জল্লাদ বয়ফ্রেন্ড পর্ব-০৮

0
2066

#জল্লাদ বয়ফ্রেন্ড❤
#লেখিকাঃ নাবিলা আহমেদ (রোজ)
#পর্ব- ৮

হঠাৎ শুভ্র আমাকে কোলে তুলে নিলো। আচমকা এমন হওয়ায় কিছুটা ভরকে গেলাম। শুভ্র ভ্রু নাচিয়ে চোখ ছোট ছোট করে বললো।”

—-” কি রে কি হলো?”

আমি দু হাতে শুভ্রর গলা জড়িয়ে ধরে বললাম,

—-” কিছু হলে কান্না করতো। আর ছেলে, মেয়ে কিছুই হয়নি!”

বলেই জিহ্বা কামড় দিলাম। শুভ্র দাত কেলিয়ে তাকিয়ে থেকে বললো,

—-” তাহলে চল হওয়ার ব্যবস্থা করি।”

লজ্জায় আমি শুভ্রর বুকে মুখ লুকালাম। শুভ্র আমাকে কোলে নিয়ে রুমে এলো। আমি এখনো শুভ্রর কলার চেপে ধরে আছি। শুভ্র আমাকে বিছানায় শুইয়ে দিতেই। আমি হাত দিয়ে নিজের মুখ ঢেকে ফেললাম। শুভ্র আমার কানের কাছে মুখ এনে স্লো ভয়েসে বললো,

—-” মুখ ঢেকেছিস কেন?” উমমম তোকে দেখতে দিবি না?”

আমি মুখ ঢাকা রেখেই বললাম!”

—-” না লজ্জা লাগে,

শুভ্র একটু শব্দ করে হেসে বললো।”

—-” চল তোর সব লজ্জা আজকে আমি ভেঙে দেবো,

বলে শুভ্র আমার হাত সরালো। কিন্তুু আমি চোখ বন্ধ করে আছি। শুভ্র এগিয়ে এসে আমার ঠোটে ঠোট ছোয়ালো। আমি শুভ্রর কলার দু হাতে চেপে ধরে আছি। আমাদের ভালবাসা এই রাতে পূর্নতা পেলো। আকাশের চাঁদটাও সাক্ষী হয়ে রইলো। সকালে ঘুম ভাঙতে পিটপিট করে চোখ খুললাম। চোখ খুলতেই নিজেকে শুভ্রর বুকে আবিষ্কার করলাম। শুভ্র এখনো ঘুমিয়ে আছে, সিল্কি চুলগুলো কপালে পড়ে আছে। মুচকি হেসে শুভ্রর কপালে চুমু দিতেই। শুভ্র চোখ বন্ধ রেখেই মুচকি হেসে বললো!”

—-” আমার ঘুমের ফায়দা ওঠাচ্ছিস রেড রোজ?”

আমি চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে বললাম,

—-” তুমি ঘুমাওনি?”

শুভ্র চোখ খুলে চোখ টিপ মেরে বললো।”

—-” নো বেবি আমি দেখছিলাম, তুমি কি করো,

আমি শুভ্রকে ছাড়িয়ে উঠে বললাম!”

—-” হু হু ঢং হাত ছাড়ো,

শুভ্র হাত ধরে টান দিয়ে। আমাকে ওর বুকের সাথে মিশিয়ে বললো।”

—-” আরেকটু হয়ে যাক রোমান্স?”

আমি গোল গোল চোখ করে বললাম,

—-” নো ওয়ে ছাড়ো উঠতে হবে!”

বলে ছাড়িয়ে উঠে গেলাম। শাড়িটা ঠিক করে ওয়াসরুমে চলে গেলাম। গোসল শেষ করে ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে এলাম। শুভ্র গাল ফুলিয়ে বসে আছে, ভ্রু কুঁচকে বললাম,

—-” কি হয়েছে? গাল ফুলিয়ে আছো কেন?”

শুভ্র ভেংচি কেটে বললো।”

—-” তুই জেনে কি করবি?”

বলে তোয়ালে নিয়ে ওয়াসরুমে চলে গেলো। আমি ক্যাবলার মতো বিছানায় বসে আছি। কতক্ষণ পর শুভ্র তোয়ালে পড়ে বেরিয়ে এলো। শুভ্রকে এভাবে দেখে আমার চোখ রসগোল্লা হয়ে গিয়েছে। আমি হা করে থেকে চেঁচিয়ে বললাম,

—-” এই এভাবে কেন এসেছো? লজ্জা করছে না?”

শুভ্র ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে। আরেকটা তোয়ালে দিয়ে চুল মুছতে, মুছতে বললো!”

—-” এত ঢং কি করে পারিস তুই? রাতে আমার সবকিছু দেখে। এখন সকালবেলা নাটক করছিস? হাউ ফানি ব্যাপার রোজ,

আমি ওর কথা শুনে চুপ করে রইলাম। বুঝলাম কিছু বলা মানে মান সম্মান নিয়ে টানাটানি। একটুপর কাজিনরা ডাকতে এলো। আমার মামাতো বোন নায়লা এসে বললো।”

—-” ভাবী নিচে তোমাকে ডাকে,

আমি চোখ গরম দিয়ে বললাম!”

—-” এই ভাবী বলছিস কেন?”

ততক্ষণে শুভ্রর চেঞ্জ করা হয়ে গিয়েছে। শুভ্র হাসতে হাসতে বললো,

—-” তুই ওর ভাইয়ের বউ তাই।”

মামনির ডাকে নিচে চলে এলাম। নিচে আসতেই শুভ্রর ফুপি বললো,

—-” নতুন বউ এত বেলা করে ঘুমায় বুঝি? বাবা, মা কি কিছু শিখিয়ে পাঠায়নি?”

শুভ্র কিছু বলার আগেই মামনি বললো!”

—-” নতুন বউ হওয়ার আগে ও আমার ভাগ্নি। আর ও এ বাড়ির বউ না মেয়ে হয়ে থাকবে,

ওনারা মুখ বাঁকালো। সবার সাথে আড্ডা দিতে দিতে দুপুর হয়ে গেলো। বিকেলে আবার রিসেপশন পার্টি। এরজন্য দুপুর থেকেই আমাকে সাজানো শুরু করে দিয়েছে। মামনি এসে ব্লাক ডায়মন্ড জুয়েলারি দিয়ে গিয়েছে। ব্লাক লেহেঙ্গা শাড়ী পড়িয়েছে আমাকে। সাজা শেষে আমাকে নিচে নিয়ে এলো। পুরো বাড়ি মানুষ দিয়ে ভর্তি। নিচে আসতেই দেখলাম শুভ্র দাড়ানো। মূলত ভাইয়ার সাথে কথা বলছে। বাড়ির সবাইকে দেখে দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম। শুভ্র ব্লাক কালার সুট পড়েছে। ব্লাক সুজ, ব্লাক ব্লাক ডায়মন্ড ঘড়ি। চুলগুলো জেইল দিয়ে সেট করা। হঠাৎ শুভ্র স্টেজে গিয়ে বললো।”

—-” এখন আমাদের সবাইকে গান গেয়ে শোনাবে। মাই বিউটিফুল ওয়াইফ মিসেস শুভ্র রোজ চৌধুরী,

আমি হা করে তাকিয়ে আছি। সবাই হাত তালি দিয়ে গান গাইতে বলছে। কি আর করবো? সবার কথায় গান গাইতে হলো!”

??মনে রেখো আমার এ গান??
??শুধু মনে রেখো আমার এ গান??
??শুধু মনে রেখো আমার এ গান??

শুভ্র মুচকি হেসে আমার দিকে তাকিয়ে আছে,

??কত যে কথা, মনে লুকোনো??
??হয়নি তোমাকে আজও শোনানো??
??ওও হয়নি তোমাকে আজও শোনানো??

শুভ্র হয়তো বুঝতে পারছে। আমার এই গানের প্রতিটা কথা ওর জন্য।”

??বলে যায় আমার এ গান??
??আজ বলে যায় আমার এ গান??
??মনে রেখো আমার এ গান??
??শুধু মনে রেখো আমার এ গান??
??শুধু মনে রেখো আমার এ গান??

“বাকিটা শুনে নেবেন”

গান শেষে চোখ দিয়ে দু ফোটা পানি পড়লো। যদি এমন দিন আসে, শুভ্র যদি আমাকে ভুলে যায়? তাহলে কি নিয়ে থাকবো আমি? শুভ্র কি আমাকে ভুলে যাবে? নাকি আমার কথা ওর মনে থাকবে? সবার হাত তালিতে হুশ এলো। সবার আড়ালেই চোখের পানি মুছে ফেললাম। রিসেপশন শেষে আমাকে আর শুভ্রকে। আমাদের বাড়িতে নিয়ে এলো। সাথে আমার কাজিনরাও এসেছে। এখানে এসে আগে রুমে চলে এলাম। মেকআপে আমার অবস্থা টাইট। তাড়াতাড়ি জুয়েলারি খুলে ওয়াসরুমে এলাম। এখন একটা লং শাওয়ারের দরকার। আমি ওয়াসরুমে এসে ঝর্না ছাড়তেই শুভ্র এসে বললো,

—-” এই রোজ তাড়াতাড়ি বের হও!”

আমাকে তুমি বলার কারন হচ্ছে। সবাই বলেছে এখন আমাদের বিয়ে হয়েছে। আমি এখন শুভ্রর বউ তাই ও যেন আমাকে তুমি করে বলে। বলতে পারছিলোই না, হাসতে হাসতে বললাম,

—-” তুমি ভাইয়ার ওয়াসরুমে চলে যাও। আমার অনেক লেট হবে।”

শুভ্র দাত কিড়মিড় করে বললো,

—-” বউ থাকতে শালাবাবুর ওয়াসরুমে কেন যাবো?”

আমি ভেংচি কেটে বললাম!”

—-” গেলে যাও, আর না গেলে। আমি বের না হওয়া পর্যন্ত ওয়েট করো,

এরপর আর কোন কথা শুনলাম না। বুঝলাম শুভ্র চলে গিয়েছে। শাওয়ার নিয়ে বেরিয়ে এসে চুল ছেড়ে বিছানায় বসে পড়লাম। এখন একটু শান্তি লাগছে আহ। একটুপর শুভ্রও রুমে চলে এলো। শুভ্র নতুন জামাই হওয়ায় ইচ্ছে মতো খাইয়েছে ওকে। বেচারার মুখটা তখন দেখার মতো ছিলো। এভাবে ২দিন কেটে গেলো। ২দিন পর আমরা এই বাড়িতে চলে এলাম। দিন কাটতে লাগলো এখান থেকেই কলেজ যাই। তবে ইদানিং একটা জিনিষ খেয়াল করছি। শুভ্র প্রায় সময়ই অনেক কিছু ভুলে যাচ্ছে। এই তো সেদিন আমাকে বললো ব্লাক কফি করে দিতে। আমি কফি নিয়ে রুমে আসতেই বললো।”

—-” তুমি ব্লাক কফি কবে থেকে খেতে শুরু করলে?”

আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললাম,

—-” আমি কেন খাবো? এটাতো তোমার তুমিই তো চাইলে!”

শুভ্র ভ্রু কুঁচকে বললো,

—-” আমি কখন কফি চাইলাম? রোজ তুমি কি আজকাল সব ভুলে যাচ্ছো?”

বলেই হো হো করে হেসে দিলো। আর আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। মনের মধ্যে একটা ভয় ঢুকে গিয়েছে। তাহলে কি শুভ্র সব ভুলে যাচ্ছে? এভাবে আমাদের বিয়ের ৩মাস হতে চললো। শুভ্রর দাবী ও ৩মাস এ্যানিভার্সেরী করবে। ৩মাস হতেও আর মাএ ১০দিন বাকী। শুভ্র এখন বাবার সাথে অফিসে বসে। আমাকে সবসময় নিজেই কলেজে দিয়ে আসে। কিছুদিন ধরে শরীরটা ভাল যাচ্ছে না। কেমন সারাক্ষণ মাথা ঘুরায়। কিছু খেতে ইচ্ছে করে না। সবকিছুতে কেমন যেন গন্ধ লাগে। আর খেলেই বমি আসে, দূর্বল লাগে খুব। ভাবছি আজকে কলেজ থেকে ডক্টরের কাছে যাবো। শুভ্র আমাকে কলেজে দিয়ে অফিসে গেলো। আমিও কলেজ থেকে হসপিটালে চলে এলাম। শুভ্রকেই বলতাম কিন্তুু এখন অফিসে কাজের চাপ বেশী। তাই আমি একাই চলে এলাম। আমি যেটা ভাবছি সেটাই যদি হয়। তাহলে শুভ্রকে ওইদিনই সারপ্রাইজ দেবো আমি। ডক্টর চেকআপ করে মুচকি হাসলো। আমি হসপিটাল থেকে বাড়ি চলে এলাম। এদিকে দেখতে দেখতে ১০দিন কেটে গিয়েছে। পুরো বাড়িটা আজকে আবার সাজানো হয়েছে। আমি আর শুভ্র কালার মিলিয়ে ড্রেস পড়েছি। আমি নীল শাড়ি পড়েছি। সাথে সব নীল কালার জুয়েলারি। শুভ্র নীল কালার পাঞ্জাবি পড়েছে। মনে মনে ভাবছি আজকেই তোমাকে আমি সারপ্রাইজ দেবো। আমার বাড়ি থেকে সবাই এসেছে। শুভ্র আমাকে আজকেও গান গাইতে বললো। আজকেও আমি সেই গানটাই গাইলাম। গান গাওয়া শেষে শুভ্র এসে বললো।”

—-” তুমি শুধু এই গানটা গাও কেন? রুমেও গুনগুন করে এই গানটাই গাও, হোয়াই?”

মুচকি হেসে বললাম,

—-” যাতে তুমি আমাকে ভুলে গেলে। এই গানটা আমি গাইলেই আমাকে মনে পড়ে!”

শুভ্রও মুচকি হেসে বললো,

—-” তোমাকে আমি কোনদিন ভুলবো না রেড রোজ।”

আমি হেসে দিলাম, এবার কেক কাটার পালা। শুভ্র আমার হাত ধরে নিয়ে এলো। মামনি আমার হাতে নাইফটা দিলো। শুভ্র আমার হাত ধরলো এরপর কেক কাটলাম। হঠাৎ খেয়াল করলাম শুভ্র মাথা ধরলো। শুভ্র হাত থেকে নাইফটা ছেড়ে। দু হাতে মাথা ধরে রোজ বলে চিৎকার করে বললো,

—-” আমার মাথায় খুব ব্যথা করছে। আহহহ প্লিজ ডু সামথিং!”

শুভ্র পাগলের মতো চিৎকার করছে। একসময় শুভ্র সেন্সলেস হয়ে গেলো। শুভ্রকে নিয়ে আমরা তাড়াতাড়ি হসপিটালে চলে এলাম। ডক্টর শুভ্রকে কেবিনে নিয়ে গেলো। এদিকে আমার হাত, পা কাঁপছে। মামনি আমার কাঁধে হাত রেখে বললো,

—-” শুভ্র ঠিক হয়ে যাবে।”

কিন্তুু আমার মন মানছে না। একটুপরই ডক্টর এসে বললো,

—-” একটুপরই ওনার সেন্স আসবে। আর সেন্স এলেই সব বোঝা যাবে!”

হসপিটালের বেঞ্চের পাশে দাড়িয়ে আছি। কেমন একটা ভয় লাগা কাজ করছে। মামনি ডেকে বললো শুভ্রর সেন্স এসেছে। দৌড়ে কেবিনের ভেতরে গেলাম। শুভ্র শুয়েই ভ্রু কুঁচকে বললো,

—-” আরে রেড রোজ আস্তে।”

শুভ্রর মুখে রেড রোজ শুনে প্রান ফিরে পেলাম। তারমানে শুভ্র সব ভুলে যায়নি। কতক্ষণ পর শুভ্র বলে উঠলো,

—-” এই তুই এরকম সং সেজেছিস কেন?”

এবার যেন আমার কলিজা কেঁপে উঠলো। সবাই সবার দিকে তাকাচ্ছে। আমি শুভ্রর সামনে গিয়ে বললাম!”

—-” শুভ্র তুমি আমাকে তুই করে বলছো কেন?”

শুভ্র পাল্টা প্রশ্ন করে বললো,

—-” তারআগে বল তুই আমার নাম ধরে বলছিস কেন? আরে আমি তোর বড় ভাই হই। তুই তো আমাকে শুভ্র ভাই বলিস।”

আমার মুখে কোনো কথা নেই। মামনি শুভ্রর পাশে বসে বললো,

—-” শুভ্র তোর কি কিছু মনে নেই?”

শুভ্র চারপাশে তাকিয়ে বললো!”

—-” কি মনে থাকবে? আমাকে হসপিটালে কেন নিয়ে এসেছো?”

মামনি ডক্টরের কাছে গেলো। ডক্টরের কথা শুনে আমার পায়ের তলার মাটি সরে গেলো। শুভ্র অনেককিছু ভুলে গিয়েছে। ভাগ্য সহায় হলো না আমাদের। ডক্টর বলেছিলো কিছু মনে থাকবে কিছু ভুলে যাবে। শুভ্রও বলেছিলো ও সব ভুললেও আমাকে ভুলবে না। হ্যা শুভ্র আমাকে মনে রেখেছে। কিন্তুু আমি যে ওর বউ সেটা ভুলে গিয়েছে। দৌড়ে হসপিটালের বাইরে চলে এলাম। আমার পিছনে ভাইয়াও এলো। ভাইয়াকে জড়িয়ে ধরে হাউ, মাউ করে কেঁদে দিলাম। অজান্তে পেটে এক হাত দিয়ে কেঁদে যাচ্ছি। চিৎকার করে খুব বলতে ইচ্ছে করছে,

—-” এরকম কেন হলো? সেটাও আজকের দিন। আমিতো কত স্বপ্ন দেখলাম। ভেবেছিলাম শুভ্রকে সারপ্রাইজ দেবো। আমার মনের আশাটা এভাবে কেন ভেঙে গেলো? এখন আমি কি করবো? শুভ্রর তো আমাদের বিয়ের কথাই মনে নেই। তাহলে আমি ওকে কি করে বলবো? যে আমি ওর সন্তানের মা হতে চলেছি। বললেই কি শুভ্র মেনে নেবে? আল্লাহ এটা কেন করলে তুমি?”

কিন্তুু কিছুই বলতে পারছি না। সব কথা যেন গলায় এসে দলা পাঁকিয়ে যাচ্ছে।”

#চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে