#গল্পঃডিভোর্সের_পরে
পর্বঃ১৪
#লেখকঃরিয়াজ
আসলে আয়ান সেই শুরু থেকেই মিমের সাথে এমন করতো।সব সময় মিম কে এসব বলতো।তবে আয়ান এগুলো সব সময় মজা করেই বলতো।কখনো কোনো বিষয় সিরিয়াসলি বলতো না।কিন্তু মিম এসব ব্যাপারে সব সময় রাগ করতো।
এরপর মিম সেদিন রাতে ঘুমিয়ে যায়।ঘুম থেকে উঠে বাসার কাজ করে সে তার দোকানে চলে যায়।তখন সেখানে নীলয় আসে।নীলয় মিম কে বলে তারপর কি হলো। মিম বল্লো আর কি হবে।তুমি কল কাঁটার পর আয়ান আমাকে কল দিয়েছিলো।
নীলয়ঃকি বলো আয়ান তোমার নাম্বার পেলো কোথায়?
মিমঃআমিতো আমার নাম্বার চেঞ্জ করিনি।আগের নাম্বারই আছে।আর ওই সিম টা আমাকে আয়ান ই কিনে দিয়েছিলো তাই ওর কাছে নাম্বার ছিলো।
নীলয়ঃআচ্ছা এতোদিন পর সে হঠাৎ কেনো আবার তোমার সাথে করছে তোমাকে কল দিচ্ছে?তুমি কি এ ব্যাপারে জানো কিছু?
মিমঃআরেএএ না আমি কি করে জানবো।
নীলয়ঃদেখো সে হয়তো আবার ফিরতে চাচ্ছে তোমার কাছে।
মিমঃসে ফিরতে চাইলেই কি আমি যাবো নাকি তার কাছে?যার জন্য আমি এতো অপমানিত রাস্তা ঘাটে মানুষের লাঞ্চনার শিকার হচ্ছি তার কাছে আমি কি জন্য যাবো কি করণে তার কাছে যাবো বলো?
নীলয়ঃএক সময় তুমি তাকে ভালোবাসতে।আর ডিভোর্সের জন্য যে আয়ান একা দায়ী সেটা কিন্তু নয়।দোষ তোমারো ছিলো আয়ানেরও ছিলো।যদি তোমরা একজন সেদিন মাঁথা ঠান্ডা করে ভাবতে তাহলে তোমাদের সম্পর্কটা কিন্তু টিকে যেতো।
মিম কিছুক্ষণ চিন্তা করে বল্লো হ্যাঁ আমি যখন তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছিলাম সে এখন সেখানে সাইন করলো বলো?
নীলয়ঃতুমি কেনো তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠালে?সে কি পাঠিয়েছিলো? তুমি রাগের মাঁথায় তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছো।আর সেও রাগের মাঁথায় সাইন করে দিয়েছে। এখানে আমি দুজনেরই দোষ দেখতিছি।
মিমঃএখন কি তুমি তাহলে আমাকে বলছো আমি আবার যাতে আয়ানের কাছে ব্যাক করি?
নীলয়ঃনাহ আমি কেনো সেটা বলবো।তোমার লাইফ তোমার ব্যাপার। আমার এখানে কিছু বলার নেই।
মিমঃএখন তো আমার পাশে আর কেউ থাকবে না।যাও ঠিক আছে আমার লাইফ আমিই সিধান্ত নিবো কারো কিছু বলতে হবে না।
নীলয়ঃআরেএ তুমি রাগ করছো কেনো?শুনো একটা গুড আছে তোমার জন্য।
মিমঃকি গুড নিউজ?
নীলয়ঃআমি খুব ভালো প্লেসে তোমার জন্য একটি রেস্টুরেন্টে পেয়েছি। খুব সুন্দর প্লেস।আগে ওইখানে একটা অফিস ছিলো।বাট সেটা উনি বিক্রি করে দিতে চাচ্ছে।ওইখানে আশেপাশে কোনো ভালো রেস্টুরেন্টে নেই।সেটা কে যদি আমরা রেস্টুরেন্টে পরিনত করতে পারি আমার বিশ্বাস খুব ভালো ফলাফল পাবো আমরা।
মিমঃওটা উনি কতো টাকায় বিক্রি করবে?আর এই মূহর্তে আমি এতো টাকা কই পাবো?কতো টাকার মতো লাগতে পারে আমাকে একটু ধারণা দাও তো?
নীলয়ঃকম করে ১৫ লক্ষ টাকা তো লাগবেই।
এই কথা শুনে মিমের মাঁথায় হাত।মিম নীলয় কে বলে নীলয় তুমি কি পাগল হয়ে গেছো এতো টাকা আমি কই পাবো?
নীলয়ঃসেই চিন্তা তোমার করতে হবে না।টাকার ব্যাবস্থা আমি করে দিবো।
মিমঃনীলয় তুমি কি বলো তুমি এতো টাকা আমাকে কেনো দিতে যাবা?
নীলয়ঃটাকা আমি দিবো না।টাকা তোমাকে ব্যাংক দিবে।আমি শুধু ব্যাবস্থা করে দিবো।আমি তোমাকে ব্যাংক থেকে দশ লক্ষ টাকা টাকা লোন তুলে দিবো।আর বাকি যা লাগে আমি দিবো।কিন্তু টাকা ফেরত দিয়ে দিতে হবে বলে।
মিমঃনীলয় তুমি আর কতো করবে আমার জন্য? তোমার এই ঋন আমি কি করে শোধ করবো বলো?
নীলয়ঃশোধ করতে হবে না।আমি শুধু তোমার স্বপ্ন পূরণে তোমার পাশে থাকছি এই।আর কিছুই না।
এরপর নীলয় সেখান থেকে চলে গেলো।মিম তার কাজে মন দিলো।মিম সেখানে কাজ শেষ করে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই আয়ান তার সামনে কোত্থেকে হাজির হলো।আয়ান মিম কে বল্লো কালকে রাতে কল টা কেঁটে দিলা কেনো?মিম তাকে বল্লো আমি কেনো আপনার সাথে কথা বলবো বলেন?কোন রাইটে আমি আপনার সাথে কথা বলবো বলেন?
আয়ান তাকে বল্লো হাজবেন্ড ওয়াইফ এর কথা বাদ দাও।আমাদের যে ৫ বছরের রিলেশন ছিলো সেই কথা ভেবেও তো আমার সাথে কথা বলা যায় তাই না?
মিমঃনাহ বলা যায় না।আমি আগের সব কথা ভুলে গিয়েছি। এখন আমি আমার নিজের মতো থাকতে চাই।দয়া করে আমাকে আর বিরক্ত করবেন না। আর কয়েকমাস আগে আপনার সাথে যেই মেয়েকে দেখেছিলাম সে কি ছেড়ে চলে গিয়েছে আপনাকে?যার জন্য আপনি এখন আবার আমার পিছে পড়েছেন?
আয়ানঃওয়েট ওয়েট তুমি কোন মেয়ের কথা বলছো?
মিমঃবাহ বাহ এর মধ্যে সেই মেয়েকেও ভুলে গেলেন?
আয়ানঃআমার তো মনে পড়ছে না।তবে হ্যাঁ কয়েকমাস আগে আমার কাজিন তন্নির সাথে তার বয় ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম।তুমি বিশ্বাস করো আর না করো আমি তোমাকে ছাড়া আর কোনো মেয়েকে আমার লাইফে আমি ভাবতেও পারিনি কখনো।তাছাড়া তোমার সাথে ডিভোর্স হওয়ার পর থেকে আমি কিন্তু তোমার সব খবরই রেখেছি।কিন্তু সেই সব আড়াল থেকে।আমি কখনো তোমার সামনে আসিনি।
মিমঃওহহ আচ্ছা তাই নাকি।আয়ান আপনি কি জানেন আপনার এই কথা গুলো শুনে আমার খুব হাসি পাচ্ছে।
আয়ানঃকেনো আমি কি এমন কথা বল্লাম যে তোমার আমার কথা শুনে হাসি পাচ্ছে?
মিমঃআমি এখন আপনার সাথে ফাও আলাপ করতে চাচ্ছি না।
আপনি থাকেন আমি যাচ্ছি।
আসলে এখানে মিম কোনো ভাবেই তার অতীতের কথা ভুলতে পারছে না।ডিভোর্সি নারীদের কি পরিমাণ কষ্ট হয় সেটা মিম হারে হারে টের পেয়েছে। যাইহোক মিম সেদিন রাতে বাসায় যেয়ে তার পরিবারের সবার সাথে রেস্টুরেন্টের কথা শেয়ার করলো।
এতে তার বাসার সবাই সায় দিলো।সবাই অনেক খুশি হলো মিমের কথা শুনে।পরক্ষণেই মিমের ভাই তাকে বল্লো আপু আনিস সাহেব কে কেমন দেখলি?
মিম এক কথায় উত্তর দিয়ে ভাই আমি তাকে বিয়ে করতে পারবো না।
চলবে??
#গল্পঃডিভোর্সের_পরে
পর্বঃ১৫
#লেখকঃরিয়াজ
মিমের ভাই মিমকে পালটা প্রশ্ন ছুড়ে দিলো আপু কে লোকটা কি ভালো না?কোনো সমস্যা আছে?
মিম তার ভাই কে বল্লো তুই আমার ছোট ভাই তাই তোর এক প্রশ্নের উত্তর আমি তোকে দিতে পারবো না।যদি একান্তই জানার প্রয়োজন হয় তাহলে তর বউ লিজা কে বলিস আমার কাছ থেকে জেনে নিতে কেনো আমি তাকে বিয়ে করতে পারবো না।
তুই আমার ছোট ভাই।ওই লোক আমাকে যেই প্রস্তাব দিয়েছে সেটা আমি তোর সামনে বলতে পারবো না।
মিমের ভাই বল্লো আচ্ছা আপু ঠিক আছে বলতে হবে না।তুই যদি তাকে বিয়ে করতে না চাস তাহলে আমার কিছুই বলার নেই।কারণ জোর করে কোনো কিছুই হয় না।মিম বল্লো তুই হয়তো ভুল বুঝছিস।আচ্ছা শুন আমি কেনো তাকে বিয়ে করতে চাচ্ছি না।
তোর আনিস সাহেব আমার সাথে বিয়ের আগেই শারিরীক সম্পর্ক করতে চায়।কিছুদিন আগে সে আমাকে ডেকে এই কথা বলেছে। এখন তুই বল এমন একটি লোকের সাথে আমি কি করে সংসার করবো?সে তো ফালতু একটা লোক।তাকে বিয়ে করলে তার সাথে আমি সারাজীবন থাকতে পারবো বল তুই?
এই কথা শুনে মিমের ভাই প্রচন্ড পরিমাণ রেগে যায়।মিরাজ মিম কে বলে আপু তুই এতোদিন বললি না কেনো আমাকে?আমি ওর জীব টেনে ছিড়ে ফেলতাম।ও জানে ও কার বোন কে কি বলেছে?অফিসে আমার সাথে সব সময় ভালো ব্যাবহার করতো।
মেয়েদের থেকে ধুরে সেজন্য আমি ভেবেছিলাম হয়তো লোকটা ভালো হবে আমি সেজন্য তোকে লোকটাকে বিয়ে করার জন্য অনুরোধ করেছি।কিন্তু লোকটা যে ভিতরে ভিতরে এমন ক্যারেক্টরলেস সেটা কে জানতো?
মিম তার ভাই কে বল্লো ভাই চলার পথে সব কিছু কথা মনে রাখবি প্রথমত মানুষের উপরটা দেখে কারো ভিতরটা পরিমাণ করতে পারবি না।দ্বিতীয়ত আমরা চোখ দিয়ে যা দেখি তা কিন্তু সব সময় সত্যি হয় না।এই বিষয় গুলো তুই সব সময় মনে রাখিস।
মিরাজ সেটা না হয় মনে রাখবো।কিন্তু ওই আনিসের বাচ্চা কে আমি দেখে নিবো বলে দিলাম।মিম বল্লো না ভাই থাক।ওকে তোর কিছু বলার দরকার নেই।এরপর থেকে তুই ওর সাথে কোনো কথা না বলে ওকে এভোইড করবি।মিরাজ বল্লো ঠিক আছে সেটা দেখা যাবে পরে।
এরপর মিম তার রুমে চলে যায়।মিম শুয়ে শুয়ে আয়ানের কথা ভাবছে।সে এখন এক অন্য রোকম দ্বিধাদ্বন্দে পড়ে গিয়েছে। সে কি আয়ানের সাথে ভালো ভাবে কথা বলবে নাকি তাকে এভোইড করবে কিছুই বুঝতে পারছে না।
এই ডিসিশন টি নেয়ার দায়িত্ব সম্পূর্ন নেয়ার দায়িত্ব মিমের।এখানে নীলয় ও মিমকে সাহায্য করতে পারবে না।তাই মিম এ ব্যাপারে নীলয় কে আর কিছু বল্লো না।পরদিন মিম তার সেই কাজে চলে যায়।যেখানে সে রান্নাবান্না করে।যাওয়ার সময় আবার দেখে আয়ান দাঁড়িয়ে আছে রাস্তায়।
কিন্তু মিম কোনো কথা না বলে আয়ানের সামনে দিয়ে হেঁটে চলে যায়।এতে আয়ান ও আর কিছু বলেনি মিম কে।মিম সেখানে যেয়ে তার কাজে মন দিলো।অন্যদিকে এর কিছুক্ষণ পর নীলয় সেখানে আসে।মিম কে বলে চলে আমরা যেয়ে রেস্টুরেন্টটি দেখে আসি।
মিম বল্লো ঠিক আছে আমি হাতের কাজ গুলো শেষ করে তারপর যাচ্ছি।এরপর মিম কাজ শেষ করে নীলয়ের সাথে সেই রেস্টুরেন্ট দেখতে যায়।রেস্টুরেন্টের জায়গা টি দেখে মিমের ও খুব পছন্দ হহ।নীলয় মিম কে জিজ্ঞাসা করলো কি পছন্দ হয়েছে নাকি?
মিম বল্লো পছন্দ হয়েছে মানে খুবই পছন্দ হয়েছে। নীলয় তখন বল্লো তাহলে আমি সব রেডি করি?মিম বল্লো হ্যাঁ অবশ্যই যতো দ্রুত পারো তুমি কাজ শুরু করে দাও।এর কিছুদিন পরেই নীলয় মিম কে ব্যাংকে নিয়ে যায়।ব্যাংকের সমস্ত ফর্মালিটিস শেষ করে মিম কে সাইন করার জন্য ডাকে।আর ব্যাংক থেকে এরপর দিন মিম কে ১০ লক্ষ টাকার একটি চেক দেয়া হয়।
চেক হাতে পেয়ে মিম অনেক খুশি। সেদিন রাতে মিম তার ভাইকে বলে ভাই আমি ব্যাংকের লোক টি পেয়ে গেছি।কালকে আব্বু আম্মু তুই লিজা সবাইকে নিয়ে আমি আমার সেই রেস্টুরেন্টে যেয়ে কাগজ পত্র সব আমার নামে করে নিবো।এতে সবাই রাজি হয়।
আর সবাই অনেক খুশিও হহ।মিম ও আজ অনেক খুশি।কারণ তার স্বপ্ন পূরণ থেকে সে আর সামান্য ধুরে আছে।এখন রেস্টুরেন্টটি তুলতে পারলেই মিমের স্বপ্ন পূরণ হয়ে যাবে।পরদিন সবাই সেই রেস্টুরেন্টে যায়।মিম রেস্টুরেন্টটি কিনে নেয়।আর মিম কিন্তু রেস্টুরেন্টটি তার নামে কিনেনি।তার বাবার নামে কিনেছে।
সেখানে নীলয় ও ছিলো।নীলয় সেদিনই মিমের পরিবারের সবার সাথে পরিচিত হয়।আর মিমের বাসার সবাই নীলয় কে রিকুয়েষ্ট করে যে কালকেই যাতে নীলয় তাদের বাসায় যায়।নীলয় প্রথমে রাজি হচ্ছিলো না।
তবে সবার জোরাজোরি তে নীলয় রাজি হলো যে সে কাল মিম দের বাসায় যাবে।পরদিন নীলয় সময় মতো মিম দের বাসায় চলে যায়।সেখানে নীলয় কে খুব ভালোই আপ্যায়ন করে মিমের পরিবারের লোকেরা।খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবাই যখন কথা বলছিলো তখন নীলয় সবার সামনেই মিম কে বলে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে তো আমরা শুধু রেস্টুরেন্টটি ই কিনেছি।
তবে আরও অনেক খরচ আছে।ডেকারেশন করতে হবে এসি লাগাতে হবে।গ্লাস লাগাতে হবে।এরজন্য আরও অনেক টাকা লাগবে।এই মূহর্তে আমার একাউন্টে ৫ লক্ষ টাকা আছে।আর সেই পুরো টাকাটাই আমি তোমার জন্য নিয়ে এসেছি। মিম তখন নীলয় কে বলে আরেএএ নীলয় তুমি এটা কি বলছো?
তোমার টাকা সব আমাকে দিয়ে দিলে তুমি কি করবে?নীলয় বলে আমার টা পরে দেখা যাবে আগে তুমি তোমার বিজনেস টা তুলো।আর আমিতো তোমাকে টাকাটা একেবারে দিয়ে দিচ্ছি না।যখন তোমার ব্যাবসা ভালো হবে তখন তুমি আমার টাকা আমাকে দিয়ে দিও।
মিম জানে নীলয় কে না করলেও সে আর শুনবে না।তাই মিম নীলয়ের টাকাটা নিলো।এরকিছুক্ষণ পর মিমের ভাই মিম কে বলে আপু তোর আরও টাকা লাগবে সেটা আমিও জানি।তবে আমার কাছে এখম অতো বেশি টাকা নেই।আমার এক কলিক থেকে আমি তোর জন্য ১ লক্ষ টাকা নিয়েছি।তুই এই টাকাটাও নিবি।
আর ব্যাবসা ভালো হলে তখন আমার টাকা আমাকে পরিশোধ করে দিবি।মিম সেই টাকাটাও নেয়।এরপর আবার মিমের বাবা মিম কে বলে মা আমার শেষ সম্ভল আমার একাউন্টে ২ লক্ষ টাকা আছে সেই টাকাটাও তুই নিবি।আমি চাই তুই তোর পিছনের সমস্ত অতীত ভুলে পুরো দমে সামনে এগিয়ে যাবি।
মিম তখন এতোটা খুশি হয় সে খুশিতে তার বাবাকে ধরে কান্না করে দিয়েছি।(আসলে একটা জিনিস কি জানেন আপনি যখন নিজ থেকে একটি ভালো কাজ করতে যাবেন তখন আল্লাহর রহমতে আপনি দেখবেন আপনার আশপাশ থেকে অনেক লোক ই আপনাকে সাহায্য করবে।সেটা হতে পারে আপনার পরিবার কিংবা আপনার বন্ধুবান্ধব। অথবা আপনার আত্বীয় স্বজন।)
এরপর সবার টাকা নিয়ে পরদিন মিম রেস্টুরেন্টের ডেকারেশনের কাজ করার জন্য রেস্টুরেন্টে চলে আসে।নানা ধরনের নানা জিনিস দিয়ে সে রেস্টুরেন্টে সাঁজাতে থাকে।কাজ করতে করতে হঠাৎ যখন মিম নিচে তাকায় তখন সে দেখে নিচে আয়ান দাঁড়িয়ে আছে।
এটা দেখে মিম একটু অন্যমনস্ক হয়ে যায়।মনে মনে ভাবে আয়ান এখানের ঠিকানা কিভাবে পেলো?আর আমি আগে যেখানে কাজ করতাম সেখানের ঠিকানাও সে জানে।তাহলে কি সত্যি আয়ান সব সময় মিম কে ফলো করতো মিমের সকল খোঁজ খবর রাখতো?নাকি মিম এখন উপরের দিকে উঠছে বলে আয়ান মিমের কাছাকাছি আসতে চাইছে?
চলবে,
গেছ করে বলুন তো কি হতে পারে?