অনুভূতি পর্ব ২১

0
1968

অনুভূতি
পর্ব ২১
মিশু মনি
.
৩৩.
সূর্যের সোনালী আলো মুখের উপর এসে পড়ায় ঘুম ভেঙে গেলো মিশুর। বুঝতে পারলো মেঘালয়ের উষ্ণ বুকের সাথে মিশে আছে ও। বুকের ঢিপঢিপ শব্দ কানে আসছে। মিশু উঠতে যেতেই মেঘালয় ওকে টেনে কাছে নিলো। ঘুম জড়ানো কন্ঠে বললো, “কখনো আমাকে বিছানায় রেখে উঠবা না। আমার আগে ঘুম ভাংলেও শুয়ে থাকবা পাশে।”
মিশু হেসে বললো, “কেন?”
– “উম, ঘুম থেকে উঠেই তোমাকে পাশে চাই।”
– “আমিতো সবসময় ই পাশে আছি।”
– “উম,কাছে চাই রে।”
বলেই মিশুকে জাপটে ধরলো। ওর প্রশস্ত বুকের ভেতর লুকোতে লুকোতে মিশুর কেবলই সুখ সুখ অনুভূত হচ্ছিলো। রাতটা এতবেশি সুখকর ছিলো যার কোনো বর্ণনা দিয়ে হয়ত বোঝানো সম্ভব না। মিশু বারবার মেঘালয়ের দিকে তাকাচ্ছে আর মিটিমিটি হাসছে। গত রাতে মেঘালয় এক অন্যরকম পৃথিবীর সন্ধান দিয়েছে ওকে। ঘুরিয়ে এনেছে ভালোবাসার সুখের এক অন্যরকম রাজ্য থেকে। যে রাজ্যে শুধু সুখ আর সুখ! মেঘালয় বলেছে প্রতিটা দিন নতুন ভাবে শুরু হবে আর প্রত্যেকটা রাতে নতুন নতুন কিছু রাজ্য থেকে ঘুরিয়ে আনবে ওকে। মিশু মেঘালয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে এসব ভেবে মুচকি হাসছিলো।
মেঘালয় চোখ বুজে ছিলো এতক্ষণ। চোখ মেলতেই মিশুর সাথে চোখাচোখি হয়ে গেলো। মিশু হাসলো মিষ্টি করে। মেঘালয় জিজ্ঞেস করলো, “হাসছো কেন?”
– “তোমার শরীরটা খুব উষ্ণ।”
– “সেজন্য হাসছো?”
মিশু মাথাটা দুপাশে নেড়ে বললো, “উহু। আগে জানতাম ভালোবাসা শুধু দুটো হৃদয়ের ব্যাপার। এখন মনেহচ্ছে, শরীর ও বিশেষ প্রয়োজন। স্পর্শ একটা বিশাল প্রাপ্তি।”
মেঘালয় হেসে বললো, “পাগলি, যেখানে ভালোবাসা থাকবে সেখানে শরীর ও থাকবেই। হৃদয় তো শরীরের ই অংশ।”
– “তুমি খুব ভালো মেঘালয়, খুব ভালো।”
মেঘালয় মিশুর চুলে হাত বোলাতে বোলাতে বললো, “এই প্রথম বউটা আমার নাম ধরে ডেকেছে। এজন্য একটা মিষ্টি পাওনা।”
মিশু মেঘালয়ের কপালে আলতো চুমু এঁকে দিলো। মেঘালয় মিশুকে জড়িয়ে ধরে বললো, “পাগলী একটা বউ আমার। সারাজীবন এভাবেই ভালোবাসবি হ্যা?”
– “না বাসবো না, এরচেয়ে বেশি বেশি বাসবো।”
মেঘালয় হেসে ফেললো। তারপর বিছানায় উঠে বসলো। মিশুকে টেনে তুলে বসিয়ে জিজ্ঞেস করলো, “পায়ের অবস্থা কেমন? ব্যথা সেরেছে?”
– “হুম একদম। একটু ব্যথা আছে, সেরে যাবে।”
মেঘালয় মিশুকে কাছে টেনে নিয়ে ওর চুলগুলো খোঁপা বেঁধে দিলো। মিশু মিটিমিটি হাসছে। মনেহচ্ছে ছেলেটা এখন থেকে ওকে আর কোনো কাজই করতে দেবেনা। সবই সে করিয়ে দেবে। এত সুখ কি কপালে সইবে! বড্ড ভয় হয় যে।
মেঘালয় চুলগুলো খোঁপা বেঁধে দিতে দিতে বললো, “একটা গল্প আছে তোমার চুলের। পরে শোনাবো।”
মিশু অবাক হয়ে বললো, “আমার চুলের গল্প মানে! এক্ষুনি শোনাও না।”
– “নাহ, পরে শোনাবো বউসোনা। এখন ওঠো, ফ্রেশ হবা।”
মেঘালয় বিছানা ছেড়ে নামলো। মিশুকে কোলে নিয়ে বাথরুমে এসে কোল থেকে নামিয়ে দিলো। ব্রাশে টুথপেস্ট লাগিয়ে মিশুর হাতে দিয়ে বললো, “নাও ব্রাশ করো।”
মিশু অবাক হয়ে বললো, ” এটা কার ব্রাশ?”
– “তোমার। নতুন ব্রাশ কিনে এনেছি কাল।”
মিশুর বিস্ময় আরো বেড়ে গেলো। ও বিস্ময় লুকাতে পারলো না। অবাক হয়ে বললো, “সামান্য একটা ব্রাশের কথাও তোমার মনে থাকে! ছোটছোট জিনিস গুলোকেও তুমি খুব গুরুত্ব দাও।”
মেঘালয় দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে মিশুর দিকে তাকিয়ে বললো, “কাল যখন ঘুমাচ্ছিলে, তোমার কি কি জিনিস লাগবে সব লিস্ট করে পূর্বকে মেসেজ করে পাঠিয়েছিলাম। ওই নিয়ে এসেছে। তুমি তো ঘুমাচ্ছিলে, আমি বসে বসে এসব ই ভাবছিলাম।”
মিশুর ইচ্ছে করলো মেঘালয়কে জড়িয়ে ধরতে। ছেলেটা এত্ত ভালো কেন!
ও ব্রাশ করতে করতে বললো, “আর কি কি এনেছে?”
– “স্যান্ডেল, টিস্যু পেপার, হেয়ার ব্যান্ড, চিরুনি, সাবান, শ্যাম্পু,তোমার জন্য আলাদা টাওয়েল।”
– “আমার জন্য আলাদা টাওয়েল কেন?”
– “বারে, আমার বউ সায়ানের টাওয়েল ইউজ করবে নাকি?”
– “ওহ আচ্ছা।”
মিশু মাথা ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে ব্রাশ করতে লাগলো। মেঘালয় চেয়ে আছে ওর দিকে। মিশুর ব্রাশ করা হতেই মেঘালয় ব্রাশটা নিয়ে নিজে দাঁত মাজতে আরম্ভ করলো। মিশু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললো, “আমার টা দিয়েই ব্রাশ করবা?”
মেঘালয় কিছু না বলে দ্রুত ব্রাশ করে নিলো। তারপর বাথরুমের দরজা আটকিয়ে দিয়ে শাওয়ার ছেড়ে দিলো। মিশুকে শাওয়ারের নিচে দাড় করিয়ে দিয়ে ওর হাতে সাবান লাগাতে লাগাতে বললো, “টি শার্ট টা কি খুলবা নাকি লজ্জা পাবা?”
মিশু লাজুক গলায় বললো, “খুব লজ্জা পাবো।”
মেঘালয় একটা টাওয়েল ওর হাতে দিয়ে পিছন ফিরে বললো, “শার্ট খুলে এটা পড়ে নাও।”
– “কেন?”
– “তোমার উজ্জ্বল শ্যামলা গায়ের ময়লা সাফ করার দায়িত্ব নিয়েছি না?”
বলেই হো হো করে হেসে উঠলো। মিশু লজ্জা পেয়ে বললো, “কি খারাপ!”
টাওয়েল পড়ে নিয়ে মেঘালকে ফিরতে বললো। মেঘালয় ওর দিকে ফিরে একবার আপাদমস্তক তাকালো। মিষ্টি করে হাসি দিয়ে মিশুর গায়ে সাবান লাগাতে শুরু করলো। ভালোমতো শ্যাম্পুও করে দিলো চুলে। মিশু হাসতে হাসতে বললো, “আমি আমার জীবনে কক্ষনো এত ভালোমতো গোসল ই করিনি বোধহয়। আমিতো চুলে শ্যাম্পুও করতে পারিনা।”
– “পারতে হবেনা, আমি আছি কি করতে?”
মিশুর শ্যাম্পু করা হয়ে গেলে ওকে শাওয়ারের নিচে দাড় করিয়ে দিয়ে নিজে শ্যাম্পু করতে লাগলো। মিশু ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে আছে মেঘালয়ের দিকে। মেঘালয়ের উন্মুক্ত বুকে ঘন লোমগুলো ভিজতে দেখে বুকের ভেতরটা কেমন কেমন যেন করছে। হা করে সেদিকে চেয়ে রইলো অনেক্ষণ। মেঘালয়ের গোসল শেষ করতে মাত্র আড়াই মিনিট সময় লাগলো। মিশু একদম অবাক! একটা ছেলে এত তাড়াতাড়ি কিভাবে গোসল করতে পারে!
মেঘালয় প্যান্ট বদলে টাওয়েল পড়ে নিলো। তারপর মিশুকে কোলে নিয়ে রুমে এলো। মিশু মেঘালয়ের ভেজা পায়ের দিকে চেয়ে আছে হা করে। এত সুন্দর কারো পা হতে পারে! পা ভিজে লোমগুলো পায়ের সাথে আটকে আছে। দারুণ রকমের সুন্দর লাগছে। একদম খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে।
মেঘালয় লাগেজ খুলে একটা শাড়ি বের করে বিছানার উপর রাখলো। মিশুর দিকে তাকিয়ে দেখলো ভেজা চুল দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে। কেমন যেন ঘোর ঘোর লাগছে ওর। ভেজা চুলে মিশুর চেহারাটাই বদলে গেছে একদম। স্নিগ্ধতা ছেয়ে গেছে চেহারায়। মেঘালয় অনেক্ষণ তাকিয়ে থেকে হাসলো। তারপর গভীর আবেশে ঠোঁটে চুমু খেলো একটা। শাড়িটা মিশুকে পড়িয়ে দিয়ে তোয়ালে দিয়ে ওর চুলগুলো পেঁচিয়ে মাথার উপরে তুলে দিয়ে বললো, “ভেজা চুল কিছুক্ষণ এভাবে পেঁচিয়ে রাখবা তোয়ালে দিয়ে।”
– “কেন?”
– “এটা চুলের জন্য উপকারী। আর ভূলেও কখনো ভেজা চুল আচড়াবা না। মনে থাকবে?”
– “হুম থাকবে।”
মেঘালয় মিশুকে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে কাজল নিয়ে ওর হাতে দিয়ে বললো, “জাস্ট কাজল, আর একটা ছোট্ট কালো টিপ। ওকে?”
– “ওকে।”
– “কখনো মেকাপ করবা না, যখন লাগবে আমিই বলবো। ওকে?”
– “ওকে।”
মেঘালয় নিজে গিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বডি স্প্রে করলো। মিশু চেয়ে চেয়ে দেখছে। মিশুর শাড়ির কালারের সাথে ম্যাচিং করে একটা টি শার্ট ও জিন্স পড়লো। এখন বেশ দেখাচ্ছে মেঘালয়কে। ভেজা চুলগুলো আচড়ে নিলো। তারপর দুবার মুখটা ভালোমতো দেখে বললো, “দাড়ি বড় হয়ে গেছে।”
মিশু বললো, “ওটাতেই তোমাকে সুন্দর লাগছে। ক্লিন সেভে ছেলেদের ছিলা মুরগির মতো লাগে।”
মেঘালয় মিশুর দিকে তাকিয়ে বললো, “কি বললা! কি মুরগি?”
মিশু ফিক করে হেসে ফেললো, “সরি, কিছু বলিনি। তোমাকে না এখন বিপজ্জনক রকমের হ্যান্ডসাম লাগছে।”
– “খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে?”
– “হ্যা।”
মেঘালয় হেসে উঠলো। তারপর মিশুর সামনে এসে বসলো। মিশুর মাথা থেকে টাওয়েল খুলে নিয়ে চুলগুলো ঠিক করে দিলো। তারপর বললো, “নাস্তা তো করতে হবে। কিন্তু তোমাকে এখন যে পরিমাণ সুন্দর লাগছে, চাইনা আমার বন্ধুরা আমার মিষ্টি বউটাকে দেখুক। তোমাকে শুধু আমি দেখবো।”
বলেই এগিয়ে এসে মিশুর মাথার পিছনে হাত দিয়ে এগিয়ে এসে ঠোঁট দুটো আরেকবার স্পর্শ করলো। তারপর উঠে দাঁড়িয়ে মিশুর হাত ধরে বললো, “আসো, হাটতে পারবা তো?”
– “হুম পারবো ”
মেঘালয়ের হাত ধরে মিশু ড্রয়িংরুমে এলো। খাবার টেবিলে তিনবন্ধু নাস্তা নিয়ে বসে আছে ওদের জন্য। ওদেরকে একসাথে দেখে ওরা একবার মুগ্ধ হলো। দুটিকে সত্যিই বেশ মানিয়েছে। শাড়িতে মিশুকে বেশ বড়বড় লাগছে।মনেহচ্ছে মেয়েটা হুট করেই অনেক বড় হয়ে গেছে।
পূর্ব বললো, “গুড মর্নিং ভাবি।”
মিশুও হেসে গুড মর্নিং জানালো। মিশু বসামাত্র ওরা নাস্তা খেতে আরম্ভ করলো। মেঘালয় বললো, “আমাদের জন্য বসে আছিস কেন? তোরা খেয়ে নিতি।”
– “অতটাও স্বার্থপর ভাবিস না আমাদের। তোদেরকে রেখে খেয়ে নিবো?”
মিশু হাসলো। মেঘালয়ের বন্ধুরাও অনেক ভালো। কত হেল্পফুল, দায়িত্ববান, আর অনেক দুষ্টুও।
নাস্তা খেতে খেতে আরাফ বললো, “মেঘালয় একটা অফার আছে তোদের জন্য। তুই একসেপ্ট করবি কিনা তোর ব্যাপার। তবে করতে পারিস।”
– “বলে ফেল।”
আরাফ বললো, “আব্বু একটা চা বাগানের ব্যাপারে কথা বলছে তো, রাতে ফোন দিয়ে আমাকে দেখে আসতে বললো। আমিও বললাম, ফ্রেন্ড সার্কেল নিয়ে গিয়ে দুটো দিন ঘুরে আসি। আব্বু হোটেলে দুটো রুম বুকিং এর টাকা দিয়েছে। আমরা ভাবছি, প্রথম দিন হোটেলে থাকবো আর দ্বিতীয় দিন চা বাগানের বাংলোয়। শীত প্রায় এসে গেছে, চা বাগানের ভিতরে তোর মধুচন্দ্রিমা দারুণ কাটবে, আগামী দুদিনের মধ্যেই আবার পূর্ণিমা আছে।”
মেঘালয় একবার মিশুর দিকে তাকিয়ে বললো, “যাবা?”
মিশু আনন্দে লাফিয়ে উঠে বললো, “সত্যি! আমি কক্ষনো চা বাগানে যাইনি। মজা হবে অনেক। কিন্তু তুমি না বললা সাজেকে যাবা? সাজেকে গেলে অনেক খরচ হবে, এমনিতেও অনেক খরচা হলো। আবার সিলেট যাবো? না থাক।”
মেঘালয় একটু ঝুঁকে এসে বললো, “খরচ নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবেনা। যেতে চাও কিনা সেটা বলো?”
মিশু চুপ করে রইলো। মেঘালয় বেশ বুঝতে পারছে সে যেতে কি পরিমাণ আগ্রহী। মেয়েটা নেভারল্যান্ডে গিয়েই যে খুশি হয়েছিলো, একবার ওকে ডাউকির মেঘালয় দেখিয়ে আনতে হবে। বিছানাকান্দির শীতল জলে একবার ডুব দিলেই সুখে মরে যেতে চাইবে। রাতারগুল দেখলে তো বোধহয় বিস্ময়ে কথাই বলতে পারবে না। এসব ভেবে মেঘালয় হাসলো।
মিশু বললো, “হাসছো কেন?”
– “এমনি। আমরা তাহলে কবে যাচ্ছি?”
আরাফ বললো, “কালকে সকালে বের হই?”
সায়ান খাবার চিবোতে চিবোতে জিজ্ঞেস করল, “আজকে রাতে বের হলে কি হয়?”
– “দূর ব্যাটা, রাত্রে জার্নি করে গিয়ে সারাদিন ভাবি ঘুমাবে নাকি ঘুরবে? তাছাড়া ওদের নতুন বিয়ে হইছে, বিয়ের পরের প্রত্যেকটা রাত অনেক দামী, চাইনা সেটা গাড়িতে নষ্ট হোক।”
মেঘালয় হাসতে হাসতে বললো, “নাহ, আজকে রাতেই বের হবো। তিনদিনের মধ্যেই ফিরে আসতে হবে রে। আমার আবার প্রোগ্রাম আছে টিএসসি তে।”
ওরা একটু ভেবে বললো, “আচ্ছা ঠিকাছে। তবে তাই হোক। আজকে রাতেই যাচ্ছি আমরা। গাড়ি কার টা নেবো?”
মেঘালয় বললো, “আমার টাই নিস। তেল ভরবে পূর্ব।”
পূর্ব লাফিয়ে উঠে বলল, “আমি ক্যান?”
– “থাকার দায়িত্ব আরাফের,গাড়ি আমার, তেল তোর।”
– ” আর খাওয়া?”
– “খাওয়া সায়ানের।”
সায়ান চেঁচিয়ে উঠলো, “সবচেয়ে বেশি খরচ হয় খাওয়া দাওয়ায়। সেটাই আমার?”
মেঘালয় হাসতে হাসতে বললো, “আমাদের সদ্য বিয়ে হইছে ভাই। আমাদের জন্য তোদের একটু ছাড় দেয়া উচিৎ না বল? নতুন সংসার পাততে চলেছি।”
সায়ান মুখ কাচুমাচু করে বললো, “অগত্যা.. কি আর করার? বন্ধু মানুষ, ভাবি আছে তো কিছু বললাম না।”
হাসাহাসি করতে করতে ওরা নাস্তা করার পর্ব শেষ করলো।
চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে