#আমার_স্বামী
#Rayhan_Naim
#পার্ট_২+৩
– তুই আমাকে লাথি দিয়ে ফেলে দিলি (নাইম)
ওনার কাছ থেকে নিজেকে ছাড়ানোর জন্য
চেষ্টা করছিলাম তখন ধাক্কা লেগে বিছানা
থেকে মেঝেতে পড়ে যায় । আর সে সময় ওনি
রাগি চোখে তাকিয়ে কথাটা বলল –
– আমার তো ভয়ে অবস্থা খারাপ এখন কি করি ?
– তবুও ভয়ে ভয়ে ওনার কাছে গেলাম !
– দয়া করে এমন কথা বলবেন না আমি স্বপ্নেও আপনাকে আঘাত করার কথা চিন্তা করতে
পারি না – বিশ্বাস করুন আমি ইচ্ছেকরে করিনি ভুলবশত ? (আমি)
বাকিটা বলার আগেই ওনি হাতের ইশারায় থামতে বললেন আমি চুপ করে গেলাম –
– সামান্য জড়িয়ে ধরেছি বলে গায়ে ফোস্কা পড়ে
যায় যদি তাহলে বিয়ে করলি কেন (নাইম)
– বিশ্বাস করুন আমি ভেবেছিলাম আপনি যদি
এভাবে আমাকে দেখেন হয়তো আবার রাগ করবেন তাই নিজেকে ছাড়াতে গিয়ে ভুলবশত হয়ে গেছে দয়া করে কিছু মনে করবেন না পিল্জ (আমি)
– যা ফ্রেশ হয়ে আমার জন্য চা বানিয়ে নিয়ে (নাইম)
– জী আচ্ছা (আমি)
তাড়াতাড়ি করে ওয়াশরুমে চলে গেলাম
ফ্রেশহতে – ফ্রেশ হয়ে এসে ওনার জন্য চা
বানিয়ে আনলাম । কিন্ত ওনি আমার সাথে
কথা বলছেন না – আমি ওনাকে বললাম !
– আপনি কি আমার ওপর রাগ করে রয়েছেন
পিল্জ রাগ করবেন না কথা বলুন ! আপনার
ইচ্ছে হলে আমাকে শাস্তি দিন তবুও পিল্জ রাগ করে থাকবেন না – (আমি)
– মাথা টা ফুলিয়ে দিয়েছিস – ব্যাথায় টন টন করছে রাগ করে থাকবো না তো কি আদর করবো (নাইম)
– খুব ব্যাথা করছে তাইনা – আমি বরফ আনছি একটু ধৈর্য ধরুন !(আমি)
-তাড়াতাড়ি করে নিচ থেকে ওনার জন্য বরফ আনলাম লাগিয়ে দিলাম – ব্যাথার জায়গায় সত্যি
লাল হয়ে গেছে ! খুব লেগেছে মনে হয় ।
– হয়েছে অনেক করেছিস যা এখন নাস্তা বানিয়ে আন (নাইম)
– জী আচ্ছা আপনি একটু কষ্ট করে ফ্রেশ হয়ে
আসুন আমি এখুন্নি বানিয়ে আনছি (আমি)
এই বলে কিচেনে আসলাম – নাস্তা রেডি করে নিলাম – তার মাঝে আম্মু – আব্বুকেও চা দিয়ে আসলাম ! তারপর নাস্তা নিয়ে ঘরে গেলাম – ঘরে গিয়ে ওনাকে দেখে আমার খুব লজ্জা লাগতে শুরু করলো কারন ওনি গালি গায়ে ভেজা চুলে বিছানায় বসে রয়েছেন – কেমন জানি লাগছিলো ইচ্ছে হচ্ছিলো তাকিয়ে থাকি কিন্ত পারছিনা
– কিরে দাড়িয়ে কি ভাবছিস খাবার দিবিনা নাকি না খাইয়িয়ে মারবি (নাইম)
– ওনার কথায় ঘোর কাটলো – ওনার কাছে খাবার দিয়ে চলে আসচ্ছিলাম ওনি বললেন –
– কই যাস খায়িয়ে দিবে কে ? হাতে ব্যাথা করছে
খাইয়িয়ে দিয়ে যা (নাইম)
মনে মনে খুব খুশি হলাম কারন খুব ইচ্ছে ছিলো
স্বামীকে নিজ হাতে তুলে খায়িয়ে দিবো – খুশি মনে ওনার পাশে বসলাম – খায়িয়ে দিচ্ছিলাম
– একদম তাকিয়ে থাকবি না নজর লাগলে আবার আমার পেট ব্যাথা করবে (নাইম)
– জী আচ্ছা (আমি)
-ওনাকে খায়িয়ে দিচ্ছিলাম এক পর্যায়ে ওনি
খাবার প্লেট হাত থেকে নিয়ে নিলেন
– হা কর এত খাবার একা খাওয়ার মতো রাক্ষস আমি নই (নাইম)
– আমি তো অবাক হয়ে ওনার দিকে তাকিয়ে ছিলাম ওনি আমাকে নিজ হাতে খায়িয়ে দিচ্ছেন
আর এটা ওটা কথা বলছেন – এভাবে বেশিক্ষন চললে আর নিজেকে সামলাতে পারবোনা ওনার প্রেমে পড়ে যাবো হিহি –
খাবার খাওয়া শেষে যখন প্লেট নিয়ে যাচ্ছিলাম
ওনি পেছন থেকে ডেকে বললেন –
– প্লেট টা রেখে তাড়াতাড়ি আসবি (নাইম)
– জী (আমি)
প্লেট কিচেনে রেখে তাড়াতাড়ি ঘরে আসলাম
জানি না হঠাৎ এত কেয়ার করছে কেনো
তারমানে কি ওনি আমাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছে । না আর কিছু ভাবতে পারছি না তাড়াতাড়ি ঘরে গেলাম ।
আমাকে দেখে ওনি বললেন –
– এসেছিস ? বস ওখানে (নাইম)
বিছানায় বসতে বলল – আমি ও চুপচাপ বসে পড়লাম – হঠাৎ আমার সামনে কিছু শপিং ব্যাগ আনলেন আলমারি থেকে ! এবং সেগুলো টেবিলে রেখে ওনি বললেন-
– তোকে একটা কথা বলি ! (নাইম)
– যা ইচ্ছে বলুন অনুমতি নেওয়ার কি আছে বলুন(আমি)
– সরি কাল রাতের জন্য – আমি জানি তুই অনেক
কষ্ট পেয়েছিস পারলে আমাকে ক্ষমা করে দে – (নাইম)
ওনি আমার হাত দুটো ধরে যখন এই কথাটা বলল তখন যে মনে হলো কোনো স্বপ্ন দেখছি –
– এমন টা বলবেন না পিল্জ আমি কোনো
কষ্ট পায়নি আপনি এভাবে ক্ষমা চেয়ে আমাকে
পাপী বানাবেন না উল্টো আপনি আমাকে ক্ষমা
করে দেন আমি আপনাকে নিজের অজান্তে অনেকটা কষ্ট দিয়েছি – নিজের কাছে নিজেই অপরাধী হয়ে রয়েছি – আমি আপনাকে সন্তুষ্ট করতে পারিনি !
আপনি কি জানেন – ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ্ বলেছেন – সুতরাং নেককার নারী সে যে আনুগত্যশীল ।
অথাৎ – যে নারী সবর্দা স্বামীর আনুগত্য করে ।নারীর জন্য আল্লাহ্ ও তার রাসূলের হকের পর
স্বামীর হকের মত অবশ্য কর্তব্য কোনো হক নেই ।
রাসূল (সাঃ) আরো বলেছেন –
– আমি যদি আল্লাহ্ ব্যতীত কাউকে সেজদা করার নির্দেশ দিতাম তবে নারীদের আদেশ করতাম স্বামীদের সিজদাহ্ করার জন্য ।
সে আল্লাহর শপথ করে বলছি যার হাতে আমার
জীবন – নারী তার স্বামীর সব হক আদায় করা ব্যতীত আল্লাহর হক আদায়কারী হিসেবে গন্য হবে না । এমনকি স্বামী যদি তাকে বাচ্চা প্রসবস্থান থেকে তলব করে সে তাকে নিষেধ করবে না ।
( সহীহ্ আল জামে আল সাগির -৫২৯৫)
অতএব স্বামীর সাথে উত্তম আচরনকরা- তার কষ্ট
লাঘব করা আর এর উপর নির্ভর করে তাকে
সন্তষ্ট করা এবং তার ব্যাক্তিত্বকে রক্ষা করা ।
রাসূল (সাঃ) বলেন –
– দুনিয়াতে কোনো স্ত্রী তার স্বামীকে কষ্ট দিলেই তার ডাগর চক্ষুবিশিষ্ট হুরী স্ত্রী বলে উঠে – তুমি তাকে কষ্ট দিবে না – আল্লাহ তাকে ধ্বংস করুক কারন সে তোর নিকট আগন্তক অচিরেই সে তোকে ছেড়ে আমাদের নিকট চলে আসবে ।
আর কিছু বলতে যাবো ঠিক তখনি ওনি
আমার মুখে আঙুল দিয়ে স্পর্শ করে বললেন
-হুসস চুপ ! অনেক বলেছেন এবার এগুলো নিন(নাইম).
শপিং ব্যাগগুলো সব হাতে ধরিয়ে দিলেন –
– এগুলো কি (আমি)
– আপনার জন্য কিছু উপহার – আর এই নেন
আপনার মোহরানার টাকা (নাইম).
– এগুলো দিয়ে আমি কি করবো এগুলো আপনার কাছেই রেখে দেন – (আমি)
– এতক্ষন এত কথা বললেন এত সুন্দর সুন্দর
হাদিস বললেন এটা নিশ্চয়ই জানেন – মোহরানার টাকা পরিশোধ করা না পযন্ত স্ত্রী গায়ে হাত দেওয়া হারাম ! (নাইম)
– জী জানি ! তবে আপনি কি জানেন
আল্লাহ্ তায়ালা কুরআন-কারীমে বলেছেন
وَاٰتُوا النِّسَآءَ صَدُقٰتِہِنَّ نِحۡلَۃً ؕ فَاِنۡ طِبۡنَ لَکُمۡ عَنۡ شَیۡءٍ مِّنۡہُ نَفۡسًا فَکُلُوۡہُ ہَنِیۡٓــًٔا مَّرِیۡٓــًٔا
উচ্চারণঃ ওয়া আ-তুন নিছাআ সাদুকা-তিহিন্না নিহলাতান ফাইন তিবনালাকুম ‘আন শাইইম মিনহু নাফছান ফাকুলূহু হানীআম মারীআ।
অর্থঃ আর তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মোহর দিয়ে দাও খুশীমনে। তারা যদি খুশী হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয়, তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর ।
(সূরা আন নিসা (النّساء), আয়াত: ৪)
– তাই আমি আপনার দেওয়া উপহার গুলো রেখে দিলাম – আর টাকা গুলো আপনিই রাখেন উপহার গুলোই আমার জন্য অনেক ( আমি)
-আপনার সাথে কথাই পারবো না এগুলো তোলা রইলো আলমারিতে ইচ্ছেমত খরচ কইরেন ! (নাইম)
– আমি হঠাৎ করেই ওনাকে জড়িয়ে ধরলাম –
আর ওনি এমন একটা কাজ করলেন যা
আমি আশা করিনি ।
চলবে………!!
#আমার_স্বামী
#Rayhan_Naim
#পাট_৩
– আলমারিতে টাকাগুলো রেখে যখন ওনি আমার সামনে এসে দাড়ালেন – আমি লজ্জা সরমের মাথা খেয়ে ওনাকে জড়িয়ে ধরলাম ! কেনো জানিনা আজ ওনাকে খুব ভালোবাসতে ইচ্ছে করছে ?
– যখন ওনার বুকে মাথা রেখে চুপটি করে ছিলাম
কিছুক্ষন পর ওনি আমাকে সরিয়ে দিলেন ?
আমি ওনার দিকে এক নজরে তাকিয়ে ছিলাম হঠাৎ করে ওনি বললেন !
– ওমন হা করে তাকিয়ে না থেকে তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নাও আর কিছু কাপড় চোপড় প্যাক করে ফেলো (নাইম)
– জী আচ্ছা কিন্ত কেনো ! (আমি)
– আপনাকে আপনার বাপের বাড়িতে রেখে আসবো (নাইম)
– এ্যা (আমি) (মুখ গোমড়া করে ওনার দিকে তাকিয়ে ছিলাম )
– এ্যা নয় হ্যা যান এখন তৈরি হয়ে নেন (নাইম)
আমি সাথে সাথে ওনার হাত ধরে কান্না করে ফেললাম –
– কি দোষ করেছি আমি বলুন না – দরকার হলে
আমাকে শাস্তি দিন যা খুশি করুন তবুও আমাকে
তাড়িয়ে দিবেন না – মেয়েদের জন্য স্বামীর বাড়িই তার আসল ঠিকানা এছাড়া তার কোনো পরিচয় নেই । আমি সারাজীবন আপনার চাকরানি হয়ে থাকবো তবুও আমাকে এই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিবেন না (আমি)(কাদতে কাদতে)
হঠাৎ ওনি ধমক দিয়ে বললেন –
– আরে ধুর পাগল – কি এসব আবোল তাবোল কথা বলস তোরে চাকরানি বানানোর জন্য বিয়ে করেছি নাকি তোর বাপের বাড়িতে রেখে আসার জন্য – কিছুক্ষন আগে তোর আব্বু কল দিয়ে বলেছিলো তোকে আর আমাকে তাদের ওইখানে যেতে তাই তোকে কিছু কাপড় চোপড় প্যাক করতে বলছি আর বাপের বাড়িতে রেখে আসার কথাটা তোকে ক্ষেপানোর জন্য বলছি কিন্ত তুই তো বাচ্চাদের মতো কান্না শুরু করে দিলি (নাইম)
– ওনি এমন টা করবে সেটা আমি মোটেও আশা করিনি কিন্ত ওনি এখন রেগে যাচ্ছে কিছু না বলে
আবার জড়িয়ে ধরলাম –
– শান্ত হন ! আমি বুজতে পারিনি তাই কেদে দিয়েছি আপনি পিল্জ রাগ করবে না – সরি (আমি)
– হয়েছে অনেক ভালোবাসা দেখাইছেন এখন রেডি হন (নাইম)
– আপনাকে একটা অনুরোধ করবো রাখবেন (আমি)
– কি শুনি (নাইম)
– আপনি আমাকে সব সময় তুই করেই বলবেন কেমন – আপনার মুখে তুই শব্দটা খুব মানায় মনে হয় যেনো অনেক ভালোবাসা লুকিয়ে রয়েছে শব্দটার মাঝে (আমি)
– আচ্ছা বলবো – এখন যা রেডি হয়ে নে আমাদের যেতে বলছে তাড়াতাড়ি – একটু শশুর বাড়িতে গিয়ে দেখি জামাই আদর কেমন করে হি হি (নাইম)
দুজনেই হাসতে লাগলাম ! ওনি বাইরে গেলেন
কিছক্ষন পর আসলেন এদিকে আমি ব্যাগ ট্যাগ
গুছিয়ে ফেলেছি বোরখাটাও পড়ে নিলাম
যখন হাত মোজা আর পায়ের মোজা পড়তে যাবো ওনি বললেন –
– ওয়েট আমি পড়িয়ে দেই তোকে ? (নাইম)
– জী ! (খুশি মনে )
ওনি আমাকে হাতের মোজা আর পায়ের মোজা
পড়িয়ে দিলেন খুব ভালো লাগছিলো আমার মনে হলো যেনো পৃথিবীর সব ভালোবাসা একত্রে এসে জমা হয়েছে ।
মোজা পড়ানো শেষে ওনি আস্তে করে আমাকে বুকের মাঝে টেনে নিলেন – আমি তো লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললাম – ওনি বললেন :
– যে স্বামী তার স্ত্রীকে একবার চুমু দিবে আর যে স্ত্রী তার স্বামীকে একবার চুমু দিবে প্রতিটা চুমুর বিনিময়ে ১০০ টা নেকি তাদের আমল নামায় লেখা হয় ।
(মুসনাদে আহমেদ- স্বামী স্ত্রী অধ্যায়)
– আমি কি তোকে চুমু দিতে পারি ? (নাইম)
ওনার কথা শুনে আমার তো লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছে করছিলো ওনি আমার নীরবতা
দেখে তা বুজে গেলে – এবং নিজের হাত দিয়ে
আমার দুগালে স্পর্শ করলো আমি চোখ বন্ধ করে রয়েছিলাম ! ওনি আমার ডান গালে গভির ভাবে চুমু একে দিলেন ? আমি ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি মুচকি হাসি দিচ্ছেন – আর বললেন
– এবার তোর পালা হিহি (নাইম)
– আগে আপনি বলুন আপনি এসব হাদিস জানেন ? কই কোনোদিন তো আপনাকে মাদরাসায় পড়তে দেখিনি (আমি)
– মাদরাসায় পড়িনি বাট মাঝে মাঝে ইসলামিক বই পড়তাম সেগুলো থেকেই জেনেছি ! এবার লজ্জা ছাড় যেটা করতে বলছি সেটা কর (নাইম)
আমি ও আর কথা বাড়ালাম । হাসি মুখে ওনার আবদার পূরন করলাম – অতপর মা বাবার থেকে বিদায় নিয়ে গাড়িতে গিয়ে বসলাম ।
#আমার_স্বামী পাশে বসে ড্রাইভ করতে লাগলেন
আর আমি ওনার কাধে মাথা রেখে বসে রয়েছি । আজ নিজেকে প্রকৃত সুখী মানুষ হচ্ছে ।
– কাছে আসার বাহানা খুজিস শুধু (নাইম)
হঠাৎ ওনি এই কথাটা বললেন আর আমি রাগ দেখিয়ে বললাম –
– আমি আসবো না তো কে আসবে (আমি)
– কেনো তোর শতিন হিহি (নাইম)
– একদম মেরে ফেলবো কেউ কাছে আসার চেষ্টা করলে হুমম (আমি)
– ভাবতাছি আরেকটা বিয়ে করবো তোর ও একজন জগরা করার মানুষ হবে আর আমি ভালোবাসা টা একটু বেশিই পাবো (নাইম)
(তাকে রাগানোর জন্য)
– কেনো আমি কম কিসে – আর আমার জগরার করার মানুষের প্রয়োজন নেই যত ভালোবাসা ও দরকার আমি দিবো অন্য মেয়ের কথা মুখেও আনবেন না বলে দিলাম (আমি)
– কেনো তুই কি জানিস না আল্লাহ্ তায়ালা
পবিত্র কুরআনে কি বলেছেন –
وَاِنۡ خِفۡتُمۡ اَلَّا تُقۡسِطُوۡا فِی الۡیَتٰمٰی فَانۡکِحُوۡا مَا طَابَ لَکُمۡ مِّنَ النِّسَآءِ مَثۡنٰی وَثُلٰثَ وَرُبٰعَ ۚ فَاِنۡ خِفۡتُمۡ اَلَّا تَعۡدِلُوۡا فَوَاحِدَۃً اَوۡ مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ ؕ ذٰلِکَ اَدۡنٰۤی اَلَّا تَعُوۡلُوۡا ؕ
উচ্চারণঃ ওয়া ইন খিফতুম আল্লা-তুকছিতূফিল ইয়াতা-মা-ফানকিহূমা-তা-বা লাকুম মিনান নিছাই মাছনা-ওয়া ছুলা-ছা ওয়া রুবা-‘আ ফাইন খিফতুম আল্লা-তা‘দিলূফাওয়াহিদাতান আও মা-মালাকাত আইমা-নুকুম যা-লিকা আদনাআল্লা-তা‘ঊলূ
অর্থঃ আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।
(সূরা আন নিসা (النّساء), আয়াত: ৩)
– অতপর আরেকটা বিয়ে করলে মন্দ হয়না কি বলিস হিহি(নাইম)
ওনার কথা শুনে সারা শরির রাগে জলতাছে ইচ্ছে করছে ওনার চুল ছিড়ে ফেলি বজ্জাত একটা আমি চুপ করে রইলাম এবং ওনার থেকে সরে বসলাম ! ওনার থেকে সরতেই ওনি একটা ধমক মারলেন – আর বললেন ?
– তোর সাহস কি করে হলো কাধ থেকে মাথা সরানির আবার কাধে মাথা রাখ আর চুপ করে
বসে থাক (নাইম)
– আপনি আমাকে এত জালিয়ে কি মজা
পান বলুন তো একটু ভালোবাসলেও তো পারেন (আমি)
– ওনার কাধে মাথা রেখে বললাম ।
– কোনো মেয়ের দিকে আপনি তাকাবেন না দয়া করে বেগানা নারীর দিকে তাকালে পাপ হয় !(আমি)
– তাকালে পাপ হয় জানতাম না তো (নাইম)
– জী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন
– কোনো নারীর উপর তোমার দৃষ্টি পড়লে তার দিকে বার বার দৃষ্টিপাত করো না বরং নজর অতিসত্তর ফিরিয়ে নাও কারন তোমার জন্য প্রথম বার ক্ষমা – দ্বিতীয় বার নয় । (আহমাদ শরীফ -১৩৬৯)
– তাই আমার অনুরোধ কোনো নারীর দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না – (আমি)
– কিন্ত তারা যদি আমার দিকে তাকায় তাহলে (নাইম)
– আপনি না তাকালে দেখবেন কিভাবে তারা আপনার দিকে তাকিয়েছে কি না (আমি)
– আচ্ছা কিন্ত তোকে যে একটা পারফিউম
কিনে দিয়েছিলাম সেটা ইউজ করো নাই কেন
তোর কি সেটা পছন্দ হয়নি ? (নাইম)
– না তেমন ব্যাপার নয় আসলে আমি পারফিউম
ইউজ করিনা – কারন পারফিউম ইউজ যেসব মেয়েরা করে তারা ব্যাভিচারী নারীর দলভুক্ত (আমি)
– মানে বুজলাম না (নাইম)
– #আমার_স্বামী টা দেখছি একেবারে বোকা
মানে হলো
– প্রত্যেক চক্ষুই ব্যভিচারী – নারী যদি সুগন্ধী ব্যবহার করে কোনো পুরুষ মজলিশ পার হয় তাহলে সে হয় বেশ্যা !/এমন কি এই অবস্থায় নামাজ পরাও নিষিদ্ধ ।
আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন
– যে মহিলা সেন্ট ব্যবহার করে মসজীদে যায় সে মহিলা গোসল না করা পযন্ত নামাজ কবুল হবে না ।
– এবার বুজলেন তো (আমি)
– জী বুজেছি আর একটা কথা তুই ও কারো দিকে তাকাবি না আল্লাহ্ তায়ালা এটাও বলেছেন
–
وَقُلۡ لِّلۡمُؤۡمِنٰتِ یَغۡضُضۡنَ مِنۡ اَبۡصَارِہِنَّ وَیَحۡفَظۡنَ فُرُوۡجَہُنَّ وَلَا یُبۡدِیۡنَ زِیۡنَتَہُنَّ اِلَّا مَا ظَہَرَ مِنۡہَا وَلۡیَضۡرِبۡنَ بِخُمُرِہِنَّ عَلٰی جُیُوۡبِہِنَّ ۪ وَلَا یُبۡدِیۡنَ زِیۡنَتَہُنَّ اِلَّا لِبُعُوۡلَتِہِنَّ اَوۡ اٰبَآئِہِنَّ اَوۡ اٰبَآءِ بُعُوۡلَتِہِنَّ اَوۡ اَبۡنَآئِہِنَّ اَوۡ اَبۡنَآءِ بُعُوۡلَتِہِنَّ اَوۡ اِخۡوَانِہِنَّ اَوۡ بَنِیۡۤ اِخۡوَانِہِنَّ اَوۡ بَنِیۡۤ اَخَوٰتِہِنَّ اَوۡ نِسَآئِہِنَّ اَوۡ مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُہُنَّ اَوِ التّٰبِعِیۡنَ غَیۡرِ اُولِی الۡاِرۡبَۃِ مِنَ الرِّجَالِ اَوِ الطِّفۡلِ الَّذِیۡنَ لَمۡ یَظۡہَرُوۡا عَلٰی عَوۡرٰتِ النِّسَآءِ ۪ وَلَا یَضۡرِبۡنَ بِاَرۡجُلِہِنَّ لِیُعۡلَمَ مَا یُخۡفِیۡنَ مِنۡ زِیۡنَتِہِنَّ ؕ وَتُوۡبُوۡۤا اِلَی اللّٰہِ جَمِیۡعًا اَیُّہَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ
উচ্চারণঃ ওয়া কুল লিলমু’মিনা-তি ইয়াগদুদনা মিন আবসা-রিহিন্না ওয়া ইয়াহফাজনা ফুরূজাহুন্না ওয়ালা-ইউবদীনা ঝীনাতাহুন্না ইল্লা-মা-জাহারা মিনহা-ওয়াল ইয়াদরিবনা বিখুমুরিহিন্না ‘আলা-জুয়ূবিহিন্না ওয়ালা-ইউবদীনা ঝীনাতাহুন্না ইল্লা-লিবু‘উলাতিহিন্না আও আবাইহিন্না আও আ-বাই বু‘উলাতিহিন্না আও আবনাইহিন্না আও আবনাই বু‘উলাতিহিন্না আও ইখওয়া-নিহিন্না আও বানীইখওয়া-নিহিন্না আও বানীআখাওয়া-তিহিন্না আও নিছাইহিন্না আও মা-মালাকাত আইমা-নুহুন্না আবিত তা-বি‘ঈনা গাইরি ঊলিল ইরবাতি মিনার রিজা-লি আবিততিফলিল্লাযীনা লাম ইয়াজহারূ‘আলা-‘আওরাতিননিছাই ওয়ালা-ইয়াদরিবনা বিআরজুলিহিন্না লিইউ‘লামা মা-ইউখফীনা মিন ঝীনাতিহিন্না ওয়াতূবূইলাল্লা-হি জামী‘আন আইয়ুহাল মু’মিনূনা লা‘আল্লাকুম তুফলিহূন।
অর্থঃ ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।
(সূরা আন নূর (النّور), আয়াত: ৩১)
– জি ইনশাআল্লাহ্ আমি #আমার_স্বামী ছাড়া
কারো দিকে তাকাবোনা (আমি)
আরো অনেক কথা বলতে বলতে যখন বাড়ির
সামনে চলে আসলাম – তখন আমি গাড়ি থেকে
নামলাম ।
হঠাৎ একটা ছেলে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে
বলল –
– আমার পেত্নি টা কেমন আছে – স্বামী পেয়ে
আমার কথা ভুলেই গেছিস ( রায়হান )
– আমি ছেলেটাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বললাম
– আজব তো কে আপনি – আমি তো আপনাকে চিনি না সরেন আমার সামনে থেকে (আমি)
চলবে……..!!
ভুল গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ !