#Your_Lover
#লেখা_ইভানা
#পার্ট_১১+১২
রাতে আয়ানের ফ্রেন্ডরা এসেছিলো। খেয়ে চলে গেছে। আয়মান চৌধুরী বার্থডে পার্টি করা পছন্দ করে না, তাই প্রতিবার পছন্দের খাবার রান্না করে আর ফ্রেন্ডেদের ইনভাইট করে ঘরোয়া ভাবে আয়োজন করে আয়ান, আয়েশার বার্থডে পালন করা হয়।
আয়ান নিজের রুমে শুয়ে গেম খেলছে তখন সামিহা বেগম এসে বললো,
-তোর বাবা তোকে ডেকেছে।
-আম্মু আমি এখন ঘুমাবো। সকালে দেখা করে নিবো।
-বাদ্ধ্য ছেলের মতো গিয়ে বাবার কথা শুনে আয় নয়তো রাগারাগি করবে।
-আম্মমমমু
-যা।
আয়ান আয়মান চৌধুরী রুমে প্রবেশ করে বললো,
-আব্বু তুমি ডেকেছিলে?
-হুম, আজ তোমার জন্মদিন কি গিফট চাও?
-আপাতত আমার কিছু লাগবে না।
-প্রতিবারই তো কিছু না কিছু দিয়ে থাকি তোমার পছন্দ মতো তাই এবার আমার পছন্দ মতো জিনিস তোমাকে দিবো.
-তোমার পছন্দ মতো জিনিস কি?
-আমার বিজনেসর অর্ধেক ভাগ তোমাকে দিলাম।
-না আব্বু আমি এখনই তোমার বিজনেস জয়েনিং দিতে পারবো না
-তুমি খুব ভালো করে জানো আমার ডিসিশন নরচর হয় না
-আমারও তো একটা ইচ্ছা থাকতে পারে কি করবো না করবো?
-তা বলো শুনি তোমার কি ইচ্ছা আছে।
-আর দুটা বছর পরে বিজনেস জয়েন করবো
-এখন করতে সমস্যা কি?
-আমার পড়াশোনা আছে।
-আচ্ছা তুমি যেহেতু চেয়েছো তাই দুটা বছর সময় দিচ্ছি তারপর আর সময় পাবে না ।
-হুম
আয়ানের কেনো ইচ্ছে নেই তার বাবার বিজনেস জয়েনিং করার। কিন্তু কি করবে একমাত্র ছেলে বাবার বিজনেস জয়েন না করেও উপায় নেই।
“”নিজে সারাজীবন টাকার পিছনে দৌড়ে জীবন শেষ করছে এখন আমার জীবনটাও শেষ করবে। বলতে পারতে তো, এখন বিয়ে করে নেও পরে বিজনেস জয়েন করো । শান্তি মতো বৌকে নিয়ে ঘুরবো তা না সারা দিন অফিসে সময় কাটাও। ” মনে মনে বলে নিজের রুমে গিয়ে ঘুমালো।
কিছুদিন ভালোভাবে কাটে। ইভা আয়ানের প্রেমে দুষ্ট মিষ্টি, রাগ,অভিমান, ভালোবাসা সব আছে।
সকালে ঘুম ঘুম চোখে আয়ান ফোনের স্কিনেরদিকে তাকিয়ে দেখে রাফসান কল দিছে,
– এতো সকালে তুই কল দিলি যে,
– তুই ইভাকে এভাবে ঠকাতে পারলি?
-আমি কেনো ইভাকে ঠকাতে যাবো কালকেও তো আমরা এক সাথে ঘুরতে গেয়েছিলাম।
-তাহলে তৃষা যে বললো তোর সাথে ওর সম্পর্ক আছে
-আরে কি বলছিস এসব পাগলের মতো
-যা বলছি ঠিক বলছি তুই তাড়াতাড়ি কলেজে আয়।
-হুম।
আয়ান তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে রেডি হয়ে কলেজে রওনা দিছে।
কলেজে পৌঁছে ইভাকে কল দিলো কিন্তু বার বার রিং হচ্ছে, রিসিভ করছে না। আয়ান চিন্তিত হয়ে পরলো। এদিকে তৃষাকে কলেজে খুঁজতে হবে কি করবে ভাবতে পারছে না।
রাফসান এসে বললো,
– তোকে তৃষা ডেকেছে আমার সাথে চল
-কোথায়?
-কলেজের পিছনের রাস্তা ওখানে
-আচ্ছা চল৷
তৃষা আর দুজন ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। আয়ান তৃষার সামনে গিয়ে দাড়াতে তৃষার হাত আলতোভাবে আয়ানের গাল ছুয়ে বললো,
-বেবি তুমি এতো হট কেনো? কি জাদু আছে তোমার মধ্যে?
আয়ান তৃষার হাতটা ছুড়ে মেরে বললো,
-খবরদার আমাকে স্পর্শ করার সহস দেখাবে না, হাত ভেঙ্গে দিবো।
-তাই বুঝি? এখন শুধু গালটা ছুয়ে দিলাম পরে আমার সাথে বাসর করতে হবে।
-ফালতু কথা না বলে কেনো আমাকে ডেকেছো তা বলো?
-সব বলবো আমার সাথে চলো।
-কোথায় যাবো?
-আমার সাথে গেলে দেখতে পাবে কিন্তু তোমার সাথে কেউ যেতে পারবে না।
-আচ্ছা রাফসান তুই সানভিকে খবর দিয়ে দিস।
আয়ান, তৃষা আর দু’জন ছেলে গাড়িতে উঠলো, আয়ান চুপ করে বসে আছে।
ঘন্টাখানেকর মধ্যে গাড়ি থামলো।
-এতো দূর আমাকে কেনো নিয়ে এসেছো?
-আজকে আমাদের বিয়ে হবে তাই
-তোমার সাথে আমার বিয়ে হাহাহাহা মরে গেলেও তা হবে না।
-কে মরে আর কে বাঁচে ভিতরে গিয়ে দেখতে পাবে।
-হুম চলো।
ভিতরে গিয়ে আয়ান হতবাক হয়ে গেছে। ইভাকে চেয়ারে বসিয়ে হাত পা মুখ বেধে রেখেছে। নিজের ভালোবাসার মানুষকে এভাবে দেখলে কেউ ঠিক থাকতে পারে না। কিন্তু আয়ানকে যে এখন শক্ত থাকতে হবে।
-আয়ান দেখো তোমার ভালোবাসার মানুষ।
-কে আমার ভালোবাসার মানুষ?
-কে আবার ইভা।
-তোমাকে কে বললো, ও আমার ভালোবাসার মানুষ?
– তুমি আমাকে কয়েকবছর যাবত ইগনোর করেছো আর এই মেয়েটাকে কয়েক দিনের মধ্যে এতো ভালোবাসো কি আছে ওর মধ্যে?
-হাহাহাহা তোমার কাছে কি প্রুভড আছে যে আমি ওকে ভালোবাসি?
-সেদিন রেস্টুরেন্টে বসে ওকে নিয়ে কথা বলছিলাম তখন তোমার গায়ে লাগছে, ওর জন্য রাইয়ানকে মেরেছো আবার আরও দুটো ছেলেকে মেরেছো এগুলো কি যথেষ্ট প্রুভড না কাউকে ভালোবাসার জন্য?
-না এগুলো শুধু ভালোবাসার মানুষের জন্য করে এমন কোনো কথা নেই।
-তাহলে তুমি বলছো ওর সাথে তোমার কোনো সম্পর্ক নেই?
-হুম। আর আমি তো তোমাকে পছন্দ করতাম শুধু ওয়েট করেছি গ্রাজুয়েশন কম্পিলিট করার জন্য
-তুমি সত্যি আমাকে পছন্দ করতে?
-হ্যাঁ। তুমি জানো তো আমি এসব প্রেম টেম লাইক করি না একসাথে বিয়ে করে বৌয়ের সাথে প্রেম করবো বলে তোমাকে ইগনোর করেছি
-তাহলে আমাকে বিয়ে করতে কেনো প্রবলেম নেই
-না বিয়ে করতে রাজি আছি তবে একটা শর্ত আছে?
-কি?
-ছয় মাসের চুক্তিতে বিয়ে করবো, আমার যদি মনে হয় তুমি আমার জন্য পারফেক্ট তারপর ধুমধাম করে বিয়ে করবো। কারন কাউকে ভালো লাগা মানে তো ভালোবাসা না। ছয়টা মাস দুজন দুজনকে চিনবো, জানবো, বুঝবো, ভালোবাসবো।
-না এটা হতে পারে না।
-না হলে নেই। আমি এখন আসি।
-ইভাকে এখানে রেখে চলে যাবে?
-হুম, ওকে আমি ভালোবাসি না তাহলে কেনো ওর জন্য আমার জীবন নষ্ট করবো?
-ওর কিছু হলে তোমার কিছু যায় আসে না?
-নাহ্।
-আচ্ছা আমি তোমার শর্তে রাজি।
-তাহলে ওর হাত, পা, মুখের বাঁধন খুলে দেও।
-না না শুধু মুখে বাঁধন খুলে দিচ্ছি। বিয়ে হওয়ার পর ওকে আমি নিজ দ্বায়িত্বে বাসায় পৌঁছে দিবো।
-আচ্ছা তাই করো। আমি সানভিকে কল করে বলে দিচ্ছি এগ্রিমেন্ট পেপার নিয়ে আসতে।
-হুম। ওর মুখের বাধন খুলে দে।
ইভা আয়ানের কথা শুনে কেঁদে আষাঢ় মাসের বন্যা বানিয়ে ফেলছে। সত্যি আয়ান বিয়ে করবে? আমাকে কেনো মিথ্যে স্বপ্ন দেখিয়েছে। ও আগে থেকে তৃষাকে পছন্দ করে তা কেনো বলে নি? (কথা গুলো ভাবছে আর কাঁদছে)
ইভার মাথায় আয়ান হাত রেখে বলছে,
-এই পুচকে মেয়ে তুই আমার নামে সবাইকে মিথ্যা বলছিস যে তোকে আমি ভালোবাসি তাই না?
-চুপ
-তুই সানভির বোন বলে মাঝে মাঝে তুই সানভির সাথে থেকেছিস তাই কথা বলেছি আর তুই ভেবে নিলি আমি তোকে ভালোবাসি? কেনো এমন করলি বল তো? আমার কতো স্বপ্ন ছিলো ধুমধাম করে বিয়ে করার তা না এখন লুকিয়ে বিয়ে করতে হবে, শুধু মাএ তোর জন্য।
-আয়ান!!!!!! (কেঁদে দিলো কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না)
সানভিও চলে এসেছে । সানভি আয়ানের কথা শুনে অবাক হয়ে গেছে শেষ পর্যন্ত কি না তৃষাকে বিয়ে করবে?
-দোস্ত তোকে আমার রক্তের ভাই মনে করি, সেই ছোট বেলা থেকে তুই আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড। তুই আমার কথা শোন ওকে বিয়ে করিস না।
-না দোস্ত তোর এই কথা আমি রাখতে পারবো না।
ইভার কান্না দেখে সানভির চোখ ছলছল করছে।
চলবে,,,,
#Your_Lover
#লেখা_ইভানা
#পার্ট_১২
-তৃষা তুমি এগ্রিমেন্ট পেপারে সিগনেচার করো।
-না আগে তুমি রেজিস্ট্রি পেপারে সিগনেচার করো
-তুমি আমার কথা শুনলে শুনো, না শুনলে আমি যাই
-ইভার লাশ দেখতে পারবে তো?
-না দেখার কি আছে? একদিন না একদিন মরতে হবে এখন তোমার হাতে মরলে আমার কি বা করার আছে বলো?
-তুমি ভেবে বলছো তো?
-আয়ান চৌধুরী যা ভালো বোঝে তাই করে অন্যের কথায় কান দিয়ে কাজ করে না। দেখো তৃষা তোমাকে আমার ভালো লাগে তাই বলে বিয়ে করতে হবে এমন কোনো কথা নেই তাও তুমি আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে বিয়ে করতে চেয়েছো তাই রাজি হয়েছি তাতেও যদি তোমার মন না ভরে আমার কিছু করার নেই।
-আচ্ছা ঠিক আছে আমি সিগনেচার করে দিচ্ছি তবে আজকেই আমাকে তোমার বাসায় নিয়ে যেতে হবে।
-হুম সিগনেচার করো।
(আমি মরে গেলে তোমার কিছু হবে না আয়ান, এই কথাটা বলতে একটা বার বুক কাঁপলো না, এতোটা স্বার্থপর হলে কি করে? এই ছিলো তোমার ভালোবাসা? প্লিজ আয়ান তুমি সিগনেচার করে আজকে সব মিথ্যা করে দিও না ইভা কাঁদতেছে আর মনে মনে কথা গুলো বলছে)
-ইভা তুই কাঁদিস না বোন, তোর কান্না দেখে আমার কষ্ট হচ্ছে।
-ভাইয়া ও কেনো এমন করলো? আমি কি ভুল করেছি যে এতো বড় শাস্তি দিলো?
-দেখ বোন, তুই তো জানিস জোড় করে ভালোবাসা হয় না, তৃষাও জোড় করে আয়ানের ভালোবাসা পাবে না ঠিক তোর কাছে ফিরে আসবে।
-বিয়ে পর আর কি ফিরে আসবে? বললেই তো ফিরে আসা যায় না
আয়ান ধমক দিয়ে বললো,
– ওই তোরা দু ভাইবোন মিলে কি শুরু করেছিস কি? তোদের জ্বালায় কি একটু শান্তি মতো থাকা যাবে না?
সানভি ইভার হাত, পায়ের বাঁধন খুলে দিয়ে আয়ানের সামনে গিয়ে বললো,
-আজ পর্যন্ত তুই যা কিছু করেছিস সবকিছুতে আমি তোর সাথে ছিলাম কিন্তু আজকে তুই আমার বোনকে কাঁদিয়ে এই ফালতু মেয়েকে বিয়ে করবি এটা আমি মেনে নিতে পারবো না।
-তোমার সাহস তো কম না তুমি আমার পারমিশন ছাড়া ওর বাঁধন খুলে দিছো আবার আমাকে ফালতু মেয়ে বলো। (তৃষা)
-আমি এখানে তোমার জন্য আসি নি, আয়ানের জন্য এসেছি ওর কাজ শেষ তাই চলে যাচ্ছি (সানভি)
-দাঁড়া এখুনি কোথায় যাচ্ছিস, তোর বোন দেখে যাক আয়ান চৌধুরী কাকে বিয়ে করে (আয়ান)
-না ভাইয়া আমি এখানে একমুহূর্ত আর থাকবো না (ইভা)
-থাকবো না বললেই তো হবে না (আয়ান)
-আয়ান তুমি সিগনেচার করো বেবি (তৃষা)
আয়ান রেজিস্ট্রি পেপার হাতে নিয়ে সিগনেচার করতে যাবে তখন সানভি বললো,
-দোস্ত তুই সিগনেচার করিস না
-একদম চুপ করে থাকো (তৃষা)
-রেজিস্ট্রি পেপারের সাথে এগুলো কিসের পেপার? (আয়ান)
-তেমন কিছু না, জাস্ট একটা গিফট আছে। তুমি সিগনেচার করো (তৃষা)
-তা গিফট টা কি (আয়ান)
-সেটা বিয়ের পর জানবে (তৃষা)
-আচ্ছা (আয়ান)
আয়ান সিগনেচার করবে তখন ইভা ওর হাত থেকে রেজিস্ট্রি পেপার নিয়ে ভালো করে পেইজ গুলো পরতে শুরু করলো। এদিকে তৃষার হাত আয়ান ধরে রেখেছে যাতে ইভার কাজে বাঁধা দিতে না পারে। পেপারগুলো পড়া শেষে ইভা তৃষার গালে ঠাসসস্ ঠাসসসস্ দিয়ে বললো,
-তোর সম্পত্তির উপর এতো লোভ। তুই বিয়ে করতে চেয়েছিলি শুধু মাএ টাকার জন্য। তুই ভালোবেসে এসব করিস নি।
– তোকে আগেই বলেছিলাম ওকে বিয়ে করিস না, এখন ইভা পেপার গুলো না পড়লে কতো বড় ক্ষতি হতো (সানভি)
-তোর সাহস হয় কি ভাবে আমাকে থাপ্পড় দেওয়া, তুই এখন থেকে বেঁচে ফিরতে পারবি না। ওই তোরা ওকে বেঁধে ফেল(তৃষা)
-তোমার কথা এখন আর কেউ শুনবে না। তুমি নাকি আমাকে ভালোবাসতে? আমাকে পাওয়ার জন্য ব্ল্যাকমেইল করেছো তাহলে এসব কি? (আয়ান)
-আয়ান আমার কথাটা ভালো করে শুনো ওখানে আমার যা কিছু আছে তা সব তোমার নামে করে দিবো (তৃষা)
-সত্যি আমার নামে করে দিবে? (আায়ান).
-হুম(তৃষা)
আয়ান তৃষাকে ঠাসসসস্ ঠাসসস্ করে থাপ্পড় দিয়ে বললো,
-তোর কি আমাকে ভিখারি মনে হয়, যে তোর সম্পত্তির জন্য তোকে বিয়ে করবো৷ তোর বাবার তো কম সম্পত্তি নেই তাও এতো লোভ তোর?তুই কি মনে করেছিলি আমি তোকে পছন্দ করি? কখনও না। তুই হাজার টা ছেলেকে ঠকিয়েছিস। মিথ্যা ভালোবাসার অভিনয় করেছিস এসব কিছু সবার জানা আছে। (আয়ন)
-যদি এতো কিছু জেনে থাকো তাহলে আমাকে বিয়ে করতে রাজি হলে কেনো? (তৃষা).
-তোর মিথ্যা ভালোবাসার নাটকটা দেখার জন্য (আয়ান)
-নাটক দেখা শেষ তো, এখন রেজিস্ট্রি পেপারে সিগনেচার করো নয়তো কেউ এখান থেকে যেতে পারবে না (তৃষা)
-কে যেতে দিবে না হ্যাঁ(আয়ান)
-তিন জন ছেলে আছে ওরা যেতে দিবে না৷ ওই ওদের বেঁধে ফেল (তৃষা)
-হাহাহাহা। কাওসার, মাহির তোরা এদিকে আয়(আয়ান)
-তুমি এদের চিনো কিভাবে? আর তোরা আমার কথা না শুনে ওর কথা শুনছিস কেনো (তৃষা)
কাওসার এবং মাহির ওদের আগে থেকে আয়ানকে চেনে আর ওরা ও আয়ানকে চিনতো কিন্তু ওরা কেনো এসব কাজ করছে তা শুনে নেওয়া যাক,
-ভাইয়া আমি জানতাম না আপনি এখানে আসবেন আর ইভা আপু আপনার পরিচিত তাহলে তৃষার সাথে কাজ করতাম না (কাওসার)
-তোরা কেনো এরকম কাজ করতে নেমেছিস?পুলিশের কাছে ধরা খেলে এই কাজের শাস্তি কতো হবে?(আয়ান)
-সবকিছু জানি কিন্তু আমরা যে নিরুপায় (মাহির)
-চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গেছি তারা বললো চাকরি পেতে হলে ১০লক্ষ টাকা লাগবে, মা অসুস্হ, বোনের বিয়ে দিতে হতে বাবার সামান্য আয়ে সংসার চলে না। তাই এ কাজ করতে নেমেছি (কাওসার)
-আমার বাবা মা কেউ নেই। চাচার কাছে এতো দিন থাকতাম কিন্তু এখন চাচি রাখবে না। চাকরি করতে হলে টাকা লাগবে তাও নেই তাই একজনের সাথে কথা বলে এই কাজটা পেয়েছি (মাহির)
-সব বুঝলাম তোদের সাহায্য পরে করছি, এখন তোরা বল আমি ইশারায় যা বলছি সেগুলো বুঝতে পেরেছিলি (আয়ান)
-তোরা আমরা টাকা খেয়ে আমার সাথে বেইমানি করেছিস?তোদের সব কটাকে দেখে নিবো (তৃষা)
-আগে তুই এটা দেখে নে (আয়ান)
চলবে