তোমাকে আমার প্রয়োজন পর্ব-০৫

0
2004

#তোমাকে আমার প্রয়োজন??
#মেঘ পরী??

??পর্ব-৫??
.
?
.
.
নিলয়ের কথামতো তিথী গুটিগুটি পায়ে নিলয়ের দিকে এগিয়ে,,,নিলয়ের সামনে গিয়ে দাঁড়াল।নিলয় তিথীর দিকে তাকিয়ে,,,,রাগী স্বুরে বলতে লাগলো-

-:এই মেয়ে তুমি কি ভেবেছ নিজেকে,,যখন যা ইচ্ছা হবে তাই করবে।তোমার সাহস তো মন্দ নয়। তুমি জানো আমি কত ব্যাথা পেয়েছি।আমি হাঁটতে পারব কিনা কে জানে। তোমার তো খুব আনন্দ হচ্ছে না,,,আমার এই অবস্থা দেখে খুশি হয়েছ তুমি।

নিলয়ের এমন কথায় তিথি খুব কষ্ট হল,,,আসলে ও বুঝতে পারেনি যে নিলয় এতটা আঘাত পাবে।। তাই সে নিজের হাতে নিজের দুকান ধরে অসহায় চাহনি চেয়ে নিলয় কে বলল-;

-:???? সরি বিশ্বাস করুন আমি ইচ্ছা করে আপনাকে কষ্ট দিতে চাইনি,,,,মজা করতে গিয়ে বুঝতে পারিনি সেটা সাজা হয়ে যাবে।

তিথির ফেসের এমন রিয়াকশন দেখে নিলয় বেচারা অনেক কষ্টে নিজের হাসিটা কে থামাল,, আসলে নিলয় অতটাও ব্যথা পায়নি,, তিথি কে জব্দ করার জন্যই এমন নাটক করছিল।। তারপর তিথির দিকে তাকিয়ে রাগী গলায় বলল-;

-: তা তো শুনছি না।।ভুল যখন করেছো,,,শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে।।

-: প্লীজ এমন করবেন না।।????

-:উহু তা তো আমি শুনছি না শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে।।

-:??????? বলছি তো ভুল হয়ে গেছে, তবুও শুনবেন না আমার কথা।।।যান আপনার সাথে আড়ি,,,আপনি একটা পচা……

আর কিছু বলতে পারল না তিথি,,,তার আগেই নিলয় তিথির হাত হ্যাচকা টান মারলো,,, যার ফলে তিথী নিলয়ের গায়ের উপর পড়লো আর নিলয় ব্যালেন্স হারিয়ে সোজা তিথিকে নিয়ে খাটের উপরে ধড়াম করে পড়ে গেল।।।। পড়ে যাবার পর তিথি কিছুক্ষন বোঝার চেষ্টা করলো আসলে কি হয়েছিল তার সাথে,,,তারপর বুঝতে পেরে মোচরা মুচরি করতে লাগলো নিলয় এর কাছ থেকে ছাড়া পাওয়ার জন্য।।।তিথির এমন ছটফট করা দেখে নিলয় এক হাত দিয়ে তিথির কোমর জড়িয়ে ধরল আর এক হাত দিয়ে তিথি দুটো হাত শক্ত করে চেপে ধরল।।তিথি এদিকে নিজেকে ছাড়াতে ব্যস্ত,,,,,আর নিলয়!! নিলয় তো ব্যস্ত তিথি কে দেখতে।।। নিলয় তিথির চোখের দিকে তাকিয়ে আছে পলকহীন ভাবে।।নিলয় মাঝেমাঝে ভেবে পায় না যে কি মায়া জাদু আছে এই চোখে দুটের মধ্যে,, যে মাঝে মাঝে সেও হারিয়ে যায় এই চোখের মায়াজালে।।

তারপর আস্তে আস্তে তিথীর চোখের দিকে থেকে নজর সরিয়ে,,নিলয়ের নজর গেল তিথির গোলাপি ঠোঁট যুগ্মের দিকে।।এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার গোলাপি ঠোঁট দ্বয়ের দিকে।। তিথির গোলাপি ঠোঁটের নিচে মাঝ বরাবর তিলটি যেন,,তিথীর ঠোঁটের সৌন্দর্যকে শতগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। নিলয় তিথির কোমর থেকে হাতটা তুলে,, একটা আঙ্গুল দিয়ে তিথির ঠোঁটে স্লাইড করতে লাগলো।।

হঠাৎ নিলয়ের এমন স্পর্শে তিথি কেঁপে উঠলো আর খেয়াল করলো নিলয় তার ঠোঁটের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।।নিলয়ের এমন চাহনি দেখে,,,তিথি মনে মনে বলল-;

-: ব্যাটা লুচুর মতিগতি মোটেও আমার ভালো ঠেকছে না।।

তাই তিথি চিল্লিয়ে উঠলো বাঁচাও বাঁচাও করে।। তিথির এমন চিল্লানো দেখে নিলয় থতমত খেয়ে গেল।।তাই সঙ্গে সঙ্গে তিথির মুখটাকে চেপে ধরল আর এইদিকে তিথির নিজেকে ছাড়ানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে দেখে,,,নিলয় তিথির দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে,,এক ধমক দিল,,,তাতে তিথি কিছুটা কেঁপে উঠলো।। তারপর নিলয় বলল-;

-:চুপপপপপ…একদম চুপ এইভাবে কেউ চাল্লায়।। আর একবার চেচাঁলে তুলে আছাড় মারবো,, বেয়াদব মেয়ে কোথাকার।।

নিলয়ের এমন ধমকে তিথির চুপ মেরে গেল।। তারপর নিলয় তিথি কে ছেড়ে দিল,,তিথি উঠে চলে যেতে যাবে কি নিলয় আবার তিথির হাতটা ধরে ফেলল।।তারপর তিথিকে তার পাশে বসালো আর ড্রয়ার থেকে মুভ মলম বের করে তিথির হাতে দিল।। তিথি মলমটার দিকে তাকিয়ে নিলয় কে জিজ্ঞাসা করল-;

-:এটা দিয়ে কি করব।।

তিথীর কথার উত্তর না দিয়ে,,নিলয় বেডে চুপচাপ শুয়ে পড়ল উবুড় হয়ে।। তারপর তিথি কে বলল-;

-: ব্যাথা যেমনি তুমি দিয়েছো তেমনই ব্যাথা সারানোর দায় ও তোমার,,,চুপচাপ আমার কোমরে মলম লাগিয়ে দেও।

-: অসম্ভব আমি আপনার কোমরে কোন মলম টলম লাগাতে পারবো না।।(অসহায় ভাবি)

-: তুমি লাগাবে কি না।।???যদি না লাগাও তাহলে আমাকে অন্য পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে তুমি কি চাও সেটা আমি করি। সেটা কিন্তু তোমার পক্ষে ভালো হবে না।।

-:?????? প্লিজ।

-:?????

-:????দিতেছি।।

এই বলে তিথি তার নরম হাতে নিলয়ের কোমরে মলম লাগিয়ে দিল,,আর নিলয় পরম আবেশে চোখ বুজে তা অনুভব করতে লাগলো,, তার মায়াপারির হাতের স্পর্শ বলে কথা।। মলম লাগানোর পর তিথী-;

-:???? কথা কমু না আর আপনার সাথে।।

-:?????

-: আজকের প্রতিশোধটা তো আমি নিয়েই ছাড়বো,,ইটস মাই চ্যালেঞ্জ।।(মনে মনে) তারপর তিথি নিজের রুমে চলে গেল।
.
?
.
কিছুক্ষণ পর নিচ থেকে তুমুল ঝগড়ার আওয়াজ শুনতে পেল নিলয়। ঝগড়ার কারণ জানার জন্য নিচে গিয়ে দেখল তিথি রামু চাচাকে আচ্ছামত ধুলাই দিচ্ছে। নিলয় গিয়ে তিথির এমন ব্যাবহারের কারণ জিজ্ঞাসা করাতে,,তিথী দাঁত কড়মড় করে রামু চাচার দিকে তাকিয়ে নিলয় কে বলল-;

-:দেখুন কী আনছে,,একবার দেখুন।।আমি বলেছি মিকি মাউস আঁকা টপ আনতে আর উনি এনেছেন লিটিল এলিফ্যান্ট আঁকা টপ।।আর তারচেয়ে বড় কথা হল লিটিল এলিফ্যান্ট এর মতই টপের সাইজও এনেছে।।এই টপের ভিতরে আমি আর আমার মামি দুজন একসাথে ঢুকে যেতে পারব,,যত্তসব আলু থালুর দল।।

নিলয় গেঞ্জি দিকে তাকিয়ে দেখল সত্যিই গেঞ্জি তা অনেক বড় সাইজের এনেছে।।নিলয় চাচার দিকে তাকাতেই,,,,চাচা বললেন

-: সাহেব আমি দোকানদারকে আপনার দেবা লিস্টটা ধরিয়ে দিয়েছিলাম,,,উনি সব দেখেই জিনিসপত্র দিয়েছিলেন।সব জামায় ঠিক আছে শুধু মামুনের গেঞ্জি খানাই যা গন্ডগোল হইসে।।আর তাতেই মামনি অকারনে আমার উপর চিল্লামিল্লি করছে।।

-: কি আমি অকারনে চিল্লামিল্লি করছি।।আমি কি সুন্দর ভেবেছিলাম আজকে শাওয়ারের পর মিকি মাউস টপ আর স্কার্ট পরে,,,ঘুরু-ঘুরু করবো।। কিন্তু আমার সব আশাতেই এক বালতি জল ঢেলে দিল যত্তসব আউলফাউলের দল।।। আমি জানিনা আমার মিকি মাউস আঁকা টপ দিতেই হবে।।

-: আচ্ছা আচ্ছা তুমি এখন অন্য জামা পড়ো বিকালে তোমাকে নিয়ে আমি শপিং মল থেকে তোমার পছন্দমত টপ কিনে আনবো এবার খুশি।।।

-:??????খুবববববববব।।।এই এত্তগুলা।।(বলে দুই হাত ছড়িয়ে দেখালে)

নিলয় তিথির এমন কাণ্ডে হেসে ফেলল,,তবে সবাইকে বুঝতে দিল না।।

-: এবার বুঝবে চান্দু তিথি কি চিস!! ফকির যদি বানিয়ে না দিই তো আমার নাম ও তিথি নয়।। আমাকে শাস্তি দেওয়া,,,হুম???(মনে মনে তিথি বলল)
.
?
.
.
নিলয় বিকাল পাঁচটায় তিথিকে নিয়ে বেরোবে বলেছিল,,,,তাই তিথি চারটে থেকে ড্রেস পড়ে বসে আছে,,,আর সমানে নিলয়ের কাছে গিয়ে,,,নিলয় কে তাড়া দিচ্ছে।।। তারপর নিলয় তৈরি হয়ে যাবার পর তিথি এবং নিলয় বেরিয়ে গেল শপিংমলের উদ্দেশ্যে। শপিংমলে ঢুকে প্রথমে তিথিকে নিয়ে নিলয় ওম্যান সেকশনে গেল এবং সেখান থেকে তিথির জন্য চারটে মিকি মাউস আঁকা টপ নিল।। তারপর আরো কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার পর শপিং মল থেকে বেরোতে যাবে কি তিথি নিলয়ের হাত ঝপাস করে টেনে ধরলে।। নিলয় তিথির দিকে তাকিয়ে ইশারায় জিজ্ঞাসা করতে ই,,, তিথি নিলয় কে সামনে তাকাতে বলল।নিলয় দেখল সামনে টয়েস সেকশনস আছে। তাই তিথির দিকে ভ্রু উচিয়ে, জিজ্ঞাসা করল-;

-:কী????
-:??? আসলে আমি কোন অচেনা জায়গায় বেশি দিন থাকলে,,,যদি টেডিবিয়ার জড়িয়ে না ঘুমাই তাহলে ভূতের স্বপ্ন দেখি তাও আবার যে সে ভূত নয় একেবারে শাকচুন্নির স্বপ্ন দেখি ভীষণ ভয় করে একটা টেডি কিনে দিন না প্লিজ।??????

-:???? এ আবার কেমন ধরনের স্বপ্ন।। কই এমন কারোর হয় তা তো আগে শুনিনি।।

-: সত্যি বলছি,,,আমার এমন হয়।।আপনি আমাকে বিশ্বাস করেন না।????

-: ওকে…ওকে যাও গিয়ে কিনে নাও।

নিলয়ের বলতে দেরি কিন্তু তিথির যেতে দেরি হল না।।দৌড়ে গিয়ে টয়েস সেকশনে থেকে তিনটে বড় বড় টেডি বিয়ার তুলে নিল।তারপর দুটো টেডি বিয়ারের গলা জড়িয়ে,, উঠে দাঁড়ালো,,,,আর একটা টেডি বিয়ার কে নিলয়ের হাতে ধরিয়ে দিল।। তিথি তো টেডি বিয়ার দুটোকে জড়িয়ে ধরে হাঁটতে,,,হিমশিম খাচ্ছে।।নিলয় তিথির এমন কান্ড দেখে তিথি কে বলল-;

-:একটা টেডি বিয়ার নেবে বলে,,, তিনটা নিলে।। আর এখন দুটোকেই সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।।

-:আসলে তিনটে টেডি বিয়ার তিনদিকে থাকলে,, শাকচুন্নি অ্যাটাক করতে পারবে না।।(একটু ভাব নিয়ে বলল তিথী)

-:তাহলে আর একটা টেডি বিয়ার নিয়ে নিতে পারতে। তাহলে চারদিক থেকে তোমাকে কেউ অ্যাটাক পড়তে পারতো না।।
-: ঠিক বলেছেন তো আপনি,,,আমার না একদমই মাথায় ছিলনা আইডিয়াটা।দাঁড়ান আমি চট করে গিয়ে আরও একটা টেডিবিয়ার নিয়ে আসি।।

-:এই না না না আর আনতে হবে না।। তোমার কাছে এমনিতেও কোন ভূত আসবে না।।আর যদি আসে তবে আমি বলে দেবো যে তোমার কাছে যেন না যায়,, শান্তি।।

-:????ঠিক আছে।। এখন চলুন আমার না খুবববব খিদে পেয়েছে।

-: কি!!!!!একটু আগেই তো বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় চিপস,,বিস্কুট,,কুকিজ,,পেস্ট্রি এসব খেয়ে এলে এরমধ্যে আবার খিদে পেয়ে গেল। তোমার পেট এত ঘনঘন খালি হয় কেন।।

-: সে তো চারটের সময় খেয়ে ছিলাম আর এখন ছয়টা বাজে। আর এই আপনি আমাকে খাবার খোটা দিচ্ছেন।।শুনুন আমি আপনার কাছে গিয়ে বলিনি,,আমাকে আপনার বাড়িতে থাকতে দিন,, খেতে দিন।।উল্টে আপনি আমাকে ভুল করে ধরে এনে নিজের বাড়িতে আটকে রেখেছেন।।আর আপনার ভাগ্য ভালো আমি এখনো আপনার বিরুদ্ধে কোন কঠিন স্টেপ নিইনি।সুতরাং ভেবে চিন্তে কথা বলবেন আমার সাথে।।ইস দ্যাট ক্লিয়ার।।???

-:সত্যিই মাঝে মাঝে আমি ভুলেই যাই যে তোমাকে আমি কিডন্যাপ করেছি নাকি দাওয়াত দিয়ে আমার ঘরে এনেছি।।?????
চলো,,,,খাবে চলো।

.
.
?
.
তিথি রেস্টুরেন্টে নিলয়ের সামনে বসে খাচ্ছে আর বারবার আড়চোখে সামনের টেবিলের লোকটিকে দেখছে। নিলয় ব্যাপারটা খেয়াল করে তিথি কে জিজ্ঞাসা করল-;

-:কি হয়েছে??তুমি খাচ্ছো না কেন আর বারবার ওই দিকে তাকাচ্ছ কেন।।নিজের প্লেটের দিকে তাকাও।।

-:আরে দেখুন না সেই কখন থেকে ওই কালা টাকলু ভোঁদর কম্পানি লোকটা আমার প্লেটের দিকে তাকিয়ে আছে,,,,আর আমার খাবারের দিকে কুনজর দিচ্ছে ব্যাটা,,ঢ্যাড়সের ভর্তা।।আমি সিওর এ খাবার খেলে সাত দিনের জন্য আমাকে বাথরুম কেই বেডরুম হিসেবে মানতে হবে।।

নিলয় আর কিছু বলল না কারণ সে জানে তিথিকে বলে কিছুই হবে না।।তাই সে চুপচাপ খেতে লাগলো,,,,কিছুক্ষণ পর খাওয়ার শেষে নিলয় উঠে বিল পেমেন্ট করতে গেল।।কিন্তু বিল পেমেন্ট করে এসে দেখল নিলয়দের টেবিলের সামনের টেবিলে কিছু মানুষে ভীড় করে দাড়িয়ে আছে।তারপর নিজের টেবিলের দিকে তাকিয়ে দেখল যে তিথি সেখানে নেই।।ব্যাপারটা আন্দাজ করতে পেরে নিলয় এগিয়ে গেল সামনের টেবিলের দিকে,,,গিয়ে দেখল তিথি সেই লোকটির কলার ধরে টানছে আর চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলছে-;

-: তোর বাড়িতে তোর বউ তোকে খেতে দেয় না ভালো করে,,,,যে তুই আমার প্লেটের দিকে তাকিয়ে আছিস,,,,তখন থেকে আমি নোটিশ করছি ব্যাপারটা।।মেরে না টাক ফাটিয়ে দেবো অসভ্য লোক একটা।।বাড়িতে মা বোন নেই,, তাদের খাবারের দিকেও কী‌ এমন ভাবে তাকিয়ে থাকিস,,লুচু লোক কথাকার।।

লোকটি তিথীর কথা শুনে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।।নিলয় দৌড়ে গিয়ে তিথি কে আটকালো আর সবাই দের কাছ থেকে এবং সেই লোকটির কাছ থেকে ক্ষমা চায়ে নিল,,, তারপর তিথি কে জোর করে টেনে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে এলো,,, তারপর তিথিকে জোর করে গাড়িতে তুলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিল।।

তিথি গাড়ির ভেতর চুপ করে বসে আছে,,,, কারণ নিলয় গাড়ি চালাতে চালাতে বারবার তার দিকে রাগী চোখ তাকাচ্ছে।।আর তিথি মনে মনে নিজেকে হাজারটা গালি দিতে লাগলো। হঠাৎ তিথি বাইরের দিকে তাকিয়ে জোরে চিৎকার করে উঠল-:
.
.
.
.
.
[বাকিটা নেক্সট পর্বে]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে