চন্দ্ররঙা প্রেম পর্ব-০৬

0
1853

#চন্দ্ররঙা_প্রেম
#পর্ব-৬
#আর্শিয়া_সেহের

-“রুশান ,তুই কি সত্যিই ঝুমের কোন খোঁজ জানিস না?”
-“না মা ,জানিনা। আর কতবার বলবো?”
তাহমিনা বেগম ছুটে এসে জড়িয়ে ধরলেন আদরের ছেলেকে। কাঁদতে কাঁদতে বললেন,
-“জেনে থাকলে সত্যিটা বল, বাবা। না জানলে কোনো ভাবে জেনে নে । ওকে খুঁজে বের করতে না পারলে যে তোর অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে রে সোনা।”

রুশান কিছুটা অবাক হলো। আপুকে না পেলে তার কি ক্ষতি হবে। যা হয় হোক। তাহমিনা বেগম কে নিজের থেকে ছাড়াতে ছাড়াতে কঠোর গলায় রুশান বললো,
-“বলেছি তো‌ জানি না আমি। আমাকে এটা নিয়ে আর জ্বালাতন করবা না মা, প্লিজ।”
বলেই সিঁড়ি বেয়ে উপরে চলে গেলো রুশান।

তাহমিনা বেগম কাঁদতে কাঁদতে মেঝেতে বসে পড়লেন। সে জানে রুশান সবটা না জানলেও ঝুমের ব্যাপারে অনেক কিছুই জানে কিন্তু মুখ খুলছে না। হয়তো খুলবেও না। নিজের ছেলেকে বাচানোর জন্য এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে তাহমিনা বেগম।

তাছাড়া আরমান আরো একটা ব্যাপার নিয়ে আজ সকালে তাকে শাসিয়েছেন। নয় বছর আগের ঘটনা নিয়ে আরমান তাকে এখনো ব্লাকমেইল করবে সেটা তার কল্পনায়ও ছিলো না। সেই ঘটনা সামনে এলে তাকে তার স্বামী নিজ হাতে খুন করবে এটা সে শতভাগ নিশ্চিত। দুশ্চিন্তা,ভয় সবকিছু একসাথে জেঁকে বসেছে তার উপর।

তার স্বামীও সেদিন রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন তারপর আর ফেরেনি। ফোন করলেও‌ রিসিভ করে না। সবাই তার থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছে। তার পাপের শাস্তি শুরু হয়েছে বোধ হয়।

-” ঝুম তোর হলো?”
-“হ্যাঁ হয়েছে। আর একটু দাঁড়া।”
-“হুহ দাঁড়াতে দাঁড়াতে পায়ে ব্যাথা হয়ে গেলো। তাড়াতাড়ি কর।”
-” আর দুই মিনিট দে ।”

রুমঝুম আর মেঘা রেডি হয়ে দ্রুত রুম থেকে বের হলো। তড়িঘড়ি করে কলেজ যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হতে গেলে পিছু ডাকলো মাহেরা খাতুন ।
-“এই এই না খেয়ে কোথায় যাচ্ছিস দুজন? খেয়ে যা চুপচাপ।”
-“সময় নেই মা। একদম সময় নেই। প্রথমেই ডিপজল স্যারের ক্লাস বুঝলে? লেট করলে রক্ষে থাকবে না।”

মেঘার কথার ধরন দেখে তার মা আর রুমঝুম দুজনই হেঁসে ফেললো। পেছন থেকে মেহেদী এগিয়ে এসে ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞাসা করলো,
-“হু ইজ ডিপজল স্যার,মেঘা? আমি যতদূর জানি তোর ডিপার্টমেন্টে ডিপজল নামে কোনো স্যার নেই।”
মেহেদীকে দেখে মেঘা খানিকটা চমকে গেলো। শুকনো ঢোঁক গিলে আমতা আমতা করে বললো,
-” মানে ভাইয়া ওই যে ডিপজলের মতো ভয়ংকর দেখতে ওই স্যারটা। আনিসুল ইসলাম স্যার আর কি।”

মেহেদী চোখ পাকিয়ে তাকালো বোনের দিকে। অসভ্যদের মতো টিচারদের নিয়ে ফাজলামি তার একদমই পছন্দ না।মেঘা মাথা নিচু করেই দাঁড়িয়ে আছে। কথাটা বলার আগে ভাইকে দেখলে কক্ষনো বলতো না ওটা।
মেঘাকে এই বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করলো রুমঝুম। মাহেরা খাতুনের দিকে তাকিয়ে বললো,
-“আন্টি আমরা ক্যান্টিন‌ থেকে খেয়ে নিবো। তুমি চিন্তা করো না। মেঘা চল।”
বলেই হুড়মুড় করে বেরিয়ে গেলো দুজন। মেহেদী আরো একঘন্টা পরে যাবে। তাই সে বাড়িতেই রয়ে গেলো।

মেঘাদের বাড়ি থেকে ভার্সিটি পৌঁছাতে প্রায় চল্লিশ মিনিট লাগে। ভার্সিটিতে এসে দুজন ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ালো ক্লাসের দিকে।
কিন্তু বিধিবাম। সেই তাদের বারো মিনিট লেট হয়েই গেলো। ফলস্বরূপ ক্লাসে ঢুকতে দিলো না মেঘার তথাকথিত ডিপজল স্যার। মেঘা পেঁচার মতো মুখ করে মাঠে এসে বসে পড়লো।

রুমঝুম তো মেঘার দিকে তাকিয়ে হেঁসে কুটিকুটি। মেঘা দাঁত কিড়মিড় করে বললো,
-“একদম হাসবি না বিয়াদ্দপ মেয়ে। তোর জন্য ক্লাস মিস হলো আজকে আমার।”
রুমঝুম বহু কষ্টে হাঁসি থামালো। নিজেকে সামলে নিয়ে বললো,
-“আচ্ছা সরি। কাল থেকে একটুও দেরি করবো না। এখন চল খেয়ে আসি। ক্ষুধা লাগছে আমার।”
মেঘা রুমঝুমের দিকে তাকিয়ে ভেঙচি কাটলো। তারপর উঠে দাঁড়িয়ে বললো,
-“চল। খেয়ে আসি। পরের ক্লাসটা মিস দেওয়া যাবে না।”

দুজন মিলে ক্যান্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা হলো।
ক্যান্টিনে গিয়ে দুজন দুটো স্যান্ডউইচ নিয়ে কর্নারের টেবিলে গিয়ে বসলো। রুমঝুম খাওয়া শেষ করে উঠতে গেলে মেঘা বললো,
-“আমি আরেকটা স্যান্ডউইচ খাবো, ঝুম। আরেকটু বস।”
রুমঝুমকে বসিয়ে মেঘা গেলো স্যান্ডউইচ আনতে।

হঠাৎ চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজে পেছনে তাকালো রুমঝুম। দেখলো মেঘা একটা ছেলের সাথে তর্কাতর্কি করছে। ছেলেটা উল্টাদিকে দাঁড়ানো বলে রুমঝুম ভালো‌ করে তার মুখ দেখতে পারছে না।মেঘাকে থামানোর উদ্দেশ্যে রুমঝুম টেবিল ছেড়ে মেঘার কাছে গেলো।

-“আরে আমি ইচ্ছা করে ফেলেছি নাকি? তাড়াহুড়ো করে হাঁটতে গিয়ে ধাক্কা লেগেছে।”
-” ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক ধাক্কা তো মেরেছেন ,আর আমার স্যান্ডউইচ টাও পরে গেছে আপনার জন্য।”
-“আমি তো‌ বলছি স্যান্ডউইচ কিনে দিচ্ছি তবুও আপনি পায়ে পা দিয়ে আমার সাথে ঝগড়া করছেন কেন?”
-“কি বললেন? আমি আপনার সাথে পা..

-“এই মেঘা থাম তো। কি শুরু করেছিস? সবাই দেখছে।”
পরিচিত কন্ঠস্বর শুনে পেছনে তাকালো তিহান। রুমঝুমকে এখানে দেখে বেশ অবাক হয়েছে সে। রুমঝুমও কম অবাক হয়নি তিহান কে দেখে। রুমঝুম হেঁসে বললো,
-“কেমন আছেন ভাইয়া?”
তিহানও হালকা হেঁসে বললো,
-“এইতো ভালো আছি। তুমি এখানে?”
-“এই কলেজে ভর্তি হয়েছি । ”
-“বাহ।খুব ভালো করেছো। তা এই ঝগড়াটে মেয়েটা তোমার বান্ধবী নাকি?”

তিহানের কথায় মেঘা আবার রাগে ফুঁসে উঠলো। মেঘাকে আরো রাগাতে রুমঝুম ফিক করে হেঁসে দিলো।
মেঘা বেচারি এবার রাগ বাদ দিয়ে অসহায় দৃষ্টিতে রুমঝুমের দিকে তাকালো।চোখের ভাষায় বুঝালো,’তোর মতো বান্ধবীর চেয়ে শত্রু অনেক ভালো।’

তিহান আর রুমঝুম একদফা হেঁসে তারপর শান্ত হলো। তিহান বললো,
-“ওরা চারজনও চলে এসেছে ক্যাম্পাসে। চলো দেখা করে এসো।”
রুমঝুমেরও সিন্থিয়ার সাথে দেখা করতে খুব ইচ্ছে করছিলো তাই সেও বিনা বাক্যব্যয়ে রাজি হয়ে গেলো। ও ভাবতেও পারেনি এভাবে আবারও ওদের পাঁচজনের সাথে ওর দেখা হবে।

তিহান ,রুমঝুম আর মেঘা বের হয়ে এলো ক্যান্টিন থেকে। ভার্সিটির দক্ষিণে বড় একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ আছে। সবসময় ওখানে বসে আড্ডা দেয় ওরা পাঁচজন। রুমঝুম আর মেঘাকে নিয়ে সেদিকেই গেলো তিহান।

-“ঝুউউউউউমম ।হোয়াট আ প্রেজেন্ট সারপ্রাইজ !তুমি কোত্থেকে এলে এখানে?”
সিন্থিয়ার চিল্লানিতে বিথী ,প্রান্ত আর শানও তাকালো রুমঝুমের দিকে।
ঝুম মিষ্টি হেঁসে জড়িয়ে ধরলো সিন্থিয়াকে। শান শীতল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার চন্দ্রকন্যার দিকে। মেয়েটার হাঁসিও ভীষণ মিষ্টি। তিহান বললো,
-“ও কোত্থেকে এলো মানে কি? এটা তোর পৈত্রিক ভার্সিটি নাকি যে কেউ এখানে আসলে জিগাস কোত্থেকে আসলো?”

সিন্থিয়া তিহানের দিকে চোখ গরম করে তাকালো। তখনই চোখে পড়লো মেঘার দিকে। রুমঝুমকে বললো,
-“এটা কে ঝুম?”
-“মেঘা। আমার ফ্রেন্ড। আরে তুমিও তো চিনবা। ওইযে মেহেদী স্যার আছে না?”

মেহেদীর নাম শুনতেই সিন্থিয়ার চোখ চকচক করে উঠলো। অতি আগ্রহের সাথে বললো,
-” হ্যাঁ আছে তো।”
-“মেঘা উনার বোন।”
সিন্থিয়া মৃদু চিৎকার করে বললো,
-“সত্যি? এজন্যই দেখতে কিছুটা মিল আছে।”

মেঘা সিন্থিয়ার কথার মধ্যেই বলে উঠলো,
-“না আপু। আমার আর ভাইয়ার মধ্যে কোনো‌ মিল নেই। আপনি ভুল দেখেছন হয়তো।”
রুমঝুম ,মেঘা আর সিন্থিয়া বাদে বাকি সবাই হেঁসে উঠলো। প্রান্ত হাসতে হাসতেই চাপা গলায় বললো,
-“ননদিনীকে পেয়ে আমাদের সিন্থুর মাথার তার সবগুলো ছিড়ে গেছে। বেচারি আবেগে অতি আপ্লুত হয়ে কি থেকে কি বলছে নিজেই জানে না।”

রুমঝুম সবাইকে হাঁসতে দেখে নিজেও হেঁসে ফেললো। হঠাৎ করেই চোখাচোখি হয়ে গেলো শানের সাথে। রুমঝুম একনজর তাকিয়ে চোখ নামিয়ে ফেললো। তবে একনজরেই যেন শানকে মস্তিষ্কে এঁকে নিলো সে। ইসস ছেলেরাও বুঝি নজরকাড়া হাঁসি হাসতে জানে?
রুমঝুম আর দ্বিতীয়বার তাকানোর সাহস পেলো না। সে ওই একনজরেই শানের গভীর সমুদ্রের মতো চোখজোড়া দেখে নিয়েছে। ওই চোখের দিকে আবার তাকালে তলিয়ে যেতে পারে। ভরসা নেই।

শান একদৃষ্টিতে রুমঝুমের দিকে তাকিয়ে আছে। কি সুন্দর করে কথা বলছে মেয়েটা। শান একটা জিনিস খুব ভালো মতো খেয়াল করলো। সেটা হলো রুমঝুম কথা বলার সময় খুব বেশি পরিমাণে হাত নাড়ায়। শান মুচকি হাসলো এটা দেখে। শানের সেই হাঁসিটা মেঘার চোখ এড়ালো না । অল্পতে সবকিছু বুঝে ফেলা মেয়েটা আজও অনেককিছুই বুঝে নিলো।

-“ঝুম এখন চল। ক্লাস শুরু হয়ে যাবে।”
মেঘার কথায় রুমঝুম উঠে দাঁড়িয়ে বললো,
-“আচ্ছা চল। সিন্থিয়া আপু আমরা আসি।”
-“আচ্ছা এসো। কাল কখন ক্লাস আছে তোমাদের?”
সিন্থিয়ার প্রশ্ন শুনে রুমঝুম প্রশ্নবোধক চোখে তাকালো মেঘার দিকে।মেঘা বললো,
-“কাল নয়টায় ক্লাস আছে।”
-“গ্রেট। আমাদেরও ওই টাইমে ক্লাস আছে। ক্লাস শেষে দুজনই এখানে চলে এসো। অনেক আড্ডা হবে।”
রুমঝুম মেঘা দুই জনই হেঁসে ফেললো। একসাথেই বললো,
-“আচ্ছা আপু। আজ তাহলে আমরা আসি। সবাই ভালো থাকবেন।”
সবার থেকে বিদায় নিয়ে রুমঝুম আর মেঘা তাদের ক্লাসের পথ ধরলো। শান উদাস ভঙ্গিতে তাকিয়ে আছে রুমঝুমের যাওয়ার পানে।

বেলা একটা নাগাদ রুমঝুম আর মেঘার ক্লাস শেষ হলো। ক্লাস শেষে দুজন তাড়াহুড়া করে বের হয়ে এলো ক্যাম্পাসে। ক্লাস যখন শেষের পথে তখন রুমঝুম বুঝতে পারলো তার বাম পায়ের নুপুরটা নেই। এটা খেয়াল করেই রুমঝুমের বুকটা ধক করে উঠলো। নুপুরটা তার মায়ের। রুমঝুমের আঠারো তম জন্মদিনে তার বাবা এই নুপুরটা তাঁকে দিয়েছিলো। তার বাবা অনেক যত্নে এই নুপুর জোড়া তুলে রছখেছিলেন।
সেদিন রেজাউল সাহেব এই নুপুর রুমঝুমকে দিয়ে বলেছিলেন ,
-“ভেবে নিয়ো এটা তোমার মায়ের দেওয়া উপহার। সামলে রেখো এটাকে।”

রুমঝুম কি তবে সামলে রাখতে পারলো না‌ নুপুর জোড়া? ক্যাম্পাসে যেখানে যেখানে ওরা গিয়েছিলো সবখানেই দেখেছে। কোথাও নেই তার মিসিং নুপুরটা। রুমঝুম ডুকরে কেঁদে উঠলো। রুমঝুম কেঁদে কেঁদে বলছে,
-“আমার মা কে ও ধরে রাখতে পারলাম না,মায়ের স্মৃতিকেও ধরে রাখতে পারলাম না। কেমন‌ মেয়ে আমি,বল তো মেঘা?”

মেঘা কিছু বললো না। কিই বা বলবে ও। রুমঝুম খানিকক্ষণ কেঁদে নিজেকে শান্ত করলো। কান্নার ফলে রুমঝুমের ঠোঁট,চোখ আর নাক লাল হয়ে উঠেছে। ভয়ংকর সুন্দরী লাগছে তাকে।
রুমঝুম অন্য পায়ের নুপুরটা শক্ত করে লাগিয়ে নিলো। তারপর মেঘাকে নিয়ে ক্যাম্পাস‌ ছেড়ে বেরিয়ে এলো।

গেটের কাছে আরাফাত আর ওর দলবল মিলে আড্ডা দিচ্ছে। এলাকার এক নাম্বারের বখাটে ছেলে আরাফাত। সারাক্ষণ ভার্সিটির গেটে দাঁড়িয়ে মেয়েদের টিজ করাই ওর কাজ। এলাকার প্রভাবশালী নেতার ছেলে হওয়ায় কেউ কিছু বলতেও পারে না তাকে।

আজ আরাফাতের নজর খুব বাজেভাবে পড়লো রুমঝুমের উপর। লাল ঠোঁট,লাল নাক,ফোলা চোখ আর মুখে সূর্যের আলোতে যেন এক আগুন সুন্দরী হয়ে উঠেছে রুমঝুম। আরাফাত হা করে তাকিয়ে রইলো রুমঝুমের দিকে। তবে রুমঝুম সেদিকে খেয়াল করলো না।সে তো তার নুপুর হারানোর শোকে কাতর।

রুমঝুম আর মেঘা গেট ছেড়ে চলে যাওয়ার পর আরাফাত একজনকে বললো,
-“এই সুন্দরীটা কে রে? আগে তো‌ দেখিনি। ভার্সিটিতে নতুন নাকি?”
-“মনে হয় নতুনই ভাই। আমিও আজকেই দেখলাম।”
-“কালকে ও ভার্সিটিতে আসা মাত্রই আমারে খবর দিবি। মাইয়াটারে আমার ভীষণ ভাল্লাগছে।”

চলবে………..

(ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। )

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে