জোড়া শালিকের সংসার পর্ব-১৯

0
1996

#জোড়া_শালিকের_সংসার
#মুন্নী_আরা_সাফিয়া
#পর্ব_১৯

কয়েক মিনিট পর নির্ঝরকে জড়িয়ে রাখা খেয়ার হাত দুটো ঢিলে হয়ে আসতেই চমকে উঠলো সে।খেয়ার মুখটা সামনে এনে বুঝতে পারলো জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে।নির্ঝর তাকে কোলে নিয়ে রুমে ঢুকলো।

রুম অন্ধকার।বিদ্যুৎ চলে গেছে।নির্ঝর খেয়াকে ভেজা অবস্থাতেই হাতড়ে হাতড়ে সোফায় বসাল।বেড থেকে মোবাইলের ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে সেন্টার টেবিলে রাখল।শুকনো টাওয়াল নিয়ে খেয়ার হাত মুখ মুছে ওয়ারড্রব থেকে শাড়ি বের করলো।

এগুলো পড়াতে নিতেই বিপাকে পড়লো।অচেতন অবস্থায় পড়াবে কীভাবে?তাছাড়া সে শাড়িও পড়াতে পারে না।মিতুকে ডাক দিবে?

নির্ঝর খেয়ার গালে হাত রেখে মৃদুস্বরে বার কয়েক ডাক দিল।খেয়া রেসপন্স করলো না।

অগত্যা নিজের ট্রাউজার আর লং টিশার্ট বের করে রুম অন্ধকার করে নিজেই চেঞ্জ করে দিল।বিছানায় শুইয়ে গায়ে মোটা কম্বল দিয়ে পেঁচিয়ে দিল।বড় করে নিঃশ্বাস নিয়ে অন্ধকারেই খেয়ার অবয়বের দিকে চেয়ে রইলো।

শীত শীত অনুভব হতেই টাওয়াল নিয়ে ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়াল।

২৬.

রাত বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টির বেগ বেড়ে যাচ্ছে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া তো আছেই!মনে হচ্ছে মেঘমল্লার আজ ইচ্ছে মতো জল ঝরাবে।বহুদিনের জমানো অভিমান আজ পৃথিবী ধুয়ে মুছে সয়লাব করে দিবে!

মিতু গলা অবধি কম্বল টেনে শুয়ে পড়েছিল।ঘন্টা খানেক বিছানায় এপাশ ওপাশ করেও ঘুম নামক বস্তুর দেখা মিলল না।সে অন্ধকারেই চোখ খুলল।

চোখ খুলতেই তার মনে পড়লো সে ঘুমকে বস্তু বলে আখ্যায়িত করছে।তাও আবার একবার না।বার, বার!ঘুম কি কোনো বস্তু হতে পারে?মোটেই নাহ!

ঘুম সম্পর্কে তার বিস্তারিত জানা নেই।তবে নিজে থেকে একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করালে মোটামুটি ঘুম নামক শব্দটাকে প্রশান্তি মূলক অনুভূতি বলা যায়।ঘুমালে শরীরের প্রতিটি পেশি শিথিল হয়ে যায়।মস্তিষ্কের প্রতিটি নিউরনের সিন্যাপসিসের মধ্যে এক ধরনের সিকোয়েন্স তৈরি হয়।তারপর?তারপর কি হয় তা তার জানা নেই!

সে পাশ ফিরে ছোট্ট নুহার দিকে তাকালো।এ কদিনে নুহা একদম তার বাধক হয়ে গেছে।আজ রাতে বায়না ধরেছে তার সাথে ঘুমাবে।সে না করেনি!

