নিশি কাব্য পর্ব-১৮

0
786

নিশি কাব্য পর্ব-১৮
(রোমান্টিক সংসারে গল্প)
লেখা- Rudro Khan Himu

পরীকে এক প্রকার জোর করেই ওর চাচা কাছে নিয়ে গেল। মনে হচ্ছিলো আমাদের পাঁজরের হাড় ভেঙে নিয়ে চলে যাচ্ছে । ওর পরিবারে মানুষ যখন এসে নিজেদের বাচ্চা নিয়ে যাতে চায় আমাদের কিবলার থেকে আমি বাকরুদ্ধ চুপচাপ দাড়িয়ে থেকে আমার হাত দেই পরীকে ওর চাচার কোলে তুলে দিলাম । নিশির দিকে তাকাতে পারছিনা। এত অল্প সময়ে এত টা আপন করে নিয়েছে নিজের গর্ভজাত সন্তানের মত। একজন মায়ের কোল থেকে তার সন্তানকে ছিনিয়ে নিলে যেমন থাকতে পারে নিশির অবস্থা এখন সেরকম । নিশিকে আমি কি সান্ত্বনা দিবো নিজেকে সামলাতে পারছিনা।
নিশি একদম না খাওয়া ছেরে দিয়েছে সারাদিন পাগলের মত কান্নাকাটি করে পরীর পুতুলটা কোলে নিয়ে । কান্না করতে করতে বার বার সেন্সলেস হয়ে যায়। তিনদিন যাবৎ কিছু না খেয়ে থাকার কারণে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে। আম্মুর ফোন পেয়ে আমি অফিস থেকে তাড়াতাড়ি আসি দেখি নিশির অবস্থা খুবই খারাপ তাড়াতাড়ি করে হসপিটালে ভর্তি করলাম। জ্ঞান ফিরার পর শুধু বলতেছে পরীকে দেখব আমার পরীকে এনে দাও ।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/



নিশিরাত আর্তনাদ পরীকে পাওয়ার আকুতি আমি সহ্য করতে পারছিনা । পরীকে ফিরিয়ে আনার জন্য আর চাচার বাসায় গেলাম। কিন্তু পরীর চাচা খুবই খারাপ ব্যবহার করে আমাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিল। আর বলল আমি নাকি তাদের সম্পত্তির লোভে পরীকে নিতে এসেছি। আমি দিশেহারা হয়ে রাস্তায় বসে আছি। নিশি সামনে আমি কি মুখ নিয়ে দাড়াবো। কিছুই ভেবে উঠতে পারছিনা। এমন সময় আমার ফোনটা বেজে উঠলো।
— হ্যালো কে সাব্বির সাহেব?
— জি বলছি বলেন।
— আমি পরীর চাচি বলছি। পরীর সম্পর্কে কিছু কথা ছিলো।
— জ্বি অবশ্যই বলুন।
— আমার স্বামী মানে পরীর চাচা। বিষয়টা কিভাবে বলবো বুঝতে পারছিনা ।
— আপনি কোন সঙ্কোচ না রেখে বলতে পারেন।
— আসলে আমার স্বামী পরীর বাবার সৎ ভাই। আমার শশুর যখন প্রথম স্ত্রীকে রেখে আবার একটা বিয়ে করে। এটা আগের পক্ষ মেনে নিতে পারে না। কিছুতেই আমার শাশুরিকে ও বাড়িতে উঠতে দেয়া হয় না। পরিবারের চাপ দেখে আমার শশুর শাশুড়ি মাকে তার বাবার বাসায় রেখে আসে। তখন আমার সামি তিন মাসের গর্ভবস্থায়। শাশুড়ির বাবা বাড়ির লোকেরাও তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। গর্ভে সন্তান নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটাতে থাকে। আমার স্বামীকে জন্ম দেওয়ার সময় তিনি মারা যান। আর তার সব কষ্টের কথা ডায়েরিতে লিখে গেছেন। আর আমার স্বামী এখন তার প্রতিশোধ নিচ্ছে। পরীর বাবা-মায়ের সড়ক দুর্ঘটনা এটা কোন সাধারণ দুর্ঘটনা না। আমার স্বামী ইচ্ছে করেই তাদের কে মারার জন্য এই কাজটা করেছে।
এখন ফুটফুটে ছয় মাসের শিশুটাকে ও ওবাঁচতে দেবে না । আপনার চোখে মুখে পরীর প্রতি যে মমতা দেখেছি তার জন্য আপনাকে ফোন করলাম। আপনি পরীকে এখান থেকে নিয়ে যান। নাহলে ও পরীকে বাঁচতে দেবে না ।
— কিন্তু আপনার স্বামী তো পরীকে আমার কাছে কিছুতেই দিচ্ছে না । আপনি কি আমাকে একটু সাহায্য করতে পারেন।
— এইভাবে পরীকে আপনি নিতে পারবেন না। আপনি আজ ১২ টার দিকে আমাদের বাসার পিছন দিকে এসে দাঁড়াবেন । আমি লুকিয়ে পরীকে নিয়ে আসব।
— আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
— আরেকটা কথা পরীকে নিয়ে আপনারা এ শহর ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যান। না হলেও ঠিকই খুঁজে বের করে ফেলবে তখন আপনাদের ও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
— আচ্ছা ঠিক আছে। পরীকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমরা সব কিছু করতে পারি।

ওনার কথামতো আমি রাত ১২ টায় পরীকে নিয়ে চলে আসি। খাগড়াছড়িতে আমার এক বন্ধুর বাসা ওখানে যে আমরা উঠি। নিশিকে এই অসুস্থ অবস্থায় নিয়ে যেতে হয় ।

পরীকে ভালো রাখার জন্য জীবনে এক নতুন যুদ্ধ শুরু হল।
ত্রিরিশ হাজার টাকার মতো সঞ্চয় ছিল। একটা বাসা ভাড়া নেই নতুন করে আমাদের সংসার শুরু করি আবার। এমন করে ১৫-১৬ দিন চলে যায় । নিশি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ । আসলে পরীকে কাছে পেয়েই সুস্থ হয়ে উঠেছে। সঞ্চয়ের টাকা আস্তে আস্তে শেষ হতে লাগলো। কিছু একটা কাজ জোগাড় করতে হবে। মা মেয়েকে বাসায় রেখে কাজ খোজার উদ্দেশ্যে বের হলাম। কিন্তু এই অজ পাড়াগাঁয়ে আমার করার মতো কোনো কাজই খুঁজে পাচ্ছিনা। কৃষকের কাজ ছাড়া আর কি বা করার আছে। আর এখানে নিজেদের জমিন এর কাছে নিজেরে করে। কোন কাজ না পেয়ে বাসায় ফিরে আসলাম।
— এই শুনে না বাবুর খাবার না শেষ হয়ে গেছে। সংসারের মাসিক বাজার শেষের পথে। নিশিকে কিছু বুঝতে না দিয়ে বললাম হ্যাঁ ঠিক আছে একটু পরে গিয়ে নিয়ে আসবো। পরীর খাবার আনার জন্য বের হলাম পকেটে আছে মাত্র ২০৫ টাকা । কিভাবে কি কিনব কিছুই বুঝতে পারছিনা। আরে পরীর খাবার দুধ কিনার জন্য শহরের দিকে যেতে হয়। খাগড়াছড়ি মফস্বল শহরে ঘুরতে আসা মানুষের মাল্যবান মালামাল বহন করার জন্য কিছু কুলি কাজ করছে। বসে বসে আমি এটার দেখছি। একটা বাস এসে থামল কিন্তু কোন কুলিরা ফাঁকা নেই । এই সুযোগে কিচ্ছু মানুষের মালামাল নিয়ে গাড়িতে তুলে দিলাম সবমিলিয়ে ৪০০ টাকার মতো কাজ করতে পারছি।
.
.
একটা পরিবারের মালামাল আগিয়ে দিয়ে আসার সময় লক্ষ্য করুন তারা এখানে তেমন কিছুই চেনা না। প্রথম বার ঘুরতে এসেছে সপরিবারে । কোথায় কোথায় সুন্দর জায়গাগুলি আছে আমাকে জিজ্ঞেস করলো খুব ভালোভাবে বর্ণনা করে বললাম। এতে ওনার অনেকটা খুশি হয়ে গেলো আর কালকে তাদের ঐ জায়গাগুলোতে ঘুরতে নিয়ে যেতে আমাকে বলল টুরিস্ট গাইড হিসেবে। আর ৫০০ টাকা অগ্রিম দিয়ে রাখলো । খুব খুশি খুশি লাগছে আজকে ভাগ্যটা খুব ভালো পরীর জন্য দুধ কেনার মতো টাকা ছিল না পকেটের। এখন টাকার ব্যবস্থা হয়ে গেছে। পরীর খাবার কিনে বাসায় ফিরলাম। নিশি মাত্র গোসল করে বের হয়েছে ভেজা চুল সুখ আছে। এটা দেখে আমার সারাদিনের ক্লান্তি চলে গেল। স্নিগ্ধ দৃষ্টিতে আমি শুধু তাকিয়ে আছে নিশির দিকে।
–এই পিচ্চি বর এই ভাবে তাকিয়ে আছো কেন?
–আমার পুতুল বউ টা কে দেখছি।
— ঢং সারাদিন কোথায় ছিলে দুধ আনার জন্য এত সময় লাগে নাকি ।
— একটু কাজ ছিল।
— এই তোমার হাতটা একটু দেখি? এতো লাল কেন?
–কোথায় । বাসে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আসছে হয়ত তার জন্য।
— দেখো সাব্বির একদমই আমার সাথে মিথ্যে বলবোনা। আর তুমি কোন কিছুই আমার কাছে লুকিয়ে রাখতে পারেনা এটা তুমি খুব ভালো করে জানা।
— তেমন কিছু না ।
— কি কাজ করছে পিচ্চি বর? ভারী কিছু হাত দিয়ে উঠাইছে নিশ্চয়ই।
— এতদিন তো বেকার ঘুরলাম আজকেরটা কাজ পেলাম ওটা একটু করলাম আর কি। বেশি কষ্টের কাজ না।
অনেকটা নিশির কাছে থেকে বিষয়ে টা লুকিয়ে ফেলছিলাম নিশি জানলে খুব কষ্ট পাবে তাই। কিন্তু আর লুকাতে পারলাম না। পাশের বাসার একটা লোক এ বিষয়টির দিকে ফেলছিল।
— ভাই আপনাকে দেখলাম মানুষের ব্যাগ কাঁধে করে গাড়িতে তুলে দিচ্ছেন।
— আমি কিছু বলতে পারলাম না।
নিশি কথাটা শুনে সাথে সাথে কেঁদে দিল। তারপর আমাকে নিয়ে রুমে চলে গেল। আমার ঢোসা পরা হাতে ইচ্ছেমত চুমু দিল ।
— পিচ্চি বর তোমার খুব কষ্ট হয়ে গেছে তাইনা।
— না রে পাগলি কোন কষ্ট হয়নি। তোমাদের ভালো রাখার জন্য সবকিছু হাসিমুখে করতে পারি।
— আমাদের কোনো চাহিদা নেই । ডাল-ভাত খেয়ে আমরা ভাল থাকব।
তুমি গোসল করে আসো আমি রান্না বসাচ্ছি। বাসায় চাল ছিলনা তাই রান্না করতে পারেনি নিশি। সারাদিন ওনা খেয়েছিল। চাল নিয়ে কথাটা একদমই বলেনি ।
সত্যি আমি খুব ভাগ্যবান নিশির মত একটা পুতুল বউ আমার আছে তাই।

গোছল শেষ করে রান্নাঘরে আসলাম
এইযে আমার পুতুল বউ কি করছো?
–রান্না করছি।
–ওহ !আমার শরীর খারাপ লাগছে রাতে আর কিছু
খাবো না। তাই ঘুমাতে গেলাম ।
–যতো যাই বলো। না খেয়ে তোমাকে আমি
ঘুমাতে দিবো না।
–আমি খাবো না আজ।তুমি খেয়ে নিও।
–তোমাকে ছাড়া আমি কখনও খেয়েছি? আমিও খাবো
না। বলে দিলাম ।
–জেদ করো কেন ?
–কই জেদ করলাম । আমার জায়গায় তুমি
হলে কী করতে শুনি?
–তোমাকে খাবায়ে ঘুম পারাতাম ।
–আমিতো ঠিক সেটাই করছি।
–আচ্ছা তাহলে আমাকে খাইয়ে দিতে
হবে।[বউয়ের হাতে খাবার জন্য শরীর
খারাপের বাহানা]
–বললেই হয় খাইয়ে দিতে হবে।এমন বাহানা করার কি
দরকার।
যাহ ধরা খেয়ে গেলাম।
–খাওয়ার টেবিলে গিয়ে বসো।আমি
একটুপর খাবার নিয়ে আসছি।
টেবিলে গিয়ে বসলাম। সময় যে
যাচ্ছেই না।
নিশির হাতে খাবার জন্য
মনটা ছটফট করছে।
যদিও মাঝে মধ্যে নিশির হাতে খায় তবুও বউয়ের সঙ্গে
বাহানা করতে ভালোই লাগে।
-কই হলো?
-এইতো আসছি। একটু চুপ করে বসে থাকতে পারো না?
কী আর করার চুপ করে বসে অপেক্ষা করতে থাকলাম।
কিছুক্ষণ পরে খাবার নিয়ে আসল।
নিশি আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে
পরম আদরে ।আমি মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি নিশির
দিকে। স্পষ্ট
বলতে পারবো না কি খাচ্ছি ।কিন্তু খাবারটা খুবই সুস্বাদু
লাগছিল ।আসলে নিশির
নরম হাতের স্পর্শে খাবার যেন নতুন স্বাদ পেয়েছে।
এতো ভালো লাগছিলো এই মুহূর্ত বলে বুঝাতে পারবো না

মনটা সুন্দর মুহূর্তের মাঝে
হারিয়ে গেছে ।
–ইসস!
–কি হলো?
–আঙুলে কামড় দিয়ে এখন বলছে কি হলো বদ কোথাকার।
আরেকটু হলে মনে হয় আঙুলই খেয়ে ফেলতে।
–সরি পুতুল বউ। সুস্বাদু খাবারে মাঝে
হারিয়ে গেছিলাম ।তাই খেয়াল করিনি।
–ও তাই বুঝি?
–হুমম। আচ্ছা এই খাবারের নাম কী গো?
–সবজির তরকারী
–আবারও সবজি। তুমিতো জানোই আমি সবজি পছন্দ করি
না।
–হিহিহি। এতক্ষণ পর বুঝলে? বেশি মাংস,পোলাও,বিরি
য়ানি খাওয়া
স্বাস্হ্যর জন্য ক্ষতিকর।তাই এখন তোমাকে সবজির
তরকারীই খেতে হবে ।
–হু তাইইতো ।নিজে সবজি খাবে আমাকেও জোর করে
খাওয়াবে। ঠিক আছে তুমি খাইয়ে দিচ্ছো বলে খাচ্ছি।
নিশি সবজি দিয়ে সুন্দর করে ভাত মাখায়ে এমনভাবেই
দেয় বুঝতেই পারি না যে আমি সবজি খাচ্ছি ।
আমার খাওয়ার দিকে
একভাবে তাকিয়ে আছে নিশি ।মুখটা দেখে একটু মন
খারাপও মনে হচ্ছে ।বুঝেছি আমি নিশির
হাতে এতো আরামে খাচ্ছি নিশির ও
ইচ্ছা করছে নিশ্চয় আমার হাতে খেতে।
–এই তুমি খাবে না। দেখি তোমাকে খাইয়ে দি।হা করো।
কথাটি শুনে নিশি আনন্দিত
হয়েছে বুঝতেই পারছি।মনে হচ্ছে
কথাটি শুনার অপেক্ষায় ছিলো।
আমিও গালে তুলে নিশিকে খাইয়ে দিলাম।চোখে পানি
টলমল করছে মেয়েটির খুশিতে
–জানো বউ রান্নাটা বেশিই টেস্টি হইছে।
–তাতো হবেই। আমি খাইয়ে দিলেতো তোমার কাছে
প্রতিবারই টেস্টি হয়।
–এতোই যখন জানো তাহলে খাইয়ে দিতে পারো না?
–এহ! তুমি মনে হচ্ছে ছোট্ট বাবু যে খাইয়ে দিতে হবে
সবসময়। (ভেনচি কেটে)
–আমিতো তোমার ছোট বাবু ই।জানো না?
–হইছে। এখন ঘুমাতে যাও।
–ঠিক আছে। কিন্তু তুমি?
–আমি কাজসেরে আসছি।
–তাড়াতাড়ি এসো।
চলবে ?
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে