ঝড়ে যাওয়া বকুল পর্ব:৫

0
867

ঝড়ে যাওয়া বকুল পর্ব:৫
#লেখা:Aditiya Rupa

আজ বকুল স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে আর কোথাও যাইনি কারন ও জানে আজ ও বাইরে গেলে ওর মা আর ওকে পড়াশোনা করাবে না।

–পরেরদিন সকাল বেলা”

রেহানা বেগম আয়োজন করছে আজ যে মেহমান আসবে বাড়িতে।
কি ওয়ছে মা আমগো বাড়ি কেরা আইবো তুমি এত আয়োজন করতাছো কেন?
ওহ তুই ঘুম থোন উঠছোস ভালো করছোস যা হাতমুখ ধুইয়া আয়।
কিন্ত মা কেরা আইবো আমাগো বাড়ি তা কইতাছো না ক্যা মা?
এত প্রশ্ন করতে না করছি তরে বকুল আইলেই জানবার পারবি আর হুন আইজক্যা স্কুলে যাওন লাগব না।
ক্যা মা স্কুলে জামু না ক্যা?
(রেহেনা বেগম আর বকুলের কথার জবাব দিলেন না কারন ওনি জানেন বকুল হাজারটা প্রশ্ন করবেন ওনারে।ওনার তিন কুলে কেউ নাই বাবা মা মরে গেছে এক ভাই সে ও এক্সিডেন্টে মারা গেছে আর এখানে শুধু বকুলের একটা চাচাই আছে স্বজন আর তেমন কেউ নাই ওদের)
আমি জানি বকুল তুই হাজারটা প্রশ্ন করবি আমারে। আমি করুম ক মা আমার তো উপায় নাই এই বিয়াডা হইলে তুই সুখেই থাকবি মা।(মনে মনে কথা গুলো বলে আচল দিয়ে চোখের পানি মুছে আবার কাজে করতে শুরু করলেন।ওনার সাথে বকুলের চাচি লিমার মা ও কাজ করছে।)
এইদিকে লিমা এসেছে বকুলকে ডাকতে স্কুলের বে হয়ে গেছে।
লিমা আইজক্যা বকুল স্কুলে যাইবো না তুই যা।
ক্যা কাকীমা যাইবো না ক্যা?(লিমার গলার আওয়াজ পেয়ে ঘরে বাইরে বের হয় বকুল।)
মা তুমি এমন করতাছো ক্যা যাইতে দেও না আমি আর বাঁদরামি করুম না মা তাও আমারে স্কুলে যাইতে দাও।
তরে আমি ঘরে যাইতে কইছি বকুল ঘরে যা কইতাছি(রাগী কন্ঠে বললেন রেহানা বেগম)
কিন্ত মা(মায়ের দিকে আর কিছু বলতে পারলো না বকুল সে ঘরে গিয়া বিছানায় চুপ করে বসে পরলো)

আসতে আসতে আয়োজন শেষ হওয়ার পর্যায় হঠাৎ উঠনো চোখ পরতেই দেখে মেহমান রা বাড়ির ভিতরে আসছেন।রেহেনা বেগম সাদরে তাদের বসার ব্যবস্থা করেন।
ছেলে এবং ছেলে মা বাবা এসেছে পছন্দ হলে আজই তারা বিয়ে ঠিক করে যাবেন।কথাটি জানালেন ঘটক সাহেব রেহেনা বেগমকে।এতে বকুলের মা খুশিই হলেন।
এরপর খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ হলো।
এ দিকে এসব দেখে বকুলের আর বুঝতে বাকি রইলো না তার সাথে কি হতে চলছে।চোখের কোনো জল দেখা দিচ্ছে বকুলের তবে কি তার স্বপ্ন গুলো অধরায় থেকে যাবে।

শাড়ি হাতে ঘরে ডুকলো বকুলের মা রেহেনা বেগম।
বকুল মা নে এই শাড়ী খান পইরানি আর তৈরি হ হেরা বইয়া রয়ছে।
মা তুমি কি কইতাছো মা তুমি না কইছো আমারে মেলা বড় ডাক্তার বানাইবা তায়লে আইজ তুমি এইডা কি করতাছো মা।এমন কইরো না মা তুমি তো জানো আমি ডাক্তার ওইতে চাই মা(কান্না কন্ঠে বলল বকুল)
হ রে কইছিলাম তোর বাপের ও খুব ইচ্ছা আছিলো তরে ডাক্তার বানাইবো।তোর জন্মে পর তরে কুলে নিয়া হে কইছিলো আমার মাইয়ার নাম রাখলাম বকুল।দেইখো বকুলের মা আমি আমার মাইয়ারে মেলা বড় ডাক্তার বানামু।
কিন্ত মানুষটা অচিরেই মোগো ফাকি দিয়া চইলা গেলো আর ভাসায় দিয়া গেলো মোগে মহা সাগরে।(বলেই চোখের পানি মুছলেন বকুলের মা রেহেনা বেগম)
ওমা তাইলে তুমি কেন আমারে বিয়া দিবার চাইতাছো!এমডা কইরো না মা আমার যে বড় শখ গো মা আমি ডাক্তার হমু!

#চলবে…….

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে