#ওয়ারদূন_আসরার
#লাবিবা_ওয়াহিদ
|| পর্ব – ২১ ||
“জাইফ স্পেশাল”
– হ্যাঁ ঠিক ধরেছিস আমি-ই রাজকুমার। রাজকুমার জাইফ আহরার ইজায!
অবয়কগুলো বড় বড় চোখ করে জাইফের দিকে তাকালো এবং বারবার ঢোক গিলতে থাকে কারণ যে তাদের একই হাতে চারজনের গলা ধরতে পারে সে কতোটা ভয়ানক হতে পারে!
– তোদের সাহস তো কম না তোরা আমার কলিজায় হাত দিতে এসেছিস? তোদের ওই রামছাগল সর্দারের কথায় তাইতো? তোদের সর্দারের এতো সাহস কই থেকে জুটলো?
– দেখ রাজকুমার তুই কিন্তু ভুল করছিস সর্দার তোকে হাতে পেলে আস্ত রাখবে না তাই আমাদের ছেড়ে দে নইলে তোর বিপদ ঘনিয়ে আসবে।
জাইফ তাচ্ছিল্যের সুরে বলে,”তোদের শয়তান পূজারী সর্দার আমার ছায়াও মুড়াতে পারবে না আর তোরা সেই সর্দারের ভয় দেখাচ্ছিস? আর তোদের সর্দার কি করলো না করলো তা ভেবে আমার কোনোরকম মাথা ব্যথা নাই। তোরা যেহেতু আমার আসল পরিচয় জেনেছিস + আমার কলিজায় হাত দেয়ার চেষ্টা করেছিস সেহেতু তোরা আজ এখান থেকে বেচে ফিরবি না।”
বলেই জাইফ চোখ বন্ধ করে বিড়বিড় করে কি জানি পড়লো তারপর হাত দিয়ে অবয়কগুলোর গলা আরও চারগুণ জোরে ধরতেই সবগুলো গোঙানির শব্দে ভৎস্ম হয়ে যায়। পরিবেশ স্বাভাবিক হয়ে গেলো কিন্তু জাইফ এখনো রাগে ফুসতে থাকে। চোখ বন্ধ করে হাত দুটো মুঠিবদ্ধ করে রাগ কান্ট্রোল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারপর চোখ খুলে যীনাতের দিকে তাকালো। যীনাতকে কি মায়াবী লাগছে ঘুমন্ত অবস্থায়। এদিকে রুমের মাঝে এতো কিছু ঘটে গেলো তার কি খেয়াল আছে? থাকবে কি করে সে যে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন! জাইফ যীনাতের ঘরের বেলকনি তে গেলো। দূরে তাকিয়ে একজনকে দেখতে পেলো। সেটা আর কেউ না সেই ৭ মাথাওয়ালা সাপটা। কিন্তু সাপটা এদিকে আসতে পারছে না। জাইফ চোখের পলকেই সেই সাপটার সামনে এসে দাঁড়ালো। সাপটা প্রথমে জাইফকে দেখে অবাক হলেও পরে খুশিতে তাদের চোখমুখ জ্বলজ্বল করে উঠে। জাইফের গালে, মুখে তারা তাদের জিবহা দিয়ে আলিঙ্গন করতে থাকে। সাপগুলার পাগলামি দেখে জাইফ হেসে দেয় এবং বলে,”আরে হয়েছে হয়েছে নূরা’স। আর কতো এমন করবি হুম আমি তো আর হারিয়ে যাচ্ছি না!”
সাপগুলো জাইফের কথায় স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়ায়। এবং আস্তে আস্তে জাইফের সমান হয়। জাইফ সাপগুলোর মাথায় হাত বুলিয়ে বলে,”ধন্যবাদ তোদের আমার অগোচরে যীনাতের এতোটা খেয়াল রাখার জন্য নূরা’স। তোরা সত্যি-ই আমার অনেক কিছু। কিন্তু তোরা এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?”
সাপগুলো একে অপরের দিকে তাকিয়ে জাইফের দিকে তাকায়। জাইফ তাদের চাহনী বুঝতে পেরে চোখ বন্ধ করে বিড়বিড় করে কিছু একটা পড়লো। তারপর মাঝের সাপটার মাথায় হাত রাখতেই তারা তাদের বাকশক্তি ফিরে পায়। বড় মাথাওয়ালা সাপটা বলে উঠে,”বাড়িটায় হিন্দু জ্বীনরা বসবাসরত রয়েছে তারা আমাকে ঢুকতে দিচ্ছে না তাই এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছি।”
জাইফ খুব সূক্ষ্মভাবে বাড়ির দিকে তাকায়। হ্যাঁ কিছু জ্বীন আছে সেখানে। জাইফ চোখের পলক ফেলতেই তারা চলে গেলো। তারা চলে যেতেই রাস্তা ফাঁকা হয়ে যায়। জাইফ বলে,”এখন থেকে এবাড়িতে ঢুকতে কেউ বাধা দিলে বলে দিবে তুমি ‘রাজকুমারের পোষা প্রাণী।”
সাপগুলো মাথা নাড়ালো তারপর বলে,”আচ্ছা কুমার আপনার কি সব মনে পরেছে?”
জাইফ মুচকি হেসে মাথা নাড়ায় তারপর গম্ভীর হয়ে বলে,”আমাদের এখানে একসাথে থাকাটা ঠিক নয় তুমি জায়গাটা প্রস্থান করো কেউ যদি দেখে ফেলে সমস্যা সৃষ্টি হবে। আর হ্যাঁ আমি-ই যে রাজকুমার এটা আরও কিছুদিন লুকিয়ে রাখতে হবে।”
সাপটি মাথা নাড়িয়ে সেখান থেকে চলে গেলো। জাইফ আবারও চোখের পলকের যীনাতের রুমে এসে প্রবেশ করে। যীনাত তখনও ঘুমোচ্ছে। জাইফ এই সুযোগে আস্তে ধীরে যীনাতের মাথার কাছে গিয়ে বসে এবং যীনাতের মাথায় স্বাভাবিকভাবে হাত বুলাতে থাকে। হাত বুলাতে বুলাতেই যীনাতের মাথা থেকে সেই মণিটা বেরিয়ে জাইফের সামনে আসলো। জাইফ প্রথমে অবাক হলেও পরে পুরো রুমটা এমন মায়া করে যাতে জাইফের অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় কেউ এই ঘরে প্রবেশ করতে পারবে না, দেখতেও পারবে না রুমে কি হচ্ছে এমনকি শুনতেও পাবে না। জাইফ মণিটা নিয়ে মেঝেতে বসলো আর মনিটা জাইফের সামনে শূন্যে ভেসে আছে। জাইফ আবার বিড়বিড় করে কিছু পড়তেই মণিটাতে কিছু স্পষ্ট দেখতে পেলো। সেটায় দেখা যাচ্ছে এক যুবতীকে। সেই যুবতী আর কেউ নয় যীনাত। যীনাতের পুরো অতীত জাইফ ঘেটে ঘেটে মণিটাতে দেখতে পেলো। ওয়ারদূন আসরার যীনাতের কাছে ছিলো দেখতেই অবাক হয়ে গেলো জাইফ। এই জন্যই তাহলে শয়তানগুলা যীনাতকে নিয়ে এমন উঠেপড়ে লেগেছিলো? জাইফ ফুয়াদের সেই দুর্ঘটনা এবং যীনাতের আগের বিয়ের রাতের সবটা দেখতে শুরু করে।
★
যীনাত যখন নিজের রুমে সাজছিলো তখন জানালার কার্নিশে ভর করে কেউ একজন তাকে মুগ্ধতার মাখে দেখছিলো। আর সেটা ছিলো সর্দারের এক দূত। ফুয়াদ বাগানে কিছু কাজে গিয়েছিলো তখন যীনাতের জানালার কাছে কারো ছায়া দেখতেই চেঁচিয়ে বলে,”কে? কে ওখানে?”
ফুয়াদের কথায় অবয়কটার মনোযোগ ভাঙে সাথে তার রাগ মাথায় চড়ে বসে। এতোটাই রেগে যায় যে ছাদের রেলিং এর এক অংশ দুইহাত দিয়ে ভেঙে ফেলে যা দেখে ফুয়াদ ভয়ে থরথর করে কেঁপে উঠে। সে বুঝে যায় এটা কোনো মানুষ নয়। ভয়ে যেই পালাতে নিবে ওমন সময়ই সেই বড় সিমেন্টের স্থাপনাটা ফুয়াদের মাথা বরাবর ছুড়ে মারে আর সেখান থেকে চলে যায় এবং ফুয়াদ ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে।
যীনাতের হবু স্বামী মাহিন বন্ধুদের সাথে ঠাট্টা মজা করতে করতে যাচ্ছিলো যীনাতের বাসার দিকে, এমন সময়ই যে ড্রাইভার মানে মাহিনের বন্ধু ছিলো সে বলে উঠে,”ভাই বাড়ির ব্রেক করতে পারছি না!”
– মানে কি?
– হ্যাঁ ভাই অটোমেটিক কি করে যেনো স্পিড বেড়ে যাচ্ছে।
মাহিন বন্ধুকে সরিয়ে স্পিডওয়াচে দেখে হ্যাঁ সত্যি! ৯৫, ১২০, ১৫০ এ চলে গিয়েছে। সকলে ভয় পেয়ে যায় এবং তাড়াতাড়ি ব্রেক করার চেষ্টা করে। এতোই চেষ্টা করলো যে ব্রেক করার টপ টা হাতে চলে আসে। শেষে উপায় না পেয়ে সবাই আল্লাহকে ডাকতে থাকে কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। একটা বড় দেয়ালের সাথে গাড়িটা ধাক্কা খেয়ে সবটা দুমড়ে মুচড়ে যায়।
★
জাইফ শান্ত দৃষ্টিতে সবটা দেখলো। তারপর ফুয়াদকে যে মেরেছে তাকে চোখ বন্ধ করে খুঁজতে থাকে এবং পেয়েও যায়। সাথে সাথে জাইফের চোখদুটো আগুনে রূপ ধারণ করে। জাইফ অদৃশ্য হয়ে বাতাসের সাথে মিলিয়ে গেলো। কিছুক্ষণ পর ফিরেও আসলো এবং একটা ঢোকর দিলো। তারপর মণিটা যীনাতের মাথায় খুবই সাবধানে ঢুকিয়ে নিজের ঘরে চলে যায়। ঘরে গিয়ে ওযু সেরে কুরআন তিলওয়াত করতে বসলো। জাইফের কন্ঠে কুরআন তিলওয়াত এতো মধুময়ভাবে ধ্বনি হচ্ছে যে কুরআন তিলওয়াত যীনাত ঘুমন্ত অবস্থায় শুনলো এবং ঘুমের ঘোরে ঠোঁটে হাসি ফুটালো। আযান পর্যন্ত জাইফ কুরআন তিলওয়াত করলো তারপর যীনাতকে গিয়ে ডেকে তুললো নামাজ পড়ার জন্য এবং নিজের রুমে চলে গেলো। যীনাত হা হয়ে শুধু দেখলো জাইফ এই সময়ে উঠেছে??
তারপর বেশি কিছু না ভেবে ওযু করতে চলে যায়। জাইফ অদৃশ্য হয়ে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করে। অনেকদিন পর মসজিদে নামাজ পড়ে জাইফ আলাদা তৃপ্তি পাচ্ছে। যীনাত নামাজ শেষে জাইফের রুমে আঁকি দিয়ে দেখার চেষ্টা করলো জাইফ কি করছে জানার জন্য কিন্তু জাইফ যে রুমেই নেই। যীনাত আরেকদফা অবাক হলো। হঠাৎ পেছন থেকে কেউ বলে উঠে,”কাকে খুঁজছো?”
যীনাত ধড়ফড় করে পিছে ফিরে দাঁড়ায় এবং জাইফকে দেখে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। জাইফ ভ্রু কুচকে বলে,”এতো লাফালাফির কি আছে মনে হচ্ছে যেনো চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছো!”
যীনাত চোখ গরম করে বলে,”কি বললেন?”
– কিছু না। আমার রুমে এভাবে উঁকি দিচ্ছো কেন হুম? আবার মনে মনে কি মতলব আঁটছ?
– কককই কিসের মতলব আমি তো জাস্ট দেখতে চাইছিলাম আপনি কি করেন কিন্তু আপনি তো এখানে। আচ্ছা কোথায় গিয়েছিলেন?
– মসজিদে নামাজ পড়তে গেছিলাম।
যীনাত চোখ বড় বড় করে বলে,”মামানে? কেউ দেখলে….”
-(বলতে না দিয়ে) আরে কেউ দেখেনি নিশ্চিন্তে থাকো এখন শুনো।
– হুম।
– হাটতে বের হবা? ভোরে আমাদের পেছন দিকের সরু পথটায় হাটতে অনেক ভালো লাগে।
যীনাত যেই “হ্যাঁ” বলবে ওমনি তার সেইদিনের কিশোরের পাগলামির কথা মনে পরে যায়। আবার যদি কিশোর যীনাতকে তাড়া করে, তখন তো আর রক্ষা নেই। সেই ভেবেই যীনাতের গায়ে ভয়ে কাটা দিয়ে উঠলো। যীনাত কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে বলে,”আমার খারাপ লাগছে তাই যাবো না আপনি যান।”
জাইফ যেনো কিছু একটা আঁচ করতে পারলো তারপর নিজের রুমে চলে গেলো কিছু না বলে। যীনাত জাইফের যাওয়ার দকে তাকিয়ে ভাবতে লাগে,”আচ্ছা উনি কি রাগ করলো?”
এভাবে বেশ কিছুদিন কেটে যায়। জাইফ যীনাতের সাথে দেখা করা তো দূর কথা অব্দি বলেনা। এতে যীনাত অনেকটাই কষ্টে সময় পার করছে। বারবার নিজের নির্লজ্জ মন জাইফের কাছে ছুটে যাওয়ার তাড়া দিচ্ছে কিন্তু কোনো এক সংকোচবোধ থেকে যেতে পারে না। যীনাতকে মনমরা থাকতে দেখে আনুস্কা বলে,”কিগো যীনাত এভাবে মুখ ভার করে আছো কেন?”
– তেমন কিছু না দি বাদ দাও।
– নাহ কিছু তো একটা হয়েছে বলো বলো কি হয়েছে।
যীনাতকে কয়েকবার জোর করেও আনুস্কা যীনাতের মুখ থেকে একটা শব্দ পর্যন্ত জানতে পারলো না। ভাঙবে তবুও মচকাবে না এমনটাই যীনাত। আনুস্কা শেষে নিরাশ হলো।
★
জাইফ সেই নদীর ধারে আসলো এবং সেখানে বসে কিছু একটা বিড়বিড় করে পড়লো আর সাথে সাথে তার সামনে ইয়ায়া বড় চতুর্ভুজ আকৃতি মেঘ শূন্যে ভেসে উঠলো আর সেটায় মৃদু মৃদু কিছু প্রতিবিম্ব ভেসে উঠে। সেসব প্রতিবিম্বে একজন মহিলা আর একজন পুরুষ। তারা নড়াচড়া করছে। মহিলাটা জাইফকে দেখে চোখের বাধ আটকাতে অক্ষম হলো। কাঁপা কাঁপা খুবই মমতার সুরে বলে উঠে,”জাজাজাইফ পুত্র আমার!”
জাইফ হেসে মাথা নাড়িয়ে সালাম দেয় এবং তারা সালামের উত্তর নেয়। তারপর জাইফ বলে,”হ্যাঁ আম্মাজান তোমার পুত্র যে সেই ছোটবেলায় কোনো এক অজানায় হারিয়ে গেছিলো।”
এবার মহিলার পাশে থাকা পুরুষটাও হু হু করে কেঁদে উঠে এবং বলে,”পুত্র আমাদের ক্ষমা করে দিস। আমরা চাইনি তোর সাথে এতো বড় অন্যায় করতে। কিন্তু কি বলবো বল সবাই যে আমরা পরিস্থিতির স্বীকার ছিলাম। তুই-ই বল বাবা কোন বাবা-মা নিজের সন্তানের বিচ্ছেদ সহ্য করতে পারে?”
– না আব্বাজান এখানে তোমাদের কোনো দোষ ছিলো না। আমি সবটা জানি আব্বাজান তাই তোমরা আমার কাছে ক্ষমা চেয়ে আমার কাছে নিজেকে ছোট করে দিও না। পরিস্থিতি কখন ঠিক কোন পর্যায়ে চলে যায় সেটা একমাত্র আল্লাহ ভালো জানে।
– হ্যাঁ পুত্র ঠিক বলেছিস। দেখেছি হাজেরা আমাদের পুত্র কতোটা বড় এবং কতোটা বুদ্ধিমান ন্যায় পরায়ণ হয়েছে।
বাবা-মা জাইফকে প্রাণ ভরে দেখছে আর জাইফ নিজের বাবা- মাকে। এ যেনো এক আনন্দের মিলন পরিবারের। প্রকৃতিও যেনো আজ তাদের আনন্দ অনুভব করছে। চারপাশে সো সো বাতাস বইছে। আর সেই বাতাসের সাথে তাল মিলিয়ে নদী সমান তালে স্রোতের মাঝে নেচে চলেছে। অনেকক্ষণ নিরবতা বিরাজ করলো তাদের মাঝে। নিরবতা ভেঙে বাদশা(জাইফের বাবা) বলে উঠলেন,”পুত্র ওয়ারদূন আসরার কোথায়? সে সুরক্ষিত তো? মনে রেখো এই ওয়ারদূন আসরার শয়তানদের হাতে পরলে অনেক বড় বিপদ ঘটে যাবে।”
জাইফ মুচকি হেসে নিজের হাত উঁচুতে নিতে তার হাতে চলে আসে এক অপরূপ সুন্দর গোলাপ। যে গোলাপের কাছে পৃথিবীর সব গোলাপ হার মানাবে এতোটাই তার সৌন্দর্য। গোলাপের মাঝে থেকে এক আলোকরশ্মি চারপাশে উচছে পড়ছে তা দেখে যেনো প্রকৃতিও মুগ্ধ। বাদশা এবং তার স্ত্রী ওয়ারদূন আসরারের দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকায়। তাদের দেখে ওয়ারদূন আসরার তাদের সালাম দেয় সাথে জাইফকেও। জাইফসহ তার বাবা মা সালামের উত্তর নেয়। জাইফহাত মুঠি করে ওয়ারদূন আসরার কে অদৃশ্য করে ফেললো। তার মা বাবা নিশ্চিন্ত হলেন ওয়ারদূন আসরার জাইফের কাছে রয়েছে দেখে৷ হঠাৎ মেঘে যেনো গর্জন দিয়ে উঠলো চারপাশের গাছপালাও শান্ত থেকে অশান্ত হয়ে গেলো। নদীর স্রোতও কেমন উতালপাতাল করছে। এ যেনো কোনো বিপদের আগাম আভাস। বাদশাহ চটজলদি বলে,”কোনো বিপদ হয়েছে পুত্র তুমি দ্রুতই প্রস্থান করে সেই ভয়ানক দুর্যোগ সন্ধান করো আল্লাহ তোমার সহায় হোক।”
বাদশাহর কথায় জাইফ মাথা নাড়িয়ে তাদের বিদায় দিয়ে দ্রুতই সেখান থেকে চলে যায়। তার মন বলছে যীনাতের কোনোরকম বিপিদ হবে/হয়েছে।
——————————–
চলবে!!!