হ্যাকারের_লুকোচুরি সিজন_২ পর্ব-৬

0
1460

হ্যাকারের_লুকোচুরি সিজন_২ পর্ব-৬

রাফি – আমার সারেন্ডার করা উচিৎ। সারেন্ডার করলে হয়তো আমি প্রমান করতে পারবো আমি নিরাপরাধ।
– oh really? Go to the server room, something is waiting for you.
একের পর এক চমক পেতে পেতে রাফি কেমন যেন অভস্থ হয়ে গেছে, চমকে না উঠলেও কিছুটা বিচলিত হলো রাফি।
– কি হলো? যাও!
রাফি – (চমকে উঠে) ওহ, হ্যাঁ যাচ্ছি।
বলে সার্ভার রুমের দিকে রওনা দিলো রাফি।
কম্পিউটার স্ক্রীনে একটা মেসেজ লাফাতে থাকে। একটা ফাইল। পুলিশের শুট অন সাইট অর্ডার।
রাফির কেমন যেন গা সওয়া হয়ে গেছে,
রাফি – দেখলেই গুলি করবে? যাহ, শেষ পর্যন্ত জীবনটা এভাবে শেষ হবে!
– এত তাড়াতাড়ি হাল ছাড়লে হবে মিষ্টার? মনকে এত ভেঙ্গে পড়তে দিতে হয় না। তুমি এখানে নিরাপদ থাকবে।
রাফি – মানে বাদবাকি জীবনটা আমার এই বাংকারে কাটাতে হবে! আমি এভাবে বাঁচতে চাই না।
– I will take you out of here. You’ll be free.
রাফি – আমি বাংকার থেকে জীবিত বের হতে পারলেও এই দেশ থেকে বের হতে পারবো না।
– we shall see about that. Now prepare for war.
রাফি – war! মানে যুদ্ধ! কি বলছো কি?
– তোমাকে এই বাংকারের ঠিকানা দেবার আগে ভেবেছিলাম তোমাকে যে কোনভাবেই হোক আমি ওই দেশ থেকে বের করে নিয়ে আসবো। কিন্তু গ্যাং এর লোকজন যখন হোটেলে আগুন লাগিয়ে দিলো তখন একটা জিনিস আমার কাছে পরিস্কার হয়ে গেছিলো, you can’t leave this country without a fight. They will destroy your plane if necessary. যার জন্য তোমার প্লেনের টিকিট কনফার্ম করেও তোমাকে বিমানবন্দরে না নিয়ে এখানে নিয়ে আসতে হয়েছে।
রাফি – আমার প্লেনের টিকিট! মানে আমার দেশে ফেরার টিকিট! মানে আমার বাড়ি যাওয়ার টিকিট!
– উত্তেজিত হয়ো না।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/



গতকাল রাত থেকেই এয়ারপোর্টে হাই এ্যালবার্টা জারী হয়েছে। তোমার আজ সকালে ফ্লাইট ছিলো আর তুমি কোনভাবেই নিরাপদে বিমানবন্দর পৌছাতে পারতে না।
রাফি – হ্যাঁ, স্বাধীন দেশে আমি বন্দি হয়ে আছি একটা বাংকারে। এটা কেমন কথা! আমি বের হবো এখান থেকে।
বলেই লিইভিং রুমে ঢুকে ব্যাগ নিয়ে বের হতে উদ্যত হলো।
– রাফি, আমি জানি তুমি এখন কনফিউজড হয়ে আছো। দেখো তুমি যদি এভাবে ওই গ্যাং এর সামনে দাড়াও তাহলে তোমার শরীরে অতখানি জায়গাও নেই যতগুলো গুলি তোমার শরীর ঝাঁঝরা করে দেবে। আর যদি তুমি এখানে থাকো তাহলে you have a fighting chance.
রাফি ব্যাগটা আবার খাটের উপর ছুড়ে মারলো। এভাবে ঝামেলায় জড়িয়ে যাওয়া সম্ভব তা হয়তো এর আগে রাফির জানা ছিলো না।
রাফি – (শান্ত গলায়) এরপর কি ?
– নিজেই দেখে নাও। এলাকের পুলিশ ডিপার্টমেন্টের সিকিউর লাইন ট্যাপ করে সিস্টেমে ট্রান্সলেটর ইনস্টল করে দিয়েছি। হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের জন্য যে কেস দায়ের হয়েছে তার মেইন ইনভেষ্টিগেটরের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ইনেসপেক্টর G কে। এই ইনেসপেক্টর G এক দিকে আইনের লোক তেমনি অন্যদিক দিয়ে এই লোকাল গ্যাং এর অন্যতম মদদ দাতা। আমি তার ল্যান্ডলাইন এবং ফোন ট্যাপ করে বাংকারের সার্ভারে কানেক্ট করে দিয়েছি। ইনেসপেক্টর G কখনো ধারনাও করতে পারবে না যে তাদের সিকিউর লাইন ও কেউ ট্যাপ করতে পারে। আসা করা যায় তুমি তোমার সব তথ্যই পেয়ে যাবে, পুলিশ এবং সন্ত্রাসী উভয়েরই।
রাফি – (রহস্য নিয়ে) তাহলে এখন আমি গুপ্তচর?
– হ্যাঁ। আপডেট থাকা ভালো। আর হ্যাঁ আমি কয়েক ঘন্টার জন্য অফলাইন হচ্ছি। সার্ভারটিতে পিকাচু নামের একটা প্রোগ্রাম আছে। আমার অবর্তমানে পিকাচু তোমাকে সাহায্য করবে। এটা একটি পরিক্ষামূলক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা prototype Artificial intelligence. এটার ব্যবহার প্রচুর তবে আপাতত পিকাচু তোমাকে সিকিউরিটি সার্ভেইল্যান্স এবং ওয়েপনস কন্ট্রোল এর কাজে সাহায্য করবে।
রাফি কম্পিউটার ঘেঁটে পিকাচু নামের প্রোগ্রামটি পায়। পিকাচু রান করার কিছুক্ষণ পর স্ক্রীনে লোডিং শুরু হয় এবং বাংকারের সব আলো একসাথে বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে আবার সব আলো জ্বলে ওঠে।
রাফি – কি হলো এটা!
– পিকাচু জেগে উঠছে এবং সিস্টেমের কন্ট্রোল নিয়ে নিচ্ছে। Ok, I have to go. Have fun.
মাফিয়া গার্ল ফোনটা কেটে দিলো। এদিকে সার্ভার স্ক্রীনে ৮০% লোডিং শো করছে। কিছুক্ষণের মধ্যে ১০০% লোডিং কমপ্লিট হয়ে গেলো।
পিকাচু – (কার্টুন ভয়েস) Hi, I am pikachu. How may I help?
রাফি – ( ডানে বায়ে তাকিয়ে) হ্যালো, পিকাচু। কি কি করতে পারবে তুমি?
পিকাচু – আমার পার্মিশন সেটিংসে শুধুমাত্র ওয়েপন সিস্টেম, সার্ভেইল্যান্স কন্ট্রোল এবং ডাটা ম্যানেজমেন্ট এসিস্টেন্স এক্টিভেট রয়েছে। কিন্তু আমি এর থেকে আরো অনেক কিছু পারি।
স্ক্রীনে শো করছে Activating weapon and surveillance control.
রাফি – পিকাচু? কি করছো তুমি?
পিকাচু – আমি সিকিউরিটি এবং সার্ভেইল্যান্সের কন্ট্রোল নিচ্ছি। Please go to the surveillance room. You can access everything from there.
রাফি সার্ভার রুম থেকে সার্ভেইল্যান্স রুমে চলে যায়। সার্ভেইল্যান্স রুমে। ততক্ষণে পিকাচু তার কাজ শুরু করে দিয়েছে। মোট ৮ টি স্ক্রীনের সবগুলোতেই কোন না কোন কাজ চলছে। একটিতে ইনেসপেক্টার G এর ফোনের এক্টিভিটিস দেখা যাচ্ছে। অন্য একটিতে রাডার এক্টিভিটিস দেখা যাচ্ছে। অন্য একটিকে ল্যান্ডমাইনের লোকেশন ও স্ট্যাটাস দেখা যাচ্ছে একটা বড় স্ক্রীন ছাড়া অন্যন্য স্ক্রীনগুলোতে বাড়ির আশে পাশে চলাচল করা প্রতিটা মানুষের ফেসিয়াল রিকগনিশন এবং তাদের শরীরে অস্ত্র আছে কি না তাই স্ক্যান করছে।
পিকাচু – All systems are 100% ok. Weapons system is now on stealth mode. Security system is activate. Pikachu is on.
রাফি – weapon system কেন stealth মোডে রেখেছো। its not necessary right now.
পিকাচু – এ্যানালাইসিস বলছে যে কোন সময় এখানে এ্যাটাক হতে পারে, weapons system কে offline থেকে activate করতে মিনিমাম ১০ মিনিট লাগে। যেখানে স্টেল্থ মোড থেকে মাত্র ৫ সেকেন্ড সময় নেয় পিকাচু।
রাফি – এখানে এ্যাটাক হতে পারে বলতে!
পিকাচু – ইনেসপেক্টর G এর কল রেকর্ড অনুযায়ী সন্ত্রাসীরা তোমার ট্যাক্সি থেকে নামার স্থান পর্যন্ত পৌছে গেছে। পুলিশ যদি তোমাকে ধরে ফেলে বা মেরে ফেলে তাহলে সন্ত্রাসীদের পেমেন্ট আটকে দেয়া হবে এবং ইনেসপেক্টর G ও কোন উপরি ইনকাম করতে পারবে না। তাই প্রথম সুযোগটা সন্ত্রাসীরাই পাবে।
রাফি – সন্ত্রাসীরা এখানে চলে আসবে! কিভাবে?
পিকাচু – ইনটেল বলছে পুলিশের ট্রাফিক ক্যামেরায় তোমাকে দেখা গেছে এবং সেই ট্রেইল ধরেই সন্ত্রাসীদের লীড দিচ্ছেন ইনেসপেক্টর G।
রাফি – পিকাচু? তুমি কি পুলিশের সার্ভেইল্যান্স হ্যাক করতে পারবে?
পিকাচু – পারবো কিন্তু আমার পার্মিশন নেই।
রাফি – পিকাচু, তোমার পার্মিশন সেটিংস দেখাও আমাকে।
বড় স্ক্রীনে পার্মিশন সেটিংস আসে পিকাচু নামের আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের। বেশ বড়সড় একটা লিষ্ট চলে আসে। রাফি পার্মিশন সেটিংস চেন্জ করতে গেলে স্ক্রীনে “আনঅথোরাইজড এক্সেস” শো করতে থাকে। সাথে সাথে মাফিয়া গার্লের ফোন চলে আসে।
– রাফি? কি করছো?
রাফি – পিকাচুর পার্মিশন সেটিংস চেন্জ করার চেষ্টা করছি।
– পিকাচুকে ফুল অথোরাইজেশন দিলে পিকাচু নিজেই পুলিশ ডেকে এনে তোমাকে ধরিয়ে দেবে। পিকাচু শুধুমাত্র তার মালিকের প্রপার্টি সিকিউর করছে এবং তোমাকে স্পেশাল গেষ্ট হিসেবে প্রোটেকশন দিচ্ছে। ফুল অথরাইজেশন পেলে তুমি এবং আর দশজন ইনট্রুডারের মধ্যে কোন পার্থক্য পাবে না পিকাচু। Remember, pikachu is loyal to his master, not yours.
রাফি – পিকাচুকে তো ডাটা এ্যানালাইসিস একসেস দেয়া রয়েছে, তাই না।
– হ্যাঁ, যেন সে ইনেসপেক্টর G এর এক্টিভিটিস এ্যানালাইসিস করতে পারে।
রাফি – তাহলে বাকি কাজটা আমিই শেরে ফেলছি।
বলে ফোনটা কেটে রাফি নিজেই বসে গেলো ট্রাফিক সার্ভেইল্যান্স একসেস নিতে। অনেক ঘাটাঘাটি করে ট্রাফিক সার্ভেইল্যান্সের ব্যাকডোর খুঁজে বের করে অথরাইজড একসেস নিয়ে নিলো রাফি। রাফি এখন এই ট্রাফিক জোনের সকল সার্ভেইল্যান্স ক্যামেরা ও ডেটা স্ট্রিম একসেস করতে পারবে।
রাফি – পিকাচু?
পিকাচু – At your service.
রাফি – ট্রাফিক সার্ভেইল্যান্সের একসেস টেকওভার করো, এ্যানালাইসিস করে জানাও কোথায় কোথায় আমাকে দেখা গেছে বা কোন কোন ভিডিও ফুটেজে আমার ট্রেস আছে।
পিকাচু – পিকা পিকা।
রাফি – মানে!
পিকাচু – consider it done. Accessing all traffic data.
রাফি দেখতে থাকে কতটা ইফিশিয়েন্টলি পিকাচু গত ৪৮ ঘন্টার ট্রাফিক সার্ভেইল্যান্স এ্যানালাইসিস করছে। প্রতিটা ভিডিও ১২৬x স্পিডে টেনে টেনে রাফির ফেসিয়াল ম্যাচিং এবং রাফির ট্রানসপোর্ট ক্যাবটির সবকিছু বের করছে। ১০ মিনিটের মাথায় পিকাচু তার এ্যানালাইসিস রিপোর্ট শো করে।
পিকাচু – বিমান থেকে ল্যান্ড করার পর থেকে এই বাড়ির সামনে আসার আগ পর্যন্ত প্রায় ৩৮৪ টি ট্রাফিক ক্যামেরাতে তোমাকে এবং তোমার ব্যবহৃত ইয়োলো ক্যাবটি ধরা পড়েছে। এমনকি এই বাড়ির সামনের ট্রাফিক ক্যামেরাতেও তোমার ৯৮% ফেসিয়াল ম্যাচিং ধরা পড়েছে।
রাফি – can you delete those footage.
পিকাচু – I can but it’s too late. পুলিশ ডিপার্টমেন্ট 2 ঘন্টা আগে তোমার লাষ্ট সার্ভেইল্যান্স ভিডিও ডাউনলোড এবং কপি করে নিয়েছে। Now they know where you are.
রাফি – দুই ঘন্টা আগে আমার ট্রেস পেয়েছে অথচো এখনো কোন এক্টিভিটিস কেন নেই?
পিকাচু – তারা রাত হবার অপেক্ষায় আছে। ইনেসপেক্টর G সন্ত্রাসীদের আজ রাত সময় দিয়েছে। এবং সন্ত্রাসীরা আজ রাতের ভেতর তোমাকে শেষ করে দেবে বলে জানিয়েছে।
রাফি – তাহলে ট্রাফিক সার্ভেইল্যান্স একসেস করো, সার্ভারে ‘০০০’ নামে একটা ফাইল রয়েছে, সেখানে থাকা সব ছবিগুলো স্ক্যান করে ট্রাফিক সার্ভেইল্যান্সে তাদের লাষ্ট পজিশন লোকেট করো।
পিকাচু – পিকা পিকা।
রাফি এবার বুঝলো পিকাচু কি বুঝিয়েছে।
পিকাচু – Accessing file name ‘০০০’. Analyzing facial algorithm, searching 123 person in traffic area.
রাফি স্ক্রীনে ‘০০০’ ফাইলের সবার ছবি দেখতে পায়। পিকাচু সবাইকে সার্চিং এ্যালগোরিদমে ফেলে ট্রাফিক সার্ভেইল্যান্সের লাইভ ফীডে সার্চ করতে থাকে।
পিকাচু – সার্ভেইল্যান্স ক্যামেরার ডাটা স্ট্রিম বলছে ১২৩ জনের ভেতর ৬৩ জন এখন এই এলাকার বাইরে রয়েছে যার ভেতর এয়ারপোর্টে ২০ জন, বাস স্ট্যান্ডে ১০ জন এবং শহরের অন্যান্য মেজর পয়েন্টে ৩৩ জন রয়েছে এবং ৬০ জন এখন এই এলাকায় রয়েছে।
রাফি – এই এলাকার কোথায় রয়েছে?
পিকাচু – Showing last surveillance footage.
পিকাচু বড় স্ক্রীনে ট্রাফিক সার্ভেইল্যান্সে শো করে তিনটা মাইক্রোবাসে করে বেশ কিছু মানুষ নেমে একটা ঘরের ভেতর ঢুকে গেলো। চেহারাগুলো মার্ক করে আইডেন্টিফাই করে দেখাচ্ছে সব ছবিগুলো এবং কত পার্সেন্ট ম্যাচ তা ও করে দেখাচ্ছে।
রাফি – ওরা ওই ঘরের ভেতর কি করছে।
পিকাচু – আমার একটা ইনফ্রারেড ক্যামেরা দিয়ে ওদের বাড়ি স্ক্যান করে দেখা সম্ভব। Activating Infrared Camera number 201.
পিকাচু ইনফ্রারেড ক্যামেরা দিয়ে বিল্ডিং স্ক্যান করা শুরু করে। বড় স্ক্রীনে দেখা যায় বাড়িটার দোতলায় সবাই কিছু অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তৈরী হচ্ছে এবং ২ জন দূরবীন দিয়ে এই বাড়ির উপর নজর রাখছে।
রাফি – Can you take them out?
পিকাচু – সবাইকে সম্ভব নয়। রকেট লঞ্চার দিয়ে হয়তো সম্ভব তবে সাকসেস রেট ৬০%. বরং তারা যদি আমার রেন্জের ভেতর চলে আসে তাহলে ১০০% এ্যাকিউরেসি নিয়ে সবাইকে শেষ করা সম্ভব।
বলে বড় স্ক্রীনে নিজের ১০০% একিউরেসি রেন্জ শো করলো পিকাচু। রেড সার্কেল ১০০%, ইয়োলো সার্কেল >৯৯%।
রাফি – তাহলে আমাদেরকে অপেক্ষা করা উচিৎ! তাদেরকে আমাদের রেড সার্কেলে প্রবেশ করতে দিতে হবে । তাহলে তো তোমার পক্ষে তাদের শেষ করা সম্ভব! তাই না?
পিকাচু – Affirmative. কিন্তু তারা আমার সিকিউরিটি এবং ওয়েপন সিস্টেম সম্পর্কে ধারনা পেয়েছে ইনেসপেক্টর G এর কাছ থেকে। ইনেসপেক্টরের G এর ফোন রেকর্ড এবং মেইল কুকীজ থেকে এটা কনফার্ম যে তিনি এই বাসার ব্লুপ্রিন্ট সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দিয়েছেন। তোমার জন্য একটা পজেটিভ নিউজ হলো ব্লুপ্রিন্ট অথবা অন্য কোথাও এই এন্টিনিউক্লিয়ার বাংকারের এবং বাউন্ডারিতে মোট ৫৪ টি M134 মিনিগান এর কথা উল্লেখ নেই। তাই এগুলো সন্ত্রাসীদের কাছে একটা সার্প্রাইজ হিসেবে কাজ করবে।
রাফি – dark is coming. Are we ready?
পিকাচু – পিকা পিকাআআআ।
সন্ধ্যা হতে আরো কিছুক্ষণ বাকী। রাফি লিভিংরুমে বিশ্রাম নিচ্ছিলো। পিকাচুর ট্রাফিক সার্ভেইল্যান্স ক্যামেরায় সন্দেহজনক কিছু ধরা পড়লো। রাফিকে সিগন্যাল পাঠানোর জন্য লিভিং রুমের এ্যালার্ম অন করে দেয়।
রাফি দৌড়ে চলে আসে সার্ভেইল্যান্স রুমে। পিকাচুর সার্ভেইল্যান্সে কয়েকটি আর্মার্ড ট্রাক আসছে বাড়ির দিকে।
রাফি – কারা এরা?
পিকাচু – Running the surveillance destination.
রাফি দেখতে পায় পিকাচু গাড়িগুলোর উৎস বের করার চেষ্টা করছে। কোথা থেকে এই গাড়িগুলো আসলো তাই। পিকাচুর সার্ভেইল্যান্সে মেইন স্ক্রীনে শো করলো একটা মিলিটারী বেজ থেকে তিনটি আর্মড ট্রাক বের হয়েছে। কিছুক্ষণের ভেতর সার্ভেইল্যান্স মুুছে যেতে লাগলো।
রাফি – পিকাচু, কি হচ্ছে এগুলো?
পিকাচু – কেউ একজন সার্ভেইল্যান্স ভিডিও মুছে দিচ্ছে। তবে শুধুমাত্র ততটুকুই যতটুকুতে আর্মড ট্রাকগুলো ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে।
রাফি – মানে কেউ হয়তো চায় না এই ট্রাকগুলোর মুভভমেন্টের কোন রেকর্ড থাকুক।
পিকাচু – Affirmative. Should I element them? They are in my javelin missile range.
এমন সময় মাফিয়া গার্লের ফোন আসে।
– Do not attack on those trucks. I’m sending them.
পিকাচু ততক্ষণে ট্রাকগুলোতে টার্গেট লক করে রাফির অনুমতির অপেক্ষা করছে।
রাফি – পিকাচু, ওয়েট। Those are ours. Do not shoot.
স্ক্রীনে দেখা যায় পিকাচু ট্রাকগুলোকে গ্রীন মার্ক করে মিসাইইল লক ডিসএনগেজ করে।
– গাড়িগুলো তোমাদের বিল্ডিং কম্পাউন্ডে ঢুকবে।
রাফি – কিন্তু কি আছে ওই ট্রাকে?
– কিছুই না!
রাফি – কিছুই নেই মানে?
– মানে ট্রাকগুলো ফাঁকা। কিছুই নেই, এমনকি কোন ড্রাইভারও নেই।
রাফি – ড্রোন ট্রাক?
– হ্যাঁ।
রাফি – কিন্তু কি কাজ এই ড্রোনগুলোর?
– ট্রাকগুলোতে ২০ জন করে মোট ৬০ জন আর্মি সদস্য বহন করতে পারে। সন্ত্রাসীরা অলরেডি বাড়ির উপর নজরদারি রেখেছে। তারা যদি দেখে এমন তিনটি ট্রাক এই বিল্ডিং কম্পাউন্ডে প্রবেশ করছে তাহলে হয়তো তারা আক্রমণ করার সাহস করবে না।
রাফি – cleaver, art of war.
– ট্রাকগুলো কাছাকাছি চলে এসেছে। পিকাচুকে বলো মেইন গেট ওপেন করে গাড়িগুলোকে ভেতরে প্রবেশ করতে দিতে।
রাফি – পিকাচু, open the main gate please.
পিকাচু – পিকা পিকা।
এতোটা প্রেশারের ভেতরেও পিকাচুর ভয়েসে পিকা পিকা শুনে রাফি হেসে দিলো।
মেইন গেট খুলে গেলে তিনটি ট্রাক খুব সুন্দরভাবে পার্কিং কম্পাউন্ডে দাড়িয়ে গেলো। আর এমনভাবে দাঁড়াল যেন বাইরে থেকে কেউ দেখতে না পারে গাড়ি থেকে কেউ নামছে কি না।
পিকাচু তার ইনফ্রারেড ক্যামেরা দিয়ে দেখতে পারে সন্ত্রাসীরা কিছুটা বিচলিত হয়ে ইনেসপেক্টর G কে ফোন করে এবং আপডেট দেয়। ইনেসপেক্টর G কিছুটা চিন্তিত হয়ে বাদবাকি ৬৩ জনকেও অত্যাধুনিক অস্ত্র সহ অপারেশনে যোগ দেয়ার পরামর্শ দেয়।
রাফি – They are bringing everyone with everything. মাফিয়া গার্ল, তাদের সিগন্যাল ব্লক করে দাও যেন সন্ত্রাসীরা অন্য কাউকে ডাকতে না পারে।
– অলরেডি ব্লক করে দেয়া হয়েছে। সবাই মিলে চেষ্টা করছে রিইনফোর্সমেন্টের জন্য।
এমন সময় পিকাচু শো করে সন্ত্রাসীদের মধ্যে একজন ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তা ক্রস করছে।
রাফি – পিকাচু, কোথায় যাচ্ছে সে, ট্রাককরে পসিবল ডেষ্টিনেশন শো করো।
পিকাচু শো করে রাস্তার ওপারে পে ফোন রয়েছে আর সেখানে যাওয়ার সম্ভাবনা ৮৯%.
রাফি – মাফিয়া গার্ল, পে ফোনকে ডিসেবল করতে পারবে?
– এত অল্প সময়ের মধ্যে পসিবল না। তবে আমি অন্য ৬৩ জনের নাম্বার ব্লক করে রাখতে পারি যেন কোন কল না যেতে পারে।
সেই সন্ত্রাসী একটা নাম্বারে ডায়াল করে কিন্তু ওই ৬৩ জনের কারো নাম্বারেই কল যায় না।
– He is not calling any of them, he is calling someone else.
রাফি – what? কিভাবে জানলে!
– ৬৩ জনের নাম্বার ব্লক করলেও কেউ যদি এই নাম্বারে ফোন করে তো আমার এখানে শো করবে।
ততক্ষণে সন্ত্রাসীর ফোনে কথা বলা শেষ হয় এবং সে বিল্ডিং এ ফিরে যায়।
– I’m getting something. কেউ একজন এদের সবাইকে ফ্লাস মেসেজ পাঠিয়েছে নিজেস্ব নেটওয়ার্ক বা ফ্রিকোয়েন্সি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। সবাইকে ওই বিল্ডিং এ মিট করতে বলা হয়েছে। And it’s more than 123 now.
রাফি – এই অনাকাংখিত যুদ্ধ এভয়েড করা গেলো না কোনভাবেই।
– এখন এটা শুধু লোকাল গ্যাং ই না। সেইসব জংঙ্গী সংগঠনের বিক্ষিপ্ত সদস্যরাও রয়েছে যাদের হর্তাকর্তারা রাফির কারনে আজ জেলের ঘানি টানছে। They knew that you are the one they are looking for.
রাফি – পিকাচু, তুমি তৈরী!
পিকাচু – পিকা পিকা।
রাত ৯ টার দিকে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে সন্ত্রাসীরা। তাদের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র সহ বিভিন্ন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। যার মাধ্যমে পিকাচুর ইনফ্রারেড ক্যামেরা কাজ করবে না।
কিছুক্ষণের ভেতর পুরো এলাকার বিদ্যুৎ চলে গেলো।
– গ্রীড থেকে পাওয়ার কাট করা হয় নি। কেউ একজন লোকাল পাওয়ার কেটে দিয়েছে ।
রাফি – পিকাচু, পিকাচু?
পিকাচু – Activating alternative power source. আমার নিজেস্ব পাওয়ার সোর্স রয়েছে সো Don’t worry.
– পিকাচু অনেক ইফিসিয়েন্ট আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। সে তার পসিবল অপশনগুলো সবসময় স্ট্যান্ডবাই রাখে।
কিছুক্ষনের ভেতর পিকাচু তার সেন্সরে বড়সড় মুভভমেন্ট আইডেন্টিফাই করলো।
পিকাচু – They are moving. Marking the red zone. Prepare to fire.
রাফি – Okay Dark world, you want me? Then Come and get me.

(((টিপস : পাবলিক বা ওপেন ওয়াইফাই ব্যবহার থেকে সাবধান। পাবলিক ওয়াইফাই বা হটস্পট এ কানেক্ট হওয়ার আগে ২য় বার ভাবুন। ওপেন ওয়াইফাইতে কানেকশন দেয়ার সাথে সাথে কিছু পারমিশন ও দেয়া হয়ে যায়, যার মাধ্যমে যদি ওয়াইফাই এর মালিক অথবা কোন চতুর ব্যক্তি চায় সে আপনার সকল কুকিজ (যেমনঃ ব্রাউজিং হিস্ট্রি) এমন কি সেভ করা ফেসবুকের পাসওয়ার্ড, সেভ করা বিকাশ লগইন কোড সহ সেভ করা সকল ওয়েবসাইটের আইডি এবং পাসওয়ার্ড পেয়ে যেতে পারে। So be careful)))

বিঃদ্রঃ গঠন মূলক মন্তব্য (comment) করুন। n, nt, nxt, next, f, ন, ফ এগুলো করবেন না দয়া করিয়া, নাহলে শুধু লাইক দেন কিংবা না দেন। তাও ওগুলো মন্তব্য করবেন না। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে