অন্ধকারে এক চিলতে আলো পর্ব-০৩

0
2202

#অন্ধকারে_এক_চিলতে_আলো
#লেখিকা- শারমিন আঁচল নিপা
#পর্ব-৩

তাই নিজেকে সামলে নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে অবাক হয়ে গেল। কারণ লোকটা এসেছে তার সাথে আরেকটা মেয়েও এসেছে। আলো বুঝতে পারছে না মেয়েটা কে? ভয়ের ছাপটা মেয়ের মুখে পরিলক্ষিত হয়েছে অনেকটা। আলো চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। আর লোকটা মেয়েটার হাতটা জোরে ধরে আছে। মেয়েটাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছিল সে কত অসহায়। বয়সও খুব বেশি হবে না এই তো পনের কী ষোল হবে। আলোর মধ্যে নীরবতা বিরাজ করছে। চিন্তা করছে এ মেয়েটি কে? আর এখানেই বা আনা হলো কেন? জিজ্ঞেস করতে চেয়েও পারছিল না। ঠাই চুপ হয়ে রইল।লোকটা মেয়েটার হাতটা শক্ত করে ধরে টেনে রুমে নিয়ে গেল। রুমে নিয়ে যাওয়ার খানিক বাদেই আর্তনাদের চিৎকার আলোর কানে আসলো। আলোর বুকটা ফেটে যেতে লাগল। বুঝতে পারছিল এ দুনিয়ায় শুধু আলো একা না আরও অনেকেই আছে আলোর মতো। আলো ঘরে ঢুকে বসে বসে কাঁদতে লাগল। আজকের দিনটা সে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেলেও আরেকটা মেয়ে সে একই যন্ত্রণায় পড়েছে। আলোর ইচ্ছা হচ্ছে লোকটাকে গলা টিপে মেরে ফেলতে। কিন্তু সেটাও সে পারছে না। বয়স অল্প হলে কোনো কিছু করার ইচ্ছা জাগলেও সাহসের অভাবে পারে না। আলোর মতো চৌদ্দ বছর বয়সী মেয়ে সেজন্য এত অত্যচার সহ্য করেও প্রতিবাদ করতে পারছে না।

মেয়েটার চিৎকারের শব্দ আলোর কানে প্রখর হতে লাগল। আলোর বুকটা ফেটে যেতে লাগল। নিজেকে সামলে নিয়েও পারছিল না। কারণ আলো জানে এ কষ্টের মাত্রাটা একটা মেয়ের জন্য কতটা প্রখর।প্রায় এক ঘন্টা এমন আর্তনাদের পর রুমটায় এখন নীরবতা বিরাজ করছে। আলোর কানে কোনো শব্দই এখন আসছে না। আলো নিজের রুম থেকে বের হলো। বের হয়ে খেয়াল করলো লোকটাও পাশের রুম থেকে বের হয়েছে। আলো এবার বেশ সাহস করে লোকটাকে প্রশ্ন করে বলল

– মেয়েটা কে ছিল?

আলোর কথা শুনে লোকটা ক্ষেপে জবাব দিল

– তোকে কৈফিয়ত দিতে হবে নাকি?

সেই সাথে নোংরা গালি তো আছেই। লোকটার সামনে দাঁড়িয়ে থাকার রুচি আলোর হলো না। সে চুপ করে রুমের ব্যালক্যানিতে চলে গেল। মনটা বেশ অস্থির লাগছে তার। আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখল নীল সাদা আকাশে কালো মেঘ ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেকোনো সময় বৃষ্টি আসার উপক্রম। আলোর জীবনটাও এ আকাশটার মতো কালো অধ্যায়ে ছেয়ে গেছে। কবে সে কালো অধ্যায় দূর হয়ে আলোকিত হবে সে অপেক্ষায়। তবে এটা যেন বৃথা অপেক্ষা। এর মধ্যে আলো আবারও দরজা লাগানোর আওয়াজ পেল।আলো বুঝতে পারল লোকটা বের হয়েছে। লোকটার চলে যাওয়া টের পেয়েই সে রুম থেকে দৌঁড়ে বের হলো। তারপর পাশের রুমে গেল। পাশের রুমে যেতেই আলোর চোখ দুটো ছলছল করতে লাগল। নগ্ন একটা দেহ পরে আছে নিস্তেজ হয়ে। আলোর উপস্থিতি টের পেয়েই মেয়েটা ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে গেল। মেয়েটাকে ভয় পেতে দেখে আলো তার কাছে গিয়ে আস্বস্থ করে বলল

– তুমি ভয় পেও না। আমিও তোমার মতো অত্যাচারের শিকার। দীর্ঘ দু বছর যাবত আমি এ অত্যাচার সহ্য করতেছি। আমি তোমাকে কিছুই করব না। আমাকে ভয় পাওয়ার কোনো দরকার নেই। তুমি বললে আমি কী তোমার কাছে আসব একটু।

আলোর কথাটা শুনেই মেয়েটা চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠল। তারপর হাঁপাতে হাঁপাতে বলল

– আমাকে এখান থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজে দিন। আমি আমার বাবা মায়ের কাছে ফেরত যেতে চাই।

– তুমি একটু বসো। হুট করে কোনো কিছুই আমি করতে পারব না। কারণ লোকটা তো তালা দিয়ে দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে যায়। তুমি আপাতত একটু উঠো। আমি তোমাকে খাবার দিচ্ছি খেয়ে নাও। খেয়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে আগে শরীরটা ঠিক করো। তারপর দুজন মিলে বুদ্ধি করব। আচ্ছা তোমার নাম কী?

মেয়েটা ঢুক গিলে উত্তর দিল

– নীলা।

– বাহ্! বেশ সুন্দর নাম। যাইহোক তুমি উঠো।

আলোর কথা শুনে নীলা উঠতে নিলেও পারছিল না। সারা শরীরের যন্ত্রণা এতটা প্রখর যে সে শক্তিই পাচ্ছে না উঠার। আলো নীলার এরকম অবস্থা টের পেয়ে নীলার কাছে গিয়ে নীলাকে ধরে শুয়া থেকে বসালো। তখনও নীলা নগ্ন ছিল। তাই কাপড় গুলো পড়াতে নিয়ে আলো লক্ষ্য করল নীলার শরীরটা কামড়ের দাগে ভরে আছে৷ এত নির্মমতা দেখে আলোর চোখে পানি টলমল করছিল। আলো নিজেকে সামলে নিয়ে নীলাকে কাপড় পড়িয়ে দিল। তারপর নীলাকে বলল

– এবার আমি খাবার নিয়ে আসছি। আগে খেয়ে নাও।

– আমি কিছুই খাব না। আমাকে এখান থেকে বের হওয়ার পথ বের করে দিন দয়াকরে। আমি বাবা মায়ের কাছে যেতে চাই। বাবা, মা অনেক দুশ্চিন্তা করবে। বাড়ির বাইরে পাঁচদিন যাবত। আমাকে দয়া করুন।

আলো নীলার কথা শুনে ভাবলো তাহলে নীলাকে কে এ অন্ধকার জগতে নিয়ে আসলো। ভাবনা টা আসতেই আলো চট করে বলল

– তাহলে তোমাকে এখানে কে নিয়ে এসেছে? আর লোকটার কাছেই বা আসলে কী করে।

আলোর প্রশ্নটা শুনতেই নীলা কাঁদতে লাগল,আর হাঁপাতে লাগল। আলো নীলাকে ধরে বলল

– সবকিছু বলতে হলে আর এখান থেকে পালাতে হলেও তোমাকে প্রথম খেতে হবে। কারণ ক্লান্ত শরীরে তুমি কিছুই করতে পারবে না।

কথাটা বলেই আলো রুমটা থেকে বের হয়ে নীলার জন্য খাবার আনল। নীলার পেটে তখন রাজ্যের সব ক্ষুধা যেন জড়ো হয়েছে। ভাতগুলো পেয়েই তাড়াহুড়ো করে খেতে লাগল। খাওয়ার এক পর্যায়ে ভাতগুলো গলায় আটকাল। নীলার অবস্থা দেখে আলো পানি বাড়িয়ে দিল। তারপর বলল

– আগে পানি খাও। আর আস্তে ধীরে খাও।

নীলা আলোর হাত থেকে পানিটা নিয়ে খেল। তারপর একটা নিঃশ্বাস ফেলে সমস্ত খাবার শেষ করল। খাবারটা শেষ করার পর নীলার একটু ভালো লাগতে শুরু করলো। শরীরটায় যেন শক্তি পাচ্ছিল। এবার আলো নীলাকে বলল

– বলো এবার কী হয়েছিল তোমার? আর এখানেই বা এসেছ কী করে?

নীলা ঢুক গিলল। হালকা গলায় বলল

– আমি আমার মা বাবার একমাত্র মেয়ে। বেশ আদরের। বাবা ছোটখাটো একটা চাকুরি করে। বাবার আয়ে আমরা বেশ ভালোই চলতে পারি। বলতে গেলে সুখী পরিবার আমরা। আমি নবম শ্রেণীতে পড়ি। রোজকার মতো আমার ছোট মামায় আমাকে স্কুলে নিয়ে যায় দিয়ে আসে। পাঁচদিন আগে আমার স্কুলের ফাংশনে মামা আমাকে নিয়ে যায়। মামায় আবার আনতে যায়। প্রতিদিন মামাকে বেশ স্বাভাবিক লাগলেও সেদিন মামার গতিবিধি আমার কাছে স্বাভাবিক লাগে নি। মামা আমাকে বাড়ির সোজা সাপটা রাস্তা বাদ দিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে নিয়ে যেতে লাগল। আমি এরকম ঘুরতে দেখে মামাকে বললাম

– মামা এত ঘুরিয়ে নিয়ে যাচ্ছ কেন? সোজা সাপটা রাস্তা রেখে।

মামা মৃদু হেসে বলল

– এ রাস্তার সামনে মেলা হচ্ছে রে তোকে নিয়ে যাব।

আমি আবার মামাকে একটু ভয় গলায় বললাম

– সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে তো। বাবা, মা তো বকবে।

– আরে বকবে কেন? আমি আছি তো।

কেন জানি না মামার ভাবভঙ্গি আমার ভালো লাগছিল না। আমি ভয়ও পাচ্ছিলাম। তবে নিজের আপন মামা তাকে সন্দেহ করার অবকাশ ও ছিল না। আস্তে আস্তে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নামল। মামাকে তাড়া দিতে দিতে বললাম

– কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছ? রাস্তা তো শেষেই হচ্ছে না। রাত ও নেমে গেল। বাবা,মা চিন্তা করবে। চলো বাড়ি চলে যাই।

– আরে একটু পথ। এত চিন্তা কেন করিস বলতো।

মামার কথার প্রতি উত্তরে আমি কিছুই বললাম না। হালকা নিঃশ্বাস নিলাম শুধু। কিছুক্ষণ পরেই মামা আমাকে নিয়ে জঙ্গলের দিকে যেতে লাগল। তখনই আমার টনক নড়ল। আমি মামাকে বেশ জোর গলায় বললাম

– আমাকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছ মামা।

মামা এবার তার আসল রূপ দেখাল। আমার মুখটা চেপে ধরে জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে গেল। সেখানে আরও কয়েকজন ছিল। আমার মামা শুধু জোয়া খেলার টাকার জন্য তাদের হাতে আমাকে শপে দিল। তারা যে যার মতো আমাকে ভোগ করল। মুখটা বাঁধা ছিল। কথা বলতেও পারছিলাম না। আর্তনাদটা শুধু বুকের ভেতর হচ্ছিল। বুক ফেটে বের ও করতে পারছিলাম না। নিজের মামাও আমাকে ভোগ করলো। ছিঃ কতটা বিকৃত মস্তিষ্কে ভরা এ সমাজ। আগে টিভির পর্দায় এসব খবর শুনতাম। মাঝে মাঝে বিশ্বাস হত মাঝে মাঝে হত না। কিন্তু নিজের সাথে ঘটার পর বুঝতে পেরেছি এ দুনিয়ায় কোনো কিছুই অসম্ভব না।

সেদিন এত কষ্ট হয়েছিল বলে বুঝাতে পারব না। মামা সেখানে ক্ষ্যান্ত হননি। আমাকে বিক্রি করে দেয় এক পতিতালয়ে। আমি সেখান থেকে পালানোর অনেক চেষ্টা করেছি পারে নি। পাঁচদিন যাবত আমি অসহায় যন্ত্রণার গ্লানি বহন করে চলেছি। এরপর এই লোকটা পতিতালয় থেকে আমাকে কিনে আনল। তারপরের কাহিনি তো আপনি জানেনেই। আমাকে এবার বের হওয়ার একটা ব্যবস্থা করে দিন দয়াকরে।

নীলার কথা শুনে আলোর চোখে অশ্রুবিন্দু গড়িয়ে বলল।

“এ পৃথিবীতে জঘন্য মানুষ গুলো ভালো মানুষের রূপ নিয়ে থাকে। মানুষ আর অমানুষের রূপ দেখতে একইরকম। তাই তাদের চেনা বড় দায়। হিংস্র জীব দেখলে আমরা আগেই সতর্ক হয়ে পড়তে পারি তাই বিপদের আশঙ্কা কম থাকে তবে অমানুষ আমাদের সাথে ঘুরলেও সতর্ক হতে পারি না। কারণ তাদের রূপ মানুষের মতোই হয়। তাই বিপদ আসলে মোকাবেলা করার শক্তিও থাকে না”

এদিকে নীলাকে পেয়ে আলোর একটু সাহস বাড়ল। মনে মনে পালানোর সিদ্ধান্ত নিল। তবে পালাবে কীভাবে সে উপায় তো নেই। তবে একটা চেষ্টা তো করা যায়। আলো নীলাকে বলল

– দরজা তো সবসময় বাইরে থেকে লাগানো থাকে। তবে আজকে আসুক উনি। আমি একটা ব্যবস্থা করব। একসাথে দুজনেই পালাব। এ নরক থেকে নিজেদের মুক্ত করব। এর আগে একা সাহস হয়ে উঠেনি। এখন তুমি আছো।

নীলা আলোর হাতটা ধরে বলল

– কীভাবে মুক্ত করব নিজেদের?

– উপায় একটা বের তো করবই। তুমি বিশ্রাম নাও।

নীলার ভেতরে খানিকটা স্বস্তি মিলল আলোর ভরসা মাখা কথা শুনে। নীলা মোলায়েম গলায় বলল আচ্ছা। তারপর শুয়ে পড়ল। আর আলো রুম থেকে বের হয়ে নিজের রুমে গেল। ভাবতে লাগল কী করা যায়। সারাদিন হাজারটা উপায় বের করছিল কীভাবে এ নরক থেকে বের হওয়া যায়। এর মধ্যেই আলোর কানে দরজা খোলার আওয়াজ আসলো। দরজা খোলার আওয়াজ টের পেয়েই আলো বুঝতে পারল লোকটা এসেছে। আলো নিজেকে সামলে নিয়ে লোকটার সামনে গেল। সামনে গিয়েই আলো বলে উঠল

– ড্রিংকস করবেন না? চলুন একসাথে করা যাক।

– আজকে তুই এত পিরিত দেখাচ্ছিস কেন?

– বয়স বেড়েছে তো, মানতে শিখে গেছি। আমার জন্মদিন তাই একটু দুজন একসাথে সময় কাটাতে চাই। সবসময় জোর করে আর কত? একটু না হয় দুজনের সম্মতিতে মিলিত হলাম কী বলেন?

– বাহ্! তোর তো বয়সের সাথে সাথে বু্দ্ধিও খুলেছে। যা তাহলে নিয়ে আয়।

আলো লোকটাকে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করল। মদের বোতলটা নিয়ে একের পর এক খাওয়াতে লাগল। খাওয়ানোর এক পর্যায়ে লোকটা যখন নেশার সাগরে ডুবে গেল। ঠিক তখনই চাবিটা বু্দ্ধি করে নিয়ে নিল। তারপর লোকটাকে শুইয়ে পাশের রুমে গিয়ে নীলাকে ডাক দিল। নীলাও চট জলদি উঠে পড়ল। নীল আর আলো মিলে তালা খুলে ঘর থেকে ঠিক যখনই বের হতে নিবে ঠিক তখনই আলোর হাতটা লোকটা চেপে ধরে চুল গুলো টেনে ধরে বলল

– তোর এত সাহস পালাতে চাচ্ছিস। কী ভেবেছিলে আমি নেশায় ডুবে থাকব। সারাদিন মদ খেলেও আমার নেশা হাঁটুর উপর উঠে না মা***। আর তুই আসছিস আমার সাথে পাল্লা দিতে।

নীলা বুঝতে পারছিল না কী করবে। থরথর করে কাঁপতে লাগল। আলো নীলাকে চেঁচিয়ে বলল

– নীলা চলে যাও। আমার কথা ভেবো না। আমি চাই না আমার মতো তোমার জীবনটা নষ্ট হোক। চলে যাও বলছি।

নীলা বুঝে উঠার আগেই দৌঁড় দিল। আর আলোকে ছেড়ে লোকটা নীলার পিছু নিতে গেলে আলো লোকটাকে ঝাঁপটে ধরল। বেশ দস্তাদস্তি হতে লাগল দুজনের মধ্যে। এর মধ্যে নীলা পালাতে সক্ষম হলো। আর এদিকে আলোকে ধরে লোকটা বেদরম পিটাতে লাগল। আলো একটা পর্যায়ে সহ্য করতে না পেরে লোকটাকে জোরে লাথি দিল। ডাইনিং টেবিল থেকে একটা প্লেট নিয়ে এলোপাতাড়ি মাথায় আঘাত করতে লাগল। আঘাতের একটা পর্যায়ে লোকটা মাটিতে আঁচড়ে পড়ল। আলো জানে না লোকটা বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে৷ বুঝে উঠার আগেই আলো দৌঁড় লাগাল। মনে মনে নীলাকে খুঁজতে লাগল। আলো নীলার কোনো হদিশ পেল না। তাই সামনের দিকে দৌঁড়ে এগুতে লাগল। রাত অনেক হয়েছে। শহরের রাস্তাগুলো বেশ ফাঁকা। আলো দৌঁড়ানোর এক পর্যায়ে হাঁপিয়ে গেল। হাঁপাতে হাঁপাতে রাস্তার এক কোণে বসলো। বসার মিনেট দুয়েক পরেই ভয়ে কেঁপে উঠল একটা আওয়াজ পেয়ে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে