#ডাকপিয়নের_ছুটি_নেই 🌼
#লেখিকা_মুহতারিযাহ্_মৌমিতা
#সূচনা_পর্ব
১.
“সাদা শরীরটা দেখিয়ে পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিস নাকি?;
কথাটা কানের পর্দায় বারি খেতেই এক বি*ষা*ক্ত অনুভূতিতে কান জোড়া খসে পড়লো যেন ইব্বানির! চোখ জোড়ায় ঢেলে পড়লো একরাশ বি*ষা*দ। কপাল কুঁচকে ঠেকে গেলো একজন আরেকজনেতে। রজনীগন্ধার বড় ঝুড়িটা আর উপরের দিকে ধরে রাখতে পারলোনা। সেই শক্তিও আর অবশিষ্ট রইলোনা। সর্বাঙ্গে এক বি*ষা*ক্ত বি*ষ কিলবিল করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফুলের ঝুড়িটা নীচে ফেলে চটজলদি শাড়ির আঁচলের পাশ থেকে হাত দিতেই আরও একরাশ বি*ষা*ক্ত অনুভূতি আষ্টেপৃষ্টে ধরলো ওকে। ঝনঝন করে উঠলো মস্তিস্ক। মুহুর্তেই কাঁপতে আরম্ভ করলো ভেতরে ভেতরে। অবশ্য এ কথা ভুল, কাঁপছে ও! ভীষণ ভাবে কাঁপছে আর সেটা প্রকাশ্যেও ধরা পড়ছে। কাঁপা কাঁপা হাতে বেরিয়ে আসা গতর ঢেকে চোখ বুজল। আর ঠিক তখনই পূণরায় কানের পর্দায় বারি খেলো এক তীক্ষ্ণ আওয়াজ,
“শিট!;
আওয়াজটা কোথা থেকে এলো জানেনা ইব্বানি। জানতেও চায়না। অন্তত এটা খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে, একদল শ*কু*ন ওকে গিলে খাচ্ছিলো তাদের নোং*রা চাহনি দিয়ে। কাঁপছে ও! ভীষণ ভাবে কাঁপছে। ঠিক তখনই আবারও মঁইয়ের উপর থেকে হাক পড়ে আরবের!
“কি রে, কি করছিস? দে ফুলগুলো!;
আরবের ডাকে হুঁশ ফিরে ইব্বানির। কিন্তু ও এখনও স্বাভাবিক হতে পারছেনা। কারন, একটু আগের ছোঁড়া বি*ষ বাক্যটি আর কারোর নয়, শ্রাবণের। আর সে এখনও মূর্তিমান হয়ে ওর পেছনেই দাঁড়িয়ে আছে। জানে ইব্বানি।
“ইব্বু! কি হলো? নীচে সব ঠিক আছে?;
আবারও হাঁক ছাড়ে আরব। ইব্বানি নিজেকে ধাতস্থ করার চেষ্টা করে। কিন্তু পারছেনা। ও জানে, এই অসচেতনতার শা*স্তুি শ্রাবণ ওকে একটু একটু করে দিতে থাকবে! তাই হয়তো এই মুহুর্তে এখান থেকে ওর চলে যাওয়াই শ্রেয়!
কোনো শব্দ না করে বিনা বাক্যে দৌড়ে চলে গেলো ইব্বানি। পেছনে রেখে গেলো হিং*স্র*তা*য় ভরপুর একজোড়া চোখ! পেছন মুড়ে দেখলোনা সেই জ*লন্ত চাহনি। কারন ও জানে, একবার ঐ চোখে তাকালে আরও ভ*য়া*ন*ক ভাবে ঝ*ল*সা*তে হবে ওকে।
আরব বির*ক্তির রেশ টেনে উপর থেকে নীচের দিকে তাকালো। ইব্বানি কোথাও নেই! যা দেখতেই বির*ক্তিতে কপাল কুঁচকে গেলো ওর। গলা ফাটিয়ে ইব্বানির নাম নিয়ে যা পারলো বকতে লাগলো। তবে তার বলাও বন্ধ হলো, গোষ্ঠির সবচেয়ে গম্ভীর মানুষটা দেখে। অর্থাৎ শ্রাবণ।
আজ খান বাড়ির সর্বজ্যেষ্ঠ কন্যা তিতিরের গায়ে হলুদ। শহরের এক প্রান্তে দীর্ঘকাল ব্যাপী বসবাস করে আসছে এই খান বাড়ি। ভবনটি দো’তলা। আজকাল শহরে এমন কিসিমে’র দো’তলা ভবন বড় সাধনার পর পাওয়া যায়। মা-বাবা, দুই ভাই ও এক বোনের এই খান বাড়ি। বাবা-মায়ের বড় সাধের প্রিয় সন্তান তারা তিন ভাইবোন। ছোট থেকেই জীবনের সব দুঃখ, ক*ষ্ট, ঝ*ড় ঝা*পটা মিলেমিশে সামলে এসেছেন তারা। তাই আজ বিয়ের পরে, সন্তানদের নিয়েও ঠিক একই ভাবে যৌথ পরিবার নিয়ে বেঁচে আছেন। আশা করা যায় আরও কয়েক প্রজন্ম এভাবেই চালিয়ে নিতে পারবেন তারা। তারা না থাকলেও থেকে যাবে তাদের শিক্ষা, থেকে যাবে তাদের একত্বতা। থেকে যাবে তাদের একজোট হয়ে লড়ে যাওয়ার সংগ্রাম, ইতিহাস।
তিতির হলো খানে সাহেবের বড় ছেলে, শমসের খান এবং আফিয়া বেগমের একমাত্র মেয়ে। তিতির খান। শমসের খানের দুই সন্তান। তিতির এবং শ্রাবণ। বয়সে শ্রাবণই বড়। তবে কন্যা সন্তানদের তালিকায় তিতির পড়ে সবার আগে। অনার্স শেষ করেই বিয়ের পিড়িতে বসতে হয়েছে তাকে। এতে অবশ্য তিতিরের কোনো দ্বিমত নেই। দাদা-দাদি, বাবা, চাচা এবং ফুপুর ভীষণ পছন্দ এই ছেলেকে। তাই তারও আপত্তি করার কোনো কারন ছিলোনা। তিতির দেখতে আহামরি সুন্দরী না হলেও ভীষণ মায়াবতী। গায়ের রঙ শ্যামা। মায়ের মতো হয়েছে। সেদিক থেকে শ্রাবণ অবশ্য আলাদা। পুরোই খান সাহেবে ন্যায় দেখতে এই সুপুরুষ। সৌন্দর্য্যে,উচ্চতায়, গম্ভীরতায়! দেখতে সুপুরুষ হলেও গম্ভীরতায় শ-পুরুষের আত্মা কাঁপিয়ে দিতে পারে। শ্রাবণ বিসিএস পড়ছে। পাশাপাশি কুমিল্লাতে একটা কোম্পানির ভালো পোস্টিং এ জব করছে। মাসের একটা নির্দিষ্ট টাইমেই দেখা মেলে তার। তবে এ মাসে বোনের বিয়ে উপলক্ষে অসময়েই এসে হাজির হয়েছে।
এরপরে হলেন সাদাত উদ্দিন খান। সাদাত সাহেবের বউ নুপুর বেগম। এবং তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে। আরব, তুতুন এবং তানি। আরব মাস্টার্স দেবে। তুতুন এইচএসসি দেবে এবং তানি সবে নাইন।
এরপরে হলেন খান সাহেবের একমাত্র কন্যা মরিয়ম বিবি খান। ইব্বানি তার এবং জাফর সাহেবের একমাত্র মেয়ে। ইব্বানি এই পৃথিবীতে আসার দুই বছরের মাথায় জাফর সাহেবের মৃ**ত্যু হয়। হঠাৎ মৃ**ত্যু। যার কোনো পূর্ব প্রস্তুতি ছিলোনা। ইব্বানি এবার বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষে আছে।
খান বাড়ির কোনো মেয়েই আহামরি সুন্দর না হলেও ইব্বানি সবার ব্যতিক্রম। তবে খান বাড়ির প্রত্যেক পুরুষই ভ*য়া*ন*ক সুন্দর। যেমন দেখতে, তেমনই চালচলন। ইব্বানিও হয়েছে তেমন। যেমন রূপ তেমন গুন। ষোলকলায় পরিপূর্ণ একদম।
ইব্বানি দৌড়ে এসে নিজের ঘরে ঢুকতেই সামনে পড়লো ছোট মামি অর্থাৎ নুপুর বেগম। ইব্বানির ফর্সা মুখ গরমে লাল হয়ে উঠেছে। পরনের হলুদ শাড়িটা প্রায় অনেকটা এলোমেলো! ঘন্টা খানিক আগেই তার দিঘল কেশে নুপুর বেগম নিজ কাঁচা ফুলের গাজরা বেঁধে দিয়েছিলেন। সবটাই এখন ম*রোম*রো অবস্থায় পড়ে আছে ইব্বানির হাতে। সবটাই এক পলকে দেখতে পেয়েছেন নুপুর বেগম। যার দরুণ আপনাআপনিই তার কপালের মাঝে চিন্তার সুক্ষ্ম রেখা ভেসে উঠলো। বিস্মিত হয়েই শুধালেন তিনি,
“ইব্বু? কি হয়েছে তোর মা? চোখ মুখ এমন লাগছে কেন? আর চুলের গাজরা, শাড়ি.. সব এমন এলেমেলো হলো কি করে?;
বুক ফেটে কান্না এলো ইব্বানির। সে শাড়ি পড়তে পারেনা। মেজ মামিই ভালোবেসে নিজ হাতে পড়িয়ে দিয়েছে। বড় মামি ক’দিন ধরেই বলছিলো ওকে শাড়ি পড়ার কথা। সবার চাওয়া পূরণেই সে শাড়ি পড়েছে আজ। আর আজই এমন এক বি*ষ বাক্যের স্বীকার হতে হবে, কে জানতো? অবশ্য ঐ মানুষটার থেকে এরচেয়ে ভালো আর কি আশা করবে ও!
“ওমা? কথা বলছিস না কেন! কি হয়েছে আমাকে বলবিনা?;
স্নেহের স্পর্শে ইব্বানিকে কাছে টেনে নিলেন নুপুর বেগম। ইব্বানি শক্ত হয়ে আছে। সে কাঁদবে না। কাঁদলে হাজারটা প্রশ্নের ভীড়ে ভেসে যেতে হবে তাকে। তবে হয়তো ওর কপাল খারাপ! যেটা প্রমান করতেই হাজির হলেন আফিয়া বেগম। হাতে মেয়ের জন্য নিয়ে যাওয়া এক বাটি হলুদ। নীচতলায় হলুদের আয়োজন করা হয়েছে। সব কিছু গুছিয়ে রাখা হলেও আসল জিনিসটাই কারোর মাথায় নেই।
“ইব্বানি এখানে? আমি আরও মেয়েটাকে খুঁজে ম*র*ছি! এই ইব্বু, হলুদটাই তো নেওয়া হয়নি! তুই একটু নিয়ে… সেকি রে! ছোট? কি হয়েছে ওর?;
তাড়াহুড়ো করে ঢুকলে ইব্বানির এলোমেলো অবস্থা সে দেখতে পায়নি প্রথমে। তবে কথা বলতে বলতে হঠাৎ চোখে পড়লো তার আদরের ইব্বুকে। বিধ্বস্ত লাগছে যে পুরো।
“জানিনা গো। দেখোনা, কিছুই তো বলছেনা!;
হলুদের বাটিটা নুপুর বেগমের হাতে তুলে দিয়ে ইব্বানিকে নিজের কাছে টেনে নিলেন আফিয়া বেগম। ওর দু’গালে হাত রেখে আদুরে গলায় ডাকলেন,
