তুই আমারই থাকবি part-12

0
2111

#তুই_আমারই_থাকবি?
#Esrat_Jahan?
#Part_12

‘উনি সেই কিটকিটে হাসি হাসছেন।আর আমার মুখে খাবার গুঁজে দিচ্ছেন।বুড়ো লোকটা ক্যান্টিনের বাইরে চলে গেলেও আরো কিছু ছেলে-মেয়ে ক্যান্টিনে বসে আড্ডা দিচ্ছে।
!
কী?এদিকওদিক তাকাচ্ছো কেন?(সন্দেহ নিয়ে)
!
আমি খাবারটা গিলে বললাম,আরে দেখেন ওই ছেলেটা কী হ্যান্ডসাম!আপনি একটু দেখে বলেন তো আমার সাথে ম্যাচ হবে কিনা?(ভাব নিয়ে)
!
উনি আমার থেকে দ্বিগুণ ভাব নিয়ে বললেন,আমি কিন্তু একটুও অবাক হচ্ছে না! কেনো জানো?
!
কেনো?
!
কারণ প্রেগন্যান্ট অবস্থায় মেয়েদের মাথা একটু আউলা-ঝাউলা মারে!তখন নিজের সুন্দর বরকে আর ভালো লাগে না,রিকশাওয়ালা টাইপ চ্যাংড়া ছেলেদের তাদের কাছে বেশী ভালো লাগে!
!
আমি রেগে উঠে বললাম,এই!আমি প্রেগন্যান্ট? হ্যাঁ?
!
অবশ্যই!
!
তো কখন প্রেগন্যান্ট হলাম?বিয়েই তো হলো মোটে চারদিন! তো আমি প্রেগন্যান্ট হলাম কোনসময়?
আপনি এখন ভার্সিটি এসে বলছেন আমি প্রেগন্যান্ট! আমাকে কী সবার সামনে বিবাহিত মহিলা প্রুফ করতে চান?(রেগে)
!
হুম,চাই তো।আমার বউয়ের দিকে তাহলে কেউ নজর দিবেনা।দেখো না?আশপাশে তাকিয়ে দেখো, আমার পুতুল বউটার দিকে হারামী ছেলেরা কেমন তাকিয়ে আছে!তুমি আমার ওয়াইফ যদি জানতে পারে,তাহলে দেখবে তোমার পায়ের কাছে এসে পড়ে থাকবে!
!
লিসেন মিষ্টার!আপনার এসব ফালতু কাজ বন্ধ করুন।আর যাই করুন,ভার্সিটির সবার সামনে আমাকে বিবাহিত মহিলা প্রুফ করবেন না!
!
আরে!প্রবলেমটা কী তোমার?বিয়ে করার সময়ে কী আমি তোমার ডিসিশন জানতে চেয়েছিলাম? জানতে চাইনি তো?সো এখনো তোমার ডিসিশন আমি জানতে চাই না।যেটা বলেছি সেটাই হবে!(রেগে)
!
আমিও স্পষ্ট গলায় বললাম,কখনোই না!
!
উনি বললেন দেখতে চাও?আমি কী করতে পারি?(রেগে)
!
তারপর আমি কিছু বলার আগেই উনি চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে পড়লেন এবং গমগমে গলায় বললেন,লেডিস এন্ড জ্যান্টলম্যান!গাইজ আমি তোমাদের একটা কথা বলতে চাই!
!
উপস্থিত ছেলেমেয়েরা উৎসাহী হয়ে উঠলো। সবাই সমস্বরে বলে উঠলো,অফকোর্স! আপনি বলুন…
!
কথাটা হলো এই যে,আমার সাথে বসে থাকা এই মেয়েটি, আই মিন খুশবু মানে তোমাদের সুগন্ধি আপা এই মহিলাটি আমার ওয়াইফ! সো…..তোমরা অলওয়েজ ওকে দেখে রাখবে!ওর যাতে কোনো প্রবলেম না হয়!আর যদি কোনো প্রবলেম হয় তাহলে তো জানোই আমি কী করবো?সো মাইন্ড ইট……
!
উপস্থিত ছেলেমেয়েরা খুব গুরুত্বের সাথে উনার দেওয়া বক্তৃতা শুনলো।যেন,আমেরিকার প্রেসিডেন্ট উনি।
!
ছেলেরা মনে হয় কিছুটা হতাশ হলো,আর মেয়েদের মুখটা কালো হয়ে গেলো।কেউ কেউ আমার দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকাতে লাগলো,যেন আমি ওদের কলিজা ছিনিয়ে নিয়েছি….. যত্তসব!আমার প্রচণ্ড রাগ লাগতে শুরু করলো।আমিও পেঁচার মতো মুখ করে বসে আছি।
!
আমাকে বিবাহিত মহিলা প্রুফ করা!শালা মন চাচ্ছে মুরগীর পুরো টুকরাটা ব্যাটার মুখে ঢুকিয়ে দেই,যাতে গলায় আটকে আর কোনো কথা বলতে না পারে!উনিও চেয়ারে বসতে বসতে বললেন,যাও সবাই তো জেনে গেলো! এখন কী হবে খুশবু?
!
আমি মুখ কালো করে বসে রইলাম।গুন্ডার সাথে কথা বলার ইচ্ছে হলো না!
!
উনি মিটিমিটি হাসছেন আমার দিকে তাকিয়ে। সিল্কি চুলগুলো বাতাসে পতপত করে উড়ছে,উনি চুলগুলোতে আঙ্গুল বুলাতে লাগলেন!
!
আমার ইচ্ছে হচ্ছে,ব্যাটার সিল্কিচুল গুলো কেটে আলকাতরা লাগিয়ে দেই।তাহলে উচিৎ শিক্ষা হবে……
!
!
!
!
!
!
এই শুনেছিস?আনিকা বলল,
!
কী?কী শুনেছি?
!
আরে তোর ওড়নায় কে একটা ওইদিন পেছন থেকে টেনে ধরেছিল না!
!
হুম!
!
আবরার ভাইয়া তার গুন্ডা-পান্ডা লাগিয়ে ওই ছেলেকে খুঁজে বের করে আচ্ছামতো ধোলাই দিয়েছে,ব্যাটা এখন হসপিটালে হাত-পা ভাঙ্গা নিয়ে শুয়ে আছে!
!
আমি অবাক হয়ে বললাম,কীহ?কখন ঘটল এইসব?
!
আমি জানি না,ভার্সিটির কয়েকজন বলাবলি করছিলো!
!
এইজন্য! এইজন্যই বলি ব্যাটা একটা গুন্ডা! এবার বুঝলি তো কী ডেঞ্জারাস বর জুটছে কপালে?
!

চলবে…..
হ্যাপি রিডিং ??

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে