এক টুকরো আলো পর্ব-০৫

0
464

#এক_টুকরো_আলো
#পর্ব_০৫
#জিন্নাত_চৌধুরী_হাবিবা

“আপনার পরিবারে কে কে আছে?”

“জি, মা-বাবা আর ছোটো একটা ভাই আর একটা বোন।”
তাসিনের ধীর গলায় জবাব শুনে জনাব আজাদ গম্ভীর মুখে বললেন,“আপনার বাবা-মা এই প্রস্তাবে সম্মত?”

ক্ষণকাল চুপ থেকে ভারী কন্ঠে তাসিন বলল,“না।”

জনাব আজাদ যথেষ্ট ঠান্ডা গলায় প্রশ্ন করলেন,“বাবা-মায়ের অনুমতি ব্যতীত বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়ে দিলেন?”

“বিয়ে আর সংসারটা যেহেতু আমার হবে, সেখানে আমার পছন্দ জরুরি। বাবা-মায়ের নয়। পুরো জীবন আমি কাটাবো। আমার বাবা-মা নয়।”

কিছুটা হাসলেন জনাব আজাদ। তা বেশিক্ষণ স্থায়ী না হয়ে মিলিয়ে গেল। বললেন,“বিয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই পাত্র-পাত্রীর পছন্দ সবার উর্ধ্বে। তবে সেখানে বাবা-মায়ের সম্মতিও প্রয়োজনীয় একটা বিষয়।”

তাসিন মাথা নিচু করে জবাব দিল,“জি। বাবা-মাকে মানিয়ে নেব আমি।”

“জোরপূর্বক?”

“মানানোর দায়িত্বটা আমার।”

“আমার মেয়েকে বিয়ে করার মতো কী কী যোগ্যতা আপনার মাঝে আছে?”

তাসিন এবার মাথা তুলে তাকালো। বলল,“কী কী যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন? ঘাটতি থাকলে আমি তা পূরণ করে নেব।”

“আমার কন্যার জন্য তার উপযুক্ত পাত্র চাই। যার মাঝে দ্বীনি শিক্ষা থাকবে। স্ত্রীর পর্দার হেফাজত করার মতো দৃঢ় মানসিকতা থাকবে।”

“এটুকু?”

জনাব আজাদ ঠোঁট এলিয়ে মুচকি হাসলেন।
“এটুকু যোগ্যতা আগে অর্জন করে দেখান।”

“তবে কি আপনার মেয়েকে আমার সাথে বিবাহ দেবেন?”
তাসিনের উৎসুক দৃষ্টি।
জনাব আজাদ বললেন,“আমার মেয়েকে দেখেছেন আপনি?”

“না।”
তাসিনের সরল জবাবে খানিকটা অবাক হলেও সেটা চেপে গেলেন তিনি। বললেন,“তবে কীভাবে আপনি বিয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন?”

“আমি বিয়ের জন্য উপযুক্ত। আর আপনার মেয়েকে না দেখেই বিবাহের প্রস্তাব দেওয়ার কারণ আমি জানি না। আপনারাই তো বলেন রূপ, সম্পদ দেখে নয়, দ্বীনদারিত্ব দেখে বিবাহ করা উচিত।”

“আপনি যখন নিজের মাঝে আমার বলা যোগ্যতাগুলো ধারণ করতে পারবেন, তখন আবার আসবেন। শুধু আপনার পছন্দেই বিয়ে হবে না। এখানে আমার মেয়ের সম্মতি আপনার সম্মতির চেয়ে কোন অংশে কম নয়।”

তাসিন চিন্তায় পড়ে গেল। আচ্ছা হুরাইন কি তাকে পছন্দ করবে? চিন্তিত মুখ নিয়ে উঠতে যেতেই জনাব আজাদ আবার বললেন,“পরেরবার আপনার পরিবার নিয়ে আসবেন, একা নয়।”

তাসিন একা একা হাঁটছে। হুরাইনকে বিয়ে করার জন্য তার সবচেয়ে কঠিন ধাপ হলো বাবা-মাকে রাজি করানো। বাকি যে দুটো বিষয়ের কথা বলা হয়েছে, সে দুটো বিষয় তেমন জটিল নয়। তাসিনের ধারণা নামাজ পড়ায় ইরেগুলার থেকে রেগুলার হওয়াই হচ্ছে দ্বীনদারিত্ব। আর হুরাইনের পর্দার হেফাজতের বিষয়টা সে সহজেই করে ফেলতে পারবে। সামান্যই তো ব্যাপার। অথচ এই সামান্য ব্যাপারে কী গভীরতা, সে আঁচ করতে পারলো না। সে ভাবতেও পারলো না নিজের কথাকে কাজে বাস্তবায়ন করা কতটা কঠিন।
আগামী দিন থেকে তার জীবন হবে সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে শুরু হবে।
অথচ নতুন ভোরের প্রথম নামাজটাই পড়া হলো না ঘুমের কবলে পড়ে।

তাসিন সকালের নাস্তার পর বাবার ঘরে গেল। গম্ভীর স্বরে বলল,“তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে বাবা।”

“কেমন কথা?”

“আমি মাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি ফাবিহাকে আমি বিয়ে করতে পারবো না। আমি যাকে পছন্দ করি, তার বাড়িতে প্রস্তাব পাঠিয়েছি।”

তাসিনের বাবার বিস্ময়ে চোখ দুটো কোটর ছাড়িয়ে বের হয়ে আসার উপক্রম। ছেলে এতদূর পর্যন্ত এগিয়ে গিয়েছে? তাদের ছাড়াই প্রস্তাব পাঠাচ্ছে নিজের জন্য! তিনি থমথমে গলায় বললেন,“বেশ তো। আমাদের জানাচ্ছ কেন?”

“তোমাদের সম্মতি প্রয়োজন।”

“আমাদের সম্মতির গুরুত্ব আছে তোমার কাছে?”
বাবার কথায় সূক্ষ্ম খোঁচা টের পেল তাসিন। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল,“আমি বুঝতে পারছি ফাবিহার বিষয়টা নিয়ে তোমরা অসন্তুষ্ট আমার উপর। কিন্তু আমার মন যেখানে টানছে না, সেখানে আমি কীভাবে হ্যাঁ করবো? একজন আমার স্ত্রী হওয়া স্বত্তেও আরেকজন আমার মস্তিষ্কে গেঁথে থাকবে বাবা। আমাকে বোঝার চেষ্টা কর।”

“এটাই তোমার শেষ কথা?”

তাসিন কঠিন গলায় বলল,“হ্যাঁ। তোমরা সম্মত না হলে আমি ওই মেয়েকে বিয়ে করবো না। তবে ফাবিহাকে যে বিয়ে করব এটা ভেবেও ভুল কোরো না। দূরে কোথাও চলে যাব আমি।”

তাসিনের বাবা বারবার ছেলের কাজে বিস্মিত হচ্ছেন। তাসিন ঠিক তার মায়ের মতো জেদি। যেটা বলে, সেটা করে তবেই ক্ষান্ত হয়। ছেলে বেরিয়ে যাওয়ার পরই স্ত্রীর সাথে কথা বলতে পা বাড়ালেন তিনি। সাজেদাকে বললেন,“একবার ঘরে এসো দ্রুত।”

সাজেদা বসেই ছিলেন। স্বামীর সাথে উঠে ঘরের দিকে পা বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করলেন,“ছেলের সাথে কী কথা হল?”

তাসিনের বাবা শান্ত গলায় বললেন,“তুমি বরং বড়ো আপাকে না করে দাও। শুধু শুধু মা ছেলে জেদ করে কেন মেয়েটার জীবন নষ্ট করবে? তোমরা মা ছেলে দুজনই জেদি। তাসিনও নিজের জেদ বজায় রাখতে ফাবিহাকে কখনো বিয়ে করবে না। জোর করে করিয়ে দিলেও কেউ শান্তিতে থাকবে না। তাসিন দূরে দূরে থাকবে। মেয়েটাকে এভাবে ঝুলিয়ে রেখে বলি না দিয়ে তুমি না করে দাও। ছেলে যেহেতু অন্যত্র পছন্দ করে ফেলেছে, ওখানে যাওয়া উচিত তোমার।”

সাজেদার শান্ত চোখজোড়ায় হিংস্রতা। বাজখাঁই গলায় বললেন,“তোমার ছেলের আগে বলে দেওয়া উচিত ছিল পছন্দের কথা। আমি সবাইকে কোন মুখে না করবো? বড়ো মুখ করে প্রস্তাবটাও আমিই রেখেছিলাম। ছেলেও তখন সম্মতি দিয়েছে।”

তাসিনের বাবা শান্ত প্রকৃতির মানুষ। স্ত্রী যতটা রাগী, তিনি ততটাই শান্ত থাকতে পছন্দ করেন। সারাদিন কানের কাছে পড়ে এটা-ওটা বললেও চুপ করে থাকেন। তিনি বললেন,“যেটা হয়ে গেছে, সেটা তো আর বদলানো যাবে না।”

“বদলাতে কে বলেছে তোমার ছেলেকে? মাসুল দিক।”

“সে নাহয় অ*প*রা*ধী, তাই মাসুল দেবে। তাহলে নির্দোষ মেয়েটা কীসের মাসুল দেবে? আমি আবারও বলছি সাজেদা, ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখ।”

সাজেদা খানিকটা নরম হয়ে এলেন ফাবিহার কথা ভেবে। কিন্তু বোনকেই বা কীভাবে না করবেন? তাসিনের বাবা বললেন,“কী ভাবছ?”

সাজেদা স্বামীর চোখে চোখ মিলিয়ে বললেন,“ঠিক আছে। আমি যাব মেয়েটাকে দেখতে। যদি ফাবিহার চেয়ে রূপে-গুণে সামান্য ত্রুটিও খুঁজে পাই, তবে ফাবিহাকেই তোমার ছেলের বিয়ে করতে হবে। নয়তো আমি এই বাড়ি ছাড়ব। এটাই আমার শেষ কথা।”

তাসিনের বাবা হতাশ গলায় বললেন,“মা-ছেলে দুজনই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাবে? যাও। ছোটো ছেলে তো বাড়িতে থাকে না। আমিও মেয়েটাকে বিয়ে দিয়ে যেদিকে দুচোখ যায় চলে যাব।”

খ্যাঁক করে উঠলেন সাজেদা।
“আমি যাওয়ার সময় কি আমার মেয়েকে রেখে যাব? তাকে সাথে নিয়েই যাব।”

শান্তি বজায় রাখতে স্ত্রীর সাথে আর কথা না বাড়িয়ে বেরিয়ে গেলেন তাসিনের বাবা। ফোঁসফোঁস করে নিঃশ্বাস ফেলছেন সাজেদা। ফাবিহার মতো সুন্দরী মেয়ে তাঁর ছেলে আর দুটো পাবে না। বাহ্যিক দিক বাদ দিলেও একজন সুন্দর মনের অধিকারিনী ফাবিহা। ছেলের মাথায় কেন অন্য মেয়ের ভূত চাপলো?

মা হুরাইনকে দেখতে যেতে রাজি হয়েছে শুনে খুশি হলো তাসিন। দেখতে যেতে যেহেতু রাজি হয়েছে, বিয়েতেও রাজি হবেন। জনাব আজাদকে খবর দিয়ে তাসিন তার পরিবার নিয়ে হুরাইনকে দেখতে গেল। পরিবার বলতে বাবা-মা আর নিশি।
সাজেদা থমথমে চোখমুখ নিয়ে বসে আছেন। একজন সুন্দরী নারী এসে উনাকে আর নিশিকে মেহমান খানা থেকে ভেতরে নিয়ে গেলেন। চারদিকে চোখ বুলিয়ে বাড়িটা দেখছেন। ভেতর ঘরেও প্রতিটি নারী নিজেদের মুড়িয়ে রেখেছে। মাথার কাপড় পর্যন্ত সরছে না। সবার অমায়িক ব্যবহারে সাজেদা বেগমের মন খানিকটা গলতে চাইলেও নিজের জেদের কাছে তিনি হার মানবেন না। শক্ত রইলেন। পুরো বাড়িটা ঘুরে ঘুরে দেখাল হুরাইনের বড়ো বোন জান্নাত। নিশি আর সাজেদা বেগম অবাক হচ্ছেন হুরাইনের মায়ের রূপ দেখে। দেখে বিন্দুমাত্র বোঝার উপায় নেই এতগুলো সন্তানের মা তিনি। মনে হচ্ছে বয়স তাঁর পঁয়ত্রিশের ঘর পেরিয়েছে মাত্র। এখনো চামড়ার রং উজ্জ্বল। কেমন চকচকে ভাব। মহিলার হাসি দেখলেও চোখ আঁটকে যায়। বাড়ির বউটা আবার চোখ ধাঁধানো সুন্দরী নয়। গায়ের রংটাও বেশ চাপা। তবে ব্যবহার অমায়িক। মানুষগুলোকে ভালোলাগলেও এ জায়গায় নিশির বেশিক্ষণ ভালোলাগলো না। সে স্বাধীন পাখি। এই বন্দি খাঁচা তার পছন্দ হয়নি। সে ভাবে কীভাবে এরা নিজেদের বন্দি করে রাখে? দম বন্ধ হয়ে যায় না? সে বোরকা পরে না৷ আজ বাধ্য হয়েই বোরকা পরে এসেছে। ভাইয়া বোরকা এনে দিয়েছে। সাজেদা বেগমের তর সইছে না। যে নারী এতটা সৌন্দর্যের অধিকারী, বাকি মেয়েগুলোও পরির মতো। সেই নারীর ছোটো মেয়ে না-জানি কতটা রূপবতী হবে?

অবশেষে হুরাইনের দেখা মিলল। নিজের অজান্তে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে রইলেন সাজেদা। নিশিও তাকিয়ে রইলো। এখানে আসার আগে ভেবেছিল মেয়ে বুঝি দেখতে তেমন ভালো না। এখন দেখছে তার ধারণা ভুল।
হুরাইনের মায়ের রূপই বেশি নজর কেঁড়েছে সাজেদার। এই নারী এখন এমন রূপবতী, তবে যৌবনে কেমন ছিলেন? হুরাইনের দিকে তাকিয়ে ধারণা করে বসলেন তাসিন আগেই মেয়েটিকে দেখেছে। দেখেশুনেই ছেলে পাগল হয়েছে। মেয়ের মাঝে কোন খুঁত খুঁজে পেলেন না। রূপে, চলাফেরায়। যদিও আচরণ সম্পর্কে এখনই কোন রিপোর্ট দিতে পারছেন না। তিনি ফাবিহাকে বউ করে রাখতে উঠেপড়ে লাগলেন যেন। এবার গুণে খুঁত ধরবেন। এতেও ভালোভাবে পাশ করে গেল হুরাইন। ঘরের কাজও সে জানে। লজ্জায় মুখ নিচু করে রেখেছে। সামনে কারো দিকেই তাকাতে পারছে না। সাজেদা কোন খুঁত ধরতে না পেরে আশাহত হলেন।

জনাব আজাদ আর তাসিনের বাবার সম্মতিতে বিবাহের উদ্দেশ্যে তাসিন আর হুরাইন একে অপরকে দেখার অনুমতি দেওয়া হলো।
তাসিন প্রবল আগ্রহে অস্থির হয়ে উঠেছে। তার একটাই ভয়। হুরাইন তাকে পছন্দ করবে তো?
হুরাইনকে দেখে চোখ দুটো স্থির হয়ে গেল তাসিনের। হৃদয় তোলপাড় করা স্রোতে ভেসে গেল সে। মুখ ছাড়া তার আপাদমস্তক ঢাকা। তবুও যেন চোখ ঝলসে যাচ্ছে তার। শব্দভান্ডার ফুরিয়ে গেল। এই সৌন্দর্যের কোন উপমা খুঁজে পেল না। সাদা চামড়া নয়, এ আসলেই রূপমঞ্জরি। হুরাইন জড়োসড়ো হয়ে বসলো। একপাশে তার বৃদ্ধা দাদি। সূর্যের তাপের মতো প্রখর হয়ে এলো তার লজ্জা। কিছুতেই যেন সে স্থির হতে পারছে না।

তাসিন যেন হুরাইনের দাদীকে লক্ষই করলো না। বিবশ কন্ঠে বলল,“আপনি আমার মনে যে দাগ সৃষ্টি করেছেন, সেই দাগ মুছে দেওয়ার দায়ভার আপনার। এসে শুভ্রতা ছড়িয়ে দিন আমার অন্তরে। আল্লাহর কসম করে বলছি, আপনি ছাড়া দ্বিতীয় কোন নারী এই দাগ দূর করতে পারবে না। আমার হৃদয়ের রানী হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি আপনাকে। গ্রহণ করুন আমায়!”

শরীর শিরশির করে উঠলো হুরাইনের। এবার লজ্জা, সংকোচ ভুলে একবার মুখ তুলে চাইতেই থমকালো সে। অপরিচিত হয়েও পরিচিত মুখ। হুরাইনের বিস্মিত ভাব বেশিক্ষণ রইলো না। সে মাথা নিচু করে থুতনি বুকে ঠেকিয়ে ফেললো। তাসিন চোখ না সরিয়ে বেহায়ার মতো তাকিয়ে রইলো। বলল,“আমার ব্যাপারে কিছু জানার আছে? থাকলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনার কাছে স্বচ্ছ থাকতে চাই আমি।”

হুরাইন পাশ থেকে বিছানার চাদর খামচে ধরে মাথা নাড়াল। তার কিছুই জানার নেই। এখানে আর বসে থাকা যাচ্ছে না। দ্রুত কথা শেষ করে উঠতে চায় সে। অস্ফুট স্বরে জিজ্ঞেস করল,“আমার ব্যাপারে কিছু জানার আছে আপনার?”

তাসিন লহু স্বরে বলল,“পুরো আপনিটাকেই জানার ইচ্ছে আমার। তার জন্য সারাজীবন পড়ে আছে। শুধু আপনার একটা হ্যাঁ, না এর উপর নির্ভর করছে সবটা। অপেক্ষাতে আমি অভ্যস্ত নই। তবুও আমি অপেক্ষা করব, কেবল আপনার জন্য হুরাইন।”

তাসিন উঠে গেল। হুরাইন জমে বসে রইল। দাদি এবার মুখের কাপড় সরালেন। ভাবি এসে তাকে খোঁচা দিয়ে গেল। মিটিমিটি হেসে জিজ্ঞেস করল,“কেমন? পছন্দ হল?”

“আব্বু-আম্মু আর ভাইয়ার পছন্দই আমার পছন্দ।” মিনমিন করে বলেই ছুটে চলে গেল হুরাইন। তার মনে একটা বড়ো প্রশ্ন জাগছে। আব্বু কেন তাকে সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিবেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন? সে কি মানিয়ে নিতে পারবে? কী চলছে আব্বুর মনে?

#চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে