#এক_টুকরো_আলো
#পর্ব_০৬
#জিন্নাত_চৌধুরী_হাবিবা
হুরাইনের মা স্বামীর দিকে পানির গ্লাসটি বাড়িয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,“আপনি কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন?”
জনাব আজাদ স্ত্রীকে পাশে বসতে ইশারা করলেন। বসতেই মুচকি হেসে বললেন,“কী মনে হয় তোমার? কেমন সিদ্ধান্ত নিলে আমার আম্মুকে দেখার অনুমতি দিয়েছি?”
হুরাইনের মা উশখুশ করে বললেন,“কিন্তু।”
“ভরসা আছে আমার উপর?”
স্ত্রীর চোখের চাহনিতেই জবাব পেয়ে ঠোঁট আরও প্রশস্ত করলেন। বললেন,“ভরসা করলে এত দুশ্চিন্তা কেন? আমি দেখেছি ছেলেটার আগ্রহ। ছেলের বাবার সাথেও কথা হয়েছে আমার।
আমার চিন্তাভাবনা ভিন্ন কিছু। যদি ওই পরিবারে গিয়ে পরিবারের মানুষগুলোকে সামান্যতম পরিবর্তন করা যায়! যাঁদের আগ্রহ থাকে না, তাঁদের পরিবর্তন করা কঠিন। আল্লাহ যাকে চান হেদায়েত দিতে পারেন। উসিলা যদি আমার মেয়ে হয়। যদি সামান্যতম পরিবর্তন আসে, চেষ্টা করতে ক্ষতি কী?”
“কীভাবে পারবে আমার মেয়ে?”
“তুমি কি ভুলে গিয়েছ, তোমার পুত্র বধূও কিন্তু ভিন্ন পরিবেশে বেড়ে ওঠা মেয়ে। আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে তার মাঝে যে পরিবর্তন এসেছে, কেউ দেখলে বলতে বাধ্য এই মেয়ে ছোটো থেকেই দ্বীনি শিক্ষায় বেড়ে উঠেছে।”
“আমাদের দল ভারী। সেজন্য বউমার মাঝে পরিবর্তন এসেছে। একা একজন আমাদের ভেতরে এসে নিজেকে পরিবর্তন করতে পেরেছে। আমার মেয়েও একা। ওই ছেলের পরিবার শক্তিশালী। যদি মেয়ে ওখানে থেকে তাঁদের মতো চলাফেরায় নিজেকে অভ্যস্ত করে ফেলে?”
জনাব আজাদ দৃঢ়তার সাথে বললেন,“ইনশাআল্লাহ আমার মেয়ে পারবে। আমি ছেলের বাবা আর ছেলেকে শর্ত দিয়েছি। সবটা মজবুত করে তবেই এগোচ্ছি।”
“কেমন শর্ত?” হুরাইনের মায়ের উৎসুক কন্ঠস্বর।
“ঘটনা কিছুটা এমন ছিল, আমি তাসিন আবিদ আর তাঁর বাবার কাছে শর্ত রেখেছি।
আমার মেয়ের পর্দার খেলাপ হবে এমন কিছু যে ঘটবে না তার নিশ্চয়তা দিতে পারবেন?
ছেলের বাবা বললেন,‘আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে যেন শুধু পর্দা নয়, অন্য কোন অসুবিধা না হয় আপনার মেয়ের।’
বললাম,“যদি খেলাপ হয়ে যায়?”
ছেলেটি দৃঢ়তার সাথে বলে উঠলো,‘এমন কিছু দেখলে আপনার মেয়েকে আপনি নিজের কাছে নিয়ে আসতে পারেন। কিংবা যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারেন।’
কথা শেষ করে হাসলেন জনাব আজাদ। স্ত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে বললেন,“কী বল, এমন একটা মানুষকে সুযোগ দেওয়া নাকি তাঁকে দ্বীনি পথে টেনে আনতে আমাদের এত বড়ো সুযোগ হাত ছাড়া না করা উচিত হবে? পরামর্শ দাও কোনটা করলে ভালো হবে?”
হুরাইনের মা নিচু স্বরে বললেন,“আপনি যা ভালো মনে করেন। সবসময় ছেলেমেয়ের ব্যাপারে আপনার সিদ্ধান্ত তাঁদের কল্যাণ বয়ে এনেছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এবারও আল্লাহ তায়ালা সেটাই করবেন। আর উপর থেকে যদি এখানেই আমার মেয়ের জুড়ি লিখা থাকে, তাহলে আমরা কিছুই করতে পারব না।”
জনাব আজাদ বললেন,“আমি এখনো সম্পূর্ণ কথা দেইনি তাঁদের। আগে আমার আম্মুর মতামত প্রয়োজন। তাঁকে জিজ্ঞেস কোরো। তার সম্মতি থাকলে তবেই আমি চূড়ান্ত কথায় এগিয়ে যাব।”
“জি।”
হুরাইনের ঘরে প্রবেশ করল তার ভাবি। মিষ্টি করে হেসে জিজ্ঞেস করল,“সকলেই সম্মত আছে। আম্মা আমাকে পাঠিয়েছেন তোমার মতামত নিতে। তুমি না বললে এই সম্বন্ধ এগোবে না। আমি তাঁদের গিয়ে কী বলব?”
হুরাইন বলল,“আব্বু কী চাইছেন?”
“তিনি চাইছেন তুমি ওই পরিবারের পরিবর্তনের কারণ হও। আলো হয়ে যাও ওই সংসারে।”
হুরাইন কোন চিন্তাভাবনা ছাড়াই বাবার সিদ্ধান্তকে সম্মান দিয়ে রাজি হয়ে গেল। লজ্জালু হেসে বলল,“আব্বু যা করবেন, সেটা নিঃসন্দেহে আমার ভালো ভেবে করবেন। আমার অমত নেই।”
“আলহামদুলিল্লাহ।” বলেই মিটিমিটি হাসলো ভাবি। বলল,“আমার আর সকাল সকাল আরাম করে চা খাওয়া হবে না। এই চা টা এবার অন্যকেউ খাবে।”
হুরাইন লজ্জায় অতিষ্ঠ হয়ে চোখমুখ খিঁচিয়ে বলল,“যাও তো ভাবি। নয়তো আমি বেরিয়ে যাব।”
ভাবি হাসতে হাসতে বলল,“যাচ্ছি, যাচ্ছি। এত লজ্জা পেতে হবে না। বরের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য প্রস্তুত হও।”
হুরাইনের মনে উঁকি দিল হাজারও কল্পনা। একবার চোখ বুজে স্মৃতি রোমন্থন করার চেষ্টা করল। কানে এখনো বেজে উঠছে সেই স্বর। হুরাইন অস্ফুট স্বরে বিড়বিড় করল,“আমি কীভাবে মনে দাগ লাগিয়েছি? আমি তো কিছুই করিনি।”
হুরাইনের বাড়ি থেকে আসার পর থেকেই তাসিনকে সতেজ দেখাচ্ছে। খোশমেজাজে সবার সাথে কথা বলছে। সাজেদা দ্বিধাদ্বন্দে আছেন৷ কী করা উচিত তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। হুরাইনের ব্যাপারে কঠিন হতে গিয়েও পারছেন না। আবার ফাবিহার জন্যও মনটা জ্বলে যাচ্ছে।
ঘড়ির কাঁটা রাত্রি তিনটার ঘরে। তাসিনের চোখে ঘুম নেই। তার মন – মস্তিষ্কে রাজ করছে হুরাইন নামক এক মানবী। যতবার চোখের পাতা এক করতে চেষ্টা করে, ততবারই ওই মানবী এসে ধরা দেয়। কেমন ভুবন ভোলানো হাসি হেসে মায়া বাড়িয়ে ছুটে চলে যায়। চট করে চোখ খুলে ফেলে তাসিন। বিছানায় যাওয়ার পর থেকে অনেকবার তার সাথে এমন হয়েছে। তাই এখন আর ঘুমানোর চেষ্টা না করেই উঠে পড়ল। বারান্দায় দাঁড়িয়ে যান্ত্রিক শহরটাকে দেখছে। নিস্তব্ধ পরিবেশে তাকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছে হরিদ্রাভ আলো ছড়ানো ল্যাম্পপোস্ট। চট করে মাথায় কিছু খেলে যেতেই তাসিন ঘরে ফিরে এলো। এক টুকরো কাগজ নিয়ে কলম ঘষে চলল।
কী যেন লিখে যত্ন করে ভাঁজ করলো। তার চোখ হাসছে, ঠোঁট হাসছে। অন্তরটাও হেসে উঠছে পাওয়ার আনন্দে।
এবার বিছানায় গিয়ে জোর করে ঘুমানোর চেষ্টা করল।
কিছুদিন ধরেই ফাবিহাকে ক্যাম্পাসে দেখা যাচ্ছে না। শাবাব প্রতিদিন খোঁজ করে একই খবর পায়। ফরহাদ বলল,“ভাই মেয়েটা বোধহয় ভয় পেয়েছে। সেজন্যই ভার্সিটিতে আসছে না। দুদিন কথা বলে যখনই মেয়েদের অনুভূতি জন্মেছে আপনার প্রতি, আপনি সেই আগুন সুন্দরীদের ছেড়ে দিয়েছেন। আর এই মেয়ের পেছনে এখনো পড়ে আছেন? ছেড়ে দিন। এমনিতেই ভয় পেয়ে গিয়েছে।”
শাবাবের দৃষ্টি সামনের দিকে। ঠিক কীসের দিকে তাকিয়ে আছে বোঝা যাচ্ছে না। সে ক্রুর হেসে বলল,“এত সহজে ভয় পেলে কি চলবে? আমাকে দু-দুবার চড় মে*রে*ছে। এবার চুমু দেবে। সেই ব্যবস্থা করছি।”
“কীভাবে ভাই?”
“শুধু দেখে যা।”
তখনই গেট দিয়ে প্রবেশ করতে দেখা গেল ফাবিহাকে। ফরহাদ ব্যতিব্যস্ত কন্ঠে বলল,“ভাই, ভাই আপনার শিকার। গেটের দিকে তাকান।”
শাবাবের চোখ ফরহাদের আগেই গেটে পড়েছে। ফাবিহা এদিক-ওদিক সাবধানী চোখে দেখতে দেখতে এগিয়ে যাচ্ছে ক্লাসের দিকে। হঠাৎ শাবাবের চোখে চোখ পড়ল। চোখমুখ শক্ত দেখালো তার। শাবাব বেহায়ার মতো হাসছে।
তাঁর ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় জানান দিচ্ছে ফাবিহা ঠোঁট নাড়িয়ে তাকে গালাগাল দিচ্ছে।
ক্লাস করে বিনা বাঁধায় গেট পেরোতে পেরে ফাবিহা স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লো।
রিকশা নিয়ে অর্ধেক রাস্তা যেতেই রিকশাচালক থেমে গেলেন। কারণ জিজ্ঞেস করতে যাবে, সামনে তাকিয়ে থেমে গেল সে। শাবাব তার বি*দ*ঘু*টে হাসি ঠোঁটে টেনে রেখেছে। ফাবিহা তেজী কন্ঠে বলল,“পথ আটকে রেখেছেন কেন?”
ফরহাদ বলে উঠল,“ভাইয়ের স্পেশাল ক্লাস আছে আপনার সাথে। নামুন।”
ঘৃণায় চোখ ঘুরিয়ে নিল ফাবিহা। রাগে দাঁতে দাঁত লেগে আসছে। পায়ের দিকে ইশারা করে বলল,“জুতা দেখেছিস? চামচার চল। রাস্তায় যখন ধরে জুতা পেটা করব, তখন বুঝতে পারবি মেয়েদের হ্যারাস করার শা*স্তি কী জিনিস।”
শাবাব খপ করে ফাবিহার হাত ধরে টে*নে*হিঁ*চ*ড়ে নামিয়ে ফেললো তাকে। হিং*স্র বাঘের মতো গর্জন করে বলল,“এ্যাই, চামচা কাকে বলছো? প্রথমত আমার গায়ে হাত তুলে মস্ত বড়ো ভুল করলে। আবার আমার ভাইদের চামচা বলছ?”
ফাবিহা দমে না গিয়ে দ্বিগুণ তেজ নিয়ে বলল,“একশবার চামচা বলব, হাজারবার বলব চামচা। কী করবি তুই? টাকা ছিটালে তোর মতো আরও কত কুকুর এসে হাজির হয়ে যাবে। তোকে লা*শ বানিয়ে দিয়ে যাবে। রাস্তার কু*ত্তা।”
সজোরে ফাবিহার গালে চ*ড় পড়ল। ছিঁটকে মুখ থুবড়ে পড়ল রাস্তায়। শাবাবের শরীর দিয়ে আগুন ঝরছে। রক্তিম চোখজোড়া দেখে ভয় পেল ফাবিহা। শাবাব কঠোর স্বরে বলল,“আজ স্পর্ধা দেখেয়েছিস আর যেন কোনদিন এমন স্পর্ধা না দেখি। এতদিন কিছু বলিনি। তারমানে এই নয় যে আমাকে যা ইচ্ছে তাই বলে গা*লি দিবি। লাস্ট ওয়ার্নিং দিচ্ছি তোকে। এরপর জানে মে*রে ফেলবো। রাস্তায় দাঁড়িয়ে মা*র*ব। আজকের মতো কেউ ছুটে আসবে না। সবাই তামাশা দেখবে।”
ফাবিহা খেয়াল করল সকলেই তামাশা দেখছে। কেউ তার দিকে এগিয়ে আসছে না।
শাবাব প্রস্থান করল। ফরহাদ ভীষণ চমকেছে। সে এর আগে শাবাবের এমন রূপ দেখেনি। সামান্য একটা সম্বোধনে এতটা হিং*স্র হয়ে উঠেছে! তার সাথে বাকি ছেলেগুলোও স্তব্ধ। ফাবিহা এতদিন বাড়িতে জানায়নি। বাবা শহরের বাইরে। মাকে জানালে দুশ্চিন্তা ছাড়া কিছুই করতে পারবেন না। বরং তিনি আরও ভয় পেয়ে তাকে বের হতেই দেবেন না। রাস্তার ঘষা লেগে দু-এক জায়গায় চামড়া উঠে গিয়েছে। গালটা জ্বলে যাচ্ছে, টনটনে ব্যথায় কথা বলতেও কষ্ট হচ্ছে তার। আজ তো মা জানবেনই।
তাসিন অপেক্ষায় ছিল কখন মাদ্রাসার গেট দিয়ে বের হবে হুরাইন। তার দেখা পেয়ে মাদ্রাসার একটি ছোটো মেয়েকে ডাক দিল। মেয়েটি প্রথমে এগোতে চাইছিল না। পরক্ষণে কী মনে করে এগিয়ে আসতেই তাসিন ইশারায় হুরাইনকে দেখিয়ে দিল। বলল,“ওই যে আপুটাকে দেখছ? তাকে এই কাগজটা দেবে ঠিক আছে?”
“হুরাইন আপুকে?”
“বাহ্! তুমি চেন তাকে?”
“হ্যাঁ চিনি তো।”
“তাহলে এটা দিয়ে এসো।”
মেয়েটি চলে গেল কাগজ হাতে। হুরাইনের বোরকা টেনে ধরে ডাকল,“আপু!”
পাশ ফিরতেই হাতে মাঝে একটা কাগজ গুঁজে দিল মেয়েটি। হুরাইন জিজ্ঞেস করলো,“কে দিল এটা?”
তাসিনের দিকে ইশারা করে বলল,“ওই যে, উনি তোমাকে দিতে বলেছেন।”
হুরাইন সেদিকে তাকাতেই তাসিনের সাথে চোখাচোখি হয়ে গেল। সে দৃষ্টি নিচু করে কগজটি মুঠো করে ধরল। ছোট্ট মেয়েটি বিদায় নিতেই হুরাইনের একজন বান্ধবী বলে উঠল,“কাগজটা খুলে দেখ, কী লিখা আছে।”
হুরাইন কাগজটি ব্যাগে ঢুকিয়ে নিয়ে বলল,“প্রয়োজন নেই।”
“বুঝেছি, আমাদের সামনে খোলা যাবে না। ব্যক্তিগত চিঠি কি-না!”
হুরাইন লজ্জা পেয়ে ধমকে উঠলো বান্ধবীকে।
“বেশি কথা বলিস।”
পাশ থেকে দুজনই মিটমিটি হাসছে।
হুরাইন কাগজটির কথা ভুলল না। খাবার খেয়ে দ্রুত দরজা আটকে দিল। ব্যাগ থেকে ওই সাদা কাগজটি বের করতেই কালো কালিতে কিছু শব্দ মিলে কয়েকটি বাক্য দেখতে পেল।
“দিনরাত শুধু আপানাকে ভাবছি। মনের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছি। দ্রুত আমায় হালাল করে নিন। আমি পবিত্র ছোঁয়ার অপেক্ষায়….।”
থমকে গেল হুরাইন। সাথে ছুঁয়ে গেল একরাশ লজ্জা। সে কি এই চিঠির জবাব দেবে? দেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও তা মনের মাঝে মাটিচাপা দিল। চিঠির জবাব দিয়ে আর নিজের লজ্জা বাড়াতে চায় না।
সাজেদা এখনো কাউকে কিছুই জানাননি। বরং জনাব আজাদ সম্মতির কথা জানাতেই তিনি তাসিনের বাবাকে বলে দিলেন “আমি অনুষ্ঠান করে লোকজন খাইয়ে ছেলের বিয়ে দেব৷ চুপ চুপ করে বিয়ে দিতে পারব না। আর উনাকে জানিয়ে দাও আমাদের শ-পাঁচেক মেহমান খাওয়াতে হবে।”
বিস্মিত হয়ে গেলেন তাসিনের বাবা। তিনি বললেন,“তুমি বুঝতে পারছো তো কী বলছো? তোমার বাড়ি তুমি মেহমান খাওয়াও সেটা তো উনাদের সমস্যা না। কিন্তু এভাবে উনাদের চাপ দেওয়ার কী মানে? তোমার কী মনে হয় উনারা মানবেন? শরিয়া সম্মত বিয়ে মানে একগাদা লোক খাওয়ানো, হাসি-তামাসা করা নয়।”
“তাহলে জেনে-বুঝে কেন আমাদের পরিবারে মেয়ে পাঠাতে চাইছে? যদি এত সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে না করে দিক। আমি ফাবিহাকে নিয়ে আসবো বউ করে।”
তাসিনের বাবা বুঝে গেলেন এসব সাজেদার ইচ্ছাকৃত কাজ।
#চলবে……