গল্প:-লাভ_স্টোরি_Session_2 পর্ব,,,(৬)

0
1200

গল্প:-লাভ_স্টোরি_Session_2 পর্ব,,,(৬)re
লেখা_AL_Mohammad_Sourav

!!
তসিবা সকাল সকাল গেলো কোথায়, দেখি তো বাথরুমের ভীতরে আছে নাকি। কোথায় বাথরুমের দরজাটা তো খোলা বারান্দায় কেও নেই। দুর যেখানে খুশি সেখানে যাক তাতে আমার কি। যাই আমি একটু ফ্রেশহয়ে নেই আমি বাথরুমে গেলাম ফ্রেশহতে। ২০ মিনিট পড়ে বেড় হলাম দেখে আমার কাপড় গুলো সুন্দর করে খাঠের উপড়ে রাখা। আরে কাপড় গুলো এখানে রাখছে কে মনে হয় তসিবা রাখছে। দরজাটা খোলা আছে এরমানে তসিবা কোথাও যায়নি। আমি কাপড় চেন্জ করছি রুমে তখনি।

তসিবা: আরে কি করছেন? বাথরুম বলতে কিছু আছে।
আমি: তুমি এখানে আসলে কেনো? রুমে ঢুকার সময় নক করে ঢুকতে হয় তুমি জাননা? আর সকালে কোথায় গেছিলে তুমি?
তসিবা: আপনাকে বলবো কেনো? আর জানি তবে আমি কিন্তু অন্য কারো রুমে ঢুকিনি আমি আমার রুমে আসছি।

আমি: আর কয়দিন পড়ে তোমার রুম থাকবেনা।
তসিবা: কেনো? কার রুম হবে?
আমি: প্রিয়ার রুম হবে।আর তুমি রানার রুমে চলে যাবে।
তসিবা: ভালো কথা মনে করছেন। আজ তো আমার জানের সাথে দেখা করতে হবে। এখন যাই আমি ফ্রেশহয়ে নেই। আমি আজ অনেক সুন্দর করে সাজবো। রানা আজ আমাকে দেখে চোখ ফেরাতে পারবেনা।

আমি: ঠিক আছে সাজো,, তবে প্রিয়ার কাছে তুমি কিছুনা। প্রিয়া কত সুন্দর করে গুচিয়ে কথা বলে। আর দেখতে অনেক সুন্দর তোমার মত এত বক বক করেনা।
তসিবা: ঠিক আছে রাতে প্রমান হবে কে সুন্দর বেশি। এখন যাই আমি,,
আমি: যাও,,, তসিবা চলে গেলো। আমি নিছে আসলাম আজ আমাদের বাসায় অনেক মেহমান অাসবে। রাতে অনুষ্টান আছে,, তাই সবাই আসবে। আমার এতো মানুষ একদম সহ্য হয়না একটা বিরক্তিকর মনে হয়। কিন্তু কি করার থাকতে হবে কারন অনুষ্টান তো আমাকে আর তসিবাকে ঘিরে। আমাদের বিয়ের সময় তেমন কোনো অনুষ্টান করেনি তাই আজ পার্টি থ্রু করছে আব্বু।

দেখতে দেখতে সকাল গরিয়ে বিকাল হয়ে গেলো তসিবাকে একবারো দেখলাম না। তসিবা গেলো কোথায় দেখি তো কোথায় আছে,, সারা বাড়ী তন্ন তন্ন করে খুজলাম কোথাও পেলাম না। আপু বাড়ীতে নাই এর মানে আপুর সাথে তসিবা পার্লারে গেছে। প্রায় সন্ধা হয়ে গেলো আস্তে আস্তে সব গেস্টরা আসতে শুরু করেছে। আমি রুমে গিয়ে ফ্রেস হচ্ছি,, তখনি,,,,

তসিবা: আমাকে কেমন লাগছে একটু দেখে বলবেন?
আমি: কেমন আবার লাগবে ভুতের মত লাগছে। আমি না দেখে কথা গুলো বলছি।
তসিবা: একটু দেখে বলেন আমাকে কেমন লাগছে?
আমি: হচ্ছেটা কি? আমি তাকিয়ে থ হয়ে গেলাম। আজ তসিবাকে এত সুন্দর লাগছে যা বলার বাহিরে। মনে হচ্ছে না গ্রামের মেয়ে। আজ নেবি ব্লু লেহেঙ্গা পড়ছে তসিবাকে অনেক সুন্দর লাগছে। আমি চোখ সরাতে পারছিনা। তখনি,,,

তসিবা: কি হলো বলেন কেমন লাগছে আমাকে?
আমি: একটু ভালো লাগছে,, তবে প্রিয়ার চেয়ে বেশি সুন্দর না। সরো আমি নিছে যাই,
তসিবা: সত্যি করে বলছেন আপনি আমাকে সুন্দর লাগছেনা।
আমি: তুমি কি শুরু করলে শুনি একটু সরো এখন আমি নিছে যাবো।
তসিবা: আমিও যাবো।
আমি: তাহলে আসো, তখনি,,, তসিবা এসে আমার হাতটা জড়িয়ে ধরে সিঁরি দিয়ে নামছে। আমি কিছু বলনি কারন আজ কিছু বলা যাবেনা। তবে আমার ভালোই লাগছে,, দুজনে নিছে আসলাম। সবাই আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে,, প্রিয়া এখনো আসেনি। আমি যেখানে যাই তসিবা আমার সাথে সাথে যায়। তসিবা তোমার রানা এখনো আসেনি?

তসিবা: না আসেনি,, একটু পড়ে আসবে তারপর আমি আপনার কাছ থেকে চলে যাবো।
আমি: তুমি এখনি চলে যাও,, প্রিয়া চলে আসছে।
তসিবা: আমি একা একা থাকবো। পাকনা চুলের মেয়েটার অনেক ফ্রেন্ড আছে। আমার তো আপনি ছারা কেও নেই। আরেকটু থাকেন আমার সাথে?
আমি: তুমি কি চাও একটু বলবে? তখনি,, প্রিয়া এসে আমাকে জড়িয়ে ধরছে তসিবার সামনে। আমি তসিবার দিকে তাকালাম দেখি তসিবার চোখ গুলো লাল হয়ে গেছে। আর নিছের দিকে তাকিয়ে চলে গেছে,, আমি প্রিয়ার সাথে দাড়িয়ে কথা বলছি। আর কয়েকটা ফ্রেন্ড আসছে ওদের সাথে কথা বলছি। অনেক্ষন হয়ে গেলো তসিবাকে দেখছিনা আমার চোখ গুলো তসিবাকে খুজতেছে এদিক ওদিকে। তসিবা গেলো কোথায়?

প্রিয়া: সৌরভ তুমি কি কাওকে খুজতেছো?
আমি: হ্যা,, এইয়ে মানে না। কাওকে খুজিনা। চলো আমরা ঐদিকে যাই।
প্রিয়া: আমার মনে হলো তুমি কাওকে খুজতেছো, ঠিক আছে চলো আমরা ঐদিকে যাই।
আমি: হ্যা, চলো। আমি আর প্রিয়া দুজনে একটু বাগানের দিকে আসলাম। তখনি,, দেখি তসিবা দাড়িয়ে একটা ছেলের সাথে কথা বলছে। আমি তারা তারি করে প্রিয়াকে সাথে নিয়ে তসিবার কাছে গেলাম। আমাকে দেখে তসিবা ছেলেটার হাত ধরছে। তসিবা তুমি এখানে কি করছো তোমাকে আমি খুজতেছি?

তসিবা: আপনি এসেছেন,, ভালোই হয়ছে। আসুন আপনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। রানা ওনার নাম সৌরভ আমার কাজিন হয়। আর সৌরভ ওর নাম রানা আমার বয়ফ্রেন্ড।
আমি: তসিবা তোমার মাথা ঠিক আছে তো নাকি গেছে? কি ওল্টা পাল্টা বলছো।
তসিবা: হ্যা আমার মাথা ঠিক আছে। রানা আমাকে অনেক ভালোবাসে, আর আমিও অনেক ভালোবাসি। আপনারা দুজনে হ্যান্ডসীপ করেন, আর আপনি আমাকে পরিচয় করিয়ে দেন আপনার গ্রালফ্রেন্ডের সাথে।

আমি: তোমার কিছু হয়ছে নাকি?
তসিবা: বলছি তো আমার কিছু হয়নি, আমার তো মনে হচ্ছে আপনার কিছু হয়ছে। ঠিক আছে আপনি যান আমি রানার সাথে কথা বলে আসছি। তসিবার ব্যবহার দেখে আমি তো পুরায় থ হয়ে গেলাম। আমি আর প্রিয়া চলে আসতেছি আমি একটু পেছনে তাকিয়ে তো অবাক। তখনি তাকিয়ে দেখি তসিবা দৌড়ে আমার দিকে আসছে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। আরে তসিবা কি করছো? আমাকে জড়িয়ে ধরছো কেনো? ছারো বলছি তানা হলে,, ভালো হবেনা কিন্ত।

তসিবা: আপনাকে জড়িয়ে ধরবোনা তো কাকে ধরবো। আপনি আমার স্বামী আপনি আমার সব।
আমি: একটু আগে তুমি আমাকে কাজিন বলছো। আর এখন তুমি বলছো তোমার স্বামী। তুমি অনেক সুন্দর অভিনয় করতে পারো। যদি ফ্লিমম করো তাহলে সেরা অভিনেত্রীর পুরষ্কার পাবে।
তসিবা: হ্যা বলছি তো কি হয়ছে, আপনি এই পাকনা চুলের মেয়েটা নিয়ে ঘুরছেন কেনো। আমি ঘুরলে দোষ আর অভিনয় করা হয়,, যখন আপনি অভিনয় করেন তখন কি?

আমি: দুষের কি আছে? তুমি রানাকে নিয়ে ঘুরতে পারো আমার কোন আপত্তি নেই। তখনি,,
আপু: কিরে তোরা এখানে, আর আমি সব যায়গায় খুজতেছি। তোরা আয় সবাই তোদের জন্য অপেক্ষা করতেছে।
আমি: হ্যা আসছি,, আপু তুই যা আমরা এখনি আসতেছি।

আপু: হ্যা আয়। আপু চলে গেলো, তখনি,,
তসিবা: ছারুন আমাকে? আপু দেখে ফেলবে বলে আমি দৌড়ে এসে আপনাকে জড়িয়ে ধরছি।
আমি: তুমি একটা প্যাকেজ,, তোমাকে বাদিয়ে রাখা দরকার। সরো এখান থেকে তুমি যা খুসি তা করো। প্রিয়া চলো আমরা ভীতরে যায়।
প্রিয়া: হ্যা চলো।
তসিবা: শুনেন আপনার কি লজ্জা সরম বলতে কিছু নেই। অন্যজনের স্বামীর সাথে ঘুরে বেড়ান।

প্রিয়া: সৌরভ তুমি কিছু বলবে এই মেয়েটাকে? নাকি আমি বলবো।
তসিবা: কি বলবে হ্যা? আমার স্বামীর হাত ধরে হাটছেন আবার আমাকে কিছু বলতে বলছেন। বলে চলো গেলো রানার কাছে।
আমি: প্রিয়া তুমি তসিবার কথা কিছু মনে করোনা। তসিবা এরকমি,, চলো আমারা এখন ভীতরে যাই, আমি আর প্রিয়া দুজনে বাসার ভীতরে চলে আসলাম। আমাদের পিছু পিছু তসিবা আর রানা দুজনে আসছে। আমি একটু পর পর তসিবাকে দেখছি,,,
কিছক্ষন পর আব্বু তসিবাকে আমার বউ বলে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো তখনি রানা অভাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তসিবার দিকে। অনুষ্টান প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে আসছে,, অতিথিরা সবাই চলে যাচ্ছে। আমি প্রিয়াকে এগিয়ে দিয়ে আসতেছি। তখনি দেখি তসিবা রানাকে এগিয়ে দিতে যাচ্ছে। আমাকে দেখেও না দেখার মত করে চলে গেলো। আমি কিছু বলিনি সোজা রুমে চলে আসলাম,, এসে ফ্রেশহতে বাথরুমে যাবো। তখনি,,
তসিবা: আমি আগে ফ্রেশহতে যাবো।

আমি: না তুমি পড়ে যাবে, আমি আগে যাবো।
তসিবা: আমি আগে আসছি আমি আগে যাবো?
আমি: তসিবা আমার মাথা ব্যাথা করছে? আমাকে আগে যেতে দাও?
তসিবা: মাথা ব্যাথা আমারো করছে। সুতরাং আমি আগে যাবো। ঠিক আছে এখান থেকে যে আগে ঢুকতে পারবে সেই আগে যাবে।
আমি: তুমি দাড়িয়ে থাকো বলে আমি বাথরুমে ঢুকে পড়লাম। আর সাথে সাথে তসিবা ভীতরে ঢুকতে ছিলো,, আর আমি দরজা অফ করতে ছিলাম। তখনি তসিবার হাতে ব্যাথা পায়, সাথে সাথে চিৎকার দিয়ে ওঠে। সরি সরি আমি ইচ্ছে করে দেইনি।

তসিবা: আপনি ইচ্ছে করে ব্যাথাটা দিয়েছেন। কারন আপনি আমাকে সহ্য করতে পারেননা। তাই আমি খুব তারা তারি আপনাকে মুক্ত করে দেবো। চলে যাবো আপনার জীবন থেকে অনেক দুরে। আজ সত্যি বুঝতে পারলাম আপনি আমাকে একটু ভালোবাসেন না।

আমি: হ্যা আমি তোমাকে ইচ্ছে করে ব্যাথা দিয়েছি। আর তুমি ঠিকই বলছো আমি তোমাকে ভালোবাসিনা। তোমাকে আমি সহ্য করতে পারিনা। বলে দরজাটা লাগিয়ে দিলাম,, একটু পর বাথরুম থেকে ফ্রেসহয়ে বের হলাম। দেখি তসিবা রুমে নেই,, আমি আর কোথাও খুজতে গেলাম না। আমি খাঠের উপড় বসে লেপটবে কাজ করছি। তসিবা রুমে আসছে ফ্রেশহয়ে,, এসে সুফায় শুয়ে পড়লো। আমি খাঠের উপর শুয়ে পড়লাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি তসিবা সিফায় শুয়ে আছে। আর সকালের সোনালী রৌদ ওর চেহেরাটায় এসে পড়ছে। আমি তসিবার কাছে গিয়ে বসলাম,, তারপর হাত দিয়ে ওর চুলগুলো ধরছি এমন সময়।

তসিবা: আপনি এখানে কি করছেন শুনি? কি দেখছেন এমন করে বলুননা কি দেখ ছিলেন।
আমি: কিছুনা,, বলে বাথরুমে চলে গেলাম ফ্রেশহতে। কিছুক্ষণ পর বের হলাম,, দেখি তসিবা আমার কাপড় নিয়ে দাড়িয়ে আছে।
তসিবা: যদি কিছু মনে না করেন। তাহলে আজ আমি আপনার ট্রাইটা বেদে দেবো।
আমি: তুমি ট্রাই বাদতে পারো?
তসিবা: হ্যা,, পারি আপু শিখিয়ে দিয়েছে।
আমি: দাও,, তসিবা আমার ট্রাই পড়িয়ে দিলো। ধন্যবাদ তোমাকে,, বলে আমি বেড়িয়ে চলে আসতে ছিলাম। তখনি,,
তসিবা: আচ্ছা আমি যদি কোথাও হারিয়ে যায় তাহলে আমাকে আপনি খুজবেন?

আমি: না,, বলে অফিসের জন্য চলে আসলাম। আজ সারাদিন অনেক ব্যাস্ত ছিলাম কাজে। হঠাত তসিবার কথাটা মনে পড়ে গেলো,, তখনি বাড়ীতে একটা কল করলাম,,
আপু: হ্যালো,,
আমি: আপু তসিবা কোথায়?
আপু: তসিবা তো তোর জন্য খাবার নিয়ে গেছে। আর এখনো বাসায় আসেনি। কেনো কিছু হয়ছে।
আমি: কখন খাবার নিয়ে আসছে? তসিবা তো আজ অফিসে আসেনি? খাবার তো আমি মতি মিয়াকে দিয়ে আনিয়েছি।

আপু: বাসা থেকে তসিবা খাবার নিয়ে গেছে। তাহলে তসিবা গেলো কোথায়?
আমি: মতি মিয়াকে জিজ্ঞেসা করি। কলটা কেটে মতি মিয়াকে ডাক দিলিম,, আর সাথে সাথে আমার মোবাইলটা বেজে ওঠলো। কলটা রিসিব করতে ওপাশ থেকে একজন বলছে আপনি একটু উত্তরা মডেল থানায় আসেন বলে কলটা কেটে দিলো। আমি অনেক বার কল করছি কিন্ত ঢুকছেনা,, তারা তারি করে উত্তরা মডেল থানায় গেলাম। ভীতরে ঢুকে আমি থমকে গেলাম আরে,, ওকে লকাবে আটকিয়ে রাখছে কেনো কি করছে ও? To be continue,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে