তৃণকান্তা
পর্ব : ১
– নিশি রাত্রি
– তোমাকে তিনবেলা করে মার দেয়া যেতো, তবেই তুমি শোধরাতে মাইশা।
-তিনবেলা করে কেউ মার দেয়না। খাবার দেয় খাবার। তিনবেলা না খেলে আমার মতো গুলুমুলু হতে পারবেনা। বুঝলে?
– বুদ্ধিমান লোকেরা বউদের উপর হাত তুলে না। যাস্ট একটু বুদ্ধি খাটালেই হয়ে যায়। যারা একটা চুমুতেই…!
তূর্যের কথা শুনে মাইশার এমন অবস্থা। যেনো তূর্য তাকে চুমু খেতে যাচ্ছে। ছিটকে দুরে সরে গিয়ে চেঁচিয়ে বললো,
– এই তোমরা ছেলেরা এতো চরিত্রহীন কেনো বলোতো? সারাক্ষণ শুধু এইসব বাজে বাজে কথা।
শব্দ করে হেসে উঠলো তূর্য।
ঘুম থেকে উঠেই অতীতের স্মৃতিতে ডুবেছিলো মাইশা। এমন সুখকর স্মৃতি কম করে হলেও হাজারেরও উর্ধ্বে আছে তাদের দুজনের। তূর্যের হাসিটা মনে হতেই কান্নাগুলো যেনো বুক চিরে রক্তের মতো ফিনকি দিয়ে বেরিয়ে আসতে চাইছে। চোখের সামনে ভাসছে বাবা মায়ের আলোচনা। বারবার প্রতিধ্বনিত হচ্ছে,
‘ আহা রেহেনা! তুমি বুঝতে পারছোনা।
ছেলেটা নিজের বাবার ব্যবসা দেখছে। পাশাপাশি মাস্টার্স এ পড়ছে। শিক্ষায় ও আছে আবার টাকা পয়সাও আছে। বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। পরিবার বলতে মা বাবা আর ছেলেটা। বোন টোনের ঝামেলা নাই। অসুস্থ মায়ের জন্য ছেলেকে বিয়ে করাতে চাইছে। ‘
মাইশার কাছে এলোমেলো লাগছে সব। আজকাল সব কিছুই অসহ্য লাগে। না পড়তে ভালোলাগে, না খেতে , আর না কোথাও যেতে। মা কতো করে বললো,
‘ তোর ছোটমামার বাসা থেকে বেরিয়ে আয়। ‘
কিন্তু না তার যেতে ইচ্ছে করছেনা।
কবিগন বলেছিলেন,
‘ মামার বাড়ি রসের হাড়ি।’
কিন্তু আলোর মনেহয়,
‘ মামার বাড়ি বিষের হাড়ি।’
যেখানে গেলেই বিয়ের জন্য উঠেপড়ে লাগে মানুষ। রুটিন করে তিনবেলা পেছন লাগে সবাই। সকাল সন্ধ্যায় বিয়ের কথা তুলতেই হবে তাদের। যেমন মা তেমন তার চৌদ্দগোষ্টি। মামা, মামি, নানু আশ্চর্য মামাতো বোনগুলাও! বিরক্তিকর। অনেকটা বিরক্তিকর ভাব নিয়েই মোবাইলটা হাতে নেয় মাইশা। কল দেয় তূর্যকে।
আশা মাত্রই টেনে হিঁচড়ে ঘুম থেকে ডেকে তুলেছে তূর্যকে। সপ্তাহের বাকি ছয়টা দিন কি সুন্দর সকাল সাতটার মধ্যেই ঘুম থেকে উঠে গোসল করে একদম খান সাহেব হয়ে যায়।আর শুক্রবার? শুক্রবার এলেই যেনো পুরো রাজ্যের ঘুম তার চোখে নেমে আসে। কিছুতেই ঘুম থেকে উঠানো যায়না এই ছেলেকে। কানের কাছে ঘন্টার পর ঘন্টা ঘ্যানরপ্যানর করাই লাগে। আজও তার থেকে ব্যতিক্রম কিছু হয়নি। বিছানায় বসে ঘুম ঘুম চোখে অনেকটা বিরক্তি নিয়েই মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে তূর্য। চোখে মুখে বিরক্তির ছাপ একদম ফুটে উঠেছে।তা দেখে হাসছেন আশা। ছেলের এমন অবস্থা দেখে আর হাসি আটকে রাখতে পারলেন না।হাসতে হাসতে বললো,
– সেই কখন থেকে ফোন দিচ্ছে মেয়েটা। ধর। নিশ্চয় কোনো দরকার আছে।
– মা আমি যা বুঝিনা। তুমি আমার মা নাকি মাইশার? ওর জন্য এতো দরদ লাগে কেনো তোমার?
– কারন জীবনে তোর এই একটা কাজই আমার পছন্দ হয়েছে। যা খুব ভালোভাবে করেছিস। কি মিষ্টি দেখতে। মেয়েটার কথাগুলোও ভালো লাগে।দেখলেই কিরকম জড়িয়ে ধরে।গন্ধ শুনলে কেমন যেনো আপন আপন লাগে।
– হ্যাঁ। সারা দুনিয়ার মানুষই তোমার আপন। দেখি দাও মোবাইল দাও।
মোবাইল হাতে নিতেই দেখলো স্ক্রিনে মাইশার আটটা মিসড কল ভেসে আছে। ব্যাক করতে যাবে তার মধ্যেই আবারো কল দেয় মাইশা। রিসিভ করতেই বললো,
– কি নবাব সাহেব ঘুম ভেঙেছে আপনার?
– হুম। গুড মর্নিং।
– মর্নিং। বেরিয়ে এসো। কথা আছে।
– আসতেই হবে?
– নাহলে তো ডাকতাম না তূর্য। তুমি খুব ভালো…!
– ওকে ওকে আসছি বেবি। চেঁচিয়ো না। আসছি।
ওপাশ থেকে কিছু শুনার আগেই কল কেটে দেয় তূর্য। মাইশার কন্ঠ কেমন অস্বাভাবিক লাগছে। কন্ঠ শুনেই তূর্য আঁচ করতে পেরেছে কিছু একটা হয়েছে। তাই কথা না বাড়িয়ে দেখা করাই শ্রেয় মনেহলো তার কাছে।
সকাল নয়টা বাজে। তূর্যের সাথে কথা বলেই মাইশা পা বাড়ায় ওয়াশরুমে। মাইশা আমিন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমিন সাহেব আর গৃহিণী রাহেলা আমিনের তৃতীয় কন্যা। অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি বিষয় নিয়েই পড়ছে। বড় দুই মেয়ে মেঘা আর বৃষ্টি। দুজন-ই বিয়ে করে শ্বশুড়বাড়িতে আছে। মেঘা বড়। প্রায় চারবছর চলছে ওদের বিবাহিতো জীবনের। স্বামী আশরাফ সরকার। আশরাফ প্রবাস জীবন অতিবাহিতো করছেন প্রায় দশ বছর।মাঝখানে ছয় মাসের ছুটিতে এসে বিয়ে করে সেই যে গেলো এখনো আসেনি। বৃষ্টি ছোট। দুইবছর হলো তার বিয়ে হয়েছে। স্বামী মহসিন সরকার। একটা প্রাইভেট ব্যাংকে ম্যানেজার পোষ্টে আছেন। এই তিন মেয়েকে নিয়েই আমিন সাহেবের সুখের সংসার। দীর্ঘ বাইশ বছর প্রবাস জীবন কাটিয়ে এখন নিজেই একটা ব্যবসা করছেন।
মাইশা নিজের রুম থেকে বেরিয়ে শব্দ করে হেঁটে হেঁটে ডায়নিং রুমে আসছিলো। মেয়ের দিকে বেশ শক্ত নজরে তাকিয়ে আছেন রাহেলা।দিন কি দিন মেয়েটা বেয়াদবের চরম শিখায় পৌঁছে যাচ্ছে। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। যার জন্যই মাত্রাতিরিক্ত শাষন করতে হচ্ছে।আর এই শাষন করতে গিয়েই মা মেয়্রর সম্পর্কটা অনেকটা দা কুমড়োর মতো হয়ে গেছে। মাইশা যেনো আজকাল তাকে সহ্যই করতে পারছেনা। মাইশা টেবিলের কাছে এগিয়ে আসতেই রাহেলা কঠিন গলায় বললেন,
– এই তোকে না বলেছি এভাবে শব্দ করে হাঁটবি না। হাঁটলে আবার শব্দ হয় নাকি? আমি একা সারাদিন ঘরে হাঁটলে তো একটা কাক পক্ষীও টের পাবেনা ঘরের ভেতর যে আমি আছি।
– মা চোরেরা এমন নিঃশব্দে হাঁটে। আমি কোনো চোর নই যে চুপি চুপি হাটবো।আমার অভ্যাস হয়ে গেছে। দাও। নাস্তা দাও।
– দিন দিন যা বাড় বাড়ছো তুমি। তোমার ভবিষ্যৎ যে কি আল্লাহই ভালো জানে। যেমন বাপ তেমন তার মাইয়া।
মাইশা কিছুটা বিরক্তি নিয়েই চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়লো। এই যে টেপ রেকোর্ডার শুরু হলো যতোক্ষণ মাইশাকে দেখবে ততোক্ষণ চলতেই থাকবে। চেয়ার টানার শব্দ হতেই পিছু ফিরে তাকালেন রাহেলা।মেয়েকে চলে যেতে দেখে ,
– কি হলো? না খেয়ে চলে যাচ্ছিস কেনো?
– খাওয়ার মুড নাই।
– খাওয়ার আবার মুডও থাকা লাগে? যতো নাটক খালি তোর কাছেই দেখা যায়। আর আজ শুক্রবার। কোথায় যাচ্ছিস তুই?
– তুম্পাদের বাসায় যাবো মা।
– দুপুর দুইটার আগে বাসায় আসবি কথাটা যেনো মনে থাকে। বলে রাগে গিজগজ করতে করতে বড় বড় পা ফেলে রান্নাঘরে চলে গেলেন রাহেলা।
বাসার গেইট পেরিয়ে মিনিট পাঁচের রাস্তা পায়ে হেটে আসতেই মাইশা দেখলো রাস্তার ওপারে বাইকে ধাক্কা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তূর্য। বারবার ঘড়ি দেখছে আর তার আসার পথে ফিরে ফিরে তাকাচ্ছে। যখনি মাইশাকে দেখলো সেই বিখ্যাত ঠোঁট বাঁকানো হাসি। মাইশা রাস্তা পেরিয়ে আসতে চাইলে তূর্য হাতের ইশারায় বলে,
তুমি দাঁড়াও আমি আসছি।
রাস্তা পেরিয়ে যেতেই বাইকের পেছনের সিটে চেপে বসে মাইশা। তূর্যের ঘাড়ে হাত রেখে আহ্লাদী কন্ঠে বললো,
– কোথায় যাচ্ছি সাহেব?
– যেখানে দুচোখ যায়।
– দুচোখ তো আপাততো তোমাতেই আটকে আছে মশাই। তবে কি তোমাতেই বাস!
বলে মিটমিটিয়ে হাসছে মাইশা। সামনের লুকিংগ্লাসে মাইসার হাসি দেখে তূর্য নিজেও হেসে উঠলো। বাইক চলছে আপন গতিতে। আশেপাশের গাছগাছালীকে পেছনে ফেলে দিয়ে সামনে দিকে এগিয়ে চলছে দুজন। আশেপাশে যতোদুর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ।জায়গাটা শহর ছেড়ে বাহিরের দিকে। প্রায় গ্রাম।রাস্তার দু পাশে সাড়ি সাড়ি তাল আর সুপারি গাছ। তার মাঝখান দিয়েই গ্রামের মেঠোপথ। আর দুপাশে চাষকরা ফসলের ক্ষেত। চাষীরা বড় টুপির মতো মাথায় কি একটা পরে ক্লান্তিহীন কাজ করে চলছে। কেমন ঝিরিঝিরি বাতাস। শরীর মন দুটোই শীতল করে দেয়।এতো সুন্দর একটা পরিবেশে থেকেও মন ভালো নেই মাইশার। তূর্যকে যতোই দেখছে ততোই মনে হচ্ছে,
তবে কি তূর্য তার হবেনা?
বাইকটা রাস্তার পাশে রেখে গাছের ছায়ায় ঘাসের উপর বসে পরে তূর্য। পাশেই দাঁড়িয়ে আছে মাইশা। নিজেকে যতোটা হাসিখুশি দেখাতে চাইছে কিন্তু ভেতর থেকে ততোটাই ভেঙে পড়ছে মাইশা।মাইশার দিকে তাকিয়ে হাত ধরে টেনে পাশে বসিয়ে বললো,
– কি হয়েছে আমার টিয়াপাখিটার?
নিশ্চুপ মাইশা। প্রায় অনেকক্ষণ যাবৎ চুপ থেকে মাথা ঘুরিয়ে তূর্যের দিকে ফিরে তাকায়। মাইশার এমন চাহনিতে অনেকটা ভয় পেয়ে যায় তূর্য।অনেকটা ছোট গলায় বলে,
– কি হয়েছে মাইশা? বাসায় কোনো ঝামেলা হয়েছে?
এবার তূর্যের দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ছেড়ে দেয় মাইশা। মূহুর্তের মধ্যেই চোখের সামনে ভেসে উঠে বাবা মায়ের রাতের আলোচনা।
রাতে টিভিতে হিন্দি মুভি দেখতে গিয়ে মনেহলো এককাপ কফি হলে মন্দ হতোনা। যেই ভাবা সেই কাজ।সাথে সাথেই কফি বানাতে কিচেনে দৌঁড়ায় মাইশা।কফি নিয়ে ফিরতেই বাবার কথা শুনে দাঁড়িয়ে যায় মাইশা।
– আহা তুমি বুঝতে পারছোনা রেহেনা।
ছেলেটা নিজের বাবার ব্যবসা দেখছে। পাশাপাশি মাস্টার্স এ পড়ছে। শিক্ষায় ও আছে আবার টাকা পয়সাও আছে। তারওপর আবার বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। পরিবার বলতে মা বাবা আর ছেলেটা। বোন টোনের ঝামেলা নাই। অসুস্থ মায়ের জন্যই ছেলেকে বিয়ে করাতে চাইছে।
– তোমার মেয়ে যেই ধানী লঙ্কা। এই মহিলায় হায়াত যদি থাকে দুই বছর। তোমার মেয়ের সাথে সংসার করে সে দুইমাসে কবরে যাবে।বুঝলে?
– আরে সংসারের চাপ পরলে এমনিই ঠিক হয়ে যাবে।এমন রাগ আর থাকবেনা।
রহমান ভাই আমাকে মাইশার কথা বললো।
ওনারা কাল একবার মাইশাকে দেখতে চায়।
– কালই?
– হ্যাঁ।ছেলের বাবা নাকি খুব তাড়াতাড়িই ছেলেকে বিয়ে করাতে চাইছে।
– তুমি যা ভালো বুঝো।আমি ভাই এসবে নাই।
মাইশার চোখের পানি ছেড়ে ছেড়ে সব খুলে বললো তূর্যকে। মাইশার চোখে পানি দেখে বুকের ভেতরটা কেমন মোচড় দিয়ে উঠলো তূর্যের। মাইশা খুব কঠিন মনের মানুষ। খুব সহজে কষ্টরা তাকে স্পর্শ করতে পারেনা। কান্না তো দুরের কথা। মাইশার হাত দুটো দু’হাতের মুঠোয় নিয়ে বললো,
– কিছু না বললে বুঝবো কিভাবে মাইশা?
– বাসায় বিয়ের কথা আলোচনা হচ্ছে তূর্য।আজকে কোথা থেকে যেনো লোক আসবে আমাকে দেখতে।
বলেই এবার ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে মাইশা।
এবার হেসে দিলো তূর্য। কিন্তু মাইশার কান্না দেখে আবার নিজেকে সামলে নিলো। তবে হাসিটা আঁড়াল করতে পারলোনা।
– তুমিতো আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিলে।এমন সাধারণ বিষয় নিয়ে কেউ এতোটা টেনশন করে? আরে দেখতে আসবে মাত্র। বিয়েতো হয়ে যাচ্ছেনা।
– তুমি বড়াপু আর ছোটাপুকে দেখোনি? দেখতে এসেই আক্দ হয়েছিলো ওদের। ভূলে গেছো?
– নারে পাগলি ভুলি নি। তুমি টেনশন নিওনা আমি দেখছি।
– আমাদের ফ্যামিলিতে এমনই হয়। আমার ভয় লাগছে অনেক।
– তুমি কি চাইছো? আমি ফ্যামিলি নিয়ে তোমার বাসায় যাই?
– আমি কিচ্ছু জানিনা।কি করবে সেটা তুমি জানো।আমি শুধু এটাই জানি বিয়ে আমি তোমাকেই করবো। অন্যকাউকে যদি করতে হয় তোকে খুন করে ফেলবো আমি।
– ওকে ওকে। রিলেক্স। মাথা ঠান্ডা করো।তোমাকে এইসব নিয়ে ভাবতে হবে না আমি দেখছি। তোমার এমনিতেই যা রাগ। দেখা যাবে সব কিছু ঠিক সামলে নিলেও তোমার রাগের জন্য সব বিগরে যাবে। রিলেক্স।খেয়েছো সকালে?
– না। গলা দিয়ে খাবার নামেনি।
– চলো খাই।
– না। আমার খেতে ইচ্ছে করছেনা।
– তাহলে বাসায় যাও।আমি দেখছি কি করা যায়।
– এখন বাসায়? লোক আসবে তূর্য।তুমি ভুলে গেছো?
– তো আমি কি তোমাকে এখানে ছেড়ে যাবো? অনেকটা রেগেই কথাটা বললো তূর্য। কাউকে দেখতে আসলেই তো আর বিয়ে হয়ে যাচ্ছেনা।
কোনো জবাব না দিয়ে কিছুক্ষণ তূর্যের চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো মাইশা। মাইশার চোখ দুটো টলমল করছে। তূর্য কিছু বলার আগেই মাইশা উঠে চলে গেলো। পিছুফিরে না তাকিয়েই হাঁটতে হাঁটতে অনেকটা দুরে চলে গেলো। মাইশার চলে যাবার পথে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে তূর্য নিজেও উঠে পড়লো।
একটা খোলামেলা রেস্টুরেন্টে প্রায় আধঘন্টা যাবৎ বসে আছে তূর্য আর তিহান। তিহান খুব নিখুঁত ভাবে লক্ষ করছে তূর্যকে। অচেনা মানুষটা হঠাৎ করেই কেনো তাকে ডেকে পাঠালো?আসার পর থেকে তূর্য মোবাইলে কাকে যেনো কল করছে কিন্তু রিসিভ করছেনা।তূর্যকে এমন দিশেহারা দেখে তিহান বললো,
– গার্লফ্রেন্ড?
– না আপনার হবু বউ।
– এ্যা…!
– হ্যাঁ।
চলবে,,,,