গল্প:-লাভ_স্টোরি_Session_2 পর্ব,,,(৫)
লেখা_AL_Mohammad_Sourav
!!
এই মেয়েটার জন্য শেষ পর্যন্ত আমাকে বাড়ী ছারা হতে হলো। একবার কাছে পাই তারপর মজা দেখাবো। তার আগে তসিবাকে এখন খুজে বের করতে হবে। কিন্তু কোথায় খুজবো তসিবাকে আজ বেশি বলে ফেলছি।তবে গালে থাপ্পরটা দেওয়াটা ঠিক হয়নি। কিন্তু গেলো কোথায় তসিবা। না বসে থাকলে হবেনা একটু খুজে দেখি কোথায় আছে। কিন্তু যাবে কোথায় ওরতো জাওয়ার মত যায়গা নেই এই শহরে। তাও একটু খুজে দেখি, গাড়ীটা নিয়ে অনেক যায়গায় খুজলাম কিন্তু কোথাও পেলাম না।আরে আমি তো অফিসের সামনের বাগানটার কথা ভুলে গেছি। তসিবার মন খারাপ হলে ওতো একা কোথাও নিরব ভাবে বসে থাকে। তারা তারি করে গারিটা নিয়ে গেলাম দেখি একটা ব্যাঞ্চে চুপ করে বসে আছে। কাছে যেতেই আমাকে দেখে ওঠে দাড়িয়েছে। কি হলো তুমি আজ বাসায় যাওনি কেনো,?
তসিবা: কেনো যাবো বাসায়? আমাকে না করছেন আপনি বাসায় যেতে। আর বলছেন আমার মত সস্থা মেয়ে আপনার জীবনে দরকার নাই।
আমি: তার মানে তুমি বাসায় যাবেনা?
তসিবা: না যাবো না।
আমি: ঠিক আছে থাকো এখানে। একটু পর কত গুলো পুশু এসে তোমাকে ছিরে ছিরে খাবে।
তসিবা: আমাকে ভয় দেখালে ভালো হবেনা কিন্তু আর আমাকে ছিরে খেলে আপনার কি, আর আমি যেখানে খুশি সেখানে যাবো তাতে আপনার কি? মন চাইলে অন্য জনের সাথে।
আমি: তসিবা বলে একটা ঠাসসস করে থাপ্পর মারলাম।
তসিবা: আমার উপর কোন অধিকারে হাত ওঠালেন শুনি আজকের পর আর কোনদিন আমির উপর হাত ওঠাবেন না।
আমি: আর যদি কোনদিন এমন কথা বলো তাহলে খবর আছে বলে দিলাম।
তসিবা: কেনো কি করবেন মেরে ফেলবেন।
আমি: প্রয়োজনে তাই করবো। এখন চলো বাসায় যাবে?
তসিবা: আপনি তো নিজেকে অনেক বড় মনে করেন তাই না। আমি যাবোনা দেখি আপনি কি করেন। বলে রাস্তায় চলে আসছে হেটে হেটে।
আমি: তসিবা হচ্ছেটা কি? আমি বলছি তো তুমি এখন বাসায় যাবে আমার সাথে।
তসিবা: আমি বলছি তো যাবোনা তারপরে কেনো জোর করছেন?
আমি: এখনো জোর করিনি তবে এখন করবো। বলে তসিবাকে কুলে তোলে নিলাম।
তসিবা: আরে কি করছেন ছারোন বলছি আমি চেচাবো কিন্তু
আমি: তুমি চেচালে কি হবে শুনি। একদম চুপ থাকো বলে দিলাম।তসিবাকে কোলে করে গাড়ীর কাছে নিয়ে এসে গাড়ীর ভীতরে বসিয়ে দিলাম। আর আমি গাড়ীতে বসে দরজা লক করে দিয়েছি।
তসিবা: আমি যাবোনা বলছি আমাকে গাড়ী থেকে বেড় হতে দেন। তানা হলে আমি সারা রাস্তা বক বক করে আপনার কান জালা পালা করে দেবো।
আমি: একদম চুপ করে বসো বলছি। আমি গাড়ী চালাচ্ছি। আর তসিবা বক বক করছে,, তখনি আমি গাড়ীটা থামিয়ে তসিবাকে ধরে ওর ঠোটে এক কিস করে দিলাম। সাথে সাথে তসিবা একদম চুপ করে গেলো। সারা রাস্তায় একটা কথা বলেনি। তসিবা নামো বাসায় এসে গেছি। কি হলো নামো ধাক্কা দিয়ে বললাম।
তসিবা: এইটা কি হলো?
আমি: কোনটা? নামো এখন বাসায় চলে আসছি।
তসিবা: আপনি আমার ঠোটে কিস করছেন কেন?
আমি: কখন করছি?
তসিবা: ভালো হবেনা কিন্তু মিথ্যাকথা বললে। আপনি আমাকে কিস করছেন কোন অধিকারে?
আমি: তোমাকে আমি কিস করিনি এখন নামো।
তসিবা: ঠিক আছে করেন নি তবে আমাকে কোলে করে বাসায় নিয়ে যেতে হবে তাহলে বাসার ভীতরে যাবো।
আমি: ঠিক আছে তুমি থাকো এখানে বসে। আমি চললাম। তখনি তসিবা আসার পিছু পিছু বাসার ভীতরে এসেছে।
আপু: তসিবা তুমি কোথায় গেছিলে? আর এত রাত পর্যন্ত কোথায় ছিলে তুমি?
তসিবা: আমার এক বান্ধীর বাসায় গেছিলাম। আর ওনাকে বলে যায়নি,, তারপর একটু আগে ওনাকে কল করে বলছি আমাকে নিয়ে আসতে। আর এখন ওনি গিয়ে আমাকে নিয়ে আসছে। আপনাদের বলতে পারিনি তার জন্য আমি দুঃখিত।
আপু: ঠিক আছে।
আব্বু: আরে আমার বউমা আসছে যে। শুনো এর পর থেকে কোথাও গেলে আমাদের বলে যাবে।
আমি: তসিবা তুমি রুমে আসো তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে। বলে আমি রুমে চলে আসলাম,, আর তসিবা আমার পিছু পিছু রুমে আসছে।
তসিবা: বলেন কি বলবেন?
আমি: তোমার সাথে আমার এখন কোন কথা নেই। তোমাকে নিয়ে আসছি ঐখান থেকে। কারন আব্বু আর আপু তোমাকে অনেক জেরা করতো তাই। বলে আমি বাথরুমে চলে গেলাম। ফ্রেশহয়ে বের হয়ে দেখি তসিবা সুফায় শুয়ে আছে। আমি আর ডাক দিলামনা আমি খাঠের উপড় শুয়ে পড়লাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি তসিবা রুমে নেই। আমি ফ্রেসহয়ে অফিসের জন্য বের হলাম। নিছে এসে দেখি তসিবা আব্বুকে বলছে।
তসিবা: বাবা আমাকে একটা মোবাইল কিনে দিবেন?
আব্বু: তোমার আগের মোবাইল কই মা?
তসিবা: হাত থেকে পড়ে ভেংগে গেছে। আমাকে একটা টাচ্ মোবাইল কিনে দিবেন আজ।
আব্বু: ঠিক আছে কিনে দেবো। আব্বু আপুকে বলে দিয়েছে তসিবাকে মোবাইল কিনে দিতে। আর আপু বলছে একটুপর তসিবাকে সাথে নিয়ে গিয়ে মোবাইল কিনে দিবে। আমি দাড়িয়ে কথা গুলো আমি শুনছি।
আমি: আম্মু আমি অফিসে যাচ্ছি নাস্তা বাহিরে করে নেবো।
আম্মু: নাস্তা করে গেলে ভালো হতোনা।
আমি: না আমার কাজ অাছে। বলে চলে আসলাম অফিসে এসে বসে বসে চিন্তা করছি তসিবা হঠাত টাচ্ মোবাইল কিনতে চাইলো কেনো? দুর যা খুশি তা করুক তাতে আমার কি আজ বেলা ৩টা বেজে গেছে এখনো তসিবা খাবার নিয়ে আসলোনা কেনো? আজ আবার পচা খাবার খেতে হবে দুর ভালো লাগেনা। কিছু খেয়েলামনা অফিসের কাজ শেষ করে রাতে বাসায় গেলাম, গিয়ে রুমে ঢুকে দেখি তসিবা মোবাইলে কথা বলছি। আমি কিছু বলিনি সোজা বাথরুমে ঢুকে গেলাম, বাথরুম থেকে বের হয়ে দেখি তসিবা কথা বলছে। আমি তো অবাক তসিবা আজ আমাকে কিছু বলছেনা কেনো। এই তুমি কার সাথে কথা বলছো শুনি?
তসিবা: যার তার সাথে কথা বলবো তাতে আপনার কি?
আমি: কি বললে তুমি? বলে মোবাইল নিয়ে নিলাম ওর হাত থেকে। তখনি ওপাশ থেকে একটা ছেলের কন্ট বেসে আসছে। এমনি তসিবা আমার হাত থেকে সো মেরে মোবাইল নিয়ে গেলো।
তসিবা: আমার পার্সোনাল জিনিসে হাত দিবেন না এই বারের মত ক্ষমা করে দিলাম।
আমি: ঠিক আছে দেবোনা। আর ছেলেটাকে দাওয়াত দিয়ে দিও আমাদের বাড়ীর অনুষ্টানে আগামীকাল। আর তুমি একদিন সময় করে আমার সাথে উকিলের কাছে যাবে।
তসিবা: ভালো কথা বলছেন আমি এখনি বলে দিতেছি রানাকে। বলে রুমথেকে বেড়িয়ে গেলো। আর আমি তাকিয়ে রইলাম। তারপর যখনি খাঠের উপড় শুইতে যাবো তখনি দেখে খাঠের বিছনাটা পানিতে বিজে আছে। পানি আসলো কোথায় থেকে নিশ্চয় তসিবা ইচ্ছে করে পানি দিয়ে বিজিয়ে রাখছে। এই মেয়েটা আমার জীবনটা একে বারে বারোটা বাজিয়ে ছারবে। একটু ডাক দেয়,, নিছে গিয়ে দেখি তসিবা আপুর সাথে বসে কথা বলছে। আমাকে দেখে না দেখার মত করে আপুর সাথে কথা বলে যাচ্ছে। তসিবা তোমার সাথে আমার একটু দরকার আছে। তুমি এখুনি রুমে আসো। কি হলো বসে আছো কেনো? রুমে আসো,, আমি বলছি এখনি আসবে।
আপু: কি দরকার এখানে বল।
আমি: আপু তোর কি কোনো কাজ নেই? যা না দুলাভাই আসছে একটু সময় দে।
আপু: তুই এমন কথা বলতে পারলি। দাড়া আমি এখনি আব্বুকে বলবো।
আমি: তোরা সবাই আমাকে কি পাইছোস বলতো। সারাক্ষন আমাকে আব্বুর ভয় দেখাস। তোর হাজবেন্ট অফিস থেকে আসছে ওনাকে একটু সময় দিলে ভালো হবে। এখানে খারাপ কি বললাম।
আপু: সুজা সুজি বলতে পারিস যে তুই তোর বউয়ের সাথে সময় কাটাতে চাস।
আমি: যেহেতু বুজেছিস তাহলে আবার বলছিস কেনো?
তসিবা তুমি এখুনি রুমে আমার সাথে এসো, বলে তসিবার হাত ধরে টেনে নিয়ে আসলাম রুমে।
তসিবা: কি হচ্ছে এমন করছেন কেনো? কি দরকার বলেন।
আমি: বলছি এদিকে আসো। তসিবাকে টেনে নিয়ে সুজা খাঠের উপড় ধাক্কা মেরে ফেলে দিলাম।
তসিবা: আমাকে বিজা বিচানাই ফেললেন কেনো?
আমি: তুমি খাঠের উপড় পানি দিয়ে বিচানাটা বিজিয়ে রাখছো কেন?
তসিবা: আমি কখন পানি ফেললাম। আমি তো রুমে ছিলাম না।
আমি: ভালো হবেনা কিন্তু তুমি ইচ্ছে করে পানি ফেলছো আগে। আমি খাঠের উপড় একা থাকি তা তোমার সহ্য হয়না। তাই তুমি পানি দিয়ে বিচানা বিজিয়ে রাখছো।
তসিবা: বলছি তো আমি পানি ফেলেনি কেনো মিথ্যা কথা বলছেন।
আমি: সত্যি করে বলো বলছি আর তুমি যদি পানি না ফেলো তাহলে কে ফেলছে। এই রুমে তুমি আর আমি ছারা আর কেও আসেনা।
তসিবা: আমার তো মনে হয়,, আপনি নিজে পানি দিয়ে আমার নাম দিতেছেন। ঠিক আছে এখন আমি জামাটা চেন্জ করে আসি।
আমি: কি বললে আমি খাঠের উপড় পানি দিয়ে তোমার নাম বলছি। দাড়াও দেখাচ্ছি তোমাকে।
তসিবা: সরি আমার ভুল হয়ে গেছে। আর কোনদিন বলবোনা এখন ওঠি। তা না হলে আমার শরীর খারাপ করবে।
আমি: ঠিক আছে ওঠো। আমি বাহিরে যাচ্ছি তুমি কাপড় চেন্জ করো। আর খাঠের চাদরটা চেন্জ করে দিও।
তসিবা: চাদর চেন্জ করলে কি হবে। আজ আর খাঠের উপর শুইতে পারবেন না। বরং একটা কাজ করেন আজ গেস্ট রুমে রাতটা কাটিয়ে দেন।
আমি: ভালো কথা বলছো তাহলে আমি যায় দরজাটা আবার খোলছেনা কেনো। এইটার কি হলো,, মনে হচ্ছে বাহির দিয়ে কেউ দরজাটা লক করে গেছে।
তসিবা: কি হলো যান।
আমি: দরজাটা খোলছেনা মনে হয় আপু দরজাটা বাহির দিয়ে লাগিয়ে দিছে।
তসিবা: এখন কি হবে?
আমি: সব দোষ তোমার তোমার জন্য আপুকে উল্টা পাল্টা বলছি। যার জন্য আপু আমাদের দরজা লক করে গেছে।
তসিবা: আমি কি করলাম।
আমি: চুপ কোন কথা বলবেনা। যাও তুমি এখন কাপড় চেন্জ কোর গিয়ে। আমি দেখছি কাওকে দিয়ে দরজাটা খোলানো যায় কি না। আপুকে কল করছি কিন্তু রিসিব করছেনা আম্মুকে কল করবো। না থাক আর কাওকে কল করতে হবেনা একটা মাত্র রাত কেটে যাবে। তখনি,, তসিবা বাথরুম থেকে কাপড় চেন্জ করে বেড় হয়ছে। একটা নীল শাড়ি পড়ছে কপালে নীল একটা টিপ পড়ছে। মনে হচ্ছে নীল পরি।
তসিবা: কি দেখছেন এমন করে। আমি কিন্তু এখন আর আপনাকে ভালোবাসিনা। রানা আমার মত সস্থা মেয়েকে ভালোবাসে। রানা অনেকদিন ধরে আমার পিছু পড়ে ছিলো। আমি ভাবলাম আপনি যেহেতু আমাকে ভালোবাসেননা তাহলে আপনাকে আমি ভালোবেসে কি করবো। তাই রানাকে আমি বলে দিয়েছি যে আমি ওকে ভালোবাসি।
আমি: কি তুমি কাকে ভালোবাসো।
তসিবা: রানাকে আর রানা আমাকে অনেক ভালোবাসে। আগামীকাল রাতে আমাদের অনুষ্টানে আসতে বলছি তখন আপনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো।
আমি: ঠিক আছে আমার জন্য ভালোই হবে। আমি প্রিয়ার সাথে সময় কাটাতে পারবো।
তসিবা: আপনি এই পাকনা চুলের মেয়েটাকে অনুষ্টানে অাসতে বলছেন?
আমি: হ্যা,, তোমার কোন সমস্যা আছে নাকি?
তসিবা: আমার সমস্যা হবে কেনো? আমার রানা আছেনা। আমি রানার সাথে সময় কাটাবো।
আমি: ঠিক আছে,, এখন আমি সুফায় শুয়ে পড়লাম। তুমি ফ্লোরে শুয়ে পড়।
তসিবা: জিনা,, আপনি ফ্লোরে ঘুমাবেন আমি সোফায়। কারন সোফায় আমি প্রতিদিন ঘুমায়।
আমি: ঠিক আছে,, আমি ফ্লোরে একটা চাদর বিচিয়ে শুয়ে পড়লাম। আর তসিবা সোফায় শুয়ে মোবাইলে কথা বলছে। আমি কিছু বলিনি আর কখন ঘুমিয়ে গেছি ঠিক মনে নেই। সকালে ঘুম থেকে ওঠে দেখি তসিবা রুমে নেই। কি ব্যপার দরজাটা তো বাহির দিয়ে লক করা ছিলো তাহলে তসিবা গেলো কোথায়? to be continue