#তোকে_ভালোবেসে_খুব
#পার্ট_৯
writer:#সারা_মেহেক
আয়ান ঘুম ঘুম কণ্ঠে বললো,
—“কি হয়েছে?এতো সকাল সকাল চেঁচাচ্ছিস কেনো?”
মৌ রাগী আয়ানের দিকে রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললো,
—“আগেই বলেছিলাম আমার থেকে দূরে থাকতে।আপনার লুচ্চামিগুলো আমি ভালো করেই চিনি।অভদ্রের বস্তা একটা।”
মৌ এর মুখে নিজের এমন গুণগাণ শুনে একরাশ বিরক্তি আর রাগ নিয়ে আয়ান শোয়া থেকে উঠে বসলো।মৌ এর পিছে থাকা দেয়ালঘড়ির দিকে চোখ পরতেই তার আধ বুজা চোখটা পুরোপুরি খুলে যায়।শুধু যে খুলেই যায় তা নয় চোখগুলো একদম বড় বড় হয়ে যায়।কারন ঘড়িতে ঠিকঠিক সকাল ৭.১৫বাজে।আজ পর্যন্ত আয়ান কখনো এতো সকালে ঘুম থেকে উঠেনি।তার রোজকার নিয়ম হলো সকাল ১০টার পর ঘুম থেকে উঠে সব কাজ করা।আর আজকে সে গুনে গুনে ৩ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে ঘুম থেকে উঠেছে।এটা তার জন্য নিতান্তই একটা আশ্চর্যজনক ব্যাপার।
আয়ানকে ভাবনাতে বিভোর দেখে মৌ আয়ানের সামনে তুড়ি বাজিয়ে বললো,
—“এই যে মিস্টার মিরর…..কি চিন্তা করছেন?? কিভাবে কি মিথ্যা কথা বলবেন সেটা ভাবছেন নাকি?”
আয়ান ভ্রু কুঁচকে মৌ এর দিকে তাকিয়ে বললো,
—“কিসের মিথ্যা কথা বলবো?”
—“এই যে আপনি আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন কেনো সেটার ব্যাপারে।”
আয়ান অবাক হয়ে বললো,
—“আমি তোকে কখন জড়িয়ে ধরলাম।”
—“সেটা তো আপনিই ভালো জানেন।সকাল সকাল ঘুম ভেঙে দেখলাম আপনি আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছেন।”
—“আমি তোকে জড়িয়ে ধরেনি।তুইই হয়তো আমাকে জড়িয়ে ধরেছিস।”
—“আমি কি করে আপনাকে জড়িয়ে ধরবো হুম?আমি তো আমার কোনায় শুয়েছিলাম।”
আয়ান কিছুক্ষন কি একটা ভেবে বললো,
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
—“তুই রাতে যে শীতে ঠকঠক করে কাঁপছিলি,তখনই শিওর আমার কাছে চলে এসেছিলি।তোর যে শীত…বাবাগো বাবা।”
—“শীতের জন্য কম্বল আছে।আপনাকে লাগতো না আমার।”
—“রাতে তোর গা থেকে কম্বল সরে গিয়েছিলো।তখন আমি তোর গায়ে কম্বল দিয়েছিলাম।পরে হয়তো আবারোও সরে গিয়েছিলো আর তুই তখন কম্বল না পেয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলি হয়তো।”
আয়ানের কথা শুনে মৌ ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বললো,
—“সত্যি এমন কিছু হয়েছে নাকি আপনি ঢপ মারছেন?”
আয়ান সামান্য রাগী সুরে বললো,
—“আমার তো আর খেয়েদেয় কাজ নেই,তোর সাথে ঢপ মারবো।”বলে আয়ান বিছানা থেকে উঠে সোজা ওয়াশরুমে চলে গেলো।
মৌ ও একটা ভেঙচি কেটে বিছানা থেকে উঠে বিছানা গুছিয়ে নিলো।এরপর নিজের জামাকাপড় নিয়ে বসে বসে ওয়েট করতে লাগলো কখন আয়ান বের হবে শাওয়ার নিয়ে।
বেশকিছুক্ষন পর আয়ান বের হলে মৌ আর কোনোদিক না তাকিয়ে সোজা ওয়াশরুমে চলে যায়।
আয়ান বেডে বসে বসে মোবাইল চালাচ্ছে। তখনই ওয়াশরুমের দরজা খোলার আওয়াজে সে ওদিকে তাকায়।মাথার লম্বা ভেজা চুলগুলো তোয়ালে দিয়ে বেশ আলতো হাতে মুছে মুছে মৌ বেড়িয়ে আসছে ওয়াশরুম থেকে।গায়ে কোনোমতে জড়ানো শাড়ী।মুখে বিন্দু বিন্দু জমে থাকা পানি।মৌ এর এমন লুক্কায়িত রূপটা দেখে আয়ান পুরো স্তব্ধ হয়ে যায়।যে মৌ এর প্রতিটা কাজ,কথা আয়ানের বিরক্তির কারন হতো,আজকে সেই মৌ এরই মাথার ভেজা চুল মুছার কাজটাকে অতি সুন্দর লাগছে তার কাছে।কি সুন্দর করে আস্তে আস্তে যত্ন করে মৌ তার লম্বা চুলগুলো মুছছে, সেটা গভীর মনযোগ সহকারে দেখছে আয়ান।
মৌ চুল মুছে গিয়ে তোয়ালেটা বারান্দায় ছাড়িয়ে দিয়ে আসলো।আয়ান মৌ এর এ কাজটাও গভীর মনযোগ সহকারে দেখলো।এতোই মনযোগ দিয়েছিলো সে, যে কখন মৌ তার সামনে এসে দাঁড়ীয়েছে তা চোখেও ধরেনি তার।মৌ আয়ানের এমন চাহনিতে যে বেশ লজ্জা পেলো তা তার গালে উদয়মান লাল আভাগুলো জানান দিলো।এমন পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার জন্য সে আয়ানের কাঁধ ধরে সামান্য ঝাঁকি দিয়ে বললো,
—“আপনি বাইরে যান।আমি শাড়ী পরবো।”
মৌ এর স্পর্শে আয়ানের হুঁশ ফিরে এলো।হঠাৎই নিজের কর্মকান্ড গুলো চিন্তা করে বেশ অপ্রস্তুত হয়ে পরলো সে।তাই তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে নেমে সোজা রুম থেকে বের হতে গেলো।কিন্তু দরজা খুলার আগেই মৌ তাকে ডাক দিয়ে বললো,
—“বাইরে না, বারান্দায়।এসময়ে রুম থেকে বের হলে সবাইকে কারন বলতে হবে।আর আমি জানি আমার শাড়ী পরার কথা আপনি বলবেন।এটা শুনলে যে কেউ রিয়েক্ট করবে।তাই আপনি বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ান। ”
মৌ এর কথার কোনো জবাব না দিয়ে আয়ান সোজা বারান্দায় চলে গেলো।সে যেনো এখন একটা রোবট হয়ে গিয়েছে।মৌ তাকে যা যা বলছে সে কোনো রকম রিয়েক্ট করা ছাড়াই তা শুনে যাচ্ছে।
শাড়ী পরা শেষে মৌ আয়ানকে ভিতরে আসতে বলে।আয়ান ভিতরে এসেই মৌ কে দেখে আরেকদফা অবাক হলো।আয়ানের কাছে তার দেখা সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে মনে হচ্ছে মৌ কে।মৌ এর এমন শাড়ী পরা,ভেজা চুল,স্নিগ্ধ শীতল মুখখানা আয়ান কখনো আগে দেখেনি।আজকেই প্রথম দেখেছে, তবে শেষবার নয়।শাড়ীতে যে মৌ কে কোনো এক জাহানের পরি লাগছে তা আয়ানের মনটা ঢোল পিটিয়ে বলে দিচ্ছে।হালকা গোলাপী রংয়ের শাড়ীটা মৌ এর গায়ের রংয়ের সাথে প্রায় মিশে যাচ্ছে।
মৌ এর এ রূপটা যে আয়ানকে ধীরে ধীরে মৌ এর প্রেমে ফেলে দিচ্ছে তা বেশ বুঝতে পারছে সে।নিজেই নিজের এ অনুভুতির উপর বিস্মিত হচ্ছে।বিয়ের একটা দিনও হয়নি অথচ সে এখনই মৌ এর প্রেমে পরতে শুরু করেছে।কিন্তু কি করে?হয়তো মৌ এর এমন অপরূপ রূপ দেখে।হয়তোবা বিয়ে নামক পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে।এসব ভাবতে ভাবতে মৌ আয়ানকে বললো,
—“এভাবে হ্যাবলার মতো দাঁড়ীয়ে আছেন কেনো?নিচে কি যাবেন আদৌ?”
আয়ান কিছু না বলে সোজা রুম থেকে বের হয়ে চলে গেলো।মৌ খানিকটা বিস্মিত হয়ে আয়ানের কান্ডগুলো দেখলো। আয়ানলে এমন কথা বলার পর সে আয়ানের কাছ থেকে কিছুটা রিয়েক্ট আশা করেছিলো।কিন্তু আয়ান যে কোনোপ্রকার রিয়েক্ট না করে চলে যাবে তা সে ভাবেনি।ব্যাপারটা নিয়ে আর ঘাটাঘাটি না করে মৌ ও রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো।
পুরো বাড়ীতে মেহমান গিজগিজ করছে।মৌ নিচে নেমে এলে অহনা একে একে সবার সাথে মৌ কে পরিচয় করিয়ে দেয়।সবার সাথেই হাসিমুখে সালাম নিবেদন করে সে।মৌ এর আচার ব্যবহার সবার কাছেই ভালো লাগে।
ডাইনিং এ খাওয়া দাওয়া শেষে মৌ আর অহনা মিলে সব গুছাতে থাকে আর গল্প করতে থাকে।তখন আয়ান নিচে নেমে এসে এককাপ চা চায় জাহানারা খালা কে উদ্দেশ্যে করে।ডাইনিং এসেই সে চা চেয়েছে।তার পা টা আর রান্নাঘর পর্যন্ত এগোয়নি।আয়ান চা এর বায়না দিয়ে ড্রইংরুমে এসে বসলো।সেখানে তার কাজিনরা বসে আড্ডা দিচ্ছে। সেও আড্ডায় শামিল হলো।ড্রইংরুম থেকে ডাইনিং দেখা যায়।
আয়ান আড্ডা দিচ্ছে,আর ফাঁকে ফাঁকে মৌ কে দেখছে।এ পুরো বিষয়টা ঘটছে এক প্রকার মনের বিরুদ্ধে।না চাইতেও আয়ানের বেহায়া চোখজোড়া মৌ এর দিকেই ঘুরেফিরে চলে যাচ্ছে।মৌ যে অহনার সাথে খোশ গল্পে মেতে উঠেছে,এটা আয়ান বেশ উপভোগ করছে।আর করবেই না বা কেনো।মৌ এর হাসি,কথা বলার সময় হাতজোড়া এদিক ওদিক ঘুরানো সবই আয়ানের মনটাকে উথালপাতাল করে দিচ্ছে।আচ্ছা? হুট করে সে মৌ এর এতো সৌন্দর্য দেখছে কেনো?মৌ এর কাজগুলো এতো ভালো লাগছে কেনো তার কাছে।আচ্ছা? এগুলো আগে থেকেই মনের গভীর খাদে ছিলো?নাকি গতকাল থেকে এ অনুভুতি গুলো জন্ম নিতে শুরু করেছে?
এমন অনুভুতিগুলো কি একদিনে জন্মানো সম্ভব আদৌ?নাকি এসব এক প্রকার মোহ মায়া।যেটাতে সময় যেতে যেতে ঘটা পরে যায়।আয়ান জানে না এসব অনুভুতি কেনো তার মনে এসে কড়া নাড়ছে।অনুভুতিগুলো বিচারবিশ্লেষণ করলে আয়ানের মনে এটাই আসছে যে, মৌ কে পছন্দ করার এ ব্যাপারটা অনেক আগে থেকেই তার মনের দরজায় কড়া নাড়ছিলো।কোনো এক কারনে মৌ এর প্রতি রাগ আর বিরক্তির কারনে সে অনুভুতিটা তার মনের ঘরে প্রবেশ করতে পারেনি।তবে এখন সময় সুযোগ বুঝে ভালোবাসা,ভালোলাগার এ অনুভুতিটা আয়ানের মনের ঘরে প্রবেশ করে জায়গা নিতে শুরু করেছে।সম্পূর্ণই হয়েছে আয়ানের অর্ধ ইচ্ছা আর অর্ধ অনিচ্ছার জন্য।
আয়ানকে মৌ এর দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে আয়ানের চাচাতো ভাই নেহাল তাকে চিমটি কেটে বললো,
—“ভাই,চোখ দুটো একটু আমাদের দিকে দে।এখানে আড্ডায় বসে আছিস,অথচ মনটা যে তোর ভাবির কাছেই পরে আছে তা বুঝতে পারলাম।”
নেহালের কথার সাথে বাকি সবাইও তাল মেলালো।আয়ান সামান্য রাগী দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো সবার দিকে।আয়ানের এমন দৃষ্টি উপেক্ষা করে নেহাল আবারো বললো,
—“ভাই…..এতো চোখ গরম করতে হবে না।রাতের পরশ যদি এতোই মিস করিস তাহলে ভাবিকে রুমে নিয়ে যা।” বলে সে সহ সবাই আবারো হাসিতে মত্ত হয়ে উঠলো।
নেহালের এমন কটু ধরনের কথা শুনে আয়ান সবার উদ্দেশ্যে একটা গালি দিয়ে রুমে চলে গেলো।
এদিকে মৌ রান্নাঘরে গেলে তার হাতে চায়ের কাপ ধরিয়ে দেয় আয়ানের মা।মৌ চায়ের কাপ হাতে নিয়ে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে আয়ানের মায়ের দিকে তাকিয়ে বললো,
—“আমার হাতে চা কেনো দিলে আন্টি?আমি তো চা খাবো না।”
আয়ান যে চায়ের বায়না দিয়ে গিয়েছে এটা মৌ এর খেয়ালই ছিলো না।তাই সে প্রশ্নটা করে।
মৌ এর প্রশ্ন শুনে আয়ানের মা কাজ করতে করতে বললো,
—“আয়ানের জন্য।”
মৌ মুচকি হেসে বললো,
—“ওহ আচ্ছা, আয়ান ভাইয়ার জন্য চা।….আমি দিয়ে আসছি তাহলে।” বলে মৌ রান্নাঘর থেকে বের হতে নিলে আয়ানের খালা পিছন থেকে মৌ কে ডাক দিলো।মৌ ও খালার ডাকে পিছনে ফিরে তাকালো।
আয়ানের খালা এবার খোটা দেওয়ার সুরে বললেন,
—“মুখের হাসি তো যাই না দেখছি।বিয়ের পর কাকে কি বলে সম্বোধন করতে হয় এটা বোধদয় তোমার পরিবার শেখায়নি।”
আয়ানের খালার কথা শুনে মৌ এর মুখের হাসিটা মূহুর্তেই চলে গিয়ে বিষণ্ণতা নেমে এলো।সে মাথা নিচু করে দাঁড়ীয়ে রইলো।
আয়ানের খালা আবারো বললেন,
—“এটা কোন ধরনের বেয়াদবি শুনি হুম?স্বামী কে ভাই বলে ডাকে কোন বউ হুম?এতোটুকু আদব শিখোনি?আবার শ্বাশুড়ীকে আন্টি বলে ডাকো!!”
মৌ মাথা নিচু করেই জবাব দিলো,
—“আসলে অভ্যাস হয়ে গিয়েছে তো তাই।”
আয়ানের খালা রাগী সুরে বললেন,
—“বিয়ে হয়েছে বুঝেছো?বিয়ের আগে আর পরে মেয়ের জীবন একদম আকাশ পাতাল হয়ে যায়।সেখানো রোজকার এসব অভ্যাস তো অনেক আগেই বাদ দিতে হয়।অথচ তুমি এখনো!!! ”
আয়ানের মা বলে উঠলেন,
—“আহা আপা।।।ছোটো মানুষ,সামান্য ভুলচুক হয়ে যেতেই পারে।ধীরে ধীরে সব শিখে যাবে।”
আয়ানের খালা চোখ রাঙিয়ে বললেন,
—“তুই চুপ থাক।এমন লাই দিয়ে দিয়ে বউকে মাথায় তুলতে নেই।এমনটা করলে একদিন এরা মাথায় নাচা শুরু করে দেয়।তখন কিছু করার থাকে না।এদেরকে টাইট দিয়ে রাখতে হয়।আর তোর বউমাকে তুই শিখাবি কাকে কি বলে সম্বোধন করতে হয়।আরে আমি বলি,শ্বশুড় বাড়ী থেকে শিখবে কেনো.বাপের বাড়ী কি নেই এর জন্য?”
আয়ানের খালার বলা প্রতিটা কথা কাঁটার মতো বিঁধছে মৌ এর মনে।সামান্য এক ভাইয়া আর আন্টি বলায় এতো কাহিনি করে ফেলবে কে জানতো?এজন্যই হয়তো শ্বাশুড়ীকে আপন ভাবতে নেই।সবার ধারনা মেয়েরা সব বাপের বাড়ী থেকে শিখে আসবে।কিন্তু এটা কেউ বুঝতে পারে না,একটা মেয়ে নিজ বাড়ী ছেড়ে আসবে, এটার কষ্ট তাকে সইতে হবে।এসবের মাঝে কোন মনমানসিকতা নিয়ে সে কাজ শিখবে?
আয়ানের খালাকে আর কিছু বলতে না দিয়ে আয়ানের মা মৌ কে চলে যেতে বলেন।মৌ ও কষ্টে কান্নায় রান্নাঘর ত্যাগ করে রুমের উদ্দেশ্যে পা বাড়ায়।
#চলবে