❤#আশিকি❤
#Madness_Of_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_4
In Morning…..
সানার আম্মু কিচেনে ব্রেকফাস্ট বানাচ্ছে আর সানাহ রুমে রেডি হচ্ছে অফিসের জন্য।
এমন সময় কেউ ফ্ল্যাটের কলিং বেল বাজালো।
সানার মা ব্যস্ত থাকায় উনি সানাহকে বললেন।
মাঃ সানু দেখতো কে এসেছে?? আমার হাতে আটা দ্রুত আয়,,,
সানাহঃ আসছি আম্মুউউ,,
সানাহ হেয়ার ক্লিপটা রেখে দ্রুত রুম থেকে বের হয়ে যায়।
সানাহ দরজা খুলেই অবাক হয়ে যায় সামনের মানুষটিকে দেখে।
আমাল একটা হোয়াইক প্যান্ট আর চকলেট কালারের শার্ট পরে আছে। চুল গুলো এমনেই সিল্কি আরো স্পাইক করায় অসম্ভব সুন্দর লাগছে। ইচ্ছে করছে চুল গুলোতে একটু হাত বুলিয়ে দিতে। আমালের ঠোঁট বাচ্চাদের মতো গোলাপী রঙের যেটা সবাইকে আরো বেশি ওর প্রতি এ্যাট্রেক্ট করে। তার উপর ঠোঁটের ওই বেবী স্মাইল কিছু বলার নেই। আমাল অলওয়েজ সানগ্লাস ওর শার্টের কলারে ঝুলিয়ে রাখে। এটা ওর পার্সোনালিটির আরেকটা স্টাইল বলতে গেলে।
সানাহ হা হয়ে তাকিয়ে আছে আমালের দিকে।আমালও সানাহকে দেখছে। আকাশি রঙের লং ফ্রক আর খোলা চুলে অসম্ভব সুন্দর লাগছে সানাহকে। যেটা শুধু আমাল বলতে পারবে। সানার হাতের দিকে চোখ যেতেই ঠোঁটের হাসিটা উধাও হয়ে গেল ওর।
এতোক্ষন আমালকে দেখলেও হঠাৎ রাতের কথা মনে পরতেই সানার আবার রাগ চেপে যায়। ও নাক ফুলিয়ে কপাল কুঁচকে আমালকে বলল,,,
সানাহঃ কী চাই?? ?
আমাল নিজেকে সামলে নিয়ে মুখে আবার হাসি ফুটিয়ে নেয়।
আমালের হাতে একটা বাটি ছিল যেটা ও সানার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,,,
আমালঃ চিনিইইই ?আমার এক বাটি চিনি লাগবে কফি বানাবো ( বাহানাবাজ ?)
সানাহঃ কিহ চিনি?? ?
আমালের এভাবে বাটি এগিয়ে দিয়ে চিনি চাওয়ায় অবাক প্লাস হাসি আসছে সানার। কিন্তু আমালের সামনে ও তা প্রকাশ করলো না।
রাগী ফেস নিয়ে ও আবার আমালকে বলল।
সানাহঃ দ্যা আমাল খান আমাদের বাড়িতে চিনি চাইতে এসেছেন হোয়াট আ্য জোক ? কেন আপনার কি টাকার অভাব যে চিনি কিনতে পারবেন না। নাকি আপনার বাবা আপনাকে ত্যাজ্য পুত্র করে দিছে তাই আপনি গরিব হয়ে গেছেন এজন্য চিনি কেনার ও টাকা হচ্ছে না।?
আমালঃ আমি আমার বাবার ওয়ান এন্ড ওনলি সান সো ত্যাজ্য পুত্র করার প্রশ্নই উঠে না। আর যেখানে চিনি কেনার কথা তো Amaal Khan চাইলে পুরো চিনির গোডাউন কিনতে পারে তা তুমি খুব ভালো করেই জানো। ?
একচুয়ালি মুভিতে দেখেছিলাম যে একজন নেইবার অপর নেইবারের বাসায় সব সময় চিনির জন্য যায়। তাই ভাবলাম শুধু শুধু ড্রাইভার চাচাকে কষ্ট দিয়ে মার্কেটে না পাঠিয়ে তোমাদের বাসা থেকে নিয়ে নেই। ?
সানাহঃ আমরা চিনির গোডাউন নিয়ে বসি নি দান করতে। সো অন্য দিকে যানন।
সানাহ দরজা লাগাতে নিলেই ওর আম্মু রান্না ঘর থেকে বলে উঠে।
মাঃ কে এসেছে সানু??
সানাহ আমালের দিকে তাকিয়ে বলে,,,
সানাহঃ টোকাই ফকির আসছে আম্মু ভিক্ষা চাইতে। ?
মাঃ কি সব আবল তাবল বলছিস। টোকাই আবার ফকির হয় কি করে। আর ফ্ল্যাটে কি কেউ ভিক্ষা চাইতে আসে।
সানার আম্মু হাত মুছতে মুছতে দরজার সামনে আসে।
আমাল রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সানার দিকে আর সানার ঠোঁটে শয়তানি হাসি। আমালকে ভালোই জব্দ করছে ও।
মাঃ কে?? সর আমি দেখি,,,
আমালঃ আমিইই আন্টি,,, ( চেঁচিয়ে)
মাঃ আরে আমাল বাবা যে। আসো আসো ভিতরে আসো।
আমাল সানাহকে চোখ মেরে ভিতরে ঢুকে যায় আর সানাহ নাক ফুলিয়ে ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বলে,,,
সানাহঃ টোকাই ফকির কোথাকার,,,
মাঃ এসব কি সানাহ তুমি আমাল কে এসব কি নামে ডাকছো।
সানাহঃ আমার কি দোষ এভাবে কেউ হুট করে এসে যদি বলে একটু চিনি দিবেন তাহলে তাদের তো টোকাই ফকিরই বলে ?
সানাহ কথাটা বলেই নিজের রুমে চলে যায়।
মাঃ আমাল তুমি ওর কথাগুলো মনে নিও না। আসলে ও এমনি,,,
আমালঃ আরে না আন্টি আমি কিছু মনে করছি না শুধু এইটুকুই ভাবছি,,,
মাঃ কিই??
আমালঃ এটাই যে আপনার মতো সুইট আন্টির মেয়ে এমন ঝাসিকি রানীর মতো হলো কিভাবে,, ??
মাঃ ওর রাগটা একটু বেশি। একদম ওর আব্বুর মতো হয়েছে।
আমাল আর সানার আম্মু অনেকক্ষণ গল্প করলেন। আমাল এসেছিল কফির জন্য চিনি নেওয়ার বাহানায় কিন্তু সানার আম্মু ওকে বসিয়ে কফি প্লাস ব্রেকফাস্ট দুটোই করিয়ে দিয়েছে।
সানাহ কিছু বলতেও পারছে না আর সইতেও পারছে না।
আমাল ব্রেকফাস্ট করে ওর ফ্ল্যাটে চলে যায় আর সানাহ ও অফিসের জন্য বেড়িয়ে যায়।
সানাহ নিচে এসে ওর গাড়িতে বসতে গেলেই সামনে আমালের গাড়ির দিকে ওর নজর যায়। গাড়ির আশেপাশে কেউ নেই। সানার মাথায় রাতের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য দুষ্টু বুদ্ধি চাপলো।
সানাহ ধীর পায়ে গিয়ে হেয়ার ক্লিপ দিয়ে গাড়ির টায়ার ফুসসস করে দিল। তারপর দৌড়ে নিজের গাড়িতে বসে পরলো।
সানাহঃ আমার সাথে পাঙ্গা নেওয়ার মজা এবার বুঝো মি. আমাল।
হঠাৎ পাশে তাকাতেই চোখ বড় বড় হয়ে যায় ওর। সানার পাশের সিটে আমাল চোখ বন্ধ করে হেলান দিয়ে বসে আছে।
সানাহঃ ইউউউ,,, তুমি আমার গাড়িতে কি করছো গেট আউট ?নামো বলছি।
আমাল চোখ বন্ধ অবস্থায় নিজের ফোন এগিয়ে সানার সামনে ধরে। একটা ভিডিও প্লে করে দিল ও। ভিডিওতে সানাহ আমালের গাড়ির টায়ারের হাওয়া বের করছে।
আমালঃ এখন বেশি কথা না বলে গাড়ি স্টার্ট দাও অফিসে লেট হয়ে যাচ্ছে।
( মাই লাভ তুমি হয়তো ভুলে যাচ্ছো যে আমি আমাল খান। আমি সবসময় চার কদম এগিয়ে চলতে পছন্দ করি। আর যেখানে তোমার কথা,,, তো তুমি চলো ডালে ডালে আর আমি চলি পাতায় পাতায় ?মনে মনে)
To be continued…..