কাছে কোথাও তীব্র বজ্রপাত ঘটলো।মিতু না চাইতেও চমকে উঠলো!দ্রুত কম্বল দিয়ে পুরো মাথা ঢেকে ফেলল।কয়েক মিনিট নিশ্চুপ থাকার পর উঠে বসলো।নুহার গায়ে ভালোমতো কম্বল জড়িয়ে বিছানা থেকে নামলো।

বাইরে বৃষ্টির সাথে সাথে প্রচুর বিজলি চমকাচ্ছে।তার আলোয় ঘন ঘন ক্ষণিক সময়ের জন্য ঘরটা আলোকিত করে যাচ্ছে।মিতু সেই আলোয় হাতড়ে হাতড়ে দেয়ালের সুইচে চাপ দিল।আলো জ্বললো না।বিদ্যুৎ এখনো আসেনি!

অন্ধকার দু চোখে সয়ে আসতেই সে এগিয়ে জানালার কাছ ঘেঁষে দাঁড়াল।কাচের অপর পৃষ্ঠ দিয়ে বৃষ্টির ফোঁটা গড়িয়ে গড়িয়ে নামছে।চমৎকৃত হওয়ার মতো দৃশ্য!সে একদৃষ্টিতে ঘোর লাগা চোখে তাকিয়ে রইলো।

কবি, সাহিত্যিকেরা বলে গেছে, বৃষ্টি নাকি মানুষকে নস্টালজিক করে দেয়!একাকী, ব্যথাবিধুর করে!অতীতের সুন্দর মুহুর্তগুলোর নবজাগরণ ঘটায়।প্রিয়জনের কথা মনে করিয়ে দেয়।তখন প্রিয়জনের সান্নিধ্য পেতে বড্ড মন কাঁদে!মিতুর কি প্রিয়জন আছে?

সে দু চোখ বন্ধ করতেই বিপুল স্যারের মুখটা মনের মাঝে ভেসে উঠলো।সে দ্রুত চোখ খুললো।বিপুল স্যারকে এই বৃষ্টি বাদলার রাতে কেন মনে পড়বে?ছি!

বিপুল স্যার তাদের স্কুলে গেস্ট টিচার ছিল।মাত্র তিন মাস পড়িয়েছে।মিতুর নাইন টেনে ব্যাকগ্রাউন্ড সাইন্স ছিল।বিপুল স্যার তাদের ফিজিক্স পড়াতো।সে বেশ আগ্রহ করে স্যারের মুখপানে চেয়ে পড়া বোঝার চেষ্টা করতো!

বিপুল স্যার যেদিন তাদের প্রথম ক্লাস নেয় সেদিনও এমন ঝুম বৃষ্টি ছিল।সাথে কিছুক্ষণ পর পর বিজলি।তিনি আধভেজা হয়ে প্রথম ক্লাসে এলেন।প্রথম দেখাতেই মিতুর তার প্রতি বড্ড মায়া জন্মাল।মায়া জিনিসটা এমন কেন?

স্যার কয়েক মিনিট নিজের পরিচয়পর্ব সেরে চুপ করে রইলেন।একটুপর মিতুর দিকে আঙুল তুলে বললেন,

__’পেছন থেকে দুই নাম্বার সারির সবুজ ড্রেস পড়া তুমি!হ্যাঁ,তুমি দাঁড়াও।’

মিতু প্রথমদিকে ভেবেছিল অন্য কাউকে দাঁড়াতে বলেছে।পরে যখন বুঝতে পারলো তাকে তখন বড় সড়ো ঝাটকা খেল।তার হাত পা কাঁপা-কাঁপি শুরু হয়ে গেল।যেন ভূমিকম্পের ১০ নং সতর্কবাণী শুরু হয়েছে।

সে মাথা নিচু করে তোতলাতে তোতলাতে বলল,

__’জ-জ্বি স-স্যার?’

__’তোমার নাম কি?’

__’ম-মিতু!’

__’আচ্ছা বলো তো?বজ্রপাতের সময় আমরা শব্দের আগে আলো দেখি কেন?’

মিতু ঝট করে স্যারের মুখপানে এক পলক তাকিয়ে মাথা নিচু করলো।মুহুর্তে তার চোখে অশ্রুরা এসে ভিড় জমাচ্ছে।যখন তখন বিনা নোটিশে ঝরে পড়বে যেন।সে ঠোঁট চেপে কান্না থামানোর চেষ্টা করলো।অতঃপর টলমল চোখে দ্বিতীয় বারের মতো স্যারের দিকে তাকাল।তার চোখে হাজারো অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে।যেন সে চোখ দিয়েই স্যারকে প্রশ্ন করছে,আমায় এসব কেন ধরছেন?আমি পারি না কিছু!

স্যার হয়তো তার চোখের ভাষা,তার সকল অনুযোগ-অভিযোগ বুঝতে পারলো।মুচকি হেসে বলল,

__’পারো না?ঠিক আছে।আমিই বলে দিচ্ছি।’

মিতু কিছু বলল না।স্যার এবার সবার দিকে চেয়ে বলল,

__’মেঘ তো আকাশে ভেসে বেড়ায়।ভাসতে ভাসতে দুটো মেঘের টুকরোর যখন একে অপরের সাথে সংঘর্ষ লাগে তখন একই সাথে আলো এবং শব্দের সৃষ্টি হয়।কিন্তু শব্দের বেগের চাইতে আলোর বেগ বেশি বলে আলো তাড়াতাড়ি পৃথিবীতে পৌঁছে।এজন্য আমরা আগে আলো দেখি।তার কিছুক্ষণ বাদেই শব্দ শুনতে পাই!বুঝতে পেরেছো?’

সবাই মাথা নাড়লো।স্যার মিতুর দিকে তাকিয়ে মিষ্টি একটা হাসি দিল!সেই হাসিতেই মিতুর ছোট্ট হৃদয়ে কেমন দোলা দিয়ে উঠলো।জীবনে প্রথম তার বুকের ভেতর অদ্ভুত এক অনুভূতির জন্ম হলো।কেমন অচেনা,অজানা,অবর্ণনীয় সে অনুভূতি!

স্যার হাসিমুখেই তাকে বলল,

__’মিতু বসো!’

কিন্তু মিতুর যেন হুশ নেই।সে আছে অন্য ভুবনে।স্যারের কোনো কথাই তার কানে যেন ঢুকছিল না।তার পাশে বসা টুম্পা মেয়েটা যদি তাকে টেনে না বসাতো সেদিনই হয়তো সে অপমানে শেষ হয়ে যেত!

বিপুল স্যার তাদের তিন মাস পড়িয়েছিল।স্যারটা তার নামের মতোই বিশাল মনের অধিকারী ছিল।তিনি তিন মাস পর ফিনল্যান্ডে স্কলারশিপ নিয়ে চলে যায়।মিতু পরে লোকমুখে শুনে স্যার নতুন বিয়ে করে বউ নিয়ে চলে গেছে।সেখানেই একদম সেটল হবে।মিতুর ছোট্ট হৃদয়ে সেদিন কোথা থেকে যেন হাজারো অভিমান এসে জড়ো হয়েছিল!

মিতু বড় করে দীর্ঘশ্বাস ফেলল।তার সতেরো বছরের জীবনে প্রাপ্তির খাতা শূন্য!

অল্প করে জানালার কাচ সরিয়ে সে ডান হাতটা বাইরে দিয়ে বৃষ্টির ফোঁটা স্পর্শ করলো।মুহূর্তে তার শরীরে ভালো লাগার শিহরণ বয়ে গেল।যেন বৃষ্টির ফোঁটা তার সকল মন খারাপ জোঁকের মতো শুষে নিয়ে তার মন ভালো করে দিল।মিতু বাচ্চাদের মতো খিলখিল করে হেসে উঠলো।

নিজের হাসির শব্দ কানে যেতেই তার দুপুরের কলেজের ছেলেটার কথা মনে পড়লো।ছেলেটাও এভাবে শব্দ করে হাসে।শুনতে ভালো লাগে!

আচ্ছা, ছেলেটা এখন কি করছে?ঘুমাচ্ছে? নাকি তার মতো নিশাচর হয়ে রাত জাগছে?খুব জানতে ইচ্ছে করছে!

২৭.

মাঝরাতে খেয়ার হাঁসফাঁসের শব্দে ঘুম ভাঙলো নির্ঝরের।ঘুমের রেশ কাটতেই সে বুঝতে পারলো তার বাহুডোরে খেয়া কেমন যেন ছটফট করছে!মস্তিষ্ক সচল হতেই বুঝতে পারলো খেয়ার গা জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে।তার তাপমাত্রা ইটের ভাটার উত্তপ্ততাকেও হার মানাচ্ছে যেন!

নির্ঝরের মনটা কেমন করে উঠলো।সে চিন্তিত মুখে বালিশের নিচ থেকে মোবাইল নিয়ে লাইট অন করে ধরলো খেয়ার মুখের উপর!খেয়ার মুখটা কেমন নীল হয়ে গেছে।ঠোঁট দুটো শুকনো।অনবরত কেঁপে যাচ্ছে।চোখ দিয়ে অবিরত জল ঝরছে!

সে পরম মমতায় খেয়ার সারা মুখে হাত বুলিয়ে বলল,

__’খেয়াতরী?এই খেয়াতরী?চোখ খুলো!কথা বলো!’

নির্ঝর খেয়ার মাথায় পানি ঢালতে চাইলো।দ্রুত উঠে আসতে নিতেই খেয়া তার একদম কাছে ঘেঁষে তার বুকে মুখ লুকালো।

সে একপ্রকার জোর করে খেয়াকে নিজের থেকে ছাড়াল।রুমের লাইট অন করতেই বুঝতে পারলো সেই যে সন্ধ্যার সময় বিদ্যুৎ চলে গেছে!আর আসেনি!

নির্ঝর ব্যাটারি চালিত টেবিল ল্যাম্প জ্বালাল।

কয়েক মিনিটের মধ্যে খেয়ার মাথায় পানি ঢালার ব্যবস্থা করলো।খেয়ার মাথাটা নিচু করে বেশ কিছুক্ষণ পানি ঢাললো!

ল্যাম্পের মৃদু আলোয় খেয়াকে কেমন জানি লাগছে!নির্ঝর শুকনো টাওয়াল দিয়ে খেয়ার মাথা মুড়ে দিল।শুকনো কাপড় ভিজিয়ে খেয়ার হাত মুখ মুছে নরম গলায় বললো,

__’খেয়াতরী, এখন কেমন লাগছে?একটু ভালো লাগছে?’

খেয়া এলোমেলো ভাবে কিছু একটা বলল যা নির্ঝর বুঝতে পারলো না।

নির্ঝর খেয়ার পাশে বসে বেলকনি দিয়ে বাইরে তাকাল।এখনো তুমুল ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে।সারারাতই হবে নাকি?

সে ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার থেকে থার্মোমিটার এনে খেয়ার জ্বর মাপলো।দেখল ১০২°! কপালে হাত রেখে বুঝতে পারলো আগের থেকে জ্বর একটু কমেছে।মেডিসিন খাওয়াবে কি না বুঝতে পারছে না।রাত দশটার দিকে সে খেয়াকে খাওয়ানোর পর মেডিসিন খাইয়েছে।তারপরও জ্বর এসেছে!এখন রাত দুটো প্রায়!

নির্ঝর ল্যাম্পের আবছা আলোয় খেয়ার পাশে বসে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিল।সে খেয়ার দিকে একদৃষ্টিতে চেয়ে রইলো।হঠাৎ করেই খেয়া চোখ খুললো।

নির্ঝর ব্যতিব্যস্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলো,

__’খেয়া, এখন কেমন লাগছে?ঠিক আছো তুমি?’

খেয়া তার দিকে অপলক চেয়ে রইলো।একটুপর ঘোর লাগা কন্ঠে বললো,

__’নি-র্র-ঝ!’

__’হুঁ, বলো!’

__’আমায় জড়িয়ে ধরো!’

নির্ঝর চমকালো।খেয়ার মাথার চুলে বিলি কেটে দেয়া হাতটা থেমে গেল।খেয়া তাকে তুমি করে বলছে?জ্বরের ঘোরে বলছে এসব?

__’কি হলো?আমায় জড়িয়ে ধরো!শীত লাগছে।’

খেয়ার জড়ানো কন্ঠ কানে আসতে নির্ঝর তার চোখে চোখ রাখলো।খেয়ার চোখ কেমন লাল হয়ে রয়েছে।সে বলল,

__’এখন কেমন লাগছে খেয়া?’

__’ভালো।’

__’কতটুকু ভালো?’

__’অনেক ভালো।’

নির্ঝর তার দিকে একটু ঝুঁকে চিন্তিত গলায় বললো,

__’আমাকে তো একদম ভয় পাইয়ে দিয়েছিলে!শরীরের তাপমাত্রা একদম বেড়ে গিয়েছিল।তুমি কি কিছু খাবে এখন?’

খেয়া অগোছালো দৃষ্টিতে নির্ঝরের দিকে তাকিয়ে বলল,

__’খাবো।’

বলেই নির্ঝরের ঠোঁটদুটো আকড়ে ধরলো।নির্ঝর প্রথমে চমকে উঠলেও একটুপর খেয়াকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলো।হয়তো জ্বরের ঘোরে সব করছে।সে চাচ্ছে না তাদের প্রথম কাছে আসাটা এভাবে হোক!

কিন্তু পারলো না।খেয়ার অদমিত ইচ্ছের কাছে হার মেনে নিজেও খেয়ার গলায় মুখ ডুবাল।

২৮.

তবু মনে রেখো যদি দূরে যাই চলে,
যদি পুরাতন প্রেম ঢাকা পড়ে যায় নব প্রেমজালে।

যদি থাকি কাছাকাছি
দেখিতে না পাও ছায়ার মতন আছি না আছি___
তবু মনে রেখো।।

_____(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

সকালবেলা রবীন্দ্র সংগীতের সুরেই ঘুম ভাঙলো খেয়ার।তার মাথাটা কেমন ভার ভার লাগছে।পাশ ফিরে অভ্যাস বশত নুহাকে খুঁজলো।নুহা,নির্ঝর কেউ নেই!

রবীন্দ্র সংগীতের উৎস খুঁজলো।তার জানামতে এ বাসায় কেউ রবীন্দ্র সংগীত শোনে না।তাহলে আজ হঠাৎ বাজানোর রহস্য কি?

রবীন্দ্র সংগীতের মৃদু মধুর সুর ভেসে আসছে সেন্টার টেবিলে রাখা নির্ঝরের ফোন থেকে।নির্ঝর আবার কবে থেকে রবীন্দ্র সংগীত শোনা শুরু করলো?আজব তো!তবে তার এই শুভ্র সকালে রবীন্দ্র সংগীত শুনতে বেশ ভালো লাগছে!

ফ্রেশ হওয়ার জন্য উঠে বসলো সে।গায়ের কম্বল টেনে সরাতেই তার চোখ বড়বড় হয়ে গেল।ভয়ে গলা শুকিয়ে গেল!রাতের বেলা…. ছি!

দরজার কাছে কারো পায়ের আওয়াজ হতেই খেয়া সটান শুয়ে মাথা ঢেকে শুয়ে পড়লো।ছি!সে কিভাবে নির্ঝরকে মুখ দেখাবে?

(চলবে)

আসসালামু আলাইকুম।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে