মন পায়রা পর্ব-১১

0
650

#মন পায়রা
#মাশফিয়াত_সুইটি(ছদ্মনাম)
পর্ব:১১

‘ইফাতের সঙ্গে তোমার এনগেজমেন্ট যদি হয়ে যায় তাহলে কিন্তু তোমার পরিবারের বড় ক্ষতি হয়ে যাবে তোমার বাবাকে পথে বসতে হবে ওয়েট এর থেকে যদি তোমার বাবাকে মে’রে ফেলি তাহলে? এখন ভেবে নাও তুমি কাকে চাও তুমি চাইলে আমাকে অবিশ্বাস করতেই পারো তবে কোনো কিছু হয়ে গেলে আমার দোষ দিতে পারবে না আমি তোমাকে আগেই সাবধান করে দিলাম পায়রা।’

– কে আপনি? হুমকি দিচ্ছেন আমায়? ইফাতের সঙ্গে আমার বিয়ে হওয়া বা না হওয়ায় আপনার কি লাভ হবে?

– এতকিছু জেনে তুমি কি করবে আমার সব হিসেব মির্জা পরিবারের সঙ্গে আমি চাই না তোমার পরিবারের ক্ষতি হোক তাই সাবধান করে দিলাম।

– আমি কারো হুমকিকে ভয় পাই না যা করার করে নিন।

কলটা কেটে গেল পায়রা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখলো অপরপাশের ব্যক্তি কল কেটে দিয়েছে। আগামীকাল ইফাত-পায়রার এনগেজমেন্ট বাড়ির সবাই খুব ব্যস্ত। এনায়েত মির্জা চেয়েছিলেন তাদের বাড়িতে এর আয়োজন করতে কিন্তু পলাশ শেখ মানতে নারাজ তিনি চান নিজেদের বাড়িতে অনুষ্ঠান করতে অবশেষে দু’জনে ঠিক করলো অনুষ্ঠান হবে তাদের পার্টনারশিপ বিজনেস অফিসের পাশে দু’জনের কিনা বড় বাগান বাড়িতে। পায়রা বাড়ির সবার সাথে শপিং করে এসে ক্লান্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে ছিল আর তখনি অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসে আর হুমকি দেয়। পায়রার চিন্তা হচ্ছে আর ভাবছে,’কে এই লোকটা? মির্জা পরিবারের সঙ্গে কি শত্রুতা? ইফাত আর আমার এনগেজমেন্ট হলে বাবার কেন ক্ষতি করবে?

পায়রা নিজেকে শান্ত করে,
– হয়তো এমনি ভয় দেখানোর জন্য বলেছে এসব ভেবে কাজ নেই।

মাথা থেকে এসব ঝেড়ে ফেলে ঘুমিয়ে গেল পায়রা, শরীরটা খুব ক্লান্ত হয়ে গেছে।

অশমি আবরারের দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আবরার দেখেও এড়িয়ে গেল অশমি কান্না জড়িত কন্ঠে,
– ভাইয়া তুই কিছুই করতে পারলি না কাল ইফাত আর পায়রার এনগেজমেন্ট।

– এনগেজমেন্ট হবে বিয়ে তো আর হয়ে যাচ্ছে না।

– এনগেজমেন্ট হয়ে গেলে বিয়ে হতে কতদিন?

– হলে হোক।

– হোক মানে? তুই সবটা জানিস বিশেষ করে তুইও তো পায়রাকে ভালোবাসিস।

– এখন আর কি করার আছে সব চেষ্টাই তো করলাম লাভ হলো না।

অশমি বুঝতে পারছে না আবরারের কি হয়েছে কেন এমন করছে।আবরারের সঙ্গে কথা বলে লাভ হবে না ভেবে চলে গেল অশমি।
_____________
এনায়েত মির্জা কাছের কিছু আত্মীয় স্বজন পরিচিতদের ইনভাইট করেছেন। যেহেতু এনগেজমেন্ট হবে তাই সব আত্মীয় স্বজনকে বলা হয়নি দেশের বাইরেও অনেক আত্মীয় স্বজন আছে একেবারে বিয়েতে সবাইকে দাওয়াত দিবে। ইনান বড় ভাইয়ের এনগেজমেন্টের জন্য নিজে সব দায়িত্ব নিয়েছে বাগান বাড়ির পুরো ডেকোরেশন নিজ দায়িত্বে পছন্দ মতো করছে।

ইফাতের মুখে আজ এক তৃপ্তির হাসি প্রশস্ত হয়ে আছে হয়তো নিজের প্রেয়সিকে পাওয়ার আনন্দ এটা। অফিসের সব কাজ সবাইকে বুঝিয়ে দিচ্ছে কারণ দু’দিন সে অফিসে আসতে পারবে না।

সাবিহার সঙ্গে ইনানের দু’দিন ধরে দেখা সাক্ষাৎ হচ্ছে না।সাবিহা অনেকবার ফোন করেছে কিন্তু বাজতে বাজতে একসময় কেটে গেছে, হুয়াটসএপেও অনেক মেসেজ দিয়েছে কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি।প্রিয় মানুষের এমন অবহেলা যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না খুব কষ্ট হচ্ছে বারবার নিজেকে প্রশ্ন করছে,’আমি কি কোনো অন্যায় করেছি? কেন ইনান আমার সঙ্গে কথা বলছে না আমায় কি ভুলে গেল?

কিছু ভালো লাগছে না তাই সোজা পায়রার ঘরের দিকে চলে গেল। পায়রার ঘরের দরজা একটু মেলে উঁকি মেরে পায়রাকে ঘুমাতে দেখে সাড়াশব্দ না করে আবারো নিজের ঘরে চলে গেল সাবিহা।

ইতি বেগম শাশুড়ির ঘরে বসে গল্প করছেন। ইফাতের দাদী চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে তারপর বললেন,
– ইফাত দাদু ভাইয়ের মুখটা দেখেছো বউমা? কি হাসি খুশি আমার নাতিটা, মেয়েটাকে সত্যিই অনেক ভালবাসে মনে হয়।

ইতি বেগম প্রতিত্ত্যুরে বললেন,
– হুম মা কি বলবো পায়রার জন্য আপনার নাতির হাবভাব সব বদলে গেছে সেদিন কি যে এক ঘটনা ঘটিয়েছে।

– কি ঘটনা?

শরীরে জ্বর নিয়ে পায়রাকে দেখতে যাওয়ার পুরো ঘটনা ইতি বেগম শাশুড়িকে বললেন। তিনিও চমকে গিয়ে,
– এত দূর অবধি চলে গেছে ইফাত দাদু ভাই!

– হ্যা মা।

বলেই দু’জনে হেসে দিলো।
______________

বাইরে চেঁচামেচির শব্দে পায়রার ঘুম ভেঙ্গে গেছে মুখে পানি দিয়ে নিচে যাওয়ার জন্য হাঁটা ধরলো। ঘুম ভাঙ্গলেও ঘুমের রেশ এখনও কাটেনি নিচে যেতেই পায়রা দেখতে পেল তার বাবা সোফায় বসে আছে হাত ব্যান্ডেজ অবস্থায় গলায় ঝুলানো আর তার পাশে বসে মা কান্না করছে আর তার চাচি তার মা’কে সামলাচ্ছেন। পায়রা দ্রুত গিয়ে বাবার পাশে বসে,

– তোমার হাতে ব্যান্ডেজ কেন বাবা? কি হয়েছে?

পলাশ শেখ ক্লান্ত কন্ঠে,
– অফিস থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠতে যাবো ঠিক সেই সময় একটা চলন্ত বাইক এসে হাতে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে চলে গেল মনে হয় ছিনতাইকারী ছিল।

পায়রার ভেতরটা কেঁপে উঠল। কাঁপা কাঁপা কন্ঠে,
– ছিনতাইকারী হলে কিছু না নিয়ে আঘাত করলো কেন?

– হয়তো আশেপাশের মানুষজনের কারণে নিতে পারেনি।

– ঘরে গিয়ে বিশ্রাম নিবে চলো।

– আগে তোর মা’কে একটু থামতে বল কান্না করেই যাচ্ছে।

আসমা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে,
– কি একটা বিপদ গেছে তোমার উপর দিয়ে আমি কান্না করবো না তো কি করবো।

– মা কান্না করলে কি সব ঠিক হয়ে যাবে যাও বাবাকে ঘরে নিয়ে যাও এখন বিশ্রামের প্রয়োজন।

পলাশ শেখকে ধরে ঘরে নিয়ে শুইয়ে দেওয়া হলো। পায়রার মন উসখুস করছে ঘরে গিয়ে গভীর ভাবনায় মগ্ন হয়ে গেল কিন্তু ভাবনায় ছেদ ঘটিয়ে মোবাইল বেজে উঠল। স্ক্রিনে অপরিচিত নাম্বার ভেসে উঠেছে পায়রা রিসিভ করে কানে ধরতেই অপরপাশ থেকে বলল,

– এবার বিশ্বাস হলো? আমার কথা মতো কাজ না হলে এর থেকেও বড় কিছু হয়ে যাবে তোমার বাবার তখন কিন্তু নাও বেঁচে ফিরতে পারে।

– কেন এমন করছেন আপনি? কি ক্ষতি করেছি আমরা আপনার?

– তোমরা কিছুই করনি তাই তো তোমাদের সাবধান করে দিলাম তবে আমার কথা না শুনলে তোমার সুন্দর পরিবার শেষ হয়ে যাবে।

– আর যদি আপনার কথা মতো কাজ করি?

– তাহলে তোমার পরিবারের কিছু হবে না।

– আমি রাজি কি কি করতে হবে আপনি বলুন।

– এই তো গুড গার্ল, যা করতে হবে টেক্সট করে দিচ্ছি আর কোনো চালাকি করবে না এতে তোমার ক্ষতি।

লোকটা কল কেটে দিয়েছে পায়রা মোবাইল পাশে রেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছে। হাঁটু মুড়ে বসে,
– আমাকে ক্ষমা করবেন ইফাত পরিবারকে বাঁচাতে এটা করতেই হবে আমাকে আশা করি আমাকে ভুল বুঝবেন না দেরিতে হোক আমাদের মিল একদিন হবেই।

ইনান সব আয়োজন সম্পন্ন করে রাতে বাড়ি ফিরে খাবার খেয়ে বিছানায় বসে সাবিহাকে কল দিলো। সাথে সাথে কলটা রিসিভ হয়ে গেল এতক্ষণ যেন এর আশায় মোবাইল নিয়ে বসে ছিল সাবিহা। দু’পাশে নিরবতা বিরাজ করছে এবার ইনান নিরবতা ভেঙ্গে বলল,

– মনে হচ্ছে কেউ আমার উপরে রেগে আছে রাগের কারণটা কি জানতে পারি?

সাবিহা ভেবে নিয়েছিল যখনি ইনান ওর সঙ্গে কথা বলতে আসবে তখনি বেশ কড়া করে কিছু কথা শুনিয়ে দিবে সবকিছু গুছগাছ করে নিয়েছিল মনে মনে কিন্তু ইনানের নেশালো কন্ঠ শুনে নিমিষেই কথাগুলো এলোমেলো হয়ে গেছে। নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করে,

– গত দু’দিন ধরে একের পর এক কল দিয়ে গেলাম কেউ ধরার প্রয়োজন মনে করলো না এদিকে আমি যে কারো অপেক্ষায় বসে ছিলাম তা কি কেউ বুঝতে পারেনি নাকি ভালোবাসা দু’দিনে উড়ে পালিয়েছে।

– এই নিজের ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাস? ভাইয়ার এনগেজমেন্টের সব দায়িত্ব নিজে নিয়েছিলাম কাজ করতে করতে সময় পাইনি তবে এই নয় যে আমি আমার মহারানীকে ভুলে গেছি প্রতিটা মুহূর্ত তোমার কথা মনে পড়েছে আজ সময় পেতেই কল দিয়েছি।

– জানো কত চিন্তা হচ্ছিল সাথে কষ্ট হচ্ছিল খুব।

– ভিডিও কল দেই?

– দাও।

ইনান ভিডিও কল দিয়ে সাবিহাকে দু’চোখ ভরে দেখে নিলো। দু’জন দু’দিনের জমে থাকা কথাগুলো বলে নিচ্ছে।সাবিহার রাগও নিমিষেই মিলিয়ে গেছে।
________________

আজ রাতে ইফাত আর পায়রার এনগেজমেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। সবাই খুশি থাকলেও পায়রা খুশি হতে পারছে না সকাল থেকেই চুপচাপ সাবিহা অনেকবার লক্ষ্য করেছে জিজ্ঞেসও করেছে কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি। একটা মেসেজ আসায় বাড়ির বাইরে গিয়েছিল বাইরে যেতেই এক অপরিচিত ব্যক্তি একটা বক্স পায়রার হাতে দিয়ে চলে যায়। পায়রা ওতো মাথা না ঘামিয়ে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘরে এসে বক্সটা খুলতেই চমকে গেল। সবকিছুই যেন এখন তার কাছে অনেকটা পরিষ্কার সেদিন যেই ছবিগুলো অশমি পায়রাকে দেখিয়েছিল ঠিক সেই ছবিগুলোই এখানে শুধু অশমির জায়গায় অন্য এক অপরিচিত মেয়ে। পায়রা ছবির মেয়েটার দিকে চোখ রেখে,

– এগুলো কি অশমি আর আবরারের প্লান? ইফাতের সঙ্গে আমার ভুল বুঝাতে না পেরে এখন এই পথ বেছে নিয়েছে? তাহলে অশমির ছবি পাল্টে এই অপরিচিত মেয়ের সঙ্গে কেন এডিট করলো?

কিছুক্ষণ ভেবে,
– আবরার ভাইয়া কিভাবে হবে?আর যাই করুক আবরার ভাইয়া আমার বাবা কিংবা পরিবারের কোনো ক্ষতি করবে না তাহলে কি হচ্ছে এসব।

পায়রার মোবাইলে একটা মেসেজ আসলো, পায়রা মেসেজ পড়তে লাগলো,

‘ উল্টা পাল্টা চিন্তা করে আসল কাজটা যেন নষ্ট না হয় আবারো মনে করিয়ে দিচ্ছি এতে কিন্তু তোমার বাবার বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।’

পায়রার মনে ভয়টা তিব্র হয়ে গেছে মাথা থেকে সবকিছু ঝেড়ে ফেলে নিজের মনকে শক্ত করে সব ঠিকঠাক করে নিলো।

পায়রার সঙ্গে গতকাল থেকে কথা এবং দেখা না হলেও ইফিতের কোনো আক্ষেপ নেই কারণ সে জানে আজ তাদের সম্পর্কের নতুন রূপ পেতে যাচ্ছে আর তারপর পায়রা শুধুই তার।

সন্ধ্যা হয়ে গেছে বাগান বাড়ি অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে চারিদিকে হরেক রঙের আলো জ্বলছে অনেক সুন্দর ডেকোরেশন করা হয়েছে। শেখ পরিবার, মির্জা পরিবার চলে এসেছে সবাই সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করে অতিথি আপ্যায়ন করছে। পায়রা আর সাবিহা পার্লারে গেছে সাবিহার জোরাজুরিতেই পায়রা বাধ্য হয়ে গেছে ওখান থেকেই দু’জনে এই জায়গায় চলে আসবে।

ইফাতের সব বন্ধুরা উপস্থিত সবাই পায়রাকে দেখতে আগ্ৰহী।ইফাতের চোখও এত এত মানুষের ভিড়ে পায়রাকে খুঁজছে। ইতি বেগম ছেলের কাছে এসে,
– পায়রা সাবিহার সঙ্গে পার্লারে গেছে, আসতে আরও দশ মিনিট লাগবে।

ইফাত মাথা চুলকিয়ে মৃদু হাসলো।আসমা বেগম ডাকতেই ইতি বেগম তার কাছে চলে গেল।ইনান এসে ইফাতের কাঁধে হাত রেখে,
– বুঝলি ভাইয়া আমাদের দুই ভাইয়ের অবস্থা সেইম দু’জনেই প্রমিকাকে দেখতে না পেয়ে হা হুতাশ করছি।

ইফাত নিজের কাঁধ থেকে ইনানের হাত সরিয়ে,
– আমি হা হুতাশ করছিলাম না শুধু দেখছিলাম পায়রা কোথায়।

– তোর সত্যিটা অস্বীকার করার স্বভাব আর গেল না।

– তোরও আমাকে পিঞ্চ মে’রে কথা বলার স্বভাব গেল না।

ইনানের দৃষ্টি অন্যদিকে চলে গেছে ইফাত খোঁচা মে’রে,
– ওদিকে কি দেখছিস?

– তোর বউ আর শালিকে দেখছি।

ইনানের কথায় কপাল কুঁচকে দৃষ্টি অনুসরণ করে সামনে তাকাতেই ইফাতের ঠোঁটে হাসি ফুটেছে। পায়রা গর্জিয়াস ল্যাহেঙ্গা পড়েছে ইফাতই দিয়েছে নিজে পছন্দ করে এবং নিজেও তার সঙ্গে ম্যাচিং করে শার্টের উপর ব্লেজার পড়েছে। ইনান ইফাতের কাছ থেকে সরে গেল সাবিহাও সুযোগ বুঝে ইনানের কাছে গেছে।

ইফাতকে দেখে পায়রার মুখেও হাসি ফুটেছে কিন্তু কিছু একটা মনে হতেই মুখটা মলিন হয়ে গেছে।ইফাত পায়রার কাছে যাচ্ছিল কিন্তু পায়রা ইফাতকে ইগনোর করে নিজের মায়ের কাছে চলে গেল ইফাতের মনটা খারাপ হয়ে গেল।ইফাতের একটা বন্ধু ইফাতের কাছে এসে,

– মুখের হাসি আবার কোথায় চলে গেল?

আরেকজন এসে,
– আজ তো তোর খুশির দিন মনের মানুষকে পেয়ে যাবি।

ওদের কথায় ইফাত মনকে বুঝিয়ে হাসার চেষ্টা করলো। এনায়েত মির্জা আর পলাশ শেখ পাশাপাশি দাঁড়ালো দু’জনের হাতে দু’টো মাইক। দু’জনে মিলে এনাউন্স করে দিলো ইফাত আর পায়রার এনগেজমেন্টের সবাই সম্মোলিত হাত তালি দিলো।

ইফাত আর পায়রা দু’জনেই স্টেজে চলে আসলো তাদের ঘিরে সবাই দাঁড়িয়ে আছে।ইতি বেগম ইফাতের হাতে একটা আংটি দিলো আসমা বেগম এসেও পায়রার হাতে তাদের আনা আংটি দিলো। ইফাত পায়রার ডান হাত নিজের বাম হাত দিয়ে ধরে ডান হাতে থাকা আংটিটা পায়রার আঙ্গুলে পরানোর জন্য হাত বাড়াতেই পায়রা ইফাতের হাতটা ঝাড়া দিয়া নিজের হাত ছাড়িয়ে নিলো। পায়রার এমন কাজে সবাই বিষ্মিত হয়ে গেছে ইফাত জোরপূর্বক হেসে,
– হাত সরিয়ে নিলে কেন?

– আমি আপনার হাত থেকে আংটি পরবো না।

পলাশ শেখ এগিয়ে এসে,
– আংটি না পরলে কিভাবে হবে? কথা না বলে পরে নে।

চলবে……..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে