নায় ব্যস্ত।অনেক কষ্ট করে আজ নীলাভকে আসতে রাজী করেছে সাহিয়া।বেচারা নীলাভ বেশ ভয় পাচ্ছে তানজিল সাহেবের গম্ভীর মুখ দেখে। থমথমে পরিবেশ ভেঙে তানজিল আনজুম প্রথম কথা বলে উঠলেন।

তানজিলঃ তোমার নাম নীলাভ??

নীলাভঃ জ্বি আঙ্কেল।

তানজিলঃ পরিবারে কে কে আছে?

নীলাভঃ আকিব ছাড়া আর কেউ নেই। ও আমার ভাই,বন্ধু, অভিভাবক সবকিছু।

নীলাভের কথায় আকিব অবাক হয়ে ওর দিকে তাকালো। ও ভাবতেই পারেনি নীলাভ ওকে এভাবে পরিচয় করে দিবে।তানজিল সাহেব বুঝতে না পেরে কপাল কুঁচকালেন।

তানজিলঃ আমি ঠিক বুঝলাম না।

নীলাভঃ বাবা-মা, দুজনেই ছিলেন জন্মগত অস্ট্রেলিয়ান। আমিও অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসী। দাদা বাংলাদেশী ছিলেন।সেখানকার মেয়ে বিয়ে করে ঐ দেশেই স্যাটেল হয়ে যান।সেখানেই বাবার জন্ম ও বেড়ে উঠা।একসময় বাবা আমার মা কে বিয়ে করেন।মা ছিলেন উচ্চ বংশীয় মহিলা।তবে মুসলিম সম্প্রদায়ের। আমার জন্মের ৪ বছর পর আমার ছোট ভাই নীলের জন্ম।আমারা কখনও বাংলাদেশ দেখি নি।আমার বয়স যখন ১২ বছর তখন আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশে ঘুরতে আসি।অনেক এক্সাইটেড ছিলাম।দুই দুন ঢাকায় ঘুরে পাহাড় দেখতে বের হয়েছিলাম।কিন্তু পাহাড়ি রাস্তায় এসে আমাদের গাড়ি খাদে পরে যায়।ভাগ্যক্রমে আমি বেঁচে গেলেও আমার বাবা-মা, ছোট ভাই নীলকে চোখের সামনে জ্বলেপুড়ে যেতে দেখি।গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পরতেই আগুন ধরে যায়।তারপর সেখান থেকে আমায় উদ্ধার করে এতিমখানায় দিয়ে দেওয়া হয়।

এতটুকু বলে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে নীলাভ।সাহিয়ার চোখ দুটো টলমল করছে।সে কখনো ভাবতে পারেনি হাসি,খুশি এই ছেলেটার পেছনের অতীতটা এতটা ভয়ানক।নীলাভ চোখের পানি মুছে নিলো।আকিব এক ধ্যানে পায়ের সামনে থাকা পাপোশটাকে পায়ের বুড়ো আঙুল দিয়ে খুটছে।

তানজিলঃ তারপর কি হয়েছিল?(আগ্রহের সাথে)

নীলাভঃ এতিমখানা আমার ভালো লাগে নি।তাই বছর খানিক থেকে পালিয়ে এসেছিলাম।তখন আমি বাংলা ভেঙে ভেঙে বলতে পারি।সাহস করে ঢাকায় চলে আসলাম।সেখানকার এক হোটেলে কাজ নিলাম।সেই হোটেলের মালিক ভালো ছিলো।তাই আমাকে স্কুলে ভর্তি করে দিলো।পড়াশোনা চালিয়ে যেতে লাগলাম।নানা কাজ করে নিজের পড়াশোনা ও খাবারের খরচ চলে যেতো।তার মধ্যে আকিবের সাথে পরিচয়।আমরা দুজন খুব ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠলো।তারপর থেকে দুজন একসাথে থাকি।তাই এখন আমার সবকিছুই আকিব।আর হ্যাঁ,এখন আমি বাংলাদেশের নাগরিক। আলহামদুলিল্লাহ, বাংলা এখন আমার মাতৃভাষা না হলেও আমি অনেক পছন্দ করি।

তানজিলঃ পড়াশোনা কমপ্লিট করতে পেরেছো?

নীলাভঃ জ্বি আলহামদুলিল্লাহ। মাস্টার্স পাশ করেছি আরো দুই বছর আগে।

তানজিলঃ কি কাজ করছো বর্তমানে?

নীলাভঃ নির্দিষ্ট কোন কাজ নেই। যখন যা পাই তাই করি।কখনো কফি হাউসের ওয়েটার,কখনো পিৎজা ডেলিভারি বয়,কখনো কোন ফ্যাক্টেরীর এজেন্ট। আমি কোন কাজকে ঘৃণা করি না। সব কাজ আমার কাছে সমান।আমি ছোট, বড় সকল কাজকে শ্রদ্ধা করি।মানুষ হিসেবে আমাদের সবার এটা করা দরকার বলে আমি মনে করি।

💗💗💗

তানজিল সাহেব নীলাভের কথায় মুগ্ধ হয়ে গেলেন।অন্য কেউ হলে হয়তো মান-সম্মানের ভয়ে এই কাজগুলোর কথা বলতোই না।কিন্তু নীলাভ সাহসের সাথে বুক ফুলিয়ে তা বললো।যেটা তার অনেক বেশি ভালো লাগলো।তাছাড়া ছেলেটার কথার মধ্যে জাদু আছে।খুব সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলতে পারে। দেখতে কোন অংশে পুতুলের থেকে কম নয়।সব দিক দিয়ে পার্ফেক্ট।মনে মনে সাহিয়াকে তানজিল সাহেবে হাজার বার ধন্যবাদ জানালো।মেয়ের চোখ আছে বলতে হবে।তাই তো এরকম হিরের টুকরো ছেলে পছন্দ করেছে। সাজিয়া একগাদা ফল-মূল, চা,বিস্কুট, চানাচুর এনে সামনে রাখলো।তারপর অপজিট পাশের সোফায় বসে পরলো।

সাজিয়াঃ খাবার নেও তোমরা।

নীলাভঃ এগুলো আবার কিসের জন্য করতে গেলেন আপু।আমরা তো এখন চলে যাবো।

সাহিয়াঃ বললো আর হয়ে গেলো।রাতের খাবার না খেয়ে বাসা থেকে যেতে পারবে না। এসেছো তো চোরের মতো রাতের বেলা।কেন বিকেলে আসলে কি হতো?

আকিবঃ আঙ্কেল, আপু কিছু একটা নেন।সাহিয়া, তুমিও নেও।

তানজিলঃ আমি এখন আর কিছু খাবো না। তাহলে রাতের খাবার মাইনাস।তোমরা নেও।

নীলাভ চায়ের কাপ হাতে তুলে নিলো।আর আকিব পিরিচ থেকে এক টুকরো আপেল তুলে নিলো।ওদের জোড়াজুড়িতে সাজিয়া একটা বিস্কুট নিয়ে মুখে পুরলো।তানজিল সাহেব এক দৃষ্টিতে নীলাভকে লক্ষ্য করছে। নীলাভের চা খাওয়া শেষ হতেই সে বললো।

তানজিলঃ নীলাভ,আমার সাথে একটু রুমে এসো তো।তোমার সাথে আমি একা কিছু কথা বলতে চাই।

তানজিল সাহেবের গম্ভীর কণ্ঠ শুনে সবাই ভয় পেয়ে গেলো।কি কথা বলবেন তিনি?তাহলে কি সাহিয়ার সাথে তার বিয়ে দিবে না।মানা করে দিবে ওকে।ও কোন বড় কাজ করে না বলে।সবার মনে প্রশ্নগুলো ঘুরপাক খাচ্ছে। সাহিয়ার চোখে স্পষ্ট নীলাভকে হারানোর ভয় দেখা যাচ্ছে। আকিব ও অনেকটা ভয়ে ভয়ে আছে। যদি উনি নীলাভকে মানা করে দেয়।নীলাভ খুব শান্ত ভঙ্গিতে বসে আছে। তার ভাব দেখে মনে হচ্ছে এমনটাই হওয়ার ছিলো।সাহিয়া ভয়ে তার বোনের দিকে তাকালো। সাজিয়া চোখের ইশারায় বুঝালো।ভয়ের কোন কারণ নেই। সব ঠিক হয়ে যাবে।তানজিল সাহেব ও নীলাভ উঠে এক রুমে চলে গেল। সাহিয়া সেদিক যাওয়ার আগেই ঠাস করে দরজাটা বন্ধ হয়ে গেলো।

প্রায় ২০ মিনিট পর দরজা খুলে দুজনে বের হয়ে এলো।দুজনের মুখ খুশিতে ঝলমল করছে।অপরদিকে সাহিয়া এতক্ষণ চিন্তায় চিন্তায় শেষ। তাদের দুজনকে হাসি,মুখে দেখে সাহিয়া বেশ অবাক হলো।সে ভেবেছিলো তার বাবা নীলাভকে মেনে নিবে না।তাহলে দুজনের মুখ মনমরা থাকবে।কিন্তু সেখানে উল্টো। তার মধ্যে তানজিল সাহেব খুশিমনে সাহিয়াকে বললো।

তানজিলঃ আলহামদুলিল্লাহ, তোর পছন্দ করা ছেলে আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। এবার বিয়ের ডেট ফাইনাল করে দেই।

সাহিয়া কথাটা শুনে কি রিয়েকশন দিবে তাই ভুলে গেলো।দৌড়ে গিয়ে তার বাবাকে খুশিতে জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো।আকিব এসে নীলাভকে জড়িয়ে ধরলো।এই মুহুর্তে সবাই খুব খুশি। নিশিতা রহমান দূর থেকে তার পাগলী মেয়ের কান্ড দেখে সামনে এগিয়ে এলো।

তানজিলঃ ধূর,পাগলী মেয়ে কাঁদছিস কেন?তুই এতো ভালো একটা ছেলে নিজের জীবনসঙ্গী হিসেবে পছন্দ করেছিস।আমি কি মানা করতে পারি।সাজিয়াকেও তো ওর পছন্দের ছেলের সাথে বিয়ে দিচ্ছি। তোরা যার সাথে খুশি থাকবি তার হাতেই তো আমরা তুলে দিবো।তোরা খুশি থাকলেই আমরা খুশি।

নিশিতাঃ সাহিয়া কান্না করছিস কেন?তুই যদি ভালো কিছু পছন্দ করিস তাহলে আমরা মানা কেন করবো বল।তোরা যাতে ভালো থাকবি তাতে আমরাও ভালো থাকবো।

সাহিয়াঃ থ্যাংকিউ সো ম্যাচ বাবাই।আমি ভাবতেই পারি নি যে আমার পছন্দের পুতুল ছেলে তোমারও পছন্দ হবে।অনেক অনেক ভালোবাসি তোমাকে।তুমি পৃথিবীর বেস্ট বাবাই। (কাঁদতে কাঁদতে)

নীলাভ অবাক চোখে সাহিয়ার কান্ড দেখছে।একটা মানুষ কতটা ভালোবাসলে তাকে পাওয়ার আনন্দে কাঁদে। নিজেকে এখন তার অনেক লাকি মনে হচ্ছে। কারণ সে সাহিয়ার মতো একজন ভালোবাসার মানুষ পেয়েছে। নীলাভ মুখে যতই স্বীকার না করুক।সে কিন্তু সাহিয়াকে অনেক ভালোবাসে।

তানজিলঃ আমি তাহলে দুই মেয়ের বিয়েটা একসাথে দিতে চাইছি।কি বলো তোমরা?

নীলাভঃ আসলে আঙ্কেল আমার এর মধ্যে একটু কাজ আছে। তাই আমি চাইছি আপুর বিয়ের পর আমাদের বিয়েটা হোক।আমাদের বিয়েই আপনার কোন খরচ করতে হবে না। আমার সাধ্যমত সব দিয়েই আমি সাহিয়াকে আমার ঘরে তুলবো।

তানজিলঃ আচ্ছা, তুমি যা বলবে তাই হবে।

নিশিতাঃ অনেক কথা হয়েছে। এখন সবাই খেতে চলো।সাহিয়া এবার কান্না অফ কর।আর আমার হবু মেয়ের জামাই ও তার ভাইয়ের জন্য খাবার বেড়ে দে।আমরা সবাই একসাথে খেতে বসবো।

💗💗💗

সবাই একসাথে খাবার খেয়ে নিলো।খাবার শেষ হতেই নীলাভ ও আকিব চলে এলো।বাসায় আসার পর আকিবের মাথায় একটা কথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। তানজিল সাহেব নীলাভের সাথে কি কথা বললো।যার কারণে কোন দ্বিধা ছাড়া রাজী হয়ে গেলো।

আকিবঃ নীলাভ, আমার একটা প্রশ্ন ছিলো।

নীলাভঃ আমি জানি।তুই জিজ্ঞেস করবি, আমার হবু শ্বশুর আব্বা আমার সাথে কি কথা বললো।যার কারণে তিনি কোন অমত ছাড়া রাজী হয়ে গেলো।

আকিবঃ হ্যাঁ,আমি এটাই জিজ্ঞেস করতাম।

নীলাভঃ শোন তাহলে।

নীলাভ, আকিবকে সব খুলে বললো।যা শুনে আকিব পুরো অবাক।ও ভাবেনি তানজিল সাহেবে ওদের সিক্রেটটা ধরে ফেলবে।কি সিক্রেট ধরে ফেলেছে ওদের।সেটা জানতে হলে আমাদের ফ্লাশব্যাক জানতে হবে।চলুন আমরাও ফ্লাশব্যাক থেকে ঘুরে আসি।

ফ্লাশব্যাক………….

নীলাভ রুমে ঢোকার পর পরই তানজিল সাহেব দরজাটা আটকে দিলো।যেটা দেখে নীলাভ কিছুটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলো।ভয়মিশ্রিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো।

নীলাভঃ আঙ্কেল, দরজা বন্ধ করলেন কেন?

তানজিলঃ আরে ঋয় পেয়ো না।আমি তোমার কাছ থেকে একটা সত্যি জানতে চাই।

নীলাভঃ কি সত্যি?

তানজিলঃ তুমি কি এসব কাজ ছাড়াও অন্য কোন সিক্রেট কাজ করো।

নীলাভঃ হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন আঙ্কেল?

তানজিলঃ আমি তোমাকে একদিন বিখ্যাত নিউজ পেপার “বাংলাদেশের খবর” অফিসে দেখেছিলাম।তাই তোমাকে আজ দেখে আমার একটু সন্দেহ হয়েছে। তুমি যদি সিক্রেট সাংবাদিক হিসেবে কাজ না করতে তাহলে আমার কাছে এটাও বলতে।

নীলাভঃ হ্যাঁ আঙ্কেল। আপনি ঠিক ধরেছেন। আমি ও আকিব সিক্রেট সাংবাদিক হিসেবে ঐ নিউজ পেপারের অফিসে কাজ করি।আমারা আত্মগোপন করে বড় বড় শিল্পপতি,নেতা,মন্ত্রীদের কালো ধান্দা, ইলেগাল ব্যবসার খবর জোগাড় করি।যেটা নিউজ পেপারে ছাপা হয়।তাছাড়া সেটা অজ্ঞাত ব্যাক্তি হিসেবে পুলিশ ও টিভি চ্যানেলের কাছে তথ্য পৌঁছে দেই।গত দুই সপ্তাহের আগে আমিনুর রহমানের মদের ফ্যাক্টেরী সিল গালা ও তাকে গ্রেফতারের কথা তো শুনেছেন।সেগুলো আমরা করেছি।

তানজিলঃ আমার আগেই সন্দেহ হয়েছিলো।তুমি গভীর জলের মাছ।আজ পুরো সিউর হলাম।তোমার সাংবাদিকতায় তো বেশ ভালো ইনকাম আসে।তাহলে বাকি কাজগুলো কেন করো।

নীলাভঃ আলহামদুলিল্লাহ, আমরা দুজন ত্রিশ হাজারের ওপরে বেতন পাই।সারা মাসের খরচ রেখে বাকি সিংহভাগই একটা এতিমখানায় ও বৃদ্ধাশ্রমে দান করে দেই।আর বাকি কাজগুলো করার কারণ হলো, আমার কাজ ছাড়া বসে থাকতে ভালো লাগে না। যতটুকু অবসর সময় পাই বাকি কাজগুলো করি।আমি সকল কাজকে যেমন শ্রদ্ধা করি তেমনি ভালোবাসি।তাই এসব কাজ করি।

তানজিলঃ তোমার কথা শুনে আমার মন ভরে গেলো বাবা।অনেক বড় হও তুমি। সেই দোয়া করি।তোমার সাথে আমার মেয়ের বিয়ে দিতে পারলে আমি ধন্য।এরকম একটা ছেলেকে আমার মেয়ে নিজে পছন্দ করেছে।আমার তো আপত্তি করার প্রশ্নই উঠে না।

নীলাভঃ আঙ্কেল, এসব কথাগুলো কাউকে বলেন না প্লিজ। এমনকি সাহিয়াকেও নয়।যখন সময় হবে আমি নিজে ওকে জানিয়ে দিবো।

তানজিলঃ তুমি নিশ্চিন্তে থাকো বাবা।আমি কাউকে বলবো না।

দুজন খুশি মনে রুম থেকে বের হয়ে গেলো।কিন্তু কেউ তো জানে না রুমে আগের থেকে ক্যামেরা ফিট করা ছিলো।যা প্রথম থেকে সব ভিডিও হয়েছে।আর ক্যামেরাটা অন্য কেউ ফিট করেনি।এটা সাহিয়া করেছে। কারণ ও আগের থেকে এরকম কিছু হবে তা ধরে নিয়েছিলো।যার কারণে নিজের মোবাইলে ভিডিও ওন করে লুকিয়ে রেখেছিলো।

ফ্লাশব্যাক এন্ড……………..

#চলবে
রি-চেইক দেওয়া হয়নি😐।ভূল-ত্রুটি
ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। 🥰🥰

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে