উজানের ঢেউ পর্ব-০৫

0
451

#উজানের_ঢেউ ( ৫)
কলমে✍️ #রেহানা_পুতুল
“আম্মা আসসালামু আলাইকুম।”
তিনি সালামের উত্তর দিয়েই অস্থির গলায় জিজ্ঞেস করলেন,

” শিরিন কি তোমাদের বাড়িতে? বুলি জিগাইতে কইলো। কলেজ থেইকা নাকি বাড়িতে যায়নাই এখনো। আর কোনদিন নাকি এমন লেট হইনাই। টাইমমতেই নাকি বাড়িত চইলা যায় আমার বোনঝি টা।”

তিনি এটা জিজ্ঞেস করার উপযুক্ত কারণ রয়েছে। কেননা এই শিরিন কে কয়েকবার আমাদের বাড়িতে এনেছি। আতিথেয়তার কোনো ঘাটতি ছিলো না। সেও আমাদের বাড়িতে বেড়ানো কে দারুণ উপভোগ করতো।

” আপনার ছেলেকে বলেন না তার কলেজে গিয়ে খোঁজ নিতে। নাকি কোনো বান্ধবীর বাড়িতে গেলো শিরিন আপা ?”

” আশু তো বাড়িত নাই। তারলগে তোমাগো বিষয় নিয়া যে কথা কমু,সেই সুযোগও পাইতেছি না। এখন তার মোবাইল তো বন্ধ পাইতাছি। আর শিরিনের হাতে তো মোবাইল নাই। বাড়িতে অন্যদের মোবাইল ব্যবহার করে সে। কি দুঃশ্চিন্তার বিষয় কওতো। আমার বোন হজম হইয়া যাইতেছে আজাদের ডরে।”

আম্মা হায় হুতাশ করতে করতে মোবাইল রাখলেন।

” কে রে রত্না?”

রাজনের দাদী ফোন দিলো বলে, বিষয়টা জানালাম মাকে। মা গুরুত্বহীনভাবে
‘ওহ’ শব্দটি উচ্চারণ করলেন। এবং অন্যদিকে গিয়ে নিজের কাজে ব্যস্ত হলেন।নিজের মেয়ের ভবিষ্যৎ জীবন যেখানে অনিশ্চয়তায় মুখোমুখি। সেখানে অন্যের মেয়েকে নিয়ে নাক গলানোর মতো আগ্রহটুকু মায়ের মাঝে অবশিষ্ট নেই।

এদিকে আমি বুঝে নিলাম যেহেতু আজাদ ভাই বাড়িতে। তাই শিরিন আপা মনে হয় তার রাজকুমারের সাথে পালিয়েছে। কারণ তিনি কুয়েত থাকতেই শুনেছি এবার বাড়ি আসলেই শিরিন আপার বিয়ে দিয়ে দিবেন।

পিতৃহীন সংসারে আজাদ ভাই শিরিনের অন্যতম অভিভাবক। তাদের পরিবারে উনি বড় ছেলে ও একমাত্র মোটা অংকের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা অপেক্ষাকৃত আশরাফুলদের চেয়ে অনেক ভালো। এবং পারিবারিক স্ট্যাটাসও যথেষ্ট উঁচু। নামকরা বাড়ি। কাজিনগর গ্রামের বিখ্যাত কাজি বাড়ি। এবং তাদের আলোচিত বড় দিঘিটার নামও কাজী দিঘি। বর্ষাকালে এই দিঘিতে মাছ ধরা ও,নৌকা বাইচ নিয়ে হয় নানান উৎসবমুখর আয়োজন। দূর দূরান্ত থেকে মৎস প্রিয় সৌখিন লোকজন বড়শী বাইতে আসে পালা করে। আমিও বেড়াতে গিয়ে একবার শিরিন আপাসহ সাঁতরে মাঝদিঘি অবধি চলে গিয়েছি। আমাদের অনুরোধে ঘাটের পাকা সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে তা ফ্রেমবন্দী করেছে আজাদ ভাইরে স্ত্রী মালাভাবি।

সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো। ঝুপ করে আঁধার নেমে আসছে ধরনীর কোলজুড়ে। সূর্য ডুবু ডুবু। রক্তিম আকাশ। নানা উজ্জ্বল রঙের ছড়াছড়ি আকাশের বুক জুড়ে। দেখে মনে হচ্ছে কোন নিঁখুত কারিগর বহুকাল ধরে তার নিপূন হাতে চিত্রিত করেছে এই অভূতপূর্ব মোহনীয় দৃশ্য। আমি অপার মুগ্ধতা নিয়ে তাকিয়ে আছি গগনপানে। সত্যিই স্রস্টার সৃষ্টিগুলোর সৌন্দর্যর কাছে মানুষের সকল সৃষ্টি অতি ক্ষুদ্রকায়। অতি সামান্যই।

” মন বেশি খারাপ নাকি রত্না?”

চকিতে ঘাড় ঘুরিয়ে চাইলাম চেনাকন্ঠটি কর্ণগোচর হতেই।

” ঢাকা যাননি এখনো মাহমুদ ভাই?”

” নাহ। কাজ ছিলো বাড়িতে। কাল সকালে যাবো। তোর সাথে একটু কথা ছিলো রত্না”

” মাহমুদ ভাই জানেন তো আমার মনের অবস্থা শোচনীয়। বেশী ইম্পর্ট্যান্ট কথা না হলে আপাতত শুনতে চাচ্ছি না। আমি তো আছি। আপনি আবার বাড়ি এলে শুনব।”

” আচ্ছা মানলাম তোর কথা। তাহলে তোর সেল নাম্বার টা দে। ঢাকা গিয়ে অবসর হয়েই বলব।”

” বুঝলাম না। কি এমন কথা। নাম্বার নিয়ে গিয়ে বলতে হবে?”

নিরানন্দ মুখে অবশ কন্ঠে বললাম আমি।

” দিবি কিনা সেটা বল? ”

নাম্বার দিয়ে পার করলাম মাহমুদ ভাইকে। কথা পেঁচিয়ে উনাকে আটকে রাখার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে বা অভিলাষ নেই আমার। মাহমুদ ভাই কিছুদূর গিয়ে পা থামিয়ে দিলেন। আমি নিরস ভঙ্গিতে চেয়ে রইলাম মাহমুদ ভাইয়ের দিকে। জিজ্ঞেস করলাম,

” কি হয়েছে মাহমুদ ভাই। পায়ে কাঁটা বিঁধলো নাকি?”

” হুম। আসবি বিষ কাঁটাটা ছাড়িয়ে দিতে?”

আকুতি ভরা কন্ঠে বললেন মাহমুদ ভাই।
আমি পা চালিয়ে গেলাম উনার কাছে। রক্তের চাচাতো ভাই। হৃদয়ের টান তো আছেই। কই দেখি বলে উনার পায়ের দিকে ঝুঁকে গেলাম। উনি আমার দুবাহু ধরে দাঁড় করিয়ে নিলেন। গম্ভীর কন্ঠে বললেন,

” থাক। তোর কষ্ট করতে হবে না। অন্ধকার হয়ে গিয়েছে চারপাশ। ঘরে চলে যা। নিজের দিকে খেয়াল রাখিস।”

নাক সিঁটকে বললাম,

” বুঝলাম না। আপনিই তো ডাকলেন। আবার চলে যেতে বলছেন। ভুয়া নাকি? ”

উনি সারামুখে দুর্বোধ্য হাসির প্রলেপ মেখে বললেন,

” আমার কোন জিনিসটা তোর কাছে রিয়েল মনে হয়েছে এই পর্যন্ত? বলতে পারবি রত্না? সঠিক মানুষকে বুঝতে শিখ। ”

মাহমুদ ভাই নিরবে প্রস্থান নিলেন আমার নয়নসম্মুখ হতে। আমি চলে এলাম ঘরে ভাবলেশহীনভাবে।

নয়ন ও রাবু পড়ায় মনোনিবেশ করলো। মা খাঁচা থেকে সদ্য জন্ম নেওয়া মুরগীর ফুটফুটে বাচ্চাগুলোকে দেখছে ঠিকঠাক আছে কিনা। মায়ের পাশে বসে রাজন মুরগীর বাচ্চাগুলোকে খেলনা ভেবে ধরার চেষ্টা করছে কৌতুহলী চোখে। বাবা দোকানে।

আমি ঘটে যাওয়া নিজের অপ্রত্যাশিত ঘটনা নিয়ে শত প্রশ্নের মুখোমুখি। কি হলো? কেনই বা হলো? নিজের সন্তানের কথা একটিবারও ভাবলো না সে। পিতা এমন জঘন্য হয়? এমন ও কি ঘটে কারো জীবনে? জীবন তো দেখি আসলেই নাটকের চেয়েও নাটকীয়।

এমন অজস্র জিজ্ঞাসারা ঝাঁকে ঝাঁকে আমার উপরে হামলে পড়েছে। আমি নিষ্পেষিত, কাবু হয়ে যাচ্ছি। ভাবনার দরিয়ায় নিমজ্জিত হয়েও কোন থই খুঁজে পেলাম না। উপুড় হয়ে শুয়ে আছি। রূপ চর্চা, ত্বকের যত্ন নিতেও ভুলে গিয়েছি আজকাল। আয়নায় নজর পড়তেই দেখি আমার ফুলো ফুলো গাল দুটো চুপসে গিয়েছে রোদে পড়া পুইঁয়ের লতার ন্যায়। অথচ কয়দিন আগেও আমাকে দেখে বাড়ির বোন ভাবিরা মজাচ্ছলে বলাবলি করছিলো।

” কিরে রত্না। রাবু আর তুই দেখি একবয়েসী হয়ে গেলি। লাউয়ের কচি ডগার মতন কেমন তরতরিয়ে তোর সৌন্দর্য বেড়েই চলছে। কি খাস আর কি মাখস ওই অঙ্গে? ওই গালে?”

একদিন মা শুনেছিলি অমন কিছু। মা তড়িতেই তেতে উঠল। গরম কন্ঠে বলল,

” আমার মেয়ের রূপ নিয়ে তোদের এত জ্বলে কেনো শুনি? পানি পড়া দিয়ে যাবি ওর জন্য। নইলে তোদের মুখে ফোসকা পড়বো। এই বলে দিলাম। ”

আমিই তখন মাকে মৃদু ধমক দিয়ে থামালাম।
রাত আনুমানিক দশটা হবে। রাজনকে হরলেক্স আর ডাল খিচুড়ি খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছি। আমাদের ঘরের চাপানো দরজা ঠেলে পাশের ঘরের এক জেঠিমা এলো। পিছনের রুমে ঢুকলো। আমিও গেলাম তার পিছন দিয়ে কিছু শুনার উদ্দেশ্যেই। উনার মেয়ে আসমা ও শিরিন একই কলেজে ডিগ্রীতে পড়ে। লক্ষ্য করলাম, উনি ফিসফিসিয়ে মাকে কি যেনো বলছে, আমাকে দেখেই মুখ বন্ধ করে ফেললেন।

” আরেহ ভাবি বলেন তো। ওর কথা ওকি না শুনে থাকবে? ”

প্রবল উৎকন্ঠার স্বরে বলল আমার মা।

উনি দাঁড়িয়ে গেলো। আমার হাত ধরে বলল,

” ওহ রত্নু। কি শুনলাম এইটা। তোর খালাতো ননদ শিরিন নাকি তোর জামাইয়ের লগে ভাগছে। এখন নাকি ঢাকায় আছে। নারায়ণগঞ্জে তোর ননদ রাহিমার বাসায়। ওই বাসায় নাকি কাজি আইনা বিয়া করছে দুজনে। ”

আমি অবিশ্বাসের ঢংয়ে বললাম,

” ভুল শুনছেন জেঠি। ওর অন্য ছেলের সাথে রিলেশন। আমি জানি। তারসাথেই ভেগে গেলো হয়তো। ”

” আমি আসমারে পাঠাইতাছি। শুইনা নে। আহারে মা। তোর কপাল পুড়ল বুঝি। ওই মাইয়া জাইনা শুইনা ক্যামনে বিয়াতো ভাইয়ের ঘরে ঢুকলো। ”

জেঠিমা আফসোসের ঝড় তুলতে তুলতে ঘরে চলে গেলেন। পাঁচ মিনিটের ব্যবধানেই আসমা এলো আমাদের ঘরে। রাবুও উঠে এলো। আসমা যা বলল রাজনের বাবা ও শিরিন সম্পর্কে। তাতে বিশ্বাস না করার সব পথই রুদ্ধ হয়ে গেলো। আসমা এও বলল,দোষ বেশী রাজনের বাবার। শিরিনের বয়স কম। খালাতো ভাইয়ের আবেগের বশে মজে গিয়েছে। আসমা চলে গেলো তাদের ঘরে।

আমাদের ঘরের পরিবেশ মরা বাড়ির মতো হয়ে গেলো। মনে হলো একসাথে কয়েকটা লাশ পড়ছে। রাবু কান্না করছে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে। নয়ন নিরীহভাবে বসে আছে বই বন্ধ করে। মা বিলাপের সুরে কাঁদছে। আমিও নিজের আবেগকে দমিয়ে রাখতে ব্যর্থ হলাম। ভিতর থেকে ঠেলেঠুলে অশ্রুরা দল বেঁঁধে নেমে পড়লো আমার দুচোখের পাড়ে। অঝোরে কাঁদলাম গভীর রাত অবধি। বিছানার এপাশ ওপাশ করেও ঘুম এলনা দু’চোখ জুড়ে।

যন্ত্রণার বিষাক্ত কারাগারে আমি এক নিরপরাধ আসামি। আমার মুক্তি মিলবে কিভাবে? কার হাতে? এ আমার অজানা। থরে থরে নীল বিষাদ এখন আমার প্রতি প্রহরের সঙ্গী।

নির্ঘুম রজনী শেষে ঊষালগ্নেই বিছানা ছাড়লাম। মায়ের রুমে উঁকি দিলাম। মা নামাজ শেষে মিহি সুরে কোরান তেলওয়াত করছেন। ভিতরটা হুহু করে উঠলো আচমকাই। বাইরে গিয়ে দাঁড়ালাম,শরীরের আড়মোড়া ভেঙ্গে ঘোর আলস্য ভঙ্গিতে।

সামনে ক্লান্ত দৃষ্টি যেতেই দেখি,
আমাদের মাঝারি আকারের নারকেল গাছের শাখার মাঝ বরাবর চুপটি করে বসে আছে একটি হুতোম পেঁচা। বেজার মুখ করে আমার চোখ বরাবর ঠায় চেয়ে আছে পেঁচা পাখিটি। তবে আজকের মতো ওকে আর কোনদিন এতটা একেলা এতটা নিঃসঙ্গ লাগেনি আমার কাছে। একে আমি ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি মাঝে মাঝে। ঠিক এই সময়টুকুতেই। প্রভাতকাল ফুরিয়ে গেলেই সে উড়াল দিতো অন্যপ্রান্তে। আমার ভীষণ ইচ্ছে করছে ওর ভিতরটা জানবার। পড়বার। ওর ওকি হৃদয়টা দুঃখে কাতর! কষ্টে লণ্ডভণ্ড! ঠিক আমারই মতো।

খেয়াল হলো চারপাশ আলোয় ভরে যাচ্ছে। কলপাড় থেকে অজু করে এসে নামাজ পড়লাম। জায়নামাযের উপর কাত হয়ে আবারও ঢুকরে কেঁদে উঠলাম। বুকের ভিতরে যেনো দুঃখের দরিয়া। শুধুই অথই জল আর জল। জীবনের উপরে যেই উজানের ঢেউ হামলে পড়লো অকল্পনীয়ভাবে। আমি কি পারবো,রাজন কে নিয়ে জীবন স্রোতের বিপরীত দিক হতে আসা এই উজানের ঢেউয়ের বিরুদ্ধে সাঁতরে কূলে এসে বাঁচতে?

আমার গুমরানো কান্নার আওয়াজ পেয়ে মা দরজায় এসে দাঁড়ালো। গমগমে স্বরে বললেন,

কান্নাকাটি থামা। গুটিয়ে বসে না থেকে রাজনের বাপরে একটা ফোন দে। বিষয় টা সিউর হওয়া জরুরী।

মা চলে গেলো। মায়ের কথাকে গুরুত্ব দিয়ে উঠে গেলাম। রুমে গিয়ে চেয়ারে বসলাম হেলান দিয়ে। আমার পঁচিশ বয়সের দেহখানি ন্যূজ হয়ে আছে নব্বই বছরের অশীতিপর বৃদ্ধার ন্যায়। হেলান না দিয়ে বসা দুষ্কর।

#রেহানা_পুতুল পেইজে, 👉like ও follow দিবেন গল্পের নোটিফিকেশান পেতে।

চরম অনীহা নিয়ে তাকে ফোন দিলাম। প্রথমবার রিসিভ না হলেও দ্বিতীয়বার রিসিভ হলো। যেহেতু চেনা নাম্বার। আর এতক্ষণে সব জেনে গিয়েছি। সেটাও বুঝতে তার অসুবিধা হলো না। তাই রিসিভ করে কিঞ্চিৎ নোয়ানো স্বরে আমাকে বলল,

” আমি খুউব সর‍্যি রত্না। ক্ষমা করে দিও। যা শুনেছো ঠিক শুনেছো।”

” যে পুরুষ ঘরে যুবতী স্ত্রী ও নিষ্পাপ শিশুকে রেখে পরকিয়ায় লিপ্ত হয়। তার মুখে সর‍্যি ও আমার নাম ধরা মানায় না। হাস্যকর লাগে।”

” আমি কোন পরকিয়ায় লিপ্ত হইনি। শিরিন কে ভালোবাসি তার ছোটবেলা থেকেই। মাঝখানে নিরুপায় হয়ে তোমাকে বিয়ে করতে হয়েছে। এর জন্য দায়ী কিছুটা আম্মা আব্বাও। এটার কাহিনী পরে বলব তোমাকে শুনতে চাইলে।”

” শোনার কোন রুচিবোধ আমার নেই। আমার যা হওয়ার তাতো হয়েছেই। এখন শুধু বলেন রাজন কোথায় থাকবে? কিভাবে থাকবে?”

সেই ঝরঝরে কন্ঠে স্বাভাবিক সুরেই বলল,

” আমি তোমার ছেলেকে কেড়ে নিব না। পিতার দাবি নিয়ে তার সামনে কোনদিন দাঁড়াবনা। এটা তিনমাস হয়ে গেলে ডিভোর্স কার্যকরের দিন লিখিতভাবেই সাইন করে দিবো। এবং কাবিনের পুরো টাকাও কড়ায় গণ্ডায় তোমাকে বুঝে দিবো। মাসে মাসে রাজনের খরচ ও দিবো। আশাকরি কোন ঝামেলা করবেনা। ”

“নারীই নারীর প্রধান শত্রু। নারীই নারীর সর্বনাশী ও সর্বগ্রাসী!” কথাটি মনে হতেই ঝট করে ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলাম।

চলবে..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে