কে কোথায় যায়? পর্ব ১৭

0
581

কে কোথায় যায়? পর্ব ১৭
——-‘তামিইইইইইম,এ­­ই তামিইইইইম,এইই তামিম্মা!’
বজ্র হুংকার ছাড়লো রুদ্র।তামিম ঘুম ঘুম চোখ নিয়ে দরজা খুলে বলল,
——-‘কি শালা?শান্তিতে ঘুমোতে দেখলেও তোদের জ্বলে?
রুদ্র সত্যিকারের রুদ্রমূর্তি ধারণ করে বলল,
——-‘শুভার অবস্থা জানবার জন্য আইলাম আমরা।তুই যেভাবে কথা কইতাছোস, লাগতাছে কালই তোর বাসর রাত ছিল!’
রাফি নির্বিকার গলায় বলল,
——‘তোরা বাচ্চা?বাচ্চার বাপ হওয়ার সময় আর তোরা বাচ্চামি কান্ডকর্ম করতেছিস,মাথায় গোবর ভরা?’
রাফি, রুদ্র ও তামিমকে ধাক্কা দিয়ে নীহারিকা ভিতরে ঢুকলো।শুভার মাথায় হাত দিয়ে বলল,
——-‘বাব্বাহ!রাতে­­ রাতে এত্ত কম হইলো ক্যামনে জ্বর?কোনো জাদু টাদু করেছিস নাকি তামিম্মা?’
তামিম লজ্জা পেল।তারপরও ধারালো কাপা কন্ঠে বলল,
——–‘জাদু টাদু কি হ্যা?আমি নিষ্পাপ!’
শুভা খানিকটা নড়ে উঠলো।তামিম আস্তে করে বলল,
——-‘দেখা শেষ?দেখা শেষ হলে এবার বের হ!সারারাত ঘুমোতে পারেনি মেয়েটা!’
ভোর শুভার পাশ থেকে সরে এসে তামিমের কাছে গেল।তামিম ভোরের দিকে তাকালো!ভোর মিষ্টি হেসে বলল,
——–‘তামিম ভাই,একটু কথা ছিল।’
নীহারিকা উৎসাহ নিয়ে বলল,
——-‘তো বলো না ভোর।কেউ আটকে রাখছে নাকি তোমারে?’
রুদ্র সরু গলায় বলল,
——-‘ভোর মেনশন করে ফেলেছে তামিমকে!সো,সে হয়তো ওটা শুধু তামিমকেই বলবে!’
ভোর হাসলো!তামিম বন্ধুদের থেকে একটু দূরে গিয়ে বলল,
——-‘কি ভোর?’
ভোর ঢোঁক গিলে বলল,
——-‘শুভাপুর বিয়ে ঠিক হয়েছে দিন দুয়েক হলো!’
তামিমের সর্বাঙ্গে দুলা দিল!তার মানুষটা অন্য কারো হবে?এটা হতে দিবে কি করে সে?তারপরও নিজেকে সামলিয়ে বলল,
——-‘তো?’
ভোর নির্বিকার গলায় বলল,
——-‘তো আপনার অনূভুতি?মিস করবেন ওকে?মিস করবেন আপনার ঘনিষ্ট বন্ধুটাকে?তাকে আপনার কাছে রাখতে চাইবেন না?’
তামিম কাপা কাপা গলায় বলল,
——‘কে-কেনো?খুউউউ­­ব খুশী হ-হলাম কথাটা শুনে!’
ভোর ধারালো কন্ঠে বলল,
——–‘কিসব কথা বলছেন?’
তামিম বোকা বনে বলল,
—–‘কেনো?কি করলাম?’
ভোর আর কিছু বললো না!রেগে চলে গেল সে!তামিম নিজের রুমে চলে গেল তখন।মেয়েটা কি তার হবে না?
মন খারাপ খুব অদ্ভুত একটা ব্যাপার।
সেদিন ঠোঁটের কোণে নয়, বরং কারো চোখের কোণে নেই মৃদু একটু হাসি!হঠাৎ ফিরে তাকানোয় নিখাদ ভালোবাসা, তীব্র খরার দিনে একটুকরো মেঘ!বিকেলে উদাসী হাওয়ায় বৃষ্টিভেজার স্বপ্নপ্রহর! সন্ধে নামার পথে প্রিয় কারো সাথে চুপচাপ বসে থাকা একটা নিশ্চুপ সন্ধ্যা!টুকরো টুকরো অপার্থিব আনন্দের সত্যিই কি তুলনা হয়? এই সব ছোট ছোট কাল্পনিক সপ্ন নিয়েই তো বেড়ে ওঠা বেচে থাকা!এই বেঁচে কি আর হবে?না!
একটা মানুষকে আপনি সবসময় হাস্যোজ্জ্বল দেখছেন- তার জীবনে যে দুঃখগুলো আছে- সেগুলো একদমই টের পাবেন না!
হাসির আড়ালে কষ্টগুলো লুকিয়েই নাহয় থাকুক। আপনার দুঃখগুলো পৃথিবীর সামনে প্রকাশ করে কি লাভ?তামিম উঠল দাড়ালো!শুভার রুমের দিকে অগ্রসর হলো।সে শুভাকে জিজ্ঞেস করবে সে বিয়েতে রাজি কিনা!এত তাড়াতাড়ি বিয়ে কেন করবে?এখনো তো তামিমের বিয়ের বয়সও হয়নাই!
©ইভা আহমেদ চৌধুরী
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে