তুমি নামক সপ্তর্ষি মন্ডলের প্রেমে পর্ব – ২৪

0
1319

#তুমি নামক সপ্তর্ষি মন্ডলের প্রেমে💖
#মিফতা তিমু
#পর্ব-২৪

কলেজে পৌঁছতে ঠিকই আমাদের পনেরো মিনিট লাগলো।কলেজে পৌঁছে গাড়ি থেকে নামতেই সকলের চোখ আমার দিকে পড়লো।আমি ডাক্তার সাহেবের উপর রাগ করে ডাক্তার সাহেবের সঙ্গে একটাও কথা না বলেই ধুপধাপ পায়ে এগিয়ে গেলাম।ডাক্তার সাহেব তাড়াহুড়ো করে গাড়ি পার্ক করে আমার পিছন পিছন ছুটে এলেন।

ডাক্তার সাহেব কলেজে ঢুকতেই একেকটা মেয়ে উনাকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে যেন এরকম সুন্দর ছেলে আগে কখনো দেখেনি।সবাই গোলগোল চোখে উনার দিকে তাকিয়ে আছে।এই জন্যই আমি উনার উপর রাগ করেছি।আমি ছাড়া অন্য মেয়ে কেন উনাকে গোলগোল চোখে দেখবে ?

‘ লেডি হিটলার কোথায় যাচ্ছেন? আমার জন্য দাড়ান…আরে এত রাগ কিসের?এত রাগ শরীরের জন্য ভালো না।একটু অপেক্ষা করুন আমার জন্য। ‘ আমার পিছন দৌড়তে দৌড়তে কথাগুলো বলেছেন ডাক্তার সাহেব।

উনাকে আমার পিছনে দৌড়তে দেখে সকলে উনার দিকে তাকিয়ে আছে আর আমি ঘাড় ঘুরিয়ে উনার দিকে কটমট দৃষ্টি দিলাম।উনি আমার ক্রোধান্বিত দৃষ্টি দেখে মাথা চুলকে অপ্রস্তুত হাসলেন।আমি উনাকে পাত্তা না দিয়ে কলেজ ক্যান্টিনে চলে এলাম। কোনার একটা সিটে গিয়ে বসলাম তারপর ব্যাগ থেকে টিফিন বক্স নামালাম।আমাকে বসতে দেখে ডাক্তার সাহেবও আমার মুখোমুখি বসলেন।

আমি বক্স থেকে দুই হাতে দুটো স্যান্ডউইচ নিয়ে বাটিটা ডাক্তার সাহেবের দিকে ঠেলে দিলাম কিন্তু কিছু বললাম না।আমার কাজেই উনি বুঝে গেলেন আমি উনাকে ওগুলো খেতে দিয়েছি।আমি স্যান্ডউইচ খাওয়াতে মনযোগ দিলাম আর ডাক্তার সাহেব স্যান্ডউইচে একটা কামড় বসিয়ে বললেন,
তাহরীম: এটা নিশ্চই মা বানিয়েছে?
আমি কিছুই বললাম না।আমাকে চুপ থাকতে দেখে উনি আবারও বললেন,
তাহরীম: আমি জানতাম এটা মা বানিয়েছে।মা তাহলে তার ছেলের বউয়ের জন্য খাবার দিয়ে দিয়েছিল।আর তার ছেলের বউ মায়ের ছেলের সঙ্গেই সেটা শেয়ার করে নিল।আমার বউ আমায় কত ভালোবাসে যে তার খাবার শেয়ার করলো আমার সঙ্গে।

ডাক্তার সাহেবের কথা শুনে আমাদের আশেপাশে থাকা সব স্টুডেন্টগুলো উনার দিকে চোখ দিলো।সবাই কানখারা করে রেখেছে ডাক্তার সাহেবের কথা শোনার জন্য।আমি দাতে দাট চেপে বললাম,
আফরিন: মা দুজনের জন্যই বানিয়েছিল আর মায়ের ছেলের বউ মায়ের ছেলেকে ভালোবাসে না। আর মায়ের ছেলেও মায়ের ছেলের বউকে ভালোবাসে না।ভালোবাসলে কলেজে এত সব মেয়েদের দেখাতে ক্যাজুয়াল পরে স্টাইল করে আসতো না।আজ থেকে মায়ের ছেলের ক্যাজুয়াল পরা বন্ধ।

আমার কথা শুনে ডাক্তার সাহেব আমার দিকে নির্লিপ্ত চাহনি দিয়ে বললেন,
তাহরীম: আমি তো ভেবেছিলাম এগুলো আরও কিনবো।একসময় যখন জুনিয়র ডক্টর ছিলাম তখন পড়তাম।
আফরিন: যদি পড়েছেন তাহলে আজ ঘরে ঢুকতে পারবেন না…কথাগুলো আমি উনার দিকে এগিয়ে গিয়ে উনার থুতনি চেপে ধরে আস্তে করে বললাম যাতে কেউ শুনতে না পারে।

‘ আহ হা আজকাল তো দেখছি কলেজ ক্যান্টিনেও রোম্যান্স চলছে।এই দুঃখ আমরা কই রাখি?এখনো বিয়ে করার সুযোগই পেলাম না আর এরা কলেজ ক্যান্টিনে রোম্যান্স করছে। ‘

পরিচিত কণ্ঠস্বর পেতেই আমি সামনের দিকে তাকালাম। আফরা, আর্যাল, ফারহাজ, ফারাহ, ইরহান ওরা দাড়িয়ে আছে।কথাটা আফরা বলেছে।আমি সাথে সাথে তড়িৎ গতিতে ডাক্তার সাহেবের কাছ থেকে দূরে সরে বসলাম।ডাক্তার সাহেব হাসতে হাসতে বললেন,
তাহরীম: আফরা তুমি যা বললে তার পুরোই বিপরীত তোমার বন্ধু।ঘরে আমার সঙ্গে বিড়ালের মত ঝগড়া করবে আর বাইরে এসে কোনো মেয়ে আমার দিকে তাকালে সেটা নিয়ে আমাকে ধমক দিবে, গাল চেপে ধরবে।আমি এত হ্যান্ডসাম আর পারফেক্ট হাসব্যান্ড মেটারিয়াল কিনা তাই মেয়েরা শুধু আমার দিকে তাকিয়ে থাকে।

‘ বিড়ালের মত ঝগড়া করেছি, খামচি দিনাই? ‘ উনার দিকে খানিকটা এগিয়ে গিয়ে আস্তে আস্তে বললাম যাতে শুধু উনি বাদে আর কেউ না শুনতে পারে।আমার কথা শুনে সাথে সাথে উনার মুখটা বাংলার পাঁচের মত হয়ে গেল।

‘ আমি তো ক্যান্টিনে এসে রোম্যান্স করছি আর তুই তো তারও এক ধাপ উপরে। আর্যালের বাচ্চার….’ অর্ধেক কথা বলেই আমি চুপ করে গেলাম। আফরার দিকে বাকা হাসি দিয়ে তাকিয়ে আছি।আমার কথা সিক্রেট সিক্সের সকলেই বুঝেছে আর আফরা আমায় চোখ দিয়ে ইসারা করছে যেন আমি না বলি।

আমি সবার দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিয়ে খাওয়ায় মন দিলাম।এখন আটটা পাঁচ বাজে।তাড়াতাড়ি খেয়ে যেতে হবে।আমি স্যান্ডউইচে কামড় বসিয়ে তাড়াহুড়ো করে খেতে লাগলাম।দেরি হয়ে যাচ্ছে, তাড়াতাড়ি যেতে না পারলে কপালে শনি নাচবে।

‘ আরে আস্তে আস্তে খান, আপনি ট্রেন থরী না ফেল করছেন। আস্তে খান নাহলে গলায় আটকাবে। ‘

ডাক্তার সাহেবের কথা শুনে উনার দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করলাম।আমায় কটমট চোখে তাকাতে দেখে উনি মুখটা কাচুমাচু করে ফেললেন।চুপসে যাওয়া মুখে আর্যালকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
তাহরীম: আর্যাল তোমার বন্ধু কে আজ ভূতে ধরেছে।কলেজে ক্যাজুয়াল পরে উনাকে দিতে এসেছি বলে সব মেয়েরা আমার দিকে তাকিয়ে আছে আর তার জন্য উনি আমায় উনার আগুন চোখ দিয়ে ভস্ম করে দিচ্ছেন।

আর্যাল: যতদিন না বুড়ো হচ্ছেন ততদিন বউয়ের এই আগুন চোখ আপনাকে সহ্য করতে হবে দুলাভাইইইই…
তাহরীম: ভুল করেও আমাকে দুলাভাই টুলাভাই ডাকবে না।আমাকে তাহরীম ভাইয়া ডাকতে পারো কজ আমি এখন আর তোমাদের কলেজের প্রফেসর নই আর মান্দাতার আমলের ডাক আমি সহ্য করবো না।

আফরিন: হুম তোদের বাড়িতে বিয়ে নিয়ে কোনো কথা হলো আফরা?বিয়ে কবে দিচ্ছে তোদের?
আফরা: বললো আপাতত আমাদের রেজিষ্ট্রি করিয়ে রাখবে আর বিয়ে পড়াবে।আমরা বিয়ের পর একসাথে থাকবো বাট আমাদের ডাক্তারি পড়া শেষ হলে একবারে অনুষ্ঠান করে বিয়ে হবে। আর…
আফরিন: আর কি?
আর্যাল: আজই বিয়ে…

‘ What! ‘ আফরার কথা শুনে তারস্বরে চেঁচিয়ে উঠলাম আমি।আমার চিৎকারে পুরো ক্যান্টিন শুদ্ধ মানুষ আমার দিকে তাকিয়ে আছে।আমি এখনও বড় বড় চোখে আফরা আর আর্যালের দিকে তাকিয়ে আছি।

‘ কি হলো কি? তুই চেঁচাচ্ছিস কেন? ‘ আফরা বিস্ময় চোখে প্রশ্ন ছুড়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিল আমার দিকে।

‘ তোদের আজ কেন বিয়ে? শুক্রবারে দিতি বিয়ে, এখন আমি তোদের সঙ্গে কিভাবে যাবো?আজ আমার ফারহান স্যারের সঙ্গে OT তে অ্যাসিস্ট করার কথা। ‘ বললাম আমি।

‘ একদিন ফারহান কে না বললে তোমার ক্যারিয়ারের প্লাস পয়েন্ট কমে যাবে না।আজ এসিস্ট করতে হবে না।ফারহান কে বলো আজ তোমার কাজ আছে।আজ আমরা আফরা আর আর্যালের বিয়ে তে যাবো।আরে ভাই তোমার বন্ধু কাম আমার শালা শালির বিয়েতে না গেলে হবে নাকি? ‘ খানিকটা গম্ভীর গলায় কথাগুলো বললেও আফরা আর আর্যালের বিয়েতে যাওয়ার বেপারে কথা খানিকটা হেসেই বললেন ডাক্তার সাহেব।

‘ ঠিকই তো বলেছেন তাহরীম ভাইয়া।তুই একটা কাজ কর,তুই আজ ডক্টর ফারহান কে বল তোর পক্ষে আজ এসিস্ট করা সম্ভব না। ‘ বললো ফারাহ।

‘ নেভার এভার, আমার কাছে আমার ক্যারিয়ার আগে।আমি দরকার পরে ডক্টর ফারহান কে বলে আগে ছুটি নেওয়ার ব্যবস্থা করে তোর বিয়েতে যাবো কিন্তু তবুও আমি ডক্টর ফারহান কে এসিস্ট করার সুযোগ হাতছাড়া করবো না।তাকে এসিস্ট না করলে অনেক কিছু এক্সপেরিয়েন্স করা থেকে বঞ্চিত হবো আমি। ‘ দৃঢ় কন্ঠে বললাম আমি।

‘ আমি তো এটাই বুঝতে পারছি না যে ফারহানকে OT তে এসিস্ট করা নিয়ে তোমার এত কিসের ব্যাকুলতা?তুমি একটু বেশিই ক্লোজ হচ্ছো না ওর? ‘ গম্ভীর গলায় বললেন ডাক্তার সাহেব।

‘ আমি কি জন্য এরকম করছি সেটা বুঝলে এই কথা আপনি বলতেন না ডাক্তার সাহেব।আমাদের বিয়ে তো হয়েছে কিন্তু মনের মিল এখনো হয়নি। হয়তো আমিই পারিনি আপনার অন্তরটা ছুঁয়ে দিতে। যাই হোক আমি আসি…আফরা, ফারাহ, আর্যাল, ফারহাজ, ইরহান তোরা আয়। অ্যাসাইন্মেন্ট জমা দিতে হবে,আটটা বিশ বাজে কিন্তু । ‘ কথাগুলো বলেই বেরিয়ে এলাম ক্যান্টিন থেকে।

চোখের কোনে বিন্দু বিন্দু জলকণা জমেছে।আর এক সেকেন্ড সময় গেলেই চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়বে কিন্তু তার আগেই তা আমি সন্তপর্নে মুছে নিলাম।অবাক হচ্ছি চোখের অশ্রু দেখে।এত সহজে হুটহাট কাদার মানুষ আমি না তবুও ডাক্তার সাহেবের সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই কেঁদে চলেছি। ‘ সুখেরা মরীচিকা তাই তো আমার হাতে ধরা দেয়নি । ‘ ভাবতেই ঠোঁটের কোণে তাচ্ছিল্যের হাসি ফুটে উঠল।

‘ তোকে অনেক বড় ডক্টর হতে হবে আফরিন,তোকে আমার নাম উজ্জ্বল করতেই হবে।তোকে বিদেশ বিভূঁইয়ে পড়াশুনা করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।লাখ লাখ গরীব মানুষের সেবা করতে হবে তোকে।আমি যে এখনো সেই অপেক্ষায় আছি কখন তোকে ডাক্তারির সাদা এপ্রনে দেখবো। ‘ দশ বছর আগে ছেরে যাওয়ার আগে শেষবারের মতো কথাগুলো বলেছিলো আম্মু।এরপর তো আর আম্মুর দেখাই মিলল না।

পুরনো অতীতের কথা ভাবতে ভাবতেই আমি ডক্টর আরাফাতের কেবিনের দিকে গেলাম।আম্মুর সপ্ন পূরণ করব বলেই আমার ডাক্তারি পড়া নিয়ে এত অবসেশন।মেডিক্যাল পড়া নিয়ে এত পসেসিভ।বিয়ের পর সবকিছু বদলে যাওয়ার বিতৃষ্ণায় আম্মুর সপ্ন ভুলে বসেছিলাম কিন্তু ডাক্তার সাহেবের সেই কথা ‘ বিশ্বাস…বিশ্বাস জিনিসটা এত সহজে কাউকে দিতে নেই।কে জানে কেউ আপনার বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে পারে কিনা। ‘ আমায় আবারও আমার সপ্নের দিকে ঠেলে দিল।এত বছরের জীবনের অভিজ্ঞতায় এতটুকু বুঝে গেছি যে মেয়েদের বিয়ে হোক আর নাহোক তাদের নিজের স্বপ্নকে পূরণ করে নিজেদের পায়ের মাটি শক্ত করতে হয়।ডাক্তার সাহেব নিঃসন্দেহে ভালো মানুষ কিন্তু আমি কোনোদিনই চাইনা উনার উপর নির্ভর করতে।

‘ আসবো স্যার? ‘ ডক্টর আরাফাতের কেবিনে নক করে বললাম কথাগুলো।

কিন্তু কেবিনের ভিতর থেকে কোনো আওয়াজই এলোনা।আমি স্যারের সাড়া শব্দ না পেয়ে অবাক হলাম।বাধ্য হয়ে আবারও নক করলাম কিন্তু এবারও কোনো সাড়া শব্দ নেই।আমায় দাড়িয়ে থাকতে দেখে একজন নার্স বললো আরাফাত স্যারের নাকি একটা এমার্জেন্সি অপারেশন পরে গেছে তাই উনাকে যেতে হয়েছে,কোনো দরকার লাগলে যেন পরে আসি।

নার্সের কাছ থেকে খবরটা পেয়েই মুখটা গোমড়া হয়ে গেলো।এত কষ্ট করে অ্যাসাইন্মেন্ট গুলো করলাম আর এখন স্যারই নেই।আমি বাধ্য হয়ে ফিরতি পথ ধরি তখনই মনে পরে যে স্যারের কেবিনে রেখে গেলেই তো হলো, স্যার কেবিনের উপর দেখলেই তো তার চোখে পড়বে।যথারীতি যা ভাবলাম তাই করলাম,স্যারের কেবিনে গিয়ে স্যারের ডেস্কে রাখলাম অ্যাসাইনমেন্ট। অ্যাসাইনমেন্ট রাখতেই আমার চোখ গেলো স্যারের টেবিলে থাকা নেমপ্লেটের দিকে। নেমপ্লেটে স্যারের নাম লিখা আছে, ডক্টর আরফাত দিয়ে উনার সার্নেমও আছে কিন্তু সেটা একটা কাগজ নেম প্লেটের উপর পরে থাকার কারণে দেখা যাচ্ছে না।আমি এগিয়ে গেলাম নেমপ্লেট দেখার জন্য।যেই না নেম প্লেট ধরবো ওমনি স্যারের কেবিনের দরজা খুলে ফারাহ ঢুকলো আর বললো,
ফারাহ: ও তুই এখানে?তোকে আমি কখন থেকে খুঁজছি।চল আমাদের ক্লাস ক্যান্সেল হয়ে গেছে।

আমি ফারার কথা শুনে অবাক হয়ে বললাম,
আফরিন: কেন?
ফারাহ: জানিনা তবে ক্যান্সেল হয়ে গেছে।
আফরিন: ও আচ্ছা তবে আমি এখন যেতে পারবো নারে।আমার ডক্টর ফারহান কে এসিস্ট করতে হবে।
ফারাহ: ও তাহলে এক কাজ কর তুই স্যারের কাছে যা আর হ্যাঁ সন্ধ্যা আটটার আগে কাজী অফিসে চলে আসিস।
আমি আচ্ছা বলে ওর দিকে এগিয়ে গেলাম।আমার আর ডক্টর আরাফাতের নেমপ্লেট দেখা হলো না।তারপর ডক্টরের কেবিন থেকে বেরিয়ে আমি ডক্টর ফারহানের কেবিনের দিকে হাটা দিলাম আর ফারাহ কলেজ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে হাঁটা দিলো।

আজ সারাদিন ডক্টর ফারহানের সঙ্গে অনেক বিজি ছিলাম। দিনটা আমার কেটেছেই ব্যস্ততার মাঝে।সারাদিন এক ফোঁটা বসারও সুযোগ পায়নি।সারাদিন কাজ শেষে অবশেষে ছুটি মিলল আমার।এখন সন্ধ্যা ছয়টা বাজে আর ডাক্তার সাহেব সারাদিনেও ফোন দিলেন না।হয়তো আমার সকালের আচরণে এখনো আমার উপর ক্রুদ্ধ।যাক আফরা আর আর্যালের বিয়েতে তো আসবেই।তখন নাহয় উনার রাগ ভাঙ্গবো।এখন তাড়াতাড়ি বের হই নাহলে উনার রাগ কমার পরিবর্তে আরও বেড়ে যাবে।

কিন্তু হসপিটাল ছেরে বেরিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পা বাড়াতেই আমার কানে এক পরিচিত গান এলো।গানটা শুনতেই আমার সামনে দাড়িয়ে থাকা মানুষটার দিকে চোখ গেল আমার। ঠোঁটের কোণে তার এক বাঁকা হাসি আর সে বাঁকা হেসে সেই গান গাইতে ব্যস্ত…

Tumhein koi aur dekhe to jalta hai dil
Badi mushkilon se phir sambhalta hai dil
Kya kya jatan karte hain tumhein kya pata
Yeh dil bekarar kitna ye hum nahi jaante

Magar jee nahin sakte tumhare bina Hamein tumse pyar kitna ye hum nahi jaante
Magar jee nahin sakte tumhare bina
Hamein tumse pyar

~ চলবে ইনশাল্লাহ্

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে