#The_unlimited_love💖
#Season_2
#Part_11
#Writer_Nusrat
সোহানি আন্টি কোমায় গিয়েছিলো গাড়ির নিচে চাপা পরার কারেণে৷ আর উনি কোমা থেকে ফিরে আসার পর রেহান আংকেল নিজে পুলিশের কাছে গিয়ে সোহানি আন্টি আর উনার কুকর্মের কথা স্বীকার করেছিলেন৷জানিস ইতো বাংলাদেশে এখন এসবের জন্য কিছু শাস্তি প্রদান করার ব্যবস্হা করা হয়েছে৷ তাই উনাকে পাঁচ মাসের জেল দেওয়া হয়েছিলো৷প্রথমে উনাকে বলা হয়েছিলো যেন সোহানি আন্টিকে বিয়ে করে নেন বাট আংকেল রাজী ছিলেন না৷ প্রায় একমাস পর রেহান আংকেল রাজী হলেন আর উনাকেও জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিলো৷
কী সত্যি বললাম তো৷ নাকি বেজাল আছে৷ তাহলে এখানে তুই আমাদের দোষ কোথায় দেখলি৷ যে আমাদের উপরে রিভেঞ্জ নেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিস৷
আমি এতো কিছু জানিনা৷ আমি শুধু জানি এসবের জন্য তোরা দায়ী৷
আমার কী মনে হয় জানিস রকি তুই না মানসিক ভাবে সিক৷ একজন সুস্থ মানুষ সব কিছু জেনে এমন পাগলামু জীবনেও করবেনা৷ তুই সব সময় তোর মস্তিষ্কের কথা শুনেছিস মনের কথা শুনিসনি৷ মন দিয়ে বিচার করিসনি৷ যদি মনের কথা শুনতিস তাহলে এসব করতি না৷ সে যাইহোক তোকে তোর কর্মের শাস্তি পেতেই হবে৷
কথাটা বলে আদনান রকির শার্টের কয়টা বোতাম খুলে শার্টটা নিচে নামালো তারপর রকির কাঁধে ব্লেডটা চালিয়ে দিলো৷
রকি ঠোঁট কামড়ে ধরলো৷ চিৎকার করছেনা কিন্তু চোখ থেকে ঝরঝর করে পানি পরছে৷ আদনান ওর আরেক কাঁধেও ব্লেড চালিয়ে দিলো তারপর একটা বাটি নিয়ে আসলো যেটাতে মরিচের গুঁড়ো আর নুন মেশানো আছে৷
আদনান একটা বাঁকা হাসি দিয়ে ওর কাটা স্থানে নুন আর মরিচের গুঁড়ো লাগিয়ে দিলো৷ রকির হাত বারবার কেঁপে উঠছে৷ হাত বাঁধা থাকার কারেণে কিছু করতে পারছেনা সে৷ আদনান একটু একটু করে সব কাটা স্থানেই নুন আর মরিচ লাগিয়ে দিলো৷ রকির চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে৷
আদনান একটা চেয়ারে বসে বললো,,
আপাতত এটাই তোর পানিশমেন্ট৷ রেহান আংকেলের দিকে তাকিয়ে তোকে মাফ করে দিলাম নাহলে তোর পরিণতি খুব ভয়ানক হতো৷ তোর বাবা আমাদের ফ্যামিলির সদস্যদের মতোই একজন৷ অনেক উপকার করেছেন আমার আর আমার চাচ্চুর৷ তাই তোকে ছেড়ে দিলাম বাট এটা বুঝিসনা যে আমি৷ তোকে মাফ করে দিয়েছি৷ তোর প্রতি রাগ আর ক্রোধ আমার শরীরের শিরায় শিরায় বয়ে যাচ্ছে৷ ইচ্ছে তে হচ্ছিলো তোকে খুন করে ফেলি বাট এটা আমি করতে পারবোনা৷ বাই দ্যা ওয়ে যাচ্ছি আমি৷ তুই আপাতত সাত-দশ দিন এখানেই বন্দী থাক৷ তোর খাওয়া দাওয়া সব বন্ধ৷
কথাটা বলে আদনান রুম থেকে বেড়িয়ে বাইরে থেকে দরজায় তালা মেরে দিলো৷
♣️♣️♣️
বাড়িতে ভাইয়া সবাইকে মিথ্যা কথা বলেছিলো যে আমি আমার বান্ধবীর বাসায় ছিলাম৷ তাই কেউ তেমন চিন্তা করেনি৷ ড্রয়িং রুমে বসে আছি আর নখ কামড়াচ্ছি৷ ভাইয়া কখন আসবে আর সামনাসামনি দেখবো৷
বেশ কিছুক্ষন পর ভাইয়া বাসায় এলেন৷ আমার দিকে একবার তাকিয়ে আবার সিঁড়ি বেয়ে উপরে চলে গেলেন৷ আমি ভাইয়াকে ডাক দিতে গিয়েও দেইনি৷ কী মুখ নিয়ে ডাক দিবো ভাইয়াকে৷
★
রাতে সবাই ডিনারে বসেছি৷ ভাইয়া আসার উপলক্ষে আম্মু আর মামনী ভাইয়ার পছন্দের খাবার রান্না করেছে৷ সবাই ডাইনিংয়ে বসে ভাইয়ার জন্য অপেক্ষা করছে৷ বেশ কিছুক্ষন পরে ভাইয়া এলেন৷ একটা থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট আর লাল টি-শার্ট পরে৷ ভাইয়া একাবারো আমার দিকে তাকননি৷
টেবিলে না বসেই ভাইয়া বললেন,,,
সামান্তা যদি আমার সাথে বসে খাবার খায় তাহলে আমি খাবার খাবোনা৷ কথাটা বলে ভাইয়া পুনরায় উনার রুমে চলে গেলেন৷
হয়েছে শান্তি!!ছেলেটার সাথে এমন না করলেও পারতিস৷ চলে গেছে বেশ করেছে৷ তোর সাথে এক টেবিলে বসে খাবার খাওয়ার কোনো মানেই হয়না৷
রিংকি এসব কী করছিস মেয়েটা খেতে বসেছে ওকে খেতে দে৷ আদনান নাহয় পরে খেয়ে নিবে৷ ও যখন টেবিলে বসেছে তাহলে ও খেয়ে নিক না৷
আমি আর কিছু না বলে খাবার ফেলেই চলে আসলাম৷ আব্বু, বড় আব্বু, মামনী,জিএম সবাই পিছে পিছে ডাকছে তবুও আমি না দাঁড়িয়ে চলে আসলাম৷
সত্যিই তো ভাইয়া আমার জন্য না খেয়ে আছে আর আমি কী করে খেতাম৷
★
রিংকি এবার তুই শান্তি হয়েছিস?নে এবার মেয়েটাও না খেয়ে চলে গেলো৷ কেন শুধু শুধু বকতে গেলি বলতো?
রুহি দেখ সামান্তা যা করেছে সেটা একেবারে অন্যায়৷ আমরাতো শুধু আদনানকেই দোষারোপ করে যাচ্ছিলাম যেখানে ছেলেটা একেবারে নির্দোষ৷ তুই যদি না বলতিস তাহলে তো আমি জানতেই পারতাম না৷
হয়েছে এবার খাওয়া স্টার্ট করো খাবার ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে তো৷ আর রিংকি খাবার খেয়ে একটু তারাতাড়ি চলে আইসো(আহিল)
আরুহিও একটু হেসে বললো,
হ্যাঁ রিংকি তারাতাড়ি যাস নাহলে তোর হাসবেন্ড তোকে অনেক মিস করবে ইয়ার৷
রিংকি একটু লাজুক হেসে সেও খাবারে মনোযোগ দিলো৷
★★
আদনান বারবার উকি দিয়ে দেখছে সবার খাওয়া শেষ হয়েছে কী না৷ সবার খাওয়া শেষ হলে তারপর সে খাবে৷ পেটে অলরেডি ইঁদুর দৌঁড়াচ্ছে খিদেয়৷
সামান্তারও সেইম অবস্থা সে মনে করেছে আদনান খাচ্ছে৷ তাই সে অপেক্ষায় আছে কখন খাওয়া শেষ হবে আর সে খাবে৷
অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সবার খাওয়া শেষ হলো৷ সামান্তা তারাতাড়ি কিচেনে চলে গেলো পাতিলে খাবার আছে কী না দেখার জন্য৷ সামান্তা খাবার দেখে সেও প্লেটে খাবার বেড়ে কিচেনেই খাবার খাওয়া শুরু করে দিলো৷ আদনানও একটু পর কিচেনে গেলো৷
একি সামু এখানে কী করছে?সে যাই করুক আমার কী৷
সামান্তা খাবার খাওয়ায় এতোটাই মগ্ন যে আদনান কোনদিকে খাবার নিয়ে চলে গেলো সেটাই টের পায়নি৷
চলবে,,,,,