তৃণকান্তা পর্ব-০৪

0
1273

তৃণকান্তা
পর্ব : ৪
– নিশি রাত্রি

দৃষ্টি ঘুরিয়ে বাবার দিকে তাকাতে গেলেই দরজায় একজোড়া পায়ের উপর নজরবন্দী হলো মেঘার। সাথে সাথেই আঁৎকে উঠলো মেঘা। মাইশা সব শুনেছে! মাইশা তখনো সেখানে দাঁড়িয়ে। মাইশার চোখে চোখ তুলে তাকাতেই বুকটা কেঁপে উঠলো। চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে আছে মাইশার।
মেঘা বললো,
– মাইশা মা যা বলেছে সব মিথ্যা।
মেঘার কথা শুনে সবাই সামনের দিকে তাকালো। আঁৎকে উঠলো সবাই। তবে ভাব ভঙ্গিমা পরিবর্তন হলোনা রাহেলার। সে যেনো এই কথাটা মাইশার কান অবধি পৌঁছাতে পেরে ধন্য।
মাইশা মেঘার দিকে টলমল চোখে তাকিতে বললো,
– আর কতো মিথ্যা বলবা আপু?
গাল গড়িয়ে চোখের পানি পড়ছে। কণ্ঠ কেমন ভেজা ভেজা। যেনো হঠাৎ করেই কেমন বড় হয়ে উঠলো মাইশা। চোখের পানি মুছে,
অনেক তো করেছো অন্যের মেয়ের জন্য। তাতেই বা কম কিসে?
বলে চোখের পানি মুছতে মুছতে রুমের দিকে পা বাড়ালো মাইশা।
মেঘা দৌড়ে পিছুপিছু আসলেও মাইশা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি।তার আগেই মাইশা দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। পুরো পৃথিবী যেনো থমকেব গেলো তার কাছে।কোথায় ছিলো এতোদিন? কে তার মা? কে তার বাবা? কি তার পরিচয়?
দরজার অপর দিক থেকে মেঘা আর বৃষ্টির ডাক ভেসে আসছে।কিন্তু সেদিকে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই তার। বারবার মামির বলা কথাগুলো কানে ভাসছে।হ্যাঁ।মামিই তো। ননদের মেয়েকে এতোবছর কোলে পিঠে করে মানুষ করেছে সেটাই বা কম কিসে? খুব করে কান্না পাচ্ছে। চিৎকার করে কাঁদতে পারলে যেনো মনটা হালকা হতো। বেলকনির ফ্লোরে বসে একমনে আকাশের দিকে তাকিয়ে রইলো। গাল বেয়ে গড়িয়ে পরছে মুক্ত চোখের জল। ড্রইংরুম থেকে মামা মামির চিৎকার ভেসে আসছে। মাঝেমধ্যে মেঘা আর বৃষ্টির চেঁচামেচিও আসছে।

অনবরত মাইশার ফোনে ফোন দিচ্ছে তূর্য।বিকেল পাঁচটা বেজে গেছে এখনো ফোন রিসিভ করছেনা কেনো? তবে কি তিহানরা মাইশাদের বাসায় গেছে? মেঘা আর বৃষ্টির মতো মাইশারও বিয়ে হয়ে গেছে? কথাটা ভাবতেই বুকটা কেমন কেঁপে উঠলো। বুকের মধ্যে এক অজানা ভয় জেকে বসলো। মাইশাকে হারিয়ে ফেলার ভয়।বুকের বাম পাশটা কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। নিঃশ্বাস নিতে যেনো কষ্ট হচ্ছে। টেনশন হচ্ছে খুব। সময়ের সাথে সাথে অস্থিরতাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। উপায়ন্তর না পেয়ে তিহানকেই আবার কল করলো। রিং হচ্ছে কিন্তু রিসিভ করছেনা। দুইবার কল করেও তিহানকে পেলো না তূর্য। দশ মিনিট পর তিহান নিজেই কল করলো তূর্যকে। রিং বাজতে দেরি হলেও রিসিভ করতে দেরী হলো না তূর্যের। রিসিভ করেই বললো,
– তিহান! তোমরা কি ওই বাসায় গিয়েছিলে?
– আরে রিলেক্স। আমরা যাইনি। বাবাকে অনেক কষ্টে মেনেজ করেছি আমি।
– থ্যাংক ইউ সো মাচ। মাইশা ফোন ধরছে না তো তাই টেনশন হচ্ছিলো।
– আরে প্রেম আমাদেরও আছে। অন্যের গার্লফ্রেন্ড কেনো ছিনিয়ে নিবো ভাই? আমি আমার গার্লফ্রেন্ডকেই বিয়ে করছি সামনের মাসে। এতোদিন ভয়ে বলতে পারিনি বাবাকে।কিন্তু আজ বলতেই হলো।
– ওয়াও।কনগ্রেচুলেশন।
– থ্যাংক ইউ সো মাচ ডিয়ার।
– ওকে আল্লাহ হাফেজ।
– ওকে।
ফোন রেখে একটা প্রশান্তির নিঃশ্বাস ফেললো তূর্য।যেখানে ওরা যায় নি তবে মাইশার তো খুশি হওয়ার কথা তবে ফোন কেনো ধরছে না?

অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পর যখন কোনো সাড়া পেলো না ভয় পেয়ে গেলো সবাই। মাইশা নিজের কোনো ক্ষতি করে ফেলেনিতো? আমিন সাহেব নিজেও চিৎকার করে ডাকছেন।
– মাইশা মা আমার দরজাটা খোল।
মেঘা বৃষ্টি কান্নাকাটি করে ভাসিয়ে দিচ্ছে।
– মাইশা বোন আমার। দরজাটা খোল
নিজের ক্ষতি করিস না মা সব মিথ্যা বলেছে। প্লিজ।বাবা বলো না মাইশাকে দরজা খুলতে।
অন্যদিকে বৃষ্টি মায়ের সাথে চড়ে আছে।চেঁচামেচি ভেসে আসছে দুজনের।বৃষ্টি চেঁচিয়ে বললো,
– তুমি যদি মেনে নাই নিতে পারো সেদিন কেনো ফুপার কাছ থেকে ওকে নিয়েছিলে মা? আমার যতোদুর মনে পড়ে ফুপাতো জোড় করেও তোমার কাছে মাইশাকে দেয়নি।
– কাল সাপের গর্ভে যে কাল সাপ হবে কে জানতো? কই তোদের সাথে তো কখনো আমার এমন করা লাগে না। একটা কথা দুইবার বলা লাগেনা। আর এই মেয়েকে কিছু বললেই গলা ঝাড়া দিয়ে আসে ঝগড়া করতে।
দুধ কলা দিয়ে কালসাপ পুষেছি আমি।
– মা মাইশা মোটেও অমন নয়।ও প্রতিবাদী এটা সত্যি কিন্তু তোমার কারনেই ও তোমার সাথে এমন করে। কই আমাদের সাথেতো করে না। বাবার সাথে করে না। আসল কথা তুমিতো ওকে মানতেই পারো নি।আগে আমার আর মেঘার জন্য কিছু করতে পারতে না আর এখন একা বাড়িতে কি না করো কে জানে।
শুনে রাখো মা। একটা এতিমের উপর অত্যাচার করলে খোদাও সহ্য করবে না।
– তুই আমাকে খবরদারি করছিস? ওই মেয়ের জন্য আমার সাথে চেঁচিয়ে কথা বলছিস?
– বাধ্য হচ্ছি। ফুপা কিন্তু সেদিন মাইশাকে দিয়ে যেতে চায়নি তুমি জোড় করে রেখেছিলে তাহলে কেনো? কেনো এনে নিতে পারছো না?

মাইশা সবার চেঁচামেচি শুনে এসে দরজা খুলে দিয়ে বললো,
– আমি কিছু করছি না আমাকে একা থাকতে দাও মামা।
আমিন সাহেব চমকে উঠলেন। এতোগুলো দিনে বাবা বাবা করে জান দেয়া মেয়েটা আজ মূহুর্তের মধ্যেই মামা ডেকে ফেললো? মাঝেমধ্যেই যখন মেঘা বৃষ্টি তাকে জড়িয়ে ধরতো মাইশা মু খ ফুলিয়ে বলতো ,
বাবা তুমি না আমার বাবা ওরা ধরে কেনো?
আর আজকে মামা? আমিন করুন কন্ঠে বললো,
– মাইশা শোন তোর মা…!
– মামি হয় আমার। মা না। প্লিজ আমাকে একা থাকতে দাও।
বলে দরজাটা আবারো বন্ধ করে দিলো। মাইশা পুরোটা বিকেলজুড়ে ভাবলো, “অনেকেরই তো মা নেই বাবা নেই।ওরাও তো বেঁচে আছে। তার তো শিক্ষাও আছে। তাকে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। বেঁচে থাকতে হলে অবশ্যই নিজের ক্যারিয়ার গড়তে হবে।তবে তার আগে সত্য জানতে হবে। মা কিভাবে মারা গেলো? আর বাবা! বাবা কোথায়? আমাকে মামার কাছেই বা কেনো দিয়ে গেলো? সারাদিনের অভুক্ততা যেনো শরীরে অসাঢ় হয়ে নেমেছে। শরীর কেমন যেনো লাগছে। কিছু খাওয়া দরকার। কিন্তু মামি মানুষটার মুখোমুখি হতে ইচ্ছে হচ্ছেনা। হাতমুখ ধুয়ে রেডি হয়ে নিলো মাইশা।অনেক কিছু জানতে হবে তাকে।আর সব প্রশ্নের উত্তর ছোট খালা মোহনার কাছেই পাবে। রেডি হয়ে বেরিয়ে আসতেই দেখলো ড্রইংরুমে সবাই বসে আছে।তাকে দেখেই চোখ তুলে তাকালো সবাই। মাইশা চোখ তুলে মেঘা আর বৃষ্টির দিকে তাকালো। দুইজোড়া চোখ তখনো টলমল করছে।সাথে সাথেই তার চোখগুলোও ঝাপ্সা হয়ে এলো। কান্না কান্না কন্ঠে বলবো,
– আমি একটু আসছি মামি।
বলে পিছুফিরে না তাকিয়ে বেরিয়ে যেতে লাগলেই আমিন সাহেব কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বললো,
– আমায় ক্ষমা করে দিস মাইশা।
বলে তিনি চোখের পানি মুছতে মুছতে ড্রইংরুম ছেড়ে চলে গেলেন তিনি।
মাইশা চোখ দুটো মুছে বেরিয়ে গেলো।

সন্ধ্যা সাতটা।মোহনার রুমে ফ্লোরে বসে কাঁদছে মাইশা।
– দোহাই খালামনি তুমি আর লুকিও না কিছু। আমাকে বলো না কি হয়েছিলো আমার মায়ের? বাবা? বাবা কোথায়?
মোহনার গাল গড়িয়ে পানি ঝড়ছে।নিজের ভুলের জন্য আজ কি হয়ে গেলো। সে তো বেঁচে আছে বেঁচে নেই মায়া।পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলো মায়া। কি করে বলবে তার কুকীর্তির কথা মাইশাকে?

মায়া আর মোহনা। দুজনই পিঠাপিঠি বোন।মোহনা দেখতে মায়ার থেকেও বেশি সুন্দর। কিন্তু এই সুন্দরই যে কাল হবে কে জানতো? খুব ঘটা করেই বিয়ে হলো মায়ার।বেশ সুখের সংসার কাটছিলো। শালিকা হিসেবে দুষ্টুমি করতে গিয়ে কখন যেনো দুলাভাইয়ের সাথে একটা মধুর সম্পর্ক হয়ে গেলো বুঝতেই পারলো না কেউ। দিন কি দিন সোহান তার দিকে দূর্বল হয়ে পড়ছিলো। ধীরে ধীরে মায়ার প্রতি তার ভালোবাসা উঠে ভালোবাসা জমতে লাগলো মোহনার প্রতি। সোহানের অবহেলা বাড়তে লাগলো মায়ার প্রতি। মোহনা টের পেতেই বেঁকে বসলো। কারন বোনের সুখের সংসার কি করে তছনছ করবে? তাই নিজেই সোহানকে এভোয়েড করতে লাগলো। বুঝাতে লাগলো সোহানকে।কিন্তু সোহান নাছোড়বান্দা। তার মোহনাকে চাই। মোহনা সোহানকে এভোয়েড করছে সোহান মায়াকে। এমন ভাবেই চলছিলো। মহান আল্লাহর ইচ্ছায় মায়ার গর্ভে এলো মাইশা। সোহানের এমন দুরত্ব যেনো মায়াকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিলো। একটা সময় মায়াও জানতে পারে সোহান স্ত্রী নয় বরং বাহিরের অন্য একটা মেয়েকে ভালোবাসে। কিন্তু সে বাহিরের মেয়েটা যে আর কেউ নয় তারই বোন মোহনা সেটা জানতে পারেনি। দিন দিন স্বামী-স্ত্রীর মতো মূল্যবান সম্পর্কটা বিষাক্ত সম্পর্কে পরিণত হলো। সময় বহমান। সময়ের সাথে সাথে মায়ার গর্ভে বেড়ে উঠতে লাগলো মাইশা। যেমনভাবে দিন পেরিয়ে আসে রাত তেমনভাবেই এগিয়ে এলো মাইশা পৃথিবীতে আসার দিনটি।সেদিন মাইশা পৃথিবীর বুকে এলেও চিরদিনের জন্য চলে গেলো মায়া। প্রেগন্যান্সিতে কমপ্লিকেশন থাকার কারনে এই ধরনী ছেড়ে চলে যায় মায়া। সোহান যখন নিজের ভুলটা বুঝতে পারে তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিলো। যতোই মায়ার কাছে যেতে চেয়েছে মায়া তাকে দুরে ঠেলে দিয়েছে। নিজের অপরাধ বোধ হয়তো তাকেও কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিলো। মাইশাকে সোহানের কোলে দিতেই গগনবিহারী চিৎকারে ফেটে উঠলো সোহান।বারবার করে ক্ষমা চাইলো মায়ার কাছে।কিন্তু তখন অনেক বেশি দেরী হয়ে গেছে। পৃথিবীর মায়া ছেড়ে দিয়ে পরপারে পাড়ি জমিয়েছে মায়া। সোহানের বাবা মা কেউ ছিলো না। বিয়ের পরপরই একটা রোড এক্সিডেন্টে মারা যান তারা। তাই ছোট্ট মাইশাকে রাখা তার পক্ষেও সম্ভব ছিলো না।তখন হাত বাড়িয়ে নেয় মাইশার মামি রাহেলা। সেই সে সুইজারল্যান্ড চলে গেলো সোহান আজও কোনো খোঁজ পাওয়া গেলো না তার বেঁচেই আছে না মরেই গেছে কে জানে।ভেবেই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো মোহনা।একমনে তাকিয়ে আছে মাইশার দিকে। তার একটু ভুলের জন্য একটা সুখের সংসার এমন তছনছ হয়ে যাবে কে জানতো। মাইশার মাথায় হাত রেখে বললো,
– মায়ার প্রেগন্যান্সিতে কমপ্লিকেশন ছিলো। তাই ডক্তর তাকে বাঁচাতে পারেনি।আর তোর বাবা তোর মাকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। দেশে থাকলে নাকি তালে মায়ার স্মৃতি পিছু তাড়া করবে। তাই সুইজারল্যান্ড পাড়ি জমিয়েছে।আমাদের কারোর সাথেও যোগাযোগ করেনি।
– আমি এতো অভাগা কেনো খালামনি? মা নেই বাবা নেই আমার তো এই ভুবনে আর কেউ ই রইলোনা।

কেটে গেলো মাঝখানে পনেরোটা দিন। কেভিনে পনেরো জন মেয়ের সাথে বসে মাইশাও অপেক্ষা করছে ইন্টার্ভিউর ডাক জন্য। আজ একটা কল সেন্টারে ইন্টার্ভিউ আছে। আর কতো খরচ করবে মামা? নিজের খরচের বহন তার নিজেকেই করতে হবে।অনেক ভেবে চিন্তে এই উৎস বের করেছে মাইশা। সার্কুলার চেক করতেই পেয়ে গেলো কয়েকটা। অনেকগুলোতেই এপ্লিকেশন করেছে। যদি ভাগ্য সহায় হয় হয়ে যায় একটা।
সেদিনের পর মামীর সাথে দরকারী কথা ছাড়া আর কোনো কথা বলেনি মাইশা।যা জিজ্ঞাসা করছে হু হা এতোটুকুই। আজকের মাইশা আর পনেরোদিন আগের মাইশার মধ্যে আকাশ পাতাল ব্যবধান।আজ তার চোখে মুখে চঞ্চলতা নেই।পনেরোদিনের মধ্যে নিজেকে সম্পূর্ণ রূপে এক অন্য মাইশা তৈরী করেছে সে। যে বিপদে মুচড়ে যাবে তবে ভাঙ্গবেনা। তূর্যের সাথে সেদিনের পর আর কোনো কথা হয়নি। কি হবে কথা বলে? একটা এতিম মেয়েকে নিশ্চয় বিয়ে করবে না তূর্য।তূর্য মেনে নিলেও তার পরিবার তো কখনোই মেনে নিবেনা। পনেরোটা দিন নিজেকে ঘরবন্দী করে রেখেছে মাইশা। সব কিছু থেকে নিজেকে আঁড়াল করে নিয়েছে। কোনো বন্ধুবান্ধব কারো সাথেই যোগাযোগ নেই।

সেদিকে পাগলের মতোন অবস্থা তূর্যের। মাইশার বন্ধুদের থেকেও তেমন কোনো খবর সে পাচ্ছে না। আশা ছেলের উপর সেই রকমের রেগে আছে। তার ধারনা, তূর্য মাইশাকে কিছু বলেছে তাই মাইশা এমন করছে। কিন্ত কে বুঝাবে তাকে? তূর্য মাইশার বেস্ট ফ্রেন্ড তুম্পা থেকেও কোনো খবর পেলো না। তুম্পা নিজেও অনেক টেনশনে আছে। কি হয়ে গেলো মেয়েটার। হঠাৎ আজ সকালবেলা তুম্পা দেখলো মাইশা কোথাও যাচ্ছে। সে পিছু না ডেকে ফলো করতে লাগলো। ফলো করতে করতে দেখলো কল সেন্টারে এসেছে। মাইশা কল সেন্টারে ঢুকতেই তার পিছু নেয় তুম্পা।পরে অফিসের কাউকে জিজ্ঞাসা করলে বলে,
আজ ওনার ইন্টার্ভিউ।
সেখান থেকে বেড়িয়েই তূর্যকে জানায় তুম্পা। অফিস বাদ দিয়ে প্রিয়তমার কাছে ছুটে যায় তূর্য। অপেক্ষা করতে থাকে কখন ইন্টার্ভিউ শেষ হবে।
চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে