#নূপুর_বাঁধা_যেখানে-৫
#মিফতা_তিমু
সূর্য তার তাপ ছড়াচ্ছে ক্রমশ। এখন সকাল আটটা। বাগান জুড়ে লাগানো সব গাছের মাথায় সূর্যের রাজত্ব। ঝুমুর মুগ্ধ চোখে দেখছে তার ভালবাসাদের। ঠিক কতদিন পর বাগানে আসলো হিসাব নেই। এতদিন আসারই সুযোগ হয়নি। সে থেকেছে বাড়ি থেকে অনতি দূরে। ভাবতেই ভালো লাগছে আজকের পর থেকে আর তার বাগান থেকে দূরে থাকতে হবে না।
ঝুমুরের বাগান রাজ্য ঘেরা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে। ষাটোর্ধ্ব আজমাঈন সাহেব নিজ হাতে নাতনীর বাগানে বেড়া দিয়ে দিয়েছিলেন। যদিও ঝুমুরের বাগানে সচরাচর কেউ আসে না তবুও ঝুমুর বাগানে যাতে কেউ চাইলেই ঢুকতে না পারে তার জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।
এই বাগান ঝুমুরের অনেক সাধের। এখানে লাগানো কিছু গাছ সে সযত্নে লাগিয়েছে। এখানে কিছু আজমাঈন সাহেবের লাগানো গাছও আছে। যদিও গাছগুলো আজমাঈন সাহেব লাগিয়েছেন কিন্তু ঝুমুরের পছন্দ মতো লাগিয়েছেন তিনি। ঝুমুর যখন বাংলাদেশে প্রথম পা রেখেছিল তখন সে কারোর সঙ্গে তেমন মিশতে পারতো না। বেড়ানোর উদ্দেশ্যে তিন চারবার বাংলাদেশে আসলেও এতদিনের জন্য বাংলাদেশে আসা সেবারই তার প্রথম।
কারোর সঙ্গে নেই তেমন সখ্যতা, না আছে কথা বলার কেউ। তখন যেন ঝুমুর আরও একলা হয়ে পড়েছিল। একে তাসনুবা নিরুদ্দেশ তার উপর মোতালেব সাহেবও তাকে নিজের কাছে রাখেননি। তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন তাকে এই দূর দেশে। তখন ঝুমুর কি করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারেনি। সবকিছুর সঙ্গে তার মানিয়ে নিতে সময় লেগেছিল এক বছর।
ঝুমুর সেবার যখন এসেছিল তখন আজমাঈন সাহেবই তাকে সবার সঙ্গে মানিয়ে চলতে সাহায্য করেছিলেন। তাসনুবার কল্যাণে ঝুমুর তখন হালকা পাতলা বাংলা সহজ শব্দগুলো বলে নিজের মনের ভাব ব্যক্ত করা জানতো। তাসনুবা ছিলেন বাংলা বলায় পারদর্শী। তাই মেয়েদেরও তিনি বাংলা শিখিয়েছিলেন।
যদিও শাওমি এখন বাংলা ভাষা পুরোই ভুলে খেয়ে ফেলেছে কিন্তু এত বছরের অনুশীলনে ঝুমুর এখন বাংলা বলতে পারে। যদিও এখনও তার কিঞ্চিৎ ভুলভ্রান্তি আর কথা মাঝে মাঝে অস্পষ্ট শোনায় কিন্তু সেসব কেউ তেমন আমলে নেয় না। যার কারণে কারোর সঙ্গে কথা বলা নিয়ে তাকে সমস্যায় পড়তে হয়না।
তবে ঝুমুরকে একদিক দিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল যখন বাংলাদেশে শীতকালের পর গ্রীষ্মকালের আবির্ভাব ঘটতো। তখন শীত প্রধান দেশে থেকে অভ্যস্ত ঝুমুরের খুব কষ্ট হতো। রেশ পড়ে শরীর ফুলে যেত। তখন তাকে নিয়ে ছোটাছুটি চলতো হাসপাতালে। সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। তার উপরে মা,বাবা ছাড়া একলা এই দূর দেশে তার দিনগুলো যেন ছিল ভয়াবহ রকমের।
সেই দিনগুলোতে সে তার ভালো লাগা হিসেবে বাগান করাকেই পাশে পেয়েছিল। এই বাগান করার শখটা ঝুমুর আজমাঈন সাহেবের কাছ থেকে পেয়েছিল। আজমাঈন সাহেব ওকে নিয়ে বাগান করতেন, নিজ হাতে দুই নানা নাতনী পানিও দিতেন। পড়াশোনার পাশাপাশি ঝুমুরের অবসর সময় কেটেছে আজমাঈন সাহেবের সঙ্গে গাছের পরিচর্যা করতে গিয়ে।
চা খাওয়া শেষে কাপটা ঝুমুর বাগানের এক উচু উডেন শেলফের উপর রাখলো যেটা দুই গাছের ফাঁকে মত কাঠের টুকরো জোড়া দিয়ে বানিয়েছেন আজমাঈন সাহেব। চায়ের কাপ রেখে ঝুমুর গিয়ে অলকানন্দা গাছের সামনে দাঁড়ালো। এখন শীতকাল হওয়ায় ফুল এখনও ফোটেনি। ঝুমুর লক্ষ্য করলো তার বাগানে বেশিরভাগই বর্ষার মৌসুমে ফোঁটা ফুলের গাছ।
তবে আজমাঈন সাহেব বোধ করি দু চারটে নতুন গাছ লাগিয়েছেন। গোলাপি আভার কসমস, শ্বেত শুভ্র ক্যামেলিয়া, প্যান্সি আরও অচেনা এক ফুল যার নাম ঝুমুর জানে না। গাছের উচ্চতা দেখে মনে হচ্ছে চারটেই অক্টোবর থেকে নভেম্বরের দিকে লাগানো হয়েছে, হয়তো একই সময়ে। এগুলো আজমাঈন সাহেব লোক দিয়ে লাগিয়েছেন। এখন আর মাটি খোদাই করে নিজে গাছ লাগানোর সামর্থ্য তার নেই। ক্রমেই তিনি দূর্বল হচ্ছেন, বয়স বাড়ছে।
নীল অপরাজিতা আর রজনীগন্ধা প্রায় সারাবছরই ফোটে। তবে শীতকালে এদের সংখ্যা ক্ষীণ কমে যায়। বকুল গাছ শীতের এই মৌসুমে কুড়িবিহীন। বকুল তলা সম্পূর্ণ পরিষ্কার। কোথাও পড়ে নেই এক ফোঁটা শুকনো পাতাও। হয়তো আজমাঈন সাহেব পুরো বাগান পরিষ্কার করিয়েছেন নাহলে শীতে গাছের পাতা বেশি ঝড়ে।
ঝুমুর বকুল গাছের নিচে গিয়ে দাঁড়ালো। এই গাছ সে লাগিয়েছিল তার দশম জন্মদিনে আজমাঈন সাহেব যখন তাকে গাছের চারা উপহার দিয়েছিলেন তখন। ফুলবিহীন এই বকুলতলা দেখতে ভালো লাগছে না ঝুমুরের। কেমন শূন্য শূন্য লাগছে সবকিছু। তবে কিছু করার নেই। এই ফুলের শুন্যতা একদিন হারিয়ে যাবে যখন আসবে বর্ষাকাল।
ঝুমুর কথা বলেনা এমনটা নয়। সে আসলে কথা বলার সঠিক মানুষটা খুঁজে পায়না। যতই বান্ধবী থাকুক, এমন কিছু সময় আছে যখন কাউকে মনের কথাগুলো বলা যায়না। তখন এই কথাগুলো বলতে হয় এমন কাউকে যাকে বললে কারোর জেনে যাওয়ার ভয় নেই। যাকে বললে অপর মানুষটা তাকে বিনিময়ে কিছু বলবে না।
সেই সময়টাতে ঝুমুর চলে আসে তার বকুল, শিউলি, অপরাজিতা, শিমুল, অলকানন্দা আর চন্দ্রমল্লিকাদের কাছে। তাদের জানায় নিজের মনের গুপ্ত অনুভূতির কথা। ঝুমুর জানে এদের বললে এরা কখনও কোনো কথা অন্য কাউকে বলবে না। এরাই তো ওর সমস্ত অনুভূতির গোপন কুঠুরি। এতে অবশ্য তার মনটাও হালকা হয় আবার কথাগুলোও সঠিক কারোর কাছে গচ্ছিত থাকে।
‘ এই বকুল, আমার সঙ্গে বুঝি অভিমান করেছো ? কিসের জন্য ? তুমি কি জানো না আমি এতদিন বাড়ি ছিলাম না ? ‘
খানিকটা গম্ভীর স্বরে বকুলের দিকে তাকিয়ে কথাটা বললো ঝুমুর। আপাত দৃষ্টিতে সবার চোখে যারা জড় বস্তু ঝুমুরের চোখে তারাই প্রকৃত বন্ধু। এদের সঙ্গে কথা বলে ঝুমুর নিজেকে হাল্কা অনুভব করে। মনে হয় বুকে জমে থাকা পাষাণ ভার নেমে গেছে। একমাত্র বই আর গাছই তো তার সব ধরনের অনুভূতির সাক্ষী। ঝুমুর জানে তার প্রশ্নের জবাবে তার সখি বকুল কিছুই বলবে না। সে তো তারই মত নীরবতা প্রিয়।
শীতকালে সকালের রোদ পোহাতে ছাদে উঠেছিল ফাহমান। ছাদে উঠে ছাদের কিনারে ঘেঁষে দাড়াতেই তার চোখ পড়ল ফরুকদের বাড়ির পাশে থাকা বাগানের দিকে। যেই বাগান এতদিন সে খালি, জনমানবহীন দেখেছিল সেই বাগানেই আজ এক চঞ্চল কিশোরী ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিশোরীকে দেখে মোটেই মনে হচ্ছে না এই সেই মেয়ে যার কথা ফাহমান হৈমন্তীর কাছে শুনেছিল।
ঝুমুরকে সরাসরি কোনওদিন দেখেনি ফাহমান। তবে না দেখলেও এই মেয়ে যে ঝুমুরই সেটা আন্দাজ করতে তার বেশি কষ্ট হলো না কারণ তার জানামতে ওই বাড়িতে আর কোনো এই বয়সী মেয়ে নেই। তাছাড়াও ফারুক তো তাকে ঝুমুরের ছবি দেখিয়েছে। যদিও সেই ছবিতে ঝুমুরের মুখ স্পষ্ট ছিল না তবুও সে চিনতে পেরেছে। হৈমন্তী বলেছিল ঝুমুর নীরবতা প্রিয় মানুষ। সে কথা খুব কম বলে। নীরব থেকে অন্যের মূল্যবান বক্তব্য শুনতেই বেশি পছন্দ করে সে।
অথচ আজ মেয়েটাকে দেখে মনে হচ্ছে তার মতো চঞ্চলা কিশোরী এই পৃথিবীর বুকে আর দুটো নেই। মেয়েটা এক মনে এতক্ষণ ঘুরে ঘুরে বাগান দেখছিল। এ গাছ, ও গাছ ছুঁয়ে দিচ্ছিল। শখের ফুলগুলো তুলে কানের পিছনে চুলে গুঁজে দিচ্ছিল। কিছু গুজেছিল তার লম্বা বেণীতে। ফুল গুজা কুচকুচে কালো চুলের বেণী যেন একটু বেশীই নজরকাড়া।
মেয়েটা আবার বিরাট এক গাছের দিকে তাকিয়ে কি বিড়বিড়ও করছে। এসব দেখে হাসি পাচ্ছে ফাহমানের। হৈমন্তী বলে তার বান্ধবী নাকি চুপচাপ ধরনের,বেশি কথা বলে না। অথচ এখন গাছের সঙ্গে কথা কিন্তু সেই বলছে। নিজের মনমতো বকবক করছে আবার একটু পরপর হাত পা নেড়ে কিছু একটা বুঝাতেও চাইছে।
ঝুমুর চোখ ধাঁধানো আগুন সুন্দরী নয়। আর পাঁচজন মেয়ের মতোই সেও উজ্জ্বল গাত্রের। এমনকী ওর থেকেও আরও অনেক সুন্দর মেয়েদের দেখেছে ফাহমান। কিন্তু ঝুমুর তাদের মতো রূপের নয় মনের সুন্দরী। মন ভরানো সুন্দরী, মাধবীলতা সে। তার এই সৌন্দর্য্যের কদর একমাত্র তারাই করবে যারা তাকে মনের চোখ দিয়ে দেখবে।
ঝুমুর পড়ন্ত সূর্যে পড়নে থাকা কাচা হলুদ রংয়ের ফ্রকটা ঠিক করে বিছিয়ে বসলো গাছের নিচে। তার গায়ে জড়ানো এই ফ্রক অনেকটা লম্বা। টাকনুর একটু উপরে। বাড়িতে সে এই ধরনের ফ্রক মাঝে সাঝে পড়ে। যেমন আজও পড়েছে। হাতে থাকা গুটি কয়েক অপরাজিতা ফুলগুলি সে ফ্রকের উপর ছড়িয়ে বসে রইলো। বসে বসে আকাশ দেখতে লাগলো।
ঝুমুর সুবিশাল গগন দেখতে দেখতেই একসময় তাদের বাড়ির সামনে থাকা মুজিব সাহেবের বাড়ির দিকে চোখ পড়ল। লক্ষ্য করলো কেউ একজন খুব তাড়াহুড়োয় ছাদ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। তার অবশ্য চেহারা দেখতে পায়নি ঝুমুর। তার আগেই ছেলেটা অন্য পাশে ফিরে গেছে। ঝুমুরের মনে হলো ছেলেটা কি তার ওই দিকে তাকানোর কারণেই এভাবে বেরিয়ে গেলো ?
পরক্ষণেই ঝুমুরের মনে হলো তার জন্য কেউ কেন পালিয়ে যাবে। সে নিশ্চই কোনো চোর,পুলিশ নয়। হয়তো ছেলেটা আসলেই তাড়াহুড়োয় ছিল। ঝুমুর আর এই ব্যাপারে মাথা ঘামালো না। সে তার সখীদের সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। তার আর জানা হলো না তার অজান্তে কেউ একজন এখনও মুজিব সাহেবের বাড়ির ছাদের চিলেকোঠা হতে তাকে দেখছে।
চিলেকোঠার ঘরের পাশে দাড়িয়ে বড় বড় নিশ্বাস ফেলছে ফাহমান। যাক ঝুমুর দেখবার আগেই চোখের আড়ালে চলে এসেছে। ফাহমান জানে না সে কেন এমনটা করেছে। সে শুধু এটা জানে সে চায় না ঝুমুরের সামনে দাঁড়াতে। কেন চায়না ? এর উত্তর কি ? ফাহমানের জানা নেই তাই এর উত্তর সে ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিল। উত্তর খুঁজে পাওয়ার হলে ভাগ্য নিজেই খুঁজে বের করে তার সামনে হাজির করবে।
—-
রান্নাঘরে আঞ্জুম আরা রুটি ভাজছেন। খাবার ঘরে ফারুক তার রুটির শেষ ভাগটা মুখে পুরে ব্যাগ কাধে তুলে বললো ‘ ভাবি আমি বের হলাম, আম্মুকে বলে দিয়েন। কিরে ঝুমুর হলো ? চল… ‘
আঞ্জুম আরা ফারুকের কথায় সায় দিলেন। মনোয়ারা বেগম তার ঘরে বসে তজবি পড়ছেন তাই ফারুক আর তাকে ডাকেনি। ফারুকের ডাকে ঝুমুর তাড়াতাড়ি শেষ টুকরোটা মুখে তুলে উঠে দাড়ালো। গলার স্কার্ফ আর চুলের ঝুঁটিটা টেনে দৌড়ে নিজের ঘরের দিকে গেলো। তারপর তার প্রিয় ছাতাটা নিয়ে ফিরে এলো সে। ছাতাটা ব্যাগে ঢুকিয়ে কাধে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়লো। বের হতে হতে একবার ব্যাগে সব কাগজ নিয়েছে কিনা দেখে নিলো।
কাগজ পত্র ঠিক মতো দেখে নিয়ে ঝুমুর স্নিকার্স নিয়ে সিড়িতে নেমে এলো। সিড়িতে বসে দুই পায়ে জুতো পড়ে উঠে পড়ল সে। ফারুকও জুতো পড়ে গেট খুলে এগিয়ে গেলো। যেহেতু দুজনে একই পথে যাচ্ছে সেহেতু একসঙ্গে যাওয়াই শ্রেয়। এতে ঝুমুরকে আর জার্নিটা নিরবে করতে হবে না।
গলির মোড়ে দাঁড়িয়েই ফারুক আর ঝুমুর হোসেন মার্কেটে যাবার জন্য রিকশা নিলো। রিকশা উঠতেই মেঘ মেদুর আকাশ যেন ডেকে উঠলো। ঝুমুর উকি দিয়ে দেখলো আকাশের আজ মন খারাপ। সে দুঃখি গলায় বললো ‘ ইশরে আজ মনে হয় বৃষ্টি নামবে। ছাতা এনেছ মামা ? ‘
ফারুক ওর ব্যাগপ্যাকে ছাতা চেক করে বললো ‘ হুম লাকিলি এই ফার্স্ট বৃষ্টির দিনে ছাতা নিয়েছি। আজ তাহলে বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর বাধাতে হচ্ছে না। থ্যাংক ইউ গড, ইউ সেভড মি। ‘
ফারুকের কথায় ঝুমুর কোনো প্রতি উত্তর করলো না। রিকশা থেকে উকি দিয়ে বাহিরের মেঘাচ্ছন্ন আকাশ দেখছে সে। আজকে তার সঙ্গে সঙ্গে আকাশেরও মন খারাপ।
আজ তাসনুবা আর মোতালেব সাহেবের বিশতম বিবাহ বার্ষিকী। আজকের দিনে আগে ঝুমুর সবসময় তার বাবা মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতো। অথচ ভাগ্য এখন তাকে কোথায় টেনে নিয়ে গেছে। ভাগ্যের ফেরে আজ তারা তিনজন তিন দিকে। ঝুমুর তো জানে তার বাবা কেমন আছে, মোতালেব সাহেবও ঝুমুরের খবর রাখেন। অথচ তারা বাবা,মেয়ে কেউই জানেন না তাসনুবা কেমন আছেন, কোথায় আছেন। ভাগ্যের এ কি নির্মম পরিহাস ? কাউকে কাদায় তো কাউকে আলাদা করে দেয়।
~চলবে ইনশাআল্লাহ্…