তোমাতে আমি মুগ্ধ পর্ব-১০

0
604

#তোমাতে_আমি_মুগ্ধ (১০)
#ফারহানা_জান্নাত

–মেঘের গর্জন, সাথে মুঘল ধারে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির মধ্যে স্টুডেন্ট’রা এদিক সেদিন ছুটতে থাকে। আজ মেডিকেলে’র প্রথম ক্লাস, আর আজকেই বৃষ্টি হবে কে জানতো? দৌঁড়ানোর সময় কাঁদার সাথে পা বাঁধিয়ে পড়ে যায় রুমাইশা। মুখটা কাঁদো কাঁদো করে বসে থাকে মাটিতে ঐ ভাবে। সে তো ধিরে হাটছিলো, তার সব ফাইল, ফোন, ব্যাগ রাকিবার কাছে আছে। আর সে আনন্দে বৃষ্টি তে ভিজছিলো। কিন্তু হুট করে এভাবে পড়ে যাবে ভাবে নাই। গায়ের সাদা জামা কাঁদায় মেখে একা’কার হয়ে গেছে। চারদিক থেকে সবাই খিলখিল করে হেসে দেয়। উপুড় হয়ে পড়ার জন্য চোখ মুখে ও কাঁদা লেগে আছে। চোখের চশমা ঠিক করে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে কিন্তু হয় না। এই বৃষ্টির সময় কেউ একটু এগিয়ে ও আসছে না। মাথা নিচু করেই বুঝতে পারে তার সামনে কেউ দাঁড়িয়ে আছে। একটা হাত তার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে,

“চার চোখ নিয়ে চলাফেরা করো তাও পড়ে যাও কিভাবে? দেখে শুনে চলতে পারো না। হাত দেও, তোমার জন্য নিশ্চয়ই আমি এখানে এই ভাবে দাঁড়িয়ে থাকবো না।”

“দেখুন কে আপনি জানি না, কিন্তু ভাই উঠাতে মন চাইলে উঠিয়ে নেন। কিন্তু কথা শুনাতে আসবেন না, আর আমার চশমা নিয়ে মোটেও কথা বলবেন না। অতিরিক্ত পড়াশোনা করতে হলে চশমা ব্যাবহার করতে..”

–রুমাইশা আর কিছু বলতে পারে না। সামনে তাকিয়ে অবাক হয়ে যায়, তার সামনে আহনাফ দাঁড়িয়ে আছে? তার যেনো বিশ্বাস হচ্ছে না। আহনাফ হয়তো এখনো তাকে চিনতে পারে নাই। কাঁদা দিয়ে তো মুখ মেখে আছে। আহনাফ রুমাইশাকে টেনে উঠায়, তারপর হালকা জোড়ালো গলায় বলে,

“সবাই দৌড়াদৌড়ি করছে দেখে দাঁড়িয়ে ছিলে কেনো মেয়ে? বৃষ্টি’তে ভিজতে গিয়ে কাঁদা দিয়ে তো ভিজে গেছো। এখন এই শরীর নিয়ে ক্লাস করতে যাবে নাকি!”

“আপনি এখানে কি করছেন আহনাফ”

–রুমাইশা’র আর কোনো কথা আহনাফে’র কানে যায় না। সে জোর পায়ে জায়গায় ত্যাগ করে, হাতে ছাতা থাকলে ও অনেক’টা ভিজে গেছে শরীরের জামা। জামা থেকে পানি ঝাড়তে ঝাড়তে বিরবির করে বলে,

“উফ এই মেয়ে’টার জন্য আমার জামা ভিজে গেলো। এখন আবার ক্লাস নেওয়ার জন্য যেতে হবে। প্রথম দিন স্টুডেন্ট’রা একটু আনন্দ করবে, কিন্তু আকাশ’টা শান্তি দিলো না। আজকের দিনেই কি বৃষ্টি’র প্রয়োজন ছিলো?”

“আল্লাহ বৃষ্টি দিছো, বৃষ্টির সাথে আমার বউটাকে ও পাঠিয়ে দেও। আর কতদিন একা একা থাকবো? ২৮ শেষে ১৫দিন পর ২৯ বছরে পা দিবো। এই অধম কি বউ পাবে না কখনো?”

–আহনাফ কথা গুলো বলে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। আহা বেচারার বয়স কম না, কিন্তু বউ ছাড়া প্রতিটা প্রহর গুনতে হচ্ছে। ক্লাসের সময় হয়ছে দেখে ক্লাস নিতে চলে যায়। ২০ মিনিট হাতে সময় ছিলো, এই সময়ে নিজের ফ্লাট থেকে রুমাইশা জামা চেঞ্জ করে আসে। আহনাফ আজ প্রথম মেডিকাল স্টুডেন্ট দের ক্লাস নিবে। একটা করে ক্লাস নেওয়ার দায়িত্ব তার উপর পড়ছে।

“জানি না স্টুডেন্ট’রা আমার ক্লাস পছন্দ করবে কিনা। উফ একটা উত্তেজনা কাজ করছে আমার ভিতরে।”

–আহনাফ ক্লাসের দিকে যায়। এদিকে রুমাইশা হাতের ছাতা বন্ধ করে ক্লাসে ঢুকে শেষের দিকে একটা বেঞ্চে বসে রাকিবার উদ্দেশ্য বলে,

“প্রথম দিনে এমন ঘটনার মুখোমুখি হতে হবে কে জানতো? বা’ল ডা ভাগ্য ভালো পাশেই বাসা ভাড়া নিয়ে ছিলাম। এসব বডিং এ থেকে পড়াশোনা আমার দ্বারা সম্ভব না।”

“তোরে ভিজতে কে বলছিলো? জানিস না ক্লাস আছে। না তুই তো লাফিয়ে লাফিয়ে ভিজতে গেলি। আমি ভাইয়ার কাছে ফোন দিয়ে বলবো, যে ভাইয়া আপনার বোন বৃষ্টি’তে ভিজছে।”

“এই থাম, একদম চেঁচাবি না বলে দিলাম। ভাইয়া আমাকে একা পাড়িয়ে দিয়ে ভ্যা ভ্যা করছে। আর তুই এসব বললে আমার কান ধরে বাসায় নিয়ে যাবে। তখন বলবে, এসব ডাক্তার তোরে হওয়া লাগবে না।”

“আচ্ছা বলবো না যা, বাট তোরে না সুন্দর লাগছে আজকে। সকালে বেশি সুন্দর লাগছিলো, সাদা ড্রেস এখন তো আলাদা।”

–রুমাইশা কিছু বলবে তার আগে স্যার ক্লাসে প্রবেশ করে। রুমাইশা স্যারের জায়গায় আহনাফ কে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে উঠে। আহনাফ এখনো রুমাইশা’কে দেখতে পারে নাই। রুমাইশা লাস্ট বেঞ্চে আছে সে জন্য হয়তো নজর যায়নি।

“আহনাফ তাহলে ভালো একজন ডাক্তার হয়ছে? নাহলে ও ক্লাস নেওয়ার চান্স পাবে কেনো! কিন্তু রাহুল ভাইয়া তো আমাকে এসব বিষয়ে কখনো বলে নাই। আর বলবে কেনো! আমি তো এই কয়েক’টা বছরে একবার ও আহনাফে’র কথা শুনতে চাই নি।”

“কিরে কি বলিস? তুই স্যার’কে চিনিস নাকি? কি বিরবির করিস।”

–আহনাফ নিজের পরিচয় দিয়ে ক্লাস নেওয়া শুরু করে। এক দিনে সবার পরিচয় নেওয়া সম্ভব না। আসতে আসতে সবার সাথে পরিচয় হয়ে যাবে। ক্লাস শেষ করে আহনাফ হসপিটালে যাবে তখন কারো মাথার সাথে বাড়ি খায়।

“আহ”

“সরি সরি, আপনার সাথে আমার কিছু কথা ছিলো। আমাকে কি একটু সময় দিতে পারবেন? বেশি সময় নিবো না প্লিজ।”

–রুমাইশা দৌড়ে এসে আহনাফে’র সামনে দাঁড়ায়। আচমকাই আহনাফ রুমাইশার সাথে ধাক্কা লেগে যায়। আহনাফ রুমাইশা’কে তার সামবে দেখে হা হয়ে যায়। অবাক হয়ে বলে,

“তু-তু-তুমি এখানে কি করছো? অসুস্থ নাকি! কিন্তু তাহলে হসপিটালে থাকার কথা। এখানে তো থাকার কথা না।”

“আমি এই মেডিকেল এ চান্স পাইছি। মানে আমি ডাক্তার লাইনে পড়বো। বাই দ্যা ওয়ে সময় হবে? নাকি ভুলে গেছেন আমাকে।”

“তোমাকে মনে রাখার মতো কিছু হয় নি। কিন্তু তুমি মেডিকেলে পড়ছো কেনো! তুমি না বিজনেস নিয়েই পড়বা।”

“ইচ্ছে করলো সে জন্য, এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলবেন?”

“তোমার ক্লাস নেই?”

“না প্রথম দিন সে জন্য আর ক্লাস হবে না। বৃষ্টি ছাড়ছে, আপনি কি ব্যাস্ত?”

“যাও গিয়ে রিক্সা ডাকো, আমি আসছি।”

–রুমাইশার সাথে গাড়ি ছিলো, কিন্তু আহনাফে’র সাথে রিক্সা উঠার সুযোগ’টা মিস করতে চায় না। সে জন্য একটা রিক্সা ডেকে উঠে পড়ে। আহনাফ কিছুক্ষণ পড় মুখে মাক্স পড়ে রিক্সায় উঠে।

“বলো কি বলবে, আমার বেশি সময় নাই। ৩০ মিনিট পর থেকে রুগী দেখা শুরু করবো।”

“কেমন আছেন ডাক্তার?”

–রুমাইশার কথায় আহনাফ হালকা হাসে। মেয়েটা তার থেকে শুনতে চাচ্ছে কেমন আছে। হালকা হেঁসে উওর দেয়,

“এটা শোনার জন্য আলাদা ভাবে ডাকলে আমাকে?”

“ভাবি কেমন আছে?”

“হয়তো ভালো, কেনো ডাকছো সেটা বলো।”

“ভালো থাকবেন আসি, বিরক্ত হবেন জানলে আসতে বলতাম না।”

–রুমাইশা রিকশা থেকে নেমে ভাড়া মিটিয়ে দেয়। আহনাফে’র দিকে না তাকিয়ে হেঁটে গাড়ি যেখানে আছে সেখানে যায়। আহনাফ বিরক্ত হয়, কিন্তু আগে থেকে বিরক্ত না, রুমাইশার এমন আচরনে। আহনাফ নিজের ফোনটা বের করে রাহুলের কাছে ফোন দেয়।

“রুমাইশা যে ডাক্তারি পড়বে আমাকে আগে তো বলিস নাই। আর ও চশমা পড়া কবে থেকে শুরু করছে রে?”

“তুই রুমাইশা’কে কই পেলি?”

“আমি বললাম না আজ থেকে মেডিকেল স্টুডেন্ট দের ক্লাস নিবো। তো রুমাইশাকে দেখলাম। আর ও কি জানে না মুন্নির কথা?”

–আহনাফ চোখ বন্ধ করে কথাটা বলে। চোখের কোনে পানি জমে গেছে এই টুকু সময়ের মধ্যে। রাহুল ছোট্ট করে উওর দেয়,

“না ও এসব বিষয়ে কিছু জানে না। কেনো ও কি কিছু বলছে?”

“না শুধু বললো ভাবি কেমন আছে। আর পড়ে দেখলাম চোখে পানি নিয়ে এখান থেকে চলে গেলো। আচ্ছা একটা সত্যি কথা বলবি?”

“বল”

“রুমাইশা কি কোনো ভাবে আমার প্রতি দূর্বল?”

“আরে এসব বাদ দে, আঙ্কেল আন্টি কেমন আছে? বাসায় কবে ফিরবি।”

“কথা ঘুরিয়ে নেশ কেনো?”

–রাহুল ব্যাস্হ আছে বলে ফোন’টা কেটে দেয়। রুমাইশার ডাইরি সে পড়ছে। অজানা অনেক কিছু তো জানছে। সে জন্য কারো ভালোর জন্য কিছু লুকাতে হয়। ঘরির দিকে তাকিয়ে দেখে, মিটিং এর সময় আরো ৩০ মিনিট পর। সেটা দেখে রুমাইশার কাছে ফোন দেয়।

“ক্লাস কেমন হলো?”

“দূর প্রথম দিন একটু ও ভালো হয়নি ভাইয়া। বৃষ্টি শুরু হয়ছিলো, কাঁদায় পড়ে আমার চোখ মুখ ভূতের মতো হয়ছিলো।”

“আমাদের এই দিক তো বৃষ্টি হয়নি। যাই হোক, সাবধানে থাকিস। আর, আহনাফে’র সাথে নাকি দেখা হয়ছিলো।”

“ও হা ভাইয়া শোন, কি ব্যাপার বল তো! তুই এই প্রায় ৪ বছরে একটা বার ও আহনাফ ভাইয়ার কথা আমাকে বলিস নাই কেনো? অদ্ভুত তো। যাই হোক ভাইয়া বিয়ে কবে করছে?”

“ওর থেকে বাকি সব জেনে নেশ। তুই চাইলে এখন নিজ অধিকার আদায় করতে পারিস পিচ্চি।”

“মানে!”

–রুমাইশা কিছু বুঝতে পারে না। কিসের অধিকার! তাদের তো ডিভোর্স হয়ছে। যদি ও সে ডিভোর্স পেপারে সই করে নাই। একটা বার ডিভোর্স পেপার খুলে ও দেখে নি। রাহুল আর কিছু না বলে ফোনটা রেখে দেয়। তারপর রিতুর সাথে কথা বলে কাজে মন দেয়। প্রায় ৩ মাস আগে নিজ বাড়ি অফিস সব ফিরে পাইছে তারা। তার জন্য কম নড়তে হয়নি, সব একা হাতে সামলিয়ে নিছে রুমাইশা। নিজের অধিকার সে ছাড়ে নাই। বাড়ি থেকে বের করে দিছে তার সৎ মাকে, সাথে থানায় সব কু কর্ম ফাঁস করছে। যদি ও তাদের নামে কিছু ছিলো না, কিন্তু রুমাইশা কিছু টাকা সাথে দিয়ে দেয়।

“আহনাফ স্যার কে তুই কি আগে থেকে চিনিস?”

“হুম, আমার ভাইয়ার বন্ধু হয়। আর বিবাহিত হয়তো বা বাচ্চা ও আছে।”

“আমি তোর থেকে শুনতে চাইছি কি? বিবাহিত নাকি অবিবাহিত! নিজেই বলে দেস কেনো হ্যা?”

“না তুই যদি ক্রাশ খেয়ে ফেলিস, তখন তো সেকা খাবি তাই আগেই বলে দিলাম।” (রুমাইশা)

“আমার তো মনে হয় সেকা তুই খাইছিস, যাই হোক ধন্যবাদ।”

“কেনো?”

“তোর জন্য মেডিকেলে পড়তে পারছি।”

–রুমাইশা হালকা হাসে, একদিন নিউজ দেখতে পায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়ার পর ও একটা মেয়ে পড়তে চায় না। ফেমেলির অবস্থা ভালো না। কিন্তু ফেন্ড’রা রাজি ধরছিলো কখনো সে ডাক্তারি পড়ার যোগ্য হবে না। তাই জেদের বসে পড়াশোনা করে, অপমান সহ্য করে পরিক্ষা দেয়। চান্স পায় ঠিকি কিন্তু পড়ার ক্ষমতা তাদের নাই।

–সেদিন রুমাইশা বাড়ির ঠিকানা খুজে রাকিবার দায়িত্ব নেয়। নিজে পড়াশোনার খরচ চালাবে বলে জানিয়ে দেয়। তারপর থেকে তাদের পরিচয়, পরিচয় বেশি দিনের না। মেডিকেল কলেজের মেসে না থেকে রুমাইশা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। মেডিকেলে থাকলে সিনিয়রদের রাগিং এসব সে সহ্য করবে না। তার উপর তার চলাচল একটু বড়লোক দের মতো। যা অনেকের কাছে খারাপ দেখাবে।

–রুমাইশা আর রাকিবা রেস্তুঁরা থেকে বের হয়ে একটা ফুলের বাগানে আসে। এটা সবার জন্য উন্মুক্ত, সবাই এখানে আসা যাওয়া করতে পারে। দু’জন যখন ঘোরাঘুরি করে তখন একটা ছেলে এসে রুমাইশার সামনে দাড়িয়ে একটা চিরকুট হাতে ধরিয়ে দেয়। চিরকুট খুলে দেখে,

“নিজের বডি’কে আড়াল করতে শিখো, সবার জন্য শরীর কি উন্মুক্ত? যদি তাই হয় তাহলে শরীরের ওড়না গলায় ঝুলিয়ে না রেখে ফেলে দেও।”

–রুমাইশা শরীরের দিকে তাকায়, না ঠিক আছে। জামার সাথে ওড়না মানিয়েছে, তবে এমন ওড়না অনেকের কাছে বাজে লাগতে পারে। সে গলায় ওড়না ঝুলিয়ে রাখছে। ওড়নাটা দিয়ে গাঁ ভালো ভাবে ঢেকে বলে,

“অদ্ভুত কে দিলো এই চিরকুট? চিরকুটে তো আর কিছু দেওয়া নাই। আর কে দিসে তার নাম’টা ও নাই। হেই কেউ ক্রাশ খেলো না তো?”

“হ বুইন সুন্দর মাইয়া ক্রাশ খেতেই পারে। যাই হোক ঐ দিকে তাকিয়ে দেখ কে আসছে।”

“কে!”

“কে আবার! আমার না হওয়া ক্রাশ। ক্রাশ না খেতেই তুই সেকা দিছিস। বাইদা ওয়ে স্যার দেখতে অনেক সুন্দর তাই না?”

“আহনাফ!”

–রুমাইশা অবাক হয়, আহনাফ এখানে কি করছে? তবে ভালো করে লক্ষ্য করে দেখে পাশের বাগান থেকে ফুল গাছ কিনছে। হয়তো ফুলের গাছ কিনতে আসছে সে।

“রুমাইশা এখানে কি করছো!”

–রুমাইশা কন্ঠ শুনে পিছনে তাকিয়ে দেখে। একটু আগে বাগানে ছিলো হুট করে তার পিছনে কিভাবে আসলো? একটুর জন্য সে অন্য দিকে চোখ রাখছিলো। সেই একি কান্ড আবারো ঘটে গেলো, পিছনে ঘুরতে গিয়ে তার মাথা আহনাফে’র নাকে বাড়ি খায়। এবার আহনাফ রাগি কন্ঠে বলে,

চলবে?…………..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে