তোমাতে আমি মুগ্ধ পর্ব-১১

0
613

#তোমাতে_আমি_মুগ্ধ (১১)
#ফারহানা_জান্নাত

“এই মেয়ে তোমার সমস্যা কি? যখন দেখা হয় তখনি আমার সাথে বাড়ি খাও। তো আমি কি মাইনাস! আর তুমি প্লাস নাকি? যে আমাকে দেখলে আকর্ষণ বাড়ে তোমার।”

“এভাবে বলছেন কেনো? এতো কাছে এসে দাঁড়ালে তো ধাক্কা খাবোই তাই না। তাই কথা কম বলবেন, এখানে কি করছেন?”

“তুমি এখানে কি করছো!”

“এমনি ঘুরতে আসছি, কিন্তু ফুলের গাছ কি করবেন? একা একা ফুলের গাছ সামলাবেন নাকি, নিজেকে।”

“একা কই! আমার বোন আছে, মম আছে বাবা আছে। ও কে! ওকে তো কখনো দেখি নাই তোমার সাথে।”

“মানে আপনার মা-বাবা এখন আপনার কাছে থাকে? আঙ্কেল না চেয়ারম্যান ছিলো! আর ও আমার সাথে থাকে। মেডিকেল স্টুডেন্ট।”

“ছিলো কিন্তু এবার নির্বাচনে দাঁড়াতে দেই নি আমি। মমে’র রিটার্ন হয়ছে, সে জন্য সবাই কে নিয়ে এক সাথে থাকি।”

“ওও, ভাইয়া আপনি কি বিয়ে করছেন?”

“কেনো বলো তো!”

“হুর থাক বলতে হবে না, ভালো থাকেন।”

–রুমাইশা মুখ ভেঙ্গচি দিয়ে সেখান থেকে সরে যায়। আহনাফ মুখ বুজে হালকা হেঁসে দেয়, তারপর পাশে গিয়ে রুমাইশার হাত ধরে হাঁটতে থাকে। রুমাইশা প্রথমে ভাবছে এটা হয়তো রাকিবার হাত, কিন্তু পরে আহনাফ’কে দেখে অবাক হয়।

“হাত ধরছেন কেনো?”

“একবার তুৃমি, একবার আপনি, একবার ভাইয়া, আবার কখনো কখনো ডাক্তার, আর কি কি বলে ডাকা বাকি আছে তোমার বলবা?”

“জামাই, ওগো শুনছো, ওমকের আব্বু এদিকে আসো।”

–আহনাফ আর রাকিবা হা হয়ে রুমাইশার দিকে তাকিয়ে থাকে। রুমাইশা ফিক করে হেঁসে দেয়, ওদের মুখো ভুঙ্গি দারুণ লাগছে। আহনাফ কপালে দুই আঙ্গুল ডলা দেয়, তারপর সন্দেহ কন্ঠে বলে,

“হেই মিস কোনো ভাবে আমার প্রেমে পড়ো নাই তো? দেখো আমি কিন্তু বিবাহিত। আমার একটা মেয়ে আছে, প্লিজ আমার দিকে নজর দিও না।”

“আমার বয়ে গেছে আপনার দিকে নজর দিতে। আচ্ছা ভাইয়া, আমার সতীনের সাথে আমার দেখা করাবেন না?”

“সতীন!”

“সতীন! আসলে না নকলে, হুর বুঝতেছিনা আসলে আপনাদের সম্পর্ক কি স্যার? রুমাইশা আপনার কে হয়?”

“আর বলো না, আমি ওর ভাইয়ার বেস্টফেন্ড বুঝলে? তো আমার উপর ওর খারাপ নজর আছে। সে জন্য আমি আমার বন্ধু’র বাচ্চা’কে ও দেখতে যাই নি। ভয় হয়, যদি এই মেয়েটা জাদু করে আমার মন ছিনিয়ে নেয়।”

“মোটেও না ডাক্তার সাহেব, আপনি এমন মিথ্যা গল্প সাজিয়ে বলছেন কেনো? সত্যি’টা বলবো নাকি! তাহলে কিন্তু আপনার বউ এক্স বউ হয়ে যাবে। মুন্নি আপুর কানে কথা’টা দিবো?”

“মুন্নির সাথে দেখা করবা?”

–আহনাফ ঠোঁট প্রসারিত করে বলে, রুমাইশা তাড়াতাড়ি মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দেয়। আহনাফ হালকা হেঁসে বলে,

“আচ্ছা তাহলে সন্ধায় রেডি থেকো, তোমাকে সাথে নিয়ে যাবো। আজ তাহলে আসি, কোনো দরকার হলে আমাকে জানিও।”

“কিভাবে জানাবো! উড়ে উড়ে আপনার বাসায় যাবো নাকি? নাকি আপনার ফোন নাম্বার আছে কোনটা!”

“আমার আগের নাম্বার যেটা ঔটাই আছে। আর ফেসবুকে নক দিও। বাকি রইলো আমার বাসা! নিয়ে যাবো একদিন সমস্যা নাই। এখন বাড়ি দেখানে আমার সংসারে অশান্তি লাগাবে।”

“আমি এতোটা ও খারাপ না ডাক্তার সাহেব, অন্যের সুখ ছিনিয়ে নেওয়ার অভ্যেস আমার নেই। বরং আমি সুখ খুঁজে দেই মনে রাখবেন। আপনার বউ আপনি টাংকি করে রাখেন। দেখবো না যান।”

“সরি স্যার ওর মাথা গরম সে জন্য এসব বলছে। কিছু মনে করবেন না প্লিজ। তার উপর রেগে আছে, সে জন্য এমন করছে।”

–রুমাইশা সেখান থেকে চলে যায়, গাড়ির কাছে গিয়ে রাকিবার জন্য অপেক্ষা করে। রাকিবা না গিয়ে আহনাফে’র কাছে ক্ষমা চায়। আহনাফ চিন্তিত কন্ঠে বলে,

“কেনো কার উপর রেগে আছে? কিছু হয়ছে নাকি। এই কার্ড’টা রাখো তো, যদি তোমাদের সমস্যা হয় আমাকে জানিও। তোমরা তো হোস্টেলে থাকো সমস্যা হলে জানিও।”

“না স্যার, আমরা মিতু মঞ্জিল আছে ওখানে ৩য় তালায় ভাড়া থাকি।”

“আচ্ছা, বাট কি হয়ছে ওর?”

“ক্লাস শেষ করে যখন আমরা আসি তখন একটা ছেলে চড় মারছে। আর সে জন্য সেই সকাল থেকে রেগে আছে।”

“মারছে কেনো!”

[ফ্লাসব্যাক]

“কিরে কই গেছিলিস! আর তোর চোখে পানি কেনো?”

“কোথাও না, চোখে হয়তো কিছু পড়ছে। বাসায় চল ভালো লাগছে না আমার, মাথা ঘুরতিছে কখন জানি পড়ে যাবো।”

“আচ্ছা চল”

–দুজন যখন গাড়িতে উঠে তখন পাশ দিয়ে একজন ছেলে যাচ্ছিলো। রুমাইশা না দেখে, গাড়ির দরজা খুলতে গিয়ে ছেলে’টার হাতের সাথে বাড়ি খায়। ছেলেটা ব্যাথায় চিল্লিয়ে বলে,

“হেই কানি নাকি? আসলেই তো কানি, চোখে চশমা দিয়ে বেড়ায় তো কি হবে! কোথায় গাড়ির দরজা খুলতে হয় জানো না নাকি? গাড়ি নিয়ে কি ভাব দেখাও!”

“হোয়াট! আমি কি আপনাকে কিছু বলছি? হুদায় এমন কথা শুনাচ্ছেন কেনো। আর এখান দিয়ে কেও যায় না ওকে। এটা গাড়ি পার্ক করার জায়গা চোখে দেখেন না?”

“কার সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় জানা নেই নাকি? ১ দিনের স্টুডেন্ট হয়ে সিনিয়রদের সাথে এমন বাজে ব্যাবহার করছো?”

“ভাইয়া সরি, তবে এখানে আপনার ও দোষ আছে। ও কিছু বলে নাই, আপনি ওকে এমনি কথা শুনাচ্ছেন।”

“এই মেয়ে তোমাকে কথা বলতে বলছি নাকি? অন্যের হয়ে চামচামি করতে আসছো কেনো?”

–রুমাইশা রেগে ছেলেটার গালে চড় বসিয়ে দেয়। তখন ছেলেটা আরো দু’জন কে ডেকে আনে। সাথে অনেক কথা শুনিয়ে দেয়। যাওয়ার সময় উল্টো রুমাইশার গালে চড় বসিয়ে দিয়ে চলে যায়।

[বর্তমান]

“তোমরা জুনিয়র, সিনিয়র’রা ইচ্ছে করে ঝামালা করতে আসবে। তাই চুপচাপ থাকবা, ওরা সুযোগ খুজবে রাগিং দেওয়ার জন্য। আর বিজয় যার নাম বললে, ডাঃ মাহমুদ স্যারের ছেলে। একটু এক রোখা টাইপের।”

“তাই বলে এমন ব্যাবহার করতে হবে নাকি?”

“রুমাইশার কি হয়ছে? অসুস্থ নাকি!”

“হ্যা”

“রাহুল জানে?”

“তেমন কিছু হয়নি যে রাহুল ভাইয়া’কে জানাবে। আচ্ছা স্যার আসি, রুমাইশা হয়তো আমার জন্য দেড়ি করছে।”

“আচ্ছা যাও”

–আহনাফ ফোন বের করে রাহুলের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে, তারপর বাইকে উঠে বাসায় চলে যায়। রাকিবা গাড়ির কাছে গিয়ে দেখে রুমাইশা গাড়ির মধ্যে শুয়ে আছে। হালকা ভাবে ডাক দেয়,

“রুমাইশা ঘুমিয়ে গেছিস?”

“হ”

–রাকিবা ঠোঁট বাঁকিয়ে গাড়িতে উঠে পড়ে। রুমাইশা গাড়ি চালিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। বাসায় গিয়ে রাকিবা আর সে পড়তে বসে। রুমাইশা ঘন্টা দুয়েক পড়ার পর ঘুমিয়ে যায়। শরীর দূর্বল থাকায় সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়ে।

” আচ্ছা তুমি কি জানো ভালোবাসা কি?
যদি জানতে তাহলে,
এই ভাবে অপমান করতে না।
যাকে ভালোবাসি আমরা,
তাকে অন্যের সামনে অপমান হতে দেইনা।
যারা অপমান করার জন্য বসে থাকে।
তারা আমাদের কখনো ভালোবাসে না।”

–রাকিবা ফোনে কথাগুলো বলে ফোনটা রেখে কান্না করে দেয়, আজ তার বয়ফেন্ড ফোন দিয়ে অপমান করলো। আচ্ছা যারা সত্যি ভালোবাসা বোঝে তারা কি কখনো অপমান করতে পারে? রুমাইশার রুমে যায়, ও ঘুমিয়ে আছে দেখে আর কিছু বললো না। রান্না ঘরে গিয়ে দেখে কাজের মহিলা আসছে, তাই রুমাইশা ফ্রিজ দেখে বলে,

“আন্টি আজকে রুমাইশার জন্য দুধ জাল দিও তো। আর একটা ডিম সিদ্ধ করে দিও। তরকারি কি সেটা তো জানো।”

–রাত ১০ টা, ১০টার সময় রুমাইশার ঘুম ভেঙ্গে যায়। এমনি ভাঙ্গে নাই, রাকিবা সেই ১০ মিনিট থেকে ডাকছে। জ্বরে শরীর পুড়ে যাচ্ছে তার। এমনি থেকে অসুস্থ তার উপর বৃষ্টি’তে ভেজার জন্য গায়ে জ্বর বাধায় ফেলছে। রুমাইশা বিরক্ত হয়ে অন্য পাশ ফিরে,

“ডাকিস না প্লিজ, আমার মাথা ব্যাথা করছে। ঘুমাতে দে না-হয় কাল বিছানা থেকে উঠতে পারবো না।”

“উঠে পর, ডাক্তার আসবে একটু পড়। তোর অবস্থা ভালো না, এভাবে বাসায় থাকলে খারাপ কিছু হয়ে যাবে।”

“মরবো না সরে যা”

–রাকিবা কিছু বলার আগেই দরজার কলিং বেলের শব্দ হয়। রাকিবা গিয়ে দরজা খুলে সালাম দেয়। আহনাফ সালাম নিয়ে বলে,

“রুমাইশার কি হয়ছে?”

“ভিতরে আসুন স্যার, এখানে আপনি ছাড়া আর কাউকে ভরসা করার মতো নেই। আপনি রুমাইশা পরিচিত সে জন্য আপনাকে ডাকলাম।”

“আচ্ছা সমস্যা নাই, রুমাইশা কই?”

–আহনাফ রাকিবার সাথে রুমাইশার রুমে যায়। মেয়ে’টা শুয়ে আছে, শরীর ঘেমে গেছে তবুও গাঁ থেকে কাঁথা সরায় নি। বিছানায় বসে রুমাইশার কপালে হাত রাখে। শরীর অনেক গরম দেখে অবাক হয়। এতো তাড়াতাড়ি গায়ে জ্বর বাঁধিয়ে ফেলছে। রুমাইশা চোখ মেলে আহনাফ’কে দেখে বলে,

“আপনি এখানে কেনো?”

“ডাক্তার আমি, আমাকে তোমার ফেন্ড চিকিৎসা করানোর জন্য আনছে। তাই এখন একটা কথা ও না, শরীর পুড়ে যাচ্ছে। চলো ওয়াশরুমে গিয়ে ঝর্নার নিচে তোমাকে রেখে আসি।”

“ডাক্তার ডাক্তারের মতো থাকবেন, বার্তি কথা না বলে চিকিৎসা করেন।”

“অসুখ হয়ছে তাও তেজ কমে নাই তাই না?”

–আহনাফ জ্বর পরিক্ষা করে রুমাইশার থেকে সব সমস্যার কথা শোনে। রুমাইশা কিছুক্ষণ পর মুখ বাঁকিয়ে বলে,

“ডাক্তার মানুষ রুগি দেখে সমস্যা বলে দিতে পারেন না? রুগি অসুস্হ অবস্থায় আপনাকে সব বলবে নাকি?”

“অদ্ভুত! দেখি তুমি ও তো ডাক্তার হবে, তখন রুগি দেখে সব রোগ ধরতে পারো নাকি দেখবো আমি ওকে?। আমাকে কথা শুনাতে আসছো তাই না!”

“তো”

“তো তো না করে উঠে খাওয়া দাওয়া করো। তারপর ঔষধ খাবে, আমি বাহির থেকে ঔষধ এনে দিচ্ছি।”

“এখন থেকে বারবার অসুস্থ হবো ডাক্তার সাহেব, তাহলে আপনি ছুটে চলে আসবে। ব্যাপার’টা দরুন না?”

–রুমাইশা বিরবির করে কথাটা বলে, আহনাফ সব টাই শুনতে পায়। কিছুক্ষণ ভ্রু কুঁচকে রুমাইশা”কে পরখ করে নিচে যায়। রাকিবা রুমাইশার মাথার কাছে এসে বসে।

“উঠ আমি খাইয়ে দিচ্ছি। খাওয়া দাওয়া করে ঔষধ খেতে হবে। রাহুল ভাইয়া কয়বার ফোন করছিলো। তখন তুই ঘুমিয়ে ছিলিস।”

“কি বলছে ভাইয়া?”

“তুই অসুস্থ সেটা বলি নাই সে জন্য বকাবকি করলো। রাহুল ভাইয়া কিভাবে জানলো সেটাই ভাবছি।”

“তোর কি হয়ছে? মন খারাপ কেনো।”

“আজকে ব্রেকআপ করছি”

“কেনো!”

“যে গুরুত্ব দিতে জানে না, তার সাথে সারাজীবন কখনো থাকতে পারবো না আমি৷ ও আমার থেকে বার্থডে গিফট চাইছিলো। দিতে পারি নাই সে জন্য ফকির বলে অপমান করে। আরে ভাই ও আমার থেকে ৪ হাজার টাকার ঘড়ি চাচ্ছে আমি এতো টাকা কই পাবো।”

“শা’লা ফকির, জিএফের টাকাই চলবে নাকি রে! এমন ছেঁচড়া ছেলের সাথে প্রেম করতে কে বলছে তোকে?”

–রাকিবা মুখ’টা ছোট করে, সে জানতো নাকি ছেলেটা এমন হবে?

“আমি জানতাম নাকি ও এমন হবে! আমার পিছে পড়ে ছিলো। আরে প্রথম প্রথম তো মনে হয় গলায় ঝুলে ছিলো। আর এখন ব্রেকআপ করার জন্য নানা বাহানা করে।”

”বাদ দে, এখন দেখবি ছেলে’রা লাইন দিয়ে দাড়িয়ে থাকবে। পড়াশোনা কর, এসব প্রেম পিরিত করলে ফেল মারবি।”

“এসব বলিস না তো থাম, এতো কথা বলিস না। পড়ে আবার তোর ডাক্তার সাব বলবে, তোমাদের এতো কথা কে বলতে বলছে?”

“আমাকে নিয়ে কি কথা হচ্ছে হ্যা? আর এতো কথা বলছো কেনো! খাওয়া দাওয়া করছো?”

–আহনাফে’র কথায় রাকিবা চুপ মেরে যায়। রুমাইশা মাথা ব্যাথার ঠিক হয়ে বসতে পারছে না। অনেক কষ্টে উঠে বসে, তারপর মিনমিন সুরে বলে,

“আমি খাবো না, আপনি ঔষধ নিয়ে আসছেন এখন যেতে পারেন। রাকিবা আমার পার্স থেকে উনার পেমেন্ট দিয়ে দে।”

“গালে দুইটা চড় বসায় দিবো, আমি তোমার স্যার নাকি! আমাদের আলাদা পরিচয় আছে। রাহুল যদি এসব জানে খুন করবে কিন্তু। সো চুপচাপ খেয়ে নেও।”

“নিজে নড়তে পারছি না, তো খাবো কিভাবে। আজব পাবলিক, ইচ্ছে হলে খেয়ে দেন।”

—রুমাইশা রেগে কথাটা বলে, আহনাফ মাথা চুকলে আড় চোখে রুমাইশার দিকে তাকায়। মেয়েটা ইচ্ছে করে তার সাথে এমন করছে খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে। রাকিবার দিকে তাকিয়ে খাওয়ানোর কথা বলে। রাকিবা খাবার এনে খাওয়াতে যাবে তখন রুমাইশা ওকে ঝারি মারে। আহনাফ বিরক্ত হয়ে বলে,

“এবার কিন্তু বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে রুমাইশা, চুপচাপ খেয়ে নেও। ওকে ফাইন খাবা না তো? এখানে ঔষধ আছে আমি চলে গেলাম।”

চলবে?……………..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে