ওয়ারদূন আসরার পর্ব-০২ | বাংলা ভালোবাসার গল্প

0
1901

#ওয়ারদূন_আসরার
#লাবিবা_ওয়াহিদ
“০২”

——————————-

জাইফকে নিয়ে অলরেডি কানাকানিও শুরু হয়ে গেছে। হুজুরসহ জাফিয়ার পুরো পরিবারও হা করে তাকিয়ে আছে জাফিয়াও যেনো এর ব্যতিক্রম নয়। আদৌ এতো সুন্দর ছেলে আছে? সকলের এভাবে তাকিয়ে থাকাটা জাইফ পাত্তা দিলো না কারণ এরকম অনেক ঘটনার সম্মুখীন সে হয়েছে তাই নতুন করে বিষয়টা নিয়ে ভাবতে চায়না সে। দেবনাথ দেব সকলের উদ্দেশ্যে বলে,”কি দেখেছেন আপনারা আমার নাতিকে?”

হুজুরের ধ্যান ভাঙলো দেবনাথ দেব এর কথায়। তারপর সে গলা পরিষ্কার করে বলে,”আপনার নাতির নাম?”

– জাইফ আহরার ইজায।

হুজুর যেনো আরেকটা শক খেলো। সে কিছুতেই যেনো কিছু মেলাতে পারছে না পরে সে দেবনাথ দেবকে বললো তার সাথে আলাদা কথা বলতে চায়। দেবনাথ দেব নির্ভিয়ে বলে,”চলুন আমার এতে আপত্তি নেই।”

তারপর হুজুর এবং দেবনাথ দেব কোথায় যেনো চলে গেলো আর জাইফ পড়লো আরেক ঝামেলায়। সে এখন কি করবে? জাইফ উপায় না পেয়ে মেইন দরজার দিকে তাকালো সেখানে জাইফের কিছু গার্ড আছে। জাইফ ইশারা করতেই তারা কয়েকজন ভেতরে আসে এবং তাদের বসকে সন্তুষ্ট করতে তার আশেপাশে থাকে আর জাইফ চুপচাপ একটা চেয়ারে বসে আছে। জাইফ বেশ শান্ত স্বভাবের এবং বেশ ধৈর্যশীল। ছোট থেকেই সে কাউকে না মানলেও তার দাদুকে বেশ মানে এবং সম্মান করেন। দাদুর উপর তার সম্পূর্ণ বিশ্বাস এবং আস্তা আছে।

জাফিয়ার কোনোদিকে খেয়াল না করে তার ভাইয়ের পাশে গিয়ে আবার বসে। ফুয়াদের মাথায় রক্তে ভরা যেনো ফুয়াদের মাথায় ভারি কিছু পড়েছে। জাফিয়ার চোখ দিয়ে অনবরত জল পড়ছেই। কাঁপা কাঁপা হাত দিয়ে ফুয়াদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো। চোখের সামনে ভাইয়ের সাথে কাটানো প্রতিটা স্মৃতি ভেসে উঠছে। কতো দুস্টামি করেছে মায়ের হাতে মার খেয়েছে ফাইজলামির জন্য। শেষে দুজনে না কেঁদে খিলখিক করে হেসেছে। হাতে বা পায়ে ব্যথা পেলে দুইজন দুইজনের সেবা করতো। আর আজ! কি থেকে কি হয়ে গেলো। জাফিয়ার মা কিছুক্ষণেই জ্ঞান হারালো। জাফিয়া চিৎকার করে “মা” বলে উঠে। চাচীরা খালামনিরা সবাই মিলে জাফিয়ার মায়ের জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করছে। আর জাফিয়া কেঁদে কেঁদে শুধু আম্মা আম্মা করছে। ফয়েজও চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। অনেক কষ্টে জ্ঞান ফেরালো। জ্ঞান ফিরতেই জাফিয়ার মাকে বেশ দূর্বল দেখালো। জাফিয়া তো বারবার বলছে,”আমি বিয়ে করবো না আমি এখানেই থাকবো আমি কোথাও যাবো না আমার ভাইকে ছাড়া।

আরও অনেক পাগলামি শুরু করে। শেষে সে নিজেও জ্ঞান হারিয়ে ফেললো। ছেলে মেয়ে স্ত্রীর করুণ অবস্থা ফয়েজ কিছুতেই মানতে পারছে না। কি করবে সে আজ নিজেকে বড্ড অসহায় লাগছে তার। শেষে উপায় না পেয়ে জাফিয়াকে নিজের রুমে ধরাধরি করে নিয়া যাওয়া হলো। আর জাফিয়ার মাকেও টেনেটুনে জ্ঞরে নিয়ে যাওয়া হলো নইলে হীতে বিপরীত হতে পারে। তারা চলে যেতেই ফয়েজ চুপচাপ ফুয়াদের মাথার কাছে বসলো আর তার ভাইয়েরা তাকে শান্তনা দেয়ার চেষ্টা করতে থাকে।

কিছুক্ষণের মাঝেই হুজুর আর দেবনাথ দেব আসলো। হুজুর যা বোঝার বুঝেছে তবে তাদের বলেছে যেনো বিয়েটি কিছুদিন পর করা হয় কারণ এমনেই আজ অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেছে জাফিয়া আর বড় ধাক্কা সহ্য করতে পারবে না। দেবনাথ দেব বুঝতে পেরে জাইফকে নিয়ে সেখান থেকে চলে আসলো। তারা চলে যেতেই হুজুর দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। তারপর ফয়েজকে বলে সকলকে যেতে বললো। ফয়েজ সকলকে বলে দিলো আজ কোনো বিয়ে হবে না আপনারা আসতে পারেন।

বিয়ে হবে না শুনে শুরু হলো তোলপাড়। মহিলারা ছাড়লো না ফয়েজকে কথা শুনাতে।

– তোমার মেয়ে একটা অভিশাপ তাই সব বিপদ ডেকে আনে কে জানে কবে তোমাদের কুড়ে খায়। পারলে একে ঠেঙ্গিয়ে বিদায় করো নাহয় বনবাসে পাঠিয়ে দাও তবুও বিপদ ডেকে এনো না।

জাফিয়ার ছোট চাচা এগিয়ে এসে বলে,”সেটা আপনাদের ভাবতে হবে না আপনারা নিজেদের মেয়েদের গিয়ে সামলান তারপর আমাদের মেয়েদের দিকে আঙুল তুলবেন! গিয়ে দেখেন আপনাদের মেয়েরা কেমন ফষ্টিনষ্টি করে আর আপনারা আসছেন আমাদের আম্মাজানকে কথা শুনাতে? আপনাদের দাওয়াত দেয়া হয়েছে দোয়া দেয়ার জন্য কথা শুনানোর জন্য নয়! আপনারা আসতে পারেন আর কখনো যেনো আপনাদের বাড়ির ত্রিসীমানায় না দেখি!”

– কি বললে কি তুমি? দেখিও তোমাদের পরিবারের কখনো ভালো হবে না ওই মেয়ের জন্য!

– সেটা আমরা বুঝে নিবো।

মহিলাগুলো নিজেদের অপমান সহ্য করতে না পেরে চলে গেলো রাগে ফুসতে ফুসতে। একে একে আরও অনেকেই চলে যান। হুজুর এগিয়ে এসে বলেন,”ভাইজান আমার সাথে মসজিদে আসুন! আর আপনারা ফুয়াদের গোসলের ব্যবস্থা করুন আজকেই জানাজা পড়ানো হবে।”

হুজুরের কথামতো ফয়েজ হুজুরের সাথে মসজিদে আসে। ফয়েজ বলে,”আমাকে এখানে ডেকে নিয়ে আসার কারণ?”

– যীনাতের বড় বিপদ আছে সামনে। ফুয়াদ বা তাদের এক্সিডেন্ট কোনো দুর্ঘটনা নয় সবটাই পরিকল্পনা মাফিক কাজ!

ফয়েজ ভয়ে ভয়ে বলে,”এ.. এর মানে কি হুজুর?”

– যীনাতকে যেই বিয়ে করতে আসবে তারই প্রাণ যাবে আর ফুয়াদের মৃত্যু টাও স্বাভাবিক নয় তা আমি বেশ বুঝতে পারছি। শুনো তোমাকে বলি, যীনাতের বিয়ের উপর অনেক কিছুই ডিপেন্ড করে আছে যা আমরাও জানিনা। কিছু বছর আগের কথা মনে আছে? যীনাত নিজের স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলো তার উপর তাকে যে এই অবস্থা করেছে তাকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার কারণ আমিও জানি। তোমার থেকে একটা বিষয় গোপন রেখেছিলাম। যে যীনাতকে হাসিল করতে চেয়েছিলো তাকেও খুব নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু এর মাঝের ঘটনা আমি বলতে পারবো না যে সে যীনাতের সাথে ঠিক কি করেছে। তা একমাত্র যীনাতই বলতে পারবে কিন্তু যীনাতেরই যে সেই স্মৃতি নেই। সে কোমায় চলে যাওয়ার কারণে তার মাঝের কিছু স্মৃতি মুছে যায়।

– এখন আমরা কি করবো হুজুর?

– দেখো কিছুদিন পরই যীনাতের ২২বছর পূরণ হবে তার আগে যেভাবেই হোক যীনাতকে বিয়ে দিতে হবে। কারণ যারা এসব ঘটনার পিছে আছে তাদের প্রথম টোপ যীনাত! যীনাতকে তাদের যেকোনো মূল্যেই চাই নইলে তারা সবকিছু ধ্বংস করতেও পিছপা হবে না। তাই ১০দিনের আগেই বিয়ে সম্পূর্ণ করতে হবে কারণ ১০দিন পরপরই যীনাতের ২২ বছর পূরণ হবে।

– কিন্তু হুজুর এই অবস্থায় কেই বা বিয়ে করবে আমার মেয়েকে? তারা যে আগেই সেইসব ছেলেকে মেরে ফেলবে।

– ছেলে আছে আর সেটা ওই জাইফ আহরার ইজায!

– মানেহ আবার সেই হিন্দু ছেলেটা?

– আহা!! হিন্দু কই পাচ্ছো তুমি? ওর নামটা বুঝতে পারছো না আদৌ কোনোরকম হিন্দু মনে হয় তাকে? সে যাইহোক তার দাদুর কাছে যা তথ্য পেয়েছি তাতে নিশ্চিন্তে ওদের বিয়ে দিতে পারো তবে সময় নাও।

– যদি তাকেও মেরে ফেলে?

– নিশ্চিন্তে থাকো আমার মন বলছে তেমন কিছুই হবে না উল্টো যীনাত সুরক্ষিত থাকবে। আর বাসার পরিস্থিতি ভালো না।

এবার ফয়েজ ফুয়াদের কথা ভেবে হু হু করে কেঁদে দিলো। হুজুর তাকে সামলানোর চেষ্টা করছে বারবার। একসময় হুজুরও নিজের চোখের জল আটকাতে পারে না।

[যারা নায়িকার নাম নিয়ে কনফিউজড তাদের জন্য, “নায়িকার নাম জাফিয়া যীনাত। পরিবারের সবাই তাকে যীনাত নামেই ডাকে আর জাফিয়া বাইরে প্রকাশ হয়।” আশা করি আর কোনো প্রশ্ন থাকবে না।]

পরদিন সকালে,,

জাফিয়া একমনে নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে আছে। হাতে কালকে ফুয়াদের মাথার রক্ত এখনো লেগে আছে। রক্ত গুলো শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে। কাল রাতেই ফুয়াদকে দাফন করা হয়। জাফিয়ার রাতে ঘুম ভাঙ্গতেই সে আবার পাগলামি শুরু করে দেয়। পরে কোনো উপায় না পেয়ে জাফিয়াকে জোর করে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয়া হয়। তাতে জাফিয়া আস্তে আস্তে ঘুমে ঢলে পড়ে৷ জাফিয়া সকালে উঠে চুপচাপ বসে আছে। পরে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ওযু করে নিলো। কাযা নামাজ পড়ে খুব কাঁদলো মোনাজাতে এবং ভাইয়ের জন্য দোয়া করলো৷ ঘন্টার পর ঘন্টা জায়নামাজে বসে চোখের জল ফেললো। একসময় আবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জাফিয়ার ছোট চাচী জাফিয়াকে খাবার দিতে এসে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখলো আর সাথে সাথে চিৎকার দিলো। সবাই রুমে আসে এবং চটজলদি জাফিয়াকে ধরাধরি করে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ডাক্তারকে ডাকা হলো। ডাক্তার এসে জাফিয়াকে চেকআপ করে বলে,”দেখুন কিছু বছর আগে জাফিয়ার ব্রেইনে খুব বড় সমস্যা হয়েছিলো তার উপর এখন এভাবে জ্ঞান হারাচ্ছে এটা কিন্তু মটেও ভালো লক্ষণ নয়। তাকে একা রাখবেন না কোনোকিছুতেই। এবং কোনোরকম কষ্ট দেয়ার চেষ্টা করবেন না সব ভুলাবেন তাকে নইলে স্পট ডেডও হতে পারে। যাইহোক আমি কিছু মেডিসিন লিখে দিচ্ছি তাকে খাওয়াবেন আর ঠিকমতো খাবার খাওয়াবেন উনি অনেকটাই দুর্বল।

বলেই ডাক্তার চলে গেলো।ফয়েজ মাথায় হাত দিয়ে ভাবছে সে কি করবে। মেয়ের যা করুণ অবস্থা তার উপর বেশি সময়ও নেই কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। জাফিয়ার মাও নিজেকে সামলে নিয়েছে মেয়ের জন্য তবুও পারে না বেশি শক্ত থাকতে। এক ছেলেকে হারিয়েছে এখন মেয়েকে হারাতে পারবে না।

এভাবেই কিছুদিন কেটে যায়। এই কয়েকদিনে প্রতিদিন দুবেলা করে কেউ না কেউ কথা শুনিয়ে গেছে। জাফিয়া বিষয়টা বেশ ভালোভাবে খেয়াল করেছে। তাই সে বুকে এক পাথর বসিয়ে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করেছে। কারণ এমনেই তার পরিবার শোকাহত তার উপর এভাবে নিজের জন্য বাবামাকে বারবার অপমানিত হতে হচ্ছে এখন যদি জাফিয়া নিজেকে কন্ট্রোল না করে তাহলে আরও করুণ অবস্থা হবে। আজ সকালে জাফিয়া নিজেকে স্বাভাবিক করে সোফার রুমে চুপচাপ বসেছিলো এর মাঝেই জাফিয়ার সাথে যার বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো তার মাসহ পুরো ফেমিলি এসে হাজির এবং অনেকরকম কথা শোনায় যা গায়ে লাগার মতো। জাফিয়া চুপচাপ মাথা নিচের দিকে দিয়ে অঝোরে চোখের জল ফেলছে। ছেলের মা দূরে জাফিয়াকে বসে থাকতে দেখে সে ছুটে জাফিয়ার কাছে যায় এবং জাফিয়ার গালে চড় বসিয়ে দেয়। জাফিয়া গালে হাত দিয়ে ছলছল চোখে মহিলার দিকে তাকায়। মহিলাটিকে আরও কিছু মহিলা ধরে রেখেছে যেনো জাফিয়ার কাছে ঘেষতে না পারে৷ ছেলের মা জোরে চিৎকার করে বলে,”তোকে আমি ছাড়বোনা। তোর জন্য আমার কোল খালি হয়েছে অকালে আমি আমার ছেলেকে হারিয়েছি। তুই যে এতোটা অভিশাপ আমাদের পরিবারে ডেকে নিয়ে আনবি তা জানলে আমি তোকে ছেলের বউ করা তো দূরে থাক কখনোই তোর দিকে ফিরেও তাকাতাম না।”

জাফিয়ার ছোট চাচা এবার হুংকার ছেড়ে বলে,”ব্যাস!! অনেক বলেছেন আপনারা। আপনারা কি মানুষ? আপনাদের সাহস কি করে আমাদের আম্মাকে এসব বলার তার কি দোষ এখানে? সবটা আল্লাহর ইচ্ছা কয়বার বলবো আপনাদের? নিজেদের বিবেককে ধরে বাচুন! এভাবে অন্য একটা মেয়েকে দোষারোপ করার কোনো মানেই হয়না। আপনারা কতোটুকু জানেন আমাদে রমেয়ে সম্পর্কে? আপনাদের প্রিয়জন হারিয়েছে আমাদের কি হারায়নি? এখনই আপনারা বের হোন বাড়ি থেকে নইলে আমি আপনাদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করবো।”

মহিলাগুলো আরও কিছু বলে চোখের জল ফেলতে ফেলতে চলে গেলো। তারা চলে যেতেই জাফিয়া ধপ করে ফ্লোরে বসে কাঁদতে থাকে। দূরে জাফিয়ার মা আঁচলে মুখ গুজে কাঁদছে। সে যে সহ্য করতে পারছে না মেয়ের এমন অবস্থা। জাফিয়া চিল্লিয়ে শুধু এইটুকু বলে,”কিসের এতো পরিক্ষা নিচ্ছেন আপনি মাবুদ?”

——————————–

চলবে!!!

(অনেকের অনেক প্রশ্ন রয়েছে এবং অনেকে অনেক ধরণের কথা বলেছেন কিন্তু আমি কিছু বলিনি আর বলবোও না। সকলের নিজের মতামত প্রকাশের অধিকার আছে। তবে এক্টা কথা আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি এক পর্ব দিয়ে পুরো গল্প বিচার করবেন না। কিছু পর্ব যাক আপনাদের ধারণা পালটে দেয়ার চেষ্টা করবো ইন শা আল্লাহ। আর হ্যাঁ ‘ওয়ারদূন আসরার’ মানে হলো ‘গোলাপ রহস্য’! কেমন লাগছে জানাবেন।)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে