#আড়ালে ভালোবাসি
#পর্ব:13
#লেখনিতে:রিদিকা আফরোজ রোজা
আবির এর সেন্স আসে অপারেশনে পাঁচ ঘন্টা পর। সেন্স আসতেই আবির নার্স কে বলে আরসাল আর আইরা কে ডেকে আনতে। নার্স বাহিরে এসে বলে sir আপনাকে আর আইরা মেম কে আবির sir ডাকছে। আরসাল আইরা কে নিয়ে ভিতরে গিয়ে আবির এর দুই পাশে দুই জন বসে। আরসাল আবির এর মাথায় হাত বুলিয়ে বলে উঠে তুই তো এতো কেয়ারলেস না আবির তাহলে কেনো নেশা করে গাড়ি চালিয়েছিস? আরসাল এর কথা শুনে আবির কেঁদে দেই। আরসাল আবির এর চোখের জল মুছে দিয়ে বলে কান্না ছেলেদের মানায় না আবির। আবির আইরার দিখে থাকিয়ে আইরার হাত ধরে বলে উঠে i am sorry আইরা তোর সাথে অন্যায় করার জন্য মাফ করে দিস প্লিজ না হলে যে সারা জীবন আমি নিজের কাছে অপরাধী হয়ে থাকবো তোর সাথে করা অন্যায় এর জন্য। আইরা বলে যা হয় ভালোর জন্য হয়। হয়তো তুমি আমার ভাগ্য ছিলে না আরসাল ভাইয়া ছিলো তাই আমি তোমার হয়নি। তবে অতীত ভুলে যাও আমি অনেক সুখে আছি। আর তোমাকে অনেক আগে মাফ করে দিয়েছি । আবির বলে তুই বলেছিলি না পাপ বাপ কে ও ছারে না সত্যি আমার অন্যায় এর শ্বাস্তি পেয়ে গেছি যার ছলনাতে পরে তোর সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছি আজ সে ও আমাকে সেটাই ফেরত দিলো। আরসাল আর আইরা এক সাথে বলে মানে কি হয়েছে আর নিশাত ও কোথায়। আবির বলে যেখানে থাকার কথা তার বয়ফেন্ড এর সাথে রঙ্গলিলা তে মজে আছে। আরসাল বলে what তুই ক্লিয়ার বল তো। এরপর আবির সব খুলে বলে কি কি শুনেছে আর ওই কান থেকে বের হয়ে রেগে ক্লাবে যাই এরপর আসার সময় এক্সসিডেন্ট হয়। আইরা বলে এতো জঘন্য ও আগে যানতাম আমি কিন্তু তুমি সেটা বিশ্বাস ও করোনি । আবির বলে তাই তো তার শ্বাস্তি পেলাম। আরসাল বলে এই মেয়েকে পুলিশ এ দিবো। আবির বলে দিবো ভাইয়া একটু সুস্থ হয় আর বাবা মা কে না জানানো ভালো হবে। আরসাল বলে তোর ইচ্ছা। একটু পর আবির এর বাবা মা আসে ভিতরে। সবাই এক সাথে বসে কথা বলছে আচমকা নিশাত এসে আবির কে জরিয়ে ধরে বলে উঠে কি করে হলো এসব আবির কেনো আমাকে কেউ জানায় নি আমি তাহলে বাসা থেকে চলে আসতাম তুমি এতো বে খেয়ালি কেনো বলো তো তোমার কিছু হলে আমার কি হতো এসব বলে নেকা কান্না শুরু করে। আবির পারছেনা শুধু ধাক্কা মেরে পেলে দিতে। আবির দাঁতে দাঁত ছেপে বলে আমি ঠিক আছি উঠো। এই দিখে নিশাত এর এই অভিনয় দেখে আইরা আরসাল অবাক এর চরম সীমায়।
দুই দিন পর আবির কে বাসাই নেওয়া হয়। আইরা আরসাল ও থেকে যাই। তবে বাসাই আসার পর থেকে আবির নিশাত এর সাথে স্বাভাবিক আচরন করছে যাতে বুঝতে না পারে সব কিছু। এই দিখে নিশাত ভাবছে আবির কেনো থাকে আগের মতো কাছে টানে না পরোক্ষনে ভাবে না টানলে আমার কি আমি তো রায়ান কে ভালোবাসি। বিকাল বেলা আরসাল থানায় তাই আইরা রুমে টা পরিষ্কার করছে তখনি আইরা দেখতে পাই একটা নীল ডাইরি আইরা এগিয়ে ডাইরি টা হাতে নিয়ে বলে এটা মনে হয় আরসাল এর ডাইরি কিন্তু ও ডাইরি লিখতো! আচ্ছা এটা কি খুলবো অনুমতি ছারা তো কারো জিনিস দেখা উচিত না আর আরসাল আমার হাসবেন্ড আমার তো অধিকার আছে বলেই ডাইরি টা খুলে সাথা সাথে একটা ছবি পরে। ছবি টা হাতে নিয়ে ডাইরির প্রথম পাতার লেখাটা পড়ে আইরার চোখের ঝাপসা হয়ে উঠে পানিতে ।
চলমান……..