“ও ইব্বু? আমার সোনা মেয়ে-টার কি হয়েছে? কে কি বলেছে! ওমা? তোকে কেউ কিছু বলেছে?;
“না মামি। কেউ কিছু বলেনি!;
“মিথ্যে বলিসনা! কেউ কিছু বললে আমাকে বল মা? কোনো ছেলে.. কোনো ছেলে কিছু বলেছে? বল আমাকে!;
“না। দাও হলুদের বাটি দাও। আমি গিয়ে রেখে আসি।;
“আগে দাঁড়া তুই, জবাব দিয়ে যা। কোনো ছেলে কিছু বললে বল, এক্ষনি শ্রাবণকে বলে তার ব্যবস্থা করাবো। আমাদের কোনো আত্মীয়…;
যাকে দিয়ে ব্যবস্থা করাবে, আ*ঘা*তটা যে সর্বদা সেই করে!’ কথাটা ভীষণ ভাবে বলতে ইচ্ছে করলো ইব্বানির। কিন্তু আঁটকে গেলো কন্ঠনালীতে। বড় মামির কোনো প্রশ্নই আর কানে উঠলোনা তার। ছোট মামির হাত থেকে হলুদের বাটিটা নিয়ে প্রস্থান করলো আবার। আফিয়া বেগম এবং নুপুর বেগম বিহ্বলিত নয়নে চেয়ে রইলো ওর যাওয়ার পানে।
শাড়ির আঁচল মেঝেতে লুটিয়ে ধীরপায়ে হেঁটে এসে স্টেজের সামনে দাঁড়ালো ইব্বানি। হলুদের বাটি রাখার ট্রেটা কাছে টেনে সেখানে হলুদের বাটিটা রেখে ফুল দিয়ে সাজিয়ে ট্রে-টা আবার জায়গা মতো রেখে দিলো। আশেপাশে ভালো করে আরেকবার দেখে নিলো কিছু আবার কম পড়লো কিনা। নাহ্, এবার সব ঠিকই আছে। কিছুই কম পড়েনি।
তিতিরকে সাজানো হচ্ছে হলুদের জন্য। তুতুন এবং তানিও সাজছে বোনের সাথে। সাথে সাজগোজের পালা চলছে বাকি মেহমানদেরও। মেয়েরা বাদে বাকি ছেলেরা এবং গুরুজনদেরই দেখা যাচ্ছে আশেপাশে। কারোর সাথে চোখে চোখ পড়ে গেলে ভদ্রতাসূচক হেসে ভালো মন্দ জিজ্ঞেস করে ইব্বানি। কিন্তু আপাতত সেটুকুনও করছেনা। কারন, ওর মন ঠিক নেই।
“তোর দুঃসাহস দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি আমি! এখনও শাড়ি পড়ে ড্যাংড্যাং করে ঘুরে বেড়াচ্ছিস।;
একখানা গম্ভীর গলা তখনকার মতো আবারও হোঁচট খাওয়ালো ইব্বানি। চমকে উঠে পেছনে তাকাতেই আবিষ্কার করলো সেই রাগি রাগি নেত্রদ্বয়। যা দেখতেই আত্মা অব্দি কেঁপে যায় ইব্বানির।
“ক্ কি!;
“তুই এতো নির্লজ্জ কবে থেকে হয়েছিস বলতো?;
ধমকের সুরে দাঁতে দাঁত চেপে বলল শ্রাবণ। ফের কেঁপে উঠে চোখ জোড়া বন্ধ করে ফেললো ও। পরক্ষণেই চোখ মেলে তাকালো শ্রাবণের দিকে। অসহায় নেত্রে বলল,
“ব্ বড় মামি হলুদের জন্য আমাকে শাড়িই দিয়েছে! ছ্ছোট মামিও…;
“চুপ! (দাঁতে দাঁত চেপে) আর একটাও বাড়তি কথা শুনতে চাইনা আমি! হয় এই শাড়ি পোড়াবি না হয়, বিয়ে হওয়ার আগ পর্যন্ত ঘর থেকে বের হবিনা!;
“শ্রাবণ ভাই…;
“জিন্দা পুতে ফেলবো মাটিতে!;
ধমকের উপর ধমক ছেড়ে চলে গেলো শ্রাবণ। ইব্বানির ভেতরটা ফাটতে লাগলো শ্রাবণের এহেম আচরণে। তুতুন আর তানির সঙ্গে তো সে এমন করেনা সে, আর না আরব আর তিতিরের সাথেও! তাহলে ওর সঙ্গেই কেন তার এমন আচরণ করতে হবে?
আকস্মিক মাথায় গাট্টা পড়তেই শ্রাবণের দেওয়া দুঃখ কষ্ট ভুলতে হলো ইব্বানিকে। মাথায় হাত ডলে রাগি চোখে পাশ ফিরে তাকাতেই আবিস্কার করলো আরবকে। আরব কোমরে হাত চেপে চোখ মুখ শক্ত করে তাকিয়ে আছে। ইব্বানিও ঠিক তার মতোই ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে। কেউ কোনো কথা বলছেনা। শুধু তাকিয়ে আছে। তাকানোর পালা শেষ হতে আরবই আগে মুখ খুললো।
“তোর হবু জামাইয়ের ডাক পড়লে এমনে ভাইরে রাইখা পালাবি? কোনো মায়াদয়া নাই নাকি তোর?;
ইব্বানি বুঝলোনা আরবের কথার মানে। ভ্রু কুঞ্চিত রেখেই পাল্টা প্রশ্ন করলো,
“মানে?;
“তখন ফুল গুলা নীচে ফেলে পালিয়েছিলি কোথায়? ডাকতে ডাকতে গলার রগ মোটা হয়ে গেছে আমার!;
আরবের কথায় ঘটনা চক্রটি পূণরায় মনে পড়লো ইব্বানির। তাই তৎক্ষনাৎ দাঁত কেলিয়ে হেসে ভাইকে মানাতে চেষ্টা করে বলল,
“সরি ভাইয়া! আসলে..;
“হু হইছে, এখন শুরু হবে নতুন ড্রামা!;
“শোনোনা ভাইয়া, রাগ করোনা প্লিজ! সত্যি একটা কাজ পড়ে গেছিলো।;
“কি কাজ? তুর্জ কল দিয়েছে?;
‘তুর্জ’ ইব্বানির হবু বরের নাম। মাস খানিক আগেই যার সাথে ইব্বানির বিয়ের কথা ফাইনাল হয়েছে। অনার্স শেষে তিতির মতোই তারও বিয়ের পিড়িতে বসতে হবে।
তুর্জর নামটা শুনতেই ফকফকা দাঁতের হাসি থেমে গেলো ইব্বানির। বিষন্ন হলো হৃদয়। শান্ত স্বরে বলল,
“না! অন্য কাজ। বাদ দাও ওসব। ফুল লাগানো হয়েছে? আর লাগাতে হবে?;
“না। অলমোস্ট ডান। শোন, তু্র্জকে কল করে আরেকবার আসতে বল? বাবাই বারবার বলছিলো কিন্তু।;
“হু বলবো।;
“ও কি আসবে বলেছে?;
“জানিনা। কথা হয়নি।;
“তুই কেমন বউ রে? ছেলেটার একটু খোঁজ খবর রাখবিনা?;
তুর্জর সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে কোনো কিছুই ভাবতে পারেনা ইব্বানি। সেখানে নিজেকে তার বউ ভাবাটা অনেক বড় শা*স্তি ওর জন্য।
“ছাড়োনা ওসব কথা। আপুকে স্টেজে আনতে হবেনা? দেখো মেহমান কিন্তু ভরে যাচ্ছে ক্রমে। শাকিল ভাইয়ার বাড়ি থেকেও সবার আসার সময় হয়ে গেছে।;
“হ্যাঁ, হ্যাঁ। ভালো কথা মনে করিয়েছিস। চল, তিতিরকে নিয়ে আসি।;
“হু, চলো।
#চলবে?