গল্প:-লাভ_স্টোরি_Session_২ পর্ব:-(০৩)
লেখা_AL_Mohammad_Sourav
!!
কি ব্যপার তসিবা গেলো কোথায় এই মেয়েটা আমাকে পাগল করে ছারবে।
পার্লার থেকে বেড়িয়ে আমি তো অবাক আরে আমার গাড়ীর সামনে দাড়িয়ে আছে এইটা কোন মেয়ে? কাছে যেতেই,,
আপনি বিউটি পার্লারের ভীতরে কি করতে গেছেন,,?
আরে আপনি কে আমাকে আবার প্রশ্ন করছেন? বলে এদিক ঐদিকে খুজতে লাগলাম তসিবাকে তখনি,,,
কি হলো ঐদিকে কি দেখছেন আমার খিদে পাইছে! কখন যাবো রেস্টুরেন্ট খাবো কখন?
আপনার সমস্যাকি বলেন তো কখন থেকে উল্টা পাল্টা বলে যাচ্ছেন?
মানে আমি উল্টা পাল্টা বলছি নাকি? আপনার মাথাটা গেছে নিজের বউকে চিনতে পারছেন না!
তুমি তসিবা এতো সেজেছো কেনো?
তসিবা: হ্যা আমি আপনার জান আপনার প্রান আর আপনার একমাত্র আদরের বউ তসিবা ইসলাম। এবার চলেন আরো কত কাজ করতে হবে।
আমি: হ্যা চলো আর তুমি কখন বেরহলে আমি তোমাকে খুজতে গিয়ে দেখি তুমি পার্লারের ভীতরে নেই। তখন আমার কি অবস্তা হয়ছিলো জানো?
তসিবা: আমি ইচ্ছে করে আপনাকে ডাক দেইনি। কারন আমি দেখতে চাই ছিলাম আপনি আমাকে খুজেন কি না। তবে আপনি কিন্ত পাগলের মত এদিকে ঐদিকে আমাকে খুজেছেন। তা দেখে আমার অনেক ভালো লাগছে জানেন!
আমি: আজ তোমাকে বাড়ীতে নিয়ে যায়। তারপর বুজাবো এখন চলো, বলে গাড়িতে বসলাম। তসিবার সিট বেল্টা লাগিয়ে দিলাম, তবে আজ কিন্ত তসিবাকে অনেক সুন্দর লাগছে। চুল গুলো ছেরে দিয়েছে ব্রু ফ্লাক করছে চেহারাটা একদম চেন্জ হয়ে গেছে। এক কথায় অসাদারুন লাগছে, একটু পর পর আমি তাকাচ্ছি তসিবার দিকে তখনি।
তসিবা: কি দেখছেন এমন করে আড় চোখে সরাসরি দেখতে আমি কি মানা করছি নাকি?
আমি: তুমি এত কথা বলো কেনো চুপ করে বসো তানা হলে গাড়ী থেকে নামিয়ে দেবো কিন্ত!
তসিবা: আগে আরো নামিয়েছেন এখন আর নতুন কি বলেন নেমে যাবো!
আমি: আর যদি একটা কথা বলো। তাহলে সত্যিই এখানে নামিয়ে দিবো বলে দিলাম চুপ করে বসো।
তসিবা: এই ঠোটে আঙ্গোল দিলাম আর একটা কথা বলবোনা!
আমি: ঠিক আছে সারা রাস্তায় একটা কথা বলেনি। তবে তসিবার বক বক গুলো আমার ভালোই লাগে, কিন্ত বেশি বক বক করে মেয়েটা। একটু পর গাড়িটা একটা রেস্টুরেন্টের কাছে এসে থামালাম। আমি তসিবার সিট বেল্টা খুলে দিলাম দুজনে গাড়ী থেকে নেমে রেস্টুরেন্ট ভীতরে যাইতেছি। আমি আগে ঢুকে গেলাম কিন্ত তসিবা ঢুকেনি তাকিয়ে দেখি তসিবা বাহিরে দাড়িয়ে আছে। ঢুকতে পারছেনা আমি গিয়ে হাত ধরে ভীতরে নিয়ে আসলাম তখনি।
তসিবা: ছিঃ
আমি: ছি বলছো কেনো?
তসিবা: মেয়েটার কি লজ্জা সরম বলতে কিছু নেই নাকি!
আমি: কোন মেয়েটার!
তসিবা: দেখেন মেয়েটা কত ছোট কাপড় পড়ছে আর বুকের উপর কোন ওরনা নেই।
আমি: তাতে তোমার কি?
তসিবা: আমার কোন সমস্যা নেই। তবে ইচ্ছে করছে গিয়ে একটা কানের নিচে দেই আর বলি আপনার বাবা মা কি ভালো করে শিক্ষা দেইনি!
আমি: দেখো ওদের বাবা ওদের ভালো করে শিক্ষা দিয়েছে আর তা নিয়ে তোমার মাথা গামাতে হবেনা এবার বসো! বলে তসিবার জন্য চেয়ারটা টান দিয়ে পেছনে নিতেছি তখনি বলে,,
তসিবা: আমি বসবো এখানে!
আমি: তোমার জন্য চেয়ারটা পিছিয়ে দিচ্ছি নাও এখন বসো। আর মিনু কার্ডটা দেওয়া আছে সামনে তা দেখে বলো কি খাবে?
তসিবা: উয়াক!
আমি: এমন করছো কেনো কি হয়ছে তোমার?
তসিবা: কি বিশ্রি খাবার দেখতে। আপনি বুঝি এইসব পচা খাবার খান?
আমি: তার জন্য আমি বলছি তুমি আমার সাথে বেড় হবার দরকার নেই কিন্ত তুমি শোনলে না?
তসিবা: আপনি যা অডার করবেন আমি তাই খাবো!
আমি: ঠিক আছে উয়েটার কে বলে দিলাম একটু পর উয়েটার খাবার নিয়ে চলে আসছে। তসিবার খাবার তেমন পছন্দ হয়নি কারন তসিবা এমন খাবার কোনদিন খায়নি মনে হয়। তবে আমার জন্য হয়তো খাবে তখনি আরে কি করছো তুমি?
তসিবা: কেনো কি করছি?
আমি: হাত দিয়ে খাচ্ছো কেনো চামচ দেওয়া আছে চামচ দিয়ে খাও। আর এখানে একটা রুমাল দেওয়া আছে নিছে কাপড়ের উপর দিয়ে নাও। তানা হলে ময়লা পড়বে তোমার কাপড়ে!
তসিবা: আমি হাত দিয়ে খাবো আর ময়লা না পড়লেই চলে। এবার খান তবে এর চাইতে ভালো খাবার আমি নিজে বাড়ীতে তৈরি করতে পারি।
আমি: জানি তোমাকে বলতে হবেনা এখন খাবারটা শেষ করো দুজনে খাবার খেয়ে নিলাম তারপর উয়েটার বিলটা দিয়ে গেলো তখনি,,
তসিবা: এইটুকু খাবারের দাম তিন হাজার টাকা। এর চাইতে ভালো খাবার আমাদের গ্রামের হোটেলের খাবার গুলো।
আমি: জানি তো তুমি এইটা বলবে এই জন্য তোমাকে নিয়ে আসতে চাইছিলাম না!
তসিবা: আমি আপনাকে বাসায় এর চাইতে ভালো খাবার বানিয়ে দেবো!
আমি: তোমার বক বক শেষ হলে চলো এবার বলে উয়েটারকে একশ টাকা বকশিস দিয়ে বেরহয়ে আসতে ছিলাম তখনি,,
তসিবা: আরে কি করছেন ওনাকে কেনো টাকা দিতেছেন? ওনাকে তো বেতন দিয়ে রাখছে আমাদের খাবার পরিবেশন করতে বলে ওর কাছ থেকে টাকাটা নিয়ে নিতে চাইছিলো!
আমি: আরে কি করছো তুমি বলে ওর হাত ধরে টেনে নিয়ে আসলাম বাহিরে। এই তোমার সমস্যা কি বল তো একটু বুদ্ধি নেই তোমার মাথায়। এত বোকা কেনো তুমি চলো এখন মার্কেটে যাই!
তসিবা: যাব তো তার আগে ভুট্টা খাবো চলেন?
আমি: ভুট্টা খাবে মানে তুমি একটু আগে খাবার খেয়ে আসলে এখন আবার খাবে তবে ভুট্টা পাবো কই চলো আর খেতে হবেনা!
তসিবা: ঐ তো রাস্তার ঐ পাশে ভুট্টা দেখা যাচ্ছে প্লিজ এইটা লাস্ট আর কোন কিছু চাইবোনা।
আমি: মনে থাকে যেনো বলে আমি ভুট্টা আনতে গেলাম তখনি আমার মনে পড়ে গেলো আরে গতকাল তসিবা আমাকে না বলছে যে আজ প্রিয়ার সাথে দেখা করতে দিবেনা তাই এমন করছে দ্বাড়াও এবার তোমাকে মজা দেখাবো। ভুট্টার কাছে গিয়ে ভুট্টা কিনে নিয়ে আসলাম নাও ধরো। এখন চলো দুজনে গাড়ীতে বসলাম সারাটা রাস্তায় বক বক করে আসছে। আর আমার কান গুলো ঝালা ফালা করে ফেলছে নামো এবার।
তসিবা: এখানে নিয়ে আসলেন কেনো আমি এখান থেকে কিছু কিনবোনা!
আমি: কোথায় থেকে কিনবে একটু শুনি?
তসিবা: আমাদের গ্রামে যেমন মার্কেট থাকে এমন মার্কেট এখানে নেই।
আমি: না নেই চলো যা কিনবে দুই ঘন্টার মধ্যে কিনবে। এর বেশি সময় আমি তোমাকে দিতে পারবোনা বলে দিলাম।
তসিবা: ঠিক আছে এখন আমার হাতটা ধরে নিয়ে যান তানা হলে আমি হারিয়ে যাবো।
আমি: দাও হাত।
তসিবা: নেন,, তসিবা হাত এগিয়ে দিয়েছে আমি ওর হাত ধরেছি।
আমি: চলো তসিবার হাত ধরে নিয়ে গেলাম মার্কেটের ভীতরে। যখন দোকানের ভীতরে ঢুকলম তখন হলো আরো বিপত্তি আরে করছে কি মেয়েটা আজ আমার মানসম্মানের বারোটা বাজাবে। আর তখনি
তাকিয়ে দেখি দোকানে সেল্সমেনের সাথে ঝগড়া শুরু করে দিয়েছে। দামা দামি করছে আর বলছে
তসিবা: এই জামাটার দাম এত টাকা হয় নাকি
আমি: তসিবা হচ্ছেটা কি তোমার যেইটা পছন্দ সেইটা ওনাকে দেখিয়ে দাও। এত কথা বলছো কেন?
তসিবা: আমি এখান থেকে কোন কিছু কিনবোনা, আমার একটা কাপড় পছন্দ হয়না চলেন অন্য মার্কেটে যাই!
আমি: না তা হবেনা যা কিনবে এখান থেকে কিনতে হবে!
তসিবা: ঠিক আছে আমি কিছু কিনবো না!
আমি: তাহলে ভালোই হবে চলো বাসায় যাই!
তসিবা: না কিনবো তবে অন্য দোকান থেকে চলেন বলে আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে আসলো। অন্য দোকানে এখান থেকে কিনবো!
আমি: ঠিক আছে নাও, তবে দামা দামি করবেনা নিছে প্রাইজ দেওয়া আছে। আর তোমার প্রাইজ নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা!
তসিবা: আপনি আমার সাথে সাথে থাকুন তাহলে!
আমি: ঠিক আছে তোমার সাথে আছি নাও, দেখো কোনটা পছন্দ হয় যেইটা হবে তুমি শুধু বলবে যে তোমার পসন্দ হয়ছে!
তসিবা: আচ্ছা দেখছি বলে ঘুরে ঘুরে কাপড় দেখতে আছে কোনোটা পছন্দ করছেনা। আমার রাগ হচ্ছে প্রাই ৩০মিনিটের মত ঘুরে দেখলো কিন্ত একটা কাপড় পছন্দ করেনি,,
আমি: কি হলো কাপড় পছন্দ করোনা কেনো, কখন ধরে ঘুরতে আছো কিছুই কিনছোনা কেনো?
তসিবা: দেখছি তো কোন কাপড় পছন্দ হচ্ছেনা তাই আপনি পছন্দ করে দেননা
আমি: ঠিক আছে তাহলে আসো আমার সাথে,, তসিবাকে ৬টা চুরিদার আর দুইটা শাড়ী কিনে দিলাম। তারপর বিল দিয়ে বেরহলাম সারে ৬টা বেজে গেছে।
তাহলে তোমাকে একটা সি এন জি ঠিক করে দেই তুমি বাসায় চলে যাও!
তসিবা: না আমি একা যেতে পারবোনা, আপনি আমায় বাসায় দিয়ে আসোন। আর আমার একা যেতে ভয় করে!
আমি: ঠিক আছে, তবে আমি বাসার সামনে নামিয়ে চলে আসবো। তুমি একা বাসার ভীতরে যাবে বলে দিলাম
তসিবা: ঠিক আছে আমি একা ভীতরে যাবো?
আমি: হ্যা চলো দুজনে গাড়িতে ওঠে বসলাম। তসিবার সিট বেল্টা লাগিয়ে দিলাম।
তসিবা: আমাকে আপনি ভালোবাসতে হবেনা, শুধু এভাবে কাছে রাখলে হবে। আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসবো কি রাখবেন কাছে?
আমি: না কোনদিন রাখবোনা, তুমি চলে যাও আমার জীবন থেকে। তাহলে আমি অনেক খুশি হবো আর তুমি অনেক ভালো থাকবে!
তসিবা: আমি কোনদিন যাবোনা। আর যদি যায় তাহলে একেবারে যেইদিন মরে যাবো সেইদিন যাবো।
আমি: কি বললে তুমি আর কোনদিন এমন কথা বলবেনা বলে দিলাম এবার একটু চুপ করে বসো কিছুক্ষন পর বাসার সামনে আসলাম। গাড়িটা থামিয়ে সিট বেল্টা খুলে দিলাম, তসিবা তার শপিং ব্যাগ গুলো নিয়ে নেমে পড়লো। তখনি দেখি তসিবা হঠাত করে মাটিতে পড়ে গেলো। আমি তো হতবঙ্গ হয়ে গেলাম, আরে এখন আবার কি হলো মেয়েটার, এতক্ষন তো ভালোই ছিলো,,আমি গাড়ী থেকে নেমে গিয়ে তসিবাকে ডাকতেছি কোন সারা শব্দ দিচ্ছে না,, তারাতারি করে তসিবাকে কোলে তুলে নিলাম,,
এই প্রথম তসিবাকে আমি কুলে নিলাম। ভালোই লাগছে আমার,, যখন তসিবাকে কোলে নিয়ে বাসার ভীতর ঢুকলাম আর তখনি,,,To be continue,,,