অবশেষে তুমি আমি পর্ব-০৫

0
2099

#অবশেষে তুমি আমি~৫
?️Chhamina Begam

সেই সন্ধ্যা থেকে রোজা মোবাইল হাতে নিয়ে বসে আছে অথচ একটিবারের জন্যে শাওন ফোন করেনি । সে নিজে যতবার কল ঢোকানোর চেষ্টা করেছে ততবারেই একজন মহিলা যান্ত্রিক আওয়াজে জানিয়েছে ‘আপনার ডায়ালকৃত নম্বরটি বর্তমানে সুইচ অফ আছে ‘। যা রোজার বিরক্তির মাত্রাকে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করছে । শাওনের ওপর এত রাগ হচ্ছে যে বলার নয় । হাদারামটা কি জানে না যে ওর ফোনের অপেক্ষায় কেউ একজন বসে আছে ? বাড়ি ফিরে কি এমন করছে যে দুই মিনিট সময় বের করতে পারেনি ? ঠিক আছে, কল নাহয় নাই করল , কমপক্ষে দশ সেকেন্ড সময় নিয়ে একটা মেসেজ তো করতে পারত ! ও ঠিক ঠাক মতো বাড়ি পৌছলো কিনা সেটা জানার ও উপায় নেই ।

প্রচুর চিন্তা হচ্ছে রোজার , এদিকে পেটের মধ্যেই ” গুরুম গুরুম ” ডাক শুরু হয়ে গেছে । দুই মিলে রাগটা এখন গিয়ে পড়ল দাদাভাইয়ের ওপর । ও কি খাওয়া দাওয়ার পর কথা টা তুলতে পারত না !ততক্ষণে ও খেয়ে নিতে পারত । রাগ দেখিয়ে প্লেটে জল ঢেলে এসেছে এখন নিজে যেতেও পারছে না । যদিও কিছুক্ষণ আগে আম্মু কয়েকবার জোর করেছে যেন খেয়ে নেয় কিন্তু তখন রাগটা এতটাই বেশি ছিল যে ক্ষিদের কথা মনেই ছিল না । এখন নিজেকে কষে একটা গালি দেয় রোজা । কি দরকার ছিল অত ভাব নেওয়ার ? খেয়ে দেয়ে যত খুশি রাগ করা যেত না !আর এদিকে এই অসভ্য লোকটা কেন যে বারবার কল করছে কে জানে ? যার একটা ফোনের জন্য ও তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করছে রোজা তার তো কোনো খবরই নেই অথচ সে ছাড়া রাজ‍্যের সবাই উইশ করতে লেগে গেছে । ফোনের মেসেজ নোটিফিকেশনের শব্দে রোজা চকিতে হাত ধরা ফোনটা চোখের সামনে নিয়ে আসে । মেসেজটা খুলে দেখে চাচাতো দিদি মুক্তা ” গ্ৰিটিংস “পাঠিয়েছে । পরশু ওরা আসছে রোজার আকদ উপলক্ষে । রাগে দুঃখে চোখে জল এসে যায় রোজার । সবাই পেয়েছে টা কি ওকে ? যার যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছে ওর সাথে ? এবার সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে হাতের ফোন টার ওপর । মাথার ভেতর টা দপদপ করছে। যত নষ্টের গোড়া এই ফোনটা !এটা না থাকলে কেউ আর ওকে বিরক্ত করতে পারবে না !কথাটা মাথায় আসতেই ফোনটাকে ছুড়ে মারে । দেয়ালের সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষে ‘ ঠাস’ শব্দে হাতের অ্যান্ড্রয়েট সেটটা টুকরো টুকরো হয়ে যায় ।
কতক্ষণ অবধি গুম মেরে বসে ছিল জানা নেই রোজার। যতক্ষণে সচেতন হয় ততক্ষণে সাধের ফোনটার একটা পার্টস ও নিজের জায়গায় নেই ।শাওনের সাথে যোগাযোগের আর কোনো পথ খোলা রইল । আব্বু যা রেগে আছে ওর ওপর ,এই মুহূর্তে ওর একটা আবদার ও গ্ৰান্টেড হবে না । একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যমটাও ওর নিজের দোষেই বন্ধ হয়ে গেছে এটা ভাবতেই সত‍্যি সত্যিই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে রোজার চোখ দিয়ে । ভাঙা ফোনের টুকরো গুলো হাতে নিয়ে ঢুঁকরে কেঁদে ওঠে ।

রুবিনা পাশে দাড়িয়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে লক্ষ্য ক‍রছেন স্বামীকে । অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসার একটু পর কথা বলতে বলতেই ওনার চোয়াল শক্ত হয়ে যাচ্ছে । অথচ তিনি নিজের রাগের বহিঃপ্রকাশ করতে পারছেন না । শান্ত হয়ে অপর দিকের ব‍্যক্তির কথা শুনছেন । পরক্ষনেই একটু একটু করে ওনার মুখাবয়ব স্বাভাবিক হয়ে আসে । একসময় মৃদু হেসে কাউকে বাড়িতে আসার আমন্ত্রণ জানান । প্রায় আধ ঘন্টা ধরে এই ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তিত রূপ দেখে রুবিনা দ্বিধায় পড়ে যায় । উৎসুক হয়ে অপেক্ষা করছেন কখন কথা শেষ হবে আর কখন সামসুল সাহেব তাকে সব কথা বলবেন ? কিন্তু অপেক্ষা শেষ হওয়ার আগেই কোনো কিছু ভাঙার তীব্র শব্দে রুবিনা সহ সামসুল সাহেব দুজনেই কান খাড়া করে শোনেন । তারপর ছুটে আসেন রোজার ঘরের দিকে । ততক্ষণে আরাব ও ছুটে এসেছে । ভেতর থেকে মেয়ের কান্নার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে । সবাই বিচলিত হয়ে ওঠে । রুবিনা আকুল হয়ে মেয়েকে ডাকেন দরজা খোলার জন্য । হঠাৎ আরাবের মনে পড়ে রোজার রুমের দরজা ভেতর থেকে লক হয়ে গেলে এক্সট্রা চাবি দিয়ে বাইরে থেকেও খোলা যায়। কথাটা মনে পড়তেই রুবিনাকে বলে ,

-“আম্মু , এই দরজার এক্সট্রা চাবিটা কোথায় ?”
রুবিনা এক সেকেন্ড কিছু ভেবে বলে,
-“আমাদের রুমের ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে আছে ।”

আরাব ছুটে যায় আব্বুর রুমে । কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে এসে দরজা খুলে সামনের দৃশ্য দেখে সবাই স্তম্ভিত হয়ে যায়। সবার বুকের ভেতরটা ধক করে ওঠে । রোজা মেঝেতে হাটু ভাঁজ করে শুয়ে বুকের মাঝে কিছু একটা চেপে ধরে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে । রুবিনা মেয়েকে তুলে বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরেন । তার চোখ দিয়েও অনুতাপের বারিধারা ঝরছে ।

-“রুবিনা , ওকে বলো এখন কান্না বন্ধ করে যেন তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ে । কাল ছেলের বাবা-দাদা আসবে দেখতে । ”

রুবিনা কঠিন চোখে তাকায় স্বামীর দিকে । এদিকে আব্বুর কথা শুনে রোজার কান্নার বেগ আরো কয়েক গুন বেড়ে গেছে । মাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে শব্দ করে কেদেঁ ওঠে ।
-“আরাব, তুমি এসো আমার সাথে । কথা আছে ”
বলেই সামসুল সাহেব আর অপেক্ষা করেন না । চলে যান নিজের ঘরে । আরাব একবার মায়াভরা দৃষ্টিতে তাকায় বোনের দিকে । তারপর বাবাকে অনুসরণ করে ।

অনেকক্ষণ ধরে বাবা-ছেলের মধ্যে শলা-পরামর্শ হয় । এদিকে রুবিনা অনেক বুঝিয়ে মেয়েকে শান্ত করে কয়েক লোকমা ভাত খাইয়ে দেয় । তারপর রুবিনা মেয়ের রুমেই রয়ে যান। রোজা মায়ের কোলে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে থাকে । রুবিনা মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে আকাশ পাতাল ভাবেন। ছেলেমেয়ে যতই একরোখা , জেদি হোক না কেন প্রত‍্যেক বাবামায়ের কাছে তারা এক একটা কলিজার টুকরা । রোজাকে বিয়ে দেওয়ার এত তাড়া তো তাদের ছিল না । কিন্তু হঠাৎ করেই এত ভালো একটা প্রস্তাব আসায় সামসুল সাহেব ফিরিয়ে দিতে পারেননি । আজ হোক কাল হোক মেয়েকে বিয়ে দিয়ে তো শশুর বাড়ি পাঠাতেই হবে তাই দেরি না করে প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় । কে জানত মেয়ে তার এদিকে গোল বাধিয়ে বসে আছে ? নাহলে সামসুল সাহেব ছেলেমেয়ের আবদার পূরণ করতে কখন কুন্ঠিত হন না । কিন্তু সব আবদার কি পূরণ করা যায় ? যেখানে মেয়ের সারাজীবনের প্রশ্ন উঠে আসে সেখানে তো একটু হিসেবী হতেই হয় ।

জানালা গলে সূর্যের সোনালী রোদ মুখের ওপর পড়তেই আরমোড়া ভেঙে উঠে বসে রোজা । চোখ বন্ধ করে মিঠে রোদ গায়ে মাখে । পরক্ষণেই গত রাতের কথা মনে পড়তেই বিষন্নতায় ছেয়ে যায় মন । আব্বুর প্রতি অভিমানটা বেড়ে যায় । কেউ যখন ওর কথা শুনছে না তাহলে সেও কারো কথা শুনবে না । দেয়াল ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে দেখে 9.40 বেজে গেছে । আজ ক্লাস আছে ওর । ক্লাস করে নানুবাড়ি চলে যাবে । ভাবতে ভাবতেই বিছানা থেকে নেমে আলমারির সামনে দাড়ায় । কয়েক সেট জামা বের করে ব‍্যাগপ‍্যাকে ঢুকিয়ে বাথরুমে চলে যায় । একেবারে গোসল করে কলেজের জন্য তৈরি হয়ে নেয় রোজা । রুম থেকে বেরতেই আব্বু, দাদাভাইয়ের সামনে পড়ে যায় রোজা । ওকে দেখে সামসুল সাহেব মুখ গম্ভীর করে বলেন,
-“কোথায় যাচ্ছ তুমি ? ”
-“কলেজে “..আব্বুর দিকে না তাকিয়েই জবাব দেয় রোজা ।
-“কাল কি বলেছি তোমাকে মনে নেই ? চুপচাপ বাড়িতে বসে থাক । ওরা দুপুরের দিকে আসবে ।”
রোজা আব্বুর দিকে কটমট দৃষ্টিতে তাকায় ।
-“আমার ক্লাস আছে ”
-“আমার কথা কি তুমি বুঝতে পারছ না নাকি বুঝতে চাইছ না ?”
মুখ চোখ শক্ত করে তাকিয়ে থাকে রোজা । তারপর বলে,
– “তোমরা কি এখন আমাকে ঘরবন্দি করে রাখতে চাইছ ?”
-“না ,তবে আকদের আগ অবধি তুমি বাড়ির বাইরে এক পাও রাখবে না । কথাটা যেন মনে থাকে । নাহলে ফল ভালো হবে না ”

রোজা শ‍্যেনদৃষ্টিতে আব্বু আর দাদাভাইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ । রুবিনাও কাজ করার ফাকে ফাকে ড্রয়িং রুমের দিকে চোখ রাখছেন । এতক্ষণ চুপ করে থাকলেও এবার রোজা চিৎকার করে ওঠে ,
-“তোমরা সবাই স্বার্থপর হয়ে গেছ । আমাকে কেউ ভালোবাসো না এখন । যার যা ইচ্ছে হচ্ছে চাপিয়ে দিচ্ছ আমার ঘাড়ে ! অথচ আমি লাইফ লিড করব । সে আমাকেই কেউ কিছু জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন মনে করছ না ! আমার কথা শুনে রাখ সবাই । আমি এই বিয়ে করব না । করব না আমি বিয়ে । আমাকে জোর করলে আমি কিন্তু কিছু একটা করে বসব বলে দিলাম ”

রোজার শেষের কথা গুলোতে একধরনের ধমকির মতো শোনায় । আরাব গরম চোখ তাকায় রোজার দিকে । বলে,
– “দেখ রোজা একদম বাড়াবাড়ি করবি না । তুই যদি নিজের সাথে কিছু উলটো পালটা করার চেষ্টা করিস তাহলে কি যেন নাম ছেলেটার । হ‍্যাঁ শাওন , ওর পুরো পরিবারকে আমি জেলের ভাত খাওয়াব ।”

দাদাভাইয়ের কথায় রোজা এবার করুন চোখে তাকায় । ওর চোখের কোণে জল চিকচিক করছে ।

-“তোমরা সবাই স্বার্থপর । আমাকে এই বাড়ি থেকে বের করার জন্য এতকিছু করছ না ? ঠিক আছে । আমি একবার শুধু বের হই । আর কক্ষনো আসব না এখানে । দেখেনিও “…..বলেই গটগট করে নিজের ঘরে চলে যায় । নিষ্ফল আক্রোশে ব‍্যাগটা ছুড়ে মারে বিছানায় । টেবিলে কাছে ফ্লাওয়ার ভাসটা হাতে নিয়েছুড়ে মারতে নিলেই রুবিনা ধমকে ওঠেন ,
-“এই মেয়ে, একটা কিছু ভাঙবিনা কিন্তু । নাহলে সব তোর দ্বারাই পরিষ্কার করাব আমি ।”
দাঁত কিড়মিড় করে “আহ ” মতন শব্দ করে চিৎকার করে ওঠে রোজা । তারপর ভাসটা যথাস্থানে রেখে মায়ের চলে যাওয়া দেখে ।

– “তোমার মেয়ে তোমার মতোই ব্ল‍্যাকমেইল করতে শিখে গেছে ।দেখেছ ?” মুখে একটা সুক্ষ্ম বাঁকা হাসি রেখে সামসুল সাহেব বলেন রুবিনাকে । রুবিনা দ্বিধায় পড়ে যায় । কথাটা তাকে খোটা দিয়ে বলছে নাকি প্রসংশা করছে ?

সকাল থেকে সবার ব‍্যস্ততা দেখতে দেখতে শাওন নিজেই হাঁপিয়ে উঠেছে । অথচ কিসের জন্য সবার এত ব‍্যস্ততা সেই কারণটাই ওর অজানা । আব্বুকে তো জিজ্ঞেস করার প্রশ্নই উঠে না । বাকিরা সবাই মুখে খিল তুলে দিয়েছে । আব্বু চাচারা সবাই গাড়ি করে কোথায় যেন বেরিয়ে গেল ? যাবার আগে আব্বু ওর দিকে একবার চোখ গরম করে তাকিয়ে ছিল । যা দেখে শাওন নিশ্চিত হয়ে যায় আব্বু এখনো রেগে আছে ওর ওপর । নিজের ঘরে তো প্রাইভেসি বলে কোনো কিচ্ছু নেই । সারাক্ষণ কেউ না কেউ আসছে যাচ্ছে । বাধ্য হয়ে শাওন ফোন নিয়ে ছাদে চলে যায় ।

শাওনদের বাড়িটা দোতলা । ছাদে উঠলে গ্ৰামের সবুজ আবরণের সুন্দর দৃশ্য চোখে পড়ে । আবার এই সময় ধানে হলুদ রঙ আসতে শুরু করেছে । চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো একটা প্রাকৃতিক ক‍্যানভাস। কিন্তু আজ এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য শাওনকে আকৃষ্ট করছে নে । সে গত রাত খাওয়া শেষ হয়ে যখন ঘরে আসে তখন থেকেই একনাগাড়ে কল করে যাচ্ছে রোজাকে কিন্তু একবারও কল ঢুকছে না । বারবার সুইচ অফ বলছে । চিন্তায় পড়ে যায় শাওন । ফোন অফ কেন বলছে ? কখনো তো এমন হয় না । শাওনের সঙ্গে রাগারাগি করলেও কখনো ফোন অফ করে রাখে না রোজা । তাহলে আজ কেন বন্ধ বলছে ? শাওন বিচলিত হয়ে ওঠে । রোজা ঠিক আছে তো ? যা জেদি মেয়ে ! ইয়া আল্লাহ ,উলটো পালটা যেন কিছু না ঘটায় । ওকে তুমি সুস্থ রেখ প্রভু । মনে মনে রোজার সালামতির দোয়া করে শাওন । সময় টা দেখে নেয় । এখন পৌনে এগারোটা বাজে । আজ তো ক্লাস আছে ওদের । রোজা ক্লাসে যায় নি তো ? শাওন ওদের কমন ফ্রেন্ড টিয়াকে কল করে ,

– ” হ‍্যালো, টিয়া ”
-” হ‍্যাঁ বল , আজ হঠাৎ কল করলি ? আর ক্লাসে আসিসনি কেন ? ”
-” আমি বাড়িতে রে । আচ্ছা শোন না , রোজা এসেছে ক্লাসে ? থাকলে ওকে দে তো ফোনটা ”
-” না । রোজা আজ আসেনি । আমি কল করেছি । ঢুকছে না ”
– ” আমিও কাল রাত থেকে ট্রাই করছি । সুইস অফ বলছে । টিয়া , আমার একটা কাজ করে দিবি ? প্লিজ । ”
-“এত ফরমালিটি না করে বল কি কাজ ? ”
-” একটু রোজাদের বাড়িতে যাবি । দেখে আসবি ও ঠিক আছে কি না ? ”
– ” উমম , আচ্ছা । ক্লাস শেষ করে যাব ”
-” থ‍্যাঙ্কস রে । ”
-” ঠিক আছে , ঠিক আছে । আমি নাহয় আমার ফোন দিয়ে কথা বলিয়ে দেব তোর সাথে । ওকে । ”
-” থ‍্যাঙ্ক ইউ ,ইয়ার , ”

To be continue…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে