#Your_Lover
#লেখা_ইভানা
#পার্ট_১+২
ঘুমের মধ্যে বুজতে পারছি আমার কপালে কেউ চুমু দিচ্ছে।চোখের উপর আলো পরছে। চোখ মেলে ভূত দেখার মতো অবস্থা হলো,
-আমি আয়ান, কুল বেবি। চিৎকার দিয়ে আমার বারোটা বাজিয়ে দিয়ো না
– তু-তু-তুমি, এতো রাতে আমার বেডরুমে কি করছো?কি ভাবে আসছো?
-সে অনেক কষ্ট করে আসছি।
-কেনো? কেউ যদি দেখে ফেলে তাহলে কি হবে?
-কেউ দেখবে না। সব ব্যাবস্থা করে এসেছি।
-তুমি এক্ষুনি বের হও
-হ্যাঁ বের হবো তবে, তোমাকে নিয়ে যাবো।
-আমি কোথাও যাবো না।
-যাবে না মানে কি, তোমাকে যেতেই হবে।
-কেউ যদি দেখে,,,,,,
-চুপ!!!!!! আমার সাথে এসো।
বেলকনিতে মই দিয়ে রেখেছে নিচে নামতে সুবিধা হলো সাথে ওর ৩টা ফ্রেন্ড ছিলো। বাইকে ওঠার সাথে সাথে ফুল স্পিড বাইক স্টার্ট দিলো মনে হলো হাওয়ায় ভাসছি। কিছুক্ষণের মধ্যেই একটা বাড়ির সামনে আসলাম। কিছুটা ভয় নিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম,
-এটা কার বাড়ি? আর আমাকে এখানে কেনো নিয়ে আসছো?
-ভূতের বাড়ি। তোমাকে রেখে যাবো
-প্লিজ না না না। আমি এখানে থাকবো না
– থাকবো না বললেই তো হবে না।
-আমি চিৎকার করবো কিন্তু
-করো। তোমার চিৎকার কেউ শুনবে না
আমাকে কিছু একটা করতে হবে। যে ভাবে হোক এখান থেকে বের হবো। তবে কি করবো বুঝতে পারছি না। হ্যাঁ দৌড় দিয়ে পালিয়ে যাবো। রেডি ওয়ান, টু,থ্রি দৌড়। কি হলো আমি দৌড় দিতে পারছি না কেনো?
-কি পালিয়ে যাবে, তা হবে না। আমি জানতাম তুমি পালিয়ে যেতে চাইবে তাই বাইক থেকে নেমে তোমার হাত ধরে রাখছি। তুমি খেয়াল করো নি।
-কুত্তা, গন্ডার, বান্দর তোরে ভূতে ধরবে। তোর ঘাড় মটকাবে (মনে মনে বলতে আছি)
-আমার ঘাড় মটকাবে না।
-জোড়ে তো বলি নাই তাহলে শুনলে কিভাবে? (এই যাহ্ আমি মনে মনে এগুলো বলছি তা শিকার করে ফেললাম ধুর ভূতের ভয় সব বুদ্ধি শেষ)
-ভূতের সাথে প্রতিদিন দেখা করি তাই জানি কিভাবে মানুষের মনের কথা জানা যায় বুঝলে ম্যাডাম।
-আচ্ছা ভূতটা কি ছেলে নাকি মেয়ে?
-গেলে দেখতে পাবে। আর একটা কথাও বলবে না।
কথা বলতে বলতে বাড়ির ভিতরে ঢুকলাম। চারদিকটা অন্ধকার আমার খুব ভয় লাগছে। আল্লাহ আমাকে বাঁচাও।
-লাইট অন করো, আমার খুব ভয় লাগছে।
–
-কি হলো কথা বলো না কেনো?
–
-আয়ান আয়য়য়য়ান আয়য়য়য়ান। কোথায় তুমি? প্লিজ আমার কাছে আসো।
–
-এই ভূতের বাড়িতে যদি আমি মরে যাই সত্যি তোর ঘাড় মটকাবো। ঔ আয়ানের বাচ্চা আমার সামনে আয়। তোর ভালো হবে না। একা একা কথা বলতে বলতে মনে হলো আমাকে কেউ জড়িয়ে ধরলো। আমাকে ভূতে ধরে ফেললো,
-প্লিজ আমাকে ছেড়ে দেন।
লাইট অন হলো। আমি আয়ানকে জড়িয়ে ধরে আছি,
-হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন ডে মাই সুইটহার্ট।
আয়ানে ফ্রেন্ড নিলয় বলে উঠলো,
-আমরা যে এখানে সেটা ভুলে যাস না।
-এবার ওদের একা ছেড়ে দে,চল আমরা বাড়ির বাগানে গিয়ে বসি। (সানভি)
নিলয়, রাফসান, সানভি চলে গেলো।
-ভয় দেখানোর জন্য সরি।
-আমাকে এতোক্ষণ ভয় দেখিয়ে এখন আসছো। নি কুছি করি তোর ভ্যালেন্টাইন।
-তোমার হাতে ফোন ছিলো, ফ্ল্যাস লাইট অন করতো পারো নি। আমি এতোকিছু করলাম তুমি উপভোগ করবে বলে তা না মাথা মোটার মতো চিল্লাপাল্লা করছে।
-আমি কি জানি তুমি এতো এতো সুন্দর সারপ্রাইজ দিবে।
চারদিকে গোলাপ ফুল আর ফুল সাথে একটা কেকও আছে।
-কোথায় শুনছো সারপ্রাইজ জানিয়ে দেয়।
-তাই বলে আমাকে ভয় দেখাবে?
-মাঝে মাঝে ভয় দেখানো ভালো নয়তো বুঝবো কিভাবে আমাকে হারানোর ভয় তুমি পাও কি না।
-তুমি আমার জন্য আছো, সারা জীবন এভাবে থাকবে। আর হারানোর ভয় কেনো পাবো, বিশ্বাস আছে তো।
-পাকা বুড়ি হয়ে গেছো। কে বলবে একটু আগে বাচ্চাদের মতো করছো।
-ইসসস্ কি লজ্জা।
-ওরে আমার লজ্জাবতী বউ।
-হুম
আয়ান ইভার হাতের একটা ডায়মন্ডের রিং পরিয়ে দিলো।
-শুনো এই রিংটা কখনও হাত থেকে খুলবে না, আমাকে যদি ভোলার চেষ্টাও করো তাহলে এটা তোমাকে ভুলতে দিবে না সব সময় আমাকে মনে করিয়ে দিবে।
-এতো দামি গিফট আমি নিতে পারবো না, যদি হারিয়ে যায়।
– হারিয়ে গেলে যাবে শুধু তুমি হারিয়ে না গেলে হবে।
– কিন্তু আমি তোমাকে আজকের দিনে কোনো গিফট দিতে পারলাম না।
-আমার এতো সুন্দর গাল তোমার কাছে আছে আর তুমি বলো গিফট দিতে পারলে না। উম্মাহ্ দিয়ে দেও গিফট হয়ে যাবে।
-না অন্য কিছু দিবো
-আরো বেশি কিছু আগে বলবে তো আমি রেডি আছি।
-নির্লজ্জ, অসভ্য।
-শুধু তোমার কাছে, আমার গিফট আমাকে দিয়ে দেও।
-উম্মাহ্
-আর একটা হবে নাকি
-মোটেও না।
-কিপটে
-বিয়ের পর কিপ্টেমি করবো না।
-চলো বিয়ে করে ফেলি।
-বিয়ে করার সময় আসে নি।
-তাও ঠিক ।
-আচ্ছা এটা কি সত্যি কোনো ভূতের বাড়ি?
-আরে না পাগলী, এটা আমাদের বাড়ি তবে এখানে কেউ থাকে না।
-ওহ্ আমি সত্যি ভাবছি আমাকে ভূতের কাছে রেখে যাবে।
-হাহাহাহা, তোমার ভাবনা সত্যি করলে কেমন হয়?
-খুব খারাপ, আমি কেঁদে দিবো কিন্তু
-আচ্ছা মজা করছি।
-আমাকে বাসায় পৌঁছে দেও।
-এতো তাড়াহুড়ো কিসের? কেক কাটা হয় নি, বিরিয়ানি খাওয়া হয় নি। এসব খাওয়া কমপ্লিট করো তারপর বাসায় দিয়ে আসবো।
-আমার ক্ষুধা নেই , তুমি খাও
-আমি তো খাবোই । আর তোমাকেও খেতে হবে।
-হুহ
-আমাকে খাইয়ে দেও।
-হুম,
আমি আয়ানকে খাইয়ে দিয়েছি আর আয়ান আমাকে খাইয়ে দিয়েছে। আয়ানকে যত দেখি তত মুগ্ধ হয়ে যাই মানুষটা কি করে এতো ভালোবাসতে পারে। কিন্তু মাঝে মাঝে একদম ভিলেনের মতো করে।
-কি ম্যাডাম কোথায় হারিয়ে গেলে?
-তোমার ভালোবাসার জগতে।
-সেটা আবার কোথায়?
আয়ানকে জড়িয়ে ধরে ওর বুকের হৃৎস্পন্দন শুনে বললাম,
-তোমার এখানে,
-তাই বুঝি।
-হুম তাই, সারা জীবন আমাকে আগলে রেখো।
-যদি না রাখি?
-না রেখে যাবে কই হ্যাঁ। আমি একটা ভূতের বাড়ি খুঁজে সেখানে গিয়ে ভূতের সাথে কথা বলে ভূত হয়ে তোমার ঘাড় মাটকাবো হুহ।
-হাহাহা, তোমার ভূত হতে হবে না। তুমি আমার রানী হয়ে থাকবে।
-হ্যাঁ
-এখন চলো বাড়ি যাওয়া যাক
-হুম
চলবে,
#Your_Lover
#লেখা_ইভানা
#পার্ট_২
আয়ান আমাকে আমার বাড়ি সামনে নামিয়ে দিয়ে বললো,
-ভালোবাসি সোনা পাখিটা
-আমিও
-আজকে কলেজে যাবে না কিন্তু
-কেনো যাবো না?আমরা ফ্রেন্ডরা কতো প্ল্যান করছি আজকের দিনটা নিয়ে।
-আমি তোমাকে সারপ্রাইজ দিলাম তাতে কি মন ভরে নি?
-হুম অনেক ভালো লেগেছে, অনেক খুশি আমি।
-যতোটুকু খুশি হয়ছো ততোটাই নিয়ে সন্তেষ্টো থাকো। আমি যদি শুনি তুমি আজকের দিনে বাসা থেকে বের হয়েছো তাহলে তোমার ঠ্যাং ভেঙ্গে গুড়ো করে ভর্তা করবো।
-এমন করো না প্লিজ।
-আর একটা কথা বললে যা বলছি তাই করবো।এটা রাখো (হাতে একটা চিরকুট দিলো) বাসায় যাও গিয়ে ঘুমাও।
-হুম।
হাতি,গন্ডার, রাক্ষস, কুমির একটু সময় লাভার থাকে বাকি সময় ভিলেন থাকে। আমার জীবনটা তেজপাতা বানিয়ে দিলো।
-আর বিড়বিড় না করে আস্তে আস্তে উপরে উঠে৷
-হুহ (মনে মনে কথা বলে ও শান্তি নাই মনের কথা গুলো ও শুনতে পায় যে কিভাবে আল্লাহ্ জানে)
ইভা বাসায় এসে চিরকুট টা পড়া শুরু করলো,
“” আমাদের ভ্যালেনটাইন ডে আর পাঁচ জনের মতো করে সেলিব্রেট করি নি স্পেশাল করছি কারন তুমি আমার কাছে স্পেশাল তাই আমি চাই না তুমি আজকের দিনে অন্য মেয়েদের মতো বাসা দিয়ে বার হও। তোমাকে আমি কতোটা ভালোবাসি তা বলে বোঝাতে পারবো না। রাগ করো না সোনা পাখিটা “”
-পাগল একটা।
চিরকুটটা পড়ে ইভার মুখে হাসি ফুটলো।ফ্রেন্ডের সাথে সময় কাটাতে পারবে না বলে আর আয়ানের প্রতি কোনো রাগ থাকলো না।
ঘুমিয়ে গেলো আর আয়ান বন্ধুদের সাথে মিট করে বাসায় গিয়ে ঘুমালো।
এবার আয়ানের পরিচয় দেই,,,,
শহরের বড় বিজনেস ম্যান আয়মান চৌধুরী ও হাউজ ওয়াইফ সামিহা বেগমের একমাএ ছেলে আয়ান চৌধুরী আর একমাত্র মেয়ে আয়েশা চৌধুরী।
আয়ান অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে আর আয়েশা ক্লাস টেন পড়ুয়া ছাএী। দুই ভাই বোনের সম্পর্ক টম&জেরির মতো।
আর ইভার পরিচয়,
বিজনেস ম্যান সাইফুল চৌধুরী ও হাউজ ওয়াইফ নাজমিন বেগমের বড় মেয়ে ইভা চৌধুরী আর ছোট মেয়ে রাইসা চৌধুরী ।
ইভা ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়ে আর রাইসা অষ্টম শ্রেনীতে পড়ে। দুই বোনের সম্পর্ক খুব ভালো।
দুপুর ২টা বাজে ইভার ঘুম ভাংগে। ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে তার ফ্রেন্ডারা অনেক বার কল দিয়েছে। ইভার বরাবর অবভ্যাস ফোন সাইলেন্ট করে রাখা। এই বদঅভ্যাসের জন্য আয়ান অনেক বকাঝকা করেছে তাও কোনো লাভ হয় না সেই সাইলেন্ট করেই রাখে। ইভার বেষ্ট ফ্রেন্ড লামিসাকে কল দিলো,
-আসসালামু আলাইকুম।
-ওয়ালাইকুম সালাম। অবশেষে আপনার ঘুম ভাঙলো?
-তুই কি করে জানলি আমি ঘুমাই ছিলাম।
– রাতের বেলা ভ্যালেনটাইন ডে সেলিব্রেট করলে দিনের বেলা ঘুমায় থাকার ই কথা।
-সানভি ভাইয়ার সাথে আজকে কোথাও ঘুরতে যাস নি?
-এখন কথা ঘুরানো হচ্ছে। তুই আমরা বেষ্টু না।
-আরে বেষ্টু পাখি রাগ করিস না। তুই তো সব জানিস কালকে কি কি হয়েছে।
-হুহ,
-রাগ করসি না।
– হ্যাঁ তোর উপর আমি রাগ করে থাকতে পারি নাকি।
-এই জন্যই তো তুই আমার বেষ্টুনী।
-শোন, সানভির সাথে আমারও দেখা হয়েছে আরও,,,,,
-তুই বিকেলে আমার বাসায় আসিস। অনেক গল্প করা বাকি আছে।
-আচ্ছা আসবো৷ এখন রাখছি।
-হুম।
ইভার মামাতো ভাই সানভি। আর সানভির সাথে লামিসার রিলেশন আছে। আয়ানের বেষ্ট ফ্রেন্ড সানভির জন্য রাতের ঘটনা ভালো ভাবে সম্পূর্ণ করতে পারছে।
এবার আয়ানকে কল দিয়ে দেখি কি করে। রিং হচ্ছে কিন্তু রিসিভ করতেছে না। তিন বার কল দেওয়ার পর রিসিভ করলো,
-এতো সকালে কেনো কল দিছো?
-দুপুর ২টা কি সকাল নাকি? এখন উঠো
-পরে উঠবো।
-উঠবা নাকি আমি ফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে যাবো?
-এটা কোন ধরনের ব্ল্যাকমেইল ইভা?
-ভালোবাসার ব্ল্যাকমেইল
-একটু শান্তিতে ঘুমাতেও পারি না।
-না পারবে না
-শুনো সন্ধ্যা বেলা একটা পার্টি আছে তোমার সাথে রাতে কথা বলবো। টাইম দিতে পারবো না তা আগে বলে দিচ্ছি পরে আবার রাগ ফুলিয়ে বসে থেকো না।
-আমাকে পার্টিতে নিয়ে যাবে?
-ঐ সব জায়গা তোমার জন্য না।
-কেনো কতো মেয়ে তো যাবে আমি গেলে দোষ কি?
-অনেক দোষ আছে।
-তুমি ঐসব মেয়েদের সাথে ঢলাঢলি করবে তাতে,,,,,,
-একদম বাজে কথা বলবে না। প্রয়োজন আছে বলে পার্টিতে যাবো।
-হ্যাঁ আমি কিছু বললেই তো গায়ে ফোঁসকা পরে।
-কলিজায় লাগে, এতো দিনেও আমাকে চিনতে পারো নি৷
-আমার খারাপ লাগে তেমন কোথাও যেতে পারি না তাই
-পার্টিতে যাওয়া এতো শখ তো একদিন নিয়ে যাবো।
-হয়ছে আমাকে নিয়ে যেতে হবে না। যাও ফ্রেস হয়ে খেয়ে নেও।
-হুম তুমিও।
-রাখছি,
– না শুনো
-বলো?
-রাগ করো না। আমি যা করি তোমার ভালোর জন্য করি, সব খারাপ জায়গা থেকে তোমাকে আগলে রাখতে চাই। ভালোবাসি ইভু পাখি।
-পাগল একটা।
-ইওর লাভার।
– ভালোবাসি।
সামিহা বেগম আয়ানকে ডাকতে এসে তার ছেলে কাউকে পাগলের মতো ভালোবাসে তা বুঝতে পারলো। রুমে না ঢুকে চলে গেলেন ।
বিকেলে ড্রয়িং রুমে বসে নাজমিন বেগম টিভি দেখতে আছে তখন লামিসার আগমন,
-আসসালামু আলাইকুম আন্টি।
-ওয়ালাইকুম সালাম৷ এতো দিন পর মনে হলো আন্টির কথা।
-আপনিও তো আমাকে ভুলে গেছেন
-আমি কয়েক দিন আগেও তোদের বাসায় গেছিলাম তখন তুই বাসায় ছিলি না।
-ওই আর কি।
লামিসার গলাশুনে ইভা ড্রয়িং রুমে এসে বললো
-কি রে কখন এলি।
-এই মাএ।
-চল ছাদে যাই।
নাজমিন বেগম বলে উঠলো,
“” বুদ্ধি শুদ্ধি সব গেছে নাকি, মেয়েটা কতো দিন পর আমাদের বাড়ি এসেছে কিছু না খেতে দিয়ে ছাদে যাওয়ার কথা কিভাবে বলিস, তুই বস মা আমি আসছি”””
-আম্মু সবসময় আমাকে বকবে না।
-বকা খাওয়া কাজ করিস বলে তো,,,,
-তুমি যাও কিছু নিয়ে আসো।
লামিসা আর ইভা গল্প করা শুরু করে দিলো,
-তুই কখন সানভি ভাইয়ার সাথে দেখা করছো?
-তোরা দেখা করার পর, সানভি গেছিলো গিফট দিয়ে চলে আসছে। বলছে পরশুদিন আমাকে ঘুরতে নিয়ে যাবে ওর কি জানো কাজ আছে তাই আমাকে সময় দিতে পারবে না৷
– ওদের হঠাৎ করে কি যে এতো কাজ পড়েছে আল্লাহই জানে।
কফি আর আলুর পকোড়া নিয়ে ছাদে দু’জনে গল্প করতে থাকে। সন্ধ্যার পর লামিসা ওদের বাসায় চলে যায়।
আয়ান বন্ধুদের সাথে পার্টিতে গেছে।
রাতে আয়ান আর ইভা একে অপরের সাথে কথা বলে ঘুমিয়ে পরলো। সকালে ইভা কলেজে গিয়ে দেখলো,,,
তৃষা আয়ানের গাঁ ঘেষে দাড়িয়ে হেসে হেসে কথা বলছে । রাগি লুকে এগিয়ে যেতে আয়ান ইভার গালে
-ঠাসসসসসস্
চলবে,,,,,,